20 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 19, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই সভাতে বহির্মুখী হয়ে বোসো না, তোমাদের বাবার স্মরণে থাকতে হবে, মিত্র - সম্বন্ধী অথবা কাজ - কারবারকে স্মরণ করলে বায়ুমণ্ডলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমাদের আত্মিক ড্রিলের বিশেষত্ব কি, যা অন্য মনুষ্য করতে পারে না ?

উত্তরঃ -:-

তোমাদের এই আত্মিক ড্রিল হলো বুদ্ধির, এর বিশেষত্ব হলো এই যে, তোমরা প্রেমিকা (আশিক) হয়ে প্রিয়তমকে (মাশুক( স্মরণ করো । এর ইঙ্গিত গীতাতেও এসেছে — মন্মনাভব, কিন্তু মানুষ তার প্রিয়তম (মাশুক) পরমাত্মাকে জানেই না, তাহলে ড্রিল কিভাবে করতে পারবে । ওরা তো একে অপরকে শরীরের ড্রিল শেখায় ।

ওম্ শান্তি । বাচ্চারাও বুঝতে পারে আর বাবাও বুঝতে পারেন যে, বাচ্চারা (যারা যোগ শেখায় ) এখানে কি শেখায় । তারা স্মরণের যাত্রার ড্রিল করাচ্ছে । মুখে কিছুই বলতে হবে না । কার স্মরণ ? পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবার । তাঁর স্মরণে থাকলে আমাদের যা বিকর্ম আছে, তা ভস্ম হয়ে যাবে, আর যে যতো স্মরণের ড্রিল করবে, সে ততই বিকর্মজিৎ হয়ে যাবে । এ হলো আত্মার ড্রিল, শরীরের নয় । ভারতে যে সব ড্রিল শেখানো হয়, সে সব হলো শরীরের, এ হলো আত্মিক ড্রিল । এই আত্মিক ড্রিল তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কেউই জানে না ।

আত্মিক ড্রিলের ইঙ্গিত অবশ্যই গীতাতে আছে । ভগবান উবাচঃ অথবা ভগবানের বাচ্চাদেরও বাণী আছে । তোমরা তো এখন ভগবান শিব বাবার বাচ্চা হয়ে গেছো, তাই না । বাচ্চারা নির্দেশ পেয়েছে – -মামেকম্ ( আমাকে ) স্মরণ করো । বাবাও ড্রিল শেখান । বাচ্চারাও এই ড্রিল শেখায় । পূর্ব কল্পেও বাবা এই বলেছিলেন যে, আমাকে স্মরণ করো । এতে প্রতি মুহূর্তে বলার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তবুও বলতে হয় । এখানে বসে কেউ যদি মিত্র – সম্বন্ধী, কাজ – কারবারের কথা মনে করে, তাহলে বিঘ্ন উৎপন্ন করে । বাবা বলেন – এখানে যেমন তোমরা স্মরণে বসে আছো, তেমনই চলতে – ফিরতে, কর্ম করার সময়ও স্মরণে থাকতে হবে । প্রিয়তমা প্রিয়তম যেমন একে অপরকে স্মরণ করে । তাদের ওই স্মরণ হলো শরীরের । তোমাদের হলো আত্মিক স্মরণ । ভক্তিমার্গেও আত্মা আশিক হয় এক পরমপিতা পরমাত্মা মাশুকের, কিন্তু না তারা মাশুককে জানে আর না আত্মাকে জানে । মাশুক অর্থাৎ প্রিয়তম বাবা এখন এসেছেন । ভক্তি মার্গ থেকে শুরু করে আত্মা আশিক হয়ে গেছে । এ হলো আত্মা আর পরমাত্মার কথা । বাবা বাচ্চাদের সম্মুখে বলেন — তোমরা প্রিযতমারা, আমি প্রিয়তমকে স্মরণ করো যে, বাবা এসো । তুমি এসে আমাদের দুঃখ থেকে উদ্ধার করো আর নিজের সঙ্গে শান্তিধামে নিয়ে চলো । তোমরা জানো যে, এখন এই দুঃখধাম, মৃত্যুলোকের বিনাশ হতে হবে । অমরলোক জিন্দাবাদ, মৃত্যুলোক মুর্দাবাদ । তোমরা এখন ব্রাহ্মণ বাচ্চা হয়েছো, তোমাদের মধ্যেও পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসার আছে । বাচ্চারা, তোমাদেরও সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা থাকা উচিত যে, আমরা এখন ২১ জন্মের জন্য নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হচ্ছি । কেউ মারা গেলে বলে – স্বর্গবাসী হয়েছে, কিন্তু কতো সময়ের জন্য স্বর্গবাসী হয়েছে, এ কেউই জানে না । তোমরা এখন স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো । একথা কে নিশ্চিত করান । তিনি হলেন গীতার ভগবান, কিন্তু তিনি তো এক এবং নিরাকার । মানুষ মনে করে — নিরাকার তো নিরাকারই । তিনি কিভাবে এখানে এসে শেখাবেন ? বাবাকে না জানার কারণে ড্রামা অনুসারে ভুল করে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে । কৃষ্ণ আর শিবের সম্বন্ধ এই সময় কাছাকাছি । শিব জয়ন্তী হয় সঙ্গমের সময় । এরপর আগামীতে হবে কৃষ্ণ জয়ন্তী । শিব জয়ন্তী হলো রাতে আর কৃষ্ণ জয়ন্তী হলো সকালে, তাকে প্রভাত বলা হবে । শিব রাত্রি যখন সম্পূর্ণ হয়, তখন হয় কৃষ্ণ জয়ন্তী । এই কথা কেবল বাচ্চারাই বুঝতে পারে । নিয়ম হলো – এখানে এই সভাতে কেউ যেন বহির্মুখী না হয় । তোমাদের বাবার স্মরণে থাকতে হবে । মানুষ ডাকতেও থাকে — হে পতিত পাবন, এসো, এসে আমাদের পবিত্র বানাও, কিন্তু ড্রামা অনুসারে যারা পাথর বুদ্ধির, তারা কিছুই বোঝে না । যদি জানতো, তাহলে বলে দিতো । ওরা এও জানে না যে, এখন এই কলিযুগের অন্তিম সময়, এরপর যখন বাবা আসেন, তখন আদি শুরু হয় । মানুষ তো রীতিমত ঘোর অন্ধকারে আছে । মানুষ মনে করে, কলিযুগের প্রায় এখনো ৪০ হাজার বছর বাকি আছে । অসীম জগতের পিতা বোঝান যে, জাগতিক পিতা কখনো পতিত – পাবন হতে পারেন না । বাপু নাম তো অনেকেরই রেখে দিয়েছে । বয়স্ক মানুষদের বাপু অথবা পিতাজী বলা হয় । এই আত্মিক পিতাশ্রী তো একজনই, যিনি পতিত পাবন এবং জ্ঞানের সাগর । বাচ্চাদের পবিত্র হওয়ার জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন । জলে স্নান করলে তো কেউ পবিত্র হবেই না । তোমরা জানো যে, শিব বাবা আমাদের সামনে এই তনে প্রত্যক্ষ । তিনি ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন । ওরা তো অর্জুনের প্রতি ভগবান উবাচঃ বলে দেয় । ব্রাহ্মণদের নাম – নিশানাও নেই । এমন মহিমা আছে যে — ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা আর বিষ্ণুর দ্বারা পালনা । স্থাপনা তো ব্রহ্মার দ্বারাই করবেন, বিষ্ণুর দ্বারা বা শঙ্করের দ্বারা তো নয় । বাচ্চারা, তোমরা এখন এই কথা বুঝতে পেরেছো । বাবাকেই এখানে আসতে হয়, কোনো আত্মাই তো আর ফিরে যেতে পারে না । যারাই আসে, তাদের সতো, রজো আর তমো অতিক্রম করতে হয় । কৃষ্ণও সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করে আর সম্পূর্ণ পাঁচ হাজার বছর অভিনয় করে । এখন আত্মা যদিও বা পেটে থাকে, তবুও তো জন্ম হলো, তাই না । কৃষ্ণের আত্মা যখন সত্যযুগে আসে, তখন গর্ভে প্রবেশের পর থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার বছরে তাঁকে ৮৪ জন্ম অভিনয় করতে হবে । যেমন শিব জয়ন্তী পালন করা হয়, তখন এনার মধ্যে তো বসে থকেন, তাই না । কৃষ্ণের আত্মা যখন গর্ভে প্রবেশ করেছিলো, যখন নড়াচড়া শুরু হয়েছিলো, সেই সময় থেকে শুরু করে ৫ হাজার বছরের হিসাব শুরু হয় । যদি কিছু তফাৎ হয়, তখন ৫ হাজার বছরের কম হয়ে যায় । এ খুবই সূক্ষ্ম বোঝার মতো কথা । বাচ্চারা জানে যে, আবার কৃষ্ণ হওয়ার জন্য কৃষ্ণের আত্মা আবারও এই জ্ঞান নিচ্ছেন । তোমরাও কংসপুরী থেকে কৃষ্ণপুরীতে যাও । এই কথা বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান ।

বাবা বলেন — মায়া খুবই জবরদস্ত । খুব ভালো ভালো মহারথীদেরও হারিয়ে দেয় । জ্ঞান নিতে নিতে কোথা থেকে গ্রহের দোষ বসে যায় । সকলেরই রাহুর গ্রহণ লেগে আছে । এখন তোমাদের উপর বৃহস্পতির দশা শুরু হয়েছে, আবার চলতে – চলতে কারোর উপর রাহুর গ্রহণ লেগে যায়, তখন বলা হয় মহান বোকা যদি এই দুনিয়ায় দেখতে হয়, তাহলে এখানে দেখো । তোমাদের আত্মা বলে – আমরা বাবার কাছ থেকে সদা সুখের উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি । বাবা, তোমার কাছ থেকে পূর্ব কল্পেও এমনই উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিলাম । আমরা আবার এখন বাবার কাছে এসেছি । বাবা বুঝিয়েছেন যে — বাইরে তোমাদের সেন্টারে অনেকেই আসবে বোঝার জন্য । এখানে এ হলো ইন্দ্রসভা । ইন্দ্র হলেন শিব বাবা, যিনি জ্ঞানের বর্ষণ করেন । তাই এমন সভাতে কোনো পতিত আসতে পারে না । সবুজ পরী, পোখরাজ পরী, যে ব্রহ্মাণীরা পাণ্ডা হয়ে আসে, তাদের বলবে, তোমাদের সঙ্গে কোনো বিকারী ব্যক্তিকে আনতে পারবে না । না হলে উভয়েই দায়ী হয়ে যায় । কোনো বিকারীকে সাথে নিয়ে এলে তার উপর অনেক দাগ লেগে যায় । তখন অনেক বেশী সাজা ভোগ করতে হয় পরীদের উপর অনেক দায়িত্ব । বলা হয় — মানস সরোবরে স্নান করলে পরী হয়ে যায় । বাস্তবে এ হলো জ্ঞান মানস সরোবর । বাবা মনুষ্য তনে এসে জ্ঞানের বর্ষণ করান । তিনি তো জ্ঞান সাগর, তাই না । তোমরা নদীও, সরোবরও। জ্ঞান সাগর এনার মধ্যে বসে বাচ্চাদের স্বর্গে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত বানান । স্বর্গে থাকে শ্রী লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্ব । এ হলো প্রবৃত্তি মার্গের এইম অবজেক্ট । তাঁরা বলেন যে, আমরা দুইজন জ্ঞান চিতায় বসে লক্ষ্মী – নারায়ণ হবো । উঁচু পদ তো পেতে হবে, তাই না । অর্ধেক কল্প ধরে আত্মা ছটফট করতে থাকে । বাবা এসো, এসে আমাদের রাজযোগ শিখিয়ে পবিত্র বানাও । বাবা ইঙ্গিত করেন । ভারতবাসী, যারা দেবী – দেবতাকে মানে, তারা অবশ্যই ৮৪ জন্ম ভোগ করেছে । যারা দেবী – দেবতার ভক্ত, তাদের চেষ্টা করে বোঝাও । বাবা কিভাবে এসে ৩ ধর্ম স্থাপন করেন । ব্রহ্মাণ, সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী – এই তিন ধর্ম বাবা স্থাপন করেন । অর্ধেক কল্প আর কোনো ধর্ম স্থাপন হয় না । এরপর বাকি অর্ধেক কল্পে কতো মঠ – পথ, আদি ধর্ম কতো অনেক স্থাপন হয় ।অন্যদিকে ভবিষ্যতের অর্ধেক কল্পের জন্য এক ধর্মের রাজধানী স্থাপন করেন, তাও আবার এই সঙ্গম যুগে। ওরা তো সব পুরানো দুনিয়াতেই নিজের ধর্ম স্থাপন করে । বাবা এখানে অর্ধেক কল্পের জন্য এক ধর্মের স্থাপনা করেন । অন্য কারোর মধ্যে এই শক্তি নেই । বাবা তোমাদের নিজের করে, সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী ঘরানা স্থাপন করে বাকি সবকিছুর বিনাশ করিয়ে দেন । সমস্ত আত্মা শান্তিতে চলে যায় । তোমরা সুখের দুনিয়াতে আসো, সেই সময় কোনো দুঃখ থাকে না যে গডকে স্মরণ করবে । এই জ্ঞানও তোমাদের বুদ্ধিতে আছে । তোমরা জানো যে — বাবা, যিনি জ্ঞানের সাগর, তিনিই এই জ্ঞান দান করছেন । সাগর তো একই । তোমরা নিজেদের সাগর বলবে না । তোমরা তাঁর সাহায্যকারী হও, তাই তোমাদের নাম হলো জ্ঞান গঙ্গা । বাকি ও হলো জলের নদী । বাবা বলেন — তোমরা, আমি সাগরের সন্তানরা কাম চিতায় বসে জ্বলে মরে গেছো অর্থাৎ পতিত হয়ে গেছো । এখন আবার আমাকে স্মরণ করলে তোমরা পবিত্র হতে পারবে । এই সৃষ্টির চক্র হলো পাঁচ হাজার বছরের । এও কেউ জানে না । সৃষ্টির চক্র চার ভাগে আছে । চার যুগ আছে, তাই না । এই সঙ্গম যুগ হলো কল্যাণকারী । কুম্ভ বলা হয় তো । কুম্ভ বলা হয় মেলাকে । নদী এসে সাগরে মিলিত হয় । আত্মা এসে পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হয়, একে কুম্ভ বলা হয় । আত্মা আর পরমাত্মার মেলাও তোমরাই দেখো । তোমরা নিজেদের মধ্যে মিলিত হও, সেমিনার করো, একে কুম্ভ বলা হবে না । সাগর তো নিজের জায়গায় বসে আছে । এই শরীরে আছে, তাই না । এনার তনেই আছে জ্ঞানের সাগর । বাকি তোমরা জ্ঞান গঙ্গারা নিজেদের মধ্যে মিলিত হও । নদী তো ছোটো – বড় হয়ই, তাই না । সেখানে মানুষ স্নান করতে যায় । গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী আদি তো আছেই । দিল্লী হলো যমুনার কণ্ঠে — স্বর্গ । কৃষ্ণপুরী তো থাকে । দিল্লীর জন্য বলা হয় — যখন লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্ব ছিলো, তখন এখানে পরীস্থান ছিলো । এমন নয় যে কৃষ্ণের রাজত্ব ছিলো । রাধা – কৃষ্ণ যখন যুগলে থাকবেন তখনই রাজত্ব করতে পারবেন । এখন তোমরা বাচ্চারা কতো খুশীতে আছো । মায়ার ঝড় ঝঞ্ঝা তো অনেকই আসবে । এ হলো অসীম জগতের বক্সিং । প্রত্যেকেরেই পাঁচ বিকারের সঙ্গে যুদ্ধ চলতে থাকে । আমরা চাই যে, বাবাকে নিরন্তর স্মরণ করি কিন্তু মায়া সেই যোগ ছিন্ন করে দেয় । এক খেলাও দেখায় যে – পরমাত্মা নিজের দিকে আকর্ষণ করে আর মায়া নিজের দিকে । এমন এক নাটক বানানো আছে । বায়োস্কোপের ফ্যাশন এখন এসেছে । তোমাদের ড্রামা অনুসারে বায়োস্কোপের উপরই বোঝানোর ছিলো । নাটকে তো পরিবর্তন হয় । এ তো অনাদি – অবিনাশী ড্রামা বানানো আছে । এই ড্রামা বানানো আছে — তাই অমুকে মারা গেলো, এতটাই তার পার্ট ছিলো, আমরা চিন্তা কেন করবো ? এ তো নাটক, তাই না । শরীর ত্যাগ করলে আসতে তো পারেই না । কান্নাকাটি করে কি লাভ ? এর নামই হলো দুঃখধাম । সত্যযুগে মোহজিৎ রাজারা থাকে । এর উপর কাহিনীও আছে । সত্যযুগে মোহের কোনো কথা থাকে না । এখানে তো মানুষের কতো মোহ । কারোর যদি কান্না না আসে, তাহলে নিজে কেঁদে তাকে কাঁদিয়ে দেবে । তাহলে মনে করবে যে এর দুঃখ হয়েছে । না হলে তো গ্লানি হয়ে যাবে । ভারতেই এইসব নিয়ম । ভারতেই সুখ আর ভারতেই খুব দুঃখ হয় । ভারতে দেবী – দেবতারা রাজ্য করতেন । বিদেশীরা ভারতের পুরানো চিত্র খুব খুশীর সঙ্গে কেনে । পুরানো জিনিসের অনেক মান । সবথেকে পুরানো শিব তো এখানেই এসেছিলেন, তাঁর কতো পূজা করে । এখন তো শিব বাবা এসেছেন, তোমরা আর পূজা করবে না । তিনি আগেও এসেছিলেন, তাই তাঁর পূজা করা হয় । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) ড্রামার জ্ঞানকে বুদ্ধিতে রেখে তোমাদের নিশ্চিন্ত থাকতে হবে । কোনো প্রকারের চিন্তা করবে না, কেননা জানো যে, এই ড্রামা বানানো । তোমাদের নির্মোহী হতে হবে ।

২ ) বাবার দ্বারা যখন বৃহস্পতির দশা শুরু হয়েছে, তখন একে রক্ষা করতে হবে, রাহুর গ্রহণ যেন লেগে না যায় । কারোর যদি গ্রহদোষ লাগে, তাহলে তাকে জ্ঞান দানের দ্বারা সমাপ্ত করতে হবে।

বরদানঃ-

অনুভবকে বাড়ানোর আধার হলো মনন শক্তি । যারা মনন করে, তারা শীঘ্রই মগ্ন হয়ে যায় । মগ্ন অবস্থায় যোগ লাগাতে হয় না, নিরন্তর তা লেগে থাকে, পরিশ্রম করতে হয় না । মগ্ন অর্থাৎ প্রেমের সাগরে ডুবে থাকা, এমন সমায়িত ভাব যে, কেউই পৃথক করতে পারে না । তাই পরিশ্রম মুক্ত হও, সাগরের সন্তান হলে অনুভবের পুষ্করিণীতে ডুব দিও না, বরং সাগরে সমাহিত হয়ে যাও, তখনই বলা হবে অনুভাবী মূর্তি ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top