31 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 30, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বিশাল বুদ্ধি হয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওপিনিয়ন (মতামত) নিয়ে অনেক আত্মাদের কল্যাণ করো, ওনাদের থেকে হল ইত্যাদি নিয়ে খুব প্রদর্শনী করো"

প্রশ্নঃ --

এখন তোমাদের কোন্ স্মৃতি এসেছে যার সুমিরণ করলে কখনো দুঃখী হবে না ?

উত্তরঃ -:-

এখন স্মৃতি এসেছে আমরা পূজ্য রাজন ছিলাম এখন ভিখারী হয়েছি। পুনরায় আমাদেরকে বাবা রাও (রাজা) বানাচ্ছেন। বাবা আমাদেরকে সমগ্র বিশ্বের সমাচার শুনিয়ে থাকেন। আমরা ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফিকে জেনে গেছি। এই সব স্মৃতি গুলিকে সুমিরণ করতে থাকো, তাহলে কখনোই নিজেকে দুঃখী মনে করবে না। সদা খুশীতে থাকবে।

গান:-

নয়নহীনকে পথ দেখাও প্রভু..

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি রুহানী বাচ্চারা গীত শুনেছে। বাচ্চারা বোঝে যে, বাবার সাথে মিলিত হওয়া বা অবিনাশী উত্তরাধিকার নেওয়া খুবই সহজ। গাওয়াও হয়, বাবার কাছ থেকে এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তির অধিকার পাওয়া যায়। জীবনমুক্তি মানে সুখ-শান্তি-সম্পত্তি ইত্যাদির বর্সা। জীবনমুক্তি আর জীবনবন্ধ এই দুটো হল আলাদা দুটো শব্দ। বাচ্চারা জানে যে এই সময় ভক্তি মার্গ আর রাবণ রাজ্যের কারণে সবাই জীবনবন্ধতে রয়েছে। বাবা এসে বন্ধন থেকে মুক্ত করেন, উত্তরাধিকার প্রদান করেন। যেমন বাচ্চা জন্মালো আর মা – বাবা, আত্মীয় – স্বজন সবাই বুঝে গেল যে, উত্তরাধিকারী জন্মেছে। এই রকম বুঝে যাওয়াটা যেমন সহজ, এটাও তেমন সহজ। বাচ্চারা বলে – বাবা, পূর্ব কল্পের মতো তুমি আমাদের সাথে মিলিত হয়েছো। তোমার কাছ থেকেই সহজ উত্তরাধিকার পাওয়ার পথ পেয়েছি। এটা তো প্রত্যেকে জানে যে, নতুন সৃষ্টির রচয়িতা হলেন স্বয়ং ভগবান । তিনি আমাদেরকে বিভ্রান্তির হাত থেকে বাঁচান। কাল ভক্তি করতাম এখন বাবার কাছ থেকে সহজ জ্ঞান আর রাজযোগের রাস্তা পেয়েছি। বাচ্চারা নিজেদের অনুভব শোনায়, আমরা বি. কে. দের কাছ থেকে শুনেছি যে, বাবা হলেন দু’জন। তোমরা বাচ্চারা ছাড়া কেউই নিজের মুখে উচ্চারণ করতে পারবে না যে, আমাদের দু’জন বাবা। তোমাদের প্রতিটি কথা হল ওয়ান্ডারফুল। এখন তোমাদের এ’সব স্মৃতিতে আসতে থাকে, যারা এখানকার হবে, সাথে সাথে তাদের স্মৃতি আসতে থাকবে। হ্যাঁ যাদের স্মৃতিতে এসেছে এমন কাউকে কাউকেও মায়া কখনো কখনো জোরদার থাপ্পড় লাগিয়ে বিস্মৃতি ঘটিয়ে দেয়। এতে বাচ্চাদেরকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। স্মৃতি তো বাবা এনে দিয়েছেন। পবিত্রতার কঙ্কনও সম্পূর্ণ রূপে বাঁধতে হবে। রাখী বন্ধনের রহস্য কী, সেটা তো তোমরা এখন জানো। কে এই প্রতিজ্ঞা করিয়েছে। কাম হল মহাশত্রু। বাবা বলেন – আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করো যে, কখনোই পতিত হবো না। আর আমাকে যদি স্মরণ করতে থাকো তবে অর্ধ কল্পের পাপ জ্বলে ভস্ম হয়ে যাবে। বাবা গ্যারান্টি দিচ্ছেন । কিন্তু এটা তো বাচ্চারা বোঝেও – বাব গ্যারান্টি করেন, এটা তো ঠিক কথাই। স্বর্ণকারও বা গ্যারান্টি কেন করবে যে, আমরা পুরানো গহনাকে নতুন বানিয়ে দেবো !তাদের তো কাজই হল এটাই। আগুনে দিলে সেটা খাঁটি সোনা হয়েই যাবে। তাই বাবা বোঝাচ্ছেন – আত্মাতেও খাঁদ পড়েছে। কীভাবে সতো রজো তমো’তে আসে – এটা খুবই সহজ। চিত্রও এই কারণে বানানো হয়েছে যে, এর ওপরে সহজে বোঝাতে পারে। ইউনিভার্সিটি, কলেজ ইত্যাদিতেও তো নক্সা বা অনেক রকমের ম্যাপ থাকে। তোমাদেরও নক্সা রয়েছে । তোমরা খুব ভালো ভাবে কাউকে বোঝাতে পারো। জ্ঞান সাগর পতিত-পাবন বাবা’ই এসে রাস্তা বলে দেন। আর কেউই পতিতকে পবিত্র বানাতে পারে না। নয়নহীন দুঃখী মানুষ। তোমরা বাচ্চারা জানো যে, প্রথম দুই যুগে দুঃখ থাকে না । না ভক্তি হয়। সেটা হলই স্বর্গ। ভারতের এই সময়ের মানুষ আর ভারতের প্রাচীন সময়ের মানুষের মধ্যে অনেক কনট্রাস্ট রয়েছে। কিন্তু সে’কথা কেউই বুঝতে পারে না। কতো পূজা হতে থাকে। যে যত বিত্তবান সে দেবী দেবতার মূর্তিতে ততো দামিদামি সব গহনা পরায় । বাবার নিজেরই এই অভিজ্ঞতা রয়েছে। বম্বেতে লক্ষ্মী-নারায়ণের যে মন্দির রয়েছে তার ট্রাস্টি লক্ষ্মী-নারায়ণের জন্য হীরের হারও বানিয়েছিল। বাবার তো সেই ট্রাস্টির নামও মনে আছে। প্রথমে শিব বাবার মন্দির বানায়, তাকে খুব সুন্দর ভাবে সাজায়, এরপর দেবতাদের বানায়, লক্ষ্মী-নারায়ণ ইত্যাদির মূর্তিকেও কতো কতো গহনায় সাজালো মানুষ। সেই সময় তাহলে মানুষের কাছে কতো ধন ছিল ! মহম্মদ গজনী উটের পিঠে চাপিয়ে চাপিয়ে এখান থেকে নিয়ে গেছে ! ভারতে কতো অগাধ ধন ছিল। এখন তোমরা যথার্থ ভাবে এ’সব বুঝতে পারো। আমাদের ভারত কী ছিল ! আমাদের ভারতে কুবেরের ধন ছিল। মানুষ হীরে জহরতের মন্দির বানাও। এখন এ’ সব জিনিস নেই। সব লুঠ করে নিয়ে গেছে। এখন তো কী হাল হয়ে দাঁড়িয়েছে !

তোমরাই পূজ্য রাজন ছিলে, তারপর তোমরাই ৮৪ জন্ম নিয়ে একেবারে ভিখারী হয়ে গেছো। এই রকম কথা বারে বারেই মনে করা উচিত। তাহলে কখনোই তোমরা নিজেদেরকে দুঃখী মনে করবে না। মনে মনে সুমিরণ করতে থাকবে, আমরা বাবার কাছ থেকে কী প্রাপ্ত করছি ! বাবা এসে আমাদেরকে সমগ্র বিশ্বের সমাচার শুনিয়ে থাকেন। এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি কেউই জানে না। তোমরা জানো যে, প্রথমে এক ধর্ম, এক রাজ্য, একটিই মত, এক ভাষা ছিল। সবাই সুখী ছিল। তারপর নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়া শুরু হয় আর ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যেতে থাকে। প্রথমে এইরকম ছিল না। সেখানে কোনও প্রকারেরই দুঃখ ছিল না। অসুখের নামটুকুও ছিল না। তার নামই হল স্বর্গ। তোমাদের এখন নিজেদের সেই স্মৃতি এসেছে। বরাবর প্রতি কল্পে আমরা বিস্মৃত হয়ে যাই, তারপর স্মৃতিতে আসে। প্রথমেই যে ভুলটি হয়েছে, সেটি হল রচয়িতা আর রচনাকে ভুলে গেছে। এখন তোমরা আদি মধ্য অন্তকে জানো। সত্যযুগেও এই নলেজ থাকবে না, তাহলে পরম্পরা কীভাবে চলতে পারে ? সেই সময় মুখ্য তো রাজারাই হয়ে থাকে। ঋষি – মুনি সেখানে থাকে নাকি ! তারা আসে দ্বাপরে। ঋষি মুনিদের খাদ্যাভ্যাসও রাজাদের সাথে মেলে। রাজারা তাদের তত্ত্বাবধান করতেন, কেননা তারাও তো সন্ন্যাস করতেন। প্রাচীন ভারতের প্রাচীন রাজযোগ প্রসিদ্ধ। ঋষি – মুনিদেরকে প্রাচীন বলা যাবে না, তারা তো দ্বাপরেই আসে। ঋষি মুনিরা রাজার তত্ত্বাবধানেই চলতেন। তারা বলেন, আমরা রচয়িতা আর রচনাকে জানি না। বাবা বলেন – স্বয়ং রাজারাও তা জানতেন না। এই দুনিয়াতে কেউই এই নলেজকে জানে না। এখন তোমরা বাচ্চারা বোধ সম্পন্ন হয়েছো। লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দির যারা নির্মাণ করেন তোমরা তাদেরকে লিখতে পারো। এতো লাখ লাখ টাকা খরচ করে মন্দির বানিয়েছেন, কিন্তু তাদের জীবন কাহিনীকে কি আপনি জানেন ? তারা রাজত্ব কীভাবে পেয়েছিলেন আর তারপর তারা কোথায় চলে গেল ? এখন তারা কোথায়, এই সকল রহস্য আমরা আপনাকে বলতে পারি। এই রকম ভাবে তাদেরকে লিখতে পারো। তোমরা বাচ্চারা তো প্রত্যেকের জীবন কাহিনীকে জেনে গেছো, তাহলে লিখতে পারবে না কেন ! আমাদেরকে একটু টাইম দিলে আমরা এক একজনের জীবন কাহিনী বলতে পারি। শিবের মন্দির যারা বানায়, তাদেরকেও তোমরা লিখতে পারো। বেনারসে শিবের মন্দির কতো বড় ! সেখানেও ট্রাস্টিরা থাকে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে বোঝানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বুঝে গেলে তাদের বক্তব্য অনেক বেশী ছড়িয়ে পড়বে। গরিবরা সাথে সাথে শোনে। বিশিষ্ট জনেদেরই সহায়তা নিতে হবে। এই সব বিশিষ্ট মানুষদের ওপিনিয়নও লিখিয়ে নেবে, কারণ তাদের আওয়াজও সাহায্য করে। বাস্তবে তারা ততখানি আওয়াজ করেন না (ছড়িয়ে দেন না), যতটা হওয়া উচিত। তোমরা তো প্রেসিডেন্টকেও বুঝিয়ে থাকো। তারাও বলেন ভালো ভালো। চিফ মিনিস্টার, গভর্নর প্রমুখরা ওপেনিং করেন – তারা লেখেন এই বি. কে. তো খুব ভালো ভাবে ঈশ্বরের সাথে মিলনের সহজ পথের কথা বলছেন। কিন্তু ঈশ্বর কী বস্তু, এ সব তারা কিছুই বোঝে না। কেবল সেই সময় বলে দেয় খুব ভালো পথ। শান্তি পাওয়ার জন্য খুব ভালো মার্গ। কিন্তু নিজেরা কিছুই বোঝে না।

বাবা বড় বড় বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে বোঝানোর জন্যও বলেন। বড় বড় মানুষজনের সাথে কথা বলে বড় বড় হল নাও। বলো, আমরা সবাই মানব কল্যাণের জন্য এই প্রদর্শনী স্থায়ী ভাবে করতে চাইছি, তার অ্যাডভার্টাইসমেন্টের জন্য হলের প্রয়োজন। এই রকম ৫০ বা ১০০টা হল নিয়ে নাও। ভারত তো এত বড় দেশ ! এক একটি শহরে ১০ – ১২ টা করে হল নিয়ে নাও। পেপারেও দিয়ে দাও যে, এই এই হল গুলিতে প্রদর্শনী হচ্ছে । যারা বুঝতে চায়, এসে বুঝতে পারে। তাহলে কতো জনের কল্যাণ হয়ে যাবে ! বাচ্চাদেরকে অনেক বড় বিশাল বুদ্ধির হয়ে উঠতে হবে। বাচ্চাদেরকে তো সার্ভিস করা উচিত, তাই না ? বাবা সব বাচ্চাদেরকে বলেন প্রদর্শনী খুব জোরদার ভাবে করো। বাবা তার জন্য তোমাদেরকে তৈরী করাচ্ছেন। বাচ্চাদেরকে চেষ্টা করতেহবে। এ’সব হল বোঝার ব্যাপার। ভগবান আসেন প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা প্রজার রচনা করেন। তাহলে অবশ্যই কতো কতো ব্রাহ্মণ রচনা করেছিলেন ! এখন আবার রচনা করছেন। কতো কতো সংখ্যায় ব্রাহ্মণ – ব্রাহ্মণী রয়েছে ! বাবা এই ব্রাহ্মণ ধর্ম রচনা করেন সঙ্গম যুগে। তোমরা প্র্যাক্টিক্যালে এখন দেখছোও আর বুঝতেও পারছো। এই সব কথা কোনো শাস্ত্রে নেই। তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো যে, বাবা আসেনই তখন, যখন পতিত দুনিয়াকে পবিত্র হতে হয়। তোমরা এও জানো যে, পরমাত্মা প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারাই রচনা রচিত করেন। ব্রহ্মাকে তো সূক্ষ্মলোকে রয়েছে বলে মনে করে। এখন তোমরা বুঝতে পারো যে প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো এখানে রয়েছেন। তোমরা সূক্ষ্মলোকে যাও। পবিত্র হয়ে তারপর ফরিস্তা হয়ে যাও, সাক্ষাৎকার করে থাকো তোমরা। বাচ্চারা এসে জানায় যে, ওখানে মুভি চলে। ওটা হলই মুভী ওয়ার্ল্ড, তোমরা মুভী বায়স্কোপও দেখেছো। এখন প্র্যাক্টিক্যালে তোমরা সব কিছুকে জেনে গেছো। মূল লোক হল সাইলেন্স ওয়ার্ল্ড, ওখানে আত্মারা থাকে। সূক্ষ্মলোকে সূক্ষ্ম শরীরও রয়েছে । তাহলে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু ভাষাও থাকবে। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, আমরা আত্মাদের স্থান হল শান্তিধাম, তারপরে হল সূক্ষ্মলোক। সেখানে ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শংকর থাকে। পিত্রালয় আর শ্বশুরালয় হয় না ? এখানে এই দুটোই হল পিত্রালয়। বাপদাদা দু’জনে পরিশ্রম করেন বাচ্চাদেরকে সুন্দর সুন্দর ফুল বানানোর জন্য। মুসলিমরাও বলে গার্ডেন অফ আল্লাহ। করাচীতে এক পাঠান ছিল – সে সামনে এসে দাঁড়াতো। দেখতে দেখতে পড়ে যেত। জিজ্ঞাসা করলে বলতো আমি খোদার বাগিচাতে গেছিলাম, খোদা আমাকে ফুল দিলেন। ওনার তো কোনো জ্ঞান নেই। এখন তোমরা জানো যে বাগিচা কাকে বলে। এটা হল কাঁটার জঙ্গল আর ওটা হল ফুলের বাগিচা। তোমাদের বুদ্ধিতে সমস্ত রহস্য রয়েছে । সত্যযুগ কী, কলিযুগ কী। তোমাদের অনেক খুশী হওয়ার কথা। সমস্ত চক্র তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে । বিস্তার তো এর অনেক রয়েছে। তোমাদের বুদ্ধিতে কতো শর্টে সে’সব রয়েছে । তোমরা বাচ্চারা রচয়িতা বাবার দ্বারা রচয়িতা আর রচনাকে জেনেছো। ব্রহ্মাকে রচয়িতা বলা যাবে না। রচয়িতা হলেন একজনই – সব মহিমা (বলিহারী) হল সেই এক এরই। প্রথমে হল ব্রহ্মার দ্বারা রচনা, তারপরে হল কৃষ্ণের। ব্রহ্মা তো আছে, ব্রাহ্মণও অবশ্যই চাই। পান্ডবদেরকে ব্রাহ্মণ বলা হবে না। ব্রহ্মার রচিত ব্রাহ্মণ চাই। এ হল রুহানী যজ্ঞ, একে স্পীরিচুয়াল নলেজ বলা হয়। রুহ অর্থাৎ আত্মাকে সেই বাবাই জ্ঞান প্রদান করবেন। তোমরা জানো যে, আমাদেরকে কোনো মানুষ পড়ায় না। সব আত্মাদেরকে বাবা পড়ান। বলাও হয়ে থাকে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা। কৃষ্ণ কি কখনো বলবে নাকি। সে তো সম্ভবই নয়। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা কে করান ? কৃষ্ণ ? না, পরমপিতা পরমাত্মা। বিষ্ণুর দ্বারা পালন হয় । ব্রহ্মা আর বিষ্ণুরই কতখানি পার্ট। ব্রহ্মা মুখবংশাবলিই তারপর গিয়ে বিষ্ণুপুরীতে গিয়ে দেবতা হন। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা। এও বাচ্চাদেরকে বোঝানো হয়েছে। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু হতে এক সেকেন্ড, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা হতে ৮৪ জন্ম লাগে। কতখানি ওয়ান্ডারফুল কথা ! কেউই বুঝতে পারে না। এ’সবই হল বেহদের কথা। বেহদের বাবার কাছ থেকে বেহদের পাঠ পড়ে বেহদের রাজত্ব নিতে হবে। সৃষ্টি চক্রকে জানতে হবে। আত্মাই জানে শরীরের দ্বারা। এই রকম নয় যে, শরীর নলেজ নেয় আত্মার দ্বারা । না। আত্মা নলেজ নেয় । তোমাদের কতখানি খুশী হতে থাকে ! এই আন্তরিক গুপ্ত খুশী থাকা উচিত। পড়াশোনার সংস্কার আত্মার মধ্যে রয়েছে। দুঃখও আত্মারই হয়। বলেও থাকে, আমার আত্মাকে দুঃখ দিও না। বাচ্চারা এখন কতখানি আলোক প্রাপ্ত করছে ! তোমাদের মনে তাই খুশী থাকে। সাগরের থেকে রিফ্রেশ হয়ে মেঘেদেরকে ধারা বর্ষণ করতে হবে। নিজেরা মিলে প্রদর্শনী ইত্যাদি প্রস্তুত করতে সহায়তা করো। আন্তরিক ইচ্ছা থাকা চাই। সার্ভিস, সার্ভিস আর সার্ভিস। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার থেকে প্রাপ্ত হওয়া নলেজের সুমিরণ করে অপার খুশীতে থাকতে হবে । বিশাল বুদ্ধি হয়ে জোরদার ভাবে সার্ভিস করতে হবে।

২ ) বাবার থেকে যে স্মৃতি প্রাপ্ত হয়েছে, তাকে বিম্মৃতিতে নিয়ে যেও না। পবিত্র থাকার যে প্রতিজ্ঞা বাবার কাছে করেছো, তাকে পূরণ করতে হবে ।

বরদানঃ-

সকল ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের জন্ম থেকেই মুকুট, সিংহাসন, তিলক জন্ম সিদ্ধ অধিকার রূপে প্রাপ্ত হয়। সুতরাং এই ভাগ্যের ঝলমলে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে দেখে নিজ ভাগ্য আর ভাগ্য বিধাতার গুণগান গাইতে থাকো তবে গুণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। নিজের দুর্বলতার গুণগান ক’রো না । ভাগ্যের গুণগান গাইতে থাকো, প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকো, তবে সদা প্রসন্নচিত্ত থাকার বরদান প্রাপ্ত হবে। তখন অন্যদেরকেও সহজেই প্রসন্ন করতে পারবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top