6 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 5, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞান-সাগর বাবা আর ব্রহ্ম-পুত্র নদীর এই সঙ্গম হল হীরে সম, এখানে তোমরা বাচ্চারা আসো - কড়ি থেকে হীরে সম হতে”

প্রশ্নঃ --

সত্যযুগী রাজধানীর স্থাপনা কবে এবং কীভাবে হবে ?

উত্তরঃ -:-

যখন সম্পূর্ণ পতিত সৃষ্টির সাফাই হয়ে যাবে অর্থাৎ পুরানো সৃষ্টির বিনাশ হবে তখন সত্যযুগী রাজধানীর স্থাপনা হবে। তার আগে তোমাদের প্রস্তুত হতে হবে, পবিত্র হতে হবে। নতুন রাজধানীর সম্বৎ তখন শুরু হবে যখন একজনও পতিত থাকবে না। এখান থেকে সম্বৎ শুরু হবে না। যদিও রাধে-কৃষ্ণের জন্ম হয়ে যাবে কিন্তু সেই সময় থেকে সত্যযুগ বলা হবে না। যখন তারা লক্ষ্মী-নারায়ণের রূপে রাজ-সিংহাসনে বসবে তখন সম্বৎ আরম্ভ হবে, ততক্ষণ আত্মাদের আবাগমন চলবে। এই সব হল বিচার সাগর মন্থন করার বিষয়।

গান:-

এ যে হল বসন্ত, এ সময় হল পুরানোকে ভুলবার…

ওম্ শান্তি । এই আত্মারূপী বাচ্চারা কোথায় এসেছে ? জ্ঞান সাগরের তীরে। যদিও থাকে জ্ঞান গঙ্গার তীরে এবং এখন এসেছে জ্ঞান সাগরের তীরে। কারা এসেছে ? জ্ঞান গঙ্গারা। কি হতে এসেছে ? কড়ি থেকে হীরে সম অথবা কাঙাল থেকে মুকুটধারী হওয়ার জন্য। ব্রহ্মা হল ব্রহ্মপুত্র এবং শিব হলেন জ্ঞানের সাগর। এ হল ব্রহ্ম পুত্র নদী। সন্তান তাইনা। ব্রহ্মা কেয়ার অফ শিব। তোমরা হলে নাতি নাতনী। কলকাতায় সাগর ও নদীর বিশাল মেলা আয়োজিত হয়। সেখানে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং সাগর মিলিত হয়। ব্রহ্ম পুত্রে আরও অনেক নদী এসে মিলিত হয়। মুখ্য হল ব্রহ্মপুত্র এবং সাগরের সঙ্গম। তাকেই বলে ডায়মন্ড হারবার। এই নাম ইংরেজরা রেখেছে। অর্থ কিছুই বোঝে না, নাম শুধু রেখে দিয়েছে। বাবা অর্থ বলে দিয়েছেন। তোমরা এসেছো এই সময় ব্রহ্ম পুত্র আর জ্ঞান সাগরের সমীপ, সম্মুখে। সেখানেও সাগরের সম্মুখে যাও হীরে সম হতে। কিন্তু হীরা না হয়ে পাথর হয়ে যাও কারণ সেটা হল ভক্তিমার্গ। এই সঙ্গম হল আত্মাদের আর পরমাত্মার মিলন বেলা। দুইই একত্রে, ওটি হল জড়, এখানে হল চৈতন্য। ইনি তো সর্বত্র যেতে পারেন। অতএব বাচ্চাদের সর্বদা এই কথা বোঝা উচিত যে ব্রহ্ম পুত্র এবং সাগর দুইই একত্রে আছেন চৈতন্যে । এই হল হীরা সম হওয়ার সঙ্গম। তোমরা হীরার মতন হও। এই হল ব্রহ্মপুত্র এবং অ্যাডপ্টেড জ্ঞান গঙ্গারা। এই নদী তো অসংখ্য। ওই নদীর কথা তো সবাই জানে যে ভারতে এত গুলি নদী আছে। এ হল অগণিত। এই জ্ঞান নদীর সংখ্যা তো গণনা করা যাবে না। সাগর থেকে নদীর এই সময়েই উদ্ভব হয়। প্রথমে তো ব্রহ্মপুত্র বের হয় পরে তার থেকে ছোট ছোট নদী বের হয়। তোমরা জানো নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। কেউ বড় কেউ ছোট, এই সব নদী মানুষকে হীরে তুল্য বানায়। এমনও বলবে না যে, সূর্যবংশীই মহারাজা মহারানী হয়। না। যথা রাজা রানী তথা প্রজা হয়। তোমাদের সকলের জীবন হীরে সম হয়, যারা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্তির জন্য অল্প একটুও পুরুষার্থ করে তারাই হীরে তুল্য হয়। এই ব্রহ্মপুত্র নদী ও সাগর দুইয়েরই হল একত্রে বাস । তোমরা বাচ্চারা যখন আসো তখন মনে মনে জানো যে, আমরা বাপদাদার কাছে এসেছি। পিতা হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনি প্রবেশ করেন এই ব্রহ্মপুত্র অর্থাৎ ব্রহ্মার দেহে। এনার দ্বারা আমাদের হীরে তুল্য করেন। এবারে যে যতখানি পুরুষার্থ করে শ্রীমৎ অনুসরণ করবে। এই কথাও তোমরা জানো যত দিন জীবিত থাকবে ততদিন পুরুষার্থ করতে হবে। শিক্ষা তো প্রাপ্ত হতেই থাকে। পরীক্ষার রেজাল্ট তো বিনাশের সময়ে বেরোয়। এক দিকে রেজাল্ট বেরোবে অন্য দিকে বিনাশ শুরু হবে। তখন তো হাহাকার চলবে। সে কথা বলার মতন নয়, তাই বিনাশের পূর্বে, যুদ্ধের পূর্বে প্রস্তুত হতে হবে। বুঝতে হবে আর কতটা সময় বাকি থাকতে পারে। আর এও জানো যে, যখন আমাদের রাজধানী স্থাপন হয় তখন এই সম্পূর্ণ জগতের সাফাইও হয়। তোমরা পবিত্র হতে থাকো। তারা হল পতিত। সব পতিত মানুষ শেষ হয়ে গেলে, হিসেব নিকেশ শোধ হয়ে গেলে সবাই ফিরে যাবে। একজনও পতিত থাকবে না। তখন বলা হবে পবিত্র দুনিয়া। তোমরা এই সময় হলে পবিত্র কিন্তু সম্পূর্ণ দুনিয়া তো পবিত্র নয়, তাইনা। পবিত্র হবে নিশ্চয়ই। যখন বিনাশ হবে তখন সম্পূর্ণ দুনিয়া পবিত্র হবে, তাকেই নতুন দুনিয়া বলবে। নতুন দুনিয়ার সম্বৎ শুরু হবে ততক্ষণ পুরানো দুনিয়া থাকবে। এখান থেকে সম্বৎ শুরু হবে না। আমরা ব্রাহ্মণরা যদিও নতুন। কিন্তু দুনিয়া বা সম্পূর্ণ পৃথিবী নতুন নয়। এখন হল সঙ্গম। কলিযুগের পরে সত্যযুগ আসবে। আমরা তো বলেই থাকি যে ফার্স্ট প্রিন্স প্রিন্সেস হল রাধা কৃষ্ণ, তবুও আমরা সেই সময় সত্যযুগকে বলব না। যতক্ষণ না লক্ষ্মী-নারায়ণ সিংহাসনাসীন হচ্ছেন, ততক্ষণ কিছু না কিছু ঝামেলা (খিট খিট) হতেই থাকবে, যদিও রাধা কৃষ্ণ এসে যায়। দেখো, এই সব কথা হল বিচার সাগর মন্থন করার বিষয়। সত্য যুগ যখন শুরু হবে তখন সম্বৎ শুরু হবে। সূর্যবংশী ডায়নেস্টির সম্বৎ থাকবে। কিন্তু প্রিন্স প্রিন্সেসের নামে সম্বৎ কখনও হয় না। বাকি মাঝখানের সময়ে আবাগমন হতে থাকবে। অপবিত্র ছিঃ ছিঃ মানুষদেরও ফিরে যেতে হবে। সংখ্যায় কিছু জন তো থেকেই যাবে, তাইনা। যারা জীবিত থাকবে তারাও ফিরে যাবে, সময় লাগবে। এই কথা কে বোঝাচ্ছেন ? জ্ঞানের সাগর বোঝাচ্ছেন তেমন ব্রহ্মপুত্র জ্ঞানের নদীও আছেন, দুইজনে একত্রে বোঝাচ্ছেন। লৌকিক জগতে কুম্ভের মেলা তো প্রতি বছর আয়োজিত হয়। এই কুম্ভের মেলা, সাগর ও জ্ঞান নদীর মেলা তো সঙ্গমযুগেই হয়। তোমরা বাচ্চারা বলবে আমরা মাতা-পিতা বা জ্ঞানের সাগর (শিব পিতা) এবং বড় নদীর (ব্রহ্মা মা) কাছে যাই। বাবা আমাদের এই বড় নদী এবং এই নদী গুলির দ্বারা বর্সা প্রদান করেন অর্থাৎ হীরে তুল্য করেন। কুম্ভের মেলায় আনন্দ সহকারে অত্যন্ত শুদ্ধতা ধারণ করে যায় এবং সেখানে মন-বাণী-কর্মে পবিত্র থাকে। ওটা হল জড় যাত্রা (দেহের দ্বারা যাত্রা) । যাত্রীরা নিজেদের কল্যাণ করতে চায়। পাণ্ডাদের অত কল্যাণ হয় না যত যাত্রীদের হয়। পান্ডারা তো অর্থ উপার্জন করতে যায়। তাদের অতখানি ভাবনা থাকে না যতখানি যাত্রীদের থাকে। যাত্রীরা খুব শুদ্ধ ভাবনা যুক্ত হয়ে তীর্থ যাত্রায় যায়, তাই অনেকের সাক্ষাৎকার হয়। অমরনাথে বরফের লিঙ্গ আকার থাকে। সামনে গিয়ে দেখলে বরফের লিঙ্গ রূপই দেখতে পাওয়া যায়। ভাবনা যুক্ত হয়ে দেখে, তাই তখন মানুষ খুশীর অনুভব করে। কিন্তু এ’তো প্রকৃতি (প্রাকৃতিক) । বরফের লিঙ্গ রচনা হয়, মানুষের এই ভাবনা থাকে বুদ্ধিতে। যদিও নেই কিছুই। প্রকৃত সত্য যাত্রা তো এখন তোমাদের । মানুষ ভাবে ভগবানের খোঁজে অনেক ধাক্কা খেয়েছি, ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য, কিন্তু ভগবানকে পাওয়া যায় না।

বাবা বুঝিয়েছেন ভগবানের তো কোনো চিত্র দেখানো সম্ভব নয়। বিন্দুর ফটো কি হবে ! সে তো বোঝানোর জন্য বলা হয় যে, স্টার স্বরূপ। ভ্রুকুটির মাঝখানে প্রদীপ্তমান…. অনেক কন্যারা ভ্রুকুটিতে তিলক লাগায়। এই কথা তো শুনেছে যে, ভ্রুকুটিতে আত্মার নিবাস তাই স্টার লাগায়। সত্যিকারের তিলক যদি বলতে হয় তাহলে হল এটাই। রাজত্বের তিলক যদিও বড় আকারের হয়। সে তো স্থূল রাজতিলক দেওয়া হয়। বাচ্চারা, তোমাদের জ্ঞান আছে যে, আমরা আত্মারা এখন রাজ তিলক প্রাপ্ত করি। আত্মা বুঝেছে যে, এখন পরম পিতা পরমাত্মার কাছে আমি আত্মা রাজ তিলক প্রাপ্ত করি। ভ্রুকুটির মাঝখানে খুব সুন্দর স্টার লাগায়। সোনারও লাগায়। এখন তোমরা সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত করেছো, আমরা হলাম স্টার, হীরে তুল্য হই। আমরা আত্মারা হলাম স্টার। পরম পিতা পরমাত্মাও হলেন স্টার, খুবই সূক্ষ্ম, কিন্তু তাঁর মধ্যে সম্পূর্ণ নলেজ আছে, এ হল অত্যন্ত গুহ্য কথা। তোমাদের জ্ঞান অর্থাৎ আলোক প্রাপ্ত হয়েছে। পরম পিতা পরমাত্মার রূপও দেখেছো, বুঝেছো। যেমন আত্মার সাক্ষাৎকার হয় তেমন পরমাত্মারও সাক্ষাৎকার হয়। তিনি বলবেন, যেমন তোমরা তেমনই আমি। তাছাড়া, সন্তানদের, পিতার কিরূপ সাক্ষাৎকার চাই। আত্মা তো ছোট বড় হয় না। যেমন তোমরা তেমনই পিতা। শুধুমাত্র মহিমা ও পার্ট হল আলাদা এবং সবচেয়ে ভিন্ন, একে অপরের সঙ্গে মিল নেই। অ্যাক্টরদের পার্ট একরকম তো হতে পারে না। একেই বলা হয় প্রকৃতি। বাস্তবে একে ড্রামার প্রকৃতি বলা যেতে পারে। কেননা বাবা এমন বলবেন না যে ড্রামা আমি রচনা করেছি। তাহলে প্রশ্ন উঠবে কবে রচনা করেছেন ? একেই বলে প্রকৃতি। এই চক্রটি কীভাবে আবর্তিত হয় সে কথাও তোমরা এখন জেনেছো। আত্মা হল স্টার তার মধ্যে বিশাল পার্ট নিহিত আছে। পরমপিতা পরমাত্মা সর্বশক্তিমান হলেন ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি। জ্ঞানের সাগরও বলা হয়। এখানে কাউকে জ্ঞানের সাগর বলা হয় না। বেদ শাস্ত্র পাঠ করে যারা তারা কেবল শাস্ত্রের জ্ঞানই পাঠ করে শোনায়। শিববাবার মধ্যে যে জ্ঞান আছে তা তো কারো মধ্যে নেই। ভগবান এসে সহজ রাজযোগের জ্ঞান প্রদান করেন। তাঁকেই জ্ঞানের সাগর বলবে। সুতরাং এই নদী গুলিতে মেলার আয়োজন করা হয়। এই কথাও বুঝতে পারো যে, সাগর থেকেই নদীর উদ্ভব হয়। অনেক বাচ্চাদের এই কথাটির নলেজ নেই। যদিও তোমাদের কথা গুলিও কেউ জানেনা। জ্ঞানের সাগর কীভাবে আসেন, তাঁর কাছে জ্ঞান গঙ্গারা জ্ঞান প্রাপ্ত করে। এইসবই হল জ্ঞানের কথা। মানুষের দ্বারা বুদ্ধিতে যে কথা গুলো ফিক্সড হয়ে আছে তার ফলে সত্যের জ্ঞান কারো নেই। তোমরা এখন ওই স্থূল সাগর এবং এই জ্ঞানের সাগরের কথা জেনেছো। বর্তমানে ওই সাগর ও নদী তো দুঃখ প্রদান করে। সাগরের ঢেউ উত্তাল হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। এখন জ্ঞানের সাগর পতিত পাবনকে সবাই স্মরণ করে, ওই স্থূল সাগর বা নদী গুলি কেউ স্মরণ করে না। পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগরকে স্মরণ করে। ওই সাগর থেকেই এই নদীর উৎপত্তি হয়েছে। তাঁর নাম রূপ দেশ কাল কেউ জানেনা। যদিও শিবের নাম বলে শুধুমাত্র লিঙ্গের নাম রেখে দিয়েছে। বাবার নাম তো অবিনাশী, তাইনা। শিববাবা হলেন একমাত্র রচয়িতা, তাঁর রচনাও এক এবং অনাদি। কীভাবে অনাদি, সে কথা বাবা বসে বোঝান। সত্যযুগে এই উৎসব ইত্যাদি কিছুই হয় না। সব ভ্যানিশ হয়ে যায়। পুনরায় ভক্তিমার্গে শুরু হবে।

মানুষ ভাবে – স্বর্গ ছিল আবার স্বর্গ আসবে কিন্তু এখন তো নরক। এর আয়ু কত, তা কেউ জানেনা, এ’ হল ঘোর অন্ধকার । কল্পের আয়ু কত, তাও কেউ জানেনা। বলেও থাকে এই ড্রামা আবর্তিত হতে থাকে । কিন্তু আয়ু না জানার দরুন কিছু বুঝতে পারে না। ব্রহ্মার মুখের দ্বারা শিববাবা বসে সকল বেদ শাস্ত্রের সার বুঝিয়ে দেন তাই তারা ব্রহ্মার হাতে শাস্ত্র দিয়ে দিয়েছে। উনিও সব শাস্ত্র কি হাতে ধরে রাখতে পারবেন বা ব্রহ্মার দ্বারা কেউ সব শাস্ত্র থোড়াই শোনাতে পারবে। তোমরা জানো যে এই সব হল ভক্তিমার্গের। সেইসব তো পাঠ করে এসেছো। কবে পাঠ করা শুরু হয়েছে, কিছুই জ্ঞান নেই। বলে দেয় এ’হল হল অনাদি। বেদব্যাস রচনা করেছেন। বেদকে উচ্চতম গ্রন্থ মনে করে । যদিও লেখা আছে যে – বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি সব হল গীতার রচনা। তোমরা বাচ্চারা জানো এই বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি পুনরায় তৈরি হবে। তখন আবার নাম রাখবে। এখন তোমরা জানো আমরা পুনরায় পূজ্য স্বরূপে পরিণত হচ্ছি পরে পূজারী স্বরূপে মন্দির ইত্যাদি তৈরি করব। রাজা-রানী মন্দির নির্মাণ করবে তো প্রজারাও করবে। ভক্তিমার্গ শুরু হলে তখন সবাই মন্দির নির্মাণ করা শুরু করে। ঘরে ঘরে মন্দির থাকবে। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজধানীতে তো রাধা কৃষ্ণের মন্দির থাকতে পারে না। মন্দির তো ভক্তিমার্গে তৈরি হয়। যখন পতন হওয়া শুরু হয়, মন্দিরের নির্মাণও হতে থাকে। সূর্যবংশী ও চন্দ্রবংশীদের যা প্রপার্টি সেসব বৈশ্যবংশী, শূদ্রবংশীরা ভোগ করে। তা নাহলে রাজত্ব আসবে কোথা থেকে। প্রপার্টি চলতে থাকে। বড় বড় প্রপার্টি যা থাকে সেসব ছোট হয়ে শেষে কিছুই থাকে না। নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যেতে থাকে। সুতরাং বাচ্চারা এখন বুঝেছে যে কীভাবে আমরা পূজ্য হই। কবে হই পরে কীভাবে পূজারী হই। এখন বুঝেছ তাইনা যে, পরমপিতা পরমাত্মার নাম রূপ দেশ কাল এবং তাঁর পার্ট কি। ভক্তিমার্গেও ভক্তদের শুদ্ধ ভাবনা বাবা পূরণ করেন। অশুদ্ধ ভাবনা রাবণ পূরণ করে। এখন জ্ঞানের সাগর তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান ভরে দিয়েছেন। সবাই তো বুঝবে না। যারা কল্প পূর্বের হবে তারাই জ্ঞানে আসবে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) যত দিন জীবিত থাকবে পুরুষার্থ করতে হবে। বাবার শিক্ষা গুলি ধারণ করতে হবে। বাবার সম মাস্টার জ্ঞানের সাগর হতে হবে।

২ ) রূহানী পান্ডা রূপে সবাইকে প্রকৃত সত্য যাত্রা করাতে হবে। হীরে সম হতে হবে এবং অন্যদের বানাতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা নিজের দুর্বল বৃত্তি গুলিকে দূর করে শুভ এবং শ্রেষ্ঠ বৃত্তি ধারণ করার ব্রত নেয়, এই সৃষ্টির রূপও তাদের কাছে শ্রেষ্ঠ দৃশ্যমান হয়। বৃত্তির দ্বারা দৃষ্টি এবং কৃতিরও কনেকশন আছে। যে কোনো ভালো বা খারাপ কথা সর্বপ্রথমে বৃত্তিতে ধারণ হয় তারপরে বাণী ও কর্মে আসে। বৃত্তি শ্রেষ্ঠ হওয়া অর্থাৎ বাণী ও কর্ম স্বভাবতঃই শ্রেষ্ঠ হওয়া। বৃত্তির দ্বারা ভাইব্রেশন, বায়ুমন্ডল তৈরি হয়। শ্রেষ্ঠ বৃত্তির ব্রত ধারণকারীরা বিশ্ব পরিবর্তক হয়ে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top