30 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

29 September 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন এটা হল রাবণ রাজ্য। পুরানো দুনিয়ার সমাপ্তি হয়ে নতুন দুনিয়া আসছে। সেইজন্য শ্রীমৎ অনুসারে চলে পবিত্র হও, তবে শ্রেষ্ঠ দেবী-দেবতা হবে"

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদেরকে সত্য নারায়ণের কথা শোনান, সেই কথার রহস্য কী ?

উত্তরঃ -:-

তার রহস্য হল – বাদশাহী নেওয়া আর হারিয়ে ফেলা। প্রথম ব্যক্তি (অল্ফ) পরমাত্মাকে পেলো, তাই ব্যবসার গদি ছেড়ে দিল। যিনি বিশ্বের মালিক ছিলেন তিনিই ৮৪ জন্ম নিয়ে রাজত্বকে হারিয়ে ফেলে, তারপর আবার বাবা তাকে রাজত্ব দেন। পতিত থেকে পবিত্র হওয়া, গদি ছেড়ে রাজত্ব নেওয়া – এটাই হল সত্য নারায়ণের কথা, যা বাবা শোনাচ্ছেন।

গান:-

অবশেষে সেই দিন এল আজ…

ওম্ শান্তি । ওম্ শান্তির অর্থ তো আধ্যাত্মিক বাবা বোঝাচ্ছেন । ওম্ মানে হল অহম্ আত্মা আর আমার শরীর আছে । আত্মাকে তো দেখতে পাওয়া যায় না। এটা বুঝতে পারা যায় – আমি হলাম আত্মা, এটা হল আমার শরীর। আত্মাতেই মন – বুদ্ধি রয়েছে। শরীরে বুদ্ধি নেই। আত্মাতেই খারাপ সংস্কার বা ভালো সংস্কার থাকে। মুখ্য হল আত্মা। সেই আত্মাকে কেউ দেখতে পায় না। শরীরকে আত্মা দেখতে পায়, আত্মাকে শরীর দেখতে পায় না। বুঝতে পারে যে, আত্মা বেরিয়ে যায় আর শরীর জড় হয়ে যায় । আত্মাকে দেখা যায় না, শরীরকে দেখা যায়। ঠিক তেমনই আত্মার যে ফাদার, যাকে ও গড ফাদার বলে ডাকে, তাঁকেও দেখতে পাওয়া যায় না। তাঁকে বুঝতে পারা যায়, জানতে পারা যায়। আত্মারা সবাই হল ব্রাদার্স। শরীরে এলে তখন ভাই – বোন বলা হবে। আত্মাদের বাবা হলেন পরমপিতা পরমাত্মা । জৈবিক ভাই – বোন একে অপরকে দেখতে পায়। আত্মাদের বাবা সকলের এক, তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না। বাবা এসেছেন পুরানো দুনিয়াকে নতুন বানাতে। নতুন দুনিয়া সত্যযুগ ছিল, এই পুরানো দুনিয়া হল কলিযুগ। একে এখন বদলাতে হবে। যেমন পুরানো বাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে নতুন বাড়ি বানানো হয়। সেই রকমই এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। সত্যযুগের পরে ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ তারপর সত্যযুগ অবশ্যই আসে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি রিপিট হতে হবে। সত্যযুগে হয়ে থাকে দেবী-দেবতাদের রাজ্য । অর্ধ কল্প চলে সূর্যবংশী আর চন্দ্রবংশী। তাকে বলা হয় লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্বকাল (ডিনায়েস্টি)। তাহলে এটা সহজ হয়ে গেল না ! তারপরে দ্বাপর, কলিযুগে অন্য ধর্ম আসে। তারপর দেবী-দেবতারা

যারা পবিত্র ছিল, তারা অপবিত্র হয়ে যায়। একে বলা হয রাবণ রাজ্য। রাবণকে প্রতি বছর জ্বালায়, তাও সে জ্বলে না । সে হল সকলের বড় শত্রু। সেইজন্য তাকে জ্বালানোর প্রথা চালু রয়েছে। ভারতের নম্বর ওয়ান শত্রু হল রাবণ আর নম্বর ওয়ান বন্ধু সর্বদা সুখ দিতে থাকা ভগবান (খোদা)। খোদাকে দোস্ত বলা হয় না ! এর ওপরে একটা গল্পও আছে খোদা হল দোস্ত। রাবণ হল শত্রু। খোদা দোস্তকে কখনো জ্বালাবে না মানুষ। রাবণ হল শত্রু, সেইজন্য দশ আনন যুক্ত বানিয়ে প্রতি বছর দহন করে। গান্ধীজীও বলতেন আমাদের রাম-রাজ্য চাই। রাম রাজ্যে রয়েছে সুখ, রাবণ রাজ্যে হল দুঃখ। এখন এ’সব কে বসে বোঝাচ্ছে ? পতিত পাবন বাবা, শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা । বাবা সবসময় সঠিকটাই বলেন – বাপদাদা। প্রজাপিতা ব্রহ্মাও তো সকলের হবে, তাকে বলা হয় অ্যাডম। ওঁনাকে গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার বলা হয়। মনুষ্য ষ সৃষ্টিতে তিনি হলেন প্রজাপিতা। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হয়ে ওঠে। দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়ে যায়। এনাকে বলা হয় প্রজাপিতা ব্রহ্মা, মনুষ্য সৃষ্টির মধ্যে সবার বড়। প্রজাপিতা ব্রহ্মার কতো কতো সন্তান। বাবা বলতে থাকেন। ইনি হলেন সাকার বাবা । শিব বাবা হলেন নিরাকার বাবা। গাওয়াও হয়ে থাকে প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন সৃষ্টি রচিত হয়। এটা হল পতিত দুনিয়া, রাবণ রাজ্য। এবার রাবণের আসুরিক দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে, তার জন্য হল এই মহাভারতের যুদ্ধ। তারপর সত্যযুগে এই রাবণকে কেউ দহন করবেই না। রাবণ তো থাকবেই না। রাবণই এই দুঃখের দুনিয়া বানিয়েছে। এমন নয় যে যার কাছে অনেক টাকা পয়সা আছে, বড় বড় বাড়ি গাড়ি আছে, তারা স্বর্গে আছে। বাবা বোঝান যে, যদিওবা কারো কাছে কোটি কোটি টাকা রয়েছে, কিন্তু শান্তি নেই। টাকা পয়সা সবই তো মাটিতে মিশে যাবে। নতুন দুনিয়ায় আবার নতুন নতুন খনি বের হবে, যা দিয়ে নতুন দুনিয়ার প্রাসাদ, মহল সব বানানো হবে। এই পুরানো দুনিয়ার এখন শেষ হতে হবে। সত্যযুগে হল ভাইসলেস সম্পূর্ণ নির্বিকারী । সেখানে যোগবলের দ্বারা সন্তানের জন্ম হয়। বিকার সেখানে হয়ই না। না দেহ-অভিমান, না ক্রোধ, না কাম। ৫ বিকার থাকেই না, সেইজন্য সেখানে কখনোই রাবণকে দহন করতে হয় না। এখানে তো হল রাবণ রাজ্য, সেইজন্যই সবাই আহ্বান করে হে পতিত-পাবন এসো। তিনি তো লিবারেটরও। সকলের দুঃখহর্তা। এখন সবাই রাবণ রাজ্যে রয়েছে। বাবাকে এসে মুক্ত করতে হয়। এখন বাবা বলেন তোমরা পবিত্র হও। এই পতিত দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। যারা শ্রীমৎ অনুসারে চলবে, তারা শ্রেষ্ঠ দেবী-দেবতা হবে। বিনাশ তো হবেই। সব খতম হয়ে যাবে। বাঁচবে তবে কারা ? যারা শ্রীমৎ অনুসারে পবিত্র থাকে, তারাই বাবার মত অনুসারে চলে বিশ্বের বাদশাহীর উত্তরাধিকার পায়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। এখন তো হল রাবণ রাজ্য, যা বিনাশ হয়ে যাবে। সত্যযুগী রাম-রাজ্য স্থাপন হবে। সেই রাম, রাম-সীতার রাম নয়। শাস্ত্রে তো অনেক ফালতু কথা লিখে দিয়েছে। লঙ্কা হল এই সমগ্র দুনিয়া, এতে রাবণের রাজত্ব চলছে। ভারত সোনার পাখী ছিল সত্যযুগে। যখন দ্বিতীয় আর কোনো রাজত্ব ছিল না। বাবা ভারতে এসে পুনরায় ভারতকে সোনার পাখী স্বর্গে পরিণত করছেন। বাকি অন্য যে সকল ধর্ম রয়েছে সব বিনাশ হয়ে যাবে। সমুদ্রও ভয়ঙ্কর উত্তাল হয়ে ওঠবে। বম্বে কী ছিল ? একটা ছোট্ট গ্রাম ছিল। এখন সত্যযুগ স্থাপন হবে, তারপর বম্বে ইত্যাদি কোনো কিছুই থাকবে না। সত্যযুগে জনসংখ্যা খুব কম থাকে। ক্যাপিটাল হবে দিল্লি, যেখানে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব থাকে । দিল্লি সত্যযুগে পরীস্তান ছিল। দিল্লিই ছিল কেন্দ্র স্থান। রাম-রাজ্যেও দিল্লি ক্যাপিটাল । কিন্তু রাম-রাজ্যে হিরে জহরতের মহল ছিল, অগাধ সুখ ছিল। বাবা বলেন তোমরা বিশ্বের রাজত্বকে হারিয়েছো, আমি পুনরায় তোমাদেরকে দিচ্ছি। তোমরা আমার মত অনুসারে চলো। শ্রেষ্ঠ হতে হলে কেবল আমাকেই স্মরণ করো। আর কোনো দেহধারীকে স্মরণ করবে না। নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে, তোমাদের পিতাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে, তোমরা আমার কাছে চলে আসবে। তোমরা আমার গলার মালা হয়ে তারপর বিষ্ণুর গলার মালা হয়ে যাবে। মালাতে আমি উপরে থাকি, তারপর হল যুগল ব্রহ্মা-সরস্বতী। তারাই সত্যযুগে মহারাজা মহারানী হয়। তাদেরই তখন সম্পূর্ণ মালা হয়, নম্বর ক্রমে যারা সিংহাসনে বসে। আমি ভারতকে এই ব্রহ্মা-সরস্বতী আর ব্রাহ্মণদের দ্বারা স্বর্গ বানাই। যারা পরিশ্রম করে পরে তাদেরই স্মরণিকা তৈরী হয়। আত্মাদের থাকার স্থান হল পরমধাম, যাকে ব্রহ্মান্ডও বলা হয়। আমরা সব আত্মারা সেই সুইট হোমে থাকি – বাবার সাথে। সেটা হল শান্তিধাম। মানব চায় – আমরা যাতে মুক্তিধামে যেতে পারি। কিন্তু কেউই ফিরে যেতে পারে না। সবাইকে পার্টে আসতেই হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত বাবা তোমাদেরকে তৈরী করাতে থাকেন। তোমরা তৈরী হয়ে গেলে সেখানে যত আত্মারা থাকে সবাই চলে আসবে, তারপর এখানকার সমাপ্তি। তোমরা নতুন দুনিয়াতে গিয়ে রাজত্ব করবে। তারপর নম্বর অনুসারে চক্র চলতে থাকবে। গীতও তো শুনলে তোমরা না – অবশেষে সেই দিন এল আজ। ভক্তি মার্গে ধাক্কা খেতে থাকে। বাবা হলেন জ্ঞান সূর্য । জ্ঞান সূর্য প্রকট হলেন অজ্ঞান অন্ধকার বিনাশ…। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান রয়েছে । তোমরা জানো যে, ভারতবাসী এখন নরকবাসী, এরপর স্বর্গবাসী হবো। বাকি এত সব আত্মারা শান্তিধামে চলে যাবে। বোঝাতে খুব অল্পই হবে, অল্ফ হল বাবা, বে হল বাদশাহী। অল্ফ এর দ্বারা বাদশাহী প্রাপ্ত হয়ে যায় । গদাই ( বিনাশী সম্পদ) এর আর প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়। তার কাহিনী বাবা বসে বোঝাচ্ছেন।সেটাই হল সত্যিকারের সত্য-নারায়ণের কথা। বাকি সব হল দন্ত কথা। বাবা-ই নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য জ্ঞান শোনাচ্ছেন । হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি আছে না ! লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব কবে শুরু হয়েছে, কবে পর্যন্ত চলেছে। তাহলে সেটা কথাই হল, তাই না ! যারা বিশ্বে রাজত্ব করতেন, তারা ৮৪ জন্ম নিয়ে একেবারেই তমোপ্রধান হয়ে গেছো।

এখন বাবা বলেন – আমি সেই রাজ্য পুনরায় স্থাপন করি। তোমরা কীকরে পতিত থেকে পবিত্র, পবিত্র থেকে পতিত হয়ে যাও – সেই সব হিস্ট্রি জিওগ্রাফি বোঝাই। সবার প্রথমে সূর্যবংশীর রাজত্ব, তারপর চন্দ্রবংশীদের… এর পরে অন্যরা বৌদ্ধ, ইসলাম, খ্রিস্টান সব আসে। তখন এই দেবী-দেবতা ধর্ম যেটা ছিল সেটাই লুপ্ত হয়ে গেল । পুনরায় ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি রিপিট হবে। শাস্ত্রে ব্রহ্মার আয়ু ১০০ বছর দেখানো হয়েছে। এ যে ব্রহ্মা, যার মধ্যে বাবা বসে অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন, তার শরীরও ত্যাগ হবে। আত্মাদেরকে বসে, যিনি আত্মাদের পিতা, তিনিই এ’সব শোনান, তিনিই হলেন পতিত পাবন। মানুষ মানুষকে পবিত্র বানাতে পারবে না । যে নিজেই মুক্ত হতে পারে না, সে অন্যদেরকে কীভাবে মুক্ত কীভাবে করবে ? সে তো ভক্তি শেখানোর গুরু সবাই। কেউ বলবে অমুকের ভক্তি করো, কেউ বলবে শাস্ত্র শোনো। অনেক অনেক মত মতান্তর রয়েছে, সেইজন্যই সবাই অবুঝ হয়ে গেছে। এখন বাবা এসে বুঝদার বানাচ্ছেন । এই লক্ষ্মী-নারায়ণ, বুঝদার, বিশ্বের মালিক ছিলেন না ! এখন কতখানি কাঙাল হয়ে গেছে ! তারপর শিব বাবা এসে নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী বানান। বাবা কতো ভাবে ভাবে বোঝাতে থাকেন যাতে এখানে সবার ভাগ্য জেগে ওঠে। সবাই যে পতিত, দুঃখী। সবাই ত্রাহী ত্রাহী করে বিনাশ হয়ে যাবে। সেইজন্য বাবা বলেন ত্রাহী ত্রাহী করবার পূর্বে বেহদের বাবার কাছ থেকে কিছুটা বর্সা নিয়ে নাও। এই যে দুনিয়াতে যা কিছু দেখছো সব শেষ হয়ে যাবে। ফল অফ্ ভারত (ভারতের পতন) আর রাইজ অফ্ ভারত (ভারতের উত্থান)। এটা হল ভারতেরই খেলা। রাইজ হবে সত্যযুগে। এখন কলিযুগে ফল হতে হবে। এ সব হল রাবণ রাজ্যের আড়ম্বর। এখন এর বিনাশ হবে। ফল অফ ওয়ার্ল্ড, রাইজ অফ ওয়ার্ল্ড। সত্যযুগে কারা কারা রাজত্ব করতেন, সে’সব বাবা এখন বসে বোঝাচ্ছেন। রাইজ অফ্ ভারত, দেবতাদের রাজ্য। ফল অফ্ ভারত রাবণের রাজ্য। এখন নতুন দুনিয়ার নির্মাণ হচ্ছে। পুরানো দুনিয়ার অবসান হয়ে যাবে । তার পূর্বে তোমরা পড়ছো বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য। কতখানি সহজ। এ হল মানব থেকে দেবতা হওয়ার পঠন-পাঠন। সন্ন্যাসীদের হলই নিবৃত্তি মার্গ। সেই ধর্মই আলাদা। তারা তো ঘর গৃহস্থকে ছেড়ে চলে যায়। তাদের হল দেহের সন্ন্যাস। তোমাদের এই পুরানো দুনিয়ার সন্ন্যাস করে তারপর এখানে আর আসতে হবে না। এটাও খুব ভালো ভাবে বুঝতে হবে, কোন্ কোন্ ধর্ম কখন কখন আসে। দ্বাপরের পরেই আরও অনেক ধর্ম আসে। আগে সুখ ভোগ করে তারপর দুঃখ। এই সম্পূর্ণ চক্রকে বুদ্ধিতে বসাতে হয়। যখন থেকে তোমরা চক্রতে আসো, মহারাজা মহারানী হও। কেবল অল্ফ আর বে’কে বোঝাতে হবে ।

বাবা কাউকেই বিদেশে যেতে মানা করেন না। এমনিতেই তো সকলেই চায় যে আমার মৃত্যু যেন নিজের দেশেই হয়। এখন বিনাশ তো হবেই। এতো হাঙ্গামা শুরু হয়ে যাবে যে বিদেশ থেকে তখন ফিরতে পারবে না। সেইজন্য বাবা বোঝাচ্ছেন যে, ভারত ভূমি হল সব থেকে উত্তম, যেখানে বাবা এসে অবতার নেন। শিব জয়ন্তীও পালন করা হয়। কেবল কৃষ্ণের নাম দিয়ে দেওয়ার ফলে সব মহিমাই নষ্ট হয়ে গেছে। সকল মানবই এখানে এসে অবতার নেয়। গড ফাদারই এসে লিবারেট করেন। তাই এমন বাবাকে নমন করা উচিত। ওঁনার জয়ন্তী পালন করা উচিত। কিন্তু কৃষ্ণের নাম দিয়ে দেওয়ার ফলে সমস্ত ভ্যালু নষ্ট করে দিয়েছে। নাহলে তো ভারত সব থেকে উচ্চ তীর্থ ছিল। সেই পিতা এখানেই এসে সকলকে পবিত্র বানান, এটা তো হল তবে সব চেয়ে বড় তীর্থ। সেই বাবাই এখানে এসে সবাইকে পবিত্র বানান, তাহলে তো এটাই সবচেয়ে বড় তীর্থ হয়ে গেল, তাই না ! সবাইকে দূর্গতি থেকে মুক্ত করে সদ্গতি প্রদান করেন। এই ড্রামা রচিত হয়ে রয়েছে । এখন তোমরা আত্মারা জানো, আমাদের বাবা তাঁর এই শরীরের দ্বারা এই রহস্যকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আমরা আত্মারা এই শরীরের দ্বারা শুনি। আত্ম-অভিমানী হতে হবে। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে আত্মার মরচে দূর হয়ে যাবে আর পবিত্র হয়ে তোমরা বাবার কাছে চলে যাবে। যত বেশী স্মরণ করবে, ততই পবিত্র হবে। অন্যদেরকেও নিজ সম বানালে অনেকের আশীর্বাদ পাবে। উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। সেইজন্য গাওয়া হয়েছে যে, এক সেকেন্ডে জীবন্মুক্তি। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার গলার মালা হয় বিষ্ণুর গলায় গাঁথা হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ সতোপ্রধান হতে হবে। এক বাবার মতেই চলতে হবে।

২ ) এমনভাবে সেবা করতে হবে যাতে অনেক আত্মাদের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় । ত্রাহী ত্রাহী শুরু হয়ে যাওয়ার পূর্বে বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নিয়ে নিতে হবে।

বরদানঃ-

যখন কেউ সিংহাসনে বসে, তখন রাজতিলক আর রাজমুকুটই তার চিহ্ন হয়। এই রকমই যে হৃদ্-সিংহাসনাসীন হয়, তার ললাটে সর্বদা অবিনাশী আত্মার স্থিতর তিলক দূর থেকেই জাজ্ব্যল্যমান হবে। সকল আত্মাদের কল্যাণের শুভ ভাবনা তার নয়ন থেকে মুখ থেকে দেখতে পাওয়া যাবে। তার প্রতিটি সংকল্প, বোল আর কর্ম বাবার সমান হয়ে থাকে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top