4 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

4 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

3 August 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদেরকে বাবার মতো রূপ বসন্ত হতে হবে। জ্ঞান যোগকে ধারণ করে তারপর আসামী দেখে অর্থাৎ ব্যক্তি বুঝে দান করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

কোন্ রীতি রেওয়াজ দ্বাপর থেকে চলে আসছে কিন্তু সঙ্গমে বাবা সেই রেওয়াজকে বন্ধ করে দেন ?

উত্তরঃ -:-

দ্বাপর থেকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করবার রীতি রেওয়াজ চলে আসে। বাবা বলেন, এখানে তোমাদের পায়ে পড়বার দরকার নেই। আমি তো হলাম অভোক্তা, অকর্তা, অচিন্তক। তোমরা বাচ্চারা তো হলে বাবার থেকেও বড়, কেননা বাচ্চারা বাবার সম্পূর্ণ সম্পদের মালিক হয়ে যায়। তো মালিকদেরকে আমি, বাবা নমস্কার করি। তোমাদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করবার দরকার নেই। হ্যাঁ ছোটরা অবশ্যই বড়দের সম্মান দেবে।

গান:-

যে পিয়ার সাথে…

ওম্ শান্তি । বর্ষা তো প্রতি বছরই হয়। সেটা হল জলের বর্ষা, এখানে হল জ্ঞানের বর্ষা – যা প্রত্যেক কল্পে হয়। এটা হল পতিত দুনিয়া, নরক। একে বিষয় সাগরও বলা হয়, যে বিষ অর্থাৎ কাম অগ্নির কারণে ভারত কালো হয়ে গেছে। বাবা বলেন আমি জ্ঞান সাগর, জ্ঞান বর্ষার দ্বারা গৌর বানিয়ে দিই। এই রাবণ রাজ্যে সব কালো হয়ে গেছে, সবাইকে এরপর পবিত্র বানিয়ে দিই। মূল লোকে কোনো পতিত আত্মা থাকে না । সত্যযুগেও কোনো পতিত থাকে না । এখন এটা হল পতিত দুনিয়া। তো সকলের ওপরে জ্ঞান বর্ষা হওয়া চাই। জ্ঞান বর্ষার দ্বারাই এরপর সমগ্র দুনিয়া পবিত্র হয়ে যায় । সেখানে পতিতের নাম নিশানটুকুও থাকে না। সেইজন্য বিষ্ণুকে ক্ষীর সাগরে দেখানো হয়েছে। তার অর্থই মানুষ জানে না। তোমরা জানো যে বিষ্ণুর দুটো রূপই হল লক্ষ্মী-নারায়ণ। বলা হয় সেখানে ঘী এর নদী বয়, তবে তো ক্ষীর সাগরও থাকতে হবে। মানুষ তো বিষ্ণু ভগবান বলে দেয়। তোমরা বিষ্ণুকে ভগবান বলতে পার না। বিষ্ণু দেবতায় নমঃ, ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ বলে থাকে। বিষ্ণুকে ভগবান নমঃ বলবে না। শিব পরমাত্মায় নমঃ এটা বলা শোভা পায়। এখন তোমরা আলোক প্রাপ্ত হয়েছো। উচ্চ থেকেও উচ্চ শ্রী শ্রী ১০৮ রুদ্র মালা বলা হয় । উপরে হল ফুল, তারপর মেরু দানা যুগল বলা হয় লক্ষ্মী-নারায়ণকে। ব্রহ্মা সরস্বতীকে যুগল বলা হয় না। এ হল শুদ্ধ মালা। মেরু বলা হয় লক্ষ্মী-নারায়ণকে। প্রবৃত্তি মার্গ। বিষ্ণু অর্থাৎ লক্ষ্মী-নারায়ণের ডিনায়েস্টি। কেবল লক্ষ্মী-নারায়ণ বলা হয়, কিন্তু তাদের সন্তানাদিও তো থাকবে তাই না ? এটা কারো জানা নেই। এখন তোমরা বাচ্চারা বিষয় সাগর থেকে বেরিয়ে এসেছো, তাকে কালীদহও বলা যায়। সত্যযুগে তো এ’সব কিছুই হয় না যে কালীয় নাগের ওপরে ডান্স করল, এই করল, ওই করল। এ’সব হল দন্ত কথা। ব্লাইন্ড ফেইথ (অন্ধ বিশ্বাস) থেকে পুতুল পূজা করে। অনেক দেবীদের মূর্তি বানায়। লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেবীদেরকে সাজায়। কোথাও কোথাও তো আবার সত্যিকারের সোনার গহনা পরায়, কেননা ব্রাহ্মণদেরকে দান করতে হয়। ব্রাহ্মণদেরকে দিয়ে পূজা করায়, অনেক খরচা করে, ধূমধাম করে দেবীদের ঝাঁকি বের হয়। দেবীদেরকে ক্রিয়েট করে, সুন্দর করে সাজিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারপর ডুবিয়ে দেয়। একে বলা হয় পুতুল পূজা। ভাষণে তোমরা বোঝাতে পারো কীভাবে এই অন্ধশ্রদ্ধার পূজা হয়। গণেশও খুব সুন্দর করে বানায়। শূঁড় বিশিষ্ট কোনো মানুষ তো কখনোই হতে পারে না। কতো রকমেরই যে সব চিত্র বানাতে থাকে, পয়সা খরচ করতে থাকে।

বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান – তোমাদেরকে আমি কতো বিত্তশালী একদম বিশ্বের মালিক বানিয়ে দিই। এ’কথা পরমাত্মা বসে আত্মাদেরকে বোঝান। বাচ্চারা এও জানে – যারা পূর্ব কল্পে এই ঈশ্বরীয় পাঠ পড়েছিল আর শ্রীমৎ অনুসারে চলেছিল তারাই চলবে। যদি না পড়ে, ঘুরে ফিরে বেড়ায় তবে তো খারাপই হবে (নবাব হতে পারবে না)। উঁচু পদ পেতে পারবে না। এখন তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদেরকে এই অবিনাশী জ্ঞান রত্ন গুলি কতো বিত্তশালী বানিয়ে দেয় । তারা তো শিব আর শংকরের অর্থ জানে না। শংকরের সামনে গিয়ে বলতে থাকে – আমার ঝুলি ভরে দাও। কিন্তু শংকর তো ঝুলি ভরে না। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে অবিনাশী জ্ঞান রত্ন প্রদান করেন। সে’সব ধারণ করতে হবে। এক একটি রত্ন হল লক্ষ টাকার। সুতরাং খুব ভালো ভাবে ধারণ করতে হবে আর ধারণ করাতে হবে, দান করতে হবে। বাবা বাচ্চাদেরকে বুঝিয়েছেন যে, দানও ব্যক্তি বুঝে করো, যার শোনার ইচ্ছা নেই, তার পিছনে টাইম ওয়েস্ট ক’রো না। শিবের পূজারী হোক কিম্বা দেবতাদের পূজারীদেরকে বোঝাও। বাকি অন্য রকমের মানুষদের পিছনে চেষ্টা করে দান করা অর্থাৎ টাইম ওয়েস্ট করে ফেলা। তোমাদের প্রত্যেককে রূপ বসন্ত হতে হবে যে। যেমন বাবা হলেন রূপ বসন্ত । ওঁনার রূপ জ্যোতির্লিঙ্গম নয়, স্টারের মতো। পরমপিতা পরম আত্মা পরমধামের বাসিন্দা। পরমধাম সব কিছুর থেকেও ঊর্ধ্বে তাই না ? আত্মাদেরকে তো পরমাত্মা বলা হবে না। তিনি হলেন পরম আত্মা। এখানে যারা দুঃখী আত্মারা রয়েছে, তারা পরমপিতাকে আহ্বান করে। ওঁনাকে সুপ্রীম আত্মা বলা হয় । তিনি হলেন বিন্দুর মতো। এমন নয় যে তাঁর কোনও নাম রূপই নেই। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন। দুনিয়া তাঁকে জানে না। জিজ্ঞাসা করে দেখো যে পরমপিতা পরমাত্মা কোথায় রয়েছেন ? বলবে সর্বব্যাপী। আরে তোমরা তো তাঁকে বলো পতিত পাবন, তাহলে পাবন কীভাবে বানাবেন তিনি ? কিছুই বুঝতে পারে না, একে অন্ধের নগরী বলা হয়। তোমাদেরকে তো বাবা সব কিছুর থেকে মুক্ত করিয়ে দিয়েছেন। বাবা হলেন অভোক্তা, অকর্তা আর অচিন্তক। কখনোই তিনি পায়ে পড়তে দেন না, কিন্তু দ্বাপর থেকে এই রীতি রেওয়াজ চলে এসেছে। ছোটরা বড়দেরকে রিগার্ড দেবে। বাস্তবে আমি হলাম বাবার বাচ্চা, উত্তরাধিকারী হই – বাবার প্রপার্টির। বাবা বলেন এরা হল মালিক – আমার সম্পত্তির। মালিককে নমস্কার করেন। যদিও মালিক হলেন বাবা, কিন্তু সত্যিকারের তো বাচ্চারাই হয়ে গেছে সমস্ত প্রপার্টির । তাহলে তোমাদেরকে তিনি কখনো কি বলবেন নাকি যে আমাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করো, স্মরণ করো। কখনোই বলবেন না।বাচ্চারা মিলিত হতে এলে তখনও বাবা বলেন শিব বাবাকে স্মরণ করে মিলিত হতে এসো। আত্মা বলে আমরা শিব বাবার কোলে যাই। মানুষ এই সব কথা শুনে বিভ্রান্তি বোধ করে। শিববাবা এই ব্রহ্মার দ্বারা বাচ্চাদেরকে অ্যাডপ্ট করেন। তিনি হয়ে গেলেন মা। তোমরা মনে করো যে, আমরা মা বাবার সাথে মিলিত হতে এসেছি। স্মরণ শিব বাবাকে করতে হবে। তো তিনি হয়ে গেলেন ফার্স্ট ক্লাস মা। উত্তরাধিকার তোমাদেরকে শিব বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত হয় । ইনিও (ব্রহ্মা বাবা) তাঁরই স্মরণে থাকেন। বাবা যেটা বোঝান তাকে ধারণ করতে হবে। রূপ বসন্ত হতে হবে । যোগে থাকবে, জ্ঞান ধারণ করবে এবং করাবে, তাহলে আমার মতো রূপ বসন্ত হয়ে যাবে । তারপর আমার সঙ্গে চলে যাবে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে জ্ঞান রয়েছে, তারপর যখন স্বর্গে আসবে, তখন জ্ঞান সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তখন প্রালব্ধ শুরু হয়ে যাবে। তখন নলেজের পার্ট সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এ’সব হল অত্যন্ত গুপ্ত বিষয়। খুব কম জনই তা বুঝতে পারে। বৃদ্ধাদেরকেও বাবা বোঝান যে, সেই এককেই স্মরণ করো। দ্বিতীয় কাউকে নয়। তো বাবার কাছে গিয়ে তারপর কৃষ্ণপুরীতে চলে যাবে। এটা হল কংসপুরী। এমন নয় যে কৃষ্ণপুরীতে কংসও ছিল, এ’সব হল দন্ত কথা। কৃষ্ণের মা এর ৮ টি সন্তান দেখায়। এটা তো গ্লানি হয়ে গেল। কৃষ্ণকে ঝাঁকায় রেখে যমুনা পার করেছিল। তারপর যমুনা নীচে চলে গেল। এই সব কিছুই হয় না। এখন তোমরা বাচ্চারা আলোক প্রাপ্ত করেছো। বাবা বলেন, আগে যা কিছু শুনেছিলে সব ভুলে যাও। বাবা বলেন, এই যজ্ঞ জপ তপ ইত্যাদি করে আমাকে কেউ পাবে না। আত্মা তমোপ্রধান হয়ে যাওয়ার ফলে তার ডানা ভেঙে যায়। এখন এই সমগ্র দুনিয়াতে আগুন লাগবে। হোলিকা বানায় (ন্যাড়াপোড়া) যখন তখন আগুনে আলু বেগুন পড়ায় (কোকী = মিষ্টি চাপাটি) । এ’সব হল আসলে আত্মা আর শরীরের। সকলের শরীর পুড়ে যাবে, আর আত্মা অমর থেকে যায়। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো যে, সত্যযুগে এত এত মানুষ, এত ধর্ম থাকে না। কেবল একটাই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম থাকে। ভারতই হল সবথেকে মহান তীর্থ স্থান। কাশীতে গিয়ে অনেকে থিতু হয়, ভাবে এখন থেকে কাশীবাসী হব। যেখানে শিব রয়েছেন সেখানেই আমরা শরীর ছাড়ব। অনেক সাধু সন্ন্যাসী কাশীতে চলে যায়। সারাদিন এই গীতই গাইতে থাকে – জয় বিশ্বনাথ গঙ্গা। এখন শিবের থেকে জলের গঙ্গা নির্গত তো হতে পারে না। শিব এর দ্বারে এসে মরতে চায়। এখন তো তোমরা প্র্যাকটিক্যালে শিবের দ্বারেই রয়েছো। যেখানেই থাকো না কেন কিন্তু শিব বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। তোমরা জানো যে, শিব বাবা হলেন আমাদের বাবা, আমরা ওঁনাকে স্মরণ করতে করতে ওঁনার কাছে চলে যাব। তাহলে শিব বাবার প্রতি এতখানি লভ থাকার কথা তাই না ? তাঁর নিজের কোনো বাবা নেই, টিচার নেই, বাকি সকলেরই আছে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরেরও রচয়িতা হলেন শিব বাবাই। রচনার থেকে রচনার (তা সে যেই হোক না কেন) সম্পদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হতে পারে না। উত্তরাধিকার সব সময় বাবার থেকেই বাচ্চারা পায় । তোমরা বাচ্চারা জানো যে, আমরা জ্ঞানের সাগর বাবার কাছে এসেছি। বাবা এখন জ্ঞানের বর্ষা বরিষণ করেন। তোমরা এখন পাবন হয়ে উঠছো। বাকি তো সকলে নিজের নিজের হিসাব মিটিয়ে দিয়ে নিজের নিজের ধামে চলে যাবে। মূল লোকে হল আত্মাদের বৃক্ষ। এখানেও সাকারী বৃক্ষ রয়েছে। ওখানে হল রুদ্র মালা, এখানে হল বিষ্ণুর মালা। তারপর ছোট ছোট শাখা বেরিয়ে আসে। গোষ্ঠীর শাখা বেরোতে বেরোতে গাছ বড় হয়ে যায়। এখন আবার ঘরে ফিরে যেতে হবে। তারপর দেবী-দেবতা ধর্মের রাজত্ব করতে হবে। এখন তোমরা মানব থেকে দেবতা বিশ্বের মালিক হতে চলেছো তো অত্যন্ত খুশী হওয়া উচিত যে ভগবান আমাদেরকে পড়াচ্ছেন । রাজযোগ আর জ্ঞানের দ্বারা রাজাদেরও রাজা বানাচ্ছেন। নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী বানান। সূর্যবংশী তারপর চন্দ্রবংশীতে যাবে। বাবা রোজ বাচ্চাদেরকে বোঝান, আলোক প্রদান করতে থাকেন।

তোমরা বাদলেরা সাগরের কাছে আসো ভরবার জন্য। ভরে নিয়ে তারপর গিয়ে বরিষণ করতে হয় । না ভরলে তো রাজার পদ পাবে না, প্রজাতে চলে যাবে। প্রচেষ্টা করতে থাকো যতখানি সম্ভব বাবাকে স্মরণ করতে হবে । এখানে তো কেউ একে কেউ তাকে স্মরণ করতে থাকে। অনেক নামের সারি। বাবা এসে বলেন – বন্দে মাতরম্। দেখিয়েছেও যে ভগবান দ্রৌপদীর পা টিপে দিয়েছিলেন। বাবার কাছে বৃদ্ধারা এলে বাবা তাদেরকে বলেন বচ্চী ক্লান্ত হয়ে পড়েছো ? আর কেবল অল্প দিনই বাকি। তোমরা ঘরে বসে শিব বাবাকে আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। যত বেশী স্মরণ করবে ততই বিকর্মাজিত হবে। নিজের সমান অন্যদেরকে না বানালে প্রজা কীভাবে বানাবে ? অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ধারণ করে তারপর অন্যদেরকেও নিজের সমান বানাতে হবে। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সকল বিষয়ে নিজের সময়কে সফল করতে হবে। দানও আসামী (পাত্র) দেখে করতে হবে। যে শুনতে চায় না তার পিছনে টাইম ওয়েস্ট করবে না। বাবার আর দেবতাদের ভক্তদেরকে জ্ঞান দিতে হবে।

২ ) অবিনাশী জ্ঞান রত্ন গুলিকে ধারণ করে বিত্তবান হতে হবে। ঈশ্বরীয় পাঠ অবশ্যই পড়তে হবে। এক একটি রত্ন লক্ষ টাকার, সেইজন্য একে ধারণ করতে হবে আর করাতে হবে।

বরদানঃ-

সব থেকে সহজ আর নিরন্তর স্মরণের পদ্ধতি হল – সদা বাবার সঙ্গের অনুভব হওয়া । সঙ্গের অনুভূতি স্মরণ করবার পরিশ্রম থেকে বাঁচিয়ে দেয়। যখন সাথেই আছেন তবে তো স্মরণে তো থাকবেই। কিন্তু এই রকম সঙ্গে নয় যে কেবল সাথেই বসে আছেন। তা নয় বরং সাথী এবং সহায়ক। যে সাথে থাকে তার কথা ভুলে যাওয়াও সম্ভব হতে পারে, কিন্তু সাথীকে কখনো ভুল হয় না। তো সকল কর্মে বাবা এমন সাথী যিনি কঠিনকেও সহজ করে দেন। এই রকম সাথীর সঙ্গের সদা অনুভব হতে থাকলে তবে সিদ্ধি স্বরূপ হয়ে যাবে ।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য –

আমরা যা কিছু এই চোখ দিয়ে দেখি, আমরা জানি যে এখন কলিযুগের অন্ত আর সত্যযুগী দৈবী দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিতে এই কলিযুগী দুনিয়ার অবসান হয়েই রয়েছে । যেমন গীতাতে ভগবানের মহাবাক্য হল – বাচ্চারা, এই যে গুরু গোঁসাই প্রমুখ যাদেরকে দেখছো এরা সকলেই মরেই পড়ে রয়েছে। সেই রকমই আমরা মনে করি এত এত যে সব মনুষ্য সম্প্রদায় রয়েছে, তারা সকলেই আইরন এজ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তবেই তো পরমাত্মার মহাবাক্য হল – আমি এই আসুরিক দুনিয়ার বিনাশ করে দৈবী সৃষ্টির স্থাপনা করি, তবেই তো আমরা বলতে পারব যে সকলেই মরে পড়ে আছে। তো আমাদের এই দুনিয়ার সাথে কোনো কানেকশন নেই। বলা হয় পুরানো দুনিয়াকে দেখেও দেখো না। নতুন দুনিয়ার জন্য সাপ্তাহিক কোর্স করো। কেননা নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হবে অর্থাৎ বেঁচে থাকবো কিন্তু এই দুনিয়াই যেন নেই। যদিও মানুষ ভাবে আমরা ভালো কর্ম করবো, দান পূণ্য করবো, তাহলে আবার এই দুনিয়ায় এসে সে’সব ভোগ করব। কিন্তু আমরা তো জেনে গেছি যে এই দুনিয়া এখন শেষ হল বলে। তাহলে এই বিনাশী দুনিয়ার প্রালব্ধই হল বিনাশী। তা জন্ম জন্মান্তর ধরে চলবে না। এখন দেখো আমাদের দৃষ্টি আর এই দুনিয়ার দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে কতো পার্থক্য। এখন এই নিশ্চয়ও তখনই বসবে যখন এই নিশ্চয় হবে যে আমাদেরকে কে পড়াচ্ছেন ? আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top