8 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 7, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন তোমাদেরকে জ্ঞান-যোগের দ্বারা প্রকৃত শৃঙ্গার করাতে, এই শৃঙ্গারকে খারাপ করে দেয় দেহ বোধ (দেহ-অভিমান), তাই দেহের প্রতি মমত্ব দূর করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

জ্ঞান মার্গের উচ্চ সিঁড়ি কে চড়তে পারে ?

উত্তরঃ -:-

যার নিজের দেহের প্রতি আর কোনো দেহধারীর প্রতি মমত্ব নেই । এক বাবার প্রতি হৃদয়ের সত্যিকারের প্রীতি আছে । যে কারোর নাম – রূপে আকৃষ্ট হয় না, সে-ই জ্ঞান মার্গের উচ্চ সিঁড়ি চড়তে পারে । এক বাবার প্রতি যারা হৃদয়ে প্রেমের ভাবনা রাখে, সেই বাচ্চাদের সব আশা পূরণ হয়ে যায় । এই নাম – রূপে ফেঁসে যাওয়ার রোগ বড় কঠিন, তাই বাবা সতর্ক করেন – বাচ্চারা, তোমরা একে অপরের নাম – রূপে আকৃষ্ট হয়ে নিজের পদ ভ্রষ্ট করো না ।

গান:-

তোমাকে পেয়ে আমরা সারা জগৎ পেয়ে গেছি..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা এই গীতের অর্থ খুব ভালোভাবে জেনে গেছে । তবুও বাবা এক একটি লাইনের অর্থ বলে দেন । এর দ্বারাও বাচ্চারা মুখ খুলতে পারে । অর্থ খুবই সহজ । এখন তোমরা বাচ্চারাই বাবাকে জানো । তোমরা কে ? ব্রাহ্মণ – ব্রহ্মাণী । শিব বংশী তো সম্পূর্ণ দুনিয়া । এখন নতুন রচনা রচিত হচ্ছে, এ তোমরা বুঝতে পারো । তোমরা জানো যে, অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে আমরা ব্রাহ্মণ – ব্রহ্মাণীরা সম্পূর্ণ বিশ্বের বাদশাহী গ্রহণ করছি । কেবল আকাশ কেন, সম্পূর্ণ ধরণী, তার মাঝে সাগর – নদীও এর মধ্যে এসে গেছে । বাবা, আমরা আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিশ্বের বাদশাহী গ্রহণ করছি । আমরা এখন পুরুষার্থ করছি । আমরা কল্প – কল্প বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি । আমরা যখন রাজত্ব করি তখন সম্পূর্ণ বিশ্বের উপর আমাদের অর্থাৎ ভারতবাসীদেরই রাজত্ব হয়, আর কোনো রাজ্যই তখন থাকে না । চন্দ্রবংশীরাও থাকে না । কেবল সূর্যবংশী লক্ষ্মী – নারায়ণেরই রাজ্য থাকে । বাকি তো সবাই পরে আসে । এও তোমরা এখনই জানো । ওখানে তো এই সব কিছুই আর স্মরণে থাকে না । এও জানতে পারে না যে, আমরা এই উত্তরাধিকার কার কাছ থেকে পেয়েছি ? যদি কার কাছে পেয়েছি জানতে পারে, তাহলে কিভাবে পেয়েছি, এই প্রশ্নও ওঠে । কেবলমাত্র এই সময়, যখন সম্পূর্ণ সৃষ্টিচক্রের নলেজ প্রাপ্ত হয়, এরপর এই নলেজ আবার হারিয়ে যাবে । তোমরা এখন জানো যে, অসীম জগতের পিতা এসেছেন, যাঁকে গীতার ভগবান বলা হয় । ভক্তিমার্গে পূর্বে সবাই সর্ব শাস্ত্র শিরোমণি গীতাই শোনে । গীতার সঙ্গে ভাগবত – মহাভারতও আছে । এই ভক্তিও অনেক সময় পরেই শুরু হয় । ধীরে ধীরে মন্দির তৈরী হবে । শাস্ত্র লেখা হবে । এতে তিনশো থেকে চারশো বছর সময় লেগে যায়। তোমরা এখন বাবার সামনে বসে শোনো । তোমরা জানো যে, পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা তনে এসেছেন । আমরা আবার এসে ওনার বাচ্চা, ব্রাহ্মণ হয়েছি । সত্যযুগে এই কথা কেউই জানে না যে, আমরা আবার চন্দ্রবংশী হবো । এখন বাবা তোমাদের সম্পূর্ণ সৃষ্টির চক্র বোঝাচ্ছেন । বাবা এই সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তকে জানেন । তাঁকে বলা হয় – জানি – জাননহার (সর্বজ্ঞ), নলেজফুল (পূর্ণ জ্ঞানী) । এ কার নলেজ ? একথা কেউই জানে না, কেবল নাম রেখে দিয়েছে যে – গড ফাদার হলেন নলেজফুল । ওরা মনে করে যে, ভগবান সকলের মনের কথা জানতে পারেন । তোমরা এখন জানো যে, আমরা শ্রীমৎ অনুসারে চলি । বাবা বলেন মামেকম্ (একমাত্র আমাকে) স্মরণ করো, যাঁকে তোমরা অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করে এসেছো । এখন তোমরা যখন জ্ঞান প্রাপ্ত করো, তখন তোমাদের ভক্তি চলে যায় । সত্যযুগ হলো দিন আর কলিযুগ হলো রাত তোমাদের পা নরকের দিকে আর মুখ স্বর্গের দিকে । তোমরা বাবার ঘর থেকে শ্বশুর বাড়ি আসবে । এই প্রিয়তম শিব বাবা আসেন শৃঙ্গার করাতে, কেননা তোমাদের শৃঙ্গার খারাপ হয়ে গেছে । পতিত হয়ে গেলে শৃঙ্গার খারাপ হয়ে যায় । এখন সবাই পতিত, পাপী, নীচ হয়ে গেছে । তোমরা এখন বাবার দ্বারা মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হচ্ছো । গুণহীন থেকে গুণবান তৈরী হচ্ছো । তোমরা জানো যে, বাবাকে স্মরণ করলে আর বুঝতে পারলে আমরা আর কোনো পাপ করবো না, কোনো তমোপ্রধান জিনিস ভোজন করবো না । মানুষ তীর্থে যখন যায় তখন কেউ বেগুন ত্যাগ করে আসে, কেউ আবার মাংস ত্যাগ করে আসে । এখানে হলো পাঁচ বিকারের দান, কেননা দেহ বোধ হলো সবথেকে খারাপ । প্রতি মুহূর্তে দেহের প্রতি মমত্ব এসে যায় ।

বাবা বলেন – বাচ্চারা, তোমরা এই দেহের প্রতি মমত্ব ত্যাগ করো । নিজের দেহের মমত্ব দূর না হলে তখন অন্য – অন্য দেহধারীর প্রতিও মমত্ব এসে যায় । বাবা বলেন, বাচ্চারা একের প্রতি প্রীতি রাখো, অন্যের নাম – রূপে আকৃষ্ট হয়ো না । বাবা গীতের অর্থও বুঝিয়ে দিয়েছেন । আমরা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে আবারও অসীম জগতের এই স্বর্গের বাদশাহী গ্রহণ করছি । এই বাদশাহীকে কেউই আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না । ওখানে আর দ্বিতীয় অন্য কেউই নেই । তাহলে কিভাবে কেড়ে নেবে ? বাচ্চারা, তোমাদের এখন শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে । যদি না চলো, তাহলে মনে রেখো, কখনোই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না । শ্রীমৎও অবশ্যই সাকারের দ্বারাই গ্রহণ করতে হয় । প্রেরণার দ্বারা তো আর লাভ করা যায় না । কারোর তো আবার অহংকার এসে যায় যে, আমরা তো শিব বাবার প্রেরণাতেই গ্রহণ করছি । প্রেরণার কথা যদি হতো তাহলে ভক্তিমার্গেও কেন প্রেরণা দিতেন না যে, ‘মন্মনাভব’ । এখানে তো সাকারে এসে বোঝাতে হয় । সাকার ব্যতীত কিভাবে মত দিতে পারেন । অনেক বাচ্চা বাবার উপর ক্রোধান্বিত হয়ে বলেন, আমরা তো শিব বাবার । তোমরা জানো যে, শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা আমাদের ব্রাহ্মণ বানান । প্রথমে তো বাচ্চা তৈরী হয়, তাই না, তারপর বোধ প্রাপ্ত হয় যে, আমরা এনার দ্বারা দাদুর উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি । ঠাকুর দাদা শিব বাবাই ব্রহ্মার দ্বারা আমাদের আপন করে নেন । তিনি আমাদের শিক্ষা প্রদান করেন ।

(গীত) বাবার প্রতি ভালোবাসা রাখলে আমাদের সব আশা পূরণ হয় । এই ভালোবাসা খুব গভীর হওয়ার প্রয়োজন । তোমরা সকল আত্মারা বাবার প্রিয়তমা (আশিক) হয়েছো । ছোটবেলায়ও লৌকিক বাচ্চারা বাবার আশিক হয় । বাবাকে স্মরণ করলেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে । বাচ্চা বড় হতে থাকবে আর তার বোধও আসতে থাকবে । তোমরাও অসীম জগতের পিতার সন্তান সবাই আত্মা । তোমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করছো । তোমাদের নিজেদের আত্মা মনে করে পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করতে হবে । বাবার আশিক হলে তোমাদের সব আশা পূরণ হয়ে যাবে । হৃদয়ে কোনো আশা রেখে প্রিয়তমা (আশিক), প্রিয়তমকে (মাশুককে) স্মরণ করে । বাচ্চারা বাবার আশিক হয় উত্তরাধিকারের জন্য । বাবা আর তাঁর সম্পদ স্মরণে থাকে । এখন এ হলো জাগতিক কথা । এখানে তো আত্মাকে আশিক হতে হবে পারলৌকিক মাশুকের, যিনি সকলের মাশুক । তোমরা জানো যে, বাবার কাছ থেকে আমরা বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করি, এতে সবকিছুই এসে যায় এখানে ভাগাভাগির কোনো কথা নেই । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে কোনো উপদ্রব হতো না । সেখানে দুঃখের নামই থাকে না । এ তো হলোই দুঃখধাম, এইজন্য মানুষ পুরুষার্থ করে যাতে আমরা রাজা – রাণী হতে পারি । প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার যাতে হতে পারি । নম্বরের ক্রমানুসার পদ তো আছে, তাই না । প্রত্যেকেই পুরুষার্থ করে উচ্চ পদ প্রাপ্তির জন্য । স্বর্গেও উচ্চ পদ প্রাপ্তির জন্য মাম্মা – বাবাকে অনুসরণ করা উচিত । আমরা কেন উত্তরাধিকারী হবো না ? ভারতকেই মাদার – ফাদার কান্ট্রি বলা হয় । ভারতকে বলা হয় ভারত মাতা । তাই অবশ্যই পিতারও প্রয়োজন, তাই না । তাই দুইজনকেই চাই । আজকাল বন্দে মাতরম্ ভারত মাতাকে বলা হয় কেননা ভারত হলো অবিনাশী খণ্ড । এখানেই পরমপিতা পরমাত্মা আসেন । তাহলে ভারত তো মহান তীর্থ হলো, তাই না । তাই সারা ভারতের বন্দনা করা উচিত, কিন্তু এই জ্ঞান কারোর মধ্যেই নেই । এই বন্দনা করা হয় পবিত্রতার । বাবা বলেন, বন্দে মাতরম্ । তোমরা হলে শিব শক্তি, যারা ভারতকে স্বর্গ বানিয়েছে । প্রত্যেকেরই তো তাদের জন্মভূমি ভালো লাগে, তাই না । তাই সবথেকে উচ্চ ভূমি হলো এই ভারত, যেখানে বাবা এসে সবাইকে পবিত্র বানান । পতিতকে পাবন করেন একমাত্র বাবাই । বাকি এই ধরণী ইত্যাদি কিছুই করে না । সবাইকে পবিত্রতা দানকারী একমাত্র বাবাই, যিনি এই ভারতেই আসেন । ভারতের মহিমা অপার । ভারত হলো অবিনাশী খণ্ড । এই ভারতের কখনোই বিনাশ হয় না । ঈশ্বর এই ভারতে এসেই যাঁর শরীরে প্রবেশ করেন তাঁকে ভাগীরথ বা নন্দীগণও বলা হয় । নন্দীগণ নাম শুনে ওরা তা পশুর উপর রেখে দিয়েছে । তোমরা জানো যে, বাবা কল্প – কল্প ব্রহ্মা তনে আসেন । বাস্তবে জটা তোমাদেরই রয়েছে । তোমরাই হলে রাজঋষি । ঋষি সর্বদা পবিত্র থাকে । তোমরা হলে রাজঋষি, তোমাদের আবার গৃহস্থালীরও দেখাশোনা করতে হবে । তোমরা ধীরে ধীরে পবিত্র হতে থাকবে । ওই সন্ন্যাসীরা চট করে পবিত্র হয়ে যায় কেননা তারা গৃহত্যাগ করে চলে যায় । তোমাদের এই গৃহস্থ জীবনে থেকেই পবিত্র হতে হবে তফাৎ তো হলো, তাই না । তোমরা জানো যে, আমরা এই পুরানো দুনিয়াতে বসে নতুন দুনিয়ার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি ।

বাবা বলেন – মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা, এই পড়া তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য । তোমরা নতুন দুনিয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো । তাই তোমাদের বাবাকে কতো স্মরণ করা উচিত । এমন অনেকেই আছে যারা একে অপরের নাম – রূপে আকৃষ্ট হয় । তাহলে তাদের শিব বাবা কখনোই স্মরণে আসবে না । যাকে ভালোবাসবে, সেই স্মরণে আসতে থাকবে । তারা এই সিঁড়ি চড়তে পারবে না । এই নাম – রূপে আকৃষ্ট হওয়ারও এক রোগ হয়ে যায় । বাবা সতর্ক করেন – তোমরা একে অপরের নাম – রূপে আকৃষ্ট হয়ে পদ ভ্রষ্ট করছো । অন্যের কল্যাণ যদিও বা হয়, কিন্তু তোমাদের কিছুই কল্যাণ হবে না । এমন করলে নিজের অকল্যাণ করে বসে । এমন অনেক (পণ্ডিতের মতো ) আছে, যারা নাম – রূপে আকৃষ্ট হয়ে মরে ।

(গীত) তোমরা বাচ্চারা এখন জেনে গেছো যে, অর্ধেক কল্প আমরা দুঃখ সহন করেছি । কষ্টও সহন করেছি । এখন সেই সব দূর হয়ে খুশীর পারদ চড়তে থাকে । তোমরা দুঃখ – কষ্ট দেখতে দেখতে একদম তমোপ্রধান হয়ে গেছো । এখন তোমাদের খুশীর অনুভব হয় যে – আমাদের সুখের দিন এসেছে । আমরা সুখধামে যাচ্ছি । দুঃখের দিন আমাদের শেষ হয়েছে । তাই সুখধামে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ করা উচিত । মানুষ পড়াশোনা করে সুখের জন্য । তোমরা জানো যে, আমরা ভবিষ্যৎ বিশ্বের মালিক হচ্ছি । বাবার কাছে পত্র লিখে থাকে – বাবা আমরা তোমার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকারই নেবো, অর্থাৎ সূর্যবংশী রাজধানীতে আমরা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবো । পুরুষার্থ করার সম্পূর্ণ ভাবনা রাখতে হবে ।

(গীত) এখন তোমাদের সত্যযুগের জন্য সুখের আশার প্রদীপ জাগ্রত হচ্ছে । এই প্রদীপ যখন নিভে যায় তখন দুঃখই দুঃখ হয়ে যায় । ভগবান উবাচঃ — তোমাদের সব দুঃখ এখন দূর হয়ে যাবে । এখন তোমাদের গহন সুখের দিন আসছে । পুরুষার্থ করে তোমাদের বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে হবে । এখন যতো গ্রহণ করতে পারবে, এতে বুঝতে পারবে, আমরা কল্প – কল্প এতটা উত্তরাধিকার পাওয়ারই অধিকারী হই । প্রত্যেকেই বুঝতে পারবে, আমরা কাকে এই পথ বলে দিই । বাবা বলেন, এক নম্বর পুণ্য আত্মারা সূর্যবংশীর জন্য তৈরী হবে । তোমাদের অন্ধের লাঠি হতে হবে । প্রশ্নাবলী ইত্যাদি বোর্ডে যত্রতত্র লাগিয়ে দেওয়া উচিত । এক বাবাকেই সিদ্ধ করে দেখাতে হবে । তিনিই হলেন সকলের বাবা । ওই বাবা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা করেন । ব্রাহ্মণ থেকে তোমরা দেবতা তৈরী হবে । তোমরা শূদ্র ছিলে, এখন হলে ব্রাহ্মণ । ব্রাহ্মণ হলো শিখা, তারপর হয় দেবতা । চড়তি কলা হলো তোমাদের মতো ব্রাহ্মণদের । তোমরা ব্রাহ্মণ, ব্রহ্মাণীরা ভারতকে স্বর্গ বানাও । পদ আর শিখা, ডিগবাজি (বাজোলি) খেললে এই দুইয়ের সঙ্গম হয়ে যায় । বাবা কতো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন । বিনাশ হলে বুঝতে পারবে, আমাদের রাজধানী স্থাপন হলো । এরপর তোমরা সবাই এই দেহ ত্যাগ করে অমরলোকে যাবে । এ হলো মৃত্যুলোক ।

(গীত) যখন থেকে প্রেম হয়েছে… এর অর্থ এই নয় যে, যারা পুরানো প্রেমী, তারাই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে, আর নতুন প্রেমীরা কম পদ প্রাপ্ত করবে । তা নয়, সবকিছুই পুরুষার্থের উপর নির্ভর করে । এমন দেখাও যায় যে, অনেক পুরানোর থেকেও নতুনরা তীক্ষ্ণ হয়, কেননা তারা দেখবে যে খুব অল্প সময় বাকি আছে, তাই পুরুষার্থের অভ্যাস করতে লেগে যায় । পয়েন্টসও সহজেই প্রাপ্ত হয় । বাবার পরিচয় দিয়ে বোঝাবে যে, গীতার ভগবান কে ? — শিব, নাকি শ্রীকৃষ্ণ ? তিনি হলেন রচয়িতা আর ইনি রচনা । তাহলে অবশ্যই রচয়িতাকেই ভগবান বলা হবে, তাই না । তোমরা সিদ্ধ করে বলবে যে, এই যজ্ঞ, তপ, শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে তোমরা নীচেই নেমে এসেছো । ভগবান উবাচঃ বলে বোঝাবে, তাহলে কেউই আর রাগ করবে না । অর্ধেক কল্প ধরে ভক্তি চলতে থাকে । ভক্তি হলো রাত । উত্তরণের কলা আর অবতরণের কলা হয় ভায়া গতি হয়ে । সবাইকেই সদগতিতে আসতে হবে । এ তোমাদের বুঝতে হবে । সম্পূর্ণ সাধারণ ভাবে বোঝালে সবাই খুবই খুশী হবে । বাবা আমাদের এমন তৈরী করেন । আত্মারা এখন ডানা পেয়েছে । আত্মা যে ভারী হয়ে গিয়েছিলো, তা আবারও হালকা হয়ে যায় । দেহ বোধ দূর হলে তোমরা হালকা হয়ে যাবে । বাবার স্মরণে তোমরা যতই পায়ে হেঁটে যাও না কেন, পরিশ্রান্ত হবে না । এই যুক্তিও তোমাদের বলে দেওয়া হয় । দেহের বোধ দূর হলে তোমরা হাওয়ার মতো উড়তে থাকবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের নমস্কার জানাচ্ছেন ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ বোধে এসে কখনোই ক্রুদ্ধ হয়ো না । সাকার দ্বারা বাবার মত গ্রহণ করতে হবে । এক পরমাত্মা প্রিয়তমের (মাশুক) প্রকৃত বা সত্যিকারের প্রেমিকা (আশিক) হতে হবে ।

২ ) গৃহস্থালী সামলিয়ে রাজঋষি হয়ে থাকতে হবে । সুখধামে যাওয়ার সম্পূর্ণ আশা রেখে পুরুষার্থে সম্পূর্ণ ভাবনা রেখে চলতে হবে ।

বরদানঃ-

কোনো বড় বিষয়কে ছোটো করা বা ছোটো বিষয়কে বড় করা নিজের হাতে । কারোর স্বভাব হয়, ছোটো বিষয়কে বড় করে তোলা, আবার কেউ বড় বিষয়কে ছোটো করে দেয় । তাই মায়ার যে কোনো বড় বিষয় যদি সামনেও এসে যায়, তখন তোমরা তার থেকে বড় হয়ে যাও, তাহলে তা ছোটো হয়ে যাবে । স্ব – স্থিতিতে থাকলে বড় পরিস্থিতিও ছোটো মনে হবে আর তাকে জয় করা সহজ হয়ে যাবে । সময় মতো যদি স্মরণে আসে যে, আমি কল্প – কল্পের বিজয়ী আত্মা তাহলে এই বিশ্বাসে বিজয়ী হয়ে যাবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top