08 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

June 7, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি সেন্সিবল (সুবুদ্ধি সম্পন্ন) বাচ্চারা - সদা স্মরণে রেখো যে, আমরা অবিনাশী আত্মা, আমাদের এখন বাবার সঙ্গে প্রথম তলায় যেতে হবে"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমাদের কোন্ পরিশ্রম অবশ্যই করতেই হবে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা তোমাদের এই যে এতো জ্ঞান প্রদান করেন, তা নিজের হৃদয়ে ধারণ করো । অন্তর্মনে তাকে মনন করে হজম করো, যাতে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত করবে । এই পরিশ্রম প্রত্যেকেরই অবশ্যই করা উচিত । যারা এমন গুপ্ত পরিশ্রম করে, তারা সদা আনন্দিত থাকে, তাদের নেশা থাকে যে, আমাদের কে পড়ান ! আমরা কার সামনে বসে আছি ।

ওম্ শান্তি । এ কথা কে বলছেন ? দুই বার বলেন ‘ওম্ শান্তি’, ‘ওম্ শান্তি ।’ একবার শিব বাবা বলছেন, একবার ব্রহ্মা বাবা বলছেন । এই বাপদাদা একত্রিত আছেন । তাই দুইজনকেই বলতে হয় ‘ওম্ শান্তি’, ‘ওম্ শান্তি ।’ এখন প্রথমে কে বলছেন ? পরে কে বলেছেন ? প্রথমে শিব বাবা বলেছেন ওম্ শান্তি । আমি শান্তির সাগর, পরে কে বলেছেন ? দাদার আত্মা বলেছেন । বাচ্চাদের স্মরণ করিয়ে দেন, ওম্ শান্তি, আমি তো সর্বদা দেহী – অভিমানী, আমি কখনোই দেহ – বোধে আসি না । একমাত্র বাবাই, যিনি সর্বদা দেহী অভিমানী থাকেন । ব্রহ্মা – বিষ্ণু, শঙ্কর এমন বলবেন না । তোমরা জানো যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শঙ্করেরও সূক্ষ্ম রূপ আছে । তাই ‘ওম্ শান্তি’ বলেন এক শিব বাবা, যাঁর কোনো শরীর নেই । বাবা তোমাদের খুব ভালোভাবে বোঝান, আর বলেন, আমি একবারই আসি, আমি সর্বদাই দেহী – অভিমানী । আমি পুনর্জন্মে আসি না, তাই আমার মহিমাই পৃথক । আমাকে বলা হয় নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা । ভক্তিমার্গেও শিবের জন্য নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মাই বলা হবে । নিরকারের পুজো করা হয় । তিনি কখনোই দেহতে আসেন না অর্থাৎ দেহ – অভিমানী হন না । চিত্র তৈরী হয়, কিন্তু তিনি হলেন নিরাকার, তিনি কখনোই সাকার হন না । পূজাও নিরাকারেরই হয় । বাচ্চাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে । তারা ভক্তি তো করেছে । বাচ্চারা চিত্র দেখেছে, তোমরা জানো যে, সত্যযুগ আর ত্রেতাতে না চিত্রের ভক্তি হতো, আর না বিচিত্রের । তোমাদের বুদ্ধিতে আসে যে, পরমপিতা পরমাত্মা বিচিত্র । তাঁর না স্থূল চিত্র আছে, আর না সূক্ষ্ম । তাঁর মহিমা করা হয় — দুঃখহর্তা, সুখকর্তা, পতিত – পাবন । তোমরা আর কারোর চিত্রকেই পতিত পাবন বলবে না । কোনো মানুষই নেই, যার বুদ্ধিতে এই কথা আছে । ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর হলেন সূক্ষ্মবতনবাসী । প্রথম তলা, তারপর দ্বিতীয় তলা । উঁচুর থেকে উঁচু হলো মূল বতন, সেই তলায় থাকেন পরমপিতা পরমাত্মা । দ্বিতীয় নম্বর তলায় থাকেন সূক্ষ্ম শরীরধারীরা । তৃতীয় তলায় থাকে স্থূল শরীরধারীরা, এতে তোমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ো না । এই কথা একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া আর কেউই বোঝাতে পারেন না । ওপরের সৃষ্টি হলো আত্মাদের । তাকে বলা হয় নিরাকারী দুনিয়া, আমাদের, সব আত্মাদের দুনিয়া, নিরাকারীদের পৃথিবী । এরপর আমরা আত্মারা সাকারী দুনিয়াতে আসি । ওখানে সব আত্মারা থাকে, এখানে জীবাত্মারা । একথা বুদ্ধিতে থাকা চাই । বরাবর আমরা হলাম নিরাকারী বাবার বাচ্চা । আমরাও পূর্বে নিরাকারী বাবার কাছেই থাকতাম । আত্মারা নিরাকারী দুনিয়াতেতেই থাকে । যারা এখনো পর্যন্ত সাকারে অভিনয় করার জন্য আসতে থাকে । সে হয়ে গেলো নিরাকার বাবার বতন । আমরা হলাম আত্মা, এই নেশা থাকা চাই । অবিনাশী জিনিসের নেশা থাকা উচিত । বিনাশী জিনিসের নেশা থাকা উচিতই নয় । দেহের নেশা যাদের থাকে, তাদের দেহ – অভিমানী বলা হয় । দেহ – অভিমানী ভালো, নাকি আত্ম – অভিমানী ভালো ? বুদ্ধিমান কে ? আত্ম – অভিমানী । আত্মা হলো অবিনাশী, আর দেহ বিনাশী । আত্মা বলে, আমি ৮৪ দেহ ধারণ করি । আমরা আত্মারা পরমধামে বাবার সঙ্গে থাকি । ওখান থেকে এখানে অভিনয় করতে আসি । আত্মা বলে, ও বাবা । সাকারী সৃষ্টিতে হলো সাকারী বাবা । নিরাকারী সৃষ্টিতে হলো নিরাকারী বাবা । এ হলো সম্পূর্ণ সহজ কথা । ব্রহ্মাকে বলা হয় প্রজাপিতা ব্রহ্মা । সে তো এখানে হলো, তাই না । ওখানে আমরা সব আত্মারা এক বাবার বাচ্চা, ভাই – ভাই । বাবা শিবের সঙ্গে আমরা ওখানে থাকি । পরমাত্মার নাম হলো শিব । আত্মার নাম হলো শালগ্রাম । আত্মার ও তো রচয়িতা চাই, তাই না । মনের সঙ্গে সর্বদা কথা বলতে থাকো । যে জ্ঞান পেয়েছো, তা হৃদয়ে ধারণ করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে । আত্মাই বিচার বা চিন্তন করে । প্রথম – প্রথম তো এই নিশ্চিত করো যে, আমরা আত্মারা বাবার সাথে থাকি । আমরা তাঁর সন্তান, তাই অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া চাই । এও তোমরা জানো যে, এই যে আত্মাদের বৃক্ষ ( কল্প ) আছে, তার অবশ্যই বীজ হয় । যেমন ঝাড় বানানো হয় । বড় হলো বাবা, তাঁর থেকে ২ – ৪ সন্তান, তাদের থেকে আবার উৎপন্ন হয় । এক – দুই করে বৃদ্ধি পেতে পেতে এই বৃক্ষের ঝাড় বড় হয়ে যায় । বংশের তো তালিকা হয়, অমুকের থেকে অমুক হলো —— ।

বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, মূল বতনে সমস্ত আত্মারা থাকে । তাদেরও চিত্র আছে । উঁচুর থেকে উঁচু হলেন বাবা । বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে – বাবা এই শরীরে এসেছেন । আত্মাদের পিতা এনার মধ্যে এসে আত্মাদের পড়ান । সূক্ষ্মবতনে তো আর পড়াবেন না । সত্যযুগে তো আর এই জ্ঞান কারোর থাকে না । বাবাই এই সঙ্গম যুগে এসে এই জ্ঞান দান করেন । এই মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের জ্ঞান কারোরই নেই । কল্পের আয়ুই অনেক বড় লিখে দিয়েছে । বাবা এখন তোমাদের বোঝান – বাচ্চারা, এখন তোমাদের আবার ঘরে ফিরে যেতে হবে । সে হলো আত্মাদের ঘর । বাবা আর বাচ্চারা থাকে, সবাই ভাই – ভাই । ভাইদেরও তো অবশ্যই বাবা থাকবেন, তাই না । তিনি হলেন পরমপিতা পরমাত্মা । সকল আত্মারাই শরীরে থাকাকালীন তাঁকে স্মরণ করে । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে কেউই স্মরণ করে না । পতিত দুনিয়াতে সকলেই তাঁকে স্মরণ করে, কেননা সবাই এখন রাবণের জেলে আছে । সীতা ডাকতো —-হে রাম । বাবা বোঝান যে, রাম কোনো ত্রেতার রাম নয়, যাঁকে স্মরণ করা হয় । রাম, পরমপিতা পরমাত্মাকে মনে করেই স্মরণ করতে থাকে । আত্মা ডাকতে থাকে । তোমরা এখন জানো যে, অর্ধেক কল্প আমরা আর কাউকে ডাকবো না, কেননা আমরা সুখধামে থাকবো । এই সময় বাবাই সব বোঝান, দ্বিতীয় আর কেউই জানে না । ওরা তো বলে দেয়, আত্মাই পরমাত্মা, আত্মা পরমাত্মার মধ্যে লীন হয়ে যায় । বাবা বোঝান যে, আত্মা তো অবিনাশী । একটি আত্মারও বিনাশ হতে পারে না । বাবা যেমন অবিনাশী, তেমনই আত্মাও অবিনাশী । এখানে আত্মারা পতিত এবং তমোপ্রধান হয়ে যায়, বাবা আবার পবিত্র, সতোপ্রধান বানায় । সম্পূর্ণ দুনিয়াকে তমোপ্রধান হতেই হবে । তারপর আবার সতোপ্রধান হতে হবে । পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করতে বাবাকে আসতেই হয় । তাঁকে বলা হয় গড ফাদার । বাবাও অবিনাশী, আমরা আত্মারাও অবিনাশী, আর এই ড্রামাও অবিনাশী । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এই পৃথিবীর হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি কিভাবে রিপিট হয় । এই চার যুগে আমাদের অভিনয় চলতে থাকে । আমরাই সূর্যবংশী, তারপর চন্দ্রবংশী হই । চন্দ্রবংশীরা দ্বিতীয় শ্রেণীতে এসে যায় । ১৪ কলা যাদের, তাদের সূর্যবংশী বলা যাবে না । বাস্তবে এদের দেবী – দেবতাও বলা যায় না । দেবী – দেবতা সম্পূর্ণ নির্বিকারী, ১৬ কলা সম্পন্ন যাঁরা, তাঁদের বলা হয় । রামকে ১৪ কলা সম্পন্ন বলা হবে । তোমাদেরই ৮৪ জন্মের হিসাব বোঝানো হয় । নতুন জিনিস যখন পুরানো হয়, তখন সেই আনন্দ আর থাকে না । প্রথমে সম্পূর্ণ পবিত্র থাকে, তারপর কিছু বছর পার হলে তখন অল্প পুরানো বলা হবে । বাড়ীর উদাহরণ দিয়ে বোঝানো হয় । এইভাবে প্রতিটি জিনিসই পুরানো হয় । এই দুনিয়াও এক বড় মণ্ডপ । এই আকাশ তত্ব অনেক বড়, এর কোনো অন্ত নেই । এর শেষ কোথায়, তা বের করা যায় না । চলতে থাকো, কিন্তু শেষ হয় না । ব্রহ্ম মহতত্বেরও কোনো শেষ হতে পারে না । যদিও বৈজ্ঞানিকরা কতো চেষ্টা করে এর শেষ দেখার জন্য, কিন্তু যেতে পারে না, অন্ত খুঁজে পায় না । ব্রহ্ম তত্ব অনেক বড়, অন্তহীন । আমরা আত্মারা খুব অল্প জায়গায় থাকি । এখানে কতো বড় বড় বাড়ী বানানো হয় । এই ধরিত্রীর স্পেসও অনেক বড় । ক্ষেত ইত্যাদিও তো চাই, তাই না । ওখানে তো কেবল আত্মারা থাকে । আত্মা শরীর ছাড়া কিভাবে খাবে ? ওখানে তো সবাই অভোক্তা । ওখানে খাবার বা ভোগ করার কোনো জিনিসই নেই । বাবা বোঝান যে, এই জ্ঞান তোমরা বাচ্চারা একই বার পাও । বাচ্চারা,আবার পরের কল্পে তোমাদের দেওয়া হবে । তাই তোমাদের এই নেশা থাকা উচিত । আমরা দেবতা ধর্মের ছিলাম । তোমরা বলো – বাবা, আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে আমরা আপনার কাছে এসেছিলাম – শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হতে । এখন আমরা আবার আপনার কাছে এসেছি । উনি নিরাকার হওয়ার কারণে তোমরা বলবে, আমরা দাদার কাছে এসেছি । বাবা এনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন । বাবা বলেন – তোমরা যেমন অর্গ্যান্স ধারণ করে অভিনয় করো, আমিও তেমনই অর্গ্যান্সের আধার নিই । তা নাহলে আমি কিভাবে অভিনয় করবো ? শিব জয়ন্তীও পালন করা হয় । শিব তো হলেন নিরাকার । তাঁর তাঁর জয়ন্তী কিভাবে হলো ? মানুষ তো এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে । বাবা বলেন – বাচ্চারা, আমি কিভাবে এসে তোমাদের রাজযোগ শেখাবো । মানুষ থেকে দেবতা বানানোর জন্য বাবা এসেই রাজযোগ শেখান । আমাকেই পতিত পাবন, জ্ঞানের বলা হয় । আমার মধ্যেই এই কল্প বৃক্ষের আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান আছে ।

বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, বাবা এনার মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের সব জ্ঞান বুঝিয়ে বলেন । ব্রহ্মা – বিষ্ণু এবং শঙ্করের পার্টকেও বোঝা চাই । বাবাকে তো বুঝতে পেরেছো যে, তিনি পতিত পাবন । প্রত্যেকের মহিমাই আলাদা – আলাদা, পবিত্রতাও আলাদা – আলাদা হয়, যেমন প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার তৈরী হয় । আত্মা বলে, এ হলো আমার শরীর । আমি প্রাইম মিনিস্টার । আত্মা শরীরের সঙ্গে না থাকলে কথা বলতে পারে না । শিব বাবাও হলেন নিরাকার । তাঁকেও কথা বলার জন্য কর্মেন্দ্রিয়ের আধার নিতে হয়, তাই দেখানো হয়, মুখ থেকে গঙ্গা নির্গত হয়েছে । এখন শিব তো হলো বিন্দু । তাঁর মুখ কোথা থেকে আসবে ? তিনি এনার মধ্যে এসে অবস্থান করেন এবং এনার মুখ দিয়ে জ্ঞান গঙ্গা নির্গত করান । বাবাকেই সবাই স্মরণ করে – হে, পতিত পাবন, এসো । আমাদের এই দুঃখ থেকে মুক্ত করো । তিনি হলেন অনেক বড় সার্জন । তাঁর মধ্যেই পতিতকে পবিত্র করার জ্ঞান আছে । সর্ব পতিতকে পবিত্র করেন এই এক সার্জন । সত্যযুগে সবাই নিরোগী থাকে । এই লক্ষ্মী – নারায়ণ হলেন সত্যযুগের মালিক । এনাদের এমন কর্ম কে শেখালেন, যাতে এঁরা এমন নিরোগী হলেন । বাবা এসেই শ্রেষ্ঠ কর্ম শেখান । এখানে তো কর্মই কাটতে থাকে । সত্যযুগে তো আর এমন বলবে না যে, কর্ম এমন । ওখানে কোনো দুঃখ বা রোগ হয় না । এখানে তো একে অপরকে দুঃখ দিতেই থাকে । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে কোনো দুঃখের বিষয় হয় না যে বলা যাবে, এ হলো কর্মের ভোগ । কর্ম – অকর্ম আর বিকর্মের অর্থ কেউ বুঝতেই পারে না । তোমরা জানো যে, প্রত্যেক জিনিস প্রথমে সতোপ্রধান, তারপর সতো, রজো এবং তমো হয় । সত্যযুগে পাঁচ তত্বও সতোপ্রধান থাকে । আমাদের শরীরও সতোপ্রধান প্রকৃতির হয়, তারপর আত্মার দুই কলা কম হয়ে যাওয়ায় শরীরও তেমন তৈরী হয় । সৃষ্টিরও দুই কলা কম হয়ে যায় । এই সব কথা বাবা বসেই বুঝিয়ে বলেন, দ্বিতীয় কেউই আর বোঝাতে পারে না । আচ্ছা ।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এখন থেকেই বাবার শ্রীমতে এমন শ্রেষ্ঠ কর্ম করতে হবে, যাতে কখনোই কর্মের ভোগ না করতে হয়, অর্থাৎ কর্মের সাজা ভোগ করতে না হয় ।

২ ) কোনো বিনাশী জিনিসের প্রতি নেশা রেখো না । এই দেহও হলো বিনাশী, এর প্রতিও মোহ রেখো না, তোমাদের বুদ্ধিমান হতে হবে ।

বরদানঃ-

অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত দিনচর্যাতে যে নির্দেশ পেয়েছো, সেই অনুযায়ী নিজের বৃত্তি, দৃষ্টি, সঙ্কল্প, স্মৃতি, সেবা এবং সম্বন্ধকে চেক করো । যে প্রতিটি সঙ্কল্প, প্রতি পদে নির্দেশকে পালন করে, তার সব আকাঙ্খা সমাপ্ত হয়ে যায় । অন্দরে যদি পুরুষার্থ বা সফলতারও আকাঙ্খা থেকে যায়, তাহলে অবশ্যই কোথাও না কোথাও নির্দেশ পালিত হচ্ছে না । তাই যখনই কোনো অস্থিরতা আসবে, তখন চতুর্দিক দিয়ে চেক করো —এতে শীঘ্রই মায়াপ্রুফ হয়ে যাবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top