02 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 1, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এখনও পর্যন্ত তোমরা নানা মত অনুযায়ী চলেছ, এখন তোমাদের ডাইরেক্ট জ্ঞান প্রদান করে নিজ সম নলেজফুল বানাচ্ছেন”

প্রশ্নঃ --

ভালো পুরুষার্থী বাচ্চাদের নিদর্শন এবং তাদের স্থিতির গায়ন কি রয়েছে ?

উত্তরঃ -:-

ভালো পুরুষার্থী বাচ্চারা – মাদার, ফাদারকে পুরোপুরি ফলো করবে। নিজের জীবনের উপরে দয়ালু হবে। সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবে। অল্প সময়ের জন্য হলেও বাবার স্মরণে নিশ্চয়ই বসবে। তাদের স্থিতির গায়ন হল – অচল, অটল, স্থির। তাদেরকে মহাবীর বলা হয়।

গান:-

ভোলানাথের চেয়ে অনুপম আর কেউ নেই…

ওম্ শান্তি ।

ভক্তিমার্গে দুনিয়া শুধুমাত্র গান করে। তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছো – ভক্তিমার্গে আমরাও গান গেয়েছি। এখন সেই ভোলানাথ সম্মুখে আছেন, ভোলানাথ শব্দটি হল ভক্তিমার্গের। জ্ঞানমার্গের শব্দ হল শিববাবা। তোমরা বুঝেছো অনাদি পূর্ব রচিত ড্রামা- প্ল্যান অনুসারে এখন সঙ্গম যুগে বাবাকে এসে আমাদের দিয়ে এই পুরুষার্থ করাতে ই হয়। কল্প-কল্প পুরুষার্থ করিয়েছেন। কতখানি সময় তোমরা বাচ্চারা ভক্তি করেছো, এই কথাও প্রমাণ করে বলেন। যারা প্রথমে ভক্তি করা শুরু করেছে তারাই এসে জ্ঞান অর্জন করবে এবং পরে সূর্য্যবংশী হবে। সত্যযুগে কেবল এক লক্ষ্মী- নারায়ণ তো আসেন না। তাদের বংশও তো আছে তাইনা। তার নাম হল দৈব বর্ণ। ভারতে দৈব বর্ণ ছিল। এখন হয়েছে অসুর বর্ণ। এই হল সঙ্গম। এখন অসুর বর্ণ থেকে দৈব বর্ণে যেতে হবে। যথাযথভাবে এই হল সেই মহাভারতের যুদ্ধ যার গায়ন আছে। শুধু নাম শিবের পরিবর্তে কৃষ্ণের দেওয়া হয়েছে। এক গীতা খন্ডন হওয়াতে সব শাস্ত্র গুলি খন্ডন হয়ে যায়। মুখ্য কথা হল গীতার। গীতা পাঠশালা বা গীতা ভবন অনেক আছে ! গীতা জ্ঞান শোনার পাঠশালা। যিনি শোনান তিনি নেই। যা কিছু অতীতে হয়ে গেছে সেসবের গায়ন হয়। বাচ্চাদের তো বাবা রোজ ভালোবেসে বোঝান। বাচ্চারা জানে – বাবা হলেন ভালোবাসার সাগর। সবাইকে ভালোবেসে শেখান। বাবা কখনও রাগারাগি করেন না, সর্বদা ভালোবেসে বোঝান। বাচ্চারা, তোমরা সতোপ্রধান ছিলে তারপরে পুনর্জন্ম নিয়েছো। তোমরা ভারতবাসীরা ই হলে আসলে দেবী-দেবতা ধর্মের। এই কথাও বাবা বলে দেন। সর্বপ্রথমে স্বর্গের অধিকার (বর্সা) নিতে কে আসবে ? যারা কল্প পূর্বেও নিয়েছে, তারা এসেই বলবে বাবা তুমি ছাড়া আমাদের সহযোগী আর কেউ নয়। বাবা ক্ষমাও তখন করবেন যখন সঙ্গমযুগ হবে। এই কথা তো বাচ্চারা জানে যে রাবণ রাজ্য ও রাম রাজ্য এখানেই হয়। রাবণরাজ্য হয় তাই তো রামরাজ্য চায়। তোমরা যখন শিববাবা বলো তখন বুদ্ধি নিরাকারের দিকে যায়। নিরাকার স্মরণে আসে। আত্মাই বাবাকে ডাকে। এমন নয় পরমাত্মা বসে শোনেন। বাবা বোঝান ড্রামা প্ল্যান অনুসারে পতিতদের পবিত্র করতে আমি শরীরের আধার নিয়ে আসি। এমন নয় তোমাদের ডাক শুনে আসি। ভক্তি যখন পূর্ণ হয় তখন আমাকে আসতেই হয়। এইসব কথা বুঝতে হবে। সেই সময়টি আসে যখন বাচ্চারা ডাকে। এই কথা তো কোথাও লেখা নেই উনি কখন আসবেন ? তারা কল্পের আয়ু ভুল লিখে দিয়েছে। এই চিত্র ঘরে ঘরে থাকা উচিত। যাতে রোজ দেখবে আর স্মরণ করবে যে ইনি পিতা, উনি দাদা, এই হল বর্সা। বাবা বলেন সতোপ্রধান হওয়ার জন্য আমাকে স্মরণ করো তাহলে খাদ পরিষ্কার হবে। এই যুক্তি একমাত্র বাবা বুঝিয়ে দেন। এই বাবাও বলেন (ব্রহ্মাবাবা) আমিও পুরুষার্থ করি। বাচ্চারা একে অপরকে সর্তক করে উন্নতি প্রাপ্ত করতে হবে। এই চিত্রগুলি বোঝানো খুব সহজ। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করছেন। সামনে আছে মহাভারী মহাভারতের যুদ্ধ । এত গুলি ধর্ম বিনাশ হবে, তার জন্য যুদ্ধ অবশ্যই চাই। এইসব কথা বাচ্চাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। যথাযথভাবে এখন হল কলিযুগ ঘোর অন্ধকার। অসংখ্য মানুষ আছে, তাই বিনাশ অবশ্যই হবে। সত্যযুগে একটি ধর্ম থাকবে। নিশ্চয়ই ৮৪ জন্মের পরিক্রমা তারাই করেছে। এই কথা তো সহজ। যদিও এতগুলি ধর্মের বিনাশ তো অবশ্যই হবে। তখন এক ধর্মের স্থাপনা যথাযথভাবে বর্তমানে হচ্ছে। সকলের সদগতি দাতা হলেন বাবা। বাবার কাছেই বাচ্চারা বর্সা অর্থাৎ স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করছে। বাচ্চারা জানে – আমরা যে এই পড়াশোনা করছি সেসব ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য পড়ছি। ভগবানুবাচ – আমি তোমাদের পড়িয়ে ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের মালিক বানাই। সূর্য্যবংশী, চন্দ্রবংশী কুলের স্থাপনা নিশ্চিতরূপে হচ্ছে। যে যতখানি পুরুষার্থ করবে, ততখানি উঁচু পদের অধিকারী হবে, অতএব শিববাবা বলেন মাদার-ফাদারকে ফলো করো। এনাদেরকে সূক্ষ্মবতন, বৈকুণ্ঠেও দেখেছো। নিজেদেরও দেখেছো, আমরাও মহারাজা, মহারানী পদে অধিষ্ঠিত হই। বৈকুণ্ঠেরও সাক্ষাৎকার হয়। বিশ্বাস করে সঠিকভাবে ভারত বৈকুণ্ঠ ছিল, শ্রীকৃষ্ণপুরী ছিল। আজ হয়েছে কংসপুরী, কাল হবে কৃষ্ণপুরী। রাত পরিবর্তিত হয়ে দিন হবে। এই হল অর্ধকল্পের দিন এবং অর্ধকল্পের অসীমের রাত। অন্ধকারে হোঁচট খেয়ে থাকে। ব্রহ্মার রাত অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের রাত। পুনরায় তোমরা ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হও। সত্যযুগে ব্রাহ্মণ থাকে না, দেবতা থাকে।

এই কথাও বাচ্চারা জানে ভারত পবিত্র রাজস্থান ছিল এখন অপবিত্র রাজস্থান হয়েছে। ভারত সর্বদা রাজস্থান ছিল। রাজত্ব চলেছে নিরন্তর অন্য ধর্মের প্রথম থেকে রাজত্ব থাকে না। ভগবান এসে রাজত্ব স্থাপন করেন। ভগবান এসে রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করেন। তিনি হলেন নিরাকার জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর…. তোমরা জানো বাবার কাছে বর্সা প্রাপ্ত হচ্ছে। নিশ্চয়ই আমাদের পুরুষার্থে দেরী হচ্ছে। যে যতখানি পুরুষার্থ করবে, যে যত পথ বলে দেবে। বাবা বলেন – আমি পিতা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে, কতখানি সহজ কথা। লৌকিক মাতা পিতা যদি জ্ঞান অর্জন করেছে তাহলে সন্তানদেরও নিজ সম তৈরি করা উচিত। মা বাবা প্রকৃত সত্য উপার্জন করে তো সন্তানদের দ্বারাও সত্য উপার্জন করানো উচিত। কোনো কোনো বাচ্চারা ভালো হয়। তারা বলে আমরা রূহানী পড়াশোনা করে ঘরে ঘরে এই সংবাদ পরিবেশন করবো। বাবাও বলেন যে পয়গম্বর ও ম্যাসেঞ্জার হলাম আমি, তোমাদেরকে ম্যাসেজ দিয়ে থাকি যে ঘরে (পরম ধাম) চলো, অন্য ধর্মস্থাপকরা তো শুধুমাত্র এসে নিজের নিজের ধর্ম স্থাপন করে। আমি সবাইকে ম্যাসেজ দিয়ে থাকি এখন ঘরে ফিরতে হবে। এই দুনিয়াটি এখন আর থাকার মতন নেই। আমাকে স্মরণ করো তাহলে পবিত্র হয়ে যাবে। তোমরা পবিত্র ছিলে পরে রাবণ পতিত বানিয়েছে। আমি আবার এসেছি পবিত্র করতে। কিছু সময়ের মধ্যে এই বোমা ইত্যাদি চলবে তখন বুঝবে এই সেই মহাভারতের যুদ্ধ। সুতরাং নিশ্চয়ই ভগবানও থাকবেন। কিন্তু তারা জানে গীতার ভগবান তো কৃষ্ণ। কিরূপ বিভ্রান্তি। বিভ্রান্ত না হলে ভগবানের আসার প্রয়োজন নেই। ভক্তিমার্গকে ভুল-ভুলাইয়ার খেলা বলা হয়। এখন বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করলে সব ভুল শেষ হয়ে যাবে। আগে নিজেকে দেহ ভেবেছিলে। এখন নিজেকে দেহী ভাবো। এই সতর্ক বাণী বাবা প্রদান করেন যে বাচ্চারা দেহী-অভিমানী হও। এখানে তোমরা বাবার সম্মুখে বসে আছো। সেন্টারে কুমারীরা বসে বোঝাবে যে শিববাবা এমন বলেন। এখানে তো ডাইরেক্ট বাবা বলেন আমি আত্মাদের সঙ্গে বসে কথা বলি। তোমরা বাচ্চারা জানো বাবা ব্রহ্মা দ্বারা আমাদের বোঝাচ্ছেন। এই হল খুব কল্যাণকারী মেলা। বাবা বলেন নিরন্তর আমাকে স্মরণ করো। বাবার কাছে আমাদের স্বর্গের অধিকার নিতে হবে। বাবা ও স্বর্গকে স্মরণ করতে হবে। কোনো বিকর্ম করবে না। যদি বিকর্ম কর তাহলে এক শত গুণ দন্ড হয়ে যাবে। বিকর্ম করায় মায়া, তাকেই জয় করতে হবে তাই হনুমান মহাবীরের কাহিনী আছে। তোমরা হলে হনুমান মহাবীর তাইনা। আমরা তো বাবার আপন হয়েছি। মায়ার কাছে পরাজিত হবো না। অতএব বাবাকে স্মরণ করতে করতে সতোপ্রধান, বিকর্মজিত হয়ে যাবো। না হলে নিজেরই পদ ভ্রষ্ট করবো। পুরুষার্থী বাচ্চারা নিজের জীবনের প্রতি দয়ালু হয়। যা কিছু হয়ে যাক, স্মরণের যাত্রায় থাকবে, অচল-অটল-স্থির থাকবে। বিনাশ তো হবেই। সকলের কাকা, মামা, গুরু, গোঁসাই ইত্যাদি সবাই শেষ হয়ে যায়। সদগুরু বলেন আমি তোমাদের সঙ্গে নিয়ে যাই। মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে আছে, তোমরা জানো শিববাবা আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। কথায় বলে না – কাল গ্রাস করেছে। কিন্তু আমি তো তোমাদেরকে শান্তিধাম নিয়ে যাই। আত্মা শরীর ত্যাগ করে চলে যায়। কাল নিয়ে যায় না, আত্মাকে বেরোতে হয়। এখন তো আমি নিজেই এসেছি – তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাবা কি মারতে এসেছেন ? না। তোমাদেরকে পুরানো শরীর ত্যাগ করতে হবে। আত্মা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হবে। এখন ৫ তত্ত্বও হল তমোপ্রধান, তাই শরীরও এমন হয়েছে। সেখানে সতোপ্রধান তত্ত্ব দ্বারা তোমাদের শরীর গৌর বর্ণের হবে। বাবা বলেন আমি পুনরায় সত্য যুগী আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করি। তোমরাই ৮৪ জন্ম ভোগ করেছ। তোমরা নিজের ধর্মকে ভুলে গেছো অন্যরা কেউ নিজের ধর্ম ভুলে যায় নি। তোমরা এখন জানো আমরা আসলে দেবী-দেবতা ধর্মের হয়েও এত উঁচু থেকে এমন নীচে এসেছি কীভাবে। বাবা বসে কল্প-কল্প তোমাদেরকে বোঝান। তোমরা আবার অন্যদের বোঝাতে থাকবে। এখন ৮৪-র চক্র পূর্ণ হয়েছে, বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। স্বর্গের মালিক হওয়ার জন্য নিজেকে যোগ্য বানাতে হবে। তা হবে স্মরণের দ্বারা। সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করো। বাবা কতখানি আশ্চর্যের কথা – কীভাবে আসেন। গীতায় কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে কিন্তু এই কথা তো এখন জানো – বাবা সম্মুখে কথা বলছেন। ওইসব হল ভক্তিমার্গের নানা কথা। এখন তো আমরা আত্মা আমাদের পিতা এসেছেন মিলিত হতে, আত্মা নিজের পিতাকে পেয়েছে তাই ভালোবাসার টানে এসে মিলিত হয়। বাচ্চারা এসে বাবার সঙ্গে খুব ভালোবেসে দেখা করে। এখানে তো সেই নিরাকার পিতা গুপ্ত রূপে আছেন তাই বাবা সর্বদা বলেন ব্রহ্মাবাবার সঙ্গে মিলিত হলে শিববাবাকে স্মরণ করো। মানুষ তো কিছুই জানেনা। তোমাদের মধ্যেও যারা জানে, আমার আপন হয়ে তারাও ভুলে যায় দেহ-অভিমানের বশে এসে যায়। প্রতিজ্ঞাও করে – বাবা আমি তোমার হয়েছি। মেল বা ফিমেল , দুইজনের ই আত্মা কথা বলে। মেল শরীরে বলে তোমার আপন হয়েছি। ফিমেল বলবে – আমি তোমার আপন হয়েছি। বাবা আমরা তোমার কাছে সম্পূর্ণ বর্সা অর্থাৎ স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করবো। সম্পূর্ণ স্মরণ করবো। স্মরণ ব্যতীত আত্মার কাট মিটবে না, তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে পারবে না। সত্যযুগে তোমাদের অখন্ড, অটল, সুখ-শান্তি, সম্পত্তির ২১ জন্মের রাজ্য প্রাপ্ত হয়। স্বর্গের রচয়িতা পিতা নিশ্চয়ই নিজের বর্সা অর্থাৎ স্বর্গের অধিকার প্রদান করবেন। গানও করে পার ব্রহ্ম নিবাসী পরমপিতা পরমাত্মার প্রতি দায়বদ্ধ আমরা। তিনি তো কেবল একবারই আসেন। এই কথাটিও বুঝতে হবে। অনেকে বুঝতে পারে না, ভবিষ্যতে চোখ খুলবে। একটু বড় মাপের যুদ্ধ লাগলে। বাস্তবে এই যজ্ঞটি রচনা করা হয়েছে। যুদ্ধও আছে। এই যজ্ঞের কথা কেউ জানে না। রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা হয়েছিল যাতে বিনাশ হয়। তারা যজ্ঞ করে যাতে বিনাশ না হয়, শান্তি স্থাপন হয়। তবুও এই যজ্ঞের রচনা হবে। তারা এই কথা জানেনা যে বিনাশ হবে তারপরে কি হবে ? এখন তোমরা বাচ্চারা সম্পূর্ণ বিশ্বের আদি-মধ্য-অন্তের কথা জানো। সবার অসীমের জন্ম কাহিনী জানো। এমন কেউ নেই, যে বলবে পরম পিতা পরমাত্মার জীবন কাহিনী বলি। পরমাত্মাকে সবাই স্মরণ করে, আহবান করে। ক্ষণে ক্ষণে স্মরণ করে। তারা বলে – ভগবান আমাদের সন্তান দিয়েছেন, অনেক কিছু করেন । অনেকে ভাবে – যাঁর বস্তু ছিল, তিনি ফেরৎ নিয়েছেন। এমন অনেক বোধযুক্ত মানুষ হয়। বিভিন্ন রকমের মানুষ আছে। এখন তোমরা বাবাকে পেয়েছো তাই বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। স্মরণের দ্বারা উপার্জন জমা হয়। তোমরা বিষ্ণুপুরীর মালিক হবে। তোমরা সত্যযুগ থেকে কলিযুগের শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ চক্রের বিষয়ে জানো। তোমাদের বুদ্ধিতে হুবহু এমন আছে, যেমন বাবার বুদ্ধিতে আছে তাই তাঁকে জ্ঞানের সাগর, নলেজফুল বলা হয়। এখন তোমরা বাবার কাছে বর্সা (স্বর্গ) প্রাপ্ত করছো। বাচ্চারা, তোমাদের অচল, স্থির থাকা উচিত। এমন নয় যে মায়া ক্ষণে ক্ষণে তোমাদের অস্থির করবে। লজ্জাবতী লতার মতো (স্পর্শ কাতর) হওয়া উচিত নয়। বাবাকে স্মরণ না করলে নিস্তেজ হয়। বাবাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ তোমরা করছো। সময় কাছে আসবে, তখন তোমরা দেখবে আমাদের পুরুষার্থ এবারে পূর্ণ হয়েছে। অন্তিম সময় এসে গেছে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) রূহানী পড়াশোনা বা আত্মিক পড়া করে প্রকৃত সত্য উপার্জন করতে হবে এবং করাতে হবে। ঘরে অর্থাৎ পরমধামে ফেরার ম্যাসেজ সবাইকে দিতে হবে। এখন আর কোনো বিকর্ম করবে না।

২ ) সকালে উঠে ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। ছোট ছোট কথায় স্পর্শকাতর হবে না। অবস্থাকে অচল – অটল বানাতে হবে।

বরদানঃ-

যে সঙ্কল্প করবে, কথা বলবে, কর্ম করবে, কোনো সম্বন্ধ সম্পর্কে আসবে তখন শুধুমাত্র এইটুকু চেকিং করো তা যেন বাবার সমান হয়! প্রথমে মিলিয়ে নেবে তারপরে প্রাক্টিক্যালে করবে। যেমন অনেক আত্মার স্থূল ভাবে এই সংস্কার থাকে, প্রথমে চেক করে তারপরে স্বীকার করে। তেমনই তোমরা পবিত্র আত্মাদের চেকিং এর মেশিনারি তীব্র করো। নিজস্ব সংস্কার বানিয়ে নাও – এইটাই হল বিশাল রূপে মহান হওয়া।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top