30 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 29, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন তোমাদের সকল শুদ্ধ কামনাগুলিকে পূরণ করতে, রাবণ অশুদ্ধ কামনা পূরণ করে আর বাবা শুদ্ধ কামনা পূরণ করেন"

প্রশ্নঃ --

যারা বাবার শ্রীমতের অবমাননা (উলঙ্ঘন) করে — তাদের অন্তিমে কি গতি হবে ?

উত্তরঃ -:-

শ্রীমতের উলঙ্ঘনকারীদের মায়ার ভুত শেষে ‘রাম নামই সত্য….. করে ঘরে নিয়ে যাবে। তারপর কঠিন সাজাভোগ করতে হবে। শ্রীমতে যদি না চলে তবে মরবে। ধর্মরাজ পুরোপুরি হিসেব নেয়, সেইজন্য বাবা বাচ্চাদের ভালো মত (শ্রীমৎ) দেন। বাচ্চারা, মায়ার অশুভ মত থেকে সতর্ক থাকো। এমন যেন না হয় যে বাবার হয়ে গিয়ে তারপরেও কোনো বিকর্ম হয়ে যায় আর শতগুণ দন্ডভোগ করতে হয়। শ্রীমতে না চলা, পড়া ছেড়ে দেওয়াই হলো নিজের প্রতি অমঙ্গল, অকৃপা করা।

গান:-

ওম নমঃ শিবায়ঃ…

ওম্ শান্তি । এ হলো পরমপিতা পরমাত্মার মহিমা যা ভক্তরা কীর্তন করে থাকে। বলেও যে — হে ভগবান, হে শিববাবা, এ’কথা কে বলেছে ? আত্মা তার নিজের বাবাকে স্মরণ করেছে কারণ আত্মা জানে যে আমাদের লৌকিক বাবাও আছে আর ইনি হলেন পারলৌকিক বাবা, শিববাবা। তিনি আসেনও ভারতে আর একবারই অবতরণ করেন। গায়নও করে — হে পতিত-পাবন এসো, ভ্রষ্টাচারী পতিতদের শ্রেষ্ঠাচারী পবিত্রে পরিনত করার জন্য। কিন্তু সকলেই নিজেকে পতিত ভ্রষ্টাচারী মনে করে না। সকলে একইরকমের হয় না। প্রত্যেকের নিজের-নিজের পদ হয়। প্রত্যেকের কর্মের গতি আলাদা, একটিও অপরের সঙ্গে মিলবে না। বাবা বসে বুঝিয়ে থাকেন – তোমরা বাবাকে না জানার কারণে এত অনাথ পতিত হয়ে গেছো। বলাও হয়ে থাকে যে পতিত-পাবন, সকলের সদ্গতিদাতা হলো তুমি। তাহলে গীতা বা গঙ্গা পতিত-পাবনী কি’করে হলো! তোমাদের এতখানি অবুঝ কে বানিয়েছে ? এই পাঁচ বিকাররূপী রাবণ। এখন সকলে রাবণ-রাজ্য বা শোক বাটিকায় রয়েছে। যিনি প্রধান তার অনেক চিন্তা থাকে। সকলেই দুঃখী থাকে, সেইজন্য আহ্বান করে — হে বাবা, তুমি এসো, আমাদের স্বর্গে নিয়ে চলো। সদা নিরোগী, দীর্ঘায়ু, শান্তি-সম্পন্ন বানাও। বাবা হলো সুখ-শান্তির সাগর, তাই না! মানুষের এই মহিমা হতে পারে না। যদিও মানুষ নিজেকে শিবোহম্ বলে থাকে, কিন্তু সে হলো পতিত। বাবা বোঝান — তোমরা আমাকে সর্বব্যাপী বলে থাকো, এতে তো কোনো কথাই দাঁড়ায় না (সঠিক মানে হয় না)। এতে ভক্তিও চলতে পারে না, কারণ ভক্ত ভগবানকে স্মরণ করে। ভগবান এক, ভক্ত রয়েছে অনেক। যখন সকলেই আমাকে অর্থাৎ ভগবানকে পাথর-মাটির টুকরোয় ঠেলে ফেলে তখন নিজেরাও প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে যায়, তখন আমায় আসতে হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা পবিত্র দুনিয়ার স্থাপনা করাতে। এরা হলো প্রজাপিতা ব্রহ্মার দত্তক নেওয়া(অ্যাডপ্টেড) বাচ্চা, কত অসংখ্য বাচ্চা আছে। এখনও বৃদ্ধি হতেই থাকবে। যে ব্রাহ্মণ হবে সে-ই আবার দেবতা হবে। প্রথমে তোমরা শূদ্র ছিলে। তারপর ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত ব্রাহ্মণ হয়েছো পুনরায় দেবতা, ক্ষত্রিয় হবে। এই চক্র আবর্তিত হতেই থাকে। তা বাবা-ই বুঝিয়ে থাকেন। এ হলো মনুষ্য সৃষ্টি, সূক্ষ্মলোকে থাকে ফরিস্তারা। সেখানে কোনো বৃক্ষ নেই। এই মনুষ্য সৃষ্টি-রূপী বৃক্ষ এখানেই থাকে। সেইজন্য বাবা এসে এই জ্ঞান অমৃতের কলস মাতাদের মাথায় উপর রাখেন। বাস্তবে কোনো অমৃত নয়, এ হলো জ্ঞান। বাবা এসে সহজ রাজযোগের শিক্ষা দেন। বাবা বলেন — আমি তো নিরাকার, প্রথম স্থানাধিকারী মানুষের (ব্রহ্মার) শরীরে প্রবেশ করি। তিনি স্বয়ং বলেন — যখন আমি ব্রহ্মার শরীরে প্রবেশ করবো তখনই তো ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় হবে। ব্রহ্মাকে এখানেই চাই। ওই সূক্ষ্মলোক-নিবাসী হলেন অব্যক্ত ব্রহ্মা। আমি এই ব্যক্তির (সাকার) মধ্যে প্রবেশ করি, এঁনাকে ফরিস্তা করার জন্য। তোমরাও শেষে ফরিস্তা হয়ে যাও। তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের এখানেই পবিত্র হতে হবে। তারপর পবিত্র দুনিয়ায় গিয়ে জন্ম নেবে। তোমরা দুজনে (স্বামী-স্ত্রী) হিংসা করো না। কাম-কাটারী চালানো (কাম-বিকারে যাওয়া) সবচেয়ে বড় হিংসা, যারজন্য মানুষ আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ ভোগ করে। দ্বাপর থেকে কাম-কাটারী চালিয়ে আসছে, তবেই পতন শুরু হয়েছে। মানুষের কাছে ভক্তির নলেজ আছে। বেদ-শাস্ত্র পড়া, ভক্তি করা। গায়নও রয়েছে — জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য। ভক্তির পরেই বাবা সমগ্র দুনিয়ার থেকে বৈরাগ্য এনে দেন কারণ এই দুনিয়ার বিনাশ হবে সেইজন্য এই দেহ-সহ দেহের সকল সম্বন্ধ ইত্যাদিকে ভুলে যাও। একমাত্র আমার সঙ্গেই বুদ্ধিযোগ সংযোগ করো। এই অভ্যাস হয়ে যাক যাতে অন্তিম সময়ে কেউ স্মরণে না আসে। এই পুরোনো দুনিয়াকে ত্যাগ করানো হয়। অসীমের সন্ন্যাস অসীম জগতের বাবা-ই করিয়ে থাকেন। পুনর্জন্ম তো সকলকেই নিতে হবে, নাহলে এত বৃদ্ধি হয় কিভাবে! পার্থিব জগতের সন্ন্যাসীদের মাধ্যমে পবিত্রতার শক্তি ভারতবাসীরা পায়। ভারতের মতন পবিত্র ভূ-খন্ড আর হয় না, এ হলো বাবার জন্ম স্থান। কিন্তু মানুষ জানে না যে বাবা কিভাবে অবতার-রূপ ধারণ করেন, কি করেন। কিছুই জানে না। ব্রহ্মার দিন, ব্রহ্মার রাতও বলা হয়ে থাকে। দিন অর্থাৎ স্বর্গ, রাত অর্থাৎ নরক। তারা জানে না। বাচ্চারা, ব্রহ্মার রাত হলে তোমাদেরও রাত। বাচ্চারা, আবার ব্রহ্মার দিন হলো তোমাদেরও দিন হয়ে যায়। রাবণ-রাজ্যে সকলেই দুর্গতি লাভ করেছে। বাচ্চারা, এখন তোমরা বাবার মাধ্যমে সদ্গতি পাচ্ছো। এইসময় তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান। পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান ব্রহ্মা, ওঁনার তোমরা দত্তক-সন্তান, তাহলে শিববাবার পৌত্র হলে। এই পুত্র ব্রহ্মাও শোনে আর তোমরা পৌত্র-পৌত্রীরাও শুনে থাকো। পুনরায় এখন এই জ্ঞান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই রাজযোগ বাবা-ই এসে শিখিয়ে থাকেন। সন্ন্যাসীদের ভূমিকা আলাদা আর তোমাদের অর্থাৎ আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীদের ভূমিকাই আলাদা। ওখানে দেবতাদের আয়ুও দীর্ঘ হয়। অকাল মৃত্যু হয় না। ওখানে দেবতারা আত্ম-অভিমানী হয়। পরমাত্ম-অভিমানী হয় না। তারপর মায়ার প্রবেশতা হওয়ায় দেহ-অভিমানী হয়ে যায়। এইসময় তোমরা হলে আত্ম-অভিমানী আবার পরমাত্ম-অভিমানীও। এইসময় তোমরা জেনেছো যে আমরা হলাম পরমাত্মার সন্তান, পরমাত্মার অক্যুপেশন(পেশা) জেনেছি। এ হলো শুদ্ধ অভিমান। নিজেকে শিবোহম্’ বা পরমাত্মা বলা, এ হলো অশুদ্ধ অভিমান। এখন তোমরা পরমাত্মার মাধ্যমে নিজেকেও আর পরমাত্মাকেও জেনে গেছো। তোমরা জানো যে পরমাত্মা প্রতি কল্পে আসেন। ভক্তিমার্গেও অল্পকালের সুখ তিনিই দেন। এছাড়া ও’সব হলো জড় চিত্র। তোমরা যে মনোকামনা নিয়ে পূজা ইত্যাদি করো, আমি তোমাদের সেই সমস্ত শুদ্ধ কামনা পূরণ করে থাকি। অশুদ্ধ কামনা পূরণ করে রাবণ। অনেক রিদ্ধি-সিদ্ধি (মায়াজাল) ইত্যাদি শিখে থাকে। ও’টা হলো রাবণ মত। আমি হলামই সুখদাতা। আমি কাউকে দুঃখ দিই না। ওরা বলে — দুঃখ-সুখ ঈশ্বরই দিয়ে থাকেন। এও হলো আমার গায়ে কলঙ্ক লাগিয়ে দেওয়া। যদি এমন হয় তবে ডাকোই বা কেন ? পরমাত্মা কৃপা করো, ক্ষমা করো। জানে যে, ধর্মরাজের দ্বারা অনেক দন্ডভোগ করাবে। বাবা বোঝান — বৎস, ভক্তিমার্গের এ’সমস্ত শাস্ত্রাদির মধ্যে কোনো সারকথা নেই। এখন তোমাদের ভক্তি ভালো লাগে না। এ’রকমও বলো না যে, হে ভগবান। আত্মা মনে-মনে স্মরণ করতে থাকে। ব্যস্, এ হলো অজপাজপ (নিরন্তর জপ করা)। আত্মাদের সঙ্গে নিরাকার বাবা কথা বলেন। আত্মা শোনে। যদি বলে সর্বব্যাপী তবে তো সবই পরমাত্মা হয়ে গেলো। বাবা বলেন, কত প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে গেছে। মানুষের অনেক ভয় থাকে যে গুরু আবার অভিশাপ দিয়ে না দেয়। বাবা হলেন সুখদাতা। বাবা বাচ্চাদের উপর অভিশাপ দেওয়া অথবা অকৃপা করেনই না। বাচ্চারা শ্রীমতে চলে না, পড়ে না তখন নিজের উপরেই অকৃপা করে। বাবা বলেন – বৎস, আমাকে অর্থাৎ বাবাকেই স্মরণ করো। সত্যযুগ-ত্রেতায় ভক্তি করা হয় না। এখন হলো রাত তাই মানুষ ধাক্কা খেতেই থাকে, তবেই তো বলা হয় যে সদ্গুরু ব্যতীত ঘোর অন্ধকার। সদ্গুরু এসেই চক্রের সম্পূর্ণ রহস্য বোঝান যে তোমরা দেবতা ছিলে, তারপর ক্ষত্রিয় হয়েছো, তারপর বৈশ্য, শূদ্র হয়েছো। এভাবেই ৮৪ জন্ম পূর্ণ করেছো। ৮ পুনর্জন্ম সত্যযুগে, ১২ পুনর্জন্ম ত্রেতায়, তারপর ৬৩ জন্ম দ্বাপর-কলিযুগে। চক্রকে আবর্তিত হতেই হবে। এ’কথা মানুষ জানে না। এই ভারতই বিশ্বের মালিক ছিল তখন আর কোনো ভূখন্ড ছিল না। যখন থেকে অসত্য ভূভাগের সূচনা হয় তখন থেকেই আরো বিভিন্ন ভূখন্ডও তৈরী হতে থাকে। দেখো এখন কত লড়াই-ঝগড়া হয়। এ হলোই অনাথদের (পিতৃহীন) দুনিয়া, বাবাকে জানে না। কান্নাকাটি করতে থাকে.. হে পরমাত্মা…., বাবা বলেন — আমি একবারই আসি, পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করার জন্য। বাপুর(গান্ধীজী) উদ্দেশ্যে মনে করা হতো যে তিনি রাম রাজ্য স্থাপন করেন, ওনাকে প্রচুর অর্থ দান করা হতো। কিন্তু তিনি কোনো পয়সা কখনো নিজের কাজে লাগাতেন না। কিন্তু তবুও রাম-রাজ্য তো হয়নি। ইনি হলেন শিববাবা, ইনি তো দাতা, তাই না! কেবল বোঝান যে বিনাশ তো হবেই, এতে তোমরা পয়সা (ধন) সফল করে নাও। এরকম সেন্টার ইত্যাদি খোলো। বোর্ড লাগিয়ে দাও — অদ্বিতীয় পিতার থেকে এসে সেকেন্ডে স্বর্গের উত্তরাধিকার নিয়ে নাও। বাবা বলেন – আমার স্মরণের দ্বারাই তোমরা পবিত্র হবে। তোমাদের বুদ্ধিতে এই চক্র আবর্তিত হতে থাকা উচিত। ব্রাহ্মণই হলো যজ্ঞের রক্ষক। এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, কৃষ্ণের যজ্ঞ নয়। সত্যযুগে যজ্ঞ হয় না, এ হলো জ্ঞান যজ্ঞ। বাকি সব হলো ভক্তির যজ্ঞ। যজ্ঞে অনেক প্রকারের শাস্ত্রও রাখে। পাঁচমিশালী মোরব্বা বানিয়ে দেয়, একে জ্ঞান-যজ্ঞ বলা যাবে না। বাবা বলেন আমার অর্থাৎ রুদ্রের জ্ঞান যজ্ঞ রচিত হয়েছে। যারা আমার মতে চলবে তারা বড় পুরস্কার পাবে, বিশ্বের বাদশাহী। বাচ্চারা, তোমাদের মুক্তি, জীবনমুক্তির উপহার দিয়ে থাকি। বাবা বলেন, মানুষের জন্য ৮৪ লক্ষ যোনী রাখা হয়েছে, আর আমায় কণায়-কণায় ফেলে দিয়েছে, তবুও আমি হলাম পরোপকারী সেবাধারী। তোমরা রাবণের মতানুসারে আমায় গালি দিয়ে এসেছো। এই ড্রামাও তৈরী হয়েই রয়েছে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের পদে-পদে শ্রীমতানুযায়ী চলতে হবে। বাবা ভালো (সঠিক) মৎ দেবেন, মায়া খারাপ(বেঠিক) মত দেবে, সেইজন্য সতর্ক থাকো। আমার হয়ে তারপর যদি কোনো বিকর্ম করো তবে শতগুণ দন্ডভোগ করতে হবে। আর যোগবলের দ্বারা পুনরায় পবিত্র শরীর লাভ করবে। সন্ন্যাসীরা তো বলে দেয় যে আত্মা অলিপ্ত(যার মধ্যে অপবিত্রতার কোনো দাগ থাকে না), এছাড়া শরীর পতিত হয় তাই গঙ্গা স্নান করে। আরে, আত্মা খাঁটি সোনা না হলে গয়না(শরীর) খাঁটি সোনার হবে কিভাবে? এইসময় ৫ তত্বও তমোপ্রধান হয়ে গেছে।

তোমাদের এই রুহানী গভর্নমেন্ট সবচেয়ে বড়। কিন্তু দেখো তোমরা সেবা করার জন্য পৃথিবীর ৩ পা-ও (মাটি) পাও না, তারপরেও তোমাদের বিশ্বের মালিক বানিয়ে দিই। এমনভাবে বিশ্বের বাদশাহী দিয়ে থাকি যে ওখানে কেউ বিবাদ করতে পারে না। আকাশ, সাগর ইত্যাদি সবকিছুর মালিক হয়ে যাও, কোনো সীমা থাকে না। এখন সম্পূর্ণ কাঙ্গাল হয়ে গেছো। পুনরায় এখন তোমরা বিশ্বের মালিক হতে চলেছো সে’জন্য শ্রীমতানুযায়ী চলতে হবে। শ্রীমতে না চললে এদের মরতে হবে। মায়ার ভূত ‘রাম নাম সত্য….করতে-করতে ঘরে নিয়ে যাবে। অতি কঠিন সাজাভোগ করতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) প্রেম-পূর্বক যজ্ঞের সেবা করে, প্রতিটি মুহূর্তে শ্রীমতানুসারে চলে বাবার থেকে মনের ইচ্ছা অনুযায়ী ফল অর্থাৎ বিশ্বের বাদশাহী নিতে হবে।

২ ) বিনাশ তো হবেই — সেইজন্য নিজের সর্বকিছু সফল করে নিতে হবে। পয়সা থাকলে সেন্টার খুলে অনেকের কল্যাণের নিমিত্ত হতে হবে।

বরদানঃ-

সঙ্গমযুগে বাপদাদার দ্বারা বরদানের যে ভান্ডার (খাজানা) প্রাপ্ত হয়েছে তা যত বাড়িয়ে নিতে চাও তত অন্যান্যদেরও দিতে থাকো। যেমন বাবা মার্সীফুল তেমনই বাবার মতন মার্সীফুল হও, কেবল কথায় নয়, উপরন্তু মন্সা-বৃত্তির মাধ্যমে বায়ুমন্ডলের দ্বারাও আত্মাদের নিজের প্রাপ্ত শক্তিগুলি দান করো। যখন স্বল্পসময়ে সমগ্র বিশ্বের সেবা সম্পন্ন করতে হবে তখন তীব্রগতিতে সেবা করো। নিজেকে যত সেবায় ব্যস্ত করবে তত সহজেই মায়াজীত হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

জীবনের দ্বারা প্রতিটি পদক্ষেপে সেবা দানকারীই হলো প্রকৃত সেবাধারী।

*চোঁ চোঁ-র মোরব্বা :- পাঁচমিশালী মোরব্বা বা আচার। যা অতি মুখরোচক কিন্তু এতে কোনো একটি বস্তুরও স্বাদ পৃথকভাবে পাওয়া যায় না। ঠিক তেমনই ভক্তিমার্গের শাস্ত্র অনেক, রীতি-রেওয়াজও বিবিধ এবং তা চিত্তাকর্ষক কিন্তু এতে জ্ঞানের সার কিছুই পাওয়া যায় না।*

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top