30 July 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
29 July 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীরে কোনো মজা নেই, সেইজন্য এর থেকে জীবিত অবস্থায় মরে গিয়ে বাবার হয়ে যাও, প্রকৃত বহ্নিপতঙ্গ হও”
প্রশ্নঃ --
সঙ্গম যুগের ফ্যাশান কোনটি ?
উত্তরঃ -:-
এই সঙ্গম যুগেই তোমরা বাচ্চারা এখানে বসে-বসেই নিজের শ্বশুরালয় বৈকুণ্ঠের ভ্রমণ করে আসো। এই সঙ্গম যুগের এটাই হল ফ্যাশান। সূক্ষ্মবতনের রহস্যও এখনই উন্মোচিত হয়।
প্রশ্নঃ --
কোন্ বিধির দ্বারা দারিদ্র বা দুঃখ গুলিকে সহজেই ভুলে থাকতে পারো ?
উত্তরঃ -:-
অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করো তাহলে দারিদ্র বা দুঃখ সব ভুলে যাবে। গরিব বাচ্চাদের কাছেই বাবা আসেন বিত্তবান বানাতে। গরিব বাচ্চারাই বাবার কোলে স্থান লাভ করে।
গান:-
আসরে জ্বলে উঠলো দীপশিখা….
ওম্ শান্তি । আত্মাদের প্রীতি অনুভব হয় নিজের পারলৌকিক পিতা পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে। বাচ্চারা জানে বাবা আমাদের এখান থেকে নিয়ে যাবেন। কোনো আত্মা দেহ ত্যাগ করে যেতে চাইলে তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কত পরিশ্রম করে। যেমন সাবিত্রী সত্যবানের কাহিনীতে বলা হয়েছে । সেই আত্মাকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য কত উঠে পড়ে লেগেছিল যাতে শরীরে প্রাণ ফিরে আসে। কিন্তু তার মধ্যে জ্ঞানের কথা তো কিছু ছিল না। তোমাদের বুদ্ধিতে জ্ঞান আছে, আমাদের প্রত্যেকের প্রীতিও আছে এক পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে। প্রীতি কেন আছে ? মরবার জন্য। বাবার প্রতি এই প্রীতি তো অত্যন্ত উত্তম। আত্মারা অর্ধেক কল্প ভক্তিমার্গে বিভ্রান্ত হয় যাতে শান্তি ধামে ফিরে যেতে পারে। হয়ো সেটা। বাবাও বলেন অশরীরী হও, মরে যাও। আত্মা দেহ থেকে আলাদা হলেই তো মরে যাওয়া বলে। বাবা বোঝান বাচ্চারা, এই দুনিয়া বা এই বন্ধন থেকে মরে যাও অর্থাৎ আমার আপন হয়ে যাও। এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো দেহে কোনো আনন্দ নেই। এ হল ছিঃ ছিঃ নোংরা দুনিয়া। একেবারেই ঘোর নরক। বাচ্চারা, তোমাদেরকে বলছি তোমরা আমার আপন হয়ে যাও। আমি এসেছি সুখ ধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য, যেখানে দুঃখের নাম চিহ্নটুকুও থাকে না। তাই এই দীপশিখার কাছে খুশী মনে বহ্নি পতঙ্গ হয়ে যাও। বহ্নি পতঙ্গ সানন্দে আসে তাইনা – ছুটে ছুটে আসে। অনেক এমন বহ্নি পতঙ্গ থাকে জ্যোতি প্রজ্বলিত হলে জন্মায়, জ্যোতি নিভে গেলে মরে যায়। দীপাবলীতে অসংখ্য ছোট ছোট সবুজ রঙের পতঙ্গ থাকে। দীপশিখায় সমর্পণ করে। জ্যোতি নিভে গেলে মরে যায় । এখন বাবা হলেন সর্বোচ্চ দীপ শিখা। বাবা বলেন তোমরাও বহ্নি পতঙ্গের মতন বলিদান করো। তোমরা তো হলে চৈতন্য মানব, যা কিছু দেহের বন্ধন রয়েছে, সেসব জীবিত অবস্থাতেই পরিত্যাগ করো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমার সঙ্গে যোগ যুক্ত হও। খুশীতে থাকো তবে এই দেহের বোধ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। আমরা আত্মারা এই দুনিয়াকে ত্যাগ করে নিজের ধামে ফিরে যাই। এই দুনিয়া এখন আর কোনো কাজের নয়, এর প্রতি আসক্তি রেখো না। এই দুনিয়ায় অনেক গরিব মানুষ আছে। গরিবরাই দুঃখী হয়।
বাবা বলেন বাচ্চারা, এখন অশরীরী হও। আমরা আত্মারা সেখানকার, শান্তিধামের অধিবাসী। এখন তো শান্তি ধামে কেউ যেতে পারবে না, যতক্ষণ না পবিত্র হচ্ছে। এই সময়ে সকলের ডানা ভেঙে গেছে। সবচেয়ে বেশি ডানা ভেঙেছে তাদের, যারা নিজেকে ভগবান ভেবে নিয়েছে। অতএব তারা কোথায় নিয়ে যাবে। নিজেরাই যেতে পারবে না তো তোমাদের সদগতি করবে কীভাবে তাই ভগবান বলেন এই সাধুদের উদ্ধার আমাকেই করতে হবে। শুধুমাত্র তারা বোঝে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ কিন্তু শিব ভগবানুবাচ। শিব হলেন অশরীরী। তাই নিশ্চয়ই প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখের দ্বারা বোঝাবেন। মানুষের রচনা প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা হয়। এই কথা তো সবাই স্বীকার করে। কাউকে জিজ্ঞাসা করো তাদের অনুভব হয় যে সঠিকভাবে বাবা বাচ্চাদের রচনা কেন করেন। বাবা রচনা করেন বর্সা প্রদান করার জন্য। ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের রচনা করেন। তোমরা জানো বাবা আমাদের পড়ান, রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করেন স্বর্গের মালিক বানানোর জন্য, বাবা আসেন দুনিয়া পরিবর্তন করার জন্য। নরককে স্বর্গে পরিণত করার জন্য। মনুষ্য সৃষ্টিকে দৈবী সৃষ্টি বানাতে। তিনি ই তো আসবেন সুখ প্রদান করতে, তাইনা। যদিও এখানে মানুষ হল পদ্মপতি, মহল গাড়ি ইত্যাদি আছে, কিন্তু তোমরা যে পড়াশোনা করছো তার দ্বারা তোমরা সর্বোচ্চ পদ প্রাপ্ত করো। দৈহিক জগতের শিক্ষা প্রাপ্ত করে তারা ভাবে আমরা ব্যারিস্টার হই। আমরা আই. এ.এস হই। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমাদেরকে শিববাবা পড়ান বিশ্বের মালিক করার জন্য। এ হল উঁচু থেকে উঁচু পদ, ২১ জন্মের জন্য কখনও রুগী হয় না। অকালে মৃত্যু হয় না। কিন্তু কার ? যে বহ্নিপতঙ্গ বাবাকে আপন করে । যারা বাবার কোলে আশ্রয় নেয়। ধনী মানুষ তো গরিবের কোলে আসবে না। গরিব বাচ্চারা ধনীদের কোলে আসে। এখন তো সবাই গরিব। তোমরা জানো এই মহল গাড়ি ইত্যাদি সব শেষ হয়ে যাবে, মাটিতে মিশে যাবে। আমরাই বিশ্বের মালিক হবো। মালিক ছিলাম, এখন নেই, পুনরায় মালিক হবো। সম্পূর্ণ সৃষ্টির মালিক অন্য কেউ হয় না।
তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হও ২১ জন্মের জন্য। সুখ তো সবার জন্যই আছে। এখানে তো কম আয়ুর মানুষও মরে যায়। অনেকে এমনও হয় যারা রাজার কাছে জন্ম নেওয়ার পরে মারা যায়। রাজত্ব শুধুমাত্র জন্ম নেওয়া পর্যন্ত প্রাপ্ত হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো এখানে আমরা বসে আছি অসীম জগতের পিতার সম্মুখে। আত্মা শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করার জন্য। এখন আত্মারূপী বাচ্চারা জানে আত্মাদের পিতা এসেছেন। পুরানো বন্ধন থেকে মুক্ত করে নতুন সম্বন্ধে যুক্ত করার জন্য। অবশ্যই তোমরা সূক্ষ্মবতন, বৈকুণ্ঠ ইত্যাদিতে যাও, দেখা সাক্ষাৎ করো। তোমাদের অসীম জগতের কনেকশন যুক্ত হয়েছে । কত সুন্দর ফ্যাশান হয়ে গেল এটা। নিজের শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারো। মীরার শ্বশুরবাড়ি তো ছিল বৈকুণ্ঠ, তাই না। সে চাইতো বৈকুণ্ঠে যাই। এটা শ্বশুরবাড়ি নয়। এখানে তো একেবারেই গরিব । তোমাদের কাছে কিছুই নেই। ভারত আমাদের উচ্চ মহান দেশ। সোনার ভারত ছিল, এখন নেই। যখন ছিল সেই মহিমা গায়ন করে। এখন তো সোনা কিরূপ হয়েছে। গহনা ইত্যাদি সব কেড়ে নেয়। তারা লুকিয়ে রাখে, যাতে ডাকাত লুট না করে । সেখানে তো অপরিসীম সোনা থাকবে। নিদর্শনও আছে। সোমনাথের মন্দিরে নিদর্শন আছে। মণি ইত্যাদি মুসলমানরা কবরে গিয়ে লাগিয়েছে। ইংরেজরাও নিয়ে গেছে। নিদর্শন তো আছে। সুতরাং ভারত অনেক ধনী বিত্তশালী ছিল। এখন দেখো ভারতের কি অবস্থা হয়েছে। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো পিতার সন্তান হয়েছো, স্বর্গের মালিক হওয়ার জন্য। বাবা এসেছেন। পূর্বেও এসেছিলেন। শিবরাত্রি উৎসব পালন করে। এখন রাত্রি কৃষ্ণেরও বলা হয়। শিবের রাত্রিও বলা হয়। মাত্র এইটুকু প্রভেদ। এই কথা গুলি এখন তোমরা বাচ্চারা জানো, কৃষ্ণের জন্ম তো দিনে হোক কিম্বা রাতে – তাতে কি আছে ? কৃষ্ণের রাত্রি পালন করা ভুল, রাত্রি হল শিবের। কিন্তু এ হল অসীমের কথা এবং শিব ভগবানুবাচ। তারা শিবকে ভুলে কৃষ্ণের রাত্রি লিখে দিয়েছে। যখন রাত পূর্ণ হবে তখন দিন আরম্ভ হবে। বাবা তো আসেন অসীমের দিন বানাতে। ব্রহ্মার দিন, ব্রহ্মার রাত। ব্রহ্মা এলেন কোথা থেকে ? গর্ভ থেকে জন্ম হয়নি। ব্রহ্মার মাতা পিতা কে ? খুবই বিচিত্র কথা। বাবা অ্যাডপ্ট করেন। এনাকে মা রূপে পরিণত করেন, সন্তান রূপে পরিণত করেন। মা স্বয়ং অ্যাডপ্ট করেন তাই গায়ন করা হয় তুমি মাতা পিতা… আমরা সব আত্মারা আপনার সন্তান। আত্মা পড়াশোনা করে, এই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা শোনে। বাচ্চারা ভুলে যায়। দেহ বোধের অনুভবে এসে যায়। বাবা বোঝান – তোমরা আত্মারা হলে অবিনাশী। শরীর হল বিনাশী। বাবা বুঝিয়েছেন – আমাকে স্মরণ করো। এ হল তোমাদের শেষ জন্ম, যা হল হীরে তুল্য। যারা বাবার আপন হয়, তাদেরই হীরে তুল্য জন্ম হয়। তোমাদের আত্মা দেহ সহকারে পরম পিতা পরমাত্মার হয়েছে। এখন আত্মা হিরের মতন হয় অর্থাৎ খাঁটি সোনায় পরিণত হয় ২৪ ক্যারেট। এখন তো ক্যারেট হীন হয়েছে। এখন বাচ্চারা তোমাদের সম্মুখে বসে শুনলে মধুবনের কথা মনে পড়ে। এখানেই মুরলী বাজে। সে বাবা যেখানেই যান না কেন, কিন্তু এইরকম আনন্দ অনুভব হয় না। কারণ মুরলী শুনে পরে মিত্র আত্মীয়স্বজন ইত্যাদির মায়ার রাজ্যে ফিরে যাও। এখানে তো ভাট্টিতে থাকো। এখানে তো রাজত্ব প্রাপ্তির জন্য পড়াশোনা করছো। এ হল তোমাদের থাকার হোস্টেল। ঘরেরও আবার বাইরেরও অনেকেই এখানে এসে থাকে। এখানে তোমরা স্কুলে বসে আছো। এখানে এলে চাকরি বাকরি ইত্যাদির কোনো কিছুর ব্যাপার থাকে না । নিজেদের মধ্যে চিট চ্যাট করতে থাকে। এক দিকে সম্পূর্ণ দুনিয়া, অন্য দিকে হলে তোমরা।
বাবা বসে বোঝান তোমাদের আত্মাদের প্রীতম একজনই। আত্মা তাঁকেই স্মরণ করে। ভক্তিতে কতো বিভ্রান্ত হয়, নিরাকার বাবার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য কতো কাতর হয়। সত্য যুগে কেউ বিভ্রান্ত হয় না। এখন তো অনেক চিত্র বানিয়েছে, যার যেমন খুশি চিত্র বানিয়েছে। গুরুদের অনেক মান এখন। তারা ভাবে যেমন অন্য গুরুরা আছে এখানেও তেমন গুরু আছেন। যেমন সাধু বাসওয়ানী প্রথমে টিচার ছিল, পরে সাধু হয়েছে। গরিবদের সেবা করেছে। এখন তার কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা আসে। মানুষ ভাবে অন্য আশ্রম গুলি যেমন, এই ব্রহ্মাকুমারীজ আশ্রমও সেইরকম। কিন্তু তোমরা বুঝেছো এখানে স্বয়ং বাবা (শিববাবা) আসেন ব্রহ্মার দেহে। অবশ্যই ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারীরা থাকা উচিত। ব্রহ্মার মুখবংশধর তো চাই তাইনা, যারা রুদ্র যজ্ঞের রচনা করবে। এ হল রুদ্র শিববাবার যজ্ঞ। এখন কেবল এককেই স্মরণ করতে হবে। এখানে তো হল মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হওয়ার বিষয়। এমন কোনো সৎসঙ্গ নেই যেখানে এইরূপ কোনো কথা বলা হয় যে , মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হতে হবে। তোমাদেরই স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। তোমাদের কথা শুনে মানুষ উপহাস করে যে এ কীভাবে সম্ভব। তারপরে যখন পুরোপুরি বুঝতে পারে তখন বলে কথা তো রাইট। নিশ্চয়ই ভগবান হলেন পিতা, তাইনা। পিতার কাছে সম্পত্তির (স্বর্গের) অধিকার (বর্সা) প্রাপ্ত হয়। আমরা বিশ্বের মালিক ছিলাম। এখন দেখো কিরকম অবস্থা হয়েছে। লোকেদেরকে বলো উনি তো হলেন আমাদের পিতা, স্বর্গের রচয়িতা তাহলে তোমরা স্বর্গের মালিক হবে না কেন। নরকে কেন বসে আছো। এখন তো হল রাবণের রাজ্য, সত্যযুগে তো রাবণ থাকে না। অহিংসা পরম ধর্ম। তার নাম বিষ্ণুপুরী। কিন্তু বুঝতে পারে না যে বিষ্ণুপুরী অর্থাৎ স্বর্গ পুরী। তোমরা বাচ্চারা জানো বিষ্ণুপুরীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবা এসে পড়ান। বলেন মামেকম্ স্মরণ করো। পরম পিতা পরমাত্মা এসে ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করের দ্বারা নিজের কর্তব্য পালন করেন। ক্লিয়ার লেখা আছে। বিষ্ণুপুরী বলো বা কৃষ্ণপুরী, একই কথা। লক্ষ্মী-নারায়ণ শৈশবে হল রাধে কৃষ্ণ। প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো হলেন সাকারী তাইনা। সূক্ষ্ম বতনে তো প্রজাপিতা বলা হবে না, তাইনা। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপশন হয় । বাবা আপন করে নেন। কত সহজ এইসব কথা। তোমরা ত্রিমুর্তির চিত্র রাখো নিজেদের গৃহে। তাতে লেখাও যেন থাকে যে, গাওয়াও হয় – ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা। কিন্তু ত্রিমুর্তি ব্রহ্মা বলে দিয়ে শিব পিতাকে লুপ্ত করে দিয়েছে। এখন তোমরা বুঝেছো – উনি হলেন নিরাকার পরম পিতা পরমাত্মা, ইনি হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা। ব্রহ্মাকে দেবতা বলা হয়। দেবতা তখন বলা হবে যখন সম্পূর্ণ ফারিশ্তা স্বরূপে পরিণত হবে। তোমাদের এখন দেবতা বলা হবে না। দেবতারা থাকেন সত্য যুগে। তোমাদের হল দৈবী ধর্ম। ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর দেবতায় নমঃ বলা হয়, ব্রহ্মা পরমাত্মায় নমঃ বলা হয় না। যখন এনাদেরকেই দেবতা বলা হয় তবে নিজেকে পরমাত্মা কেন বলে তারা। সবাই পরমাত্মার রূপ, কীভাবে হবে। এইসবও ড্রামায় নির্ধারিত রয়েছে । তাদের কোনো দোষ নেই। এখন কীভাবে তাদের পথ বলে দেওয়া যায়। ভক্তরা সবাই বিভ্রান্ত হয়ে ভুলে গেছে। বিভিন্ন রকমের পথ দেখাতে থাকে । এখন বাবা বোঝান মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বর্সা (স্বর্গের অধিকার) নিতে হলে ব্রহ্মাকে ছাড়া তো শিববাবার বর্সা প্রাপ্ত হবে না। সবাই সেই এক প্রীতমকে আহ্বান করে। আহবান করে। আমি প্রতি কল্পের এই সঙ্গমে আসি। আমিও হলাম বিন্দু। দেখো তুলনা কীভাবে করছে। কত ছোট্ট আত্মায় অবিনাশী পার্ট নিহিত আছে। এট্আ হল নেচার। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে হৃদয়ের ভালোবাসার প্রীতি এক পিতার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এই দুনিয়া কোনো কাজের নয় তাই এই দুনিয়াকে বুদ্ধি দিয়ে ভুলে যেতে হবে।
২ ) নিজের জীবনকে হীরে তুল্য বানানোর জন্য একমাত্র বাবার ওপরে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্পণ (ফিদা) করতে হবে। আমার তো এক বাবা, দ্বিতীয় নয় কেউ – এই পাঠটি পাকা করতে হবে।
বরদানঃ-
যেমন সময়ের গতি তীব্রবেগে সর্বদা এগিয়ে যায় । সময় কখনও থেমে থাকে না, যদি কেউ তাকে থামাতে চায় তবুও থামে না। সময় তো রচনা, তোমরা রচয়িতা তাই যে কোনো রকমের পরিস্থিতি অথবা সমস্যার পাহাড় এসে যাক না কেন, যারা উড়ন্ত কলায় থাকে তারা কখনও থামবে না। যদি উড়ন্ত কোনো বস্তু লক্ষ্যে না পৌঁছে থেমে যায় তবে তো অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যাবে। তাই তোমরা বাচ্চারাও তীব্র পুরুষার্থী হয়ে উড়তে থাকো, কখনও ক্লান্ত হবে না কখনও থামবে না।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!