30 April 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

April 29, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা বাবার দ্বারা সম্মুখে পড়াশোনা করছো, তোমাদেরকে সত্যযুগের বাদশাহীর যোগ্য হওয়ার জন্য পবিত্র অবশ্যই হতে হবে”

প্রশ্নঃ --

বাবার কোন্ কর্তব্যকে বাচ্চারা তোমরাই জেনে থাকো ?

উত্তরঃ -:-

তোমরা জানো যে আমাদের বাবা, যেমন বাবাও, টিচারও, সদ্গুরুও । বাবা কল্পের সঙ্গম যুগে আসেন, পুরানো দুনিয়াকে নতুন বানাতে, এক আদি সনাতন ধর্মের স্থাপনা করতে। বাবা এখন আমাদের অর্থাৎ তাঁর বাচ্চাদেরকে মানুষ থেকে দেবতা বানানোর জন্য পড়াচ্ছেন। এই কর্তব্য আমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কেউই জানে না।

গান:-

ভোলানাথের থেকে অনুপম আর কেউ নেই….

ওম্ শান্তি । ওম্ শান্তির অর্থ তো বাচ্চাদেরকে বার বার বোঝানো হয়েছে। ওম্ মানে আমি হলাম আত্মা আর আমার এই হল শরীর। শরীরও বলতে পারে যে এটা হল আমার আত্মা। যেরকম শিব বাবা বলেন যে তোমরা হলে আমার। বাচ্চারা বলে যে বাবা তুমিও আমাদের। সেইরকমই আত্মাও বলে যে আমার শরীর। শরীর বলে – আমার আত্মা। এখন আত্মা জানে যে – আমি হলাম অবিনাশী। আত্মা ছাড়া শরীর কিছুই করতে পারেনা। শরীর তো আছে, বলে – আমার আত্মাকে কষ্ট দিওনা। আমার আত্মা পাপাত্মা বা আমার আত্মা পূণ্য আত্মা। তোমরা জানো যে আমার আত্মা সত্যযুগে পূণ্য আত্মা ছিল। আত্মা নিজেও বলে যে আমি সত্যযুগে সতোপ্রধান অথবা সত্যিকারের সোনা ছিলাম। এখন সোনা নেই, এটা উদাহরণস্বরূপ বলা যায়। আমাদের আত্মা পবিত্র ছিল, গোল্ডেন এজড্ ছিল। এখন তো বলে যে অপবিত্র হয়ে গেছি। দুনিয়ার মানুষ এটা জানে না। তোমরা তো শ্রীমৎ প্রাপ্ত করছো। তোমরা এখন জানো যে আমাদের আত্মা সতোপ্রধান ছিল, এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে। প্রত্যেক জিনিস এইরকমই হয়ে থাকে। বালক-যুবক-বৃদ্ধ… প্রত্যেক জিনিস নতুন থেকে পুরানো অবশ্যই হয়। দুনিয়াও প্রথমে গোল্ডেন এজড্ অর্থাৎ স্বর্ণযুগ সতোপ্রধান ছিল পুনরায় তমোপ্রধান আয়রন এজড্ অর্থাৎ লৌহযুগ হয়ে গেছে, তবেই তো এত দুঃখী হয়ে পড়েছে। সতোপ্রধান মানে সুসংস্কারী দুনিয়া আর তমোপ্রধান মানে কুসংস্কারী দুনিয়া। গানও আছে যে, কুসংস্কারীকে সুসংস্কারী করতে….পুরানো দুনিয়া কুসংস্কারী হয়ে গেছে, কেননা রাবণ রাজ্য আর সবাই হল পতিত। সত্যযুগে সবাই পবিত্র ছিল, তাকে নতুন নির্বিকারী দুনিয়া বলা যায়। এটা হল পুরানো বিকারী দুনিয়া। এখন কলিযুগ হল আয়রন এজড্। এইসব কথা কোনো স্কুল-কলেজে পড়ানো হয় না। ভগবান এসে পড়ান আর রাজযোগ শেখান। গীতাতে লেখা আছে ভগবানুবাচ – শ্রীমৎ ভগবত গীতা। শ্রীমৎ মানে শ্রেষ্ঠ মত। শ্রেষ্ঠ থেকেও শ্রেষ্ঠ উচ্চ থেকে উচ্চতর হলেন ভগবান। তার নাম অ্যাক্যুরেট শিব। রুদ্র জয়ন্তি বা রুদ্র রাত্রি কখনো শোনা যায় না। শিবরাত্রি বলা হয়ে থাকে। শিব তো হলেন নিরাকার। এখন নিরাকারের রাত্রি বা জয়ন্তী কিভাবে পালন করা যায়! কৃষ্ণের জয়ন্তী তো ঠিক আছে। অমুকের সন্তান, তার তিথি তারিখ দেখানো হয়। শিবের জন্য তো কেউই জানেনা যে কবে জন্ম নিয়েছিলেন। এটা তো জানতে হবে, তাই না! এখন তোমাদের এই বোধগম্য হয়েছে যে শ্রীকৃষ্ণ সত্যযুগের আদিতে কিভাবে জন্ম নিয়েছিলেন। তোমরা বলবে যে তার তো ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে। তারাও বলে যে যিশু খ্রীস্টের থেকে তিন হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল। ইসলামীদের আগে চন্দ্রবংশী, তার আগে সূর্যবংশী ছিল। শাস্ত্রতে সত্যযুগের আয়ু লক্ষ বছর দিয়ে দিয়েছে। গীতা হলো মুখ্য। গীতার দ্বারাই দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন হয়েছে। সেটা সত্যযুগ ত্রেতা পর্যন্ত চলবে অর্থাৎ গীতা শাস্ত্রের দ্বারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা, পরম পিতা পরমাত্মা করেছেন। তারপর তো অর্ধেক কল্প না কোনও শাস্ত্র থাকবে, না কোন ধর্ম স্থাপক আসবে। বাবা এসে ব্রাহ্মণদেরকে দেবতা, ক্ষত্রিয় বানাচ্ছেন অর্থাৎ বাবা তিনটি ধর্ম স্থাপন করেন। এটা হলো লিপ ধর্ম বা অধিধর্ম। এর আয়ু অল্প হয়। তো সর্বশাস্ত্রের শিরোমনি গীতা ভগবান গেয়েছেন। বাবা পুনর্জন্মে আসেন না। জন্ম হয়, কিন্তু বাবা বলেন যে, আমি গর্ভে আসি না। আমার পালনা হয়না। সত্যযুগেও যে বাচ্চারা হয়, তারা গর্ভ মহলে থাকে। রাবণ রাজ্যে গর্ভ জেলে আসতে হয়। পাপ, জেলে ভোগ করতে হয়। গর্ভে প্রতিজ্ঞা করে যে, আমি পাপ করব না, কিন্তু এটা হলই পাপাত্মাদের দুনিয়া। বাইরে বেরিয়ে পুনরায় পাপ করতে শুরু করে দেয়। সেখানকার কথা সেখানেই থেকে যায়। এখানেও অনেকে প্রতিজ্ঞা করে, আমি আর পাপ করবো না। এক পরস্পরের উপর কাম কাটারি চালাবো না, কেননা এই বিকার আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দেয়। সত্যযুগে বিষ হয় না। তাই মানুষ আদি-মধ্য-অন্ত ২১ জন্ম দুঃখ ভোগ করে না কেননা সেটা হল রামরাজ্য। তার স্থাপনা এখন বাবা পুনরায় করছেন। সঙ্গমেই স্থাপনা হবে তাই না! যারা যারা ধর্ম স্থাপন করতে আসেন তারা কোনও পাপ কর্ম করেন না। অর্ধেক সময় পূণ্যাত্মা থাকে পুনরায় অর্ধেক সময় পর পাপাত্মা হয়ে যায়। তোমরা সত্য যুগ ত্রেতাতে পুণ্যাত্মা ছিলে, পুনরায় পাপাত্মা হয়ে যাও। সতোপ্রধান আত্মা যখন উপর থেকে আসে তখন সে শাস্তি ভোগ করে না। যীশু খ্রীষ্টের আত্মা ধর্ম স্থাপন করতে এসেছিলেন, তাঁর কোনো শাস্তি হতে পারে না। বলা হয় যে – যিশু খ্রীস্টকে ক্রসের উপর ঝোলানো হয়েছে কিন্তু তাঁর আত্মা কোনও বিকর্ম ইত্যাদি করেনইনি। তিনি যার শরীরে প্রবেশ করেছিলেন তার দুঃখ হয়েছিল। সে সহ্য করেছিল। যেরকম এঁনার মধ্যে বাবা আসেন, তিনি তো হলেনই সতোপ্রধান। দুঃখ কষ্ট এঁনার আত্মার হয়, শিব বাবার হয়না। তিনি তো সর্বদাই সুখ শান্তিতে থাকেন। চির সতোপ্রধান থাকেন। কিন্তু আসেন তো এই পুরানো শরীরেই তাইনা! যেরকম যিশু খ্রীস্টের আত্মা যার শরীরে প্রবেশ করেছিলেন সেই শরীরের দুঃখ হতে পারে, যিশু খ্রীস্টের আত্মা দুঃখ ভোগ করেনি, কেননা সতো, রজো, তমোতে আসতে হয়। নতুন নতুন আত্মারাও তো আসে তাই না! তাদেরকে প্রথমে অবশ্যই সুখ ভোগ করতে হবে, দুঃখ ভোগ করবে না। ল’ তা বলে না। এঁনার মধ্যে বাবা বসে আছেন, কোনো কিছু কষ্ট হলে এঁনার (দাদার) হয়, নাকি শিব বাবার হয়! কিন্তু এই সব কথা তোমরাই জানতে পারো আর কেউ জানতে পারে না।

এইসব রহস্য এখন বাবা বসে বোঝাচ্ছেন। এই সহজ রাজযোগের দ্বারাই স্থাপনা হয়েছিল পুনরায় ভক্তি মার্গে এই কথাই গাওয়া হয়ে থাকে। এই সঙ্গমযুগে যা কিছু হয়, সেটাই গাওয়া হয়ে থাকে। ভক্তিমার্গ শুরু হয় তো পুনরায় শিব বাবার পূজা হয়। প্রথম প্রথম ভক্তি কারা করেন, লক্ষ্মী-নারায়ণ যখন রাজ্য করেছিলেন তখন পূজ্য ছিলেন, পুনরায় বাম মার্গে এলে তখন আবার পূজ্য থেকে পূজারী হয়ে যান। বাবা বোঝাচ্ছেন যে, বাচ্চারা তোমাদেরকে প্রথম প্রথম বুদ্ধিতে এটাই আনতে হবে যে – নিরাকার পরম পিতা পরমাত্মা এই শরীর দ্বারা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। সমগ্র বিশ্বে এইরকম আর কোনও জায়গায় হতে পারে না, যেখানে এইরকমভাবে বোঝানো হয়। বাবা-ই এসে ভারতকে পুনরায় স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। ত্রিমূর্তির নিচে লেখা আছে – “ঈশ্বর পিতার থেকে প্রাপ্ত সার্বভৌম দৈবী সাম্রাজ্য তোমার জন্মসিদ্ধ অধিকার।” শিব বাবা এসে বাচ্চারা তোমাদেরকে স্বর্গের বাদশাহীর উত্তরাধিকার প্রদান করছেন, যোগ্য বানাচ্ছেন। তোমরা জানো যে বাবা আমাদেরকে যোগ্য বানাচ্ছেন, আমরা পতিত ছিলাম, তাই না! পবিত্র হয়ে গেলে পুনরায় এই শরীরই আর থাকবেনা। রাবণের দ্বারা আমরা পতিত হয়ে ছিলাম পুনরায় পরমপিতা পরমাত্মা পবিত্র বানিয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক বানাচ্ছেন। তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর পতিত পাবন। এই নিরাকার বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। সবাই তো একসাথে পড়তে পারবে না। সম্মুখে তোমরা অল্প কয়েকজনই বসে আছো বাকি সব বাচ্চারা জানে যে – এখন শিববাবা ব্রহ্মা শরীরে বসে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনাচ্ছেন। সেটা লিখিত মুরলীর আকারে আসবে। অন্যান্য সৎসঙ্গে এই রকম থোড়াই বুঝতে পারবে! আজকাল টেপ রেকর্ডার মেশিনও বেরিয়ে গেছে, এইজন্য রেকর্ড করে পাঠিয়ে দেয়। তারা বলবে যে অমুক নামের গুরু শোনাচ্ছেন, বুদ্ধিতে মানুষই থাকে। এখানে তো সেরকম কিছু কথা নেই। এখানে তো নিরাকার বাবা হলেন নলেজফুল। মানুষকে নলেজ ফুল বলা যায়না। মানুষ গান গায় – গডফাদার ইজ নলেজফুল, পিসফুল, ব্লিসফুল, তো তার উত্তরাধিকারী তো চাই, তাই না! তাঁর মধ্যে যা গুণ আছে সেগুলো বাচ্চাদেরও প্রাপ্ত হওয়া দরকার, এখন সেসব প্রাপ্ত হচ্ছে। গুণগুলিকে ধারণ করে আমরা এইরকম লক্ষ্মী-নারায়ণ তৈরি হচ্ছি। সবাই তো রাজা রানী হবেনা। গাওয়া হয় যে – রাজা রানী মন্ত্রী… সেখানে মন্ত্রীও থাকবেনা। মহারাজা-মহারানীর মধ্যে শক্তি থাকে। যখন বিকারী হয়ে যায় তখন মন্ত্রী ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। আগে মন্ত্রী ইত্যাদিও ছিল না। সেখানে তো এক রাজা রানীর রাজ্য চলতো। তাদের মন্ত্রীর কি প্রয়োজন, রায় নেওয়ার দরকারই নেই, যখন সে নিজেই মালিক। এই হল ইতিহাস-ভূগোল। কিন্তু প্রথম প্রথম তো উঠতে-বসতে এটাই বুদ্ধিতে আনতে হবে যে, আমাদেরকে বাবা পড়াচ্ছেন, যোগ শেখাচ্ছেন। স্মরণের যাত্রায় থাকতে হবে। এখন নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে, আমরা একদম পতিত হয়ে গিয়েছিলাম কেননা বিকারে চলে গিয়েছিলাম এই জন্য পাপাত্মা বলা হয়ে থাকে। সত্যযুগে পাপাত্মা হয় না। সেখানে সবাই হল পূণ্য আত্মা। সেখানে হল প্রারব্ধ, যার জন্য তোমরা এখন পুরুষার্থ করছ। তোমাদের হল স্মরণের যাত্রা, যাকে ভারতের যোগ বলা হয়। কিন্তু অর্থ তো কিছুই বোঝে না, যোগ অর্থাৎ স্মরণ। যার দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হয়। পুনরায় এই শরীর ছেড়ে ঘরে চলে যাবে, তাকে সুইট হোম বলা হয়। আত্মা বলে যে আমরা সেই শান্তিধামের অধিবাসী। আমরা সেখান থেকে অশরীরী এসেছিলাম। এখানে পার্ট অভিনয় করার জন্য শরীর গ্রহণ করেছি। এটাও বোঝানো হয় যে মায়া – ৫ বিকারকে বলা যায়। এই হলো পাঁচ ভূত। কাম এর ভূত, ক্রোধের ভূত, নম্বর ওয়ান হলো দেহ অভিমানের ভূত।

বাবা বোঝাচ্ছেন যে – সত্যযুগে এই বিকার হয় না, তাকে নির্বিকারী দুনিয়া বলা যায়। বিকারী দুনিয়াকে নির্বিকারী বানানো, এটাতো বাবারই কাজ। তাঁকেই সর্বশক্তিমান জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন বলা যায়। এই সময়ে সবাই ভ্রষ্টাচারের দ্বারা জন্ম নেয়। সত্যযুগেই হল নির্বিকারী দুনিয়া। বাবা বলেন যে এখন তোমাদেরকে বিকারী থেকে নির্বিকারী হতে হবে। বলে যে, এটা ছাড়া বাচ্চা কিভাবে জন্ম হবে। বাবা বোঝাচ্ছেন যে এখন এই হল তোমাদের অন্তিম জন্ম। মৃত্যুলোকই শেষ হয়ে যাবে, তারপর তো বিকারী মানুষই আর থাকবে না, এইজন্য বাবার কাছে পবিত্র হওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বলে যে, বাবা আমরা আপনার থেকে উত্তরাধিকার অবশ্যই গ্রহণ করব। তারা মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করে। ভগবান, যাঁর জন্য প্রতিজ্ঞা করে, তাঁকে তো জানেই না। তিনি কখন কিভাবে আসেন, তাঁর নাম রূপ দেশ কাল কি, কিছুই জানেনা। বাবা এসে নিজের পরিচয় দেন। এখন তোমাদের পরিচয় প্রাপ্ত হয়েছে। দুনিয়াতে কেউই গড্ ফাদারকে জানেনা। আহ্বানও করে, পুজাও করে কিন্তু কর্তব্যকে জানেনা। এখন তোমরা জানো যে পরমপিতা পরমাত্মা হলেন আমাদের বাবা – টিচার এবং সদ্গুরু। এটা, বাবা নিজেই পরিচয় দিয়েছেন যে – আমি হলাম তোমাদের বাবা। আমি এই শরীরে প্রবেশ করেছি। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হয়। কিসের? ব্রাহ্মণদের। পুনরায় তোমরা ব্রাহ্মণেরা পড়াশোনা করে দেবতা হও। আমি এসে তোমাদেরকে শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ বানাই। বাবা বলেন – আমি আসিই কল্পের সঙ্গম যুগে। কল্প ৫ হাজার বছরের হয়। এই সৃষ্টিচক্র তো ঘুরতেই থাকে। আমি আসি পুরানো দুনিয়াকে নতুন তৈরী করতে। পুরানো ধর্মের বিনাশ করতে, পুনরায় আমি আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করি। বাচ্চাদেরকে পড়াই। পুনরায় তোমরা পড়াশোনা করে ২১ জন্মের জন্য মানুষ থেকে দেবতা হয়ে যাও। দেবতা তো সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী। প্রজা সবাই হবে। তবে পুরুষার্থ অনুসারেই উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। এখন যে যত বেশী পুরুষার্থ করবে সেটাই কল্প কল্প চলতে থাকবে। বুঝতে পারে প্রতি কল্পে এইরকম পুরুষার্থ করলে, এইরকমই পদ গিয়ে প্রাপ্ত করবে। এটা বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, আমাদেরকে নিরাকার ভগবান পড়াচ্ছেন। তাঁকে স্মরণ করলেই বিকর্ম বিনাশ হবে। স্মরণ করা ছাড়া কোনো বিকর্ম বিনাশ হতে পারেনা। মানুষের এটাও জানা নেই যে, আমরা কত জন্ম নিয়েছি। শাস্ত্রে গল্প কথা বলে দিয়েছে – ৮৪ লক্ষ জন্ম। এখন তোমরা জানো যে ৮৪ বার জন্ম হয়। এটা হল অন্তিম জন্ম, পুনরায় আমাদেরকে স্বর্গে যেতে হবে। প্রথমে মুলবতনে গিয়ে পুনরায় স্বর্গে আসবো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার কাছে পবিত্র হওয়ার যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে তার উপর পাক্কা থাকতে হবে। কাম, ক্রোধ ইত্যাদি ভূতের উপর অবশ্যই বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে।

২ ) চলতে-ফিরতে সব কাজকর্ম করতে করতে শিক্ষক বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এখন নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে, এই জন্য এই অন্তিম জন্মে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে।

বরদানঃ-

সর্বদা এক বাবার লগন, বাবার কর্তব্যের লগনে এমন মগ্ন থাকো যে সংসারে কোনও বস্তু বা ব্যক্তি থাকলেও – সেটা অনুভবই হবে না। এইরকম এক লগন, এক ভরসাতে, একরস অবস্থাতে যে থাকে সেই বাচ্চা সর্বদা নির্বিঘ্ন হয়ে উন্নতি কলার অনুভব করে। সে, কারণকে পরিবর্তন করে নিবারণ রূপ বানিয়ে দেয়। কারণকে দেখে দুর্বল না হয়ে নিবারণ স্বরূপ হয়ে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top