23 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

23 June 2021 Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 22, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা — স্মরণের দ্বারা আত্মার মধ্যে জমে থাকা ময়লা দূর করতে থাকো, আত্মা যখন সম্পূর্ণ পবিত্র হবে তখনই ঘরে ফিরতে পারবে"

প্রশ্নঃ --

এই অন্তিম জন্মে বাবার কোন্ ডাইরেক্শন পালন করলে বাচ্চাদের কল্যাণ হবে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা – এই অন্তিম জন্মে বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করো। বুদ্ধিকে বাইরে ঘোরাঘুরি করিও না, বিষ ছেড়ে অমৃত পান করো। এই অন্তিম জন্মেই তোমাদের ৬৩ জন্মের অভ্যাসকে দূর করতে হবে, সেইজন্যই রাত-দিন পরিশ্রম (পুরুষার্থ) করে দেহী-অভিমানী হও ।

ওম্ শান্তি । শান্তিধাম হলো বিশ্রামপুরি । এই দুনিয়াতে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে । সবাই চায় নিজের সুখধামে যেতে। এই দুনিয়া আর ভালো লাগে না। স্বর্গকে দেখলে এই নরকের প্রতি ঘৃণা জন্মায়। বাচ্চারা বলে বাবা তাড়াতাড়ি কর , এই দুখধাম থেকে নিয়ে চল। বাবাও বোঝান — এটা তো ছিঃ ছিঃ দুনিয়া, এর নামই হলো ডেভিল (শয়তান) দুনিয়া, নরক । এটা কি একটা ভালো শব্দ? কোথায় দৈবী রাজ্য আর কোথায় ডেভিল বিশ্ব, এই ডেভিল দুনিয়ার প্রতি সবারই বিরক্তি এসে গেছে। কিন্তু ফিরে যেতে তো কেউ পারবেনা। তমোপ্রধানতার খাদ জমা হয়ে গেছে। এই খাদ আত্মা থেকে বের করার জন্য পুরুষার্থ করছ তোমরা। যে ভালো পুরুষার্থী, তার অবস্থা শেষে গিয়ে সুন্দর হয়ে উঠবে। এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। অল্প সময় বাকী আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাবা এসে না নিয়ে যাবেন ততক্ষণ কেউ-ই ফিরে যেতে পারবে না। এই দুনিয়া দুঃখে ভরা। ঘরেও কোনো না কোনো দুঃখ লেগেই থাকে। বাচ্চারা তোমাদের অন্তরে আছে বাবা আমাদের দুঃখ থেকে মুক্ত করতে এসেছেন। যার মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস আছে সে কখনোই বাবাকে স্মরণের কথা ভুলে যায় না। ওঁনাকে বলাই হয় সবার দুঃখ হরণকারী। বাচ্চারাই বাবাকে চিনেছে। যদি সবাই চিনে ফেলে তবে এতো অসংখ্য মানুষ কোথায় বসবে,এটা তো হতে পারে না। সেইজন্য ড্রামাও সেভাবেই রচনা হয়েছে। যে শ্রীমত অনুসারে চলে সেই উচ্চ পদ পেতে পারে, এটাও ঠিক যে সাজা খেয়েও শান্তিধাম অথবা পবিত্র দুনিয়াতে যাবে। কিন্তু উচ্চ পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে না ! পবিত্রতা ছাড়া পবিত্র দুনিয়াতে কেউ যেতে পারবে না। এই যে বলে থাকে অমুকে জ্যোতিতে লীন হয়ে গেছে, ফিরে গেছে – এ’তো হতে পারে না। যারা সর্বপ্রথম সৃষ্টিতে এসেছে লক্ষ্মী-নারায়ণ, তারাই ফিরে যেতে পারে না, সুতরাং আর কেউ কিভাবে ফিরে যেতে পারে? লক্ষ্মী-নারায়ণ এদেরও ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন ফিরে যাওয়ার জন্য তপস্যা করছে। সবাই এক বাবাকেই আহ্বান করে থাকে । ও গডফাদার, ও মুক্তিদাতা, গডফাদার হলেন দুঃখ হরণকারী এবং সুখ প্রদানকারী। কৃষ্ণ ইত্যাদি আরও যারা আছে তাদের তো আহ্বান করে না। খ্রীস্টান হোক, মুসলমান হোক সবাই ও গডফাদার বলে ডাকে। আত্মা আহ্বান করে — নিজের ফাদারকে। ফাদার বলে যখন জানে যে আমরা আত্মা। আত্মাও একটা বস্তু, যা বড় নয়, নক্ষত্রের মতো অতি সূক্ষ্ম। যেমন বাবার স্বরূপ তেমনই আত্মা। তোমরা এখন বাবার মহিমা করে বলে থাকো — তিনিই সত্য-চিত্ত, জ্ঞানের সাগর, আনন্দের সাগর । তোমাদের আত্মাও তাঁর মতো গুণবান হয়ে উঠছে। তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে, আর কোনো মানুষেরই এই জ্ঞান নেই। সম্পূর্ণ ভারত, সম্পূর্ণ বিদেশ খুঁজে এসো, কারো জানা নেই। আত্মা ৮৪ জন্মের ভূমিকা পালন করে থাকে। ৮৪ লক্ষ জন্মের তো কেউ বর্ণনাও করতে পারবে না। বাবা বলেন তোমরা নিজের জন্মকেই জানতে না, আমিই এসে শোনাই। এইসব শোনার পরেও পাথরবুদ্ধি সম্পন্নরা বোঝেনা যে ৮৪ লক্ষ জন্ম হলে কিভাবে শোনাবে ।

এখন তোমরা জানো আমরা ব্রাহ্মণ, ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে থাকি। ব্রহ্মাও ৮৪ জন্ম নিয়েছে, বিষ্ণুও ৮৪ জন্ম নিয়েছে। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা। লক্ষ্মী-নারায়ণই ৮৪ জন্ম নিয়ে তারপর ব্রহ্মা-সরস্বতী হয়। এটাও বোঝার বিষয়, তাইনা। বাবা বলেন প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আমি এসে বোঝাই। ৫ হাজার বছরের এই চক্র। এখন তোমরা বর্ণের রহস্যও বুঝেছ । হম সো -এর অর্থও বুঝেছ, আমরা আত্মারাই দেবতা হই, তারপর আমরা ক্ষত্রিয়, তারপর বৈশ্য এবং অবশেষে শূদ্র হয়ে যাই। এতো-এতো জন্ম নেবার পর আমরাই আবার ব্রাহ্মণ হই। ব্রাহ্মণদের এই একটাই জন্ম, সুতরাং এই জন্ম তোমাদের হীরে তুল্য ।

বাবা বলেন – তোমাদের শরীর এখন উত্তম, এই শরীরে তোমরা স্বর্গের উত্তরাধিকার পেতে পার সেইজন্যই এখন আর বিভ্রান্তিতে ছুটে বেড়িয়ো না। জ্ঞান অমৃত পান কর। বুঝেছ যে প্রকৃতপক্ষে আমরাই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি। তোমরা প্রথমে সত্যযুগে সতোপ্রধান ছিলে । তারপর সতঃ-তে পরিণত হয়ে পড়ো ।

এরপর রূপোর মিশ্রণে পরিণত হয়ে পড়ো। সম্পূর্ণ গণনা বোঝানো হয়েছে। গভর্নমেন্টও এখন সোনার সাথে খাদ মিশ্রণের কথা বলে । ১৪ ক্যারেট সোনা পড় এখন তোমরা। ভারতের মানুষ সোনার সাথে মিশ্রণ অশুভ মনে করে, যখন কোনো বিবাহ হয় তখন তারা আসল সোনা পড়ে। সোনার প্রতি ভারতবাসীদের অগাধ ভালোবাসা। কিন্তু কেন ? ভারতের কথা জিজ্ঞাসা কর’না । সত্যযুগে সোনার মহল ছিল, সোনার ইট ছিল। তোমাদের যেমন ইটের স্তূপ রয়েছে ঠিক তেমনই সোনা ও রূপার স্তূপ থাকবে। ওরা মায়া সম্পর্কে নাটক দেখায়। কোনো ব্যক্তি সোনার ইট দেখে ভেবেছিল, সেগুলো সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। যখন সেগুলো নিতে নেমেছিল দেখল কিছুই নেই। এর মধ্যে তাৎপর্য অবশ্যই কিছু আছে। কন্যারা বুঝতে পারে তারা আবার স্বর্গে যাচ্ছে। যদি তাদের স্বামী কষ্ট দেয় তবে তারা ভিতরে-ভিতরে কাঁদে। ভাবে কখন সুখধামে যেতে পারব। বলে থাকে বাবা তাড়াতাড়ি কর । বাবা বলেন – বাচ্চারা তাড়াতাড়ি কিভাবে করব , প্রথমে তোমরা যোগবল দ্বারা নিজের ময়লা তো বের কর ।যোগের যাত্রায় থাকো। বাবা তোমাদের ধৈর্য্য ধরতে শেখান। সবাই আহ্বান করে বাবাকে – হে পতিত-পাবন এসো। মহিমা করে বলে – সবার সদ্গতি দাতা একজনই। অকাসুর, বকাসুর এ’সব কথা এই সঙ্গম যুগের। এটা হলো আসুরি দুনিয়া। সুতরাং বাবা বসে বোঝান, আমি কল্পে-কল্পে সঙ্গম যুগে আসি ,যখন সম্পূর্ণ কল্প বৃক্ষ জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়।

তোমরা জান সত্যযুগে প্রতিটি জিনিস সতোপ্রধান হয়। এখানে এতো যে পশু-পাখি ইত্যাদি রয়েছে, এতো সব সত্যযুগে থাকবে না। বড় বড় মানুষদের চারপাশ অত্যন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে, তাদের বাসস্থানের পরিবেশ, আসবাবপত্র সবই খুব সুন্দর হয়। তোমরাও উচ্চ দেবতায় পরিণত হও। ওখানে কোনো ছিঃ ছিঃ বস্তু থাকতে পারে না। এখানে কত রকমের অসুখ, কত নোংরা চারদিকে হয়েই চলেছে। গ্রামে এতো নোংরা থাকে না। বড় বড় শহরে ভীষণ নোংরা কেননা অসংখ্য মানুষের বসবাস। থাকার জায়গা নেই। তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠো। মানুষ মহিমা করে থাকে ব্রহ্মা মহাবিশ্বে বিদ্যমান, বিষ্ণুও মহাবিশ্বে বিদ্যমান এবং নয় লক্ষ নক্ষত্রও মহাবিশ্বে বিদ্যমান। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু। বিষ্ণুর সাথে তারাও রয়েছে; যারা স্বর্ণযুগে দেব-দেবীতে পরিণত হয় এবং অল্প সংখ্যকই হয়। কল্প বৃক্ষ প্রথমে ছোট থাকে তারপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সত্যযুগে অল্প সংখ্যক দেবী-দেবতা তারা মিষ্টি নদীর পাড়ে বাস করবে। এখানে নদী থেকে অনেক খাল তৈরি হয়েছে। ওখানে কোনো খাল থাকবে না। সেখানে হাতে গোনা কিছু মানুষ থাকবে। গঙ্গা এবং যমুনা এই অল্প সংখ্যক মানুষের জন্য যথেষ্ট। তারা সবাই এই নদীর ধারেকাছেই বসবাস করবে। ৫ তত্ত্বও সেখানে দেবতাদের দাস হয়ে যায়। কখনোই অকাল বৃষ্টিপাত হয় না। নদীও কখনও উপচে পড়ে না। তার নামই যে স্বর্গ। মানুষ বলে থাকে স্বর্গের আয়ু লক্ষ বছরের। ঠিক আছে, তবে বল সেখানে কারা রাজত্ব করত ! কত গালগল্প ওরা বলে থাকে।

তোমরা জানো আমরা পূর্ব কল্পের মতোই ভূমিকা পালন করছি। এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে অনেক রকম অসুর বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, মানুষ মনে করে অসুররা উপর থেকে আবর্জনা এবং গোবর ইত্যাদি নিক্ষেপ করে। তা কিন্তু নয়। তোমরাও দেখছ কত বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। অবলাদের উপর কত অত্যাচার হয় তবেই তো পাপের ঘড়া পরিপূর্ণ হবে। বাবা বলেন – কিছু তো সহ্য করতে হবে। তোমরা বাবাকে আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে থাকো। মার খাওয়ার সময়ও বুদ্ধিতে স্মরণ কর শিববাবা। তোমাদের বুদ্ধিতে তো জ্ঞান আছে, কাউকে ফাঁসি কাঠে চড়াবার সময়ও পাদ্রি বলে থাকে গডফাদারকে স্মরণ কর। এমনটা বলবে না যে ক্রাইস্টকে স্মরণ কর। ইশারা গডের প্রতিই থাকে। তিনি এতো মিষ্টি যে সবাই তাঁকেই স্মরণ করে। আত্মাই আহ্বান করে। দেহী-অভিমানী হওয়ার মধ্যেই পরিশ্রম আছে। এত জন্ম তোমরা দেহ-অভিমানে ছিলে। এখন এই এক জন্মে ঐ অর্ধকল্পের অভ্যাস মিটিয়ে ফেলতে হবে। তোমরা জানো, দেহী-অভিমানী হতে পারলে আমরা স্বর্গের মালিক হতে পারব। কত উচ্চ প্রাপ্তি। সুতরাং দিন-রাত এই চেষ্টাতেই থাকা উচিত। মানুষ ব্যবসা ইত্যাদি কাজকারবারে কত পরিশ্রম করে। যখন তারা উপার্জন করে হুড়োহুড়ি করে না বা উদাস হয়না। কেননা ওতে অর্থ উপার্জনের সুখ আছে। ক্লান্ত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বাবাও (ব্রহ্মা) অভিজ্ঞ তাইনা। রাতে স্টীমার এলে মানুষ পণ্য কিনত। দোকানদার গ্রাহকদের পকেট খালি না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ত না। বাবা (শিববাবা)এমনই একজন অভিজ্ঞ রথ নিয়েছেন। এর সবকিছুর অভিজ্ঞতা আছে। তিনি ছিলেন ( ব্রহ্মা বাবার কথা বলা হয়েছে, যখন তিনি ব্রহ্মা হয়ে ওঠেননি) গ্রামের ছেলে। তিনি ১০ আনাতে ১ মণ শস্য বিক্রি করতেন। এখন দেখো তিনি বিশ্বের মালিক হতে চলেছেন। একদম গ্রাম্য ছিলেন। তারপর যখন অবস্থা ফিরল, সম্পূর্ণ জুয়েলারি ব্যবসায় ডুবে গেলেন। তখন কেবল জুয়েলারীরই কথা । বাবা ভাইসরয় ইত্যাদি মহলে এমনভাবে যেতেন যেন সেটা নিজের বাড়ি। এ’হল রাজকীয় ব্যবসা। আর একে বলে অবিনাশী জ্ঞান রত্ন। এই জ্ঞান যত বুদ্ধিতে ধারণ করবে ততই পদ্মপতি হয়ে উঠবে। শিববাবাকে বলা হয় সওদাগর, রত্নাকর । তাঁর মহিমা করা হয় তারপর বলে যে তিনি সর্বব্যাপী। মহিমা করার পর এতো গ্লানি করা হয়। ভক্তি মার্গে কী দুরবস্থা হয়ে গেছে। বাবা বলেন – যখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয়ে যায়, তখন ভক্তদের রক্ষা করতে বাবা আসেন। অতি ভক্তি কারা করে, এটাও প্রমাণ হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি ভক্তি তোমরা করে থাকো এবং তারাই এখানে এসে সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণ হয়। তারপর বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ করে থাকো পুনরায় পূজ্য হওয়ার জন্য। রাবণ পূজারী বানিয়েছে, বাবা পূজ্য করে তোলেন। এটাই ভগবানুবাচ। ভগবান একজনই। ২-৩ জন ভগবান হয়না। গীতা ভগবানের বলে মহিমা করা হয়েছে। শিব ভগবানুবাচের পরিবর্তে কৃষ্ণের নাম রাখা হয়েছে, সুতরাং কত পার্থক্য হয়ে গেছে। ড্রামা অনুসারে আবারও গীতায় নাম এভাবেই পরিবর্তিত হবে। তারপরেই আহ্বান করে বলবে হে পতিত-পাবন এসো। বাবা পবিত্র করে তোলেন, রাবণ পতিত করে ।সুতরাং বোঝার জন্য কতটা বৃদ্ধি থাকা চাই। শ্রীমত, শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ মত এক বাবাই দিয়ে থাকেন। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বর্গের মালিক বাবার শ্রীমতের আধারেই হয়েছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই একটা জন্মে ৬৩ জন্মের পুরানো দেহ-অভিমানের অভ্যাস মিটিয়ে ফেলার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। দেহী-অভিমানী হয়ে স্বর্গের মালিক হতে হবে।

২ ) এই হীরে তুল্য উত্তম জন্মে বুদ্ধিকে এদিক-ওদিক বিচরণ করতে দেওয়া উচিত নয়। সতোপ্রধান হতে হবে। অত্যাচারকে সহন করে বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নিতে হবে।

বরদানঃ-

সমস্ত শিক্ষার সার হল – প্রতিটি কর্ম যেমন ওঠা, বসা, চলাফেরা বা ঘুমানো সব কিছুকেই ফরিস্তা স্বরূপে দেখা। প্রতিটি কর্মের মধ্যে যেন অলৌকিকতা থাকে। কর্ম বা সংস্কারের মধ্যে যেন কোনো লৌকিকতা না থাকে। ভাবা, বলা আর করার মধ্য যেন সামঞ্জস্য থাকে। এমন নয় যে ভেবেছিলাম করব না কিন্তু করে ফেলেছি। যখন এই তিনটিই সমান এবং বাবার তুল্য হবে তখনই বলা হবে শ্রেষ্ঠ বা সর্বোত্তম পুরুষার্থী।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top