22 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 21, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বৃক্ষপতি বাবা, বাচ্চারা উপর বৃহস্পতির দশা বসিয়েছেন, এখন তোমরা অবিনাশী সুখের দুনিয়াতে যাচ্ছো”

প্রশ্নঃ --

অবিনাশী বৃহস্পতির দশা কোন্ বাচ্চাদের উপর বসে, তাদের লক্ষণ কি রকম হবে ?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা বেঁচে থেকেও দেহের সকল সম্বন্ধকে ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করে, এই রকম নিশ্চিত আত্মিক বুদ্ধিমান বাচ্চাদের উপর বৃহস্পতির দশা বসে। তাদেরই সুখের গায়ন আছে যে – অতীন্দ্রিয় সুখ গোপ-গোপীদেরকে জিজ্ঞাসা করো। তাদের খুশি কখনো লুপ্ত হতে পারে না ।

গান:-

ওঁম্ নমঃ শিবায়..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা বাবার মহিমা শুনেছে। আজকের দিনকে বলাই যায় বৃক্ষপতি ডে, যাকে মিলিয়ে বলা হয় বৃহস্পতি। একে গুরুবারও বলা যায়। না কেবল গুরুবার কিন্তু সদ্গুরু বার। বাঙালিরা এটাকে খুব মান্য করে। গাওয়া হয় যে মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, এইজন্য বৃক্ষপতি বলা হয়। তিনি বীজও আবার তিনি পতিও। বৃক্ষের বীজকে বাবা-ই বলা হয়। তাঁর থেকে বৃক্ষ উৎপন্ন হয়। এটা হল মনুষ্যসৃষ্টি রূপী বৃক্ষ । এর বীজ উপরে থাকে। তোমরা জানো যে আমাদের এই বাচ্চাদের উপর এখন অবিনাশী বৃক্ষপতির দশা আছে, কেননা অবিনাশী স্বরাজ্য প্রাপ্ত হচ্ছে। সত্যযুগকে বলাই যায় অবিনাশী সুখধাম। কলিযুগকে বলা যায় বিনাশী দুঃখ ধাম। এখন দুঃখ ধামের বিনাশ হবে। সুখধাম হল অবিনাশী, অর্ধেক কল্প চলতে থাকে, যেটা অবিনাশী বৃক্ষপতি স্থাপন করছেন। বাচ্চাদেরকে সার্ভিসের জন্য পয়েন্টস্ নোট করতে হবে। প্রদর্শনীতে এই-এই পয়েন্টস্ মুখ্যতঃ বোঝানোর জন্য রাখতে হবে, কেননা মানুষ তো কিছুই জানেনা। বরাবর এটাই হল জ্ঞান। এখন বাবা এই জ্ঞান প্রদান করছেন – নতুন আর পুরানো দুনিয়ার মাঝে, পুনরায় এই জ্ঞান প্রায়ঃলোপ হয়ে যায়। দেবতাদের মধ্যে এই জ্ঞান থাকেনা। যদি এই চক্রের জ্ঞান থাকতো তাহলে রাজত্ব করার ক্ষেত্রে মজাই আসত না। এখনও তোমাদের এই খেয়াল আছে তাইনা। রাজ্য নিয়েও কি পুনরায় আমাদের এই অবস্থা হবে। কিন্তু এটাই তো ড্রামা তৈরি হয়ে আছে। চক্রকে পুনরাবৃত্ত হতেই হবে। ওয়ার্ল্ড এর হিস্ট্রি জিওগ্রাফি রিপিট হচ্ছে। কিভাবে রিপিট হচ্ছে এটা বাচ্চারা তোমরাই জানো। এটা হল মনুষ্যসৃষ্টি। তোমাদের বুদ্ধিতে মুলবতনের বৃক্ষও আছে। সেকশন সকলেরই আলাদা আলাদা। এইসব কথা কারোর বুদ্ধিতে কখনও থাকেনা। কোনও শাস্ত্রতে তো এসব কথা লেখা নেই। আমরা আত্মারা আসলে শান্তিধামের অধিবাসী, অবিনাশী। আমাদের কখনোই বিনাশ হয় না। তারা মনে করে জল থেকে বুদবুদ বেরিয়ে পুনরায় সেখানেই মিলিয়ে যায়। তোমাদের বুদ্ধিতে সমস্ত রহস্য আছে। আত্মা হল অবিনাশী, যার মধ্যে সমগ্র পার্ট নিহিত আছে। এই চক্রের জ্ঞান কোনও শাস্ত্রে নেই। যদিও কোথাও কোথাও স্বস্তিকাকে দেখানো হয়। চক্রের মধ্যে কেবল এই রেখা লাগিয়ে দেয় যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে অনেক ধর্ম ছিল। বাবা বুঝিয়েছেন যে মুখ্য ধর্ম আর শাস্ত্র হল চারটি, সত্যযুগ ত্রেতাতে তো কোনও ধর্ম স্থাপন হয় না, না সেখানে কোনও ধর্ম শাস্ত্র হয়। এইসব দ্বাপর থেকে শুরু হয়। তারপর দেখো কতইনা বৃদ্ধি হতে থাকে। আচ্ছা গীত কবে শোনানো হয়েছে? বাবা বলেন – আমি কল্পের সঙ্গম যুগেই আসি। তারা আবার কল্প শব্দটিকে বের করে কেবল সঙ্গম যুগে যুগে লিখে দিয়েছে। বাস্তবে সঙ্গমযুগে আর অন্য কোনও ধর্ম স্থাপন হয় না। এমন নয় যে ত্রেতার অন্ত দ্বাপরের আদির সঙ্গমে ইসলাম ধর্ম স্থাপন হয়েছে। না, বলবে দ্বাপরে স্থাপন হয়েছে। এটা হল সঙ্গমের শ্রেষ্ঠ সময়, যাকে কুম্ভ বলা হয়। কুম্ভ সঙ্গমকে বলা যায়। এটা হল আত্মার আর পরমাত্মার মিলনের সঙ্গম। এই আধ্যাত্মিক মেলা সঙ্গমেই হয়ে থাকে। তারা জলের গঙ্গার নাম খ্যাতনামা করে দিয়েছে। জ্ঞান সাগর, পতিত-পাবনকে জানেই না। তিনি কীভাবে পতিত দুনিয়াকে পবিত্র বানান, কোনও শাস্ত্রে নেই। এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে বাবা বলেন যে – মামেকম্ স্মরণ করো। দেহের সকল ধর্মকে ত্যাগ করো। কাদেরকে বলেন? আত্মাদেরকে। একে বলা যায় বেঁচে থেকেও মরে যাওয়া। মানুষ শরীর ত্যাগ করে তো দেহের সকল সম্বন্ধ আপনা হতেই ত্যাগ হয়ে যায়।

বাবা বলছেন যে – যা কিছু দেহের সম্বন্ধ আছে সেই সব ছেড়ে নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করাে। নিশ্চিত আত্মিক বুদ্ধি হও। যত বেশি স্মরণ করবে তো বৃহস্পতির দশা হবে। চেক করো আমি শিব বাবাকে কতটা সময় স্মরণ করছি। স্মরণের দ্বারাই জং ছেড়ে যাবে আর তোমাদের খুশী হবে। তোমরা অনুভব করতে পারবে যে আমি আত্মা কতটা সময় বাবাকে স্মরণ করছি। যদি কম সময় স্মরণ করি তাহলে জং কম ছাড়বে। খুশিও কম থাকবে। পদও কম প্রাপ্ত হবে। আত্মাই সতঃ রজঃ তমঃ হয়। এই সময়েরই গায়ন আছে – গোপ গোপিদের অতীন্দ্রিয় সুখের। আর কিছুই স্মরণে আসে না এক বাবাকে ছাড়া, তবেই খুশির পারদ চড়বে। আমাদের উপর বৃহস্পতির দশা অথবা সদ্গুরুর দশা আছে। পুনরায় কখনো যদি খুশী লুপ্ত হয়ে যায় তো বলে বৃহস্পতির দশা পরিবর্তিত হয়ে রাহুর দশা বসে গেছে। কেউ অনেক ধনী হয়, কেউ সাট্টা লাগায় এবং দেউলিয়া হয়ে যায়। ভারতেই যখন গ্রহণ লাগে তখন বলে যে – দান করো তাহলে গ্রহণ ছেড়ে যাবে। তোমাদের দেবী-দেবতা ধর্মও ষোলোকলা সম্পূর্ণ ছিল, তার এখন গ্রহণ লেগেছে। রাহুর দশা বসেছে এই জন্য দেবতাদের সামনে গিয়ে গাইতে থাকে – আপনি সর্ব্বগুণসম্পন্ন… আমরা পাপী, কপট। এখন তোমরা বুঝতে পারো যে রাহুর গ্রহণ লাগার কারণে সবাই কালো হয়ে গেছে। অমাবস্যার সময় চন্দ্রমার আকার রেখায় গিয়ে দাঁড়ায়। বাবাও বোঝাচ্ছেন যে তোমাদের দেবী দেবতাদেরও চিত্র আছে। গীতাই হল আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র। কিন্তু এরা নিজেদের ধর্মকে জানে না। যারা ধর্মের প্রধান তাদের কনফারেন্স হয়। তোমরা সেখানে গিয়েও বোঝাতে পারো – ঈশ্বর তো সর্বব্যাপী নয়। তিনি তো হলেন অসীম জগতের বাবা। বাচ্চাদেরকে এসে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করেন। সাধুসন্ত ইত্যাদিদের তো অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না তাই তারা কিভাবে মান্য করবে! বাচ্চারা তোমাদেরই এই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। মুখ্য কথাই হল এটা প্রমাণ করতে হবে যে ঈশ্বর সর্বব্যাপী নয়। শিব জয়ন্তী হয়ে থাকে। শিব জয়ন্তী বলো অথবা রুদ্র জয়ন্তী বলো – রুদ্র এই জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেন। আছেন তো শিব। সেই হল গীতা জ্ঞান যজ্ঞ, যার দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্বলিত হয়েছে। প্র্যাকটিক্যালে তোমরা দেখছো কিভাবে নিরাকার বাবা রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেন। সাকার তো কিছুই করতে পারেন না। এটা হল অসীম জগতের যজ্ঞ, এতে সমগ্র পুরানো দুনিয়ার স্বাহা হতে হবে। বাকি তো সে সব লৌকিক যজ্ঞ। কতইনা রাত-দিনের পার্থক্য আছে। বাবা বলেন যে – এটা হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, বিনাশও হতেই হয়। তোমরা যখন পাস হয়ে যাবে, সম্পূর্ণ যোগী আর জ্ঞানী হয়ে যাবে তখন পুনরায় তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া স্বর্গ চাই। নরকের বিনাশ অবশ্যই চাই। রাজস্ব অশ্বমেধ শব্দও ঠিক আছে। তারা ঘোড়াকে স্বাহা করে। বাস্তবে এটা তো হল তোমাদের এই রথ। এক দক্ষ প্রজাপতিরও যজ্ঞ রচিত হয়, তারও কাহিনী আছে।

এখন বাচ্চারা তোমাদের কতইনা খুশিতে থাকতে হবে – আমাদের বৃক্ষপতি বাবা পড়াচ্ছেন। আমাদের উপর এখন বৃহস্পতির দশা আছে, আমাদের অবস্থা খুবই ভালো। তারপর চলতে চলতে লিখতে থাকে বাবা আমি তো বিষন্ন হয়ে পড়েছি। প্রথমে তো আমি খুবই খুশিতে ছিলাম, এখন জানি না কি হয়েছে। এখানে এসে বাবার হওয়া এটা হল বড় যাত্রা। সেখানে তীর্থযাত্রাতে যায় তো কতই না টাকা পয়সা খরচা করে। এখন এখানে তো দান করার কথাই নেই। এখানে কোনও পয়সাই খরচা করতে হয় না। সেসব হল লৌকিক যাত্রা, তোমাদের হল আত্মিক যাত্রা। লৌকিক যাত্রার দ্বারা কিছুই লাভ হয়না। গানেতেও আছে না – চারিদিকে ঘুরে বেড়িয়েছো তবুও জন্ম-জন্মান্তর দূরে থেকে গেছ। এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ যে কত অসংখ্য যাত্রা করা হয়েছে। কোথায় না কোথায় মানুষ অবশ্যই যায়। হরিদ্বারে গঙ্গাজীর কাছে অবশ্যই যায়। পতিত পাবনী গঙ্গা মনে করে তাই না। এখন বাস্তবে তোমরাই হলে সত্যি কারের জ্ঞান গঙ্গা। তোমাদের কাছেও অনেক এসে জ্ঞান স্নান করে। বাবা বুঝিয়েছেন যে – সদ্গুরু হলেন একজনই। সকলের সদ্গতি দাতা এক সদ্গুরু ছাড়া আর কোন গুরু নেই। বাবা বলেন যে – আমি তোমাদেরকে কল্পকল্প সঙ্গম যুগে এসে সদ্গতি দিয়ে পূজারী থেকে পুজ্য বানাই। পুনরায় তোমরা পূজারী হয়ে দুঃখী হয়ে যাও। এটাও এখন জেনে গেছো। বরাবর আমাদের অর্ধেক কল্প রাজ্য চলতে থাকে পুনরায় দ্বাপর থেকে আমরা তথা দেবী-দেবতা বাম মার্গে চলে যাই। যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখন থেকেই বাম মার্গ শুরু হয়। তারও নিদর্শন আছে। জগন্নাথের মন্দিরে যাও তো অন্তরে কালো মূর্তি আছে। বাইরে দেবতাদের নোংরা চিত্র আছে। সেই সময় নিজেদের থোড়াই এই বোধগম্য আসে যে এসব কি। বিকারী মানুষ বিকারী দৃষ্টি দিয়ে দেখবে। তাই বুঝতে পারে যে, দেবতারাও বিকারী ছিল। এসব লেখা আছে যে দেবতারা বাম মার্গে যায়। ড্রেসও দেবতাদের দিয়ে দিয়েছে। এখানেও দিলওয়ারা মন্দিরে যাও তো উপরে স্বর্গ লাগানো হয়েছে। নিচে তপস্যাতে বসে আছে। এইসব রহস্যকে আর কেউ জানে না। এটা তো হল বাবার অনুভবী রথ তাই না।

বাচ্চারা তোমরা এখন বুঝে গেছ যে – আত্মা পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল… তোমরা যারা প্রথমে আলাদা হয়ে ছিলে, তোমরাই এসে সর্বপ্রথম বাবার সাথে মিলন করো। সত্যযুগের প্রথম প্রিন্স হল শ্রীকৃষ্ণ। কৃষ্ণের বাবাও তো থাকবে তাই না। কৃষ্ণের মা – বাবার এতকিছু দেখায় না। কেবল দেখিয়েছে মাথার উপর রেখে নদীতে এপার থেকে ওপারে নিয়ে গেছে। রাজত্ব ইত্যাদি কিছুই দেখায়নি। তার বাবার মহিমা কেন হয়নি! এখন তোমরা জানো যে এই সময়ে কৃষ্ণের আত্মা ভালোভাবে পড়াশোনা পড়ছে। যে কারণে মা বাবার থেকেও উচ্চপদ প্রাপ্ত করেছে। তোমরা বুঝতে পেরেছ যে আমরা শ্রীকৃষ্ণের রাজধানীতে ছিলাম, স্বর্গে তো ছিলাম তাই না। তারপর আমরা চন্দ্র বংশী হয়েছি। এখন পুনরায় সূর্যবংশী হওয়ার জন্য শ্রীমতে চলে পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হব। প্রত্যেকে নিজের অবস্থাকে দেখতে পারো। যদি আমি এই সময় শরীর ছেড়ে দিই তাহলে কি গতি প্রাপ্ত করব। প্রত্যেকেই তা বুঝতে পারে। যতটা বাবাকে স্মরণ করবে ততোই বিকর্ম বিনাশ হবে। মানুষের ওপর কোনো বিপদ বা দুঃখ আসে বা দেউলিয়া হয় তখন সাধুদের কাছে গিয়ে সাধুসঙ্গ করে। তারপর মানুষ মনে করে যে এ তো হলো ভক্ত। এ’ থোড়াই ঠকাতে পারে। এইরকম এইরকমও ২-৪ বছরে অনেক ধনবান হয়ে যায়। তাদের অনেক লুকানো পয়সা থাকে। প্রত্যেকেই নিজের বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে পারে। তোমাদের মধ্যেও অনেক আছে যারা অনেক কম সময় স্মরণ করে, এইজন্য বাবা বলেছেন যে নিজের কল্যাণ চাও তো নিজের কাছে নোটবুক রাখো। চার্ট নোট করো। আমি সারাদিন কতটা সময় স্মরণে ছিলাম। মানুষ তো সারা জীবনের হিস্ট্রিও লিখে ফেলে। তোমাদের তো কেবল স্মরণের চার্ট লিখতে হবে, নিজেরই উন্নতি হবে। বাবাকে স্মরণ না করলে তো উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। বিকর্ম বিনাশই হবেনা তো উচ্চপদ কিভাবে প্রাপ্ত হবে। তার ফলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। যে শাস্তি ভোগ করবে না সেই উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। শাস্তি ভোগ করে পুনরায় কোনও সাধারণ কিছু পদ প্রাপ্ত করা তা কি কাজের আছে! ধর্মরাজের কাছে শাস্তি যাতে না খেতে হয়, যাতে অসম্মানিত না হতে হয় – এই পুরুষার্থ করতে হবে। তোমরা দেখছো যে শিব বাবা বসে আছেন আবার ধর্মরাজও আছেন। তোমাদেরকে সবকিছুই সাক্ষাৎকার করান। তোমরা এই এই করেছিলে, স্মরণে আছে? এখন খাও শাস্তি। তারপর সেই সময় শাস্তি ততই ভোগ করে, যতটা জন্ম-জন্মান্তরে খেয়ে আসছে। অবশেষে অল্পকিছু রুটির টুকরো প্রাপ্ত হয়, তাতে কি লাভ আছে। শাস্তি তো না খাওয়া উচিৎ। নিজের অবস্থাকে চেক করতে হবে। যেরকম দৈনন্দিন চার্ট বের করে। কেউ ছয় মাসের কেউ ১২ মাসের। কেউ তো প্রত্যেকদিনেরই বের করে। বাবা বলেন যে তোমরাও হলে ব্যবসাদার। এমনই কেউ বিরল ব্যবসাদার আছে যে অসীম জগতের বাবার সাথে ব্যবসা করবে। ধন নেই তো শরীর-মন তো আছে তাই না। তাকে শেয়ারের দালালও বলা হয়। নিজের সবকিছু এক্সচেঞ্জ করতে থাকে, তাই না। তোমরা শরীর-মন-ধন দিয়ে দাও তাহলে রিটার্নে ২১ জন্মের জন্য কতটা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। বাবা আমি তোমার। এমন যুক্তি বলো যে, আমাদের আত্মা আর শরীর এই লক্ষ্মীনারায়ণের মত হয়ে যায়। বাবা বলেন যে আমি তোমাদেরকে কতইনা গোরা তৈরি করি। একদম রূপই বদলে দিই। দ্বিতীয় জন্মে তোমাদের ফার্স্ট ক্লাস শরীর প্রাপ্ত হবে। তোমরা বৈকুণ্ঠও দেখতে পাবে। তোমরা জানো যে এই মাম্মা বাবা পুনরায় লক্ষ্মী-নারায়ণ হবেন। এইম্ অবজেক্টও দেখানো হয়। এখন যে যতটা পুরুষার্থ করবে। যদি পুরুষার্থ সম্পূর্ণ ভাবে না করে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে নিজের পদই ভ্রষ্ট করবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজের অবস্থার চেকিং নিজেকেই করতে হবে। নিজের কল্যাণের জন্য দৈনন্দিন ডায়রি রাখতে হবে, যেখানে স্মরণের চার্ট নোট করতে হবে।

২ ) অসীম জগতের বাবার সাথে সত্যি সত্যি ব্যবসা করতে হবে। নিজের শরীর-মন-ধন বাবার কাছে সমর্পিত করে ২১ জন্মের জন্য রিটার্ন নিতে হবে। নিশ্চয় বুদ্ধি হয়ে নিজের কল্যাণ করতে হবে।

বরদানঃ-

বাপদাদার নম্বর ওয়ান শ্রীমত হল নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। যদি আত্মা ছাড়া নিজেকে সাধারণ শরীরধারী মনে করো তাহলে স্মরণ টিকতে পারবে না। সেইরকমই কোনও দুটো জিনিসকে যদি জোড়া যায় তাহলে প্রথমে সমান বানাতে হয়, এইরকমই আত্মা মনে করে স্মরণ করো তাহলে স্মরণ সহজ হয়ে যাবে। এই শ্রীমতই হলো মুখ্য ফাউন্ডেশন। এই কথার উপর বারংবার অ্যাটেনশন দাও তাহলে সহজযোগী হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top