17 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

17 June 2021 Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 16, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা পারলৌকিক পিতাকে যথার্থ রূপে জানো, সেইজন্য তোমাদেরকেই সত্যিকারের প্রীত বুদ্ধি বা আস্তিক বলা হবে”

প্রশ্নঃ --

বাবার কোন্ কর্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে তিনি হলেন ভক্তদের রক্ষক?

উত্তরঃ -:-

সব ভক্তদের রাবণের জেল থেকে ছাড়ানো, ইনসলভেন্ট (ভিকারী) থেকে সলভেন্ট (সমৃদ্ধশালী) করে তোলা, এইটা হলো একমাত্র বাবার কর্তব্য। যারা পুরানো ভক্ত, তাদের ব্রাহ্মণ তৈরী করে দেবতায় পরিণত করা– এইটাই হলো ওঁনার রক্ষা করা। ভক্তের রক্ষক এসেছেন– নিজের সকল ভক্তদের মুক্তি-জীবনমুক্তি প্রদান করতে।

গান:-

ভোলানাথের থেকে অনুপম আর কেউ নেই…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এইটা কার মহিমা শুনলো? বলা হয়ে থাকে উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবান, আর ভগবানকেই বাবা বলা হয়। তিনিই হলেন এই সমগ্র রচনার রচয়িতা। যেমন লৌকিক বাবাও হলেন রচয়িতা- নিজের রচনার। প্রথমে কুমারীকে নিজের স্ত্রী করে আর তারপর তাকে দিয়ে নিজের রচনাকে রচিত করে। ৫ – ৭টি বাচ্চার জন্ম দেয়। তাদেরকে বলা হবে রচনা। বাবা হয়ে দাঁড়ালেন রচয়িতা। তিনি হলেন পার্থিব জগতের রচয়িতা। বাচ্চারা এইটাও জানে যে রচনার রচয়িতা বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। মানুষের তো দুইজন বাবা হয়ই। এক লৌকিক, দুই পারলৌকিক। বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে জ্ঞান আর ভক্তি হলো পৃথক, এরপর বৈরাগ্য। এই সময় তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা সঙ্গমে বসে আছো আর বাকি সবাই কলিযুগে বসে আছে। সবাই তো হলো বাচ্চা কিন্তু তোমরা অসীম জগতের বাবাকে জেনেছো, যিনি হলেন সমগ্র রচনার রচয়িতা। লৌকিক বাবা থাকা সত্ত্বেও সেই পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করে। সত্যযুগে লৌকিক বাবা থাকলেও পারলৌকিক বাবাকে কেউ স্মরণ করে না কারণ হলোই সুখধাম। সেই পারলৌকিক বাবাকে দুঃখে স্মরণ করে। এখানে অধ্যয়ন করানো হয়, মানুষের বোধ জাগৃত করা হয়। ভক্তি মার্গে মানুষ বাবাকেও জানে না। বলেও যে পরমপিতা পরমাত্মা, হে গড ফাদার, হে দুঃখ হরণকারী, সুখ দাতা। তবুও বলে দেয় সর্বব্যাপী। পাথরে, কণায়-কণায়, কুকুর, বিড়াল সবার মধ্যে আছে। পরমাত্মা বাবাকে গালি দিতে লেগে যায়। তোমরা বাবার হয়েছো, তাই তোমরা হয়ে গিয়েছো আস্তিক। বাবার সাথে তোমাদের হল প্রীত বুদ্ধি। এছাড়া বাবার সাথে সবার হলো বিপরীত বুদ্ধি। এখন তোমরা জানো যে মহাভারী লড়াইও সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। পুরানো দুনিয়ার বিনাশের জন্য প্রতি ৫ হাজার বছর পরে কলিযুগী পতিত দুনিয়া সম্পূর্ণ হয়ে আবার সত্যযুগী পবিত্র দুনিয়া স্থাপন হয়, বাবার দ্বারা। যাকেই স্মরণ করতে হয়– হে পতিত পাবন এসো। হে মাঝি (অর্থাৎ পারাপার করাতে সক্ষম যিনি) আমাদের এই বিষয় সাগর থেকে বের করে ক্ষীরসাগরে নিয়ে যাও। গান্ধীজীও গাইতেন– পতিত- পাবন সীতারাম– হে রাম সব সীতাদেরকে পবিত্র করে তোলো। তোমরা সবাই হলে এক-একজন সীতা, ভক্ত গণ। তিনি হলেন ভগবান, সকলে ওঁনাকে ডাকে। তিনি তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র করে তুলছেন। তোমাদের কোথাওই ধাক্কা খাওয়ান না। এইরকম বলেন না যে তীর্থে যাও, কুম্ভ-মেলাতে যাও। না, এই সব নদী কোনো পতিত-পাবনী না। পতিত- পাবন হলেন এক জ্ঞানের সাগর। সাগর বা নদীকে কেউ স্মরণ করে না। ডাকে বাবাকে, হে পতিত-পাবন বাবা আমাদের পবিত্র করো। এছাড়া জলের নদী গুলি তো সমগ্র দুনিয়াতে আছে, সেই সব কি আর পতিত-পাবনী! পতিত-পাবন একমাত্র বাবাকেই বলা হয়। তিনি যখন আসবেন তখন এসে পবিত্র করবেন। ভারতের মহিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত হলো সব ধর্মের তীর্থ স্থান। শিব-জয়ন্তীও এখানে পালিত হয়ে থাকে। সত্যযুগ তো হলো পবিত্র দুনিয়া, সেখানে দেবী-দেবতারা থাকেন। দেবতাদের মহিমার সুখ্যাতি করা হয়, সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ– চন্দ্রবংশীদের ১৪ কলা বলা হবে। তারপর সিঁড়ি নীচে নামতে থাকে। বাবা এসে সেকেন্ডে সিঁড়িতে উঠিয়ে শান্তিধাম-সুখধামে নিয়ে যান। তারপর ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামে। ৮৪ জন্ম কেউ তো নিয়ে থাকবে। মুখ্য হলো সর্বশাস্ত্রময়ী শিরোমণি গীতা, শ্রীমত ভাগবত মানে ভগবানের গাওয়া। কিন্তু ভগবান কাকে বলা হয়- এইটা পতিত মানুষ জানে না। পতিত-পাবন সকলের সদ্গতি দাতা হলেন এক নিরাকার শিবই, কিন্তু তিনি কখন আসেন, এইটা কেউ জানে না। বাবা নিজেই এসে নিজের পরিচয় দেন। এখন দেখো এই বালক- বালিকা দুইজন বাবা বলে। গাওয়াও হয় তুমি মাতা-পিতা– তোমাদের এই রাজযোগ শেখার ফলে গহন সুখ প্রাপ্ত হয়। তোমরা এখানে এসেই থাকো অসীম জগতের পিতার থেকে স্বর্গের ২১ জন্মের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য। এখন শিব জয়ন্তীও ভারতেই পালন করা হয়। রাবণও ভারতেই দেখানো হয়। কিন্তু অর্থ কিছুই জানে না। শিব হলেন আমাদের অসীম জগতের পিতা, এইটা একজনও জানে না, শুধুমাত্র শিবের পূজা করতে থাকে। যখন সমগ্র বৃক্ষ (সৃষ্টির) তমোপ্রধান হয়ে যায় তখন বাবা আসেন। নূতন দুনিয়াতে ভারত স্বর্গ ছিলো। ভারতেই সত্যযুগ ছিলো। ভারতেই এখন হলো কলিযুগ।

বাবা বোঝান সর্বপ্রথম তোমরা স্বর্গের মালিক ছিলে। এখন তোমরা ৮৪ জন্ম ভোগ করে নরকবাসী হয়েছ। এখন আমি তোমাদের রাজযোগের শিক্ষা দিয়ে মানুষ থেকে দেবতা, পতিত থেকে পবিত্র তৈরী করছি। ভক্তি অর্থাৎ ব্রহ্মার রাত। জ্ঞান অর্থাৎ ব্রহ্মার দিন। তোমরা অর্থাৎ ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা দিনে যাও। এই পুরানো দুনিয়াতে এখন আগুন লাগবে, সেই মতো মহাভারত লড়াই এর পরেই ভারত স্বর্গে রূপান্তরিত হয়ে যায়। অনেক ধর্ম বিনাশ হয়ে এক ধর্মের স্থাপন হয়। বাচ্চারা, তোমরা বাবার সহযোগী হয়ে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছো। তোমরা স্বর্গের মালিক হওয়ার যোগ্য হয়ে গেলে তখন আবার বিনাশ শুরু হয়ে যাবে। এই হলো শিববাবার জ্ঞান যজ্ঞ আবার শিব বলো বা রুদ্র বলো। কৃষ্ণ জ্ঞান যজ্ঞ কখনো বলা হয় না। সত্যযুগ ত্রেতাতে যজ্ঞ হয় না। যজ্ঞ তখন রচনা করা হয় যখন উপদ্রব হয়। চাল-ডাল না হলে বা লড়াই শুরু হলে তো যজ্ঞ রচনা হবে শান্তির জন্য। বাচ্চারা তোমরা জানো যে– বিনাশ না হলে তো ভারত স্বর্গ হতে পারবে না। ভারত মাতা শিব শক্তি সেনা গাওয়া হয়েছে। বন্দনা পবিত্রতারই করা হয়। তোমাদের অর্থাৎ মাতাদের বন্দেমাতরম্ বলা হয়, কারণ তোমরা শ্রীমত অনুযায়ী ভারতকে স্বর্গ তৈরী করেছো। এখন বাবা বলেন মৃত্যু তো সকলের মাথার উপর দন্ডায়মান, সেইজন্য এক জন্ম পবিত্র হও আর বাবাকে স্মরণ করো- তবে তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। এখন তোমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়ে আবার দেবতা হবে, এইটা কোনো নূতন ব্যাপার নয়। কল্প-কল্প প্রতি ৫ হাজার বছর পরে এই চক্র আবর্তিত হতে থাকে। নরক থেকে স্বর্গ তৈরী হয়। পতিত দুনিয়াতে মানুষ যা কিছু কর্ম করে সেইটা বিকর্মই হয়ে যায়। বাবা বলেন – ৫ হাজার বছর পূর্বেও তোমাদের কর্ম-অকর্ম-বিকর্মের গতি বুঝিয়েছিলাম। এখন আবার তোমাদের বোঝাচ্ছি। আমি হলাম পরমপিতা পরমাত্মা নিরাকার, তোমাদের বাবা। এই শরীর, যার আধার আমি নিয়েছি, ইনি কোনো ভগবান না। মানুষকে দেবতাও বলা যায় না। বাবা বোঝান তোমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করতে-করতে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে থেকেছো, উপরে কেউ যেতে পারে না। সবাই পতিত হওয়ার রাস্তাই বলে দেয়, নিজেরাও পতিত হতে থাকে। তাই বাবা বলেন তাদেরও উদ্ধার করতে আমাকে আসতে হয়। এই হলো রাবণ রাজ্য। তোমরা এখন রাবণ রাজ্য থেকে বেরিয়ে এসেছো। ধীরে ধীরে সকলে জানতে পারবে। ব্রাহ্মণ না হলে শিববাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে পারবে না। বাবা হলোই দুইজন। এক নিরাকারী বাবা, এক সাকার বাবা। উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় এক সাকার বাবার থেকে সাকার বাচ্চাদের আর তারপর নিরাকার অসীম জগতের পিতার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় নিরাকারী আত্মাদের। এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা জানো যে– মিষ্টি-মিষ্টি শিববাবার থেকে আমরা ২১ জন্মের জন্য সুখধামের উত্তরাধিকার নিতে এসেছি। বিশ্বের মালিক হচ্ছি যোগবলের দ্বারা। কোনো হাতিয়ার ইত্যাদি নেই। তাই বাবার সাথে যোগ যুক্ত হয়ে বিকর্ম বিনাশ করে বিষ্ণুপুরীর মালিক হই। এখন অমরলোকে যাওয়ার জন্য অমর কথা শুনছি। দুঃখের নামটুকুও নেই। বাচ্চারা, তোমরা এসেছো শ্রীমত অনুযায়ী চলে অসীম জগতের বাবার থেকে শ্রেষ্ঠতম দেবী-দেবতা হতে। এইটা কোনো শাস্ত্রের জ্ঞান না। দেখানো হয় বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মা বের হয়েছেন। তার হাতে আবার শাস্ত্র দিয়ে দেয়। বাবা বলেন- ব্রহ্মা দ্বারা আমি তোমাদের সমগ্র রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনাচ্ছি। আমিই হলাম জ্ঞানের সাগর। গাওয়াও হয় – জ্ঞান সূর্য প্রকাশিত হল, অজ্ঞান তিমির বিনাশ। সত্যযুগে অজ্ঞান হয় না।

সেই সত্যভূমি যখন ছিলো তখন ভারত হীরে তুল্য ছিলো, হীরে-জহরতের মহল তৈরী হতো। এখন তো মানুষের সম্পূর্ণ খাওয়ার জন্যও নেই। ইনসলবেন্ট বিশ্বকে আবার সলবেন্ট কে করবে! এইটা বাবারই কাজ। বাবার তো চিন্তা হয়। বলে যে তোমাদের রাজযোগ শেখাতে এসেছি। নর কে নারায়ণ, নারীকে লক্ষ্মী করে তুলি। ভক্তের রক্ষক হলেন একমাত্র বাবা। তোমাদের রাবণের জেল থেকে মুক্ত করে সুখধামে নিয়ে যাই। সমগ্র দুনিয়াতে যারা ব্রাহ্মণ হবে তারাই দেবতা হবে। ব্রহ্মার নামও সুখ্যাত– প্রজাপিতা ব্রহ্মা। তোমরা অর্থাৎ ব্রাহ্মণরা হলে সবচেয়ে উচ্চতম, তোমরা ভারতের সত্যিকারের আত্মিক সেবা করতে থাকো। বাবার স্মরণেই বিকর্ম বিনাশ হবে। স্বর্ণকারেরা জানে যে– সত্যিকারের সোনা, নকল সোনা কি করে তৈরী হয়। ওর মধ্যে রূপা-তামা-লোহা ঢালে। তোমরাও প্রথমে সতোপ্রধান ছিলে– এরপর তোমাদের মধ্যে খাদ পরে, তমোপ্রধান হয়ে রয়েছো। এখন আবার সতোপ্রধান হতে হবে, তাহলে সত্যযুগে যেতে পারবে। বাবা বলেন– কোনো দেহধারীকেই স্মরণ ক’রো না। গার্হস্থ্য জীবনে থেকে এক বাবা ব্যাতীত আর কাউকে স্মরণ না করলে তোমরা স্বর্গপুরীর মালিক হয়ে যাবে। স্বর্গ অথবা বিষ্ণুপুরী ছিলো, এখন হলো রাবণপুরী। আবার অবশ্যই বিষ্ণুপুরী হবে। সাধু-সন্ত ইত্যাদি সকলের উদ্ধার করতে এসেছি, তাই তো বলা হয় – যদা যদা হি ধর্মস্য… এইটা ভারতেরই কথা। সকলের সদ্গতি দাতা হলাম একমাত্র আমি এক বাবা, শিব। শিব, রুদ্র সব ওঁনারই নাম, অনেক নাম রেখে দিয়েছে। বাবা বলেন- আমার আসল নাম তো হলো একই শিব। আমি হলাম শিব, তোমরা হলে শালিগ্রাম বাচ্চারা। তোমরা অর্ধ-কল্প দেহ- অভিমানী থেকেছো। এখন দেহী- অভিমানী হও। এক বাবাকে জানলে বাবার দ্বারা তোমরা সব কিছু জেনে যাও । আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শ্রীমতে চলে শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতর দেবতা হতে হবে। সমগ্র বিশ্বের জন্য সত্যিকারের আত্মিক সেবা করতে হবে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনাতে সম্পূর্ণরূপে বাবার সহায়ক হতে হবে।

২ ) আত্মাকে সত্যিকারের সোনা বানানোর জন্য এক বাবাকে ছাড়া কোনও দেহধারীকে স্মরণ করবে না। পারলৌকিক বাবার সাথে সত্যিকারের প্রীতি রাখতে হবে।

বরদানঃ-

যখন কোনও নতুন শক্তিশালী কিছু আবিষ্কার করে তখন আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়। তোমরাও যত অন্তর্মুখী অর্থাৎ আন্ডারগ্রাউন্ড থাকবে, ততই বায়ুমন্ডল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে, মননশক্তি বৃদ্ধি হবে আর মায়ার বিঘ্ন থেকেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে। বাহিরমুখী হওয়ার সময়েও অন্তর্মুখী, হর্ষিতমুখ, আকর্ষণমূর্তি থাকো। কর্ম করার সময়েও এইরকম অভ্যাস করো তাহলে সময়ও অনেক বেঁচে যাবে আর সফলতাও অধিক অনুভব করবে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য - “মানুষ সাক্ষাৎকারে কীভাবে যায় ?”

এই যে সাক্ষাৎকারে যায়, তো এর ফিলোসোফিও অত্যন্ত সূক্ষ্ম। অন্তঃবাহক শরীরের দ্বারা সেখান থেকে ঘুরে আসে। যেরকম কেউ বাহিরে ঘুরতে যায়, সেইরকম। এমন ভাবে তো ঘুরতে বেড়াতে যাবে না যে মরে গেল (আর যেন ফিরবে না), ফিরে তো আসবে, তাই না ! তো এক্ষেত্রেও আত্মা এই শরীর থেকে বেরিয়ে অন্তঃবাহক শরীরের দ্বারা ঘুরতে যায়, অল্প সময়ের জন্য এনার আত্মা উড়ন্ত বিহঙ্গ হয়, এটাও হল পরমাত্মার কাজ, যিনি সেই আত্মাকে নিয়ে গিয়ে দিব্য দৃষ্টির দ্বারা তাকে সাক্ষাৎকার করান। যেরকম রাতে আমরা যখন শরীর থেকে পৃথক আত্মা হয়ে সুখ-পথ অথবা স্বপ্নের অবস্থায় চলে যাই, তখন সেইসময় শরীর শান্ত থাকে, তখন দেহ আর দেহের ধর্মকে ভুলে যাই কিন্তু এইরকম নয় যে কোনও শরীর মারা গেল ! পুনরায় যখন জাগরিত অবস্থায় আসে, তখন সেই রাতের স্বপ্নের অবস্থা বর্ণনা করে শোনায়! সেইরকম পরমাত্মার সাথে যোগ লাগানোর ফলে পরমাত্মা পুনরায় দিব্য দৃষ্টির দ্বারা আত্মাকে বেড়াতে নিয়ে যান। তারপর যখন ধ্যান থেকে ওঠে, তখন সে যে সাক্ষাৎকার করে আসে, সেটাই পুনরায় বর্ণনা করে শোনায় যে আমি এটা দেখে এসেছি। তো সেই স্বপ্ন রজোগুণ বা তমোগুণও হয়ে থাকে, আর এই ধ্যান হল সতোগুণী অবস্থা। তাই ধ্যান করার সময় শরীর মারা যায় না, শরীরের বোধ লুপ্ত হয়ে যায়। যেরকম ক্লোরোফর্ম দেওয়ার পর শরীরের বোধ ভুলে যায়, দেখো, ডাক্তার যখন কোনও অঙ্গকে ডেড (অবশ) করে দেয় তখন ইনজেকশন লাগিয়ে ডেড করে দেয় কিন্তু অন্যান্য ইন্দ্রিয় তো সচল থাকে, তো ধ্যানও এইরকম যে আত্মা উড়ে গিয়ে কোনও জায়গা পরিদর্শন করে আসে, কিন্তু শরীর মারা যায় না, এখন এই দড়ি টানার স্মৃতিও পরমাত্মার মধ্যেই আছে, কোনও মনুষ্য আত্মাতে নেই। আচ্ছা। ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top