16 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen BK Murli Of 16 June 2021 in Bengali Murli Today | Daily Murli Online

June 15, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা — তোমাদের কাছে জ্ঞান রত্নের অফুরন্ত সম্পদ আছে, তোমরা তা দান কর, তোমাদের দরজা থেকে কারো ফিরে যাওয়া উচিত নয়"

প্রশ্নঃ --

সর্ব সম্বন্ধের স্যাকারিন (মিষ্টি) বাবা তাঁর বাচ্চাদের কোন্ শ্রীমত দিয়ে থাকেন ?

উত্তরঃ -:-

 মিষ্টি বাচ্চারা — নিজের বুদ্ধিযোগ সবদিক থেকে সরিয়ে এনে এক আমাকেই স্মরণ কর। দুনিয়ার কোনো বস্তু, মিত্র, সম্পর্ক কেউ-ই যেন স্মরণে না আসে, কেননা এই সময় সবাই দুঃখ দেবে। বিশ্বের মালিক হতে গেলে অবশ্যই ৬৩ জন্মের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফেলার জন্য পরিশ্রম (পুরুষার্থ) করতে হবে। সবকিছু ভুলে অশরীরী হও তবেই হিসেব-নিকেশ মিটবে, আমিই হলাম সর্ব সম্বন্ধের স্যাকারিন।

ওম্ শান্তি । বাপদাদা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন কার স্মরণে বসেছ ? (শিববাবার) বলিষ্ঠ আওয়াজের সাথে বলা উচিত — শিববাবার স্মরণে বসেছি। তোমরা বাচ্চারা অর্থাত্ আত্মাদের সাথে শিববাবার কানেকশন আছে। তোমরা শিববাবার হও ব্রহ্মার দ্বারা, এনার মাধ্যমেই তোমরা শিববাবার সাথে মিলিত হও। এনাকে মাঝখানে দালালও বলা যেতে পারে। দালালের সাথে তোমাদের কোনো কানেকশন নেই। ইনি শুধুমাত্র একজন মাধ্যম। সবারই লেন-দেন সব শিব বাবার সাথে, এনার সাথে নয়। এনার লেন-দেনও বাবার সাথে। ইনিও বাবাকে বলেন ‐ বাবা আমার যা কিছু সব তোমার। তোমাদের তো এখন দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে আমরা আত্মা আর দ্বিতীয় বিশ্বাস এটাই যে আমরা আত্মারা পরমপিতা পরমাত্মার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। মনসা-বাচা-কর্মণা, তন-মন-ধন সর্ব কিছু দিয়ে আমরা শিববাবার সহযোগী হয়েছি। সবকিছুই শিববাবার কাছে অর্পণ করেছি। শিববাবা তারপর ডিরেকশন দেন— এইভাবে-এইভাবে কর। একেই বলে শ্রীমত। বাবা স্বয়ং বলেন এই পুরানো শরীরে আমি প্রবেশ করি। এ’ও পতিত থেকে পাবন হচ্ছে। কে বলছেন এই কথা ? শিববাবা বলছেন। এ’ও পবিত্র হচ্ছে। এর সাথেও আমার হিসেব-নিকেশ আছে। আর কারো সাথে এর (ব্রহ্মা) হিসেব -নিকেশ নেই। তোমরা চিঠিও লিখে থাকো — শিববাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মা । কিন্তু মায়া এমনই যে নিরন্তর স্মরণে থাকতে দেয় না। প্রতি মূহুর্তে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে দেয়। এর উপরেই যদি তীব্র পুরুষার্থ কর তবে অন্য সবকিছুই ভুলে যাবে। শরীর ও ভুলে যাবে। এই শরীর তো থাকবে কিন্তু আত্মার এই শরীরের প্রতি ঘৃণা জন্মাবে। এমন অবস্থা প্রাপ্ত করার জন্য অভ্যাস করতে হবে। যাতে শেষে গিয়ে শরীরও স্মরণে না আসে। বাবা বলেন — নিজেকে অশরীরী মনে করে বাবাকে স্মরণ কর। আমি সবসময়ের জন্য অশরীরী, তোমরাও অশরীরী ছিলে, তারপর তোমরা শরীর ধারণ করে ভূমিকা পালন করে আসছ। এখন আবারও তোমাদের ভূমিকা পালন করতে হবে, এটাই পুরুষার্থ। বিশ্বের মালিক হওয়া কিন্তু যেমন তেমন বিষয় নয়। মানুষই পারে বিশ্বের মালিক হতে। এই দেবতারাও মানুষ কিন্তু তারা দৈবীগুণ সম্পন্ন এইজন্যই তাদের দেবতা বলা হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক ছিলেন, তাদের নিজেদের সন্তান, তারাই ওদের মা-বাবা বলে মানে। কিন্তু আজকাল মানুষ অন্ধশ্রদ্ধায় এই লক্ষ্মী-নারায়ণকেই তুমিই মাতা, তুমিই পিতা….. বলে থাকে। বাস্তবে এই মহিমা শুধুমাত্র শিববাবার। দেবতাদের জন্য মহিমা করে বলা হয় সর্বগুণসম্পন্ন…. কিন্তু তাদের পূজা কেন করে, কারো জানা নেই। তোমরা এখন এমন মহিমা করে বলবে না যে, তুমিই মাতা, তুমিই পিতা….. তোমরা জান শিববাবা নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা। তাঁর কাছ থেকেই অতীব সুখ পাওয়া যায়। বাদবাকি যা কিছু সম্পর্ক ইত্যাদি আছে সেখান থেকে দুঃখই পাওয়া যায়। ইনিই একমাত্র স্যাকারিন, যাঁর কাছ থেকে সর্ব সম্বন্ধের অনুভব হয়ে থাকে। সেইজন্যই বাবা বলেন মামা, কাকা ইত্যাদি সম্পর্ক থেকে বুদ্ধিকে সরিয়ে নিয়ে মামেকম্ স্মরণ করো। তোমরা গেয়েও থাকো দুখ হর্তা, সুখ কর্তা ….সবার সদ্গতি দাতা একজনই। তিনিই আমাদের সবকিছু। লৌকিক পিতার কাছ থেকেও দুঃখ পেতে হয়। একজনই টিচার যিনি কাউকেই দুঃখ দেন না। টিচারের কাছে তোমরা পঠন-পাঠন করে শরীরের জন্য জীবিকা নির্বাহ করে থাকো। এছাড়াও কিছু আছেন যারা নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ করে তোলেন। কিন্তু সবই অল্প সময়ের জন্য। ভক্তিতেও এক রাম অথবা পরমপিতার মহিমা করে থাকে, তাঁকেই স্মরণ করে। বাস্তবেও ভক্তি একজনকেই করা উচিত। তিনি একজনই যিনি তোমাদের পূজ্য করে তোলেন। তোমরা সর্বপ্রথম এক শিববাবাকেই পূজা করে থাকো। তাকে সতোপ্রধান ভক্তি বলা হয়। তারপর আত্মা সতোপ্রধান থেকে সতো, রজো, তমোতে পরিণত হয়। তোমরা জেনেছ আমরাই পূজারী হই। তোমরা প্রথমে শিববাবাকেই পূজা কর তারপর কলা হ্রাস পেতে শুরু করে। ভক্তিও সতোপ্রধান থেকে সতো, রজো, তমো হয়ে যায়। সম্পূর্ণ ড্রামা তোমাদের কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে। নিজেরাই পূজ্য নিজেরাই পূজারী, যারা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করে তাদের কাহিনী। তাদেরই বাবা বসে বোঝান — তোমরা ৮৪ জন্ম কিভাবে গ্রহণ করেছ। হিসেবও তাদের জন্যই, যারা প্রথমে পূজ্য দেবী-দেবতা থেকে পূজারী হয়ে ওঠে। বাবা বলেন — আমি কল্পে-কল্পে এসে তোমাদের ঈশ্বরীয় জ্ঞান প্রদান করে দেবতা ধর্মের স্থাপনা করি, রাজযোগ শিখিয়ে থাকি।

গীতায় ভুল করে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লেখা হয়েছে। ভগবান একজনই হন। ভক্তি মার্গে ওরা বলে প্রতিটি নুড়ি পাথরে উনি আছেন কিংবা প্রতিটি কণায় আছেন, কিন্তু এমনটা তো হতে পারে না। ভগবানের মহিমা অপরিমেয়। ওরা বলে — হে পিতা তোমার মত অনন্য এর অর্থ হলো তোমরা তাঁর কাছ থেকে যে শ্রীমত পেয়ে থাকো তা সবকিছু থেকেই ভিন্ন। বাবাকে বলাই হয় গতি – সদ্গতি দাতা পরমপিতা পরমাত্মা, সুতরাং বুদ্ধি উপরেই যায় । দুঃখের সময় তাঁর কথাই স্মরণে আসে। যদি রাম-সীতা বুদ্ধিতে থাকে তবে তো সম্পূর্ণ রামায়ণ বুদ্ধিতে এসে যাবে। তোমরা ডাক ঐ এক বাবাকে। এক বাবা ছাড়া কোনও দেহধারী মানুষ বা আকারী দেবতার প্রতি বুদ্ধি যুক্ত করা উচিত নয়। বাবাই হলেন পতিত-পাবন। যে কোনো সত্সঙ্গে গাওয়া হয় পতিত-পাবন সীতারাম, অর্থ কিছুই জানা নেই। এ’সবই হলো ভক্তি মার্গের গায়ন। সবাই এখন রাবণের জেলে। ভক্তি মার্গে অসংখ্য মানুষ ঘুরে বেড়ায়। এখানে ঘোরাঘুরির কোনও প্রশ্নই আসে না। বাবা বোঝান, পয়েন্টস গুলো বাচ্চাদের যথার্থ রীতিতে ধারণ করা উচিত। নিয়মিত ভাবে ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করা উচিত। যদি কোনো কারণে সকালে সেন্টারে আসতে না পার তবে দুপুরে আসা উচিত। কাউকে বিরক্ত করা উচিত নয়। যে কোনও একটা সময় এসে পড়াশোনা করতে হবে। এই বাচ্চারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সার্ভিস করে। সারাদিন সার্ভিস স্টেশন খোলা থাকে। যে কেউ আসুক না কেন, তাকে পথ বলে দিতে হবে। প্রথমেই বলতে হবে — তোমাদের দুই পিতা। দুঃখের সময় পারলৌকিক পিতাকেই স্মরণ করে তাইনা। শিববাবা বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো। মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এখনই সেই মহাভারতের লড়াই। যদি লক্ষপতি, কোটিপতিরা বড়ো-বড়ো বাড়ি ইত্যাদি তৈরি করে থাকে, সে’সব কিছুই থাকবে না। সব ধ্বংস হয়ে যাবে । ওরা মনে করে কলিযুগের আয়ু লক্ষ বছরের। একেই বলে ঘোর অন্ধকার। কারো কাছে টাকা থাকলে বাবাকে জিজ্ঞাসা করে বাড়ি তৈরি করব ! বাবা বলেন তোমার কাছে পয়সা আছে তো বানাও, টাকা পয়সাও তো মাটিতে মিশে যাবে। এ’সবই অস্থায়ী। টাকা পয়সা ও চলে যাবে, কিছুই থাকবে না, সুতরাং বাড়ি তৈরি করে গীতা পাঠশালার ব্যবস্থা করতে পার। তোমার দরজায় যে কেউ-ই আসুক না কেন তাকে এমনই ভিক্ষা দিয়ে বিশ্বের মালিক করে তোল। তোমাদের কাছে অগাধ জ্ঞানের ধন আছে, যা কারো কাছেই নেই। তোমাদের মধ্যেও বিত্তবান সেই যার বুদ্ধি জ্ঞানের রত্নে পরিপূর্ণ। তোমাদের কাছে যারা আসবে তাদের ঝুলি পরিপূর্ণ করে দাও। তোমাদের কাছে অগাধ ধন আছে। শুধু একটা বোর্ড লাগিয়ে তার মধ্যে লেখ ভিতরে এসো আমরা তোমাদের স্বর্গের স্থায়ী সুখের উত্তরাধিকার দাবি করার পথ বলে দেব। তবে বাচ্চাদের এই ঈশ্বরীয় নেশা নেই। এখানে এলে নেশা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু বাইরে যাওয়ার সাথে-সাথে ভুলে যায়। আগ্রহ থাকা উচিত। কেউ এলেই তাকে পথ বলে দাও যাতে বেড়া ( কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া) পার হয়ে যায়। কোনো ভিখারি আসুক বা লক্ষপতি আসুক তাদেরও তোমরা রত্ন দ্বারা ভরপুর করে দিতে পার। বাবা তোমাদের ঈশ্বরীয় নেশা বৃদ্ধি করেন তারপর আবার সোডা-ওয়াটার হয়ে যায়। বাবা অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দ্বারা তোমাদের ঝুলি ভর্তি করে দেন। কিন্তু নম্বরানুসারে। কারো ভাগ্যে থাকলে সম্পূর্ণ রীতিতে ধারণ করে থাকে। বাবা বলেন — নিরন্তর স্মরণে থাকতে চেষ্টা কর। এমন নয় যে সেন্টারে গিয়ে এক জায়গায় বসে থাকতে হবে। তা নয়, চলতে-ফিরতে যখনই সময় পাওয়া যায় বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এক হাতে কর্ম করতে হবে আর মন অর্থাত্ বুদ্ধি যেন বাবার সাথে জুড়ে থাকে। বাবার স্মরণে থাকলে তোমাদের প্রভূত কল্যাণ হবে। ২১ জন্মের জন্য সাহুকার হয়ে যাবে। অসীম জগতের পিতা অসীম উত্তরাধিকার প্রদান করেন। ভারত স্বর্গ ছিল, এখন নরক হয়ে গেছে।

বাবা বলেন — আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের আত্মা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। বাবাকে স্মরণ করলে ঈশ্বরীয় নেশা বৃদ্ধি পাবে। তোমাদের মতো ধনবান সৃষ্টিতে কেউ নেই। বাবাকে স্মরণ না করলে ধন কোথা থেকে আসবে। স্বর্গে বাচ্চারা তোমরা অপার সুখে থাকো। শাস্ত্রে কত গল্পকথা লিখেছে । গাওয়াও হয়ে থাকে রাম রাজা, রাম প্রজা…ধর্মের উপকার হয় এতে । তারপর আবার বলে রামের সীতাকে হরণ করা হয়েছে, বানর সেনা নেওয়া হয়েছে….আগে এই কাহিনী নিজেরাও পড়তে কিন্তু বুঝতে না। এখন কত বিচক্ষণতার সাথে বুঝতে পেরেছ। কত চমকপ্রদ বিষয়। বাবা বলেন — আমাকে প্রকৃতির আধার নিতে হয়। ত্রিমূর্তিতেও ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে দেখানো হয় । কিন্তু জানে না কে এই বিষ্ণু, কোথায় তাঁর নিবাস। বিষ্ণু মন্দিরকে নর-নারায়ণের মন্দির বলে থাকে। অর্থ কিছুই জানে না। বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ, যারা সত্যযুগে রাজত্ব করত। এখন তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছ। কেউ আসলে তাদের বল এরা ব্রহ্মাকুমার-কুমার-কুমারী। সুতরাং প্রজাপিতা ব্রহ্মা সবার পিতা। অসংখ্য প্রজা তাঁর। নাম তো শুনেছ না ! ভগবান ব্রহ্মা দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা করেন। বাবা নিশ্চয়ই তাঁর বাচ্চাদের উত্তরাধিকার দিয়ে থাকেন তাইনা। বাচ্চারা তিনি তোমাদের বিশ্বের মালিক করে তোলেন। তোমরা শিববাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ কর। এক হলেন লৌকিক পিতা, দ্বিতীয় জন পারলৌকিক পিতা। এখন তোমরা অলৌকিক পিতাকে পেয়েছ।

ইনি (ব্রহ্মা বাবা ) তো জহুরী ছিলেন, কিছুই জানতেন না। এনার জন্য বলা হয় অনেক জন্মের পর অন্তিম জন্মেরও শেষে এনার মধ্যে প্রবেশ করি। বাণপ্রস্থে যাওয়ার রীতিও ভারতে আছে। ৬০ বছরের পর গুরুর কাছে চলে যায়। বাবাও এনার মধ্যে প্রবেশ করে বলেন এবার তোমাকে ঘরে ফিরতে হবে। মুক্তি সবাই চায় কিন্তু মুক্তি কি কেউ-ই জানে না। ব্রহ্মতে লীন কেউ হতে পারে না। এই সৃষ্টি চক্র ঘুরতেই থাকে, সবাইকেই ভূমিকা পালন করতে হবে। বলাও হয়ে থাকে ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী রিপিট হবে। এই অনাদি ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত। ৮৪ জন্মের ভূমিকা তোমাদের পালন করতেই হবে। এ’হলো জ্ঞানের নৃত্য। ভক্তি মার্গে ডমরু দেখিয়েছে। সূক্ষ্মবতন বাসী শঙ্কর ডমরু কিভাবে বাজাবে ।

বাবা বুঝিয়েছেন — তোমরা বানরের মতোই ছিলে। সুতরাং তিনি তোমাদের বানর সেনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাবা তোমাদের সামনে জ্ঞানের ডমরু বাজিয়ে চলেছেন। তোমাদের জ্ঞান প্রদান করছেন। এখন তোমাদের চেহারা আর আচরণ দুই-ই পরিবর্তন হচ্ছে। কাম চিতায় বসে তোমরা কালো হয়ে গেছ। বাবা তোমাদের জ্ঞান চিতায় বসিয়ে চেহারা আর আচরণ দুইয়েরই পরিবর্তন ঘটিয়ে শ্যাম থেকে সুন্দর করে তুলছেন। বাবা কতভাবে ঈশ্বরীয় নেশা বৃদ্ধি করিয়ে থাকেন তারপরও নেশা কেন হারিয়ে যায়! আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবা যে অফুরন্ত জ্ঞানের ধন তোমাদের প্রদান করেছেন, তাকে ধারণ করে নিজেকে বিত্তবান করে তুলতে হবে এবং সবাইকে দানও করতে হবে। যেই আসুক না কেন তারই ঝুলি পরিপূর্ণ করে দিতে হবে।

২ ) বাবার স্মরণেই কল্যাণ হবে, সেইজন্য চলতে -ফিরতে যতটুকু সম্ভব বাবার স্মরণে থাকতে হবে। সর্ব সম্বন্ধের অনুভব এক বাবার কাছ থেকেই নিতে হবে।

বরদানঃ-

ভক্তি মার্গে দেখানো হয় বৃক্ষের নীচে বসে তপস্বী তপস্যা করছে। এর মধ্যেও রহস্য আছে। বাচ্চারা তোমাদের নিবাস এই সৃষ্টি রূপী কল্প বৃক্ষের শিকড়ে। বৃক্ষের নীচে বসলে সম্পূর্ণ বৃক্ষের নলেজ বুদ্ধিতে স্বাভাবিক ভাবেই থেকে যায়। সুতরাং সম্পূর্ণ বৃক্ষের নলেজ স্মৃতিতে রেখে সাক্ষী হয়ে এই বৃক্ষকে দেখো। তবেই এই নেশা, খুশি দেবে আর এর মাধ্যমে আত্মা রূপী ব্যাটারিও চার্জ হয়ে যাবে। তারপর সেবা করতে -করতেও তপস্যা সাথে-সাথে থাকবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top