31 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

31 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

30 October 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"প্রকৃত হৃদয়ের প্রতি প্রভু সহায়"

আজ, বিশ্বের সকল আত্মার উপকারী বাপদাদা নিজের শ্রেষ্ঠ পরোপকারী বাচ্চাদের দেখছেন। বর্তমান সময়ে অনেক আত্মা উপকার নিতে আগ্রহী। স্ব-উপকারের ইচ্ছা থাকলেও তাদের মানসিক দৃঢ়তা ও শক্তি নেই। এ’ রকম নির্বল আত্মাদের উপকার করার নিমিত্ত তোমরা সব পরোপকারী বাচ্চা। তোমরা পরোপকারী বাচ্চারা আত্মাদের ক্লেশ-ক্লিষ্ট ডাক শুনতে পাচ্ছ, নাকি স্ব-উপকারেই বিজি আছ ? বিশ্বের রাজ্য অধিকারী শুধু স্ব-উপকারী হয় না। পরোপকারী আত্মাই রাজ্য অধিকারী হতে পারে। প্রকৃত উপকার মন থেকেই হয়। জ্ঞান শোনানো সে তো ( মন ব্যতীত) মুখ দ্বারাও হতে পারে। জ্ঞান শোনানো, তা’ বিশাল মস্তিষ্কের বিষয় অথবা বর্ণনের অভ্যাসের বিষয়। সুতরাং মন আর মস্তিস্ক দুইয়ের মধ্যে অন্তর রয়েছে। কেউ যদি কারও থেকে স্নেহ চায় তো সে মনের স্নেহ চায়। বাপদাদার টাইটেল দরাজদিল – দিলারাম। মস্তিস্ক মন থেকে স্থূল, মন সূক্ষ্ম। কথাবার্তার মধ্যেও তোমরা সবসময় এটা বলে থাক যে সত্যিকারের মনের প্রতি প্রভু সহায়। বিশাল মস্তিষ্কের প্রতি সহায় বলা যায় না। বিশাল মস্তিস্ক তথা মগজ এ’টা অবশ্যই বিশেষত্ব, এই বিশেষত্ব দ্বারা তারা জ্ঞানের পয়েন্টস ভালোভাবে ধারণ করতে পারবে, কিন্তু মন থেকে যারা স্মরণ করবে তারা পয়েন্ট অর্থাৎ বিন্দুরূপ হতে পারবে। তারা পয়েন্ট রিপিট করতে পারে, কিন্তু পয়েন্ট ( বিন্দু) রূপ হওয়ায় সেকেন্ড নম্বর হবে, কখনো সহজ, কখনো পরিশ্রম দ্বারা বিন্দু রূপে স্থিত হতে পারবে। কিন্তু যারা প্রকৃত মনের তারা সেকেন্ডে বিন্দু হয়ে বিন্দুস্বরূপ বাবাকে স্মরণ করতে পারে। যাদের সত্যিকারের মন তারা প্রভুকে পরিতুষ্ট করার কারণে, বাবার থেকে বিশেষ আশীর্বাদের প্রাপ্তি লাভ করে, সেইজন্য স্থূলভাবে অনেকের তুলনায় তাদের মস্তিষ্ক যদি ততো বিশাল নাও হয়, কিন্তু সততার শক্তি দ্বারা সময় অনুসারে তাদের মগজ যুক্তিযুক্ত, যথার্থ কার্য আপনা থেকেই করবে, কেননা আশীর্বাদ প্রাপ্তির কারণে ড্রামা অনুসারে সময়মতো যা যথার্থ কর্ম, বোল বা সঙ্কল্প সেই টাচিং তাদের মস্তিষ্কে আসবে, কারণ বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি বাবাকে তারা সন্তুষ্ট করেছে। যে ভগবানকে সন্তুষ্ট করেছে সে আপনা থেকেই রাজযুক্ত, যুক্তিযুক্ত হয়।

সুতরাং এটা চেক করো – আমি বিশাল মস্তিষ্কের কারণে স্মরণ আর সেবায় এগিয়ে চলেছি নাকি সত্য মন আর যথার্থ মস্তিষ্ক দ্বারা এগিয়ে চলেছি। আগেও তো তোমাদের বলা হয়েছিল যে, মস্তিষ্ক দ্বারা যারা সেবা করে তাদের তীর অন্যদেরও মস্তিষ্ক পর্যন্তই বিদ্ধ করে। মন থেকে যারা সেবা করে তাদের তীর মনে পৌঁছায়। সেবার ক্ষেত্রে তোমরা দেখেছ, স্থাপনের শুরুতে সেবার প্রথম গ্রুপের বিশেষত্ব কী ছিল ! কোনো ভাষা বা ভাষণের বিশেষত্ব ছিল না। আজকাল যেমন তোমরা খুব ভালো ভাষণ করো, কাহিনী আর গল্পও খুব ভালো শোনাও। প্রথম গ্রুপের এমন ভাষা ছিল না, কিন্তু কী ছিল ? প্রকৃত হৃদয়ের আওয়াজ ছিল। সেইজন্য হৃদয়ের আওয়াজ অনেককে দিলারামের বানানোয় নিমিত্ত হয়েছে। তাদের ভাষা ছিল মিক্সচার (গুলাবী)। কিন্তু নয়নের ভাষা ছিল অলৌকিক, সেইজন্য ভাষা যেমনই ছিল না কেন কাঁটা থেকে কিন্তু ফুল হয়েই গেছে। এই প্রথম পুরের (ফাউন্ডেশনের প্রথম স্তর) সেবার সফলতা আর বর্তমান সময়ের বৃদ্ধি – এই দুইয়ের যদি চেক করো তবে প্রভেদ তো দেখাই যায়, তাই না ! কথা হয় মেজরিটির। দ্বিতীয়-তৃতীয় স্তরের (পুর) মধ্যেও কেউ কেউ হৃদয়বান হয় কিন্তু তা’ মাইনরিটি। শুরুর রহস্য এখনো পর্যন্ত চলছে। কোন রহস্য ? আমি কে ? বাপদাদা এখনো বলেন – নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করো আমি কে ? এই রহস্যের সমাধান কীভাবে করতে হয় তা’ তোমরা জানো তাই না, নাকি কেউ বলে দিলে তখন সমাধান করতে পার ? যদি অন্য কেউ বলেও তার কথায় নিশ্চিত প্রত্যয় হওয়ার জন্য নিজেও চেষ্টা করবে যে এ’ভাবে নয়, ও’ভাবে … সুতরাং নিজেই নিজেকে দেখ।

অনেক বাচ্চা নিজেই নিজেকে চেক করে, কিন্তু দেখার নজর দু’ রকমের। এতে কেউ বিশাল মস্তিষ্কের দৃষ্টিতে চেক করে, তাদের চশমা হয় অপরিণামদর্শিতার। সব ব্যাপারে তারা এটাই ভাববে যে যতটা করেছে – ত্যাগ করেছে বা সেবা করেছে অথবা পরিবর্তন করেছে ততটাই অনেক। তারা মনে করে এই এই আত্মাদের থেকে আমি খুব ভালো। এতটা করাও কিছু সহজ নয়। অল্প-বিস্তর অপূর্ণতা তো যারা খ্যাতনামা তাদেরও আছে। সেই তুলনায় আমি ঠিক আছি। এটাই অবিবেচকের চশমা। অন্যদের হলো স্ব-উন্নতির যথার্থ চশমা, প্রকৃত অনুরাগী-হৃদয়। তারা কী দেখে ? যা হৃদয়নিধি বাবার সদা পছন্দ, সেই সঙ্কল্প, বোল আর কর্ম করতে হবে। যথার্থ চশমাদার শুধু বাবাকে আর নিজেকে দেখে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় কেউ কী করছে তা’ দেখে না। আমাকেই পরিবর্তন হতে হবে – নিরন্তর এই সুরে (কার্যে ) বিভোর হয়ে থাকে। এ’রকম নয় যে যখন অন্যেরা বদলাবে তখন আমিও বদলে যাব। কিংবা ৮০% যদি আমি বদলাই, তারা তো অন্ততঃ ২০% পরিবর্তন হবে – এ’রকম ভাবেও তারা বিষয়টা দেখবে না। তারা ভাবে নিজের পরিবর্তন করে অন্যদের কাছে সহজ করে তুলতে আমাকে এক্সাম্পল হতে হবে। কথিত আছে – “যে উদ্যোগী অর্থাৎ যে সযত্নে দায়িত্বভার গ্রহণ করে সে অর্জুন।” অর্জুন অর্থাৎ অলৌকিক জন। একে বলা হয়ে থাকে যথার্থ চশমা বা যথার্থ দৃষ্টি। এমনিতেও দুনিয়ায় মানব জীবনের জন্য দু’টো মুখ্য বিষয় – মন আর মস্তিষ্ক। দু’টোই ঠিক হওয়া প্রয়োজন। একইভাবে, ব্রাহ্মণ জীবনেও বিশাল মস্তিষ্কেরও প্রয়োজন আর অনুরাগী মনেরও প্রয়োজন। প্রকৃত অনুরাগী-মন মস্তিষ্কের লিফ্ট পেয়েই যায়। সেইজন্য সদা এটা চেক করো, প্রকৃত হৃদয়ে প্রভুকে সন্তুষ্ট করেছ কিনা, শুধু নিজের মনকে কিংবা শুধু মাত্র কিছু আত্মাকে তো খুশি করনি ! সত্য প্রভুর সন্তুষ্ট হওয়া – এর অনেক লক্ষণ আছে। এই বিষয়ে মনন করে অধ্যাত্ম বার্তালাপ কর, তখন বাপদাদাও তোমাদের কিছু বলবেন। আচ্ছা।

আজ এখানে টিচাররা বসে আছে। টিচাররাও ঠিকেদার। তোমরা কন্ট্র্যাক্ট নিয়েছ, তাই না ! স্ব-পরিবর্তন দ্বারা বিশ্ব-পরিবর্তন করতেই হবে। এ’ রকম অনেক বড়-বড়ো কন্ট্র্যাক্ট তো নিয়েছ ! যেমন, দুনিয়ার লোকে বলে, তোমার মরণ হলো তো দুনিয়াও তোমার জন্য মৃত, তুমি না মরলে দুনিয়াও মরে না। সে’ রকমই স্ব-পরিবর্তনই বিশ্ব পরিবর্তন।

স্ব-পরিবর্তন ব্যতীত অন্য কোনো আত্মার প্রতি যতই পরিশ্রম করো – পরিবর্তন হতে পারে না। আজকালকার সময়ে শুধু অন্যের থেকে শুনে

কেউ বদলায় না, বরং অন্যদের দেখে বদলায়। মধুবন ভূমিতে যে কোন রকমের আত্মাই হোক, পরিবর্তন কেন হয় ? তোমরা সেন্টারেও তো শোনাও, কিন্তু এখানে এসে তারা নিজেরা দেখে আর নিজে দেখার কারণে বদলে যায়। বন্ধনে আবদ্ধ অনেক মাতাদের জীবনে পরিবর্তন দেখে তাদের যুগলেরা বদলে যায়। জ্ঞান শোনানোর চেষ্টা করলে শুনবে না, কিন্তু দেখলে সেই প্রভাব তাদেরও পরিবর্তন করে দেয়, সেইজন্য বলা হয়েছে আজকের দুনিয়া দেখতে চায়। সুতরাং এটা টিচারদের বিশেষ কর্তব্য। কিছু ক’রে দেখানো অর্থাৎ পরিবর্তিত হয়ে দেখানো। বুঝেছ ?

যারা, সদা সকল আত্মাদের প্রতি পরোপকারী, সদা প্রকৃত হৃদয়ে সত্য প্রভুকে সন্তুষ্ট করে, বিশাল মস্তিষ্কের আর অনুরাগী-মনের ব্যালেন্স রাখে, সদা নিজেকে বিশ্ব পরিবর্তনের নিমিত্ত বানায়, স্ব-পরিবর্তনকারী শ্রেষ্ঠ আত্মা, শ্রেষ্ঠ সেবাধারী আত্মা মনে করে অগ্রচালিত হয় – চারিদিকের এইরকম বিশেষ বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

দিল্লি গ্রুপের সাথে প্রাণপ্রিয় অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎ :-

সবার হৃদয়ে বাবার স্নেহ সমাহিত হয়ে আছে। স্নেহ তোমাদের এখানে নিয়ে এসেছে। হৃদয়ের স্নেহ দিলারাম পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। হৃদয়ে বাবা ব্যতীত আর কিছু থাকতে পারে না। যখন বাবাই সংসার তখন বাবার হৃদয়ে থাকা অর্থাৎ বাবার মধ্যে সংসার সমাহিত হয়ে আছে। সেইজন্য এক মত, এক বল, এক ভরসা। যেখানে একতা সেখানেই সর্বকার্যে সফলতা আছে। কোনো পরিস্থিতি পার করা সহজ লাগে নাকি কঠিন মনে হয় ? যদি অন্যকে দেখেছ বা অন্যকে স্মরণ করেছ তাহলে দুইয়ের মধ্যে একতা হবে না, সেইজন্য কঠিন হয়ে যাবে। বাবার আজ্ঞা ‘একা আমাকে স্মরণ কর।’ যদি তোমরা তাঁর আজ্ঞা পালন করো তো আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের বাবার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় আর সবকিছু সহজ হয়ে যায়। যদি বাবার আজ্ঞা পালন না করো তবে বাবার সহায়তা বা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় না, সেইজন্য কঠিন হয়ে যায়। তোমরা তো আজ্ঞাকারী, না ? লৌকিক সম্বন্ধেও আজ্ঞাকারী বাচ্চার প্রতি কতো স্নেহ থাকে। সে’ হ’ল অল্পকালের স্নেহ আর এ’ হ’ল অবিনাশী স্নেহ। এই এক জন্মের আশীর্বাদ অনেক জন্ম সাথে থাকবে। তোমরা তো অবিনাশী আশীর্বাদের যোগ্য হয়ে গেছ। নিজেদের এই জীবন তোমাদের মধুর লাগে, তাই না ! কতো শ্রেষ্ঠ আর কতো মনোরম জীবন ! ব্রাহ্মণ জীবন আছে তো জীবন অপূর্ব, ব্রাহ্মণ জীবন নেই তো সুন্দর লাগবে না, বরং বিভ্রান্তিকর জীবন মনে হবে। তাহলে জীবন কি সুন্দর লাগে নাকি ক্লান্ত হয়ে যাও ? ভাবছ – সঙ্গম কত সময় পর্যন্ত চলবে ? শরীর ভালো নয়, সেবা করতে অপারগ… এতে হয়রান হয়ে যাও না তো ? সঙ্গমের এই জীবন সব জন্ম থেকে শ্রেষ্ঠ। এই জীবন প্রাপ্তির। তারপরে তো প্রালব্ধের সুখ আরাম অনুভবের জীবন। সে’ জীবন সবকিছু কমে যাওয়ার জীবন। এখন নিজেকে পরিপূর্ণ করার জীবন। ১৬ কলা সম্পন্ন এখনই তৈরি হও। ১৬ কলা অর্থাৎ ফুল (পূর্ণ)। এই জীবন অতি চমৎকার – এইরকম তো অনুভব হয়, তাই না ? নাকি কখনো জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে যাও ? বিরক্ত হয়ে এ’রকম ভাবো না তো যে এখন চলে যাই ! বাবা যদি সেবাতে কোথাও নিয়ে যান সেটা অন্য ব্যাপার কিন্তু তোমরা অসন্তুষ্ট হয়ে যেও না। অ্যাডভান্স পার্টিতে যদি সেবার পার্ট আছে আর ড্রামা অনুসারে গেছো তো বিরক্ত হয়ে যাবে না, মর্যাদার সাথে যাবে। সেবার্থে যাচ্ছ। সুতরাং কখনো বাচ্চাদের প্রতি বা নিজেই নিজের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়োনা। মাতা’রা কখনো বাচ্চাদের প্রতি বিরক্ত হও না তো ? তাদের জন্মই হয়েছে তমোগুণী তত্ত্বে, তাহলে কীভাবে তারা সতোগুণী প্রকৃতি দেখাবে ? তারাও পরবশ। তোমরাও তো কখনো কখনো বাবার আজ্ঞা ভুলে যাও, তাই না ! তাহলে তোমরা যদি ভুল করতে পার, বাচ্চারা ভুল করলে কী হয়েছে ! যখন তাদের বলাই হয় বাচ্চা তো বাচ্চা মানে কি ? হতে পারে বড় কিন্তু সে’ সময় সেও বাচ্চা হয়ে যায় অর্থাৎ অবুঝ হয়ে যায়, সেইজন্য কখনো অন্যদের ক্ষুব্ধ দেখে নিজে ক্ষুব্ধ হয়োনা। তারা যতই হয়রানি করুক তোমরা কেন নিজেদের গরিমা থেকে নেমে যাও ? দুর্বলতা তোমাদের নাকি বাচ্চাদের ? তাহলে তো তারা বীর হয়ে গেছে যে তোমাদের গরিমা থেকে তোমাদের নামিয়ে দেয় আর নাকাল করে দেয়। সুতরাং কখনো স্বপ্নেও বিরক্ত হয়োনা – অর্থাৎ তোমাদের শ্রেষ্ঠ মর্যাদা উল্লঙ্ঘন হতে দিও না। নিজ গৌরবের সীটে কীভাবে বসতে হয় জানো না ! অতএব, আজ থেকে উত্যক্ত হয়োনা, না রোগ দ্বারা, না বাচ্চাদের দ্বারা, না নিজের সংস্কার দ্বারা কিংবা অন্যদের দ্বারা। অন্যদের সঙ্গেও তো বিরক্ত হও, তাই না ? কেউ কেউ বলে, সবার সাথে সব ঠিক আছে কিন্তু একা এইই এ’রকম যার জন্য হয়রান হয়ে যাই। অতএব, যারা বিক্ষুব্ধ করে তোলে তাদের বীর-বাহাদুর হতে দিও না, তুমি সাহসী-বীর হও। হতে পারে তোমার পরিপন্থী এক অথবা দশ, কিন্তু ‘তুমি মাস্টার সর্বশক্তিমান, দুর্বল নও।’ সুতরাং এই বরদান সদা স্মৃতিতে রাখ, আমি সদা আপন শ্রেষ্ঠ মর্যাদায় স্থিত, বিক্ষুব্ধ নই। অন্যেরও হয়রানি সমাপ্ত করি। সদা গরিমার সিংহাসনে আসীন।’ দেখ, আজ তো সব কেদারা (চেয়ার), কিন্তু তোমাদের সিংহাসন আছে। তারা চেয়ারের পিছনে অর্থাৎ পদের জন্য মরে, তোমাদের তো সিংহাসন প্রাপ্তি হয়েছে। সুতরাং অমর ( অকাল ) সিংহাসনাসিন শ্রেষ্ঠ মর্যাদায় থাকা, বাবার হৃদয়-সিংহাসনাসিন আত্মা তোমরা – এই গরিমায় থাক। তো সদা খুশি থাক আর খুশি বিলাও। আচ্ছা। সেবার ফাউন্ডেশন দিল্লি। ফাউন্ডেশন যদি দুর্বল হয়, তাহলে সবাই দুর্বল হয়ে যায়। সেইজন্য সদা শক্তিশালী থাক। আচ্ছা।

ওরাঙ্গল গ্রুপ :- নিজেদের সদা ডবল লাইট অনুভব করো ? যে ডবল লাইট সেই আত্মাতে মাইট অর্থাৎ বাবার শক্তি সাথে আছে। সময়কালে শক্তি ইউজ করতে পারো নাকি সময় চলে যায়, পরে মনে আসে ? কারণ তোমাদের কাছে অনেক জিনিস থাকতে পারে, কিন্তু সময়মতো যদি ইউজ না কর তবে কী বলা হবে ? যে সময় যে শক্তি আবশ্যক, সে’ সময় সেই শক্তি যাতে ইউজ করতে পার – সেই বিষয়ের অভ্যাস আবশ্যক। কোনো কোনো বাচ্চা বলে মায়া এসে গেছে, কেন এসেছে ? পরখ করার শক্তি ইউজ করনি তবেই তো এসে গেছে না ! যদি দূর থেকেই পরখ করে নাও যে মায়া আসছে, তাহলে দূর থেকেই তো তাড়িয়ে দিতে পারবে, তাই নয় কি ! মায়া এসে গেছে – আসতে চান্স দিয়েছ তবেই তো সে এসেছে। দূর থেকে তাড়িয়ে দিলে তো আসত না। বারবার যদি মায়া আসে আর তারপরে যুদ্ধ করে তাকে তাড়াও তবে যুদ্ধের সংস্কার এসে যাবে। যদি বহুকালের যুদ্ধের সংস্কার হয়ে যায় তবে তোমাদের চন্দ্রবংশী হতে হবে। সূর্যবংশী অর্থাৎ বহুকালের বিজয়ী আর চন্দ্রবংশী মানে যুদ্ধ করতে করতে কখনো বিজয়ী, কখনো কঠিন পরিশ্রম করে। তোমরা সবাই তো সূর্যবংশী, না ! চন্দ্রমাকে আলো প্রদানকারীও সূর্য। তবেই তো সূর্য নম্বর ওয়ান বলা হবে, তাই না ! চন্দ্রবংশী দু’ কলা কম। ১৬ কলা অর্থাৎ ফুল পাস। কখনো মন্সায়, বাণীতে, কিংবা সম্বন্ধ-সম্পর্কে ফেল করে না, একেই বলে সূর্যবংশী। এ’ রকম সূর্যবংশী হয়েছ ? আচ্ছা। সবাই নিজের পুরুষার্থে সন্তুষ্ট ? সব সাবজেক্টে ফুল পাস হওয়া – একে বলে আপন পুরুষার্থে সন্তুষ্ট। এই বিধিতে নিজেকে চেক কর। এ’টা স্মরণে রাখো, ‘আমি উড়তি কলায় যাওয়া উড়ন্ত বিহঙ্গ, নিচে আটকে যাওয়াতে নেই।’ এ’টাই হল বরদান। আচ্ছা।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা সঙ্গমযুগে অতীন্দ্রিয় সুখের উত্তরাধিকার সদাকালের জন্য প্রাপ্ত করে নেয় অর্থাৎ যাদের বাবার উইলের প্রতি সম্পূর্ণ অধিকার থাকে তাদের উইল পাওয়ার থাকে। তাদের অটুট অটল অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি হয়। এই রকম উত্তরাধিকারী অর্থাৎ অবিনাশী উত্তরাধিকারের সম্পূৰ্ণ অধিকারীই ভবিষ্যতে অটল-অখন্ড স্বরাজ্যের অধিকার প্রাপ্ত করে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top