15 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 14, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা — তোমরা বিকারকে দান করে দিলে তোমাদের উপর থেকে রাহু নেমে যাবে, বিকারকে দান করে গ্রহণ থেকে মুক্ত হও"

প্রশ্নঃ --

বৃক্ষপতি পিতা তাঁর বাচ্চাদের ভারতবর্ষের উপর বৃহস্পতির দশাকে অধিষ্ঠিত করার জন্য কোন্ স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেন ?

উত্তরঃ -:-

হে ভারতবাসী বাচ্চারা, তোমাদের আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম অতি শ্রেষ্ঠ ছিল, তোমরা ১৬ কলা সম্পূর্ণ, সর্বগুণসম্পন্ন ছিলে । তোমরা সাগরের সন্তান কাম চিতায় বসে কালো হয়ে গেছ, তোমাদের উপর গ্রহণ লেগেছে। এখন আমি পুনরায় তোমাদের সুন্দর করে তুলতে এসেছি,এই স্মৃতি দ্বারাই বৃহস্পতির দশা অধিষ্ঠিত হবে।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায় …

ওম্ শান্তি । কার মহিমা শুনছ ? অসীম জগতের পিতা যিনি উচ্চ থেকে উচ্চতর পরমপিতা পরমাত্মা তাঁর মহিমা। লৌকিক পিতার জন্য একথা বলা হয় না। বাচ্চারা জানে সমস্ত আত্মাদের পারলৌকিক পিতা – তিনি হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতর। তাঁর নাম শিব। নাম রূপ ছাড়া কোনো জিনিস হতে পারে না। এই সময় সবার উপরেই রাহুর গ্রহণ লেগেছে,সেইজন্যই একে আয়রন এজ ওয়ার্ল্ড বলা হয়। দশাও অনেক রকম হয়। বৃহস্পতির দশা, শুক্রের দশা….এখন তোমাদের উপর বৃহস্পতির দশা চলছে। যাঁর মহিমা শুনছ, উচ্চ থেকে উচ্চ ভগবান শিববাবা। ওঁনার প্রকৃত নাম শিব। এছাড়াও অনেকানেক নাম রাখা হয়েছে (ভক্তি মার্গে)। প্রকৃত নাম শিববাবা। বাবা বোঝান আমি চৈতন্য বীজ রূপ। সত্য চিৎ অর্থাৎ চৈতন্য বলা হয় আবার সুখের সাগর, আনন্দের সাগর, শান্তির সাগরও বলা হয়। সম্পূর্ণ মহিমা শুধুমাত্র তাঁর জন্যই। ভারতবাসীরা মহিমা করে কিন্তু কিছুই জানে না । তাদের বুদ্ধি সম্পূর্ণরূপে পাথর হয়ে গেছে। কে বানিয়েছে পাথরবুদ্ধি ? রাবণ । সত্যযুগে ভারতবাসীরা পারশবুদ্ধির ছিল, আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে এই ভারতবর্ষ পারশপুরি ছিল, যেখানে দেবী-দেবতারা বাস করত। ভারত অবিনাশী খন্ড গাওয়াও হয়ে থাকে। ভারতেই পারশবুদ্ধির দেবতারা ছিল, এই সময় পাথরবুদ্ধি পতিতদের বাস। কিভাবে পতিতে পরিণত হয়, একথাও বাবা বুঝিয়েছেন। দ্বাপর থেকে যখন কাম চিতায় বস তখনই কালো হয়ে যাও। কাম অগ্নিতে সব ভস্ম হয়ে গেছে (পবিত্রতা) । প্রধানত ভারতের জন্যই এ’কথা বলা হয়। ভারতে পারশবুদ্ধি দেবতাদের রাজ্য ছিল, তাকে বিষ্ণুপুরী, রামরাজ্যও বলা হয় । এ’সবই বাবা এসে বলেন। তিনি বলেন মিষ্টি-মিষ্টি প্রিয় বাচ্চারা তোমরা যখন সত্যযুগে ছিলে, সর্বগুণসম্পন্ন ছিলে। এই ছিল তোমাদের মহিমা। ওখানে বিকার নেই । দ্বাপর থেকে রাবণ এবং ৫ বিকারের রাজ্য শুরু হয়েছে। রামরাজ্য পরিবর্তন হয়ে রাবণ রাজ্যে পরিণত হয়। এখন গ্রহণ লেগেছে । ভারত সম্পূর্ণ রূপে কালো হয়ে গেছে। বৃহস্পতির দশা সর্বশ্রেষ্ঠ। ভারতে বৃহস্পতির দশা ছিল সত্যযুগে। তারপর ত্রেতায় শুক্রের দশা শুরু হলে দুই কলা কমে যায়। সেই যুগকে বলা হয় সিলভার এজ। তারপর দ্বাপর এবং কলিযুগ আসে। সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতেই শনির দশা শুরু হয়েছিল। এই সময় সবার উপরেই রাহুর দশা চলছে , সূর্য গ্রহণ লাগলে বলা হয় দান দিলে গ্রহণ ছেড়ে যাবে।

এখন অসীম জগতের পিতা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন — এ হলো রূহানী (আত্মিক ) জ্ঞান। এটা কোনো শাস্ত্রের জ্ঞান নয়। শাস্ত্রের জ্ঞানকে ভক্তি মার্গ বলা হয়। সত্যযুগ, ত্রেতায় ভক্তি হয়না। জ্ঞান আর ভক্তি তারপর আসে বৈরাগ্য অর্থাত্ এই পুরানো দুনিয়াকে ত্যাগ করতে হয়। এখন হলো শূদ্র বর্ণ। ওরা বিরাট রূপে চিত্র নির্মাণ করে ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য , শূদ্র দেখিয়ে থাকে। এ’হলো ভারতের কাহিনী। বিরাট রূপ তৈরি করে কিন্তু পাথরবুদ্ধি হওয়ার কারণে কিছুই জানে না। কেন হয় পাথরবুদ্ধি? কেননা পতিত হয়ে যায়। ভারতবাসীরাই পারশবুদ্ধির ছিল, সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিল। আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে ভারত স্বর্গ ছিল, তখন অন্য কোনো খন্ড ছিল না । বাবা সব বুঝিয়ে বলেন। রাজযোগ কে শেখান ? শিবাচার্য । তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর। কোনো মানুষকে জ্ঞানের সাগর, সবার পতিত-পাবন বলা যেতে পারে না । সবার মুক্তিদাতা একজনই বাবা। বাবা স্বয়ং আসেন — রাবণ থেকে মুক্ত করতে, তারপর স্বয়ং গাইড হয়ে নিয়ে যান। তাঁকে রূহানী পান্ডাও বলা হয়ে থাকে। বাবা বলেন — আমি সব আত্মাদের পান্ডা , সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। আমার মতো গাইড কেউ হতে পারে না। বলাও হয়ে থাকে গডফাদার ইজ লিবরেটর (মুক্তিদাতা), গাইড (পথ প্রদর্শক), ব্লিসফুল (সুখদাতা)… তিনি সবাইকে দয়া করেন। কেননা সাগরের সন্তানরা কাম চিতায় বসে পুড়ে মরেছে। এই কথা বিশেষভাবে ভারতের জন্য। বাবা বলেন — তোমরা ১৬ কলা সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলে। এখন কাম চিতায় বসে তোমরা কি হয়ে গেছ ! এখন আবারও বাবা এসেছেন। বৃক্ষপতি বাবা এসে মানুষ মাত্রেই সবার উপর বৃহস্পতির দশা শুরু করেন। বিশেষ করে ভারত। সাধারণ বিশ্বের উপর এই সময় রাহুর গ্রহণ চলছে। বাবা বলেন — আমি এসেই বিশেষ রূপে ভারত এবং অবশিষ্ট দুনিয়ার গতি-সদ্গতি করিয়ে থাকি।

তোমরা এখানে এসেছ পারশবুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ার জন্য। সর্বাধিক প্রিয় পিতা — সমস্ত প্রেমিদের একমাত্র প্রিয়জন। সমস্ত ধর্মের মানুষ লিঙ্গ অবশ্যই নির্মাণ করে কারণ তিনি সকলের পিতা। শিবের মন্দিরও ভারতে অনেক আছে, যাকে শিবালয় বলা হয়, থাকার জায়গা। সত্যযুগে দেবী-দেবতা ধর্মের মানুষ বাস করে, কিন্তু ঐ ধর্ম কবে ছিল, তাদের রাজ্য কখন ছিল… কিছুই জানা নেই। সত্যযুগের আয়ু দীর্ঘ বলে লিখিত আছে। বাবা বসে বোঝান তোমাদের উপর এখন বৃহস্পতির দশা বসেছে – ২১ জন্মের জন্য। বৃক্ষপতি হলেন জ্ঞানের সাগর পতিত-পাবন, যাঁকে সবাই আহ্বান করে থাকে। তুমিই মাতা-পিতা আমরা তোমার সন্তান, সবাই তাঁর মহিমা করে থাকে। প্রকৃতপক্ষেই সত্য এবং ত্রেতাযুগে অগাধ সুখ ছিল। যখন বাবাই হেভেনলি গড ফাদার, স্বর্গের রচয়িতা তখন তো আমাদেরও স্বর্গে থাকা উচিত। বাবা বোঝান তোমরাও স্বর্গবাসী ছিলে, এখন নরকবাসী হয়ে গেছ। ভারতেই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। যেমন খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা তাদের খ্রীস্টান ধর্ম নিয়েই চালিয়ে যেতে থাকে। বাবা বলেন — তোমরা দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরা নিজের ধর্মকে কিভাবে ভুলে গেলে ! তোমরা তো দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলে।

বাবা মনে করিয়ে দেন— তোমাদের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম, কর্ম ছিল । এখন তোমরা নীচ, পাপী, কাঙাল হয়ে পড়েছ, তোমরাই হলে দেবতাদের পূজারী, তবে নিজেদের হিন্দু কেন বল ? ভারতের আজ এই অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। যারা দেবতা ধর্মের ছিল তারাই আজ বিকারগ্রস্ত হওয়ার কারণে নিজেদের দেবতা বলতে পারে না। বাবা বলেন — এখন এই পতিত দুনিয়ার অন্তিম সময়, মহাভারতের লড়াই প্রস্তুতির পথে । ভগবানুবাচ — আমি তোমাদের সত্যযুগের জন্য রাজযোগ শেখাই। ভগবান তো একজনই, আমরা তাঁর সন্তানরা শালিগ্রাম । বাবা বলেন — তোমরা যারা পূজ্য ছিলে তারাই ভক্ত পূজারী হয়ে গেছ। এখন আবার ঈশ্বরীয় জ্ঞান ধারণ করছ পূজ্য দেবী-দেবতা হওয়ার জন্য। তারপর আবারও দ্বাপরে এসে পূজ্য থেকে পূজারি হবে। তোমরা সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকো। যারা ৮৪ জন্ম নিয়েছে তারাই এসে ব্রহ্মা কুমার কুমারী হবে। ব্রহ্মা দ্বারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা ‐- গাওয়াও হয়ে থাকে। প্রজাপিতা যখন নিশ্চয়ই অসংখ্য বাচ্চাও হবে। অবশ্যই এখানে হওয়া উচিত। কত অসংখ্য প্রজা। এই ব্রাহ্মণদেরই দেবতা হতে হবে। বাবা এসে শূদ্রদের পরিবর্তন করে ব্রাহ্মণ ধর্মের স্থাপনা করেন। এই সঙ্গম যুগেই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়ে থাকে। এটা হলো কল্যাণকারী সঙ্গম যুগ। এই লড়াইকেই কল্যাণকারী বলা হয়। এই বিনাশের পরেই স্বর্গের গেট খোলে। তোমরা এখানে এসেছ স্বর্গ বাসী হতে বা বিষ্ণুপুরীতে যেতে। বাচ্চারা তোমাদের উপর এখন অবিনাশী বৃহস্পতির দশা। একে ১৬ কলা সম্পূর্ণ বলা হয়। তারপর যখন দুই কলা কমে যায় তখন শুক্রের দশা শুরু হয়। সত্যযুগে বৃহস্পতির দশা থাকে তারপর ত্রেতায় শুক্রের দশা শুরু হয়। তারপর নিচে নামতে-নামতে যেমন অধঃপতন হয়, শুরু হয় মঙ্গলের, শনির, রাহুর দশা। জন্ম-জন্মান্তর ধরে অশুভ দশার ঘুর্ণন অব্যাহত রয়েছে। এখন বাবা দ্বারা বৃহস্পতির দশা শুরু হয়েছে। ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন। উনি তোমাদের বাবা, শিক্ষক এবং সদ্গুরু। বাকি সবকিছু মিথ্যে, কেউ সদ্গতি দিতে পারে না। একে বলে বিকারগ্রস্ত দুনিয়া। সত্যযুগ বিকারহীন দুনিয়া। এই বিকারগ্রস্ত দুনিয়াতে সবাই দুখী। লড়াই মারামারি ইত্যাদি কত কি হয়েই চলেছে, একে বলে বিনা কারণে রক্তপাত …. কোনো কারণ ছাড়াই কিই না কি করে চলেছে। একটা বোমা নিক্ষেপ করলেই সব শেষ হয়ে যাবে। এখন সেই সময় সঙ্গম যুগ। তোমরা দেবতাদের জন্য নতুন দুনিয়া প্রয়োজন। সুতরাং বাবা বলেন — মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা মন্মনাভব। এই কথা কোন বাবা বললেন? শিববাবা। তিনি হলেন নিরাকার। নিরাকার তো তোমরাও। কিন্তু তোমাদের পুনর্জন্মে আসতে হয়, আমাকে আসতে হয় না। এই সময় সবাই পতিত, একজনও পবিত্র নয়। পতিত হতেই হবে। সতো-রজো-তমোর মধ্য দিয়ে নামতে হবে। এই সময় সম্পূর্ণ কল্প বৃক্ষ জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। দুনিয়া সম্পূর্ণ রূপে পুরানো হয়ে গেছে। এখন পুনরায় তাকে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। পতিত দুনিয়াতে দেখো কত মানুষ। পবিত্র দুনিয়াতে অল্প সংখ্যক রাজত্ব করবে। সেখানে একটাই ধর্ম অন্য কোনও ধর্ম ছিল না। ভারতকেই হেভেন বলা হয়। গাওয়াও হয়ে থাকে — প্রত্যেকের মধ্যে একটি সূর্য, একটি চাঁদ….। সত্যযুগে ৯ লক্ষ থাকবে, পরে ধীরে-ধীরে সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। প্রথমে ফুলের গাছ খুব ছোট হয়, কাঁটার বন-জঙ্গল কত বড় হয়। দিল্লিতে মুঘল গার্ডেন দেখো কত সুন্দর। ওর থেকে বড় গার্ডেন নেই। ফরেস্ট অনেক বড় হয়। সত্যযুগের গার্ডেনও খুব ছোট। তারপর বৃদ্ধি পেতে-পেতে বড় হতে থাকে। এখন তো কাঁটার জঙ্গল হয়ে গেছে। রাবণ এলেই কাঁটার জঙ্গলে পরিণত হয়। এখন হলো কাঁটার জঙ্গল। নিজেদের মধ্যে লড়াই করে একে অপরকে মারতে থাকে। তাদের এতো রাগ , যে তাদের বানরের থেকেও নিকৃষ্ট বলে অভিহিত করা হয়। সুতরাং বাবা বলেন — আমার প্রিয় বাচ্চারা তোমাদের উপর এখন বৃক্ষপতির দশা। এখন দান (৫ বিকার) দিলে গ্রহণ ছেড়ে যাবে। সম্পূর্ণ নির্বিকারী এখানেই হতে হবে।

তারপর এই শরীর ত্যাগ করে শিবালয়ে যাবে। শিবালয়ে অতিব সুখ । সেখানে দেবী-দেবতাদের রাজ্য। সত্যযুগকেই বলা হয় শিবালয়, কলিযুগকে বলা হয় বেশ্যালয়। এই বেশ্যালয় রাবণ দ্বারা স্থাপন হয়েছে। এখন বাবা বলছেন — পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে, কিভাবে হবে? ত্রিবেণীতে, গঙ্গায় স্নান করলেই কি পবিত্র হতে পারবে ? এটা তো জন্ম-জন্মান্তর ধরে করে এসেছ। কোটি সংখ্যক মানুষ ওখানে স্নান করে। অসংখ্য নদী, পুকুর ইত্যাদি আছে, যেখানেই জল দেখে গিয়ে স্নান করে কেননা নিজেকে পতিত মনে করে। এখন পারশনাথ তোমাদের পারশবুদ্ধি করে তুলছেন। সুতরাং এমন পারশনাথ বাবাকে কত ভালোবাসার সাথে স্মরণ করা উচিত। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই কাঁটার দুনিয়া থেকে ফুলের বাগিচায় যাওয়ার জন্য যা কিছু কাঁটা ( বিকার) আছে তাকে বের করে দিতে হবে। পারশবুদ্ধি করে তুলছেন যিনি সেই বাবাকে অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতে হবে।

২ ) এই কল্যাণকারী সঙ্গম যুগে শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ, তারপর দেবতা হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। রাহুর গ্রহণ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বিকারকে দান করতে হবে ।

বরদানঃ-

সংগঠনে একজন কিছু বলল আর অপরজন সেটা মানল— একেই বলে প্রকৃত স্নেহের রেসপন্স । এমনই স্নেহী বাচ্চাদের দৃষ্টান্ত দেখে আরও অনেকেই সম্পর্কে আসার জন্য সাহস অর্জন করে। সংগঠনও সেবার সাধন হয়ে যায়। যেখানে মায়া দেখে যে এদের ইউনিটি মজবুত এবং ভালো, সেখানে প্রবেশাধিকারের সাহস দেখায় না। একমত আর একরসের সংস্কারই সত্যযুগে এক রাজ্যের স্থাপনা করে থাকে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top