07 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

June 6, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- অমৃতবেলার সময় সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, সেইজন্য সকাল-সকাল উঠে নিভৃতে বসে বাবার সঙ্গে মিষ্টি-মিষ্টি বার্তালাপ করো"

প্রশ্নঃ --

কোন্ জ্ঞান নিরন্তর যোগী হওয়ার জন্য অত্যন্ত সহায়তা করে ?

উত্তরঃ -:-

ড্রামার। যা অতিবাহিত হয়ে গেছে, তা ড্রামায় নির্ধারিত। স্থিতি যেন এতটুকুও বিচলিত না হয়। যেমনই পরিস্থিতি হোক না কেন, ভূমিকম্প আসুক, ব্যবসায় লোকসান হোক কিন্তু এতটুকুও যেন সংশয় উৎপন্ন না হয় — তাকেই বলা হবে মহাবীর। যদি ড্রামার জ্ঞান যথাযথভাবে না থাকে তবে চোখের জল ফেলতে থাকবে। নিরন্তর যোগী হওয়ায় জন্য ড্রামার জ্ঞান অত্যন্ত সহায়তা করে।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়ঃ….

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এখন ভালভাবে বুঝেছে যে এখন পতিত দুনিয়া শেষ হতে চলেছে। পবিত্র দুনিয়ার সূচনা হতে চলেছে। বাচ্চারা, এ’কথা কেবল তোমরাই জানো। আর বাচ্চারাই এই ডায়রেক্শন বা শ্রীমত পায়। কে দেন ? সর্বোচ্চ ভগবান। তিনি বোঝাতে থাকেন যে পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে। এই জ্ঞান কেবল তোমাদের জন্য, আর সকলেই তো পতিত। এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হবে। পতিত বলা হয় বিকারীকে। বাবা বোঝান যে তোমরা জন্ম-জন্মান্তর ধরে একে-অপরকে দুঃখ দিয়ে এসেছো, সেইজন্য তোমরা আদি-মধ্য-অন্ত পর্যন্ত দুঃখ পেয়েছো। একে-অপরকে অপবিত্র করেছো। বলেও যে, আমরা অপবিত্র, কিন্তু বুদ্ধিতে পুরোপুরি বসে না। তারা বলেও — পতিত-পাবন এসো, কিন্তু তথাপি অপবিত্রতা ত্যাগ করে না। এখন তোমরা বুঝেছো যে সম্পূর্ণ কথাই হলো পবিত্র হওয়ার জন্য। এ’কথা বোঝানোর জন্যও তো কেউ চাই। বুঝিয়ে থাকেনও সেই একজনই। বাকি যেসকল গুরু রয়েছে, তারা কাউকে পবিত্র করতে পারে না। পবিত্র কেবল এক জন্মের জন্য নয়, জন্ম-জন্মান্তরের জন্য হতে হবে। তোমাদের মধ্যেও যারা জ্ঞানবান তারা তীক্ষ্ণ হয়। ড্রামানুসারে তা নির্ধারিত। তোমাদের মধ্যেও মহাবীরত্ব থাকা উচিত। তা আসবে কেবল বাবার স্মরণে থাকলে। বাবা অত্যন্ত ভালভাবে বসে বোঝান। যেমন বাবা বলেন, সকাল-সকাল উঠে স্মরণ করো। সেইসময়কাল স্মরণের জন্য অতি রমণীয়, যাকে প্রভাত বলা হয়। ভক্তিমার্গেও বলা হয় — প্রভাতে আমার মন রামকে(ঈশ্বর) স্মরণ করে। বাবাও বলেন — প্রত্যুষে উঠে বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বড়ই আনন্দ উপভোগ করবে। বাবার স্মরণে বসে এ’কথাই মনে রাখা উচিত যে কিভাবে কাকে বোঝাব ? অমৃতবেলার বায়ুমন্ডল অতি বিশুদ্ধ থাকে। দিনে তো অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের ফন্দিফিকির লেগেই থাকে। রাত ১২টা পর্যন্ত বিকারী বায়ুমন্ডল থাকে। সাধু-সন্ত, ভক্তাদিরাও সকলেই ভক্তি প্রভাতেই করে। এমনিতে স্মরণ তো দিনেও করতে পারা যায়। অবশ্যই কাজ-কর্ম করে, কিন্তু যারা যে দেবতার পূজারী, বুদ্ধির যোগ তাঁর কাছেই থাকে। কিন্তু এরকম স্থিতি কারোর থাকে না। ভক্তিমার্গে কেবলমাত্র দর্শনের জন্য পরিশ্রম করে। প্রাপ্তি কিছুই নেই। তাদেরও ভক্তি করতে-করতে তমোপ্রধান হতেই হবে। ভক্তিমার্গেও শিবের কাছে বলি প্রদত্ত হয়, যাকে *কাশী কলবট* বলা হয়। শিবকে স্মরণ করতে-করতে কুঁয়োয় ঝাঁপ দেয়। শিবের কাছে বলি দেয়। সেও আবার ভক্তিমার্গের বলি। এ হলো জ্ঞানমার্গের বলি। ও’টাও মুশকিল , এ’টাও মুশকিল । ভক্তিমার্গে এর দ্বারা কোনো লাভ হয় না। এ যেন আত্মা নিজের শরীরকে আঘাত করে। এ কোনো জ্ঞান নয়। ওরাও বলে আত্মাই পরমাত্মা। আত্ম-অভিমানী তো একমাত্র বাবা-ই, যিনি বাচ্চাদের বোঝান যে পরমাত্মা তো একমাত্র আমিই। আমরা অর্থাৎ আত্মাই পরমাত্মা বলা — এ হলো সর্বাপেক্ষা বড় মিথ্যা। এমন তো হতে পারে না। বাবা বলেন — আমি আসিই পতিতদের পবিত্র করার জন্য, সেইজন্য পবিত্র করছি। এছাড়া ড্রামায় যা হওয়ার তা তো হবেই। মনে করো, ভূমিকম্প হলো, ছাদ ভেঙে পড়লো, বলবে পূর্ব-নির্ধারিত, কল্প-পূর্বে এরকমই হয়েছিল। এতে এতটুকুও বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। ড্রামার উপর সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত। তাকেই মহাবীর বলা হয়। অগণিত দুর্ঘটনাদি তো হতেই থাকে। কাউকে রক্ষা করা যায় কি ? এ তো ড্রামায় পূর্ব-নির্ধারিত। ড্রামায় পার্টই এরকম। যে ড্রামাকে জানে না সে দেহকে স্মরণ করে চোখের জল ফেলতে থাকে। সে কখনও শিববাবাকে স্মরণ করতে পারে না কারণ শিববাবার সঙ্গে ভালবাসা নেই। সত্যিকারের প্রেম নেই। সম্পূর্ণ প্রেম তো বাবার সঙ্গে থাকা উচিত। তোমরা প্রতি কল্পেই শিববাবার প্রতি প্রীত-বুদ্ধিসম্পন্ন হও। বাবার সঙ্গে দেবতাদের প্রীত বুদ্ধি ছিল, এরকম বলবে না। তারা এরকম ভালবাসার মাধ্যমে এই পদ প্রাপ্ত করেছে। ওখানে তো জানতেই পারবে না — সমগ্র কল্পে তো তোমরা শিববাবাকে জানতেই পারবে না যে ভালবাসবে। বাবা এখন নিজের পরিচয় দিয়েছেন। এখন বাবা বলেন — আর সব সঙ্গ পরিত্যাগ করে একমাত্র আমার সঙ্গেই যোগসূত্র স্থাপন করো। এ তো অবশ্যই বিনাশকাল। বাচ্চারা, এও কেবল তোমরাই জানো। মানুষ তো সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে। তোমরা এখন বোঝ যে আমাদের তো বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। স্মরণ ব্যতীত সতোপ্রধান হতে পারবে না। সার্জেন হয়ে নিজের রোগ-ব্যধি দেখতে(পরখ) হবে। শ্রীমতানুসারে দেখতে হবে যে আমাদের বাবার সঙ্গে কতখানি ভালবাসা রয়েছে ? অমৃতবেলাতেই বাবাকে স্মরণ করা ভাল। প্রভাতকাল অতি সুসময়। সেইসময় মায়ার ঝড়(বিঘ্ন) আসবে না। রাত্রি ১২টা পর্যন্ত তপস্যা করে কোনও লাভ নেই কারণ সেই সময়টাই খারাপ। বায়ুমন্ডল খারাপ থাকে। সেইজন্য ১টা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া উচিত। একটার পর বায়ুমন্ডল ভাল হতে থাকে। বাবা বলেন — আমাদের এ হলো সহজ রাজযোগ, অবশ্যই আরাম করে বসো। বাবা নিজের অনুভবও শোনান। কিভাবে বাবার সাথে বার্তালাপ করে। বাবা এই ড্রামা কত ওয়ান্ডারফুল ! তুমি কিভাবে এসে পতিতদের পবিত্র করো! সমগ্র জগতকে কিভাবে পরিবর্তন করো ! বড়ই আশ্চর্যের! যেভাবে বাবার মনে আসে তেমনভাবে বাচ্চাদেরও আসা উচিত। কিভাবে মানুষের নৌবহর পার করবো অথবা তরী পার করবো। বাবা বলেন — তোমরা আবাহন করতে থাকো যে হে পতিত-পাবন, এসো। এখন আমি এসেছি, এখন তোমরা অপবিত্র হয়োনা। অপবিত্র হয়ে সভায় এসে বসো না। তা নাহলে বায়ুমন্ডল অশুদ্ধ করে দেবে। বাবা তো জেনে যান। দিল্লীতে, বম্বেতে এইরকম বিকারগামীরা এসে বসে পড়তো। গায়নও রয়েছে, অসুরেরা এসে বিঘ্ন ঘটাতে বসতো। বিকারগামীদের অসুর বলা হয়। বায়ুমন্ডল খারাপ করে দেয়। তাদের সাজা অতিব কঠিন। বাবা তো সব কথাই বুঝিয়ে থাকেন, তথাপি নিজেদের লোকসান করা ব্যতীত থাকতে পারে না। মিথ্যেও বলে। তা নাহলে তৎক্ষনাৎ লিখে দেওয়া উচিত — বাবা, আমাদের এই ভুল হয়েছে, ক্ষমা করে দাও। নিজেদের পাপ লিখে দাও। তা নাহলে বৃদ্ধি পেতেই থাকবে, আরও রসাতলে চলে যাবে। আসে কিছু নেওয়ার জন্য, কিন্তু আরোই কান কেটে ফেলে। ড্রামায় এমন ভূমিকাও রয়েছে। এরকম অসুর কল্প-পূর্বেও ছিল, এখনও রয়েছে। অমৃত ত্যাগ করে বিষ পান করে। নিজেকেও আঘাত করে আর অন্যদেরও ক্ষতি করে। বায়ুমন্ডল খারাপ করে দেয়। সমস্ত ব্রাহ্মণীরাও এক সমান নয়। মহারথী, ঘোড়-সওয়ার, পেয়াদা সবরকমই রয়েছে। বাচ্চারা, তোমাদের অগাধ খুশী হওয়া উচিত — বাবাকে পেয়েছো বাকি আর কি চাই। হ্যাঁ, নিজেদের বাচ্চাদিদের অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে। এমনও নয় যে বাবা এ’সব তোমার, এখন তুমিই সামলাও। আমরা তো তোমার হয়ে গেছি। বাবা বোঝান — গৃহস্থী জীবনে থেকেও কমল পুষ্পের মতো পবিত্র হও। কোনো অপবিত্র কার্য করো না। ব্যস, প্রথম কথা (বিষয়) হলো কাম-বিকারের। দৌপদীও এই বিষয়ে আহ্বান করেছিল যে এরা আমায় নগ্ন করতে চলেছে। আহ্বানও করেছিল তখনই যখন শ্রবণকারী বাবা এসেছিলেন। বাবা আসার পূর্বে কেউই আহ্বান করে না। কাকে আহ্বান করবে ? বাবা এসেছেন তবেই তো আহ্বান করে। পতিত থেকে পবিত্র হয়ে পুনরায় কোথায় যাবে ? ফিরে যেতে হবে, এ’টাই তো সেই সময়। সকলের সদ্গতিদাতা, মুক্তিদাতা তো একজনই। এখানে তো দুঃখ রয়েছে। সাধু-সন্তাদি কেউই সুখী হতে পারে না। সকলেরই কোন না কোন দুঃখ, রোগাদি হয়ই। কোনো গুরু অন্ধ, পঙ্গুও হয়। অবশ্যই এমন কোনো কর্ম করেছে তবেই তো অন্ধ, পঙ্গু ইত্যাদি হয়েছে। সত্যযুগে কেউ অন্ধ, পঙ্গু ইত্যাদি হবে নাকি, না হবে না। মানুষ কি বোঝে নাকি। বাবা-ই এসে বোঝান। বাবা-ই জ্ঞানের সাগর পতিত-পাবন। বাকি সবকিছুই হলো ভক্তি। ওই ভক্তিমার্গই হলো আলাদা। ও’টা হলো অধঃপতনের সিড়ি পথ। অধঃপতনে যেতে, জীবনবন্ধতে আসতে ৮৪ জন্ম লাগে, আর পুনরায় এক সেকেন্ড লাগে জীবনমুক্ত হতে। যদি ওঁনার মতানুসারে চলে বাবাকে স্মরণ করে তবেই। নম্বরের অনুক্রম তো আছেই, তাই না! বলে যে আমরা যদি অমুক টিচারকে পাই তো ভাল হয়। তাহলে অবশ্যই স্বয়ং দুর্বল তবেই তো বলে অমুককে ২-৪ মাসের জন্য পাঠিয়ে দাও। বাবা বলেন — এও ভুল। তোমরা ব্রাহ্মণীদের কেন স্মরণ করো যখন বাবা সহজ কথা বলেন — কেবলমাত্র বাবাকেই স্মরণ কর আর স্বদর্শন-চক্র আবর্তন কর, অন্যদেরও বোঝাও। ব্যস। এরমধ্যে ব্রাহ্মণী এসে কি করবে ? এ তো সেকেন্ডের কথা। তোমরা কাজ-কর্মে থেকে এ’কথা ভুলে যাও, তবুও ব্রাহ্মণীও এ’কথাই বলবে — মন্মনাভব। অনেক বোধবুদ্ধিহীন লোকেরা বোঝে না কেবল বলে, ব্রাহ্মণী ভাল চাই। জ্ঞান তো তোমরা পেয়েছো, তাই না! বাবা এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। দেহ-অভিমান পরিত্যাগ করো। এ হলো আমাদের সেন্টার, ও’টা হলো ওদের সেন্টার। এই জিজ্ঞাসু ওখানে কেন যান…. এ’সব হলো দেহ-অভিমান। সবই শিববাবার সেন্টার্স, আমাদের সেন্টার নাকি। তোমাদের এরকম কেন মনে হয় যে অমুকে আমাদের সেন্টারে কেন আসে না। যেখানেই যাক্। বাবা সর্বদাই বলেন, কারোর থেকে কিছু চেয়ো না। এ’কথা বুঝতে পারে যে বীজ রোপণ না করলে পাবে কি ? ভক্তিমার্গেও দান-পুণ্য করে। ভক্তিমার্গে তোমরা সকলেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ইনডাইরেক্ট (দান-পুণ্য) করতে। আবার সন্ন্যাসীদেরও অনেক দান করতে। তা নাহলে দান তো দরিদ্রদের করা হয় নাকি ধনশালীদের। এরমধ্যেও আনাজপাতি দান করা সর্বাপেক্ষা ভাল। সেও বাবা বোঝান যে দান করলে পরজন্মে তার ফল প্রাপ্ত হয়। ঈশ্বরই সকলকে ফল প্রদান করেন। সাধু-সন্তাদি কোনো রিটার্ন (ফল) দিতে পারে না। দাতা একমাত্র বাবা-ই। যেকোনো কারোর মাধ্যমেই দিয়ে থাকেন। বাবা বোঝান যে তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যে দান করতে পরজন্মে তোমাদের তারও ফল প্রদান করতাম। এখন তো আমি ডাইরেক্ট এসেছি। এখন তোমরা ২১ জন্মের জন্য রিটার্ন পাবে। এখন তো মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভক্তিমার্গে তোমাদের এরকম বলা হতো না যে মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাই নিজের সর্বকিছু সফল করো। না। এখন বাবা বোঝান — যে চাও সে-ই এই আধ্যাত্মিক হাসপাতাল খুলে দাও। কেউ বলে বাড়ী তৈরী করবো, সেখানে এই হাসপাতাল খুলবো। বাবা বলেন — আজ বাড়ী তৈরী করলে আর কাল যদি মারা যাও তবে তো এ’সব শেষ হয়ে যাবে। শরীরের কোনো ভরসা নেই। যা আছে তারমধ্যেই একটি ঘর রেখে, ততদিন পর্যন্ত সেখানে আধ্যাত্মিক হাসপাতাল, আধ্যাত্মিক কলেজ করে দাও। অনেকের কল্যাণ করবে তবেই অনেক উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শ্রীমতানুযায়ী নিজেই নিজেকে দেখতে হবে যে এই বিনাশকালে আমার অদ্বিতীয় পিতার সঙ্গে সত্যিকারের ভালোবাসা আছে কি ? আর সব সঙ্গ পরিত্যাগ করে একজনের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছি কী ? কখনো কোনো বিকর্ম করে অসুর হয়ে যাই নি তো ? এভাবে পরখ করে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।

২ ) এই শরীরের কোনো ভরসা নেই, সেইজন্য নিজের সবকিছু সফল করতে হবে। নিজের স্থিতি একরস, অচল করার জন্য ড্রামার রহস্যকে বুদ্ধিতে রেখে চলতে হবে।

বরদানঃ-

যারা নিষ্কাম সেবাধারী তাদের কখনও এই সঙ্কল্প আসতে পারে না যে আমি এতখানি করেছি, এর থেকে আমার মান-সম্মান বা খ্যাতি পাওয়া উচিত…. এও তো একপ্রকারের নেওয়াই হলো। দাতার সন্তান যদি নেওয়ার সঙ্কল্পও করে তবে সে দাতা নয়। এই গ্রহণ করাও, যারা দেয় অর্থাৎ দাতা তাদের শোভা পায় না। যখন এই সঙ্কল্প সমাপ্ত হয়ে যাবে তখনই বিশ্ব মহারাজনের মর্যাদা (স্ট্যাটাস) প্রাপ্ত হবে। এরকম নিষ্কাম সেবাধারী, অসীম জগতের বৈরাগীই বিশ্ব-কল্যাণী, দয়াশীল হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top