30 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 29, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার আশীর্বাদ যদি নিতে চাও তাহলে সুপুত্র বাচ্চা হয়ে সবাইকে সুখ প্রদান করো, কাউকে দুঃখ দিওনা”

প্রশ্নঃ --

ধর্মরাজের শাস্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কোন্ ঈশ্বরীয় নিয়মের উপর মনঃসংযোগ করতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

ঈশ্বরের সামনে কোনো প্রতিজ্ঞা করলে কখনও সেই প্রতিজ্ঞার অবজ্ঞা ক’রো না। কাউকে দুঃখ দিও না। ক্রোধ করা, বিরক্ত করা অর্থাৎ এমন আচরণ করা যার দ্বারা ঈশ্বরের নাম বদনাম হয়ে যায়…. তাহলে তাকে অনেক শাস্তি পেতে হবে, এইজন্য এমন কোনও কর্ম ক’রো না। যতই মায়ার ঝড় ঝাপটা আসুক, অসুখে জর্জরিত করে দিক, কিন্তু বুদ্ধি দিয়ে সঠিক-ভুল বিচার করে ভুল কর্ম করা থেকে সর্বদা বিরত থাকবে।

গান:-

কে এলো আমার মনের দ্বারে..

 

ওম্ শান্তি । এই কথাটি কে বললেন – ওম্ শান্তি। বাবা আর দাদা। এই বিষয়ে তো বাচ্চাদের অবশ্যই নিশ্চয় আছে যে আমাদের পারলৌকিক বাবা হলেন – পরমপিতা পরমাত্মা শিব আর ইনি (ব্রহ্মা) হলেন সকল বাচ্চাদের অলৌকিক বাবা, এঁনাকেই প্রজাপিতা ব্রহ্মা বলা হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মার ছাড়া এতো বাচ্চা আর কারো হয় কি! পূর্বে ছিলেন না, যখন থেকে অসীম জগতের বাবা এঁনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন তখন থেকে ইনি হয়ে গেলেন দাদা। এই দাদা নিজে বলছেন যে – তোমাদের এখন পারলৌকিক বাবার সম্পত্তি প্রাপ্ত হচ্ছে। পৌত্র সর্বদাই ঠাকুরদাদার উত্তরাধিকারী হয়। তার বুদ্ধির যোগ ঠাকুরর্দার প্রতি যায় কেননা ঠাকুর্দার সম্পত্তির উপর অধিকার থাকে। যেরকম রাজার গৃহে যে বাচ্চা জন্ম নেবে, এইভাবেই বলবে বড়দের সম্পত্তি। বড়দের সম্পত্তির উপর তার অধিকার থাকেই। বাচ্চারা – তোমরা জানো যে, আমরা অসীম জগতের বাবার থেকে সর্ব বৃহৎ সম্পত্তি স্বর্গের রাজপদ গ্রহণ করছি। সেই বাবা এখন আমাদের পড়াচ্ছেন। তোমরা এখন তাঁর সামনে বসে আছো। সম্মুখে থাকার নেশাও নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থ অনুসারে থাকে। কারো কারো হৃদয়ে তো অনেক ভালোবাসা থাকে। সাকার মাতা-পিতার দ্বারা আমরা উচ্চ থেকে উচ্চতর ভগবানের কাছে এসে উত্তরাধিকারী হই। অসীম জগতের বাবা হলেন খুব মিষ্টি, যিনি আমাদের রাজা হওয়ার উপযুক্ত তৈরী করেন। মায়া একদমই অযোগ্য বানিয়ে দেয়। কাল বাবার কাছে কেউ সাক্ষাতের জন্য এসেছিলেন, কিন্তু তিনি থোড়াই কিছু বুঝতে পেরেছিলেন। বাবা বুঝিয়েছিলেন যে, এরা সবাই হল ব্রহ্মাকুমার। তুমিও ব্রহ্মার বা শিববাবার বাচ্চা, তাই না। বলেছিল – অবশ্যই। এটা কেবল শুনে বলেছে, কিন্তু হৃদয় থেকে বলেনি। তীর লাগেনি যে, সত্যি-সত্যিই আমি তাঁর সন্তান। ইনিও হলেন তাঁর সন্তান, উত্তরাধিকার নিচ্ছেন। সেইরকমই আমাদের কাছেও কয়েকজন বাচ্চা আছে, যাদের বুদ্ধিতে খুব অল্প কিছু ধারণ হয়। সেই খুশী, সেই আত্মিকতা দেখা যায় না। অন্তরে খুশীর পারদ সর্বদা ঊর্ধ্বমুখী থাকা চাই। চেহারায় তার প্রতিফলন দেখা যাবে। সজনীরা, এখন তোমাদের জ্ঞানের শৃঙ্গার হচ্ছে। তোমরা জানো যে, আমরা হলাম সাজনের সজনী। একজন চাষী কন্যার গল্প আছে না! একজন রাজা এক চাষী কন্যাকে নিয়ে এলেন কিন্তু তার রাজত্ব করার মধ্যে কোনো আনন্দ হচ্ছিল না। রাজা তখন সেই কন্যাকে পুনরায় গ্রামে রেখে এলেন। বললেন, তুমি রাজত্ব করার উপযুক্ত নও। এখানেও বাবা শৃঙ্গার করছেন। ভবিষ্যতে তোমরা মহারাণী হবে। কৃষ্ণের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে, পাটরাণী করার জন্য সবাইকে তুলে নিয়ে গেছেন, কিন্তু তারা কিছুই বোঝে না। সবাই হল অধার্মিক মনোবৃত্তিসম্পন্ন।

মনে করে যে এইভাবেই দুনিয়া চলতে থাকবে। আশ্চর্যের বিষয়। অনেকেই আছে যারা মন্দির রক্ষা করার জন্যও যায়না। না শাস্ত্র ইত্যাদিকে মান্য করে। সরকারও ধর্মকে মান্য করে না। ভারত কোন্ ধর্মের ছিল, এখন কোন্ ধর্মের আছে, এসব কিছুই জানেনা। এখন বাচ্চারা তোমরা হলে দৈবীকুলের। যেরকম তারা হল খ্রীস্টান কুলের, সেইরকম তোমরা হলে ব্রাহ্মণ কুলের। বাবা বলছেন, সর্বপ্রথম বাচ্চারা তোমাদেরকে পতিত শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ তৈরি করি। পবিত্র হতে হতে পুনরায় ২১ জন্মের জন্য তোমরা দৈবী সম্প্রদায়ের হয়ে যাবে। দৈবী ক্রোড়ে চলে যাবে। আগে ছিলে আসুরিক ক্রোড়ে। আসুরিক ক্রোড় থেকে পুনরায় তোমরা ঈশ্বরীয় ক্রোড়ে এসেছো। এক বাবার সন্তান, তোমরা সবাই হলে ভাই-বোন। এটাই হলো একটা আশ্চর্যের বিষয়। সবাই বলবে যে, আমরা হলাম ব্রাহ্মণ কুলের। আমাদেরকে তো শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে, সবাইকে সুখ প্রদান করতে হবে, পরমধামে যাওয়ার রাস্তা বলে দিতে হবে। দুনিয়াতে এমন কেউ নেই যে মুখ দিয়ে বলবে, অসীম জগতের বাবার থেকে অসীমের জগতের উত্তরাধিকার কীভাবে নেওয়া যায়। তোমরা এখন অসীম জগতের বাবাকে পেয়েছ । তোমরাই তাঁর সন্তান হয়েছ। বুদ্ধির দ্বারা জানো যে কল্প পূর্বে যারা যারা বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিল, তারাই এসে পুনরায় গ্রহণ করবে। অল্পকিছুও যদি বুদ্ধিতে থাকে, তাহলে কখনো না কখনো এসে পৌঁছাবে। আসবে তো কিছু না কিছু নেওয়ার জন্য। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে জানে। আজ পবিত্র হওয়ার জন্য এসেছে, কাল পুনরায় পতিত হয়ে যায়। কারো খারাপ সঙ্গে পড়ে ভুলে যায় যে বাবার হয়ে পুনরায় বাবার হাত ছেড়ে দিলে তো অন্তত পাপাত্মা হয়ে যায়। যেরকম কেউ কাউকে খুন করলে তো পাপ হয়ে যায়। সেই পাপও হল অল্প। এখানে যারা বাবার হয়ে বাবাকে ত্যাগ করে চলে যায়, প্রতিজ্ঞা করে পুনরায় বিকারী হয়ে যায় তো অনেক পাপ হয়ে যায়। অজ্ঞান কালে এতটা মনে হয় না, যতটা জ্ঞানে এসে মনে হয়। অজ্ঞান কালে মানুষের মধ্যে তো ক্রোধ হওয়াটা সাধারণ ছিল। এখানে তোমরা কারোর প্রতি যদি ক্রোধ করে থাকো তাহলে একশো গুন দন্ড হয়ে যাবে। অবস্থা একদমই নিচে নেমে যাবে কেননা ঈশ্বরের নির্দেশ মান্য করেনা। ধর্মরাজের নির্দেশ পাওয়া যায় – পবিত্র হতে হবে। তোমরা ঈশ্বরের হয়ে যদি একটুখানিও তাঁর নির্দেশের অবজ্ঞা করো, তাহলে একশত গুণ দণ্ড ভোগ করতে হবে। রচয়িতা তো হলেন এক পিতা। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরও তাঁর রচনা। ধর্মরাজও হলেন তাঁর রচনা। ধর্মরাজের রূপও বাবা সাক্ষাৎকার করান। পুনরায় সেই সময় সিদ্ধ করে বলে দেয় – দেখো, তোমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলে, আমি ক্রোধ করবো না, কাউকে দুঃখ দেব না, তবুও তোমরা একে দুঃখ দিয়েছো, বিরক্ত করেছো। এখন শাস্তি ভোগ করো। সাক্ষাৎকার ছাড়া শাস্তি প্রদান করেন না। প্রমাণ চাই তাই না। তারা মনে করে যে বরাবর আমি বাবাকে ত্যাগ করে এই কুকর্ম করেছি। বাবার বদনাম করলে অনেক জ্ঞানী আত্মারা অসুবিধায় পরে যাবে। অনেক অবলারা বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। সমস্ত দণ্ড বদনাম করা সেই আত্মার উপর পড়ে যায়। এইজন্য বাবা বলছেন যে – বড় থেকে বড় পাপাত্মা দেখতে হলে তো এখানে দেখো। ধোপার কাছে অনেক ময়লা পুরানো কাপড় যখন আসে তখন একটুখানি আছাড় মারলেই ফেটে যায়। তো এখানেও প্রহরণ সহ্য করতে না পেরে চলে যায়। ঈশ্বরের কোলে এসে, ডাইরেক্ট তাঁর অবজ্ঞা করলে তো শাস্তি পেতেই হবে। যে প্রধান ব্রাহ্মণী পার্টি নিয়ে আসেন, তার উপর অনেক বড় দায়িত্ব থাকে। একজনও যদি হাত ছেড়ে দেয়, বিকারী হয়ে যায় তাহলে তার পাপ, যিনি নিয়ে এসেছিলেন তার উপর পড়ে যায়। এইরকম কাউকেই ইন্দ্রসভাতে নিয়ে আসা উচিত নয়। নীলম পরী, পোখরাজ পরীর কাহিনীও তো তোমরা জানো তাই না! ইন্দ্রসভাতে কেউ লুকিয়ে নিয়ে এসেছিল, তখন ইন্দ্রসভাতে তার দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল। তাই যিনি নিয়ে এসেছিলেন তাকে দন্ড দেওয়া হয়েছিল। এইরকম কিছু কাহিনী আছে। তারা পাথরে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। বাবা পারসনাথ তৈরি করতে এসেছেন পুনরায় যদি অবজ্ঞা করো তাহলে পাথর হয়ে যাবে। রাজা হওয়ার সৌভাগ্য হারিয়ে ফেলবে। মনে করো কেউ গরীব রাজার ক্রোড়ে আসতে চায়, যদি অযোগ্য হয়ে যায় আর রাজা বের করে দেয় তখন কি হবে! তারপর তো সেই কাঙ্গাল, কাঙ্গাল-ই হয়ে থাকবে। এখানেও এইরকম। পুনরায় অনেক দুঃখ অনুভব হবে এইজন্য বাবা বলে দেন যে – কখনো কোনো অবজ্ঞা করো না। বাবা হলেন সাধারণ এইজন্য শিব বাবাকে ভুলে সাকারে বুদ্ধি এসে যায়। এখন বাচ্চারা, তোমাদের শ্রীমৎ প্রাপ্ত হচ্ছে। যে খারাপ হয়ে যায়, তারা ইন্দ্রসভায় বসতে পারবে না। প্রত্যেক সেন্টার হল ইন্দ্রপ্রস্থ, যেখানে জ্ঞানের বর্ষা হচ্ছে। নীলম পরী পোখরাজ পরীর নাম তো আছে, তাই না। নীলম – রত্নকে বলা হয়। বাচ্চাদের উপর এইসব নাম রাখা যায়। কেউ তো খুবই ভালো, যেন রত্ন সম, কোনও ফ্লো (দাগ) নেই। কিছু না কিছু জহরে অনেক দাগ হয়। কিছু কিছু আবার একদম খাঁটি হয়। এখানেও নম্বর অনুসারে রত্ন আছে। কোনো কোনো রত্ন অনেক মূল্যবান হয়। খুব ভালো সেবা করে। কেউ তো আবার সার্ভিসের পরিবর্তে ডিস-সার্ভিস করতে থাকে। গোলাপের ফুল আর আকন্দের ফুলের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। দুটো ফুলই শিবকে অর্পণ করা হয়। এখন তোমরা জেনে গেছ যে, আমাদের মধ্যে কে কে ফুলের মতো আছে। তাদেরই সবাই আহ্বান করে যে বাবা আমাদেরকে ভালো ভালো ফুল দাও। এখন ভালো ভালো ফুল কোথা থেকে নিয়ে আসবো। রত্ন জ্যোতি ফুল তো সাধারন হয়ে থাকে। এটা হল বাগান তাই না। তোমরা হলে জ্ঞান গঙ্গা। বাবা তো হলেন সাগর তাই না। এই ব্রহ্মা হলেন ব্রহ্মপুত্র, সবথেকে বড় নদী। কলকাতাতে ব্রহ্মপুত্র নদী অনেক বড় আছে। যেখানে সাগর নদীর অনেক বড় মেলা বসে। বরাবর জ্ঞান সাগর হলেন বাবা। তিনি হলেন চৈতন্য জ্ঞান সাগর। তোমরাও হলে চৈতন্য জ্ঞান নদী। সেটা তো হল জলের গঙ্গা। বাস্তবে নদীগুলির নাম দেওয়া হয়, কিন্তু আসুরিক সম্প্রদায় এটা ভুলে গেছে। হরিদ্বারে গঙ্গার তীরে চতুর্ভুজের চিত্র দেখানো হয়েছে। তাকেও গঙ্গা বলা হয় কিন্তু মানুষ কিছুই বুঝতে পারে না যে এই চতুর্ভুজ কে? বরাবর এই সময় তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী তৈরি হও। তোমরা হলে সত্যিকারের জ্ঞান নদী। সেসব হলো জলের নদী। সেখানে গিয়ে স্নান করে। কিছুই বুঝতে পারেনা। মনে করে এরা সবাই হলো দেবী। মানুষ তো কখনো চার-আট বাহু বিশিষ্ট হয়না। অর্থ কিছুই বুঝতে পারেনা। বাচ্চারা তোমরা জানো যে বাবা আমাদেরকে কী তৈরি করছেন। আমরা তো ১০০% অবুঝ ছিলাম। বাবার কোলে আসার পর আমরা স্বর্গের মালিক তৈরি হচ্ছি। যদিও এখানে কেউ রাজা থাকুক কিন্তু স্বর্গের সুখ আর এখানকার সুখের মধ্যে রাত দিনের পার্থক্য আছে। তোমাদের মধ্যে কেউ এই রকমও আছে যারা বাবাকে বুঝতে পারেনা, তাই নিজেকেও বুঝতে পারেনা। দেখতে হবে যে আমি কতখানি সুগন্ধ দিতে পারছি? উল্টো-পাল্টা কথা তো বলছি না? ক্রোধ তো করছি না? বাবা অতি শীঘ্রই আমাদের চালচলনের দ্বারা বুঝে ফেলেন যে এই বাচ্চা কি রকম হবে। সেবাধারী বাচ্চা বাবার খুব প্রিয়। সবাই তো একই রকম প্রিয় হতে পারে না। এইরকম বাচ্চাদের জন্য অন্তর থেকে আপনা হতেই আশীর্বাদ বেরিয়ে আসে। বাবার অবজ্ঞাকারী বাচ্চা হলে তো বাবা বলবেন এরকম বাচ্চা মারা গেলে ভালো হয়। কতই না নাম বদনাম করে, একে বলা যায় ভাগ্য। কার ভাগ্যে কি আছে, অতি শীঘ্রই জানা যায়। বাবা বোঝাচ্ছেন যে – এ’ হলো সুপুত্র বাচ্চা, আর ও’ হলো কুপুত্র। বাপ-দাদাকে চেনে না, ভাগ্যে উত্তরাধিকার নেই, তাহলে কি করবে। এই জ্ঞানমার্গে কায়দা অত্যন্ত কঠোর। বাবা পবিত্র হলে আর বাচ্চারা না হলে, সেই বাচ্চা অধিকারী হতে পারে না। তার বাচ্চা বলে বুঝতে পারে না। পুনরায় বলবে, আমি তো শিব বাবার উত্তরাধিকারী তৈরি করব, তাহলে বাবা ২১ জন্মের জন্য আমাকে তার রিটার্ন দেবেন। এর অর্থ এটা নয় যে, বাবার কাছে এসে বসে যেতে হবে। না, গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে সবাইকে দেখাশোনাও করতে হবে, কিন্তু নিমিত্ত হয়ে থাকতে হবে। এমন নয় যে, তোমাদের বাচ্চা ইত্যাদিকে বাবা বসে দেখাশোনা করবেন। না, এইরকম চিন্তাধারাযুক্ত বাচ্চারা উদভ্রান্ত হয়ে পড়বে। এখানে বাবার কাছে তো একদমই পবিত্র হওয়া চাই। অপবিত্র কেউ বসতে পারবে না। না হলে তো পাথর বুদ্ধি হয়ে যাবে। বাবা কাউকে অভিশাপ ইত্যাদি দেন না। এটাতো হল একটা ল’ (নিয়ম)। বাবা বলেন যে, তবুও সাবধান থাকো। কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনও পাপ করেছো তো মরেছো। আমাদের লক্ষ্য অনেক শ্রেষ্ঠ। বাবার বাচ্চা হয়েছো তো শরীরের অসুখ-বিসুখ অনেক আসবে। ভয় পেয়ো না। কবিরাজ বৈদ্যরাও বলে যে – অমুক ঔষধের দ্বারা তোমার এই অসুখ আরও প্রকটিত হবে। তুমি ভয় পেয়ো না। বাবাও নিজে বলেন যে – তোমরা বাবার হলে তো মায়া রাবণও তোমাদেরকে অনেক বিরক্ত করবে। প্রবল ঝড় ঝঞ্ঝার মধ্যে নিয়ে আসবে। এখন তোমাদের সঠিক এবং ভুল বিবেচনা করার বুদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছে। আর কারো এরকম সঠিক আর ভুল বিবেচনা করার বুদ্ধি নেই, সকলেরই হলো বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি। প্রীত বুদ্ধি তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থ অনুসারে আছে। প্রীত বুদ্ধি যুক্ত আত্মারা বাবার সেবা খুব ভালোভাবে করবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) ঈশ্বরের সন্তান হয়ে অল্প একটুও তাঁর নির্দেশের অবজ্ঞা করবে না। এই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো কুকর্ম করবে না। উল্টো-পাল্টা কথা বলবে না। সুপুত্র হয়ে বাবার আশীর্বাদ নিতে হবে।

২) নিমিত্ত হয়ে নিজের গৃহস্থ ব্যবহারকে দেখাশোনা করতে হবে। জ্ঞানমার্গের যে কায়দা আছে সেই অনুসারে সম্পূর্ণভাবে চলতে হবে। সঠিক এবং ভুলকে বিবেচনা করে মায়ার থেকে সাবধান থাকতে হবে।

বরদানঃ-

সর্বদা এই স্মৃতিতে থাকো যে, আমি প্রতিটি সময়, প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি কর্ম করার সময় স্টেজের উপরে রয়েছি, অতএব প্রতিটি কর্মের উপর অ্যাটেনশন থাকলে সম্পূর্ণ স্টেজের নিকটে এসে যাবে। সাথে-সাথে বর্তমান আর ভবিষ্যতের স্ট্যাটাসের স্মৃতি থাকলে প্রতিটি শ্রেষ্ঠ হবে। এই দুই স্মৃতি বাবার সমান বানিয়ে দেবে। সমতা আসলে একে অপরের মনের সংকল্পকে সহজেই ক্যাচ করতে পারবে। এর জন্য কেবল সংকল্পের উপর কন্ট্রোলিং পাওয়ার চাই। নিজের সংকল্পের সাথে মিশ্রন যেন না হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top