31 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 30, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের এই নেশায় থাকতে হবে যে আমাদের বাবা এসে গেছেন, আমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানাতে, আমরা তাঁর সম্মুখে বসে আছি”

প্রশ্নঃ --

কর্মের গুপ্ত গতিকে যারা জানে, তারা কোন্ পুরুষার্থ অবশ্যই করবে ?

উত্তরঃ -:-

স্মরণে থাকার, কেননা তাদের এটা জানা আছে যে স্মরণের দ্বারাই পুরানো হিসাব-পত্র সমাপ্ত হয়ে যাবে। তারা জানে যে আত্মা যদি পুরানো হিসেব-নিকেশ, কর্মভোগ সমাপ্ত না করে তাহলে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে আর পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। পূনর্জন্মও এই রকমই হবে ।

ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের অসীম খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে যখন দেখে যে বাপ-দাদা সম্মুখে এসেছেন আর এটাও বাচ্চারা জানে যে ৫ হাজার বছর পরে পুনরায় শিববাবা ব্রহ্মার শরীরে এসেছেন। কি করতে এসেছেন? বাচ্চারা এই নেশায় উন্মত্ত হয়ে আছে। সকল বাচ্চারাই জানে যে স্বর্গের মালিক বানাতে বাবা এসেছেন। আমাদেরকে উপযোগ্য তৈরি করছেন। আমাদেরকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান বানানোর যুক্তি বার-বার বলে দিয়েছেন। যুক্তি খুবই সহজ। একদমই সহজ স্মরণ বাচ্চাদেরকে শেখাচ্ছেন। অজ্ঞানকালে কোনও বাবার বাচ্চা জন্ম নিলে মনে করে যে আমার উত্তরাধিকারী জন্ম নিয়েছে। তোমরা জানো যে এই সময় বাবা এসে আমাদেরকে দত্তক নিয়েছেন। এমনিতে তো তোমরা সকলেই হলে শিব বাবার বাচ্চা। কিন্তু বাবা নিজের কিভাবে করবেন, যার মাধ্যমে আমাদেরকে জ্ঞান শোনাতে পারবেন আর আমরাও তাঁর থেকে শুনতে পারি। শিব বাবা এই ব্রহ্মার শরীরে থেকে বলছেন যে আমি হলাম তোমাদের বাবা। তোমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানাচ্ছি । কেবল তোমাদের আত্মা যে পতিত হয়ে গেছে সে না মুক্তিতে না জীবন্মুক্তি ধামে যেতে পারবে। তোমরা সবাই হলে এক বাবার সন্তান । সবাইকেই বাবার সম্পত্তি নিতে হবে। অনেক-অনেক বাচ্চা আছে, বৃদ্ধি হতেই থাকে। তিনি দত্তক নিতেই থাকেন। হে আত্মারা এখন তোমরা আমার সন্তান হয়েছ। নিজেকে আত্মা মনে করো, আমাদের এখন বাবার সাথে সাক্ষাৎকার হয়েছে, যাকে আমরা অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করেছিলাম। এটা কখনো ভুলে যেওনা। অর্ধেক কল্প আত্মা এই শরীরের দ্বারা স্মরণ করে এসেছে – হে পতিত-পাবন, হে দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা, কেননা রাবণ রাজ্য তাই না। আর এখন যারা মনে করে যে আমি অনেক সুখে আছি, আমার এত পদম সম্পত্তি আছে, এতো মিল আছে, কারখানা ইত্যাদি আছে, এসব তো হলো অল্পকালের জন্য। অন্তিম সময়ে তো অত্যন্ত ত্রাহি ত্রাহি করতে হবে। দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে। এই সমস্ত সম্পত্তি সেকেন্ডে সমাপ্ত হয়ে যাবে। বাবার থেকে তোমাদের সেকেন্ডে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। বাবা বলেন, তোমাদেরকে আমি সেকেন্ডে স্বর্গের বাদশাহী প্রদান করি। তোমাদের এই পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। লড়াই লাগবে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় হবে। সাফাই তো করতে হবে তাই না। তোমাদের আত্মাও এখন পবিত্র হচ্ছে। বাপদাদা দুজনেই বুঝতে পারেন বাচ্চারা কতই না পরিশ্রম করছে। বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য পরিশ্রম তো অল্প একটুই করতে হয়। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। সেই আত্মিক বাবা হলেন নিরাকার, আমরা আত্মারা তাঁকে আহ্বান করি তাই না। বাবা বলেন, তোমাদের আত্মা যে পতিত হয়েছে তারা পাবন কিভাবে হবে। পতিত-পাবন তো এক বাবা-ই, তাইনা। জলের নদী পতিত-পাবনী হলে তো ঝট করে গিয়ে একটা ডুব লাগিয়ে চলে আসতে হবে। গঙ্গাস্নান তো অনেকে করে তথাপি পতিত কেন ? রাতদিন এটাই ভজন করতে থাকে – পতিত-পাবন সীতারাম অর্থাৎ যেসব ভক্ত অথবা সীতারা আছে তাদের সকলের রক্ষক হলেন এক রাম পরমপিতা পরমাত্মা। পতিত-পাবন পতিদেরও পতি হলেন তিনি। তিনি যখন আসবেন তখন এসে পবিত্র বানাবেন। তাই এখন বাবা বলছেন আমার শ্রীমতে তোমাদেরকে চলতে হবে আর কারোর মতে চলবে না। তারা তো বুঝতে পারে যে ভক্তির দ্বারাই ভগবান প্রাপ্ত হবে, যখন ভক্তির দ্বারা ভগবানকে পাওয়া যায়, তখন এইরকম কেন বলে যে ভক্তদের রক্ষা করতে আসবেন। ভক্তদের উপরে কেন বিপদ এসেছে যে রক্ষা করবেন ? রক্ষা তখন করা হয় যখন কোনো বিপদ আসে। বাবা বলেন – তোমাদের কতইনা দূর্গতি হয়েছে। এটা হল রৌরব নরক, সবাই দুঃখী রোগী হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে দেখো কি শুরু হয়ে গেছে। দুঃখই দুঃখ। এইজন্য ডাকতে থাকে বাবা আমাদের দুঃখ হরণ করো, সুখ প্রদান করো। ভারতেই সর্বদা সুখ ছিল, এখন দুঃখ আছে। ভারতের কথা আছে, অন্যান্য খন্ডগুলি হল আলাদা। তারা তো আসেই পরবর্তী সময়ে। কেউ ৬০ জন্ম, কেউ তার থেকেও কম জন্ম নেয়। ৮৪ জন্ম দেবতা ধর্মের আত্মারাই নিয়ে থাকে। তাই এই হিসাবে অর্ধেক কল্পের পরে যারা আসবে তাদের ৮৪ থেকে অর্ধেক জন্ম নিতে হবে। এরকম নয় যে সবাই ৮৪ চক্র খায়। মানুষের মুখে যা আসে, তাই বলে দেয়। এখন তোমরা বাচ্চারা বাবার দ্বারা অবিনাশী জ্ঞান রত্নের ঝুলি ভরপুর করছো। এই রত্ন তাে হল অনেক মূল্যবান। বাবা বোঝাচ্ছেনও অতি সহজ ভাবে। বাবা বলছেন, তোমরা আমাকে ডেকে এসেছ – হে পতিত-পাবন এসে আমাদেরকে পবিত্র বানাও, তাই বাবা এসেছেন। এখন তোমরা বুঝেছ যে আমরা পবিত্র হলে তবেই স্বর্গের মালিক হতে পারব। শিব বাবা আমাদেরকে পাথর বুদ্ধি দেখে পরশবুদ্ধি, পাথরনাথ থেকে পারশনাথ বানাতে এসেছেন। ভক্তি মার্গের চিত্রগুলি সবই পাথরের বানিয়ে দিয়েছে। পাথরে গিয়ে মাথা ঠোকে। বাবা বলেন – তোমরা যদিও অনেক পরিশ্রম করো, তথাপি লাভ কিছুই হয় না। আগে তো তোমরা নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে। তথাপি কি লাভ হয়েছে ? এইরকম করে হয়ত বা দেবীর সাক্ষাৎকার পেলে, তারপর পুনরায় যেমনকার তেমন। পতিত-পাবন বাবা আসেন – একবারই সঙ্গম যুগে। সত্যযুগে তো ভক্তিমার্গের কথা হবেই না। বাবা তো বলেননি যে গলা কাটাে। এটা করো। ভক্তি মার্গে নানান প্রকারের কতো কিইনা করতে থাকে। আগে তো দেবীদের সামনে মানুষেরই বলি দেওয়া হতো। বাবা বলেন – তোমরা সুবুদ্ধি সম্পন্ন ছিলে, তখন দেবতা ছিলে। এখন কতইনা পাথর বুদ্ধি হয়ে গেছো। তোমাদেরকে স্বর্গের বাদশাহী দিয়েছিলাম। কতই না সোনা, হিরে-জহরের মহল ছিল, অপরিমিত ধন ছিল। সেসব কি করেছ? এখন তোমরা কতইনা দুঃখী হয়ে পড়েছো। তোমরা আসলে দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলে তাই না। এখন কেবলই তোমরা রজো-তমোতে এসেছ। তোমরা তো দেবতা ধর্মের ছিলে, তাহলে নিজেদেরকে হিন্দু কেন বলছ? অন্যান্য সব ধর্মের আত্মারা নিজের নিজের ধর্মকেই মানতে থাকে। ধর্ম তো একটাই হয়ে থাকে তাই না। মুসলমানদের মুসলিম ধর্ম, খ্রিস্টানদের খ্রিস্টান ধর্ম চলে আসছে। তোমাদের কি হলো? তোমরা অনেক সুখী, পবিত্র, সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলে। এখন কতইনা বিকারী হয়ে গেছো। এ বিষয়ে কারো কিছু জানাই নেই – বরাবর আমরা সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলাম পুনরায় সম্পূর্ণ বিকারী কিভাবে হয়ে গেলাম। ৮৪ জন্ম নিয়ে সতঃ থেকে তমঃ হয়েছি, এখন একদমই তমোপ্রধান পতিত হয়ে গেছি। সত্যযুগ থেকে কলিযুগে অবশ্যই আসতে হয়। সকল ধর্মকেই সতো-রজো-তমোতে আসতেই হয়। বৃদ্ধি প্রাপ্ত করতে থাকে। তোমরাও এই বৃক্ষের ঝাড়ের মধ্যে আছো তাই না। কল্প বৃক্ষের মধ্যে দেখো – শেষে ব্রহ্মা দাঁড়িয়ে আছেন, বৃক্ষের উপরে শীর্ষ ভাগে ব্রহ্মা ৮৪ জন্ম নিয়ে শেষে দাঁড়িয়ে আছেন। তোমরাও যারা নীচে ব্রাহ্মণেরা বসে আছো তারাও পুনরায় অন্তিম সময়ে পতিত শূদ্র হয়েছ। পুনরায় নীচে রাজযোগ শিখছো। তোমরাও শূদ্র ছিলে, এখন ব্রাহ্মণ হয়েছ। এটাই হলো সবথেকে বড় বোঝার বিষয়। এখন এই সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের বিষয়ে খুব ভালো ভাবে বোধগম্যতা এসেছে তোমাদের । এখন তোমরা রাজযোগের তপস্যা করছ, তোমাদেরই স্মরণিক উপস্থিত রয়েছে। এ হল চৈতন্য দিলওয়ারা মন্দির, ওটা হলো জড়। সত্যযুগে এটা থাকবে না। এই সময় তোমরা নিজেদের স্মরণিক দেখছো। তোমরা প্র্যাক্টিকালে সত্যিকারের দিলওয়ারা মন্দিরে চৈতন্য রূপে বসে আছো। স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে। পুনরায় স্বর্গে আসবে তো এই মন্দির ইত্যাদি কিছুই থাকবে না। এখানে মাম্মা বাবা আর আমরা বাচ্চারা বসে আছি। অবিকল এটাই হল তোমাদের মন্দির। নামই রাখা হয়েছে মধুবন, চৈতন্য দিলওয়ারা মন্দির। পুনরায় যখন ভক্তি মার্গ শুরু হবে তখন পুনরায় এই মন্দির তৈরি করবে। বাবা তোমাদেরকে অনেক ধনবান বানিয়েছিলেন, তাই তোমরাই পুনরায় তাঁর মন্দির তৈরি করো। শিবের মন্দির একজন বানায় না, সবাই বানায়, যথা যোগ্য যথা শক্তি অনুসারে ।

তোমরা জানো যে, আমরা পূজ্য ছিলাম পুনরায় দ্বাপর থেকে পূজারী হয়েছি। শিব বাবা যিনি এতটা ধনবান বানিয়েছিলেন, ভক্তিতে পুনরায় তোমরাই তাঁর মন্দির তৈরি করবে। এইসব কথাগুলিকে এখন তোমরাই জানো। তাই এখন পুরুষার্থ করে পুনরায় রাজাদেরও রাজা হতে হবে। সত্যযুগে বলা হয় মহারাজা। ত্রেতাতে বলা হয় রাজা। পুনরায় দুনিয়া পতিত হয়ে যায়, তখন মহারাজাও পতিত, রাজাও পতিত হয়ে যায়। তখন তারা নির্বিকারী মহারাজাদের মন্দির বানিয়ে পূজা করতে থাকে। সর্বপ্রথমে তো শিবের মন্দির তৈরি করে তারপর দেবতাদের তৈরি করে, নিজেই মন্দির বানিয়ে পূজা করতে থাকে, ৮৪ জন্ম তো ভোগ করতেই হয়, তাইনা। অর্ধেক কল্প তোমরা পূজ্য, পুনরায় অর্ধেক কল্প পূজারী হয়ে যাও তোমরা । সাধারণ মানুষ মনে করে যে ভগবান নিজেই পূজ্য নিজেই পূজারী হন। সবকিছু নিজেই দেয় আবার নিজেই ছিনিয়ে নেয়। আচ্ছা, যখন তিনি নিজেই দেন আবার নিজেই নিয়ে নেন তাহলে তোমাদের চিন্তা কেন হচ্ছে? তোমরা তো নিমিত্ত হয়ে গেছো। তাহলে এই কান্নাকাটি করার কি দরকার! বাবা বসে আত্মাদেরকে বোঝাচ্ছেন। এখন তোমরা আত্ম-অভিমানী তৈরি হচ্ছ, নম্বরের ক্রমানুসারে। কেউ তো আবার একদমই বাবাকে স্মরণ করে না। দেহী-অভিমানী থাকেই না। এখানে কতই না বোঝানো হয় – আরে, তোমরা হলে আত্মা, পরমাত্মা তোমাদেরকে পড়াচ্ছেন। আত্মার মধ্যেই সংস্কার থাকে। আত্মাই ব্যারিস্টার ইত্যাদি তৈরি হয়, আত্মা ম্যাজিস্ট্রেট তৈরি হয়। কাল কি হবে? যদি আত্মা বাবাকে ভালোভাবে স্মরণ করতে থাকে তাহলে অমর লোকে গিয়ে জন্ম নেবে। মৃত্যুলোকে আর পরবর্তী জন্ম হবে না। যদি কিছু হিসেব-নিকেশ থেকে থাকে তাহলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। কর্মভোগ ভোগ করে সমাপ্ত করতে হবে আর উচ্চপদও প্রাপ্ত হবেনা। কর্মের এই গূহ্য গতি বাবা বসে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। বাচ্চারা এটাও জানে যে, সত্যযুগ হলো সতোপ্রধান। প্রতিটি জিনিসই সেখানে সতোপ্রধান হয়। তারা বলে, কৃষ্ণ গরুদের করতো। রাজা গরুদের দেখাশোনা করবে কি ? এইরকম কথা তো হতেই পারে না। এটাও দেখায় যে – সত্যযুগে গরুও অত্যন্ত ফার্স্ট ক্লাস হয়, তাদেরকে কামধেনু বলা হয়। জগদম্বা সরস্বতীও হলেন কামধেনু। ২১ জন্মের জন্য সকলের মনোকামনা পূর্ণ করেন। তোমরাও হলে কামধেনু। সেই নামই পুনরায় গরুদের উপর রেখে দিয়েছে, যে গরু অনেক দুধ দেয়। রাজাদের ঘরেও অনেক ফার্স্ট ক্লাস গরু থাকে। যখন এখানেই রাজাদের কাছে এই রকম ভালো ভালো গরু আছে তো স্বর্গে কতই না সুন্দর গরু থাকবে। সেখানে কোনো দুর্গন্ধ ইত্যাদি একদমই হবে না। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে বলছেন, আমি এসেছি তোমাদেরকে ফুলের মত সুন্দর (গুলগুল) বানিয়ে সাথে নিয়ে যেতে। আমাকে আহ্বান করে বলে – হে পতিত-পাবন এসো । পতিত দুনিয়া পতিত শরীরে এসো। এট হল পতিত আর সে হল পবিত্র ফরিস্তা। পার্থক্য দেখায়। তোমরাও পতিত থেকে এইরকম পবিত্র ফরিস্তা হবে। সত্যযুগীয় দেবতাদেরকে দেব-দেবী বলা হয়। ফরিস্তারা হল সূক্ষ্ম বতনবাসী। এখন তোমরা পবিত্র ফরিস্তা তৈরি হচ্ছ। বাবা কত সহজ শিক্ষা প্রদান করছেন। এখানে যখন আসো তখন বাইরের কোনো মিত্র সম্বন্ধী, ঘর-ঘাট ব্যবসাপত্র ইত্যাদি স্মরণ করবে না। বাবার সম্মুখে এসেছ তাই না। এখানে এসেইছো – যোগের দ্বারা উপার্জন করতে। তাই এই পুরুষার্থেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শাস্তি ভোগ করার থেকে বাঁচার জন্য পুরানো সকল হিসেব নিকেশ যোগবলের দ্বারা সমাপ্ত করতে হবে। নিমিত্ত হয়ে সবকিছু দেখাশোনা করতে হবে। কোনও বিষয়ের চিন্তা করবে না। আত্ম-অভিমানী হতে হবে।

২ ) এটা হল উপার্জন করার সময়, এখানে ঘর-ঘাট, ব্যবসাপত্র ইত্যাদি স্মরণ করবে না। ফরিস্তা হওয়ার জন্য এক বাবার স্মরণে থাকার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদানঃ-

বর্তমান সময়ে বিশ্বের সিংহভাগ আত্মাদের সবথেকে বেশি প্রয়োজন হল – সত্যিকারের শান্তির। অশান্তির অনেক কারণ দিন-প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। যদি নিজে অশান্ত নাও হয় তবুও অন্যদের অশান্তির বায়ুমণ্ডল, বাতাবরণ শান্ত অবস্থাতে স্থির হয়ে বসতেই দেবে না। অশান্তির দুশ্চিন্তার অনুভব বৃদ্ধি পাবে। এরকম সময়ে তোমরা মাস্টার শান্তির সাগর বাচ্চারা অশান্তির সংকল্পগুলিকে মার্জ করে বিশেষ শান্তির ভাইব্রেশন ছড়িয়ে দাও।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top