11 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

June 10, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখন হলে সত্যিকারের রাজযোগী, তোমাদের রাজঋষিও বলা হয়, রাজঋষি মানেই পবিত্র"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমরা মানুষকে মায়া রূপী রাবণের চোরাবালি থেকে কখন বের করতে পারবে?

উত্তরঃ -:-

যখন তোমরা নিজেরা ঐ চোরাবালি থেকে বের হয়ে আসবে। চোরাবালি থেকে বের হয়ে আসার চিহ্ন হলো- ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা। এক বাবা ব্যাতীত আর কিছুই স্মরণে আসবে না। ভালো কাপড় পড়বো, ভালো জিনিস খাবো– এই লালসা যেন না হয়, তোমরা সম্পূর্ণ বনবাসে আছো। এই শরীরকেও ভুলে গিয়ে, আমার কিছুই নেই, আমি হলাম আত্মা–এইরকম আত্মা অভিমানী বাচ্চারাই রাবণের চোরাবালি থেকে মানুষকে বের করতে পারবে।

গান:-

তুমি হলে প্রেমের সাগর…

ওম্ শান্তি । যখন কখনো গান বাজানো হতো তখন বাচ্চাদের গানের অর্থ জিজ্ঞাসা করা হতো। এখন বলো, তোমরা কবে থেকে পথ ভুলে গিয়েছো? (কেউ বলেছে দ্বাপর থেকে, কেউ বলেছে সত্যযুগ থেকে)- যারা বলেছে দ্বাপর থেকে ভুল বলেছে , তারা হলো রঙ্ অর্থাৎ ভুল। সত্যযুগ থেকে পথ ভুলেছে। পথ বলে দিতে পারার মতো কেউ এখন তো তোমাদের প্রাপ্ত হয়েছে। সত্যযুগে পথ বলে দিতে পারেন যিনি তাঁকে জানতে না। হয়তো ভুলে গিয়েছিলে। ভুলটাও ড্রামাতে নির্ধারিত। এখন আবার পথ বলে দিতে এসেছেন। বলে না যে – প্রভু পথ বলে দাও। বাবা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন- বুদ্ধি চালনা করার জন্য। এই জ্ঞানই যে হলো একেবারেই আলাদা, জ্ঞানের সাগর হলেন একমাত্র বাবা। বাবা সম্মুখে বোঝান। জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর হলাম আমিই। তোমরাও জানো – বরাবর পতিত – পাবন হলেন একমাত্র বাবা। এইটা তো যারা ভক্তি করে তারাও মানে। পাবন দুনিয়া হলোই শান্তিধাম আর সুখধাম। সুখধাম আর দুঃখধাম এখন হলো অর্ধেক অর্ধেক। বাচ্চারা তো এটা ভালো করেই জানে। বাবা হলেন প্রেমের সাগর, তাই তো সবাই ওঁনাকে ফাদার বলে ডাকে- কিন্তু তিনি যে কে, কি ভাবে আসেন, সেইটা ভুলে যায়। ৫ হাজার বছরের কথা, বরাবর এই দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিলো। সত্যযুগে হলো সদ্গতি, তবে দুর্গতি কীভাবে হয়, কে বলবে? বাবা এসেই বুঝিয়ে দেন, দ্বাপর থেকে তোমাদের দুর্গতি হয়েছে, তাই তো ডাকো। তোমরা বুঝতে পারো যে এইটা কোনো নূতন ব্যাপার নয়। বাবা প্রতি কল্পে আসেন। এখন নিরাকার বাবা আত্মাদের বোঝান। কেউই নিজের আত্মাকে জানে না। এইরকম কখনোই বলবে না যে আমার আত্মার মধ্যে সমস্ত পার্ট ভরা আছে। কখনোই বলবে না যে আমি অনেক বার এইটা হয়েছি, ভূমিকা পালন করেছি। ড্রামাকে তারা জানেই না। লক্ষ-হাজার বছর বলে, তবুও তো ড্রামা তো ! ড্রামা রিপিট হয়। এ’কথা তো নিশ্চয়ই বলবে। এই জ্ঞান একমাত্র বাবা বাচ্চাদের সম্মুখে দেন। মুখ দিয়ে কথা বলছেন। তোমরা জানো যে শিববাবা আমাদের ব্রহ্মা দ্বারা নিজের করে ব্রাহ্মণ করে তুলেছেন। ইনি শিববাবার বাচ্চাও হন, স্ত্রীও হন। দেখো, কতো বাচ্চাকে সামলাচ্ছেন। একা মেল অর্থাৎ পুরুষ হওয়ার জন্য সরস্বতীকে সাহায্যকারী করেছেন যে- বাচ্চাদের সামলাও। এই কথা শাস্ত্রে নেই। এইটা হলো প্র্যাকটিক্যাল। বাবা একমাত্র রাজযোগ শেখান, যাদের রাজযোগ শিখিয়েছেন, তারা রাজা হবে। ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তিত হবে। বাইবেল, কোরান, বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে তো অনেকেই, কিন্তু কিছুই বোঝে না। এখন তোমরা কোনো তত্ত্ব যোগী নও। তোমাদের তো বাবার সাথে যোগ অর্থাৎ বাবার স্মরণ আছে। তোমরা এখন হলে রাজযোগী, রাজঋষি অর্থাৎ যোগীরাজ। যোগী পবিত্রকে বলা হয়। স্বর্গের রাজত্ব নেওয়ার জন্য তোমরা যোগী হয়েছো। প্রথমেই বাবা বলেন পবিত্র হও। যোগী নামই হলো ওঁনার। তোমরা সকলে হলে রাজযোগী। এ হল তোমাদের অর্থাৎ ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণদের কথা। তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন, স্টুডেন্ট তোমরা ! স্টুডেন্টরা কি কখনো টিচারকে ভুলতে পারে? তোমরা জানো যে শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। কিন্তু এরপরও মায়া ভুলিয়ে দেয়। তোমরাকে পড়ানো যে টিচার তাকেই ভুলে যাও। ভগবান পড়াচ্ছেন – এইটা মনে করলে তবে তো নেশা চড়বে ।

স্কুলে আই.সি.এস পড়ে তো কতো নেশা থাকে। বাচ্চারা, তোমরা তো একুশ জন্মের জন্য এই রাজযোগের পাঠ পড়ছো। পড়তে তো আবারও হয়। রাজবিদ্যাও পড়তে হয়, ভাষা ইত্যাদি শিখতে হয়। বাচ্চারা, তোমরা মনে করো সত্যযুগ থেকে আমরা এই পথ ভোলা শুরু করেছি। তোমারা এরপর থেকে প্রতি জন্মে এক-এক ধাপ নীচে নেমেছো। এখন তোমাদের সব মনে আছে। কীভাবে আমরা উপরে উঠে পড়ি, কীভাবে আমরা নীচে নেমে যাই। এই সিঁড়ি ভালো করে স্মরণ করো। ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন আমাদের যেতে হবে। তাই খুশী হই, এইটা হলো অসীম জগতের নাটক। আত্মা হলো কতো ছোটো। পার্ট প্লে করতে করতে আত্মা ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন বলে- বাবা পথ বলে দিলে আমরা বিশ্রাম পাবো, সুখ-শান্তি পাবো। তোমরা সুখধামে থাকলে তখন তোমাদের জন্য সেখানে সুখ-শান্তিও থাকবে। সেখানে কোনো ঝামেলা নেই। আত্মার শান্তি থাকে। শান্তির স্থান দুটি – শান্তিধাম আর সুখধাম। দুঃখধামে হলো অশান্তি। এ হলো পড়াশোনা, তোমরা জানো যে বাবা আমাদের সুখধাম ভায়া শান্তিধামে নিয়ে যাচ্ছেন। তোমাদের বলার দরকার নেই। তোমরা জানো যে আমরা এখানে ভূমিকা পালন করতে এসেছি তারপর ফিরে যেতে হবে। এইটা হলো খুশীর ব্যাপার। শান্তির খুশী নেই । ভূমিকা পালন করতে আমাদের মজা লাগে, খুশী হই। জানি যে বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে। কেউ বলে আমাদের মনের শান্তি প্রাপ্ত হোক। এই শব্দও হলো রঙ্(ভুল)। না, আমরা বাবাকে স্মরণ করি যেন বিকর্ম বিনাশ হয়। শান্ত তো মন থাকতে পারে না। কর্ম ব্যাতীত থাকতে পারে না। এছাড়া অনুভব হয়, আমরা বাবার থেকে পবিত্রতা, সুখ-শান্তির উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি, তাই খুশী হওয়া উচিত। এইটা তো হলোই দুঃখধাম। এখানে সুখ থাকতে পারে না। মানুষ শান্তিধাম সুখধামকে ভুলে গিয়েছে। তাই যাদের অনেক পয়সা আছে, তারা মনে করে যে আমরা অনেক সুখে আছি, সন্ন্যাসী বাড়ী-ঘর ছেড়ে জঙ্গলে যায়। কোনো ঝামেলা তো নেই। তাই তো শান্ত হয়ে যায়, কিন্তু সেইটা হলো অল্প সময়ের জন্য। আত্মার যে শান্তির ধর্ম আছে, তার জন্য তোমরা শান্তিতে থাকো। এখানে তো প্রবৃত্তিতে আসতেই হবে। ভূমিকা পালন করতেই হবে। এখানে আসেই কর্ম করতে। কর্মের মধ্যে তো আত্মাকে অবশ্যই আসতে হবে। বাচ্চারা, তোমরা বুঝতে পারো – এই বোধ অসীম জগতের বাবা দিচ্ছেন। নিরাকার ভগবানুবাচ- এখন তোমরা জানো যে আমরা হলাম আত্মা, আমাদের বাবা হলেন পরম আত্মা। পরম আত্মা মানে পরমাত্মা। ওঁনাকে এই আত্মা ডাকে। একমাত্র সেই বাবা হলেন সকলের সদ্গতি দাতা। এখন বাবা বলেন- বাচ্চারা, দেহী-অভিমানী হও। এইটাই পরিশ্রমের। অর্ধ-কল্প ধরে যে খাদ পড়েছে, সেইটা এই স্মরণের দ্বারাই নির্গত হবে।

তোমাদের খাঁটি সোনা হতে হবে। যেমন খাঁটি সোনাতে খাদ মিশিয়ে গহনা তৈরী করে। তোমরা আসলে খাঁটি সোনা ছিলে তারপর তোমাদের মধ্যে খাদ পড়েছে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে, আমরা পার্ট বা ভূমিকা পালন করেছি। এখন আমরা যাচ্ছি শ্বশুরবাড়ি। যেমন বিদেশ থেকে যখন পিত্রালয়ে ফেরে তখন খুব আনন্দ হয়, তোমারাও আনন্দিত হও, তোমরা জানো যে বাবা আমাদের জন্য স্বর্গ নিয়ে এসেছেন। অসীম জগতের পিতার উপহার- অসীম জগতের বাদশাহী অর্থাৎ সদ্গতি। সন্ন্যাসীরা মুক্তির উপহার পছন্দ করে। কেউ মারা গেলে তাও বলে স্বর্গবাসী হয়েছে। সন্ন্যাসীরা বলবে জ্যোতি জ্যোতিতে মিলিয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে সব মিশে যাবে। সেটা তো হলো থাকার জায়গা, যেখানে আমরা অর্থাৎ আত্মারা থাকি। এছাড়া কোনো জ্যোতি বা আগুন কি আর আছে, যেখানে সব মিশে যাবে! ব্রহ্ম মহাতত্ত্ব সেটা, যেখানে আত্মারা থাকে। বাবাও সেইখানে থাকেন। তিনিও হলেন বিন্দু। বিন্দুর কারোর সাথে সাক্ষাৎকার হলে তো বুঝতে পারবে না। বাচ্চারা অনেক বলে- বাবা স্মরণ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বিন্দু রূপকে কীভাবে স্মরণ করবো। অর্ধ-কল্প তো বড় লিঙ্গ রূপকে স্মরণ করেছি। সেইটাও বাবা বোঝান। বিন্দুর তো পূজা হতে পারে না। এর মন্দির কি করে তৈরী করবে? বিন্দু তো চোখের দৃষ্টির মধ্যেও আসে না, এই জন্য শিবলিঙ্গ বড় তৈরী করে। এছাড়া আত্মাদের শালিগ্রাম তো খুবই ছোটো ছোটো তৈরী করে। ডিমের মতো তৈরী করে। বলবে প্রথমে কেন বলেনি যে পরমাত্মা বিন্দুর মতো? বাবা বলেন, সেই সময় এইটা বলার পার্ট ছিলই না। আরে! তোমরা শুরুতে কেন আই.সি.এস পড়তে না? পড়াশুনারও তো নিয়ম আছে, তাই না! কেউ এইরকম কথা জিজ্ঞাসা করলে তোমরা বলতে পারো – আচ্ছা বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করছি বা আমাদের বড় টিচার দিদি আছে, তাকে লিখে জিজ্ঞাসা করছি। বাবার বলার হলে বলবেন অথবা বলবেন আরো পরে বুঝতে পারবে। একই টাইমে তো শোনাবেন না। এই সব হলো নূতন কথা। তোমাদের বেদ-শাস্ত্রতে যা আছে, বাবা বসে তার সার বলে দেন। এও হল ভক্তি মার্গের জন্য স্থির রয়েছে। তবুও তোমাদের পড়তেই হবে। এই ভক্তির পার্ট পালন করতেই হবে। পতিত হওয়ার পার্টও পালন করতে হবে। বলা হয় ভক্তির চোরাবালিতে ডুবে রয়েছে । বাইরে থেকে তো অনেক আকর্ষণীয় মনে হয় । যেমন মরিচীকার মতো, মৃগতৃষ্ণার উদাহরণ দেওয়া হয়। ভক্তিও খুব আকর্ষক হয়। বাবা বলেন এইটা হলো মরিচীকা । মৃগতৃষ্ণার মতো, চোরাবালিতে একেবারে ফেঁসে যায় । তারপর বেরোনোই কঠিন হয়ে যায়, একদম ফেঁসে যায়। যায় অন্যকে বের করতে আর নিজেই ফেঁসে যায়। এইরকম অনেকেই ফেঁসে পড়েছে। আশ্চর্য হয়ে শোনে, অন্যদেরকে জ্ঞান শুনিয়ে এগিয়ে নিয়ে এসে চলতে-চলতে নিজেই ফেঁসে যায়। কতো ভালো-ভালো ফার্স্টক্লাস ভাই বোনেরা ছিল। এরপর তাদের বের করা খুবই মুশকিল হয়ে যায়। বাবাকে ভুলে যায়, তাই চোরাবালি থেকে বের হওয়ার জন্য কতো পরিশ্রম করতে হয়। যতই বোঝাও বুদ্ধিতে বসে না। এখন তোমরা বুঝতে পারো যে আমরা মায়া রূপী রাবণের চোরাবালি থেকে কতটা বের হয়েছি, যেমন যেমন বের হতে থাকবে, সেইরকম খুশীও হতে থাকবে । যে নিজে বেরিয়ে আসবে তার কাছে শক্তি থাকবে অপরকে বের করার। বাণ চালায় যারা তাদের মধ্যে কেউ তীক্ষ্ণ হয়, কেউ দূর্বল হয়। ভীল আর অর্জুনের উদাহরণ রয়েছে ! অর্জুন সাথে থাকার ছিলো, অর্জুন একজনকে না, যারা বাবার হয়ে বাবার সাথে থাকে, তাদের বলা হয় অর্জুন। সাথে থাকার আর বাইরে থাকার খুবই রেস করতে থাকে। ভীল অর্থাৎ বাইরে যে থাকে সে তীব্র ভাবে চলে যায়। একের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। কথা তো হল অনেকের । তীরও হলো এই জ্ঞানের। প্রত্যেকে নিজেকে বুঝতে পারে, আমি বাবাকে কতটা স্মরণ করি, আর কারোর স্মরণ আসে না তো! ভালো জিনিস খাওয়ার জন্য বা পরিধান করবার লালসা থাকে না তো! এখানে ভালো ভালো পরিধান ইত্যাদি হলে ওখানে কম হবে। আমাদের তো এখানে বনবাসে থাকতে হবে। বাবা বলেন তোমরা নিজেদের এই শরীরকেও ভুলে যাও। এটা তো পুরানো তমোপ্রধান শরীর। তোমরা স্বর্গের মালিক হবে। ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা। বাবা বলেন, তোমরা এখানে গহনা ইত্যাদিও প’রো না, এইরকম কেন বলেন? এরও অনেক কারণ আছে। কারোর গয়না হারিয়ে গেলে তখন বলে ওখানে বি. কে দিয়ে এসেছে আর তারপর চুরি ছিনতাইবাজরাও রাস্তাঘাটে ছিনিয়ে নেয়। আজকাল মহিলারাও লুট করে। ফিমেলও ডাকাতি করে। দুনিয়ার অবস্থা দেখো কি? তোমরা বুঝতে পারো যে এই দুনিয়া হলো একদম বেশ্যালয়। আমরা এখানে শিবালয়ে বসে আছি, শিববাবার সাথে। তিনি হলেন সৎ, চৈতন্য, আনন্দ স্বরূপ। আত্মারই মহিমা। আত্মাই বলে আমি প্রেসিডেন্ট হয়েছি, আমি অমুক। আর তোমাদের আত্মা বলে – আমরা হলাম ব্রাহ্মণ। বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। আত্ম – অভিমানে থাকতে হবে, এতেই পরিশ্রম। এ আমার অমুক, এইটা আমার…. এই সব মনে থাকে, আমরা আত্মারা হলাম ভাই- ভাই, এইটা তোমরা ভুলে যাও। এখানে আমার-আমার ছাড়তে হয়। আমি হলাম আত্মা, এঁনার আত্মাও জানে। বাবা বোঝাচ্ছেন, আমিও শুনতে থাকি। প্রথমে আমি শুনি, হয়তো আমিও শোনাতে পারি কিন্তু বাচ্চাদের কল্যাণের জন্য বলি – তোমরা সর্বদা মনে করো যে শিববাবা বোঝাচ্ছেন। বিচার সাগর মন্থন করা বাচ্চাদের কাজ। যেইরকম তোমরা করো, সেইরকম আমিও করি। তা না হলে প্রথম নম্বরে যাবো কি করে, কিন্তু নিজেকে গুপ্ত রাখি। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) আমার-আমার সব ছেড়ে নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে। আত্ম-অভিমানী হওয়ার পরিশ্রম করতে হবে। এখানে একদম বনবাসে থাকতে হবে। কোনো কিছু পরার, খাওয়ার ইচ্ছার থেকে ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা হতে হবে।

২ ) পার্ট পালন করার সময় কর্ম করার সময় নিজের শান্তি স্বধর্মে স্থির থাকতে হবে। শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করতে হবে। এই দুঃখধামকে ভুলে যেতে হবে।

বরদানঃ-

সম্পূর্ণ অনুগত তাদের বলা হয় যারা প্রতিটি বস্তুকে সম্পূর্ণ ভাবে সামলাতে পারে। কোনো জিনিসই ব্যর্থ হতে দেয় না। যে সময় থেকে জন্ম হয়েছে তখন থেকে সংকল্প, সময় আর কর্ম সব ঈশ্বরীয় সেবার জন্য। যদি ঈশ্বরীয় সেবার পরিবর্তে অন্য কোথাও সংকল্প বা সময় যায়, ব্যর্থ কথা নির্গত হয় অথবা শরীরের দ্বারা ব্যর্থ কার্য হয়, তবে তাদের সম্পূর্ণ অনুগত বলা হবে না। এমন নয় যে এক সেকেন্ড বা এক পয়সা ব্যর্থ হলো তো কি এমন বড় ব্যাপার । না। সম্পূর্ণ অনুগত অর্থাৎ সব কিছু সফল করতে সক্ষম।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top