31 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

30 August 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সকাল-সকাল উঠে বাবাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করো তাহলে পাথর বুদ্ধি থেকে পরশ বুদ্ধি হয়ে যাবে”

প্রশ্নঃ --

২১ জন্মের জন্য সমৃদ্ধশালী (মালামাল) হওয়ার সাধন কি ?

উত্তরঃ -:-

অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করো তাহলে মালামাল হয়ে যাবে, কেননা এই এক-একটি জ্ঞান রত্ন লক্ষ টাকার সমান। যে যত বেশী দান করবে, বাবার স্মরণে থাকবে, ততই তার খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।

প্রশ্নঃ --

তোমাদের দ্বারা যাতে কোনো পাপ কর্ম না হয়ে যায়, তার জন্য কোন্ বিষয়ের উপর বিশেষ সতর্ক রাখতে হবে?

উত্তরঃ -:-

অন্নের অর্থাৎ আহারের উপর বিশেষ সতর্ক রাখা চাই। পাপ আত্মার তৈরী অন্ন ভিতরে যাওয়ার সাথে সাথে তার প্রভাব পড়তে থাকে, প্রত্যেককের পরিস্থিতি দেখে বাবা রায় (অনুমতি) দেন।

ওম্ শান্তি । কে বসে আছেন, কে এসেছেন? জীব আত্মারা জানে যে আমরা সকল আত্মারা এই সময় পতিত হয়ে গেছি। মুখ্যতঃ ভারত এবং গৌণভাবে সমগ্র দুনিয়া। সবাই আহ্বান করে হে পতিত-পাবন। এটা হলো পতিত দুনিয়া। সকল আত্মারা পতিত দুঃখী, কালো হয়ে গেছে। পতিত-পাবন হলেন অসীম জগতের বাবা, যাঁকে জ্ঞানের সাগর, সকলের সদগতি দাতা বলা যায়। বাচ্চারা বাবার সামনে বসে আছে। বাচ্চাদের কোথা থেকে পরিচয় প্রাপ্ত হয়েছে? পতিত-পাবন বাবার দ্বারা। যখন সত্যযুগ ছিল তখন সেখানে রাজা-রানী তথা প্রজা সকলেই পবিত্র ছিল। সবাই গোল্ডেন এজ-এ ছিল। বাচ্চারা তোমাদের এখন এই বোধগম্যতা হয়েছে যে আমরা জীব আত্মারা বসে আছি। আত্মা শরীরের সাথে আছে তাই সুখ অথবা দুঃখ ভোগ করতে হয়। আত্মা শরীরে নেই তো শরীরের কিছুই জ্ঞান থাকেনা। আত্মা এক শরীর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় শরীরের সাথে কানেকশন যুক্ত করে, তাই সে চৈতন্য হয়ে যায়। শরীর হলো জড়। জড়ও বৃদ্ধি প্রাপ্ত করে। প্রথমে পাঁচ তত্ত্বের পুতুল তৈরি হয়, তার মধ্যে অর্গান্স অর্থাৎ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরী হয় তখন আত্মা তার মধ্যে প্রবেশ করে তারপর চৈতন্য হয়ে যায়। এখন তোমরা জীবাত্মারা বসে আছো, তোমাদের সামনে বাবা বসে আছেন। তিনিও হলেন পরম সুপ্রীম আত্মা আর এভার পিওর (সদা পবিত্র) । এখন বাবা বাচ্চাদেরকে ডাইরেকশন দিচ্ছেন – বাচ্চারা তোমরাও বাবার মতো পবিত্র হও। তোমরা আত্মারা হলে অমর, তোমরা প্রথমে শান্তিধামে ছিলে। তোমরা জানো যে আমরা আত্মারা শিব বাবার কাছে এসেছি, যিনি এই সাধারণ শরীর ধারণ করেছেন। পরম পিতা পরমাত্মা ছাড়া আর কেউই এমন হতে পারে না, যিনি এইরকমভাবে বাচ্চাদেরকে বসে ডাইরেকশন দেবেন। তারা তো মনে করে যে পরমাত্মা কখনো আসেই না। বলে যে – পরমাত্মা হলেন নাম রূপের থেকে পৃথক। বাচ্চারা তোমরা জানো যে আমরা পুনরায় পাঁচ হাজার বছর পর এসে মিলিত হয়েছি। জানতে পেরেছি যে কীভাবে বাবা আমাদেরকে পবিত্র বানাচ্ছেন। আত্মা পতিত হওয়ার কারণে শরীরও পতিত হয়ে যায়। এখন পুনরায় পবিত্র হতে হবে। আমরা আত্মারা মূলবতনে পবিত্র ছিলাম। এইরকম-এইরকম ভাবে নিজের সাথে কথা বলতে হবে। বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। আত্মারা এখন তোমাদের পরিচয় প্রাপ্ত হয়েছে। আমরা আত্মারা নির্মাণধামে ছিলাম, পুনরায় সত্য যুগে তোমরা আসো সুখের ভূমিকা পালন করতে। তোমরা হলে অলরাউন্ডার, এইজন্য সর্ব প্রথম তোমাদের জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। তোমরা জানো যে শিব বাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের রচনা করেন। বাবা বলেন তোমাদেরকে অর্থাৎ জীবাত্মাদেরকে শূদ্র বর্ণ থেকে ব্রাহ্মণ বর্ণ-তে নিয়ে এসেছি। শূদ্র থেকে এখন তোমরা ব্রাহ্মণ ব্রহ্মা-মুখ বংশাবলী হয়েছো। কেন? উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য। ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী কেবল সঙ্গমেই তৈরি হয়। তোমাদের জন্যই হলো সঙ্গম। তোমরা আত্মারা বলে থাকো যে আমরা প্রথমে পবিত্র ছিলাম, এখন পতিত হয়ে গেছি। হে পতিত-পাবন বাবা আমাদেরকে পুনরায় এসে পতিত থেকে পাবন বানাও। এইরকম এইরকম নিজের সাথে কথা বলো। এখন আত্মার আহার প্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা আত্মারা পবিত্র ছিলাম তখন মুক্তিধামে ছিলাম তারপর স্বর্গে আসি, এত এত জন্ম নিয়েছি তারপর নিচের দিকে নামতে থেকেছি, পুনরায় গোল্ডেন এজ-এ যেতে হবে। বাবা বলেন, আমি পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও বলেছিলাম – একমাত্র আমাকে স্মরণ করো। গৃহস্থ ব্যবহার কাজকারবার ইত্যাদি করেও কেবল নিজেকে আত্মা মনে করো, এখন আমাকে পবিত্র হতে হবে। ঘরে ফিরে যেতে হবে। পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে হবে। এখন আমরা আয়রন এজ থেকে গোল্ডেন এজ-এ কীভাবে যাব – এই চিন্তা করতে হবে। বাবা তো সহজ যুক্তি বলে দিচ্ছেন যে এক আমাকে স্মরণ করো তাহলেই তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। গীতাতে দুই-বার এই মহাবাক্য আছে – মন্মনাভব। হে বাচ্চারা দেহ অভিমান ত্যাগ করো। বাবাকে স্মরণ করো। তিনি হলেন অথরিটি। তোমাদেরকে সকল শাস্ত্রের সার, সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান বুঝিয়েছি। তোমরা যত বেশী আমাকে স্মরণ করবে ততই তোমাদের আত্মা পবিত্র হতে থাকবে, এছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই। পাথর বুদ্ধি থেকে পরশ বুদ্ধি হতে হবে। গঙ্গাস্নান করে পবিত্র হবে না। যদি হতে, তাহলে তোমরা এখানে থাকতেই না। কিন্তু আইরন এজ-এ সবাইকে আসতেই হয়। তাই প্রথমে সকাল-সকাল উঠে এই চিন্তন করতে হবে। বলা হয় না – হে আমার মন প্রভাতে রামকে স্মরণ করো (রাম সিমর প্রভাত মোরে মন)। আত্মা বলে – হে আমার বুদ্ধি এখন বাবাকে স্মরণ করো। বুদ্ধির যোগ বাবার সাথে লাগিয়ে রাখতে হবে। এখন যে যত বেশী যোগ যুক্ত হয়ে থাকবে ততই পাথর থেকে পরশ বুদ্ধি হতে থাকবে। পরশ বুদ্ধির বানান একমাত্র বাবা’ই। বলেন – প্রতি কল্পে এসে সঙ্গমেই তোমাদেরকে সৃষ্টি করি। এক সেকেন্ডের কথা তাই না! যে রকম ডাক্তাররা এমন ওষুধ দেয় যে ফোঁড়া ভিতরেই শেষ হয়ে যায়। বাবা বলেন তোমাদেরকে মুখে কিছু বলতে হবে না। হাত-পা দিয়েও কিছু করতে হবে না, কেবল বুদ্ধির দ্বারা স্মরণ করতে হবে। কল্প পূর্বেও তোমরা স্মরণ করেছিলে, যার দ্বারা বিকর্ম দগ্ধ হয়েছিল। এইরকমভাবেই তোমাদেরকে বুঝিয়েছিলাম, এখন পুনরায় বোঝাচ্ছি। এখন তোমাদেরকে বাবার স্মরণে থেকে পরশ বুদ্ধি হতে হবে। বাবা বলছেন যে আমি তোমাদের পতিত-পাবন বাবা কল্প-কল্পের সঙ্গমে আসি শ্রীমৎ প্রদান করতে। হে আমার মিষ্টি প্রিয় বাচ্চারা, এই আত্মা শুনছে এই অর্গান্স দ্বারা। এই হলো ব্রহ্মা মুখ, গোমুখ বলে তাই না? এই গরু পশু নয়, গরু হল মাতা! এই গোমুখের দ্বারা আমি জ্ঞান শোনাই। মন্দিরে আবার সেই গোমুখ দিয়ে দিয়েছে। তার মুখ থেকে জল প্রবাহিত হয়। সেটাকেই মনে করে গোমুখ। গঙ্গার জল মনে করে। এখন তোমরা জেনে গেছো যে এই জ্ঞান বাবা এঁনার দ্বারা প্রদান করেন। তাই ইনি হলেন গোমাতা তাই না। ইনি হলেন বড়মা। এঁনার কোনও মা নেই। সাকার মাম্মারও ইনি হলেন মা তাইনা। তোমরা সবাই হলে গোমাতা। তোমাদের মুখ থেকে এই জ্ঞান বর্ষণ হচ্ছে। এছাড়া জলের নদী তো সব জায়গাতেই থাকে। সেই গঙ্গা পতিত-পাবনী হতে পারেনা। গঙ্গার উপরেও মন্দির আছে, যেখানে দেবতাদের মূর্তিও আছে। এই দেবতাদের মধ্যে তো জ্ঞান নেই। জ্ঞান তোমাদের প্রাপ্ত হয়, যার দ্বারা তোমরা দেবতা তৈরি হও। দেবতাদেরকে জ্ঞানী বলা যায় না। বিষ্ণুকে অলংকার দিয়ে দেয় বাস্তবে হল তোমাদের ব্রাহ্মণদের অলংকার। বাচ্চারা তোমাদের এই স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে হবে, এতে হিংসার কোনও কথা নেই। এইসব হলো জ্ঞানের কথা। জ্ঞানের শঙ্খ বাজাতে হবে আর চক্রকে স্মরণ করতে হবে। এটা হল স্বদর্শন চক্র, তারা আবার চরকা রেখে দিয়েছে। কমল ফুল সমান পবিত্রও তোমাদেরকে এখানেই হতে হবে। গদাও হলো জ্ঞানের, যার দ্বারা মায়ার উপরে বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে। সুতরাং এইসব হল তোমাদের অলংকার।

বাচ্চারা তোমরা জানো যে এটা হলো নরক, স্বর্গ ওই দিকে । আমরা সঙ্গমে আছি। একদিকে ময়লা জল অন্যদিকে ভালো জল। এই দুয়ের সঙ্গম হয়, যেটা গিয়ে সবাই দেখে। ইনি হলেন জ্ঞানসাগর পরম পিতা পরমাত্মা আর তোমরা হলে ময়লা নদী। বাবা বসে নিজের সমান পবিত্র বানাচ্ছেন। বাবাকে স্মরণ কর আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাও, এখানে কৃপা ইত্যাদির কোনও কথা নেই। টিচারকে কখনো বলবে কি যে মাস্টারমশাই কৃপা করুন তো আমরা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারি। টিচার বলবেন পড়ো। বাবা তো বলেন যে আমি তো সকলকে একই রকম পড়াই। তোমরা বলো পতিত-পাবন এসো, এসে আমাদেরকে পাবন বানাও। তোমরা হলে এই ড্রামার অ্যাক্টর, আর ড্রামার আদি মধ্য অন্ত, ক্রিয়েটার ডাইরেক্টরকে জানো না? তোমাদের তাে হলো পাথর বুদ্ধি। এখন বাচ্চারা, তোমরা বাবাকে জানার কারণে পরশ বুদ্ধি হয়ে যাচ্ছো। বাবা বলেন সকালে কেবল আধঘন্টা পৌনে একঘন্টা বসে এই বিচারসাগর মন্থন করো। পয়েন্ট তো তোমাদেরকে অনেক শোনাই। তারা তো ১৮ অধ্যায় বসে বানিয়ে দিয়েছে। ভক্তি মার্গে ড্রামা অনুসারে পুনরায় শাস্ত্র ইত্যাদি হবে। এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে পুরুষার্থ করতে হবে। অমৃত বেলায় উঠে নিজের সাথে কথা বলতে হবে। এখন আমাদেরকে বাবাকে স্মরণ করে পবিত্র হতে হবে। মালার দানা হতে হবে। বাবাকে স্মরণ করলে পবিত্র হবে, যত পবিত্র হবে আর অন্যদেরকে পবিত্র বানাবে ততই খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। এই অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান অন্যদেরকেও করাতে হবে। ধনী ব্যক্তিরা দান পূণ্য করে থাকে তাই না। তোমরা হলে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দাতা। এক একটি রত্ন লক্ষ টাকা মূল্যের। তোমরা যত পবিত্র হবে – ২১ জন্মের জন্য মালামাল হয়ে যাবে। তোমরা যখন পরশবুদ্ধি ছিলে তখন সুখ শান্তি সম্পত্তি সব ছিল। এখন পাথর বুদ্ধি হওয়ার কারণে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন বাবা বলছেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে সকালে ওঠার অভ্যাস করো। সেই সময়টি হল খুব ভালো। অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতে মানুষ ঘোরতর পাপ করতে থাকে। এখন তোমাদেরকে পবিত্র হতে হবে। তোমরা ১০০ শতাংশ নির্বিকারী ছিলে। এখন আত্মাতে খাদ পড়ে গেছে, সেটাকে বের হবে – যোগ ভাট্টির দ্বারা, যোগ অগ্নির দ্বারা। এই জ্ঞান আর যোগ, যা বাবা বোঝান, তার বিনাশ হয় না। কেউ অল্প একটু শুনলেই প্রজাতে এসে যাবে। বাবা তো বলেন যে বাচ্চারা সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করো কল্প-পূর্বের মতো। সেই রাজা, সেই প্রজা ইত্যাদি হবে। অজ্ঞান কালেও দান পুণ্য করলে তো রাজ পরিবারে জন্ম হত। কেউ আবার কর্ম অনুসারে গরিবের ঘরে গিয়ে জন্ম নেয়। বাবা বসে কর্ম বিকর্ম অকর্মের গতি বোঝাচ্ছেন। সত্য যুগে কর্ম অকর্ম হয়ে যায় কেননা মায়াই থাকে না। এটা হল রাবণ রাজ্য। সেটা হল রাম রাজ্য। এখন রাবণ রাজ্যের বিনাশ হয়ে সত্যযুগের স্থাপনা হচ্ছে। বাবা তো খুব সুন্দর পদ্ধতিতে বোঝাচ্ছেন। কন্যাদেরকে ভালোভাবে বোঝাতে হবে, কারণ তারা হল বন্ধন মুক্ত। কন্যাদের উপার্জন মাতা পিতা গ্রহণ করে না। মা বাবা কন্যাদেরকে পূজা করে। কন্যা যখন বিকারী হয়ে যায় তখন সকলের সামনে গিয়ে মাথা নত করে। যদিও কন্যাও দেবতাদের সামনে মাথা নত করে কেননা জন্ম তো পতিত মা বাবার দ্বারাই নিয়েছে তাই না। দেবতারা তো হলেনই পাবন। এখন তোমরা বুঝতে পারছো যে আমরাই সেই দেবতা ছিলাম। ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে পুনরায় পতিত হয়ে গেছি, নিচের দিকে নেমে এসেছি। এখন আমাদেরকে পুনরায় শ্রীমতে চলতে হবে, তাহলে পুনরায় কোনও পাপ কর্ম আর হবে না। পাপাত্মাদের অন্ন ভিতরে যাবে না। সতর্ক করে তো দিতেই হয় তাই না! না হলে তো সেই খাবারের প্রভাব পড়ে যায়। কিন্তু কোথাও কোথাও পরিস্থিতি অনুসারে দেখতে হয়। কর্মের হিসাব-নিকাশ আছে, আলাদা খাবার বানাতে দেয় না। আচ্ছা বাবাকে স্মরণ করো, কিছু করার না থাকলে বাবাকে স্মরণ করে খাও। ভুলে গেলে তো তোমাদের উপর সেই খাবারের প্রভাব এসে যাবে। বাবাকে স্মরণ করলে বাবার নিকটে এসে যাবে, এখন তো সম্মুখে বসে আছো। বাবা ডায়রেক্ট বোঝাচ্ছেন, হে বাচ্চারা, হে বাচ্চারা বলে বাবা কথা বলছেন। তো বাবাকে স্মরণ করতে হবে, তারপর করো বা না করো সেটা তোমাদের ইচ্ছা। যে করবে সে পাবে। এটা হল সোজা কথা।

এটা তো বুঝে গেছো যে – এটা হল হাসপাতাল। হেল্থ, ওয়েল্থের ইউনিভার্সিটিও। এখানে কেবল তিন পা পৃথিবী চাই। ব্যস্। অসীম জগতের বাবাকে দেখো কিভাবে পড়াচ্ছেন। তিনি কতই না নিরহংকারী বাবা। পতিত শরীর, পতিত দুনিয়াতে বসে বাচ্চাদের জন্য কতো পরিশ্রম করছেন! বাচ্চারা পুনরায় তোমরা নিজের উত্তরাধিকার গ্রহণ করো। আমি সাক্ষী হয়ে দেখি যে কে কে ভালো পুরুষার্থ করছে। এর জন্য কেবল তিন পা পৃথিবী চাই। কলকাতাতে সেন্টার রয়েছে, কতো মানুষের কল্যাণ হচ্ছে, যারা নিজেদের মধ্যে মিলেমিশে সেন্টার পরিচালনা করে তাদেরও পদ প্রাপ্ত হয়। ক্লাস করানোর মতো ঘর চাই, ব্যস্, যাতে সবাই বসে ক্লাস করতে পারে । আমাদেরকে তো গোল্ডেন এজ-এ যেতে হবে। স্মরণ ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই। বাবা বলেন, বাচ্চারা নিজের আর অন্যদের কল্যাণ করতে হবে। তোমরা এই হসপিটাল খোলো। এখানে তোমাদের অনেকের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে। মানুষ কলেজ খোলে অন্যদের জন্য। নিজে তো পড়ে না। পরের জন্মে অনেক বিদ্যা লাভ হয়। বাবা বলেন, গরীব হও অথবা ধনী, তিন পা পৃথিবীর মতো জায়গাটুকুর যদি ব্যবস্থা হয়, যেখানে বসে জ্ঞান আর যোগ শেখানো যাবে, পাথর থেকে পরশ বানাবে।লোকে বলে যে এখানে এলে সবাইকে ভাই বোন বানিয়ে দেয়, বিষের উত্তরাধিকার থেকে ছাড়িয়ে দেয় । তাহলে দুনিয়া কীভাবে চলবে। এটা তো বাচ্চারা তোমরা জানো যে সেখানকার দুনিয়া কোনো ভোগ বলের দ্বারা হবে না। সেখানে তো যোগবলের দ্বারা তারা বাচ্চার জন্ম হয় । এখন তোমরা সেই নতুন বিশ্বের মালিক তৈরি হচ্ছো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সকালে ওঠা অভ্যাস তৈরী করতে হবে। সকাল-সকাল উঠে বিচার সাগর মন্থন অবশ্যই করতে হবে। আধঘন্টা পৌনে এক ঘন্টা অন্তত বসে নিজের সাথে কথা বলতে হবে। বুদ্ধিকে জ্ঞানের দ্বারা ভরপুর করতে হবে।

২ ) অনেকের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য তিন পা পৃথিবীর উপর কলেজ বা হসপিটাল খুলে দিতে হবে। বাবার সমান নিরহঙ্কারী হয়ে সেবা করতে হবে।

বরদানঃ-

জ্ঞানে নবীনত্বের অর্থ হল, বুঝদার হয়ে চলতে হবে অর্থাৎ নিজের মধ্যে যাকিছু দুর্বলতা আছে সেগুলিকে সমাপ্ত করতে হবে। যোগের প্রয়োগে নতুনত্ব অর্থাৎ তার পার্সেন্টেজকে বৃদ্ধি করতে হবে। এইরকমই চারটি সাবজেক্টেই নিজের প্রগতিতে নতুনত্ব, বিধিতে নতুনত্ব, প্রয়োগে নতুনত্ব, সেবাতে নতুনত্ব, অন্যদেরকে সহযোগী বানাতে বা পার্সেন্টেজ বৃদ্ধিতে নতুনত্বের অনুভব করা মানে তীব্র পুরুষার্থী হওয়া। এর দ্বারাই সমীপতার অনুভব করবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top