14 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

14 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

13 July 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সমগ্র দুনিয়াকে শান্তি দেওয়া এটা এক বাবারই কাজ, এইজন্য বলা হয় যে - হে শান্তিদাতা, তাই প্রাইজও বাবারই প্রাপ্ত হওয়া উচিৎ”

প্রশ্নঃ --

কোন্ বাচ্চারা বাবাকে সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করতে পারে?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা বাবার সমান পবিত্র হয় – তারাই সম্পূর্ণরূপে বাবাকে অনুসরণ করতে পারে।
২- যারা পাক্কা প্রেমিকা হয় তারাই এই প্রেমিককে অনুসরণ করতে পারে। এইরকম প্রেমিকাদেরই আমি সাথে করে নিয়ে যাই, এইজন্য শাস্ত্রে দেখানো হয়েছে – গরুর লেজ ধরে পার হয়ে যায়। এখন এখানে গরুর বা লেজের তো কথাই নেই।

গান:-

তুমি প্রেমের সাগর..

ওম্ শান্তি । বাপ-দাদা দু’জনেই আছেন, তাই না ! এখন এটা তো বাচ্চারা জানে যে আত্মাদের বাবা হলেন শিব বাবা। এটাও তোমরা জানো যে, আমি হলাম পতিত-পাবন, আমি হলাম নিরাকার। তোমরাও হলে নিরাকার, শান্ত স্বরূপ। নিরাকার বাবাও হলেন শান্ত স্বরূপ, আত্মাও হলো শান্ত স্বরূপ। আত্মার স্বধর্মই হল শান্তি। তোমাদের বাসস্থান হলো শান্তিধাম। যখন যজ্ঞ ইত্যাদি রচনা হয়, তখন বলা হয় শান্তিদাতা কেননা শান্তির সাগর হলেন সেই পরমাত্মা। সমগ্র দুনিয়াকে শান্তি প্রদানকারী হলেন সেই বাবা। এই রকম অনেকেই আছে যাদেরকে শান্তি স্থাপনের জন্য প্রাইজ দেওয়া হয়। কখনো কাউকে প্রাইজ দেওয়া হলে তো বলবে এ’ শান্তি স্থাপন করার নিমিত্ত হয়েছিল। এক্ষেত্রে বড়-বড়দের নাম নেওয়া হয়। এখন শান্তি তো চাই সমগ্র দুনিয়াতে। না হলে তো অশান্ততে যারা থাকে তারা অন্যদেরকেও অশান্ত করবে। এটা হলই রাবণ রাজ্য। রাবণ হল শত্রু তাই না, রামকে শত্রু বলা হয়না। রামের কখনো কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় না। না ত্রেতার রামের, না পরমপিতা পরমাত্মার। রামরাজ্য তো সবাই চায় কিন্তু রাম রাজ্য কাকে বলা যায়, এটাও কেউই জানে না। কেবল বলে নতুন দুনিয়া হবে, নতুন দিল্লিতে রামরাজ্য হবে। নতুন দিল্লি বলে থাকে, নাম তো অনেক রাখা যায়। দিল্লি সকলের ক্যাপিটাল থাকে। দিল্লিই পরিস্থান ছিল। রাধাকৃষ্ণকেও সেখানেই দেখানো হয়। এঁনারা দুজনেই হলেন মুখ্য প্রিন্স প্রিন্সেস। কেবল দুজনই নয় অবশ্যই আরো অনেকেই হবে। ৮ রাজগদির কথা গাওয়া হয়ে থাকে, বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে হবে। সত্যযুগে অবশ্যই রাজত্ব আরো অনেকের থাকবে। এখানেও দেখো অনেক রাজত্ব আছে, বৃদ্ধি হতে হতে অনেক হয়ে যায়। অমুক-অমুক গ্রামের মহারাজা, ছোট-ছোট গ্রামও অনেক আছে, তাই না! সত্যযুগে এতগুলো থোড়াই ছিল। সেখানে তো লক্ষ্মী-নারায়ণের নাম প্রখ্যাত ছিল। আড়াই হাজার বছর তাদের রাজ্য চলেছে। মনুষ্য বলে দেয় লক্ষ বছর হয়েছে, বিবেচনা করার বিষয়। এটা হল আত্মাদের জন্য ভোজন। বাবা এই আধ্যাত্মিক ভোজন প্রদান করছেন – তোমাদের বুদ্ধিকে, আত্মাকে। তোমাদের বুদ্ধির তালা এখন খুলে গেছে। ঋষি-মুনি ইত্যাদি সবাই বলেছিলেন যে – আমরা রচয়িতা আর রচনাকে জানি না। এখন বাচ্চারা তোমরা এই রকম বলবে না। তোমরা তো রচয়িতা আর রচনার আদি মধ্য অন্তকে জেনে গেছো। তোমরা নিজেদের ৮৪ র চক্রকেও জেনে গেছ। আদিতে তোমরা দেবী-দেবতা ছিলে। পুনরায় মধ্যতে রাবণের প্রবেশতা হওয়ার কারণে বিকারী হয়ে গেছ। এখন হলো অন্ত। তোমরা জানো এখন পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হয়ে পুনরায় আদি থেকে শুরু হবে। আদিতে হবে রামরাজ্য। মধ্য থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয়। এখন রাবণ রাজ্য সম্পূর্ণ হয়ে পুনরায় রামরাজ্য শুরু হবে। নর থেকে নারায়ণ হতে হবে তাইনা। এই হল সত্যনারায়ণের কথা। তোমরা জানো যে সকল শাস্ত্রের শিরোমনি হলো শ্রীমৎ গীতা। শ্রীমৎ পাওয়া যায় – শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য। শ্রী বলা হয় শ্রেষ্ঠকে। বাচ্চারা জানে যে, এক গীতা শাস্ত্রই আছে যাকে দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র বলা যায়, যার দ্বারা দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়, সঙ্গমে। সত্যযুগে তো কোনো পতিত হয় না যে পবিত্র বানাবে। এখন তোমাদেরকে বাবা বোঝাচ্ছেন – গীতাকে পতিত-পাবনী বলা যায়না। গীতার দ্বারা পবিত্র হতে পারবে না। গীতার ভগবানকে পতিত-পাবন বলা হয়। এটা ভালোভাবে স্মরণ করো। গীতা হল আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র। গীতার সময়েই মহাভারী মহাভারত লড়াই লেগেছিল, যার দ্বারা অনেক ধর্ম বিনাশ হয়ে এক ধর্ম স্থাপন হয়েছিল। গীতার জন্য বলা হয় – দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র। ব্রাহ্মণদের শাস্ত্র বলা হয় না। ব্রাহ্মণের নাম গীতাতে নেই। পরমপিতা পরমাত্মাই এসে ব্রহ্মার দ্বারা এই সকল বেদ শাস্ত্র ইত্যাদির সার বলেন। এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ যে সত্য যুগে তো ব্রাহ্মণ হয় না। সেখানে হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ, দেবতারা, ব্রহ্মার পর হল বিষ্ণু। চিত্রতেও দেখানো হয়েছে – ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরীর স্থাপনা। ব্রহ্মা বিষ্ণু একত্রে থাকতে পারেন না। ব্রহ্মার দ্বারা দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হবে। এটা বিস্তারিত ভাবে বোঝার বিষয়। এখন বাচ্চারা তোমরা শিব বাবার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার নিচ্ছ। তোমরা হলে অধিকারী তাইনা! মুখ্য ধর্মশাস্ত্র হলো চারটি, শ্রীমদ্ভগবদগীতা হলো প্রথম নম্বর শাস্ত্র, যার দ্বারা নম্বর ওয়ান ধর্মের স্থাপনা হয়। তারপরে আসে ইসলামী, বৌদ্ধি। এক গীতাই আছে যেখানে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা লেখা হয়েছে। আর কোনও শাস্ত্রে শ্রীমৎ নেই। শ্রীমৎ ইসলামী বা শ্রীমৎ বৌদ্ধি শাস্ত্র বলা যায়না। শ্রীমদ্ভগবদ গীতা হলো এক। তার দ্বারা কোন্ ধর্ম স্থাপন করেছেন? আদি সনাতন ধর্মের স্থাপনা হয়েছে, আর এই স্থাপনা হয় অন্তিম সময়ে। এটা হল বোঝার বিষয়। এখন বাবা আমাদেরকে শিক্ষকের রূপে পড়াচ্ছেন – এটা বুদ্ধিতে থাকা চাই। বাবা আমাদের বাবা আবার টিচারও। বাবা পড়াশোনার দ্বারা সকলের সদ্গতি করেন তাই তিনি সদ্গুরুও হয়ে গেলেন। বাবাকে সবাই স্মরণ করে। এখন গীতাতে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। তিনি তো জ্ঞানের সাগর নন। তাকে জ্ঞানের সাগর বাবা এইরকম বানিয়েছেন, তাই তিনি হয়ে গেলেন টিচার। এখানে তোমরা নতুন কথা শুনছো। শাস্ত্র ইত্যাদি তো অনেক পড়েছো শুনেওছো। এখন তোমরা বাবার দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে শুনছো। আগে তোমরা শরীরধারী মানুষের দ্বারা শুনেছিলে। এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ যে – আমি আত্মা আসলে অশরীরী ছিলাম। পরবর্তীকালে পুনরায় শরীর ধারণ করেছি। বাবাও হলেন অশরীরী। শিবলিঙ্গ বানায় তাইনা। আত্মা শরীর দ্বারা তাঁকে পূজা করে। বলেও থাকে, হে পরমপিতা পরমাত্মা এসে আমাদের পতিতদেরকে পবিত্র বানাও। লিঙ্গের পূজা করতে থাকে। কিন্তু এটা থোড়াই বুঝতে পারে যে ইনিই হলেন পতিত-পাবন বাবা, যাকে আমরা আহ্বান করেছি। শিব হলেন ভগবান, ঈশ্বর। ব্যস, এইরকমই স্মরণ করতে থাকে। তাকে বাবা বলে তো বুদ্ধিতে আসে যে বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে। আমাদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় তাই আমরা পূজা করি। ভারতবাসীদের উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। কবে প্রাপ্ত হয়, এটাই ভুলে গেছে। এখন বাচ্চারা তোমরা বুঝতে পেরেছ, বাচ্চারা বলে আমরা বাবার কাছে এসেছি। শিব বাবা ব্রহ্মা শরীরে এসে বোঝাচ্ছেন। ত্রিমূর্তি নাম প্রখ্যাত আছে। ত্রিমূর্তি মার্গ নাম রেখে দিয়েছে। বাবার মহিমা অনেক আছে। গানেও শোনা হয় – তিনি হলেন প্রেমের সাগর…, সকলের সদ্গতি দাতা। সকলের সুখ শান্তিদাতা। সকলের দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করেন। সকলের প্রিয় তাইনা। তাঁর থেকে প্রিয় জিনিস আর কিছু হতেই পারেনা। যে বাবা স্বর্গের মালিক বানাচ্ছেন তিনি অবশ্যই সকলের প্রিয় হবেন তাই না। তিনি হলেন অসীম জগতের বাবা। বলেন যে, বাচ্চারা, আমার থেকে স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হয় তাই না। তোমরা আত্মারা হলে ভাই-ভাই। এখন বাবার দ্বারা শুনছো। সকল আত্মারা বাবাকে স্মরণ করে, বাবা এসে আমাদেরকে পবিত্র বানাও। এখন আত্মা বলে যে, বাবা এসে গেছেন পবিত্র বানাতে। বলেন যে বাচ্চারা, ৫ হাজার বছর পূর্বেও তোমাদেরকে পবিত্র বানাতে এসেছিলাম। এখন এই বাবাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমাদের সকল দুঃখ দূর হয়ে যাবে। বলেও থাকে যে – হে পতিত-পাবন এসো অথবা তালি বাজাতে থাকে, চিৎকার করে কাঁদতে থাকে – হে পতিত-পাবন সীতারাম… নিজেকে পতিত মনে করে তাই না। এটা হলই নরক। একে রৌরব নরক বলা যায়। গরুড় পুরাণে তো অনেক ভয়ঙ্কর কথা লিখে দিয়েছে যে এসব করলে এটা হবে, এটা হবে…পুনরায় বলে দেয় – গরুর লেজ ধরলে স্বর্গে চলে যাবে। এইরকম কিছু লেখা আছে। এখন জানোয়ারের তো ব্যাপারই নেই। তোমরা হলে গোমাতা, তাই না। তোমাদের লেজ বা তোমাদের পিঠ যতক্ষণ কেউ না ধরে ততক্ষণ রাস্তা প্রাপ্ত হতে পারেনা। লেজ তো নেই। বলেও থাকে তোমার লেজ ধরে পার হয়ে যাবো। এখন এখানে লেজ তো ধরতে হয় না, কিন্তু ফলো করতে হয়। সন্ন্যাসীদের অনুসরণকারী তো অনেক আছে কিন্তু অনুসরণ করা অর্থাৎ পবিত্র হওয়া। তোমরাই তো হলে সত্যিকারের অনুসরণকারী। শিব বাবা বলেন যে আমি এসেছি তোমাদের সবাইকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ ভস্মীভূত হয়ে যাবে। পবিত্র না হলে অনুসরণ করতে পারবে না। শিব বাবাকে সম্পূর্ণরূপে ফলো করতে হবে। তোমরা এখানে বসে আছো অনুসরণ করার জন্য। ভক্তি মার্গেও আমাকে স্মরণ করেছিলে। তোমরা জানো আত্মারাই হলো প্রেমিকা, পরমাত্মা হলেন প্রেমিক। আত্মারা তাঁকে স্মরণ করে আর তিনি এসেছেন নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন যে আমাকে অনুসরণ করো তাহলে তোমাদেরকে সাথে নিয়ে যাব। কিভাবে অনুসরণ করবে সেটাও বুঝিয়ে দেন – আমি হলাম পবিত্র, তোমরা হলে পতিত। তাই অবশ্যই পবিত্র হতে হবে, অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। বিকারী তো অনুসরণ করতে পারেনা। অনুসরণ করার জন্য আমার সমান পবিত্র হও। আমি কি পতিতদেরকে নিজের সাথে শান্তিধামে নিয়ে যাব। এত সব মানুষ ভক্তি, তপস্যা, দান, পূন্য ইত্যাদি করে এসেছে – মুক্তি পাওয়ার জন্য কেননা এখানে দুঃখ আছে আর তারা চায় – আমরা নিজের বাড়ি ফিরে যাব। বাবা বলেন যে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। আমি হলাম পবিত্র, তবেই তো তোমাদেরকে পবিত্র বানাচ্ছি। আমি আসিও ব্রহ্মার শরীরে। আমি হলাম রচয়িতা, আমি এই ব্রহ্মার শরীরে আসি। দেখানো হয় যে ব্রহ্মার দ্বারা বাবা দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন। তোমরা হলে বি.কে। এখন জানো যে শিব বাবাকে অনুসরণ করতে হবে। বাবা বলেন যে – আমাকে স্মরণ করো তাহলে আমি প্রতিজ্ঞা করছি – পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে যাব। আর অন্য কোনও উপায় নেই। বলে যে – পতিত-পাবন বা দৃষ্টি উপরে যায় কিংবা জলের দিকে তাকায়। গঙ্গা তো পতিত-পাবনী নয়। এ’ তো সাগর থেকে নির্গত হওয়া নদী। এখন লেজ তো তোমাদের ধরতে হবে।

বাবা বলেন যে – তোমাদেরকে পবিত্র হতেই হবে, আমাকে ফলো করতে হবে, তবেই সাথে যেতে পারবে। বাবা বলেন যে – তোমরা আমার সাথে ছিলে, এখন ৮৪ র চক্র লাগিয়ে পতিত হয়ে গেছ। এখন পুনরায় আমাকে স্মরণ করো তাহলে পবিত্র হবে। সন্ন্যাসীও গৃহস্থীকে বলে যে ফলো করতে হলে তো ঘর-বাড়ি ত্যাগ করো। বাবা বলেন যে – আমি পরমধামে থাকি, তোমরাও যাবে, নাকি এখানেই বিষয়ে সাগরে থাকতে ভালো লাগছে। তোমরা তো ডেকে এসেছ – হে পতিত-পাবন এসো। এখন বাবা এসেছেন সাথে নিয়ে যেতে। প্রতি কল্পে এসে তোমাদেরকে সাথে করে নিয়ে যাই। পুনরায় সত্যযুগে তোমরা অনেক সুখি থাকবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বর্গের মালিক ছিলেন তাই না। এঁনাদেরকে এতো সুখ কে দিয়েছেন? হেভেনলি গডফাদার। বাবা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন তোমরা আমার জয়ন্তী পালন করে থাকো। পরমপিতা পরমাত্মার জয়ন্তী সকল ভারতবাসীরাই পালন করে। এটাই হলো আমার জন্মভূমি। খ্রিস্টানরা থোড়াই পালন করবে। তারা তো যীশু খ্রীষ্টকে মান্যতা দেয়। শিব জয়ন্তী ভারতবাসীরাই পালন করে। এটা হল সকলের পতিত-পাবন বাবার জন্মভূমি। বাবা সবাইকে সুখ প্রদান করেন। সকলকে মুক্তি দেন। তাই ভারত কতইনা মহান।

বাবা জানেন যে ড্রামা অনুসারে যখন আমার বাচ্চারা অনেক দুঃখী হয়ে যায়, তখন আমি আসি – উত্তরাধিকার প্রদান করতে। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর… বাচ্চাদেরকে উত্তরাধিকার প্রদান করছেন। তিনি বলেন যে – আমাকে অনুসরণ করো। এটা জানো যে আমি আত্মা বিকারী হয়ে গেছি। এই জন্য শরীরও বিকারী হয়ে গেছে। সত্য যুগে আত্মা পবিত্র থাকে তাই শরীরও পবিত্র প্রাপ্ত হয়। এখন বাবা বলছেন যে বাচ্চারা – পবিত্র হও। স্মরণের দ্বারাই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে পারবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য “আমি আত্মা হলাম ভাই-ভাই”- এটা পাকা করতে হবে। অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে থাকতে হবে। যেরকম বাবা হলেন প্রিয়’র থেকেও প্রিয়তম, সেই রকমই প্রিয় হতে হবে।

২ ) বাবার সমান পবিত্র হয়ে বাবাকে সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করতে হবে। বাবার সাথে পুনরায় বাড়িতে শান্তিধামে যাওয়ার জন্য পবিত্র অবশ্যই হতে হবে।

বরদানঃ-

যেকোনও বিষয়ই সামনে আসুক, তা কেবল বাবার উপর ছেড়ে দাও। হৃদয় থেকে বলো – “বাবা”। তাহলে সব কথার অবসান হয়ে যাবে। এই বাবা শব্দ হৃদয় থেকে বলাই হল জাদু। মায়া সবার প্রথমে বাবাকেই ভুলিয়ে দেয়, সেইজন্য কেবলমাত্র এই কথার উপর একাগ্র হও তাহলে কমল পুষ্পের মতো নিজেকে অনুভব করবে। স্মরণের আধারে মায়ার সমস্যাগুলির নোংরা থেকে সর্বদা উপরে থাকো। কখনো কোনও কথাতে দোলাচলে আসবে না। সর্বদা একটাই মুড হবে চিয়ারফুল।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top