31 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

31 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

30 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের এই শুদ্ধ নেশা থাকা উচিত যে, আমরা শ্রীমতে চলে নিজের তন - মন এবং ধনের দ্বারা বিশেষতঃ ভারত আর সমগ্রভাবে সম্পূর্ণ দুনিয়াকে স্বর্গ বানানোর সেবা করছি"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও সবথেকে অধিক সৌভাগ্যশালী কাদের বলা হবে ?

উত্তরঃ -:-

যারা জ্ঞানকে খুব ভালোভাবে ধারণ করে অন্যদেরও ধারণ করাতে সাহায্য করে, তারা খুবই সৌভাগ্যশালী । অহো সৌভাগ্য তোমাদের মতো ভারতবাসী বাচ্চাদের, যাদের স্বয়ং ভগবান বসে রাজযোগ শেখাচ্ছেন । তোমরাই সত্যিকারের মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ হয়েছো । তোমাদের এই ঝাড় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে । তোমাদের প্রতিটি ঘরকে স্বর্গ বানানোর সেবা করতে হবে ।

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা, তোমরা মনে করো যে, আমরা হলাম সেনা । তোমরা হলে সবথেকে শক্তিশালী, কেননা তোমরা হলে সর্বশক্তিমানের শিব শক্তি সেনা । এতটাই নেশা চড়া উচিত । বাবা এখানে নেশা চড়ান, আর ঘরে গেলে ভুলে যায় । তোমরা শিব শক্তি সেনারা কি করছো ? সম্পূর্ণ দুনিয়া, যা রাবণের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তাকে মুক্ত করছো । সকলেই এখানে শোকবাটিকাতে রয়েছে । যদিও এরোপ্লেনে ঘোরে, বড় – বড় বাড়ি আছে, কিন্তু এই সবই তো শেষ হয়ে যাবে । একে মৃগতৃষ্ণার সমান রাজ্য বলা হয় । বাইরে থেকে দেখলে খুবই চমক বা আড়ম্বর, কিন্তু ভিতরে সম্পূর্ণ খালি । দ্রৌপদীর উদাহরণও আছে । বাবা বলেন, আমি যখন এসেছিলাম, তখনও এইসবই ছিলো, যা এখন তোমরা দেখছো । পার্টিশনও এখন হয়েছে, যা তোমরা দেখছো । বাকি লড়াইয়ের ময়দান ইত্যাদির তো কথাই নেই । এ হল রথ, যাতে শিব বাবা বিরাজমান হয়ে বাচ্চাদের জ্ঞান প্রদান করেন । তোমরা এই ভারতের সেবা করছো । যে সব উৎসব আছে, যা ভারতে পালন করা হয় – সেইসব এখনকারই । তিজরীর কথা, গীতার কথা, শিব পুরাণ, রামায়ণ ইত্যাদি সবকিছুই এই সময়ের জন্য বসে বানানো হয়েছে । সত্যযুগ, ত্রেতাতে তো এইসব কথাই নেই । অনেক পরে শাস্ত্র লেখা শুরু হয়েছে । সে সব তো আবারও হবে । বাচ্চারা, তোমরা সবকিছুই বুঝে নিয়েছো । আগে তো সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলে । এই সময় কেউই যথার্থভাবে সৃষ্টিচক্রকে জানে না । বাচ্চারা, এখন তোমাদের শুদ্ধ গর্ব থাকা উচিত । তোমরা তন – মন এবং ধনের দ্বারা এই ভারতের সেবা করছো, বিশেষতঃ ভারতের আর সাধারণ ভাবে সম্পূর্ণ দুনিয়ার । বাবার সাহায্যেই আমরা মুক্তি আর জীবনমুক্তির পথ বলে দিই । তোমরা শ্রীমতে চলে এই সেবা করছো । এই শ্রীমৎ হলো শিব বাবার কিন্তু শিবের নামই লুকিয়ে দিয়েছে । বাকি ব্রহ্মার মত আর শ্রীকৃষ্ণের মত দেখানো হয়েছে । তাও কৃষ্ণকে দ্বাপরে নিয়ে গিয়েছে । তোমরা ভারতকে স্বর্গ অর্থাৎ হীরের তুল্য বানাও, কিন্তু তোমরা কতো সাধারণ, কোনো অহমিকা বা ঔদ্ধত্য নেই । তোমাদের এখানে নিজের সবকিছুই স্বাহা করতে হবে, মনে করো শিব বাবার কাছে সম্পূর্ণ বলিদান যেতে হবে । তাহলে শিব বাবা ২১ জন্মের জন্য সব সমর্পণ করেন । বাবা এমন বলেন না যে, তোমরা গৃহস্থ জীবন রক্ষা করো না । তাও তোমাদের রক্ষা করতে হবে, কিন্তু শ্রীমতে চলে । অবিনাশী সার্জনের কাছে কিছুই লুকাবে না । এমন গায়নও আছে যে – গুরু ছাড়া ঘোর অন্ধকার । এই ব্রহ্মা দাদাও বলেন – শিব বাবা ছাড়া আমি আর তোমরা সম্পূর্ণভাবে ঘোর অন্ধকারে ছিলাম । ওরা তো শিব আর শঙ্করকে এক করে দিয়েছে । ব্রহ্মা কে ? তিনি কখন আসেন ? এসে কি করেন ? প্রত্যেকটি কথা তো বোঝা উচিত, তাই না । পশুরা তো আর বুঝবে না । তোমরা বাচ্চারা এখন পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে বুঝতে পেরে গেছো । বিদ্বান, পণ্ডিত ইত্যাদিরা কেউই জানে না যে, সদ্গুরু ব্যতীত ঘোর অন্ধকার । গুরু তো অনেকই আছে । সকলের সদ্গুরু একজনই, যাকে বৃক্ষপতি বলা হয় । বাচ্চারা, তাই তোমাদের নেশা চড়া উচিত । এই দুনিয়া, যা তোমরা এই চোখে দেখছো, তা আর থাকবে না । তোমরা যা এখন বুদ্ধির দ্বারা জানছো, তাই থাকবে । তাই এই পুরানো দুনিয়া থেকে মমত্ব দূর করে দেওয়া উচিত । বাচ্চাদেরই রক্ষা করতে হবে । বাবার কতো সন্তান – সন্ততি । কেউ কেউ তো বলে, বাবা আমি আপনার দুই মাসের বাচ্চা । কেউ আবার বলে, আমি এক মাসের বাচ্চা । এই এক মাসের বাচ্চাও চট করে ধারণা করে একদম জোয়ান হয়ে যায়, আবার কেউ তো কুড়ি বছরেরও বামন (বৃদ্ধি হয় না )হয়ে যায় । তোমরা জানো যে, এ হলো নতুন ঝাড়, ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হবে । প্রথমে অবশ্যই পাতা বের হবে । তারপর ফুল বের হবে । তোমাদের এখানেই ফুল হতে হবে । ওখানে সবাই ফুলই ফুল । এখানে তো কেউ গোলাপের, কেউ আবার চম্পা ফুল হয় । যেমন যেমন ধারণা তেমন তেমন পদ প্রাপ্ত হয় । ওখানে ফুলের কোনো কথা নেই । ওখানে হলো পদের কথা । তাই তোমাদের এই নেশা থাকা উচিত যে, আমরা এই চোখে পবিত্র শিবালয় বা স্বর্গকে দেখবো । অর্ধেক কল্প ধরে তোমরা বলে এসেছো যে, অমুকে স্বর্গে গেছে । সেই কামনা প্রত্যক্ষভাবে বাবা এখন পূরণ করেন ।

তোমরা যখন এখন বাবার বাচ্চা হয়ে যাও, তখন এই ভারত সমৃদ্ধ হয়ে যায় । ৩৩ কোটি দেবতার গায়ন আছে, তারা এতো সত্যযুগ, ত্রেতাতে থাকে না । এ তো সম্পূর্ণ ভারতের দেবী – দেবতা ধর্মের আদমসুমারী । বাইরের দিকে দেখো, কতো টুকরো টুকরো হয়ে গেছে । চীন, জাপানে হলো বৌদ্ধ, বৌদ্ধ নাম হলেও তাদের মধ্যে অনেক মতভেদ । এখানে ভারতে তো শিব বাবাকে উড়িয়েই দিয়েছে, তাঁকে একদম জানেই না । চিত্রও আছে, মহিমাও করে, নন্দীগণও আছে, কিন্তু সঠিকভাবে জানে না । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, বাবা বলেছেন, আমরা পরমধাম থেকে এসে এখানে এই শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করছি । তোমরা এখন চক্রকে জেনে গেছো । সদ্গুরু জ্ঞান অঞ্জন দান করে অজ্ঞান অন্ধকারের বিনাশ করছেন । আগে তো তোমরা কিছুই জানতে না । এখন অসীম জগতের পিতা, ক্রিয়েটর, ডায়রেক্টর, মুখ্য অ্যাক্টরকে তোমরা জেনে গেছো ৮৪ জন্ম কাদের নেওয়া উচিত ! কারা নেবে, তাও তোমরা জানো । তোমাদের এখন তৃতীয় নয়ন উন্মোচন হয়েছে, তাই এতো নেশা থাকা উচিত মানুষ যখন মদ্যপান করে, ফতুর হয়ে গেলেও নেশায় মনে করে যে, সবথেকে বিত্তবান হলাম আমি । বাবা তো বৈষ্ণব ছিলেন, কখনোই তিনি স্পর্শ করেন নি । বাকি, শোনা যায় যে, মদ্যপান করলেই নেশা চড়ে যায় । বলা হয় যে, যাদবরাও মদ্যপান করেছিলো, তারা মুষল দিয়ে একে অপরের কুল নাশ করেছিলো । এখানেও মিলিটারীদের মদ্যপান করানো হয় তাই মরার বা মারার চিন্তা তাদের থাকে না । নেশা এতো চড়ে যায় । বাচ্চারা, তোমাদেরও তাই এই নারায়ণী নেশা চড়া উচিত । আমরা সেই পূর্ব কল্পের শক্তি সেনা । আমরা অনেকবার ভারতকে হীরের তুল্য করেছিলাম, এতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কথাই নেই । সংশয়বুদ্ধি বিনশন্তি, নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ন্তি । যারা সংশয় বুদ্ধির, তারা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না । প্রজাতে নিচু পদ প্রাপ্ত করবে । ওখানে তো তোমাদের মহলে সর্বদা বাজনা বাজতে থাকবে । ওখানে দুঃখের কোনো কথাই নেই । আগে রাজাদের মহলের দরজার নহবতে সানাই বাজতো । এখন তো রাজাদের সেই ঠাটবাট কম হয়ে গেছে । প্রজার রাজ্য হয়ে গেছে ।

বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, আমরা পবিত্র হয়ে যোগে থেকে চক্রকে স্মরণ করতে করতে ভারতকে আবার স্বর্গ বানিয়ে দেবো, কিন্তু অনেক বাচ্চারাই ভুলে যায় । বাবা রায় দেন যে, সবথেকে ভালো কর্তব্য হলো, গরীবের সেবা করা । আজকাল তো অনেক গরীব আছে । মানুষ অনেক হসপিটাল তৈরী করে, তাই অসুস্থ ব্যক্তির রোগ নিরাময় হয়ে সুখী হয়, যারা হসপিটাল তৈরী করবে, তারা পরের জন্মে সুস্থ শরীর প্রাপ্ত করবে, রোগী হবে না । কেউ কেউ আবার খুবই স্বাস্থ্যবান হয়, খুবই কম অসুস্থ হয় । তাহলে অবশ্যই পূর্ব জন্মে কোনো সুস্থতার দান করেছিলো । সে হলো হসপিটাল তৈরী করা । কারোর আবার শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব ভালো হয়, তাহলে অবশ্যই বিদ্যার দান করেছিলো । কোনো কোনো সন্ন্যাসীর ছোটো বয়সেই শাস্ত্র কণ্ঠস্থ হয়ে যায়, তখন বলবে পূর্ব জন্মে আত্মা সংস্কার তৈরী করে এসেছে । তাই এখানেও তিন পা পৃথিবী নিয়ে এই আধ্যাত্মিক হসপিটাল খোলো আর লিখে দাও যে, তোমরা এসে বাবার থেকে ২১ জন্মের জন্য স্বাস্থ্যের বরদান প্রাপ্ত করো । এ কতো সহজ কথা । তোমরা জিজ্ঞেস করো – বলো, লক্ষ্মী – নারায়ণকে এই উত্তরাধিকার কে দিয়েছেন, তাহলে অবশ্যই প্রশ্নকর্তা এর উত্তর জানে । বাবাই হলেন স্বর্গের রচয়িতা । তিনি কিভাবে রচনা করেছেন, তোমরা যদি বসো, তাহলে আমি বোঝাতে পারি । আমিও তাঁর থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি । শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করাচ্ছেন, এরপর পালনাও তিনিই করবেন । শঙ্করের দ্বারা বিনাশও হতে হবে । বিনাশ তো অবশ্যই নরকের হবে, তাই না । নতুন দুনিয়া তো এখন তৈরী হচ্ছে । ছোটো ব্যাজের উপর তোমরা বোঝাতে পারো যে, ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হচ্ছে । এ হলো রাজযোগ । তোমাদের মনুষ্য থেকে দেবতা হতে হবে, যারা আমাদের কুলের হবে তাদের চট করে হৃদয়ে লেগে যাবে । তাদের চেহারাতেই চমক এসে যাবে আর তারা পুরুষার্থের দ্বারাই নিজেদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে আমাদের ব্রাহ্মণ কুলের যারা — তারা অবশ্যই শূদ্র কুল থেকে পরিবর্তন হয়ে যাবে, এও ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে । তোমরা ভারতের অনেক সেবা করো, কিন্তু গুপ্তভাবে । পূর্বেও এমন – এমন করেছিলে তোমাদের এখন এই ড্রামাকে খুব ভালোভাবে জানতে হবে । এমন গায়ন আছে যে, তোমার মৃত্যু হলে দুনিয়া তোমার কাছে মৃত । বাকি আত্মা থেকে যায় । আত্মার তো মৃত্যু হয় না । আত্মা শরীর থেকে পৃথক হয়ে গেলে তার জন্য এই দুনিয়াও থাকে না । আবার যখন শরীরে প্রবেশ করবে, তখন মা – বাবার সম্বন্ধ ইত্যাদি নতুন সবকিছু হবে তোমাদের এখানেই অশরীরী হতে হবে । এখন তো এই দুনিয়া প্র্যাকটিক্যালি শেষ হয়ে যাবে ।

বাবা বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে তোমাদের যে বিকর্মের বোঝা আছে তা নেমে যাবে অর্থাৎ শেষ হয়ে যাবে, আর তোমরা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে । বাচ্চাদের আচরণ খুবই সুন্দর হওয়া উচিত । চলা – বলি, খাদ্য, পানীয়…. । তোমাদের খুব অল্প কথা বলা উচিত । রাজারা খুব অল্প আর ধীরে বলেন, তারা মৌন থাকেন । তোমাদের মধ্যে তো খুবই সভ্যতা থাকা উচিত । দেবতাদের মধ্যে সভ্যতা ছিলো । এখানে তো মানুষ বাঁদরের সমান তাই অসভ্য । কোনো বুদ্ধিই নেই । অসীম জগতের পিতা, যিনি এই সৃষ্টিকে স্বর্গ বানান, তাঁকে পাথর, নুড়ি, কুকুর, বিড়াল সবকিছুর মধ্যেই ফেলে দিয়েছে । মায়া বুদ্ধিতে একদম গোদরেজের তালা লাগিয়ে দিয়েছে । এখন বাবা এসে সেই তালা খোলেন । তোমরা বাচ্চারা এখন কতো বুদ্ধিমান হয়ে গেছো । শিববাবা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর, লক্ষ্মী – নারায়ণ, জগদম্বা এঁদের সকলেরই বায়োগ্রাফি তোমরা জেনে গেছো । তোমরা এখন সদগুরু শিব বাবার থেকে সম্পূর্ণ জ্ঞান পেয়েছো । বাবা তো নলেজফুল, তাই না । প্রত্যেকেই নিজের মনকে জিজ্ঞেস করো যে, বরাবর আমরা কিছুই জানতাম না । আমাদের চলন বানরের মতো ছিলো । এখন আমরা সবকিছু জেনে গেছি বাবা নতুন রচনা কিভাবে রচনা ককরেন । বাবা উচ্চ থেকে উচ্চ ব্রাহ্মণ কুল বানান, তা তোমরা জানো । মূর্তি যারা পূজ্য, তাঁরা কিছুই বলে না । তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, আমরাই পূজ্য, আবার পূজারী হই ।

তোমরা এখন প্রকৃত ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ । তোমরা জানো যে, সঙ্গম যুগে কিভাবে সত্যযুগের রচনা হয়, এ আর কেউই জানে না । ব্যারিস্টার যদি পড়ান, তাহলে তিনি কি বানাবেন ? ভগবানই এসে সহজ রাজযোগ শেখান । আহা ! কি সৌভাগ্য ভারতবাসী বাচ্চাদের । তোমাদের মধ্যেও তারাই বেশী সৌভাগ্যশালী, যারা খুব ভালোভাবে ধারণা করে অন্যদেরও করাতে থাকে । ভবিষ্যতে অনেক ঘরই স্বর্গ তৈরী হবে এই ঝাড় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় । এতে পরিশ্রম আছে । তোমরা যতো উঁচুতে যাবে, ততই মায়ার তুফান তীব্রগতিতে আসবে । পাহাড়ে যতো উঁচুতে যাবে, ততই তুফান, ঠান্ডা ইত্যাদির সম্মুখীনও হতে হবে । সেবাতে যতো সময় পাওয়া যায় ততই ভালো, তোমরা বিজ্ঞাপন দাও । তোমাদের মনে যে রায় আসবে তাই বলো যে, তোমাদের এমন – এমন করা উচিত । বাবা বলবেন, তোমরা করো । বেচারা মানুষ খুবই দুঃখী । এই সময় সকলেই তমোপ্রধান হয়ে গেছে । কোনো জিনিসেই সত্যতা নেই । মিথ্যা মায়া, মিথ্যা কায়া…… বাচ্চারা, তোমরা এখন স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছো ।

(গীত — নতুন দিনের কলি ) এই গানে সীতার মহিমা করা হয় যেই দেশে সীতা ছিলো, সেই দেশ পবিত্র ছিলো । সেই দেশে আবার রাবণ কোথা থেকে এলো ? আশ্চর্যের তো এটাই যে, আবার বলে দেয় বানর সেনা নিয়েছিলো । এখন এই বানর সেনা কোথা থেকে এসেছিলো ! এখানে তো মানুষের সেনা আছে । গভর্নমেন্ট বানরের সেনা তো নেয়ই না । তাহলে ওখানে বানর সেনা কিভাবে এলো ? এও বুঝতে পারে না । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য স্মরণের যাত্রায় থেকে বিকর্মের বোঝা নামাতে হবে, সুন্দর স্বভাব ধারণ করতে হবে, সভ্যতাপূর্বক ব্যবহার করতে হবে । খুব কম কথা বলতে হবে ।

২ ) কোনো বিষয়েই সংশয় বুদ্ধি হবে না । ভারতকে স্বর্গ বানানোর সেবায় নিজের সবকিছু সফল করতে হবে । শিব বাবার কাছে সম্পূর্ণ বলিহারি যেতে হবে ।

বরদানঃ-

৬৩ জন্ম সমস্ত সম্পদ ব্যর্থ করেছো, এখন এই সঙ্গম যুগে সর্ব সম্পদকে বিধিপূর্বক জমা করো, এই জমা করার বিধি হলো — যে সম্পদ আছে, তা নিজের প্রতি আর অন্যদের প্রতি শুভ বৃত্তির সঙ্গে কাজে লাগাও। কেবল বুদ্ধির লকারে জমা ক’রো না, এই সম্পদকে কাজে লাগাও । তা নিজের প্রতি ব্যবহার করো, না হলে লুজ হয়ে যাবে, তাই যথার্থ বিধির সাথে জমা করো, তাহলে সম্পূর্ণতার সিদ্ধি প্রাপ্ত করে সিদ্ধি স্বরূপ হয়ে যাবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top