3 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 2, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার স্মরণ স্থায়ী তখন হবে, যখন বুদ্ধিতে জ্ঞান থাকবে, জ্ঞান যুক্ত বুদ্ধির সাহায্যে আত্মিক (রুহানী) যাত্রা করতে এবং করাতে হবে"

প্রশ্নঃ --

ঈশ্বর হলেন দাতা, তবুও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান করার রীতি-রেওয়াজ কেন চলে আসছে ?

উত্তরঃ -:-

কারণ ঈশ্বরকে নিজের উত্তরাধিকারী করে। মনে করে এর ফল তিনি অন্য জন্মে দিয়ে দেবেন। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দেওয়া অর্থাৎ তাঁকে নিজের সন্তান করে নেওয়া। ভক্তিমার্গেও সন্তান বানাও অর্থাৎ সবকিছু সমর্পন করে দাও সেইজন্য একবার সমর্পণের রিটার্নে তিনি ২১ জন্ম সমর্পন করে দেন। তোমরা কড়ি নিয়ে আসো, বাবার থেকে হীরা নিয়ে যাও। এর উপরেই সুদামার উদাহরণ আসে।

গান:-

রাতের পথিক হয়ো না শ্রান্ত..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এই গানের একটি লাইন থেকেই নিশ্চয়ই বুঝে নিয়েছে। বাবা যখন বাচ্চা বলেন তখন বোঝা উচিত যে বাবা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বসে-বসে বোঝান। আত্ম-অভিমানী হতে হবে। এ তো সকলেই জানে যে আত্মা এবং শরীর হলো দু’টি আলাদা বস্তু। কিন্তু এ’টা বোঝে না যে আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বাবাও থাকবে। আমরা আত্মারা নির্বাণধামের অধিবাসী। এ’কথা বুদ্ধিতে আসে না। বাবা বলেন না যে — এই জ্ঞান সম্পূর্ণই প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায় ? তোমরা জানো যে এখন এই নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এখন ঘরে যেতে হবে। অপবিত্র পতিত আত্মারা ঘরে ফিরে যেতে পারে না। একজনও যেতে পারে না। এ হলো ড্রামা। যখন সমস্ত আত্মারা এখানে চলে আসে তারপর ফিরে যেতে থাকে। এ তো এখন তোমরা জেনেছো যে বাবা আমাদের আত্মিক যাত্রা শেখাচ্ছেন। বলেও থাকেন — হে আত্মারা, এখন বাবাকে স্মরণ করার যাত্রা করতে হবে। জন্ম-জন্মান্তর ধরে তোমরা পার্থিব(স্থূল) যাত্রা করে এসেছো। এখন এ হলো তোমাদের আধ্যাত্মিক (রুহানী) যাত্রা। পৌঁছে পুনরায় মৃত্যুলোকে ফিরে আসতে হবে না। মানুষ পার্থিব যাত্রায় যায় তারপর ফিরে আসে। এ হলো পার্থিব দেহ-অভিমানী যাত্রা। এ হলো রুহানী যাত্রা। অসীম জগতের পিতা ব্যতীত এই যাত্রা কেউ শেখাতে পারে না। বাচ্চারা, তোমাদের শ্রীমতানুসারে চলতে হবে। সবকিছুর ভিত রয়েছে স্মরণের উপরে, যে বাচ্চারা যত স্মরণ করে, স্মরণ স্থায়ী তাদেরই থাকবে যাদের কিছু না কিছু জ্ঞান রয়েছে। ৮৪ জন্মের চক্রেরও জ্ঞান রয়েছে,তাই না! এখন আমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। এ হলো ৮৪ জন্মের চক্রের যাত্রা। একেই বলা হয় আবাগমনের (আসা-যাওয়ার) যাত্রা। আবাগমন তো সকলেরই হতে থাকে। আসা আর যাওয়া। জন্ম গ্রহণ করেছে আর ত্যাগ করেছে, একেই আবাগমন বলা হয়ে থাকে। এখন তোমরা দুঃখধামের এই আবাগমনের চক্র থেকে মুক্ত হয়ে যেতে চলেছো। এ হলো দুঃখধাম, এখন তোমাদের জন্ম-মৃত্যু সব অমরলোকে হবে, যারজন্য তোমরা পুরুষার্থ করতে এসেছো অমরনাথের কাছে। তোমরা সকলেই হলে পার্বতী, অমরকথা শুনে থাকো অমরনাথের কাছে, যিনি সদাই অমর। তোমরা সদাকালের অমর নও। তোমরা তো জন্ম-মৃত্যুর চক্রে আসো। এখন তোমাদের চক্র নরকে রয়েছে। এর থেকে মুক্ত করে তোমাদের আসা-যাওয়া স্বর্গে করে দেন। ওখানে তোমাদের কোনো দুঃখ থাকবে না। এ হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম। তোমরা দেখতে থাকবে, কেমন করে বিনাশ হয়। এই যে যারা মাথা কুটতে থাকে — লড়াই যেন না হয় বা বলে যে বোমাগুলি গিয়ে সমুদ্রে ফেলে দিক। বেচারারা এ’সব বলতেই থাকে কিন্তু এটা জানে না যে এখন সময় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে।

তোমরা এখন সঙ্গমে রয়েছো আর দুনিয়ার মানুষ মনে করে যে এখন তো কলিযুগ সবে শুরু হয়েছে, ৪০ হাজার বছর পর সঙ্গম আসবে। এ’কথাও শাস্ত্র থেকেই বেরিয়েছে। বাবা বলেন — তোমরা যাকিছু বেদ-শাস্ত্রাদি পড়ো, দান-পূণ্যাদি জন্ম-জন্মান্তর ধরে করে আসছো — এ’সব হলো ভক্তিমার্গ। তোমরা জানো যে আমরা প্রথমে ব্রাহ্মণ তারপর দেবতা হই। ব্রাহ্মণ বর্ণ হলো সবচেয়ে উঁচু। এ হলো প্র্যাক্টিক্যাল কথা। ব্রাহ্মণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ দেবতা বর্ণে আসতে পারে না। তোমরা নিশ্চয় করো যে আমরা হলাম ব্রহ্মার সন্তান, শিববাবার থেকে দৈবী-রাজ্য গ্রহণ করছি। এখন তোমাদের পুরুষার্থ চলে। রেসও করতে হয়। ভালভাবে পড়ে আবার অন্যান্যদেরকেও পড়াবে, সুযোগ্য করে তুলবে, তবে তারাও স্বর্গের সুখ দেখবে। কৃষ্ণপুরীকে তো সকলেই স্মরণ করে। শ্রীরামকে বাল্যকালে দোলনা ইত্যাদিতে দোলায় না। শ্রীকৃষ্ণকে তো অত্যন্ত ভালবাসে, কিন্তু অন্ধশ্রদ্ধায়। বোঝে না তো কিছুই। বাবা বুঝিয়েছেন যে এইসময় সমগ্র সৃষ্টি তমোপ্রধান কালো‌ হয়ে গেছে। ভারত সুন্দর ছিল, স্বর্ণযুগ ছিল। এখন তো কলিযুগ (আয়রন এ’জে) রয়েছে। তোমরাও কলিযুগে রয়েছো, এখন স্বর্ণযুগে যেতে হবে। বাবা স্বর্ণকারের কাজ করছেন। তোমাদের আত্মায় যে লোহার আর তামার খাদ পড়েছিলো তা নিষ্কাশন করা হয়। এখন তোমাদের আত্মা আর শরীর দুই-ই অসৎ(অপবিত্র) হয়ে গেছে। এখন পুনরায় তোমাদের প্রকৃত সোনা হতে হবে। প্রকৃত সোনায় প্রচুর খাদ মেলানোর ফলে একদম নিম্নমানের হয়ে যায়। তোমাদের আত্মাতেও এখন একদম সামান্য সোনা বেঁচে রয়েছে। গয়নাও পুরোনো, বলবে দুই ক্যারেট সোনা। সেইজন্য বাবা বসে শ্রীমৎ দিয়ে থাকেন। ভারত বরাবর স্বর্গ ছিল, তখন আর কোনো ধর্মের রাজ্য ছিল না, পুনরায় স্বর্গে যাওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। কিন্তু মায়া করতে দেয় না। মায়া তোমাদের নানাভাবে মোকাবিলা করে। যুদ্ধের ময়দানে তোমাদের অনেকভাবে পরাজিত করে। চলতে-চলতে কেউ-কেউ ঝড়ের মধ্যে পড়ে যায়, বিকারে লিপ্ত হয়ে মুখ একেবারে কালো করে ফেলে। বাবা বলেন — এখন আমি তোমাদের মুখ গৌর বর্ণের (সুন্দর) করে দিই। পুনরায় বিকারে লিপ্ত হয়ে মুখ কালো করে ফেলো না। যোগের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থা পরিশুদ্ধ করো। শুদ্ধ হতে-হতে খাদ সম্পূর্ণরূপে নিষ্কাশিত হয়ে যাবে, এরজন্য যোগ ভাট্টীতে থাকতে হবে। স্বর্ণকারেরা এইসব কথা ভালভাবে বোঝে। সোনার খাদ দূর হয় আগুনে দিলে। তখন সোনার প্রকৃত পিন্ড তৈরি হয়ে যায়। বাবা বলেন — যত তোমরা আমাকে স্মরণ করতে থাকবে ততই শুদ্ধ হতে থাকবে। বাবা তো শ্রীমতই দেবেন, আর কি করবেন ! বলা হয়, কৃপা করো। বাবা এখন কি কৃপা করবেন‌ ! বাবা তো বলেন — স্মরণে থাকো তাহলে খাদ নিষ্কাশিত হয়ে যাবে। তাহলে স্মরণে থাকবে নাকি কৃপা আশীর্বাদ চাইবে ? এতে তো প্রত্যেককেই নিজের পরিশ্রম করতে হবে।

বাবা বলেন – রুহানী আত্মা রূপী বাচ্চারা, এই যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়ো না। প্রতি মুহূর্তে বাবাকে না ভুলে স্মরণ করো । যতখানি সময় স্মরণে থাকো ততখানি সময় যেন তোমরা ভাট্টিতে রয়েছো। স্মরণ না করলে ভাট্টিতে থাকো না। তখন তোমাদের দ্বারা আরোই বিকর্ম হয়, অ্যাড হতে থাকে, যারজন্য তোমরা কালো হয়ে যাও। পরিশ্রম করে গোরা(সুন্দর) হয়ে তারপর আবার কালো হয়ে যাও তাহলে তো তোমরা ৫০ শতাংশ কালো ছিলেই এখন পুনরায় ১০০ শতাংশ কালো হয়ে গেছো। কাম-বিকারই তোমাদেরকে কালো করে দিয়েছে। ও’টা হলো কাম-চিতা, এ হলো জ্ঞান-চিতা। মুখ্য কথাই হলো কাম-বিকারের। ঘরে ঝগড়াও এর উপরেই হয়ে থাকে। কুমারীদেরও বোঝানো হয় যে এখন তোমরা পবিত্র আছো তাহলে ভালো আছো, তাই না! সকলেই কুমারীদের পায়ে পড়ে কারণ তারা পবিত্র। তোমরা সকলেই হলে ব্রহ্মাকুমারী, তাই না! তোমরা ব্রহ্মাকুমারীরাই ভারতকে স্বর্গে পরিণত করো। সেইজন্য তোমাদের স্মারকচিহ্ন ভক্তিমার্গেও চলে এসেছে। কুমারীদের অত্যন্ত সম্মান করে। ব্রহ্মাকুমাররাও আছে, কিন্তু মাতাদের সংখ্যাই অধিক রয়েছে। বাবা স্বয়ং এসে বলেন ‘বন্দে মাতরম্’। তোমরা বাবাকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে নিয়েছো। ভক্তিমার্গে তোমরা ঈশ্বরকে দান কেন করো ? বাবা তো বাচ্চাদের দেয়, তাই না! তাহলে ঈশ্বরকে দান কেন করো ? ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে করে। কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে করে। কৃষ্ণ তোমাদের কে হয় যে তোমরা তাঁকে দাও? কোনো অর্থ তো চাই, তাই না! কৃষ্ণ তো দরিদ্র নয়। তবুও বলে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে তো হয়ই না। তিনি হলেন সত্যযুগের প্রিন্স। বাবা বোঝান যে আমি সকলের মনোকামনা পূর্ণ করে থাকি। কৃষ্ণ তো মনোকামনা পূর্ণ করতে পারে না। ওরা কৃষ্ণকে ঈশ্বর মনে করে ‘কৃষ্ণ অর্পণম্’ বলে। বাস্তবে ফলপ্রদানকারী হলাম আমি। ভক্তিমার্গের সব কথাই(বিষয়) বোঝানো হয়ে থাকে। শিববাবাকে তোমরা দিয়ে থাকো তাহলে অবশ্যই তোমরা বাচ্চা হয়ে গেলে, তাই না ! ভক্তিমার্গেও হলে বাচ্চা, এখানেও হয়ে গেলে বাচ্চা। ভক্তিমার্গে অল্পকালের জন্য ফল পাওয়া যায়। এখন হলো ডায়রেক্ট, সেইজন্য তোমাদের ২১ জন্মের জন্য ফল প্রাপ্ত হয়। এখানে সম্পূর্ণরূপে বলিপ্রদত্ত হয়ে যেতে হবে। তোমরা একবার বলিপ্রদত্ত হও তো উনি ২১ বার বলিপ্রদত্ত হন। তোমরা কড়ি নিয়ে আসো বাবার থেকে হীরে নেওয়ার জন্য। মনে মনে বোঝে যে আমরা একমুঠো চাল শিববাবার ভান্ডারায় ঢেলে দিই। সুদামার কথা হলো এখনকার। শিববাবা তোমাদের কে যে তোমরা ওঁনাকে দাও ? বাচ্চা হন তাহলে তোমরা অবশ্যই বড় হয়ে গেলে, তাই না! মনে করো এক দেবো, লক্ষ পাবো। প্রদানকারী দাতা হলেন সেই একজনই। সাধুরা তোমাদের কিছুই দিতে পারে না। ভক্তিমার্গেও আমিই দিয়ে থাকি, সেইজন্য বাবা জিজ্ঞেস করেন যে তোমাদের ক’টি সন্তান ! তারপরেও কেউ বুঝতে পারে, কেউ বুঝতে পারে না। এখন তোমরা জানো যে আমরা শিববাবার কাছে বলিপ্রদত্ত হয়ে যাই। আমাদের তন-মন-ধন সবই ওঁনার। তিনি আমাদের ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার দেবেন। ধনবানেদের হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যায়। বাবার নামই হলো দিনদয়াল। বাবা বলেন, তোমাদের নিজেদের গৃহস্থালি সামলাতে হবে, এরকম নয় যে তোমরা এখানেই বসে পড়লে, কেবল শ্রীমতে চলতে থাকো। মামেকম্ স্মরণ করো, ব্যস্। ভক্তিমার্গেও তোমরা গেয়ে থাকো যে আমার তো একজনই অন্য কেউ নেই। বাচ্চারা, তোমাদের কত কথা বোঝানো হয়ে থাকে। সকলেই তো একইরকমের সমঝদার হতে পারে না। ভবিষ্যতে বেরোবে। তখন তোমাদের মধ্যে শক্তিও থাকবে। শুনলেই তৎক্ষণাৎ এসে ধরে নেবে। নিশ্চয় হোক যে বাবা আমাদের ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের মালিক বানিয়ে দেন, তাহলে এক সেকেন্ডও ছাড়বে না। এই বাবা নিজের অনুভবও শোনায়, তাই না! ইনি তো জহুরী ছিলেন, তাই না! বসে-বসে কি হয়েছে ! ব্যস, দেখেন যে বাবার দ্বারা রাজত্ব প্রাপ্ত হয়। বিনাশও দেখেছেন, রাজত্বও দেখেছেন তখন বলেন ব্যস, ছাড়ো এই দাসত্বকে। সাক্ষাৎকার হয়েছে, কিন্তু জ্ঞান ছিল না। ব্যস্, আমার রাজত্ব প্রাপ্ত হয়। দেখে যে বাবা স্বর্গের বাদশাহী দিতে এসেছেন তখন তৎক্ষণাৎ ধরে নেওয়া উচিৎ, তাই না! বাবা এ’সবই হলো তোমার। তোমার কাজে লেগে গেছে। বাবাও সবকিছু এই মাতাদের হাতে দিয়ে দিয়েছেন। মাতাদের কমিটি গঠন করেছেন, তাদের দিয়ে দিয়েছেন। বাবাই সবকিছু করান। বুঝেছে বাবার থেকে ২১ জন্মের জন্য রাজত্ব প্রাপ্ত হয়, এখন তোমরাও নাও, তাই না। বাবা(ব্রহ্মা) তৎক্ষণাৎ দাসত্ব ছেড়েছেন। যবে থেকে ছেড়েছেন তবে থেকে অত্যন্ত খুশিতে চলছেন। এ তো অনেকবার আমরা দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করেছি। বাবা ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারীদের দ্বারা অনেকবার স্থাপন করেছিলেন। যখন এমন কথা তখন আর দেরী কেন ? বাবার থেকে তো আমরা ২১ জন্মের উত্তরাধিকার অবশ্যই নেবো। বাবা ঘর-পরিবার ত্যাগ তো করান না। অবশ্যই তাদেরকেও ভালভাবে দেখাশোনা করো, কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে। নেশা থাকা উচিত যে আমরা বাবার হয়ে গেছি। বাবাকে লেখে যে বাবা অমুকে অত্যন্ত ভাল নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন, সমঝদার। অনেককে বোঝায়। কিন্তু নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্নরা আমাদের কাছে তো আসে না। বাবার সঙ্গে মিলিতই হয়নি আর মৃত্যু হয়ে গেলো তাহলে বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে কিভাবে? এখানে তো বাবার কোলে আসতে (অ্যাডপ্ট হতে) হয, তাই না! নিশ্চয় হয়েছে আর শরীর ত্যাগ করে দিয়েছে, কিছুই পরিশ্রম করে নি। আয়রন এজ থেকে গোল্ডেন এজ না হলে তখন সাধারণ প্রজায় জন্ম নিয়ে নেবে। যদি বাচ্চা হয়ে ভালভাবে পাকা হয়ে শরীর ত্যাগ করে তাহলে উত্তরাধিকারী হয়ে যাবে। উত্তরাধিকারী হতে পরিশ্রম লাগে নাকি! না লাগে না। কেউ সূর্যবংশীয় রাজত্ব প্রাপ্ত করে, কেউ সার্ভিস করতে-করতে ভবিষ্যতে এক জন্মের জন্য রাজত্বের পাগড়ি পেয়ে যাবে। সে কি কোনো সুখ হলো নাকি! রাজত্বের সুখ তো প্রথমেই রয়েছে তারপর কলা কম হতে থাকে। বাচ্চাদের তো পুরুষার্থ করে মা-বাবাকে ফলো করতে হবে। মাম্মা-বাবার গদিতে বসার যোগ্য তো হও। হার্টফেল কেন হবে ! পুরুষার্থ করে ফলো করো। সূর্যবংশীয় গদির মালিক হও। স্বর্গে তো এসো, তাই না! অনুত্তীর্ণ হলে চন্দ্রবংশীয়তে চলে যাও, দু’কলা কম হয়ে যায়। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার থেকে আশীর্বাদ চাওয়ার পরিবর্তে স্মরণের যাত্রায় তৎপর থাকতে হবে। আধ্যাত্মিক যাত্রায় কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়ো না।

২ ) শিববাবাকে নিজের অধিকারী বানিয়ে তাঁর উপর সম্পূর্ণরূপে বলিপ্রদত্ত হয়ে যেতে হবে। মা-বাবাকে ফলো করতে হবে। ২১ জন্মের রাজত্বের সুখ প্রাপ্ত করতে হবে।

বরদানঃ-

নিমিত্ত হওয়ার পার্ট সদা পৃথক এবং প্রিয় করে দেয়। যদি নিমিত্ত ভাবের অভ্যাস আপনা থেকেই (স্বতঃ) এবং সহজেই হয় তাহলে নিজের প্রগতি আর সকলের প্রগতি প্রতিটি পদক্ষেপেই মিশে রয়েছে। সেই আত্মাদের পা ধরনীতে নয়, বরং স্টেজে রয়েছে। নিমিত্ত হয়ে যাওয়া আত্মারা সদা এই স্মৃতি স্বরূপে থাকে, যেন বিশ্বের সম্মুখে তারা সদা বাবার সমান উদাহরণ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top