31 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

30 March 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞান মার্গে তোমাদের আচরণ খুব শুদ্ধ হওয়া উচিত। প্রকৃত সত্যিকারের উপার্জনে মিথ্যা বলা, কোনো উল্টো কর্ম করলে লোকসান হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

যে ভাগ্যবান বাচ্চারা উচ্চ পদ পেতে চলেছে তাদের চিহ্ন কেমন হবে ?

উত্তরঃ -:-

তাদের দ্বারা কোনো খারাপ কাজ হবে না। সমস্ত অস্থি মজ্জা দিয়ে যজ্ঞ সেবা করবে। তাদের কোনো লোভ থাকবে না। ২- তারা খুব খুশিতে থাকবে। মুখ দিয়ে সবসময় জ্ঞান রত্ন বেরোবে। মধুর ব্যবহার হবে। ৩- তারা এই পুরানো দুনিয়াকে দেখেও দেখবে না। তাদের মনে এই ভাবনাই আসবে না যে ভাগ্যে যা আছে দেখা যাবে – বাবা বলেন এমন বাচ্চারা কোনো কাজের নয়। তোমাদের খুব ভালো করে পুরুষার্থ করতে হবে।

গান:-

আমাদের তীর্থ ভিন্ন…

ওম্ শান্তি । এই গান ভক্তি মার্গের। তোমরা জানো এই গানে আমাদেরই মহিমা করা হয়েছে। ভক্তি মার্গে মহিমা আর প্রার্থনা করা হয়, জ্ঞান মার্গে ভক্তি আর প্রার্থনা করা হয়না। জ্ঞান অর্থাৎ পড়াশোনা, যেমন স্কুলে পড়াশোনা হয়। পড়াশোনায় একটা লক্ষ্য থাকে যে আমি এটা পড়ে অমুক পদ পাব। এই ব্যবসা করব। কেউ আবার মনে করে প্রতারণা করে পয়সা রোজগার করব। অনেকেই পয়সার জন্য মানুষকে ঠকিয়ে থাকে, একে ভ্রষ্টাচার বলে, লুটপাটও করে। গভর্নমেন্টের থেকেও চুরি করে, ধন উপার্জন করে নিজেকে এবং পরিবারের সন্তানদের সুখে রাখার জন্য। পড়াশোনা করায় ভালো বিয়ে হওয়ার জন্য। এখানে তোমাদের পয়সা রোজগার করার কোনো বিষয় নেই। এই ঈশ্বরীয় পড়াশোনা হলো পবিত্র। গৃহস্থ পরিবারে থেকেও পড়াশোনা করতে হবে। কেউ বলে আমি কম উপার্জন করি সেইজন্যই আমাকে ঠকাতে হয়, কি করব! কিন্তু এই জ্ঞান মার্গে এমন ভাবনা আসাই উচিত নয়, নাহলে ভীষণ দুর্গতি হবে। এখানে খুব স্বচ্ছতার সাথে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, তবেই পদ পাওয়া যাবে। স্টুডেন্টদের পড়াশোনা ছাড়া আর কোনো বিষয় বুদ্ধিতে থাকা উচিত নয়। নয়তো ভবিষ্যতে উচ্চ পদ কীভাবে প্রাপ্ত হবে ? উল্টো-পাল্টা কাজ করলে পাশ করতে পারবে না। প্রকৃত সত্য উপার্জন করতে গিয়ে কিছু মিথ্যা বললে বা এমন কোনো কাজ করলে (শ্রীমতের বিরুদ্ধে) পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। অনেক লোকসান হয়ে যাবে। তোমরা এখানে এসেছ ভবিষ্যতে পদ্মপতি হওয়ার জন্য। সুতরাং এখানে কোনো রকম মন্দ ভাবনা আসা উচিত নয়। কেউ চুরিচামারি করলে তার বিরুদ্ধে কেস চলে। যদিও ওখানে কেউ ছাড়া পেয়ে থাকে কিন্তু এখানে ধর্মরাজের শাস্তি থেকে কেউ ছাড়া পাবে না। পাপ আত্মাকে তো অধিক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এমন কেউ থাকবে না যাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে না, মায়া তাদের নিচে নামিয়ে দেয়। কষিয়ে থাপ্পড় মারে। অন্তর্মনে নোংরা ভাবনা চলতে থাকে। এখান থেকে কিছু পয়সা উঠিয়ে নিই…. জানিনা থাকতে পারব কি পারব না! কিছু একসাথে নিয়ে রেখে দিই। এখানে এটা হচ্ছে ঈশ্বরীয় দরবার। রাইট হ্যান্ড আবার ধর্মরাজ, তার শাস্তি তো শতগুণ বেশি হবে। নতুন-নতুন বাচ্চাদের হয়তো জানা নেই সেইজন্য বাবা সাবধান করে দেন। তোমাদের ভাবনা খুব শুদ্ধ হওয়া উচিত। বাচ্চারা লেখে বাবা তোমার আদেশ হলো গৃহস্থ পরিবারে থেকেও শুধুমাত্র আমাকেই স্মরণ করো, কোনো কাজ শ্রীমত ছাড়া করবে না। কিন্তু আমাদের তো অনেক কিছুই করতে হয়। তা না হলে আমাদের চলবে কিভাবে। অল্প উপার্জনে এতো বড় পরিবার কীভাবে চলবে। অনাহারে থাকতে যাতে না হয় সেইজন্য ব্যবসায়ীরা ধর্মের জন্য কিছু ব্যয় করে থাকে। মনে করে আমার দ্বারা যে পাপ কাজ হয়েছে সেটা মিটে যাবে, আমি ধর্মাত্মা হয়ে যাব। ধর্মাত্মা পুরুষের দ্বারা অনেক পাপ কর্ম হয়না, কেননা ধর্মাত্মা পাপকে কিছুটা হলেও ভয় করে। এমনও অনেকে আছে যারা কাজ-কারবার করতে গিয়ে মিথ্যা বলে না। তারা জিনিসের প্রতিটি মূল্য ফিক্স করে দেয়। কলকাতায় একজন বাসন বিক্রেতা ছিল, প্রতিটি বাসনের মূল্য বোর্ডে লিখে রাখত, মূল্য কখনও কম করত না। কেউ-কেউ তো খুব মিথ্যা বলে থাকে। এখানে ঈশ্বরীয় জ্ঞানের পড়াশোনা, তোমরা ভবিষ্যতে ২১ জন্মের জন্য এই পড়াশোনা করে থাকো। সুতরাং বাবাকে প্রতিটি ব্যাপারে সত্যি বলতে হবে। এমন নয় যে পরমাত্মা সবকিছু জানেন। বাবা বলেন পড়াশোনা করলে উচ্চ পদ পাবে। নয়তো জাহান্নামে (নরক) যেতে হবে। আমি তো বসে-বসে দেখব না যে তোমরা কি -কি পাপ কর্ম করছ। যা কিছু করছ নিজের জন্য। নিজের পদ-ই ভ্রষ্ট করছ। বলাও হয়ে থাকে পাপ আত্মা, পুণ্য আত্মা। বাবা এসে পুণ্য আত্মা করে তোলেন, সুতরাং কোনো পাপ কর্ম করা উচিত নয়। বাচ্চাদের জন্য তো পাপের শাস্তি শতগুণ বৃদ্ধি পাবে, খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। এমন ভাবনা আসা উচিত নয় যে যা হবে দেখা যাবে, এখন তো করে নিই। সেই বাচ্চারা কোনো কাজের নয়। এই পুরানো দুনিয়াকে সম্পূর্ণ রূপে ভুলে যেতে হবে। দেখেও না দেখার ভান করে থাকা উচিত। আমরা অ্যাক্টর, এখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে। ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করে এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। যত বেশি সার্ভিস করবে ততই উচ্চ পদ পাবে। এখন প্রদর্শনী, মেলার সার্ভিস চলছে। যে উচ্চ পদ পাওয়ার জন্য পুরুষার্থী হবে তার মনন চলবে যে গিয়ে শুনে আসি, শিখে আসি ভিন্ন-ভিন্ন রীতিতে কীভাবে বোঝাচ্ছে। সে ঘুরে ঘুরে শুনবে যে অমুকে কীভাবে বোঝাচ্ছে। এভাবেই শুনতে-শুনতে বুদ্ধির তালা খুলে যাবে। অনেকেই লেখে প্রদর্শনীতে গিয়ে আমার বুদ্ধির তালা খুলে গেছে। বাবা কত সাহায্য করেছেন। এইভাবেই বাবা সাহায্য করেন। কিন্তু কেউ-ই বুঝতে পারে না, মনে করে আমি খুব ভালো বুঝিয়েছি। অনেক সাচ্চা বাচ্চারাই মনে করে সম্পূর্ণ সাহায্য বাবাই করেছেন। প্রদর্শনীর সার্ভিস থেকে অনেক উন্নতি হতে পারে। তোমরা জ্ঞানের সন্তান। বাবার স্মরণে থাকলেই শক্তি পাওয়া যায়। যোগবলের দ্বারাই তোমরা বিশ্বের বাদশাহী নিয়ে থাকো। শুধুমাত্র এটুকুই যেন স্মরণে থাকে যে আমাকে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে আর শ্রীমত অনুসারে চলতে হবে। শ্রীমতে চললেই উপার্জন হবে। বাকি এই দুনিয়াতে কোনো কিছুই কাজের নয়। সবকিছুই শেষ হয়ে যাবে। তোমরা জ্ঞানের নক্ষত্র, যারা এই ভারতকে স্বর্গ করে তুলছ আর স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য নিজেদের যোগ্য করে তুলতে হবে এখানেই। যজ্ঞ সেবায় নিজেদের অস্থি বলি দিতে হবে। কোনো কিছুর প্রতি আর লোভ থাকবে না। যার ভাগ্যে নেই, তার দ্বারা খারাপ কাজ হতেই থাকবে। এখানে তোমাদের সুখদাতা হতে হবে। বাবা বলেন আমি তোমাদের সুখদাতা করে তুলতে এসেছি। তোমরাও সুখদাতা হও। তাদের মুখ থেকে সবসময় জ্ঞান রত্ন বেরোবে। খারাপ কোন শব্দ বেরোবে না। মিথ্যা বলার থেকে কিছু না বলাই ভালো। খুব মধুর হতে হবে। মা-বাবাকে প্রত্যক্ষ করাতে হবে। বাবার জন্যই বলা হয়েছে যে সদ্গুরুর নিন্দুকেরা কখনও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না …সামান্য তিক্ততা বা ত্রুটিও (অবগুণ) থাকা উচিত নয়। অনেকেই আছে যারা অল্প কিছু না পেলেও বিগড়ে যায়। কিন্তু বাচ্চাদের এটা পরীক্ষা মনে করে শান্ত থাকা উচিত। আগে বড়-বড় ঋষি-মুনিরা বলত যে ঈশ্বরকে তারা জানে না। যদি এরা(সন্ন্যাসীরা) এমনটা বলে থাকে কেউ-ই তবে এদের মানবে না। মানুষ মনে করবে যারা স্বয়ং-ই ঈশ্বরকে জানেনা তারা আবার আমাদের পথ কিভাবে বলে দেবে। আজকাল তো এক-দুইজনের অনেক গুরু আছে। হিন্দু নারীর কাছে তাদের পতি গুরু এবং ঈশ্বর। গুরু যখন হয় সদ্গতি দেবে নতুবা পতিত করে তূলবে। তোমরা এখন জেনেছ যত সজনীরা আছে, তাদের গুরু অথবা সাজন(প্রেমিক) একজনই। মাতা-পিতা, বাপদাদা সবকিছুই তিনি। এরা(লৌকিকে বিবাহিত নারীরা) পতির জন্য এই শব্দ ব্যবহার করে। এখানে এসব বিষয় নেই। এখানে পরমপিতা পরমাত্মা তোমরা আত্মাদের পড়ান। আত্মা অতি ছোট যার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। পরমাত্মাও ছোট স্টার, তাঁর মধ্যেও সম্পূর্ণ পার্ট সঞ্চিত থাকে। মানুষ মনে করে পরমাত্মা সর্বশক্তিমান, তিনি সবকিছু করতে পারেন। পরমপিতা পরমাত্মা বলেন এমনটা নয়। ড্রামা অনুসারে আমারও পার্ট আছে।

বাবা বোঝান – তোমরা আত্মারা সবাই নিজেদের মধ্যে ভাই-ভাই। আত্মা নিজের ভাইয়ের শরীরকে কিভাবে খুন করবে! আমরা সব আত্মাদের বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে, পুরুষ হোক বা মহিলা …এই দেহ অভিমান ছাড়তে হবে। শিববাবা কত মিষ্টি। আমরাও শিববাবার সন্তান। আমরা সবাই ভাই-ভাই সুতরাং নিজেদের মধ্যে কখনও লড়াই ঝগড়া করা উচিত নয়। দেহী-অভিমানী হয়ে থাকলে কখনও লড়াই হবে না। বাবা কি বলবেন! বাবা এতো মিষ্টি আর তাঁর সন্তানরা লড়াই করতে থাকে। এই সময় মানুষের মধ্যে আত্মা সম্পর্কে জ্ঞান নেই। আমরা আত্মারা পরমাত্মার সন্তান কেন লড়াই করব ? মানুষ তো শুধু এমনই কথার কথা বলে থাকে। তোমরা তো প্র্যাকটিক্যালী জানো তাইনা। বাবা বলেন – দেহ-অভিমান ত্যাগ কর। আমরা আত্মা, এখন ফিরে যেতে হবে, শুধুমাত্র এই উদ্যোগ থাকতে হবে। সম্পূর্ণ রূপে পুরুষার্থ করতে হবে। বাবার মতো মিষ্টি লভলীন অবশ্যই হতে হবে, তবেই বাবা সুপুত্র বলবেন। বলবেন কত লভলী হয়ে গেছে। বাবা কত নিরহঙ্কারী। তিনি বলেন আমি তোমাদের বাবা, টিচার এবং সদ্গুরু সবকিছুই আমি। অর্ধকল্প ধরে আমাকে তোমরা স্মরণ করে আসছ বাবা এসো। এটাও ড্রামায় নির্ধারিত পার্ট আমার। প্রথমে ঘড়ি ছিল না, মানুষ বালির মধ্য দিয়ে সময় দেখত। সায়েন্সের মাধ্যমে যা কিছু তৈরি হচ্ছে, তোমাদের জন্য। এই সায়েন্টিস্টরা কোনো জ্ঞান নেবে না। ওদের আত্মা প্রজার অংশ হবে। প্রজারাই তো প্রাসাদ ইত্যাদি নির্মাণ করবে তাইনা! রাজা রাণী কেবল আদেশ জারি করবে। সুতরাং এরা হারিয়ে যাবে না, এরা অতি চতুর হয়ে উঠছে। চাঁদে যাওয়া ইত্যাদি – এ’সবই চরম লক্ষণ। সায়েন্সও এখন দুঃখের কারণ হয়ে গেছে। ওখানে সব জিনিসই সুখ দিয়ে থাকে। এইসব কিছুই অল্প সময়ের জন্য বেশি থাকে। যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। বাকি সুখ তো তোমরাই ভোগ করবে। তোমরা মাম্মা বাবা বলো সুতরাং অবশ্যই তাদের ফলো করা উচিত। তোমাদের মুখ দিয়ে সবসময় জ্ঞান রত্ন বের হওয়া উচিত।

মানুষ বলে পাথরও গান গেয়েছিল। প্রথমে তোমরাও পাথর বুদ্ধির ছিলে। বাবা এসে তোমাদের পাথর বুদ্ধি থেকে পারস বুদ্ধি করে তুলেছেন। এখান তোমরা গীতার গান গাইছ। বাকি পাথর বুদ্ধির যারা তারা গান গাইবে না। গীতাকেই গান বলা হয়। তোমরা এখন পরমপিতা পরমাত্মার পরিচয় জেনেছ। ওরা তো কোনো অর্থই বোঝেনা। রত্নের পরিবর্তে ওরা শুধু একে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে রত্ন রয়েছে নম্বরানুসারে । কারো-কারো মুখ থেকে তো হীরে, মুক্তো বের হয়, তাইতো তোমাদের নীলম (পোখরাজ)পরী, সবুজ (পান্না) পরী নাম রাখা হয়… তোমরা পাথর থেকে রত্ন বা পারস হয়ে উঠছো। তোমাদের কাজ হলো যেই আসুক তাকে বোঝানো। পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমাদের কি সম্বন্ধ! যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে এর উত্তর লিখে দিতে না পারবে ততক্ষণ বাবার সাথে মিলিত হওয়া বৃথা যাবে। প্রথমে বাবাকে জানতে হবে তবেই বোঝা যাবে বি.কেরা কার পৌত্রি। লক্ষ্য বড়ই উচ্চ। ২১ জন্মের জন্য বাদশাহী গরিব থেকে অতি গরিবও পেতে পারে। বিশ্বের মালিক হওয়া কি কম কথা ? শুধু শ্রীমতে চলতে হবে। ভগবান স্বয়ং কুর্বান যান বাচ্চাদের জন্য। তিনি নিজেকে ২১ জন্মের জন্য সমর্পণ করে থাকেন। তিনি বলেন বিশ্বের মালিক ভব। তবে নিশ্চয়ই বাচ্চাদের মুখ থেকে জ্ঞান রত্নই বেরোয় তবেই তো ভবিষ্যতে পূজনীয় দেবতা হয়ে উঠবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মিষ্টি (আচরণ) হয়ে, মা বাবাকে প্রত্যক্ষ করাতে হবে। সামান্য তিক্ততা থাকলেও সেটা বের করে দিতে হবে। বাবার মতো মিষ্টি লভলীন অবশ্যই হতে হবে।

২ ) কোনো কাজ শ্রীমত ছাড়া করা উচিত নয়। শ্রীমতেই প্রকৃত উপার্জন হয়।

বরদানঃ-

ত্রিকালদর্শী বাচ্চারা প্রতিটি কর্মের পরিণাম কি হবে জেনেই তারপর কর্ম করে। তারা কখনও এমন বলে না যে হওয়ার কথা তো ছিল না, কিন্তু হয়ে গেছে, এভাবে বলা উচিত নয়, কিন্তু বলে ফেলেছি। এর থেকে প্রমাণ হয় যে কর্মের পরিণাম না জেনে সরল মনে (বোকামি, সরলতা) কর্ম করে থাকো। সরল হওয়া ভালো কিন্তু অন্তরে সরল হও, কথায় কিম্বা কর্মে হয়ো না। ত্রিকালদর্শী হয়ে প্রতিটি কথা শোনো আর বলো তবেই বলা হবে সেন্ট অর্থাৎ মহান আত্মা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top