30 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

29 June 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার কাছে যা কিছু প্রতিজ্ঞা করেছো, সেই অনুসারে সম্পূর্ণ ভাবে চলতে হবে, জীবন যায় যাক, তবু ধর্ম না যায় - এটাই হলো সবথেকে উচ্চ উদ্দেশ্য, প্রতিজ্ঞা করে ভুলে গিয়ে উল্টোপাল্টা কাজ করলে তো রেজিস্টার খারাপ হয়ে যাবে”

প্রশ্নঃ --

যাত্রাতে আমি তীব্র গতিতে যাচ্ছি – তার পরখ অথবা লক্ষণগুলি কী রকম হবে ?

উত্তরঃ -:-

যদি যাত্রাতে তীব্র গতিতে যাচ্ছো, তাহলে বুদ্ধিতে স্বদর্শন চক্রের পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে। সর্বদা বাবা আর উত্তরাধিকার ছাড়া আর কিছুই স্মরণে থাকবে না। যথার্থ স্মরণ মানেই হলো এখানকার কোনও কিছুই দৃষ্টি গোচর হবে না। দেখেও যেন দেখবে না। সেই সবকিছু দেখেও বুঝতে হবে যে এইসব মাটিতে মিশে যাবে। এই মহল ইত্যাদি বিনাশ হয়ে যাবে। এইসব কিছুই আমাদের রাজধানীতে ছিল না আর না পুনরায় হবে।

গান:-

মাঝি আমার ভাগ্যের, যেখানে চাও নিয়ে চলো..

ওম্ শান্তি । এই গানের লাইনটি বাস্তবে ভুল। বাবা বলছেন যে, বাচ্চারা আমি এসেছি তোমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কোথায় নিয়ে যাব ? মুক্তি আর জীবন্মুক্তি ধামে। যত উচ্চপদ চাও ততই নাও। এমন নয় যে তিনি যেটা চাইবেন…। চায় তো সবাই যে, পুরুষার্থ করবে। কিন্তু ড্রামা অনুসারে সব পুরুষার্থী তো একই রকম হয় না। এটা তো নিজের উপরই বাচ্চাদেরকে কৃপা করতে হবে। জ্ঞান সাগর তো জ্ঞান আর যোগ শেখানোর জন্য এসেছেন। এটা হলো তাঁর কৃপা। টিচার পড়ান। যোগী যোগ শেখায়। তবে কম-বেশি শিক্ষা গ্রহণ করা তো শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভর করে। তোমরা জানো যে আমরা সবাই সত্যের সঙ্গে বসে আছি, নাকি মিথ্যা সঙ্গে। সত্যের সঙ্গ একটাই, কেননা সৎ হলেনই এক বাবা। সত্যযুগ স্থাপনও তিনি করেন আর সত্যযুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থও তিনি করান। সত্য বাবার একটা শ্লোকও আছে – সত্য বলাে, সত্য হয়ে চলো তবে সত্য খন্ডে যেতে পারবে। শিখ ধর্মাবলম্বীরা বলে যে সৎ শ্রী অকাল। এক তিনিই হলেন সত্য বাবা, সবার থেকে শ্রেষ্ঠ, অকাল মূর্তি। তাঁকে কখনো কাল গ্রাস করতে পারেনা। মানুষকে তো যে কোনো মুহূর্তে কাল গ্রাস করে নেয়। তো তোমরা বাচ্চারা সত্যিকারের সৎসঙ্গে বসে আছো। ভারত, যেটা এখন মিথ্যা খন্ড হয়ে গেছে, তাকে সত্য খন্ড বানাবেন একমাত্র বাবা-ই । দেবী-দেবতারা সবাই হলো তাঁর সন্তান । এখান থেকে দেবতারা পূণ্য আত্মাভাবের উত্তরাধিকার নিয়ে যায়। এখানে তো মিথ্যাই মিথ্যা। গভর্মেন্ট যে প্রতিজ্ঞা করায়, সেটাও হলো মিথ্যা। বলে যে আমি ভগবানের নামে প্রতিজ্ঞা করছি, সত্য কথা বলব। কিন্তু এটা বলাতে মানুষের ভয়ভীতি থাকেনা। এর থেকে তো এটা বললে ভাল হত যে আমি আমার নিজের সন্তানের নামে প্রতিজ্ঞা করছি, তখন মনে ভয় থাকবে, দুঃখ হবে, কেননা বোঝে যে ঈশ্বর আমাকে সন্তান দিয়েছেন। তো ঈশ্বরের পরিবর্তে আমি বাচ্চার নামে প্রতিজ্ঞা করে মিথ্যা বললে যদি বাচ্চা মারা যায়… তাই তখন ভয়ে ভয়ে থাকবে। স্ত্রী স্বামীর নামে কখনোই প্রতিজ্ঞা করে না। স্বামী, স্ত্রীর নামে সাথে সাথে প্রতিজ্ঞা করে ফেলে। মনে করে যে একটা স্ত্রী মারা গেলে তো দ্বিতীয় বিবাহ করবে। মানুষ মাত্রই যেটাই প্রতিজ্ঞা করে সে সবই হলো মিথ্যা। প্রথমে তো গডকে ফাদার মনে করতে হবে। না হলে তো বাবার প্রতি ভালোবাসার নেশা চড়বে না।

বাচ্চারা তোমরা এটাও জানো যে সৎ শ্রী অকাল সেই পিতাকেই বলা যায়। সেই সৎ এর নাম হলো শিব। যদি কেবল রুদ্র বলে তাহলে সবাই বিমর্ষ হয়ে পড়বে। কিন্তু বোঝানোর জন্য বলতে হয়। গীতাতেও রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের কথা আছে, যার দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্বলিত হয়েছে। সেটাও এখানকারই কথা। কৃষ্ণের যজ্ঞের নামই নেই। দুটোর মিশ্রণ করে দিয়েছে। বোঝানো হয়েছে যে সত্যযুগ ত্রেতাতে তো কোনো যজ্ঞ হয়না। যজ্ঞ হয় এক জ্ঞানের। বাকি সব হল মেটেরিয়াল যজ্ঞ। পুঁথি পড়া, পূজা করা – এইসব হল ভক্তিমার্গ। জ্ঞান তো একটাই যেটা সত্য পরমাত্মা আমাদের প্রদান করেন। সব মানুষ ঈশ্বরের নামে প্রতিজ্ঞা করেও মিথ্যা বলতে থাকে, এই জন্যই ভারত কাঙ্গাল হয়ে গেছে। এর মত বড় থেকে বড় মিথ্যা কোথাও নেই। এই নাটক তো পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। এর আরেক নাম হলো ভুল ভুলাইয়া অর্থাৎ বাবাকে ভুলে যাওয়ার ফলে উদ্ভ্রান্ত হওয়া। পুনরায় বাবা এসে উদ্ভ্রান্ত হওয়ার থেকে মুক্তি দেন। এটা হল ড্রামাতে হার-জিতের খেলা। পরিজিত হতে অর্ধেক কল্প লেগে যায়। একদম পুরো মাটিতে মিশে যায়। পুনরায় অর্ধেক কল্প আমাদের জয় বজায় থাকে। এই কথা তোমরা ছাড়া আর কেউই জানবে না। বড়-বড় গীতা পাঠশালা আছে। গীতার জন্য ভারতীয় বিদ্যাভবন তৈরীও করেছে। গীতার নাম তো অনেক প্রসিদ্ধ। গীতাকে বলা হয় সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি। কিন্তু নাম পরিবর্তন করার ফলে কোনও কাজেই আসে না। গীতার নাম তো অত্যন্ত প্রচলিত। বাবা বলেন গীতার ভগবান আমি, শ্রীকৃষ্ণ নয় । এখন হলে সঙ্গম। বাবা হলেন রচয়িতা, যখন স্বর্গ রচনা করেন তখন তো রাধাকৃষ্ণ বা লক্ষ্মী-নারায়ণ আসেন। বাবা এসে স্বর্গের মালিক আমাদেরকেই বানান, জগৎ অম্বা আর জগৎ পিতার দ্বারা। রাজযোগ তো ভগবান ছাড়া আর কেউ শেখাতে পারবে না। জগদম্বা হলেন অত্যন্ত খ্যাতনামা। জ্ঞানের কলসও জগদম্বার উপরেই রাখা হয়েছে। লক্ষ্মী-নারায়ণ বা রাধা কৃষ্ণ তো এখন নেই। কৃষ্ণের সাথে তো রাধাকেও থাকতে হবে। গীতাতে রাধার কিছু বর্ণনা দেয়নি। ভাগবতে আছে। বাবা বলেন যে যারা রাধাকৃষ্ণ ছিলেন তারা এখন ৮৪ তম অন্তিম জন্মে আছে। আমি তাদেরকে আর তাদের রাজধানীকে পুনরায় জাগ্রত করছি। সবাইকে সুন্দর বানাচ্ছি। এটা হল অত্যন্ত গুপ্ত কথা যেটা তোমরাই জানো যে আমরা সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী দৈবী পরিবারের ছিলাম। আমরাই ৮৪ জন্ম ভোগ করেছি। এখন পুনরায় আমরা সত্যযুগে যাবো। গণনা তো সত্য যুগ থেকেই করবে তাইনা। ৮৪ জন্মের চক্রও প্রসিদ্ধ আছে। তোমরা উত্তরাধিকারকে প্রতিমুহূর্তে স্মরণ করতে থাকো তাইনা। এখন ৮৪-র চক্রকে স্মরণ করো। এই চক্রকে স্মরণ করা মানে সমগ্র ওয়াল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফিকে স্মরণ করা। যত স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে থাকবে, ততই বুঝতে পারবে যে সে এই যাত্রায় কতটা তীব্র গতিতে যাচ্ছে।

তোমরা জানো যে এখন হল কাঁটার দুনিয়া। তমোপ্রধান মানুষ ৫ বিকারে ফেঁসে আছে। বাবা বলেন আমিত্ব ভাব ত্যাগ করো কিন্তু ছাড়তে চায় না। এত অসীমের রাজত্ব প্রাপ্ত হচ্ছে তথাপি বলে দেয় যে চিন্তা করে দেখবো। এই বিকার কি এতটাই ভালো লাগে যে বলে দেয় ত্যাগ করার জন্য ভেবে দেখবো। আরে এখন তো প্রতিজ্ঞা করো তাহলে বাবার থেকে সাহায্য প্রাপ্ত হবে। এটা তো আবশ্যক যে প্রতিজ্ঞা করে পুনরায় কুল কলঙ্কিত হয়ে যেও না। শরীর চলে যায় যাক, কিন্তু ধর্ম যেন না যায়। বড় কঠিন এই উদ্দেশ্য। বাবা তো সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা করবেন তাই না। লুজ ছেড়ে দেবেন না। ঠিক আছে একবার অন্তত ক্ষমা করে দেবেন। যদি পুনরায় সেই কাজ করেছ তাহলে মারা পড়বে, এতে রেজিস্টার খারাপ হয়ে যাবে। এই বিকার তো হলো বিষ। জ্ঞান হলো অমৃত, যার দ্বারা মানুষ থেকে দেবতা হয়। তারা তো হলো কুসঙ্গ। শিখ ধর্মাবলম্বীরা সৎ শ্রী অকাল বলে আওয়াজ করে গাইতে থাকে, কেননা সৎ শ্রী অকাল সকলকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু তাঁকে ভুলে গেছে। ভুলে যাওয়াও ড্রামার মধ্যে আছে। জৈন ধর্মের সন্ন্যাস হল অত্যন্ত কঠিন। বাবা বলেন যে আমি তোমাদেরকে সহজ রাজযোগ শেখাচ্ছি। বাবা কোনো রূপ কষ্ট দেন না। এরোপ্লেনে চড়ো, মোটর গাড়িতে চেপে ঘুরে বেড়াও, কিন্তু খাদ্য-পানীয়ের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভোজনের উপর দৃষ্টি দিয়ে তবেই খেতে হবে, কিন্তু বাচ্চারা এটা ভুলে যায়। খাওয়ার সময় তো বাবাকে বা সাজনকে খুশির সাথে স্মরণ করতে হবে। সাজন, আমি তোমার স্মরণে থেকে তোমার সাথে ভোজন স্বীকার করছি। তোমার তো নিজস্ব কোনও শরীর নেই। আমি তোমাকে স্মরণ করতে করতে খাবো আর তুমি তার থেকে স্বাদ আঘ্রাণ করতে থাকবে। এইরকম স্মরণ করতে-করতে অভ্যাস হয়ে যাবে আর খুশির পারদ চড়তেই থাকবে। জ্ঞানের ধারণাও হতে থাকবে। কিছু ঘাটতি থাকলে তো ধারণাও কম হবে। তার তীর বিদ্ধ হবেনা। বাবার সাথে যোগ মানে হল সব কিছু দেখেও এটা বুঝতে হবে যে এই সুন্দর সুন্দর প্রাসাদোপম ঘর বাড়ি সব মাটিতে মিশে যাবে। এইসব আমাদের রাজধানীতে ছিলনা। এখন তো আমাদের রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। সেখানে এইসব কিছুই থাকবে না। নতুন দুনিয়া হবে। এই পুরানো ঝাড় ইত্যাদি কিছুই থাকবে না। সেখানে সব ফার্স্ট ক্লাস জিনিস থাকবে, এত জন্তু-জানোয়ার ইত্যাদিও সব বিনাশ হয়ে যাবে। সেখানে অসুখ-বিসুখ ইত্যাদি কিছুই হবে না। এইসব পরবর্তী সময়ে বেরিয়েছে। সত্যযুগ মানেই হলো স্বর্গ। এখানে তো প্রত্যেক জিনিস দুঃখদায়ী। এই সময় সকলেরই হল আসুরি মত। গভর্মেন্টও চায় যে এমন এডুকেশন হোক যেখানে বাচ্চারা চঞ্চল হবে না। এখন তো অনেক চঞ্চল হয়ে গেছে। পিকেটিং করা (ধর্ণা দেওয়া), অনশন করা ইত্যাদি এইসব হচ্ছে তাইনা। এইসব কে শিখিয়েছে ? নিজেদের শেখানো জিনিসই নিজেদের সামনে আসে। বাবা বলেন বাচ্চারা শান্তিতে থাকো। খঞ্জনী বাজানো, চিৎকার করে মহিমা কীর্তন করা – এইসব হল ভক্তির লক্ষণ। তোমরা সাধনা তো জন্ম-জন্মান্তর ধরে করে আসছে, সাধনা – কথাটা চলে আসছে। কিন্তু সদ্গতি তো কারোরই হয়নি। তোমাদের কাছে চিত্র ইত্যাদি কিম্বা লিটারেচারও যদি না থাকে, তবুও তোমরা মন্দিরে গিয়ে বোঝাতে পারো যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ প্রথমে স্বর্গের মালিক ছিলেন তাই না। তাঁদের অবশ্যই স্বর্গের রচয়িতার থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে। স্বর্গের রচয়িতা তো হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, যিনি বোঝাচ্ছেন। মন্দির যারা নির্মাণ করে তারাও জানেনা। তোমরা বাচ্চারা বোঝাবে যে তাদের তো পরমপিতা পরমাত্মার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে। অবশ্যই কলিযুগের অন্তেই প্রাপ্ত হবে তাইনা। গীতাতে রাজযোগের কথা আছে। অবশ্যই সঙ্গমেই রাজযোগ শিখেছেন নিশ্চই, আর শিখবেন নিশ্চই পরমপিতা পরমাত্মার থেকেই, শ্রীকৃষ্ণ তো হল রচনা, তার দ্বারা তো নয় । রচয়িতা তো হলেন এক বাবা, যাঁকে হেভেনলি গডফাদার বলা হয়। যার খুব ভালো এবং বিশাল বুদ্ধি, সে ভালোভাবে বুঝতেও পারবে আর ধারণাও করতে পারবে। ছোট ছোট বাচ্চারা বড় ব্যক্তিদের সাথে বসে কথা বলে, চিত্রের উপর বোঝাবে, এনাদেরকে কে রচনা করেছেন ? যদি কমন চিত্রও থাকে বা নাও থাকে, ছোট ছোট কন্যার আধো আধো ভাষাতেও বোঝাতে পারবে। ছোট বাচ্চারা যদি হুঁশিয়ার হয়ে যায় তাহলে বলবে যে বলিহারি এই এক বাবার, যিনি একে এইরকম হুঁশিয়ার বানিয়েছেন। বাচ্চি বলবে যে আমি জানি তবেই তো শোনাচ্ছি। অসীম জগতের বাবা এখন রাজযোগ শেখাচ্ছেন।

বাবা বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করো। কোনও দেহধারীকে গুরু মনে ক’রো না। এক সদ্গুরুই উদ্ধার করেন, বাকি সবাই ডুবিয়ে দেয়। এই ভাবে তাদেরকে বলতে থাকলে নাম প্রখ্যাত হয়ে যাবে। কন্যাদের দ্বারাই জ্ঞান বাণ মেরেছে – এইরকম দেখানো হয়েছে তাই না। এমনও নয় যে সবাই এই জ্ঞান বুঝতে পারবে। যে এই ধর্মের হবে সে শীঘ্রই বুঝতে পারবে। বাণপ্রস্থীরা বা যারা মন্দির তৈরি করে তাদেরকে গিয়ে বুঝিয়ে তাদেরকেও ওঠাতে হবে। আমি আপনাদেরকে শিব বাবার বায়োগ্রাফি বলবো। সেকেন্ড নম্বরে হল ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকর। আমি আপনাদের ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি জানাবো যে মানুষ ৮৪ জন্ম কীভাবে নেয়। এটা হল ৮৪-র চক্র। ব্রহ্মা সরস্বতী সকলের কাহিনী বলব। এটা বাচ্চারা তোমরা ছাড়া আর কেউ বোঝাতে পারবেনা। এসো তো তোমাদেরকে বলি লক্ষ্মী-নারায়ণ কীভাবে রাজ্য নিয়েছেন আর কীভাবে হারিয়েছেন। আচ্ছা – এটাও যদি বুঝতে না পারো তাহলে কেবল মন্মনাভব হয়ে যাও। এই রকম বাচ্চাদেরকে গিয়ে সেবা করতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) অন্তরে কোনও ঘাটতি থাকলে তো তাকে চেক করে বের করে দিতে হবে। বাবার কাছে যা প্রতিজ্ঞা করেছো তার উপর অনড় থাকতে হবে।

২ ) ভোজন অত্যন্ত শুদ্ধভাবে দৃষ্টি দিয়ে স্বীকার করতে হবে। বাবা অথবা সাজনের স্মরণে থেকে খুশি মনে ভোজন স্বীকার করতে হবে।

বরদানঃ-

বলা যায় যে – এক দাও হাজার পাও, বিনাশী খাজানা দান করলে কমে যায়, অবিনাশী খাজানা দান করলে বৃদ্ধি হয়। কিন্তু দান সে-ই করতে পারে যে নিজে ভরপুর থাকে। তাই মাস্টার দাতা অর্থাৎ যে স্বয়ং ভরপুর এবং সম্পন্ন থাকে। তার এই নেশা থাকে যে বাবার খাজানাই হল আমার খাজানা। যে আত্মার বাবার প্রতি স্মরণ সত্যিকারের থাকে, তার সকল প্রাপ্তি স্বতঃতই হতে থাকে, প্রার্থনা করা বা নালিশ করার দরকার নেই ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top