30 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 29, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এই পুরানো দুনিয়ায় যে রকমের আশা মানুষের থাকে সেসব আশা তোমরা রাখবে না, কারণ এই দুনিয়ার বিনাশ হবে”

প্রশ্নঃ --

সঙ্গমযুগে কোন্ আশা রাখবে তাহলে সব আশা সদাকালের জন্য পূর্ণ হয়ে যাবে ?

 

উত্তরঃ -:-

আমাদের পবিত্র হয়ে, বাবাকে নিশ্চয়ই স্মরণ করে তাঁর কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করতে হবে – শুধুমাত্র এই আশা থাকা উচিত। এই আশার দ্বারা সদাকালের জন্য সব আশা পূরণ হয়ে যাবে। আয়ুষ্মান ভব, পুত্রবান ভব, ধনবান ভব… সব বরদান প্রাপ্ত হবে। সত্যযুগে সব কামনা পূরণ হয়ে যাবে।

গান:-

তুমি মাতা, তুমিই পিতা..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে পরমপিতা পরমাত্মা এই কথা বোঝাচ্ছেন। তোমরা জানো অসীম জগতের পিতা আমাদেরকে বরদান দিচ্ছেন। তারা তো আশীর্বাদ দেয় – পুত্রবান ভব, আয়ুষ্মান ভব, ধনবান ভব। এখন বাবা তোমাদেরকে বরদান দেন – আয়ুষ্মান ভব। তোমাদের আয়ু বেশি হবে। সেখানে পুত্রও হবে যে সুখ প্রদান করবে। এখানে সন্তানরা তো দুঃখ দেয়। সত্যযুগের সন্তানরা সুখ প্রদানকারী হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো অসীম জগতের পিতা অসীমের সুখের অধিকার প্রদান করছেন। অবশ্যই আমরা আয়ুষ্মান, ধনবানও হবো। এখন কোনোরকমের কামনা বা ইচ্ছা, মনে রাখবে না। তোমাদের সর্ব কামনা সত্যযুগে পূরণ হবে। এই নরকে কোনো কামনা রাখবে না। ধনের কামনাও রাখবে না। অনেক ধন হোক, বড় চাকরী হোক – এইরূপ অতিরিক্ত কামনাও রাখবে না। পেটের ক্ষুধায় একটা কি দুটো রুটিরই তো প্রয়োজন, বেশি লোভ রাখবে না। অতিরিক্ত ধন থাকলেও তো সবই শেষ হয়ে যাবে। বাচ্চারা জানে বাবা আমাদের স্বর্গের মালিক বানিয়ে দেন। এখন বাবা বলেন – দান করলে গ্রহণ দূর হবে। কি দান করতে হবে ? এই ৫ বিকারের দান । এই দান করলে গ্রহের দশা দূর হয়ে যাবে আর তোমরা ১৬ কলা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তোমরা জানো আমাদেরকে সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ…. এখানেই হতে হবে। ৫-টি বিকারের দান দিতে হবে। বাচ্চাদেরকে বাবা বলেন – মিষ্টি বাচ্চারা কোনো আশা রাখবে না, একমাত্র আশা রাখো অসীম জগতের পিতার কাছে অসীমের উত্তরাধিকার নেওয়ার। খুব কম সময় আছে, গায়নও আছে – অনেকটা সময় পেরিয়েছে আর কিছুক্ষণ বাকি। একটু সময় বাকি আছে বিনাশের জন্য, তাই এই পুরানো দুনিয়ার কোনো আশা রাখবে না। শুধু বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। স্মরণের দ্বারা বাচ্চাদেরকে সতোপ্রধান হতে হবে। এই দুনিয়ায় মানুষ যে আশা রাখে সেসব রাখবে না। আশা শুধু রাখবে এক শিববাবার কাছে, তাঁর কাছ থেকে আমরা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করি। কাউকে দুঃখ দেবে না। একে অপরের উপরে কাম কাটারী চালানো – এটাই হল সবচেয়ে বড় দুঃখ, তাই সন্ন্যাসীরা নারীদের থেকে দূরে থাকে। বলে তারা ত্যাগ করেছে। এই সময় রাবণের রাজ্যে সবাই পতিত, সবাই পাপ আত্মা।

এখন সময় খুব কম, তোমরা যদি বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী না চলো তাহলে শ্রেষ্ঠ হবে না। বাচ্চাদেরকে উঁচু থেকে উঁচু স্বরূপ ধারণ করতে হবে, তাই ৫ বিকারের দান করতে হবে। তাহলে গ্রহণ থেকে মুক্ত হতে পারবে। সবার উপরে এখন গ্রহের দশা রয়েছে, সবাই অসুন্দর (শ্যাম বর্ণে) পরিণত হয়েছে। বাবা বলেন – যদি আমার কাছে স্বর্গের অধিকার নিতে চাও তবে পবিত্র হও। দ্বাপর থেকে তোমরা পতিত হতে হতে সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়েছো, তাই তো গান গায় পতিত-পাবন এসো, এসে আমাদের পবিত্র বানাও। অতএব বাবার আদেশ হল – বাচ্চারা, এখন পতিত হবে না, কাম মহাশত্রুকে পরাজিত করো, এর জন্যই তোমরা আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ পেয়েছো। বাবা বলেন – তোমরা স্বর্গে সম্পূর্ণ পবিত্র ছিলে। এখন রাবণের মতানুসারে তোমরা পতিত হয়েছো, তাই তো দেবতাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে তাদের মহিমা বর্ণনা করো যে আপনি সর্বগুণ সম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী আর আমরা হলাম বিকারী। নির্বিকারী হলে সুখই সুখ থাকে। বাবা বলেন – এখন আমি এসেছি, বাচ্চারা তোমাদেরকে নির্বিকারী বানাতে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের সব ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে। নিজের ব্যবসা ইত্যাদি সবই করো। একে অপরকে জ্ঞান অমৃত পান করাও। গায়নও আছে – অমৃত পান না করে বিষ কেন খাও। বাবা বলেন, কোনোরকম কামনা রাখবে না। আমরা স্মরণের যাত্রার দ্বারা সম্পূর্ণ সতোপ্রধান হবো। ৬৩ জন্ম পাপ হয়েছে, সেসব স্মরণের দ্বারা বিনষ্ট হবে। এখন নির্বিকারী হতে হবে। মায়ার ঝড় যতই আসুক কিন্তু পতিত হবে না। মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে। তোমরাই সতোপ্রধান পূজ্য দেবতা ছিলে, তারপরে তোমরাই পূজ্য থেকে পূজারী হও। আমরা নিরোগী সুস্থ ছিলাম, পরে রুগী হয়েছি এখন পুনরায় সুস্থ হচ্ছি। যখন নিরোগী ছিলাম তখন আয়ুও বেশি ছিল। এখন তো দেখো মানুষ বসে বসে মারা যায়। তাই কোনো আশা রাখবে না। এই সব আশা হল নোংরা । কাঁটা থেকে ফুল হওয়ার জন্য একটি মাত্র ফার্স্টক্লাস আশা হল – বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে পুণ্য আত্মা হয়ে যাবে। এই সময়ে সবার উপরে রাহুর দশা লেগেছে। সম্পূর্ণ ভারতের উপরে রাহুর গ্রাস রয়েছে । এখন আবার চাই – বৃহস্পতির দশা। তোমরা জানো এখন আমাদের উপরে বৃহস্পতির দশা চলছে। ভারত স্বর্গ ছিল, তাইনা। সত্যযুগে তোমাদের উপরে বৃহস্পতির দশা ছিল। এই সময় আছে রাহুর দশা। এখন পুনরায় অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে বৃহস্পতির দশা প্রাপ্ত হচ্ছে। বৃহস্পতির দশায় ২১ জন্মের সুখ থাকে। ত্রেতায় থাকে শুক্রের দশা। যে যতখানি স্মরণ করবে, অনেক স্মরণ করলে বৃহস্পতির দশা হবে। এই কথাও বোঝানো হয়েছে এখন সবাইকে ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই বাবাকে স্মরণ করতে থাকো, তবে বিকর্ম বিনষ্ট হবে, তোমরা উড়তে সক্ষম হবে। মায়া তোমাদের পাখা কেটে দিয়েছে। এখন তোমরা ঈশ্বরীয় মত প্রাপ্ত করছো, যার দ্বারা তোমরা সদা সুখী হয়ে যাও। ঈশ্বরীয় মতের দ্বারা তোমরা স্বর্গের মালিক হও। বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করছো। ঈশ্বরীয় মত প্রাপ্ত করছো যে অন্ত সময়ে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যাবে। স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে, পবিত্র হয়ে যাবে। পবিত্র আত্মা স্বর্গের উপযুক্ত হবে। সেখানে তোমাদের শরীর হবে নিরোগী, আয়ুও অনেক বড় হবে। ধনও থাকবে অনেক। সেখানে কাউকে ধর্মের সন্তান বানানো হয় না। বাবা বলেন – আয়ুষ্মান ভব, সম্পতিবান ভব। পুত্র তো একটি অবশ্যই হবে। এই সময় বাবা সবাইকে ধর্মের সন্তান বানিয়েছেন। অতএব সত্যযুগে কোনো ধর্মের সন্তান হয় না। একটি পুত্র একটি কন্যা হয় যোগবলের দ্বারা। জিজ্ঞাসুরা জিজ্ঞাসা করে সেখানে সন্তানের জন্ম কীভাবে হবে ? সেখানে হয় যোগবল। ড্রামাতে তা নির্ধারিত হয়ে আছে। সত্যযুগে সবাই যোগী। কৃষ্ণকে যোগেশ্বর বলা হয়। এমন নয় যে কৃষ্ণ যোগ যুক্ত থাকেন। কৃষ্ণ হলেন সম্পূর্ণ পবিত্র যোগী। ঈশ্বর সবাইকে যোগেশ্বর বানান তাই ভবিষ্যতে যোগী স্বরূপে থাকে। বাবা যোগী বানিয়েছেন। যোগীদের আয়ু বেশি থাকে। ভোগীদের আয়ু কম হয়। ঈশ্বর বাচ্চাদেরকে পবিত্র বানিয়ে যোগ শিখিয়ে দেবতায় পরিণত করেন, তাদেরকেই বলা হয় যোগী। যোগী বা ঋষিরা পবিত্র হয় । তোমাদেরকে বোঝানো হয়েছে যে – তোমরা হলে রাজঋষি। তোমরা রাজযোগের শিক্ষা প্রাপ্ত করছো, রাজার পদ প্রাপ্ত করার জন্য। এই সময় বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এখানে কোনো উল্টো আশা রাখবে না যে সন্তানের জন্ম হোক। তার জন্য তো বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে হবে, কাম কাটারী চালাতে হবে। দেহ-অভিমানী কাম কাটারী চালায়। দেহী-অভিমানী কাম কাটারী চালায় না। বাবা বোঝান পবিত্র হও। তিনি আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন, এখন এই কাম কাটারী চালিও না। পবিত্র হও তাহলে তোমাদের সব দুঃখ দূর হবে। তোমাদেরকে স্বর্গের মালিক করেন। বাবা অনেক সুখ প্রদান করেন। বাবার কাছে তো স্বর্গের সম্পূর্ণ অধিকার নেওয়া উচিত।

বাবা তো হলেন দীনের নাথ (গরিব নিবাজ)। গায়নও আছে সুদামা দুই মুঠো চাল দিয়ে মহল পেয়েছিল। বাবা ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের অধিকার প্রদান করেন। তোমরা এই কথাও বুঝেছো – এখন সবাইকে ফিরে যেতে হবে। শিববাবার স্থাপনার কাজে যে যতখানি সাহায্য করবে। ঘরে ইউনিভার্সিটি বা হসপিটাল খোলো। বোর্ডে লিখে দাও, ভাই ও বোনেরা – ২১ জন্মের জন্য, এভারহেলদি, ওয়েলদি হতে হলে এসে বোঝো। আমরা এক সেকেন্ডে এভারহেলদি, ওয়েলদি হওয়ার পথ বলে দিই। তোমরা হলে সার্জেন, তাইনা। সার্জেন বোর্ড তো অবশ্যই লাগায়, নাহলে মানুষ জানবে কীভাবে। তোমরাও নিজের ঘরের সামনে বোর্ড লাগিয়ে দাও। যে আসবে তাকে দুই পিতার রহস্য বলে দাও। দেহের পিতার কাছে জাগতিক উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছ। এখন অসীম জগতের পিতা বলছেন – মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। প্রজেক্টর, প্রদর্শনীতে সবচেয়ে প্রথমে এই কথা বোঝাও। এই পুরুষার্থের দ্বারা তোমরা এমন হবে। এখন হল সঙ্গম। কলিযুগ থেকে সত্যযুগ হতে হবে। তোমরা ভারতবাসী সতোপ্রধান ছিলে, এখন তমোপ্রধান হয়েছো। এখন বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা স্বর্গের মালিক হবে। শব্দই হল দুটি। ‘অল্ফ’কে স্মরণ করো তাহলে ‘বে’ অর্থাৎ বাদশাহী তোমাদের। এই স্মরণের খুশীতে থাকবে, এই নোংরা দুনিয়ায় কোনো রকমের আশা রাখবে না। এখানে তোমরা পুরুষার্থ করো – জীবিত অবস্থায় মৃতবৎ হওয়ার। তারা তো মৃত্যুর পরে বলে স্বর্গবাসী হয়েছে। তোমরা সবাইকে বলো আমরা স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করি। যাঁর দ্বারা অসীমের সুখ প্রাপ্ত হয়। বাবাকে স্মরণ করলে তোমরা কখনও কান্নাকাটি করবে না। মায়ার ঝড় তুফান আসে, সেই দিকে মনোযোগ দিও না। মায়ার তুফান তো আসবে। এ হল যুদ্ধ। সঙ্কল্প-বিকল্প আসে, তখন অযথা সময় নষ্ট হয়। ঝড় বা তুফান তো চলে যাবে, সদাকাল তো থাকবে না। সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। অন্য সবাইকে ভুলে যাও, এখন সবাই মৃত। নিজেদের মধ্যে এইসব কথা নিয়ে আলোচনা করো। বাবা এখন শুধুমাত্র তোমাকেই স্মরণ করবো। তোমার কাছে স্বর্গের উত্তরাধিকার নেব। টাইম সেট করো – আমরা ৩-৪ টের সময় উঠে বাবাকে স্মরণ করবো। চক্রের কথাও স্মরণ করতে হবে। বাবা আমাদের রচয়িতা ও রচনার নলেজ দিয়েছেন। আমরা এই সময় মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের কথা জানি। আমরা কীভাবে ২১ জন্ম গ্রহণ করি – এই কথা বুদ্ধিতে আছে। এখন আমরা পুনরায় ঘরে অর্থাৎ পরমধামে ফিরে যাই, স্বর্গে এসে আবার পার্ট প্লে করবো। আমরা আত্মা, আত্মাই রাজ্য প্রাপ্ত করে। বাবাকে স্মরণ করলে স্বর্গের অধিকারী হয়। এটা হল রাজযোগ। বাবাকে স্মরণ করে। অসীমের পিতার দ্বারা অনেকবার বিশ্বের মালিক হয়েছি, পরে নরকবাসী হয়েছি। এখন পুনরায় স্বর্গবাসী হই, এক পিতার স্মরণে থেকে। বাবার স্মরণ দ্বারাই পাপ বিনষ্ট হয়ে যাবে। তাই একে বলা হয় যোগ অগ্নি। তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে রাজ ঋষি, ঋষি সদা পবিত্র থাকে, বাবাকে স্মরণ করে এবং রাজত্বের অধিকার প্রাপ্ত করে। এখন বিকারের আশা একদম রাখবে না। এই আশা রাখা খুব নোংরা। এখন তো পারলৌকিক পিতার কাছে উত্তরাধিকার নিতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় থেকেও স্মরণ করতে পারো। বাচ্চারা বাবার প্রিয়। বাবাকে অনেক বাচ্চাদেরকে চিঠি লিখতে হয়। শিববাবা লেখান। তোমরাও চিঠি লেখো – শিববাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মা। আমরা সবাই শিববাবার সন্তান ব্রাদার্স। রূহানী পিতা অর্থাৎ আত্মিক পিতা এসে আমাদেরকে পবিত্র করেন, তাই বলা হয় – পতিত-পাবন। সব আত্মাদের পবিত্র করেন। কাউকে ছাড়েন না, প্রকৃতিও পবিত্র হয়। তোমরা জানো সত্য যুগে প্রকৃতিও পবিত্র থাকবে। এখন শরীরও পতিত, তাই তো গঙ্গায় শরীর শুদ্ধির জন্য যায়, কিন্তু আত্মা তো শুদ্ধ পবিত্র হয় না। সে তো হবে – যোগ অগ্নির দ্বারা। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই কলিযুগী দুনিয়ায় কোনো উল্টো আশা রাখবে না। সম্পূর্ণ সতোপ্রধান হওয়ার জন্য ঈশ্বরীয় মতানুসারে চলতে হবে।

২ ) পবিত্র হয়ে ঘরে ফিরতে হবে, এই একটি আশা রাখবে। অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হবে । মায়ার ঝড় ঝঞ্ঝায় সময় নষ্ট করবে না।

বরদানঃ-

যেমন শরীর ও আত্মার যতক্ষণ পার্ট আছে ততক্ষণ আলাদা হতে পারে না, তেমনই বাবার স্মরণ যেন বুদ্ধি থেকে আলাদা না হয়, সদা বাবার সাথ থাকুক, অন্য কোনো স্মৃতি যেন নিজের দিকে আকৃষ্ট না করে – একেই সহজ ও স্বতঃ যোগী বলা হয়। এমন যোগী প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি সঙ্কল্প, প্রতিটি কথা, প্রতিটি কর্মে সহযোগী হয়। সহযোগী অর্থাৎ যার এক একটি সঙ্কল্পও সহযোগ করবে। এমন যোগী ও সহযোগী শক্তিশালী হয়ে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top