1 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 30, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বেগার থেকে প্রিন্স হওয়ার আধার হল পবিত্রতা, পবিত্র হলে তবেই পবিত্র দুনিয়ার রাজত্ব প্রাপ্ত হয়"

প্রশ্নঃ --

এই পাঠশালার কোন্ পাঠ তোমাদের মানব থেকে দেবতা বানিয়ে দেয় ?

উত্তরঃ -:-

তোমরা এই পাঠশালাতে রোজ এই পাঠ পড়ো যে, আমরা শরীর নই, আমরা হলাম আত্মা। আত্ম অভিমানী হয়ে উঠলেই তোমরা মানব থেকে দেবতা, নর থেকে নারায়ণ হয়ে যাও। এই সময় প্রতিটি মানুষই পূজারী অর্থাৎ পতিত দেহ – অভিমানী, সেইজন্য পতিত – পাবন বাবাকে ডাকতে থাকে।

গান:-

আকাশ সিংহাসন ছেড়ে এবার নেমে এসো

ওম্ শান্তি ।

বাচ্চারা জানে যে, এই ওম্ শান্তি কে বলেছে ? কোন্ বাচ্চারা ? আত্মারা জানে যে, ওম্ শান্তি কার আত্মা বলেছে ? পরমপিতা পরমাত্মা বলেছেন। বাচ্চারা জানে যে কোনো মানব আত্মা বলেনি, পরমপিতা পরমাত্মা বলেছেন। পতিত মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে, সেইজন্য ডাকতে থাকে হে পতিত – পাবনী পুনরায় এসো, আমাদের পবিত্র করো। আত্মাই আহ্বান করে নিজের পিতাকে, যাকে ভগবান বলা হয়। তারা বলে তিনিই পতিত পাবন। এক এরই মহিমা হয়ে থাকে। তিনি হলেন সকল আত্মাদের অসীম জগতের পিতা। এখানে সবাই পতিত হয়ে গেছে বলেই আহ্বান করে – হে পরমপিতা পরমাত্মা। তিনি জ্ঞানের সাগরও, পতিত পাবন তিনিই। তিনি পিতাও, শিক্ষকও, কারণ তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি হও। সকল বেদ, শাস্ত্র, গ্রন্থের জ্ঞাতাও তিনি। তাঁকে বলাও হয় নলেজফুল। তাই এই সময় সকলে পারলৌকিক পিতাকে আহ্বান করে, সকলে এখন দুঃখী। বলা হয় – গড ফাদার। গড ফাদারের নাম তো থাকা চাই। গাওয়াও হয়ে থাকে, তাঁর নাম হল শিববাবা। তিনিই উচ্চ থেকে উচ্চ জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর, শান্তির সাগর। এ হল মানবাত্মাদের করা বাবার মহিমা। উচ্চ থেকে উচ্চ আত্মা কার ? পরমপিতা পরমাত্মার। তিনি হলেন পরম, পতিত মানব তাঁকে স্মরণ করে। সত্যযুগে যখন পবিত্র ভারত ছিল, দেবী দেবতাদের রাজত্ব ছিল, তখন কোনো পতিত ছিল না। এটা হল তমোপ্রধান দুনিয়া অর্থাৎ দুনিয়াতে যে মানবেরা থাকে, সব হল পাপ আত্মা। এই ভারতই পবিত্র ছিল, সেই ভারতই পতিত হয়ে গেছে। এখানে কলিযুগে সবাই হল পতিত। তোমরা জানো যে, জ্ঞানের সাগর, পতিত – পাবন পরমপিতা পরমাত্মা পরমধাম থেকে এসে আমাদেরকে ব্রহ্মার দ্বারা পড়ান। নিশ্চয়ই তার জন্য ওঁনার শরীরের প্রয়োজন । এই কথা কোনো শাস্ত্রেই লেখা নেই। জ্ঞানের সাগর, যিনি হলেন অথরিটি, তিনিই সব কিছু জানেন। ভারতে চিত্রও দেখতে পাওয়া যায় – ব্রহ্মার নাভি থেকে বিষ্ণু নির্গত হয়েছে, তার হাতে শাস্ত্র রয়েছে। এখন কথা হল বিষ্ণু তো কোনো শাস্ত্রের সার শোনান না। পরমপিতা পরমাত্মা জ্ঞানের সাগর ব্রহ্মার দ্বারা সকল শাস্ত্রের সার তোমাদেরকে বোঝান। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরের রচয়িতাও তিনিই । ব্রহ্মাকে বা বিষ্ণুকে জ্ঞানের সাগর বলা যাবে না। শংকরের কথা তো ছেড়েই দাও। তাহলে জ্ঞানের সাগর কে ? নিরাকার উচ্চ থেকে উচ্চ পরমাত্মাই হলেন পতিত – পাবন। এই মহিমা হল সেই পরমপিতা পরমাত্মার। এখানেও আত্মাদেরই মহিমা হয়ে থাকে। আত্মাই শরীরের দ্বারা বলে – আমি প্রেসিডেন্ট, আমি ব্যারিস্টার, আমি অমুক মিনিস্টার। আত্মাই এই সব পদ গ্রহণ করে। শরীরের দ্বারা আত্মা বলে, আমি একটি শরীরকে ত্যাগ করে আরেকটি শরীর গ্রহণ করি। এই সময় যখন বাবা আসেন, তিনি বলেন, বাচ্চারা আত্ম – অভিমানী হও। আমি তোমাদের (প্রকৃত) পিতা এসেছি তোমাদেরকে এই পাঠ পড়াতে। এটা হল পাঠশালা – মানব থেকে দেবতা, নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী হওয়ার। বাবাকে সকল আত্মারাই ডাকে, হে পরমপিতা পরমাত্মা… এখন নিরাকারী দুনিয়ার থেকে সাকারী দুনিয়াতে এসো। রূপ বদল করো। তোমরা নিরাকারী আত্মারা তো যখন শরীরে প্রবেশ করো, তখন গর্ভে প্রবেশ করো, পুনর্জন্ম হয় তোমাদের। বাবা বোঝান – তোমরা ৮৪ গর্ভের দ্বারাই নিয়েছ। একটি শরীর ছেড়ে পুনরায় গর্ভে প্রবেশ করো, এইভাবে ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকো। আমি তো গর্ভে আসি না। ভারতবাসী আসলে দেবী দেবতা ধর্মের ছিল। তারপর সিঁড়ি নামতে থেকেছে। ক্ষত্রীয় বর্ণে, তারপর বৈশ্য, শূদ্র বর্ণে কলা হতে থাকে। ভারত ১৬ কলা সম্পূর্ণ ছিল, তারপর ১৪ কলা হয়। ভারতবাসী নিজেদের জন্মে জানে না। ৮৪ জন্ম ভারতবাসীই নেয় । আর কোনো ধর্মের মানুষ ৮৪ জন্ম নেয় না। তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়েছ, এ হল জ্ঞানের কথা। স্বদর্শন চক্রধারী হলে তবেই তোমরা স্বর্গের চক্রবর্তী মহারাজা হতে পার। তোমরা খুব ভালো ভাবে জানো যে, আমরা এখানে এসেছি পতিত থেকে পবিত্র হতে। এটা হলই পতিত দুনিয়া। পতিত-পাবন, স্বর্গের সদ্গতি দাতা তো হলেন একমাত্র বাবাই। সকলে তাঁকেই আহ্বান করে। বাবাকে স্মরণ করে, কৃষ্ণকে নয়। কৃষ্ণ গীতা শোনায়নি। গীতা হল সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি । ভারতের গীতা কোন্ ধর্মের শাস্ত্র ? আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের । কে গীতা গান গেয়েছে ? রাজযোগ কে শিখিয়েছে ? পরমপিতা পরমাত্মা বাবা শিখিয়েছেন। তো তোমাদের আত্মা যা কিনা নিরাকার ছিল, সেই আত্মা এখন এই সাকারী শরীর ধারণ করেছে। সাকার মানবকে কখনোই ভগবান বলা যাবে না। যদিও সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণ আছে, তবুও তাদেরকে ভগবান বলা যাবে না। এ তো তাদেরকে কত কত উপাধি (টাইটেল) দেওয়া হয়েছে । নিয়ম অনুসারে ভগবান একজনই। ক্রিয়েটর ইজ ওয়ান। বাকি সকলে হলেন দেবতা । ৫ হাজার বছরের কথা। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল, এদেরকে মহারাজা মহারানী বলা হত। ভগবান মহারাজা মহারানী হন না। সে তো একমাত্র বাবা’ই যিনি এসে ভারতবাসীকে এইরূপ দেবী-দেবতা বানান। এখন তো দেবী-দেবতা ধর্মের কেউ নেই। এখন একে বলা হয় রাবণ সম্প্রদায়, কেননা এখন হল রাবণ রাজ্য। রাবণকে প্রতি বছর দহন করা হয়, কারণ রাবণ হল পুরানো শত্রু, কিন্তু সে’ কথা ভারতবাসী জানে না। শাস্ত্রে বর্ণন করা নেই যে, রাবণ কে ? রাবণকে ১০ শীষ ধারী কেন দেখানো হয়েছে, এই বিষয় গুলিকে খুব ভালো করে বুঝতে হবে। মানুষ তো বর্তমানে একেবারে পাথর বুদ্ধির। পারসবুদ্ধি এই লক্ষ্মী-নারায়ণদেরকেই বলা হবে। পারসনাথ, পারসনাথিনীর রাজত্ব ছিল। যেমন রাজা রানী ছিলেন, প্রজারাও সেইরূপ ছিল। ভারতের মতো সুখধাম আর কোনো খন্ডই হয় না। যখন ভারতে স্বর্গ ছিল, তখন কোনো রোগ ব্যাধি, দুঃখ শোক ছিল না। সম্পূর্ণ সুখ ছিল । গাওয়াও হয় – ঈশ্বরের মহিমা অপরম অপার। তেমনই ভারতের মহিমাও অপরম অপার। সমস্ত কিছুই এই পবিত্রতার ওপরেই। ডাকেও এই ভাবে, সকলেই পতিত। পীস নেই, প্রস্পারিটিও নেই। এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ আমরা ভারতবাসীরা সূর্যবংশী দেবী দেবতা ছিল, তারপর ধীরে ধীরে পতিত হয়ে গেছে। এটাকে বলা হয় মৃত্যুলোক। এতে আগুন লাগবে। এ হল শিব জ্ঞান যজ্ঞ, রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞও বলা হয়। মানুষ তো অনেক রকমের নাম রেখে দিয়েছে। যেখানেই শিবের মূর্তি দেখে তো নানান রকমের নাম রেখে দেয়। একেরই নানান নামে মন্দির বানাতে থাকে। তাই বাবা বসে বোঝান – জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য। এখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয়, তোমাদের ভক্তির থেকে বৈরাগ্য চলে আসে অর্থাৎ এই পুরানো জগতের থেকে বৈরাগ্য। এই পুরানো দুনিয়া বিনাশ হবে।

বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে, বাবা আমরা পতিত থেকে কীভাবে হবো ? নতুন কেউ যখন আসে, তাকে এলাও (বসতে সম্মতি দেওয়া হয় না) করা হয় না। যেমন কলেজে কেউ নতুন গিয়ে বসে প্রথমে সে কিছুই বুঝতে পারে না। আর এখানে তো কারোরই জানাই নেই যে, মানব থেকে দেবতা কীভাবে তৈরী হচ্ছে। মানব তো পতিত, তারাই পবিত্র হয়ে ওঠে। এই সময় ভারতও হল বেগার। সত্যযুগে ভারত প্রিন্স ছিল। শ্রীকৃষ্ণ হলেন সত্যযুগের প্রথম নম্বর প্রিন্স । তার মধ্যে সব গুণ রয়েছে। রাজ্য তো লক্ষ্মী-নারায়ণের বলা হবে। কৃষ্ণ তো প্রিন্স ছিলেন, রাধে প্রিন্সেস ছিলেন। কৃষ্ণ প্রিন্সেরই মহিমা কীর্তন করা হয় – সর্ব গুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ…। সে কোনো গীতা শোনায়নি। তিনি তো সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন। তিনি পতিত মানবকে পবিত্র বানানোর জন্য গীতা পাঠ শোনাবেন – এ তো হতে পারে না। এই সব শাস্ত্র হল ভক্তি মার্গের। শাস্ত্রের কতোই না মহিমা। সত্যযুগে কোনো শাস্ত্র, চিত্র ইত্যাদি ভক্তি মার্গের কিছুই সেখানে থাকে না। সেখানে তো জ্ঞানের প্রালব্ধ হয়ে থাকে – ২১ জন্মের জন্য । আবার তারা সত্যযুগের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করছে। ভারতবাসী সত্যযুগে ৫ হাজার বছর পূর্বে বিশ্বের মালিক ছিল আর কোনো পার্টিশন ইত্যাদি ছিল না। এ হল ৫ হাজার বছরের কথা। এখন কলিযুগের অন্তিম সময়, তাই না ! বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভগবান এই জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেছেন। পতিত কলিযুগকে পবিত্র সত্যযুগ বানানো, তাহলে পতিত দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হবে। গাওয়াও হয়ে থাকে ব্রহ্মার দ্বারা আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের স্থাপনা, অর্থাৎ শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা করাচ্ছেন । তোমরা এখন মনুষ্য থেকে দেবতা হচ্ছো। মানুষ গায়ও – পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করান। তিনি তো হলেন প্রজাপিতা, সকলে হল তাঁর সন্তান। বরাবর ব্রহ্মার দ্বারাই স্বর্গের স্থাপনা হয়েছে। আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগেও আমি সঙ্গমে এসেছিলাম, তোমাদেরকে এই রাজযোগ শেখাতে। কৃষ্ণ নয়, আমি এসেছিলাম। কৃষ্ণ পতিত দুনিয়াতে আসতে পারে না। বাবাই আসেন। তিনিই হলেন সকলের সদ্গতি দাতা। মানুষ, মানুষকে সদ্গতি দিতে পারে না। স্মরণও সকলে সেই এক’কেই করে থাকে। পরমপিতা পরমাত্মা কোথায় থাকেন ? তোমরা বাচ্চারা জানো তিনি পরমধামে থাকেন। সেটা হল ব্রহ্ম মহাতত্ত্ব। সেখানে আত্মারা পবিত্র, সকলে যেন মহাত্মা। এখানেও তো মহান আত্মা, পতিত আত্মা বলা হয়, তাই না ! বাস্তবে এখানে মহান আত্মা একজনও নেই। আত্মাকেই পবিত্র সতোপ্রধান হতে হবে, জ্ঞান আর যোগের দ্বারা, জলের (গঙ্গা) দ্বারা নয়। আত্মা’ই পতিত হয়েছে। আত্মাতেই খাদ পড়ে। আত্মাই গোল্ডেন, কপার, আয়রন হয়ে থাকে। এখন আত্মারা যারা পতিত, তাদেরকে পবিত্র কে বানাবে ! পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া আর কেউই বানাতে পারে না। বাবা’ই বসে

বোঝান – মামেকম্ স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে । যত যত স্মরণ করবে ততই পতিত থেকে পবিত্র হতে থাকবে। পরিশ্রম হল এতেই। জ্ঞান তো সমস্ত বুদ্ধিতে রয়েছে। এই চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়, আমরা ৮৪ জন্ম কীভাবে গ্রহণ করি, সত্যযুগে কত সময় রাজত্ব চলে, এরপর রাবণ কীভাবে আসে, রাবণ কে ! এও কারো জানা নেই। কবে থেকে রাবণ দহন করা চলে আসছে। এও কারো জানা নেই। প্রতি বছর দহন হয়। সত্যযুগে তো জ্বালানো হবে না। এখন তো হল রাবণ রাজ্য। রাম-রাজ্য তো কেউই স্থাপন করতে পারবে না। এটা তো (শিব) বাবারই কাজ। পতিত মানুষ তো তা করতে পারবে না। তারা তো সব বিনাশ হয়ে যাবে। পতিত দুনিয়ারই বিনাশ হয়ে যাবে। সত্যযুগে একজনও এমন বলবে না যে, হে পতিত পাবন এসো। সেটা তো হল পবিত্র দুনিয়া ! তোমার এখন জানো যে, এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে এইরূপ স্বর্গের মালিক কে বানিয়েছে ? তারপর এরা ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়েছেন ! আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের যারা, তারাই ৮৪ জন্ম নেয়। তারাই এই সময় শূদ্র বংশী হয়েছে। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ বংশী হয়ে থাকো। এখন তোমরা হলে ব্রাহ্মণ শিখা (শীর্ষ / টিকি)। এ হল উচ্চ থেকেও উচ্চ শীর্ষ। ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ কুলভূষণ । এখন তোমরা শিব বাবার বাচ্চাও। নাতি পুতিও বলতে পারো। শিব বংশী, আবার ব্রহ্মাকুমার কুমারীও তোমরা। উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় ঠাকুরদাদার থেকে। বাবা বলেন – “আমাকে নিরন্তর স্মরণ করো।” পবিত্র হলে তখন তোমরা আমার কাছে মুক্তি ধামে চলে যাবে। এই কথা গুলিকে তারাই বুঝতে পারবে যারা কল্প পূর্বে বুঝেছিল। তারা তো হাজার হাজার সংখ্যায় রয়েছে। কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করে, কতজন বি. কে. আছে ? বলো প্রায় হাজারের অধিক সংখ্যক রয়েছে। এই দৈবী বৃক্ষের বৃদ্ধি হতে থাকে। এখন আবার তার স্যাপলিং লাগছে – আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের, কেননা দেবতা ধর্ম এখন নেই। এখন মানুষ নিজেকে বলে হিন্দু ধর্মের। অন্যান্য ধর্মেও অনেকে করভার্ট হয়ে গেছে। আবার তারা বেরিয়ে আসবে এবং পুনরায় তারা এসে আবার নিজেদের উত্তরাধিকারকে প্রাপ্ত করবে। তোমরা এসেছ অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অসীমের সুখের উত্তরাধিকার নিতে অর্থাৎ মানব থেকে দেবতা হতে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য জ্ঞান আর যোগে মজবুত হতে হবে। আত্মাতে যে খাদ পড়েছে তাকে স্মরণের পরিশ্রমের দ্বারা নিষ্কাশিত করতে হবে।

২ ) আমরা হলাম ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ শিখা (শীর্ষ /টিকি), এই নেশাতে থাকতে হবে। ব্রাহ্মণই হল উত্তরাধিকারের অধিকারী, কারণ তারা হল শিব বাবার পৌত্র (নাতি)।

বরদানঃ-

আত্মার অনাদি এবং আদি উভয় কালের অরিজিনাল স্বরূপ হল পবিত্র। অপবিত্রতা হল আর্টিফিশিয়া, শূদ্রদের অবদান। শূদ্রদের কোনো বস্তু ব্রাহ্মণ ইউজ করতে পারে না। সেইজন্য কেবলমাত্র এই সংকল্পই করো যে, অনাদি – আদি রিয়্যাল রূপে আমি হলাম পবিত্র আত্মা। যাকেই দেখবে তার রিয়্যাল রূপকে দেখো, রিয়্যালকে রিয়েলাইজ করো। তাহলে সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে ফার্স্ট ক্লাস বা এয়ার কন্ডিশনের টিকিটের অধিকারী হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top