14 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen BK Murli Of 14 June 2021 in Bengali Murli Today | Daily Murli Online

June 13, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবার সঙ্গে-সঙ্গে তখনই চলতে পারবে যখন এই পুরোনো জগৎ থেকে অসীম জগতের বৈরাগ্য আসবে"

প্রশ্নঃ --

ঈশ্বর সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও ওঁনার রচিত যজ্ঞে বিঘ্ন কেন ঘটে ?

উত্তরঃ -:-

কারণ রাবণ ঈশ্বর অপেক্ষা তীক্ষ্ণ(উগ্র)। তার রাজ্য যখন ছিনিয়ে নেওয়া হবে অবশ্যই তখন সে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেই। ড্রামানুসারে শুরু থেকে এই যজ্ঞে বিঘ্ন ঘটেই এসেছে, আর ঘটবেও। আমরা অপবিত্র দুনিয়া থেকে পবিত্র দুনিয়ায় ট্রান্সফার হতে চলেছি তাহলে অপবিত্র মানুষেরা অবশ্যই বিঘ্ন সৃষ্টি করবে।

গান:-

ও দূরের পথিক…..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা গানের লাইন শুনেছে। যেমন বেদ-শাস্ত্রাদি ভক্তিমার্গের পথ বলে দেয় তেমনই গানও সামান্যতম পথের দিশা দেখায়। ওরা তো কিছুই বোঝে না। শাস্ত্রের কথা ইত্যাদি শোনা, তা যেন হলো কানরস (শ্রুতিমধুর)। এখন বাচ্চারা জানে — দূরদেশের পথিক (মুসাফির) কাকে বলা হয়। আত্মা জানে — আমরাও দূরদেশের মুসাফির, আমাদের ঘর শান্তিধাম। এ’সমস্ত কথাই যদি মানুষ না বোঝে তবে তো তারা কিছুই বোঝে না। বাবাকে না জানার কারণে সৃষ্টি-চক্রকেও কেউ জানে না। এই(ব্রহ্মা) আত্মা বোঝে যে, শিববাবা বলেন — আমি অস্থায়ীভাবে (টেম্পোরারিলী) জীবাত্মা হই, তুমি হলে স্থায়ী জীবাত্মা। আমি কেবল সঙ্গমেই অস্থায়ী জীবাত্মা হই। সেও তোমাদের মতন নই। আমি এই জীবের(শরীর) মধ্যে প্রবেশ করি, নিজের পরিচয় দেওয়ার জন্য। তা নাহলে তোমরা পরিচয় কিভাবে পাবে ? বাবা বুঝিয়েছেন — আধ্যাত্মিক পিতা একজনই, যাঁকে শিববাবা অথবা ভগবান বলা হয়। অন্য কেউ জানে না। এরমধ্যেই পবিত্রতার বন্ধনও রয়েছে। সর্বাপেক্ষা বড় বন্ধন হলো নিজেকে আত্মা মনে করা। যে দূরের মুসাফির, পতিত-পাবনকে ভক্তিমার্গে স্মরণ করে। সে-ই আধ্যাত্মিক পিতা বোঝান যে, আমি সকলকে নিয়ে যাবো। কাউকে ফেলে যাব না, সকলকেই তো ফিরে যেতে হবে। প্রলয়ও হবে না। ভারত ভূখন্ড তো থাকবেই। ভারত ভূখন্ডের বিনাশ কখনই হয় না। সত্যযুগ ইত্যাদিতে কেবল ভারত ভূখন্ডই থাকে। কল্পের সঙ্গমে যখন বাবা আসেন তখন তাঁকে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে হয়। বাকি সমস্ত ধর্ম বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে যাবে। তোমরাও আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে সহায়তা প্রদান করছো। তাহলে গানও শুনেছো — বলা হয় যে আমাদেরও সঙ্গে করে নিয়ে চলো। বাবা বলেন — এইভাবে সাথে কেউ যেতে পারে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের পুরোনো দুনিয়ার থেকে বৈরাগ্য আসে। নতুন বাড়ী যখন নির্মিত হয় তখন পুরোনোর থেকে মন(হৃদয়) সরে যায়। তোমরাও জানো যে এই পুরোনো দুনিয়া বিনাশপ্রাপ্ত হবে। এখন নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সতোপ্রধান হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সতোপ্রধান দেবী-দেবতা হতে পারবে না সেইজন্য বাবা বারংবার বুঝিয়ে থাকেন — নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। সদ্গতি প্রদাতা, দূরের মুসাফির হলেন একজনই, যিনি এসেছেন। ওঁনাকে দুনিয়া জানে না। সর্বব্যাপী বলে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চারা, এখন তোমরা পুরুষার্থের নম্বরের অনুক্রমে জেনেছো যে আমরা শিববাবার সন্তান। এসেই বুঝতে পারে যে আমরা বাপদাদার কাছে যাই, তাহলে এ হলো একটি পরিবার। এ হলো ঈশ্বরীয় পরিবার। কারোর যদি অধিক সন্তান হয় তবে হয়ে যায় বড় পল্টন (ফৌজ)। শিববাবার সন্তান, অর্থাৎ এত যে বি.কে. ভাই-বোন রয়েছে, এও তো হয়ে গেল বড় পল্টন। ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা সব জানে — আমরা অসীম জগতের পিতার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। শাস্ত্রতে দেখানো হয়েছে — পান্ডবরা এবং কৌরবরা খেলা খেলেছে। রাজত্ব বাজী রেখেছিল। এখন রাজত্ব না কৌরবদের, না পান্ডবদের। মুকুটাদি কিছুই নেই। দেখানো হয়েছে, তাদের শহর(রাজ্য) থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। অস্ত্র-শস্ত্রাদি গিয়ে লুকিয়ে রেখেছিল। এ’সবই হলো লোক-কথা। না পান্ডব-রাজ্য রয়েছে, না কৌরব-রাজ্য রয়েছে। না তাদের পরস্পরের মধ্যে লড়াই-ঝগড়া হয়েছে। যুদ্ধ তো রাজাদের মধ্যে হয়ে থাকে। এ’রা হলো ডাই-ভাই। লড়াই হয়েছিল কৌরব আর যবনদের মধ্যে। তাছাড়া ভাই-ভাই একে-অপরকে কিভাবে মারতে পারে। দেখানো হয়েছে যে পান্ডব, কৌরবে যুদ্ধ হয়েছে। বাকি ৫ জন পান্ডব বেঁচে যায় আর একটি কুকুর। তারাও সকলে পাহাড়ে গিয়ে গলে মারা যায়। খেলাই শেষ। রাজযোগের কোন অর্থই বেরিয়ে আসে না। বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, বাবা প্রতি কল্পে এসে এক ধর্মের স্থাপনা করেন। আহ্বানও করা হয় — হে পতিত-পাবন বাবা এসো, এসে পতিত থেকে পবিত্র করো। সত্যযুগে সূর্যবংশীয় রাজধানীই হয়। ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরী স্থাপিত হচ্ছে। এখন বাবা এসেছেন, ওঁনার ডায়রেক্শন অনুসারেই চলতে হবে। কমলপুষ্পের মতো পবিত্র হয়ে থাকতে হবে। কন্যাদের তো বলা হবে না যে গৃহস্থী জীবনে থেকেও কমলপুষ্প-সম হয়ে থাকো। তারা তো পবিত্রই। এ’কথা গৃহস্থীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে। কুমার-কুমারীদের তো বিবাহ করাই উচিত নয়। তা নাহলে তারাও গৃহস্থী হয়ে যাবে। কিছু গন্ধর্ব বিবাহের নামও রয়েছে। কন্যাদের মারধোর করা হয় সে’জন্য বাধ্য হয়েই গন্ধর্ব বিবাহ করানো হয়। বাস্তবে মারধোরও সহ্য করা উচিত, কিন্তু অধরকুমারী হওয়া উচিত নয়। বাল-ব্রহ্মচারীর নাম অধিক চর্চিত হয়ে থাকে। বিবাহ করলে তখন অর্ধাঙ্গিনী(হাফ পার্টনার) হয়ে যায়। কুমারদের বলা হয় — তোমরা তো পবিত্র থাকো। গৃহস্থীদের বলা হয় — গৃহস্থী জীবনে থেকেও কমলপুষ্প-সম হও। পরিশ্রম তাদেরই হয়। বিবাহ না করলে বন্ধনও থাকবে না। কন্যাদের তো পড়তে হবে এবং জ্ঞানে অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থাৎ পারদর্শী হতে হবে। ছোট্ট কুমারীরা যারা অপেক্ষাকৃত অল্পবয়স্ক, তাদের আমরা নিতে পারি না। তারা নিজেদের ঘরে থেকেই পড়তে পারে। মাতা-পিতা যদি জ্ঞানে আসে তবেই অল্পবয়স্কদের নেওয়া যেতে পারে। এ হলো স্কুলেরও স্কুল, ঘরেরও ঘর, সৎসঙ্গেরও সৎসঙ্গ। সৎ অর্থাৎ এক পিতা, যাঁর উদ্দেশ্যেই বলা হয়ে থাকে — ও সুদূরের পথিক। আত্মা গৌরবর্ণ হয়ে যায়। বাবা বলেন — আমি মুসাফির, সর্বদাই সুন্দর(গৌরবর্ণের)। পবিত্র থাকি। আমি এসে সমস্ত আত্মাদের পবিত্র, সুন্দর বানাই, আর তো এরকম কোনো মুসাফির নেই। বাবা বোঝান — আমি এসেছি রাবণ-রাজ্যে। এই শরীরও অপরের। তোমাদের আত্মা বলবে — এ হলো আমাদের শরীর। বাবা বলবেন — এ আমার শরীর নয়। এ হলো এঁনার(ব্রহ্মা) শরীর। এই অপবিত্র শরীর আমার নয়। তিনি আসেনও এঁনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে। যিনি পবিত্রতায় প্রথম স্থানাধিকারী ছিলেন, তিনিই নম্বরের ক্রমানুসারে শেষে অর্থাৎ অন্তে এসে বিকারী হন। প্রথম স্থানাধিকারী ১৬ কলা-সম্পূর্ণ ছিলেন। এখন কোনও কলাই অবশিষ্ট নেই। সকলেই তো অপবিত্র। তাহলে বাবা হলেন দূরদেশের মুসাফির, তাই না! তোমরা আত্মারাও মুসাফির। এখানে এসে নিজের ভূমিকা পালন করে। এই সৃষ্টি-চক্রকে কেউই জানে না। অবশ্যই কেউ কতই না শাস্ত্রাদি পড়া থাকুক, কিন্তু কেউ এই জ্ঞানদান করতে পারবে না। বাবা বোঝান — আমি এই শরীরে প্রবেশ করে এইসকল আত্মাদের জ্ঞান প্রদান করে থাকি। ওরা তো মানুষ, মানুষকে শাস্ত্রের জ্ঞান প্রদান করে। ওরা হলো ভক্ত। সদ্গতিদাতা তো একজনই। তিনিই জ্ঞানের সাগর। ওঁনাকে না জানার কারণেই দেহ-অভিমান চলে আসে। তারা কেউ এ’কথা বোঝে না যে নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে। আত্মা পড়ে। এ’কথা কেউ বোঝে না কারণ দেহ-অভিমান রয়েছে। এখন সুদূরের মুসাফির তো শিববাবাকেই বলা হবে। তোমরা জানো যে আমরা ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করেছি। বাবা বলেন — ৫ হাজার বছর পূর্বেও বুঝিয়েছিলাম যে তোমরা নিজেদের জন্মকে জানো না। আমি জানি — গীতায় যাকিছু রয়েছে তা আটায় নুন-সম। সেই গীতার এপিসোড, সেই মহাভারতের লড়াই, সেই মন্মনাভব-মধ্যাজীভবর জ্ঞানই রয়েছে। মামেকম্ অর্থাৎ একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো। লড়াইও অবশ্যই হয়েছিল। পান্ডবদের বিজয় হয়েছিল। বিষ্ণুর বিজয়মালার গায়ন রয়েছে। শাস্ত্রে তো দেখানো হয়েছে যে পান্ডবরা গলে মারা গেছো। তবে পুনরায় মালা কিভাবে তৈরী হলো। তোমরা এখন বোঝো যে আমরা এখানে এসেছি বিষ্ণুর মালা হতে। উপরে হলেন পতিত-পাবন বাবা। ওঁনার স্মরণ-চিহ্নও তো চাই, তাই না! ভক্তিমার্গে স্মরণ-চিহ্নের গায়ন রয়েছে। কেউ ৮-এর মালা, কেউ ১০৮-র মালা, কেউ ১৬ হাজার ১০৮ এর তৈরী করেছে। গায়নও রয়েছে — তোমাদের উত্তরণ-কলার বাহানায় সকলের মঙ্গল হবে। এখন তোমরা জেনেছো — আমাদের এখন উত্তরণ-কলা। আমরা চলে যাব নিজেদের সুখধামে পুনরায় সেখান থেকে আমরা কিভাবে অধঃপতনে যাই, ৮৪ জন্ম কিভাবে নিই, সেই সারা জ্ঞান বুদ্ধিতে রয়েছে। এই জ্ঞান ভুলে যাওয়া উচিত নয়। আমাদের সকল দুঃখ দূর করতে, শাপমোচন করে সুখের উত্তরাধিকার প্রদান করতে বাবা এসেছেন। রাবণের অভিশাপের কারণে সকলে দুঃখ পায়। সেইজন্য এখন বাবাকে এবং তাঁর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে। তোমরা জানো যে আমরা সূর্যবংশীয়রা ভারতে রাজ্য করেছি। ভারতেই শিববাবা আসেন। ভারতই স্বর্গ ছিল, এ’কথা প্রতিমুহূর্তে স্মরণ করে বুদ্ধিতে রাখতে হবে। যে ৮৪-র চক্রকে পরিক্রমা করেনি, সে না তো ধারণ করবে, না করাবে, তার জন্য মনে করা হবে যে, এ ৮৪ জন্ম নেয়নি। সে দেরীতে এসেছে। স্বর্গে আসে না। প্রথম-প্রথমে যাওয়া তো ভাল, তাই না! নতুন বাড়ীতে প্রথমে স্বয়ং থাকে, পরে ভাড়া দেয়। তাহলে সে তো সেকেন্ড-হ্যান্ড হয়ে গেল, তাই না! সত্যযুগ হলো নতুন দুনিয়া। ত্রেতাকে সেকেন্ড-হ্যান্ড বলা হয়। তাহলে এখন বুদ্ধিতে এসেছে যে আমরা স্বর্গ অর্থাৎ নতুন দুনিয়ায় যাব। পুরুষার্থ করতে হবে, প্রজা তৈরী হতে থাকবে। তোমরা জানতে থাকবে যে মালায় কে-কে যুক্ত(গাঁথা) হতে পারে। যদি কাউকে সরাসরি বলা হয় যে তুমি আসতে পারবে না তবে হার্টফেল করে যাবে সেইজন্য বলা হয় যে পুরুষার্থ করো, নিজেকে যাচাই করো যে আমাদের বুদ্ধি বিভ্রান্ত হয়ে বিচরণ করে না তো! শিববাবার সঙ্গে তোমাদের প্রেম হয়ে যায়। তারা বলেও যে আমরা বাপদাদার কাছে যাই। শিববাবার থেকে দাদার মাধ্যমে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে যাই। এমন বাবার কাছে তো অনেকবার যাব। কিন্তু গৃহস্থেরও দেখভাল করতে হবে। যদিও অতি ধনবান কিন্তু এত অবসর সময় নেই। সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা নেই। তা নাহলে ১-২ মাস পরে এসে রিফ্রেশ হতে পারে। তাদের প্রতিমুহূর্তে আকর্ষণ থাকবে। সুইতে যদি মরচে পড়ে থাকে তবে চুম্বক ততখানি আকর্ষণ করে না। যাদের যোগ পূর্ণমাত্রায় থাকবে তারা তৎক্ষনাৎ আকর্ষণ করে নেবে, দৌড়ে আসবে। যতই খাদ নিষ্কাশিত হতে থাকবে ততই আকর্ষণ হবে। আমরা চুম্বকের সঙ্গে মিলিত হয়েছি। গানও রয়েছে — চাইলে মারো, চাইলে যাকিছু করো….. আমরা তোমার দরজা থেকে কখনোই যাব না। কিন্তু সেই অবস্থা তো পরে হবে। খাদ নিষ্কাশিত হয়ে গেলে তখন সেই অবস্থা হবে। বাবা বলেন — হে আত্মারা, অবশ্যই নিজস্ব গৃহস্থী জীবনে থেকেও মন্মনাভব। এমনও নয় যে পালিয়ে এখানে এসে বসে পড়তে হবে। সাগরের কাছে মেঘকে আসতে হবে — রিফ্রেশ হওয়ার জন্য। পুনরায় সার্ভিস করতে যেতে হবে। বন্ধন যখন সমাপ্ত হয়ে যাবে তখনই সেবা করতে যেতে পারবে। মাতা-পিতাকে নিজেদের বাচ্চাদের প্রতিপালন করতে হবে। বাবার স্মরণে থাকতে হবে। পবিত্র হতে হবে। বাবা বুঝিয়েছেন — জ্ঞান-যজ্ঞে অনেকপ্রকারের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বলে যে — ঈশ্বর তো সামর্থ্যবান তবে বিঘ্ন ঘটে কেন ? মানুষের জানাই নেই, রাবণ ভগবানের থেকেও তীক্ষ্ণ অর্থাৎ পারদর্শী। তার রাজত্ব দখল করে নেওয়া হয় সেইজন্য অনেকধরণের বিঘ্ন ঘটতে থাকে। শুরু থেকেই পতিতদের দ্বারা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে থাকে। শাস্ত্রতেও লেখা রয়েছে — কৃষ্ণের ১৬ হাজার ১০৮ জন পাটরানী ছিল। সর্প দংশন করেছিল। রামের সীতাকে হরণ করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন হল রাবণ স্বর্গে কোথা থেকে আসবে ? অনেক মিথ্যা রয়েছে। বলে — বিকার ব্যতীত শিশুর জন্ম হবে কিভাবে ? তাদের জানাই নেই — যাদের উত্তরাধিকার নেওয়ার হবে তারাই এসে বুঝবে। সেইজন্য এই জ্ঞান-যজ্ঞে অসুরদের দ্বারা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। অপবিত্রদের অসুর বলা হয়। তারা হলোই রাবণ সম্প্রদায়ের। এখন তোমরা সঙ্গমে রয়েছ। রাবণ-রাজ্য থেকে সরে এসেছো তবুও এখনও তার কিছু সন্ধান পাওয়া যায়। বুদ্ধিতে এই জ্ঞান রয়েছে যে আমরা এখন চলে যাচ্ছি। বসে তো রয়েছো এখানেই। বুদ্ধিতে জ্ঞান রয়েছে। বসে রয়েছো এখানে কিন্তু এর সঙ্গে যেন তোমাদের বৈরাগ্য রয়েছে। এই খারাপ (ছিঃছিঃ) দুনিয়া কবরখানায় পরিণত হবে। বিভিন্ন ধরণের পয়েন্টসের দ্বারা বোঝানো হয়। বাস্তবে পয়েন্ট তো একটাই ‘মন্মনাভব’। কতজনের চিঠি আসে — বাবা, আমরা বন্ধনে আবদ্ধ (বাঁধেলী)। দৌপদী তো একজন নয়, হাজার-হাজার হয়ে যাবে। এখন তোমরা অপবিত্র দুনিয়া থেকে পবিত্র দুনিয়ায় ট্রান্সফার হয়ে যেতে চলেছো। যারা কল্প-পূর্বে ফুলে পরিনত হয়েছিল তারাই প্রস্ফুটিত হবে। এখানে আল্লাহ্-র বাগিচা স্থাপিত হবে। কেউ-কেউ তো এমন ভাল-ভাল ফুলে পরিনত হয় যে দেখলেই আনন্দ লাগে। নামই হলো কিং অফ ফ্লাওয়ারস্। ৫ দিন ধরে রেখে দিলেও প্রস্ফুটিতই থাকবে। সুগন্ধ ছড়িয়ে দিতে থাকবে। এখানেও যারা বাবাকে স্মরণ করে এবং স্মরণ করায়, তাদের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সর্বদা খুশীতে থাকে। এমন মিষ্টি-মধুর বাচ্চাদের দেখে বাবা প্রফুল্লিত হন। তাদের সম্মুখে বাবার জ্ঞান-ডান্স অত্যন্ত ভাল হয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জ্ঞান এবং যোগের দ্বারা শক্তিশালী হতে হবে। যদি কোনো বন্ধন না থাকে তবে জেনে-বুঝে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। বাল-ব্রহ্মচারী হয়ে থাকতে হবে।

২ ) এখন আমাদের আরোহণ-কলা, বাবা আমাদের সমস্ত দুঃখ দূর করতে, শাপমোচন করে উত্তরাধিকার প্রদান করতে এসেছেন। বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করে অপার খুশীতে থাকতে হবে। পরীক্ষা করতে হবে যে আমাদের বুদ্ধি কোথাও বিভ্রান্ত হয়ে যায় না তো।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা স্বমানে স্থির থাকে তারাই বাবার প্রতিটি আজ্ঞা সহজেই পালন করতে পারে। স্বমান বিভিন্নপ্রকারের দেহ-অভিমানকে সমাপ্ত করে দেয়। কিন্তু যখন, স্বমান থেকে স্ব-শব্দটি ভুলে যায় আর মান-খ্যাতির মধ্যে চলে আসে তখন একটি শব্দের ভুলের জন্য অনেক ভুল হতে থাকে সে’জন্য পরিশ্রম হয় অধিক আর প্রত্যক্ষফলের প্রাপ্তি হয় কম। কিন্তু সর্বদা স্বমানে স্থির থাকলে তবেই পুরুষার্থ অথবা সেবায় সফলতা-মূর্তি হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top