31 July 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

30 July 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"যথার্থ চার্টের অর্থ - প্রগতি আর পরিবর্তন"

আজ বাপদাদা তাঁর বিশ্ব নব-নির্মাতা বাচ্চাদের দেখছেন। আজকের দিনে নতুন বছরের আরম্ভ দুনিয়ার চতুর্দিকে উদযাপন করে। কিন্তু তারা উদযাপন করে নতুন বছর আর তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা নতুন সঙ্গমযুগে প্রতিটি দিনই নতুন মনে করে উদযাপন করতে থাকো। তারা একদিন উদযাপন করে আর তোমরা প্রতিদিন নতুন অনুভব করো। সেটা হলো সীমিত বছরের চক্র আর এ’ হলো অসীম দুনিয়ার নতুন সঙ্গমযুগের চক্র। সব যুগের মধ্যে সঙ্গমযুগ সব রকমের নবীনত্ব নিয়ে আসার যুগ। তোমরা সবাই অনুভব করো যে, সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ জীবন নতুন জীবন। নতুন নলেজের দ্বারা নতুন বৃত্তি, নতুন দৃষ্টি আর নতুন সৃষ্টিতে এসে গেছ। দিন-রাত, প্রতিটা সেকেন্ড এবং প্রতিটা মুহূর্ত নতুন লাগে। কত নতুন সম্বন্ধও হয়ে গেছে ! পুরানো সম্বন্ধে আর নতুন সম্বন্ধে কত প্রভেদ ! পুরানো সম্বন্ধের লিস্ট স্মৃতিতে নিয়ে এসো; কত লম্বা সেটা ! কিন্তু নতুন সঙ্গমযুগের নতুন সম্বন্ধ কত আছে? সেটা কি লম্বা লিস্ট ? শুধু বাপদাদা আর ভাই-বোন আর কত নিঃস্বার্থ ভালোবাসার সম্বন্ধ ! সেখানে ছিল বহু স্বার্থের সম্বন্ধ। সুতরাং নতুন যুগ, নতুন ছোট ব্রাহ্মণ সংসারই অতি প্রিয়।

দুনিয়ার লোকে একদিন একে অপরকে অভিনন্দন জানায় আর তোমরা কী করো ? বাপদাদা কী করেন ? প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মুহূর্ত প্রত্যেক আত্মার প্রতি শুভ ভাবনা, শুভ কামনার অভিনন্দন জানিয়ে থাকো তোমরা। যখনই কাউকে কোনো উৎসবের দিনের অভিনন্দন জানাও তখন কী বলে ? খুশিতে থাকো, সুখী থাকো, শক্তিশালী থাকো, সুস্থ থাকো। তাহলে, তোমরা সবসময় কী সেবা করো ? আত্মাদেরকে নতুন জীবন দিয়ে থাকো। তোমাদের সবাইকেও বাপদাদা নতুন জীবন দিয়েছেন তো না ! আর এই নতুন জীবনে এই সমস্ত অভিনন্দন সদাসর্বদার জন্য প্রাপ্ত হয়েই যায়। তোমাদের মতো সৌভাগ্যশালী, খুশির খাজানায় সম্পন্ন, সদা সুখী আর কেউ হতে পারে ! এই নবীনত্বের বিশেষত্ব তোমাদের দৈবী জীবনেও নেই। সুতরাং, সবসময় আপনা থেকেই বাপদাদার দ্বারা অভিনন্দন, শুভেচ্ছা অথবা গ্রিটিংস প্রাপ্ত হতেই থাকে। দুনিয়ার লোকে নাচবে, গাইবে আর খাওয়া দাওয়া করবে। আর তোমরা কী করো ? প্রতিটা সেকেন্ড নাচতে, গাইতে থাকো এবং প্রতিদিন ব্রহ্মাভোজন খেতে থাকো। লোকে তো বিশেষ পার্টিজ্ অ্যারেঞ্জ করে, তোমাদের সদাই সংগঠনের পার্টিজ্ হতেই থাকে। পার্টিতেই মিলন হয় তো না ! তোমরা সব ব্রাহ্মণের পার্টি অমৃতবেলা থেকে শুরু হয়ে যায়। সবার আগে বাপদাদার সাথে উদযাপন করো, একের মধ্যে অনেক সম্বন্ধ আর স্বরূপের সাথে উদযাপন করো। তারপরে তোমরা ব্রাহ্মণরা যখন নিজেদের মধ্যে ক্লাস করো তখন সংগঠনে মিলন উদযাপন করো, করো তা না, আর মুরলী শুনতে শুনতে তোমরা নাচো, গাও। এছাড়াও সবসময় তোমরা তোমাদের উৎসাহে ভরা জীবনে উড়তে থাকো। ব্রাহ্মণ জীবনের শ্বাসই হলো উৎসাহ। যদি উৎসাহ কম হয় তাহলে ব্রাহ্মণ জীবন যাপনে আনন্দই থাকে না। ঠিক যেমন, শরীরে শ্বাসের গতি যথার্থরূপে চললে ভালো স্বাস্থ্য ব’লে মানা হয়ে থাকে। কিন্তু যদি কখনো খুব তীব্র গতিতে চলে, কখনো স্লো হয়ে যায় তাহলে সুস্বাস্থ্য বলা যায় না তো না ! ব্রাহ্মণ জীবন অর্থাৎ উৎসাহ, নিরাশা নয়। যিঁনি সব আশা পূরণ করে দেন, সেই বাবারই যখন হয়ে গেছ তখন নিরাশা কোথা থেকে আসে? তোমাদের অক্যুপেশনই হলো নিরাশাবাদীকে আশাবাদী বানিয়ে দেওয়া । তোমাদের এটাই তো সেবা, তাই না ! সীমিত দুনিয়ার চক্র অনুসারে তোমরাও তো এই দিনটাকে গুরুত্ব দিচ্ছ, কিন্তু বাস্তবে তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মার কাছে সঙ্গমযুগই নবীনত্বের যুগ। নতুন দুনিয়াও এই সময়েই বানাও। শুধুমাত্র এই সময়ই তোমরা সব আত্মার কাছে নতুন দুনিয়ার জ্ঞান থাকে। ওখানে নতুন দুনিয়ায় নতুন-পুরানোর নলেজ থাকবে না। নতুন যুগে নতুন দুনিয়া স্থাপন করছ।

সবাই তপস্যা-বর্ষে তপস্যা দ্বারা নিজের মধ্যে অলৌকিক নবীনত্ব এনেছ নাকি সেই একই পুরানো আচার-আচরণই আছে? তোমরা জানো কোনটা তোমাদের পুরানো আচরণ? আমার যোগ ভালো, আমার অনুভবও ভালো হয়, আমি এগিয়েও যাচ্ছি, আমার ধারণাতেও অনেক পার্থক্য হয়েছে, অ্যাটেনশনও খুব ভালো, সেবাতেও বৃদ্ধি ভালো… কিন্তু, কিন্তুর লেজুড় জুড়ে যায়। কখনো কখনো এ’রকম হয়ে যায়, এই কখনো কখনো-র লেজুড় কবে নাগাদ সমাপ্ত করবে ? তপস্যা-বর্ষে এই নবীনত্ব আনো। পুরুষার্থ বা সেবার সফলতার, সন্তুষ্টতার পার্সেন্টেজ কখনো খুব উঁচু, কখনো নিচু – এতে সদা শ্রেষ্ঠ পার্সেন্টেজের নবীনত্ব আনো। যেমন, আজকালকার ডাক্তার কোন বিষয়ে বেশি চেক করে? আজকাল সবচাইতে বেশি চেক করে ব্লাড প্রেসার। যদি ব্লাড প্রেসার কখনো খুব ওপরে হয়, আর কখনো নিচে নেমে যায় তাহলে কী হবে? সেইজন্য, বাপদাদা পুরুষার্থের প্রেসার দেখেন – সাধারণতঃ খুব ভালো, কিন্তু কখনো কখনো জাম্প করে। ‘কখনো কখনো’ এই শব্দ সমাপ্ত করো। এখন তো সবাই পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছ তো না? এই সমগ্র সভায় এমন কে আছে যে মনে করে আমি পুরস্কারের যোগ্য হয়েছি? কখনো-কখনো-র যারা, তারা কী পুরস্কার নেবে ?

পুরস্কার নেওয়ার আগে এই বিশেষত্ব দেখ যে, বিগত ছয় মাসের মধ্যে এই তিন প্রকারের সন্তুষ্টতা প্রাপ্ত করেছ কিনা !

প্রথমতঃ – নিজে সাক্ষী হয়ে নিজের চেক করো – নিজেকে নিজে চেক করো যে, তুমি তোমার স্বচ্ছ মন আর সত্য হৃদয়ের দিক থেকে সন্তুষ্ট তো?

দ্বিতীয়তঃ – বিধি-পূর্বক স্মরণের পার্সেন্টেজ অনুসারে বাপদাদা যা চান, সেই বিধি-পূর্বক মন-বচন-কর্ম আর সম্পর্কের সম্পূর্ণ চার্ট ছিল ? অর্থাৎ বাবাও যেন সন্তুষ্ট হন।

তৃতীয়তঃ – ব্রাহ্মণ পরিবার আমার শ্রেষ্ঠ যোগী জীবনের প্রতি সন্তুষ্ট থেকেছে? সুতরাং তিন প্রকারের সন্তুষ্টতা অনুভব করা অর্থাৎ প্রাইজের যোগ্য হওয়া। বিধি-পূর্বক আজ্ঞাকারী হয়ে চার্ট রাখার আজ্ঞা পালন করেছ? এমন আজ্ঞাকারীরও মার্কস্ প্রাপ্ত হয়। কিন্তু সম্পূৰ্ণ পাস মার্কস্ তারই প্রাপ্ত হয় যে আজ্ঞাকারী হয়ে চার্ট রাখার সাথে সাথে পুরুষার্থের বিধি আর বৃদ্ধিরও মার্কস্ নেবে। যারা এই নিয়ম পালন করেছে, যারা অ্যাক্যুরেটলি চার্ট লিখেছে, তারাও বাপদাদা দ্বারা, ব্রাহ্মণ পরিবার দ্বারা অভিনন্দন প্রাপ্ত করার যোগ্য। কিন্তু যারা পুরস্কার নেওয়ার যোগ্য তারা সকলের সন্তুষ্টতার অভিনন্দন প্রাপ্ত করার উপযুক্ত। তোমাদের কর্মে, সম্বন্ধে আর সংস্কারে নবীনত্বের বিশেষত্ব নিজেদেরও অনুভূত হবে এবং অন্যরাও অনুভব করবে – সেটাই যথার্থ তপস্যার লক্ষণ। যথার্থ চার্টের অর্থ প্রতিটি সাবজেক্টে প্রগতি অনুভব হবে, পরিবর্তন অনুভব হবে। ব্রাহ্মণ জীবনে সমস্ত পরিস্থিতি, ব্যক্তির দ্বারা কিংবা প্রকৃতির দ্বারা অথবা মায়ার দ্বারা আসবে, যা আসারই আছে। কিন্তু স্ব-স্থিতির শক্তি পরিস্থিতির প্রভাবকে এমনভাবে সমাপ্ত করেছে যেন এক চিত্ত-বিনোদনের সীন সামনে এসেছে আর গেছে। সঙ্কল্পেও পরিস্থিতি থেকে অস্থিরতার অনুভূতি যেন না হয়। স্মরণের যাত্রা সহজও হোক আর শক্তিশালীও হোক। পাওয়ারফুল স্মরণ একই সময়ে ডবল অনুভব করায়। একদিকে, স্মরণ অগ্নিরূপ হয়ে ভস্ম করার কাজ করে, পরিবর্তন করার কাজ করে, আরেকদিকে, খুশি আর হাল্কা ভাবের অনুভব করায়। এরকম বিধিপূর্বক শক্তিশালী স্মরণই যথার্থ স্মরণ বলা হয়। তবুও বাপদাদা বাচ্চাদের উদ্যম আর নিষ্ঠা দেখে খুশি হন। তোমাদের মেজরিটির লক্ষ্য স্মৃতিতে স্পষ্টভাবে রয়েছে। স্মৃতিতে বজায় রাখাতে তোমরা ভালো নম্বর নিয়েছ, কিন্তু স্মৃতির সাথে শক্তিশালী হওয়ার ক্ষেত্রে তোমরা নম্বর অনুক্রমে হয়ে যাও। স্মৃতি থাকা আর শক্তিশালী হওয়া, দুইই একসাথে থাকলে বলা হবে নম্বর ওয়ান প্রাইজের যোগ্য। স্মৃতি সদা থাকবে আর শক্তিশালী কখনো কখনো বা পার্সেন্টেজে থাকলে – তাকে নম্বরক্রমের লিস্টে বলা হবে। বুঝেছ ! যারা অ্যাক্যুরেট চার্ট রাখে তাদেরও নামের মালা হবে। এখন অনেক সময় নেই তবুও কিছু তো আছে, এই অল্প সময়েও যদি বিধিপূর্বক পুরুষার্থের বৃদ্ধি করে আপন মন-বুদ্ধি-কর্ম আর সম্বন্ধকে সদা অটল-অনড় বানাতে পারো, তাহলে এই অল্প সময়ের অটল-অনড় স্থিতির পুরুষার্থ ভবিষ্যতে অনেক কার্যকরী হবে এবং সফলতার খুশি নিজেও অনুভব করবে আর অন্যদের দ্বারাও সন্তুষ্টতার আশীর্বাদ প্রাপ্ত করতে থাকবে, সেইজন্য এ’রকম ভেবো না যে, সময় অতীত হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও বর্তমান আর ভবিষ্যৎ শ্রেষ্ঠ বানাতে পারো।

এখনো বিশেষ স্মৃতি-মাস হলো এক্সট্রা বরদান প্রাপ্ত করার মাস। যেভাবে তপস্যা-বর্ষের চান্স প্রাপ্ত হয়েছে, সে’ভাবে স্মৃতির মাসের বিশেষ চান্স আছে। এই মাসের ৩০ দিনও যদি সহজ ও আপনা থেকেই শক্তিশালী, বিজয়ী আত্মা হওয়ার অনুভব হয় তাহলে এটাও সদাসর্বদার জন্য ন্যাচারাল সংস্কার বানানোর গিফ্ট প্রাপ্ত করতে পারো। যা কিছু আসুক, যা কিছু হয়ে যাক, পরিস্থিতি রূপী সর্বাধিক বড় পাহাড়ও যদি এসে যায়, সংস্কার সঙ্ঘর্ষের মেঘও যদি আসে, প্রকৃতিও পেপার নেয়, কিন্তু তবুও অঙ্গদের মতো অন্তর্মন বা বুদ্ধিরূপী পা নড়তে দিও না, অনড় থেকো। যা হয়ে গেছে তা’তে যদি কোনো অস্থিরতা হয়ে থাকে তবে সেই স্মৃতি সঙ্কল্পেও এনো না। ফুল স্টপ লাগাও। বর্তমানকে বাবা সমান শ্রেষ্ঠ, সহজ বানাও আর ভবিষ্যৎকে সদা সফলতার অধিকারে দেখ। এই বিধি দ্বারা সিদ্ধিপ্রাপ্ত করো। কাল থেকে নয়, এখন থেকে করো। স্মৃতি মাসের অল্প সময়কে বহুকালের সংস্কার বানাও। এই বিশেষ বরদান বিধিপূর্বক প্রাপ্ত করো। বরদানের অর্থ এই নয় যে, অমনোযোগী হও। অমনোযোগী হ’য়োনা, বরং সহজ পুরুষার্থী হও। আচ্ছা।

কুমারীদের সংগঠন বসে আছে। তোমাদের কেন সামনে বসার চান্স দেওয়া হয়েছে? সদা সামনে থাকতে হবে, সেইজন্য সামনে বসার এই চান্স তোমাদের দেওয়া হয়েছে। বুঝেছ ! পাকা ফল হয়ে বের হ’য়ো, কাঁচা পড়ে যেও না। সবাই পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে সেন্টারে যাবে, নাকি ঘরে (বাড়ী) যাবে? যদি মা-বাবা বাড়ী ফিরে যেতে বলেন তাহলে কী করবে? যদি নিজের মনোবল থাকে তাহলে কেউ কাউকে আটকাতে পারে না। অল্প-অল্প আকর্ষণ থাকলে যারা আটকানোর তারা আটকাবে।

নববর্ষ উদযাপন করতে সবাই তোমরা দৌড়ে দৌড়ে এসে গেছ। নতুন বছর উদযাপন করা অর্থাৎ প্রতিটা মুহূর্তকে নতুন বানানো, সবসময় নিজের মধ্যে আত্মিক নবীনত্বের আমদানি করা।

চারিদিকের সব স্নেহী আর সহযোগী বাচ্চারাও আজকের দিনের মহত্ত্বকে জেনে বিশেষভাবে হৃদয় থেকে অথবা পত্র কিংবা কার্ডের মাধ্যমে বিশেষ স্মরণ করছে এবং তারা পোস্ট করার আগেই সে’সব বাপদাদার কাছে পৌঁছে যায়। লেখার আগেই পৌঁছে যায়। সঙ্কল্প করা মাত্রই পৌঁছে গেল। অনেক বাচ্চাদের সহযোগীদের কার্ড দেরিতে পৌঁছাবে ব’লে বাপদাদা আগে থেকেই সবাইকে নতুন যুগে নতুন দিন উদযাপনের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। যেমন, কোনো বিশেষ প্রোগ্রাম হয় তো আজকালকার লোকে কী করে? নিজেদের টি. ভি. খুলে বসে যায়। সুতরাং সব রূহানী বাচ্চা নিজস্ব বুদ্ধির দুরদর্শনের সুইচ অন করে বসে আছে। বাপদাদা চারিদিকের অভিনন্দন-যোগ্য বাচ্চাদের প্রতি সেকেন্ডে অভিনন্দনের আশীর্বাণী দ্বারা রেসপন্ড করছেন। সবসময়ের স্মরণ আর ভালোবাসার এই আশীর্বাদ বাচ্চাদের হৃদয়ের উৎসাহ-উদ্দীপনা নিরন্তর বর্ধিত করে। সুতরাং সদা নিজেকে সহজ পুরুষার্থী আর সদা পুরুষার্থী, সদা বিধি দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করে যোগ্য আত্মা বানিয়ে উড়তে থাকো।

এই ভাবে যারা সদা বর্তমানকে বাবা সমান বানায় আর ভবিষ্যৎকে সফলতা স্বরূপ বানায়, সেই শ্রেষ্ঠ অভিনন্দন-যোগ্য আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

বরদানঃ-

যখন নিজের দায়িত্ব মনে করে নাও তখন মাথা ভারী হয়ে যায়। দায়িত্ব বাবার, আমি নিমিত্ত – এই স্মৃতি (সচেতনতা) তোমাদের হালকা বানায়, সেইজন্য নিজের পুরুষার্থের বোঝা, সেবার বোঝা, সম্পর্ক-সম্বন্ধের দায়িত্ব পালনের বোঝা… ছোটখাটো সব বোঝা বাবাকে দিয়ে হাল্কা হয়ে যাও। যদি সামান্যতম সঙ্কল্প উৎপন্ন হয় যে, আমাকে করতে হয়, আমাকে একা করতে হবে, তখন এই আমিত্ব বোধ ভারী বানিয়ে দেবে আর নিরভিমান ভাব থাকবে না। নিমিত্ত মনে করলে নির্মান (নিরহঙ্কার) হওয়ার গুণও আপনা থেকেই এসে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top