29 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
28 September 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা — এই অন্তিম জন্মে ঘর পরিবারে থেকে কমল পুষ্পের মতো পবিত্র হও, এক বাবাকেই স্মরণ করো, এটাই হল গুপ্ত পরিশ্রম"
প্রশ্নঃ --
জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হতেই কোন্ বৈপরীত্য অনুভব হয় ?
উত্তরঃ -:-
ভক্তি মার্গে ভগবানকে পাওয়ার জন্য কত দরজায়-দরজায় বিভ্রান্তিতে ছুটে বেড়িয়েছি, কত ধাক্কা খেতে হয়েছে। এখন তাঁকে পেয়ে গেছি। ২‐ সেই সাথে দয়া হয় বেচারা মানুষ এখনো পর্যন্ত বিভ্রান্তিতে ছুটে বেড়াচ্ছে, পথ খুঁজে চলেছে। বাবা আমাদের ছুটে বেড়ানো থেকে মুক্ত করেছেন। আমরা বাবার সাথে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি।
গান:-
আজ মানুষ অন্ধকারে..
ওম্ শান্তি । একদিকে ভক্তরা স্মরণ করছে। অন্যদিকে আত্মাদের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে অর্থাত্ আত্মারা বাবার পরিচিতি লাভ করেছে। ওরা বলে আমরা ছুটে বেড়াচ্ছি (ভগবানকে পাওয়ার জন্য )। এখন তোমরা তো আর ছুটে বেড়াচ্ছ না। কত পার্থক্য। বাবা তোমরা বাচ্চাদেরকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি করছেন। মানুষ গুরু, তীর্থযাত্রা, মেলা ইত্যাদির পিছনে কত দৌড়ে বেড়াচ্ছে। তোমাদের দৌড়ানো এখন বন্ধ হয়ে গেছে। বাচ্চারা জানে বিভ্রান্তের মতো ছুটে বেড়ানো থেকে মুক্ত করতেই বাবা এসেছেন। যেমন কল্প পূর্বে বাবা এসে ঈশ্বরীয় শিক্ষা প্রদান করেছিলেন বা রাজযোগ শিখিয়েছিলেন, হুবহু সেভাবেই পড়াশোনা করাচ্ছেন। বাচ্চারা জানে আমরা ৫ বিকারের উপর জয়লাভ করছি। বলাও হয়ে থাকে মায়াকে যে জয় করতে পারে সে জগতকেও জয় করতে পারে। ৫ বিকারগ্রস্ত রাবণকেই মায়া বলা হয়। মায়া হচ্ছে শত্রু। ধন সম্পত্তিকে মায়া বলা হয় না। লিখেও থাকে ৫ বিকার রূপী রাবণ বা মায়া… সুতরাং মানুষ এর অর্থ কিছুটা বোঝে। তা না হলে বুঝতে পারত না। মায়াজীৎ জগতজীৎ। এখানে যাদব, কৌরব বা অসুরদের বা দেবতাদের কোনো বিষয় নয়। স্থূল লড়াই হয়না। গাওয়া হয় যোগবল দ্বারা মায়া রাবণকে পরাজিত করতে পারলে জগৎ জয়ী হওয়া যায়। বাচ্চারা তোমরা জানো— জগৎ বলা হয় বিশ্বকে। বিশ্বকে জয়ী করার জন্য বিশ্বের মালিকই আসেন। তিনিই সর্বশক্তিমান। বাচ্চাদের বোঝান হয়েছে ‐ বাবাকে স্মরণ করলেই পাপ ভস্ম হয়ে যায়। প্রধান বিষয়ই হলো স্মরণ। স্মরণ করলে তোমাদের দ্বারা কোনো বিকর্ম হবে না আর খুশিতে থাকতে পারবে। পতিত-পাবন বাবা আসেন পবিত্র করে তুলতে, সুতরাং আমরা বিকর্ম কেন করব ! নিজে সতর্ক থাকা উচিত। বুদ্ধি তো মানুষের আছে না ! এর মধ্যে লড়াই, ঝগড়া করার কোনো কথা নেই, শুধুমাত্র ৫ বিকারকে জয় করার জন্য বাবাকে স্মরণ করা অতি সহজ। তবে হ্যাঁ, এতে পরিশ্রম আছে, সময় লাগবে। মায়া প্রদীপকে নিভিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার তুফান আনবে। আর এর মধ্যে লড়াইয়ের কোনও বিষয় নেই। সত্যযুগ হলো দেবতাদের রাজ্য। ওখানে কোনো অসুর থাকে না। আমরা ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ। যে ব্রাহ্মণ নিজ কুলের হয় সে-ই নিজেকে ব্রাহ্মণ মনে করে। রূহানী বাবা বসে আমরা রূহদেরকে (আত্মা ) জ্ঞান প্রদান করেন। জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন সদ্গতি দাতা একজনই। তিনিই এসে স্বর্গ স্থাপনা করেন। তোমরা বাচ্চাদের কত খুশি হওয়া উচিত। বিদেশিরাও জানবে , এরা তো সিন্ধুর ব্রহ্মাকুমার কুমারী যারা বলে শ্রীমত অনুসারে প্যারাডাইস স্থাপন করে দেখাব। আত্মাই বলে না — শরীর দ্বারা। আত্মা শোনে আর বাবার ডায়রেকশন অনুযায়ী চলে। কল্পে-কল্পে বাবাই এসে যুক্তি বলে দেন। বাবা হলেন গুপ্ত, কেউ-ই জানতে পারে না। কত অসংখ্য মানুষকে বোঝান হয় কিন্তু কোটিতে কেউ-কেউ বোঝে। তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছ আমাদের অলরাউন্ড ভূমিকা পালন করতে হয়। বাবা এসে বুঝিয়েছেন তোমরাই রাজ্য প্রাপ্ত করে থাকো আর কেউ নিতে পারে না,তোমরা ভারতবাসীরা যারা নিজেদের হিন্দু বলে থাকে। আদমসুমারীতেও হিন্দু লিখে থাকে। যা কিছুই নাম দেওয়া হোক না কেন, বাস্তবে আমরা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম। সেই দৈবী ধর্ম ভ্রষ্ট, কর্ম ভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে নিজেদের হিন্দু বলে থাকে। হিন্দু নাম কেন হয়েছে — এটাও কেউ জানেনা। জিজ্ঞাসা করা উচিত তোমাদের হিন্দু ধর্ম কে স্থাপন করেছে বলো। এটা তো হিন্দুস্তানের নাম। কেউ-ই কিন্তু বলতে পারবে না। বাচ্চারা তোমরা জানো এখন ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। বলাও হয়ে থাকে ব্রাহ্মণ দেবী-দেবতা নমঃ। ব্রাহ্মণ নম্বরানুসারে সর্বোত্তম। বাস্তবে সত্যযুগকেই স্বর্গ বলা হয়। রামচন্দ্রের রাজ্যকেও স্বর্গ বলা যায় না। অর্ধকল্প রামরাজ্য, অর্ধকল্প আসুরি রাজ্য। এ’সবই অন্তর্মনে ধারণ করতে হবে। এখন আমাকে স্বর্গে যাওয়ার জন্য কি করতে হবে? পবিত্র তো অবশ্যই থাকতে হবে। বাবা বলেন – বাচ্চারা কাম হলো মহাশত্রু, এর উপরেই জয় লাভ করে পবিত্র হতে হবে সেইজন্যই কমল ফুলের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। ঘর পরিবারে থেকেও কমল ফুলের মতো হতে হবে। এই দৃষ্টান্ত তোমাদের জন্যই। হঠযোগীরা ঘর পরিবারে থেকে কমল ফুলের মতো পবিত্র থাকতে পারে না, সেইজন্যই ঘর পরিবার ছেড়ে চলে যায়। তোমরা দুই-ই সন্ন্যাসীদের সাথে দেখা করতে পার। প্রবৃত্তি মার্গবাসীদের জন্য গায়ন আছে। বাবা বলেন – ঘর পরিবারে থেকে শুধুমাত্র এই একটা অন্তিম জন্ম সাহসিকতার সাথে কমল ফুলের মতো পবিত্র থাকো। নিজের ঘর পরিবারেই থাকো। ঐ সন্ন্যাসীরা তো ঘর পরিবার ছেড়ে চলে যায়। অনেক সন্ন্যাসী আছে যাদের ভোজন করাতে হয়। প্রথমে ওরাও সতোপ্রধান ছিল,এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে। ড্রামাতে এটাই ওদের ভূমিকা। আবারও এমনটাই হবে। বাবা বোঝান এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ তো হবেই। এখানে ছোট-ছোট বিষয়েই একে অপরকে ধমক দিয়ে থাকে। যদি এমনটা না হয় তবে বড়ো লড়াই শুরু হয়ে যাবে। বাচ্চারা তোমরা বুঝেছ কল্প প্রথমেও এমনটা হয়েছিল। শাস্ত্রে লিখেছে পেট থেকে মুসল বেড়িয়েছে, এই হয়েছে…. তারপর হোলিতেও সাজসজ্জা তৈরি করে । বাস্তবে এই হলো মিসাইল যার দ্বারা বিনাশ করবে। বাচ্চারা এটাও জানে যা কিছু অতীত হয়ে গেছে তা পুনরায় হবে। সবই পূর্ব নির্ধারিত…..এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ রহস্য আছে। কাউকে দোষারোপ করতে পার না। ড্রামাতে ওটাই ভূমিকা। তোমাদের শুধুমাত্র বাবার পরিচয় দিতে হবে । এই ড্রামা অনাদি অবিনাশী। ভবিষ্যতে কি হবে, তাও তোমরা জেনেছ। এটা কলিযুগের শেষ আর সত্যযুগের প্রারম্ভিক সঙ্গম যুগ অতি প্রসিদ্ধ। একেই পুরুষোত্তম যুগ বলা হয়। আজকাল বাচ্চাদের পুরুষোত্তম যুগে যথার্থ রীতিতে বোঝানো হচ্ছে। এই যুগ হলো উত্তম পুরুষ তৈরি হওয়ার জন্য। সবাই সতোপ্রধান উত্তম তৈরি হবে। এখন হলো তমোপ্রধান কনিষ্ঠ। এই শব্দগুলোকেও তোমরা বুঝেছ। কলিযুগ সম্পূর্ণ হয়ে সত্যযুগ আসবে তারপর জয়-জয়কার হবে। কাহিনী শোনানো হয় তাইনা ! এটা অতি সহজ থেকে সহজতর।
মিথ্যা কাহিনী তো অনেক আছে। এখন বাবা স্বয়ং বোঝাচ্ছেন, ভক্তি মার্গে তোমরা আমার কত মহিমা করে এসেছ। এখন প্র্যাকটিক্যাল তোমাদের পথ বলে দিই- সুখধাম আর শান্তিধামের। সদ্গতিকে সুখ, দুর্গতিকে দুঃখের গতি বলা হয়। কলিযুগে হলো দুঃখ, সত্যযুগে সুখ। বোঝালে সবাই বুঝবে। পরে গিয়ে আরও বুঝতে পারবে। সময় অতি অল্প, লক্ষ্য অনেক উচ্চ। কলেজে গিয়ে তোমরা বোঝালে যথার্থ রীতিতে বুঝবে। প্রকৃতপক্ষে এই চক্র ঘুরতেই থাকে অন্য কোনো দুনিয়া নেই। ওরা মনে করে উপরে কোনো দুনিয়া আছে সেইজন্যই গ্রহ, নক্ষত্রের দিকে যায়। বাস্তবে ওখানে কিছুই নেই। গড ইজ ওয়ান, ক্রিয়েশন ইজ ওয়ান। মনুষ্য সৃষ্টি এখানেই। মানুষ তো মানুষই শুধুমাত্র দেহের অনেক ধর্ম। কত ভ্যারাইটি। সত্যযুগে একটাই ধর্ম ছিল, তাকে বলা হয় সুখধাম। কলিযুগ হলো দুঃখ ধাম। সুখ আর দুঃখের খেলা তাইনা। বাবা বাচ্চাদের দুঃখ দেন না। বাবা এসে দুঃখ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। যিনি দুঃখ হরণকারী তিনি কিভাবে কাউকে দুঃখ দিতে পারেন। এটা হলো রাবণ রাজ্য। মানুষের মধ্যে ৫ বিকার প্রবেশ করায় একে রাবণ রাজ্য বলা হয়। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফীর রহস্য এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে। রোজ শুনছ, অনেক উচ্চ মার্গের পড়াশোনা। সুতরাং বাবা বসে বোঝান সময় খুব অল্প। এর মধ্যেই বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ কর। ধীরে-ধীরে মানুষও বুঝতে পারবে প্রকৃতপক্ষে এটাই ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার পথ। দুনিয়াতে আর কেউ ঈশ্বরকে পাওয়ার পথ বলে দেয়না। ঈশ্বরকে পাওয়ার পথ ঈশ্বরই বলে দেন। তোমরা ওঁনার বাচ্চারা সবাইকে এই সংবাদ পৌঁছে দিয়ে থাক। কল্প পূর্বেও যারা নিমিত্ত হয়েছিল তারাই আবারও হবে আর সবাইকে প্রচার করবে। বাচ্চাদের বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। আলোচনা করা উচিত – বাবা আমাদের মনে হচ্ছে এরকম চিত্র হলে মানুষ ভালোভাবে বুঝতে পারবে। বাবা চিত্র কম কেননা কিছু-কিছু সেন্টার খুব ছোট। ৫‐৭ দিনের জন্য চিত্র রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
বাবা বলেন ঘরে-ঘরে গীতা পাঠশালা হোক। এমনও অনেকেই আছে একটা রুমেই সবকিছু চালায়। মুখ্য চিত্র রাখলেই মানুষ বুঝতে পারবে। প্রকৃতপক্ষে ভগবান কাকে বলে, তাঁর কাছ থেকে কি পাওয়া যায় ? ভগবানকে বাবা বলা হয়। বাবুলনাথকে বাবা বলা হয়না। রুদ্র বাবাও বলা যায় না। শিববাবা হলেন প্রসিদ্ধ। বাবা বলেন এটা পূর্ব কল্পের মতোই জ্ঞান যজ্ঞ। অসীম জগতের পিতা শিব এই যজ্ঞ রচনা করেছেন। ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের রচনা করেছেন। ব্রহ্মা শরীরে প্রবেশ করে স্থাপনা করেছেন। এ’হলো জ্ঞান, রাজযোগের। এই সেই যজ্ঞ যেখানে সম্পূর্ণ পুরানো দুনিয়াকে আহুতি দিতে হয়। তিনি বাবা, টীচার, সদ্গুরু এবং জ্ঞানের সাগর। এমন আর কেউ নেই। আজকাল যজ্ঞ হলে তার চারদিকে শাস্ত্র রাখা হয়। আহুতির জন্য একটা কুন্ডও তৈরি করা হয়। বাস্তবে এটাই সেই জ্ঞান যজ্ঞ, যা ওরা কপি করেছে। এখানে স্থূল কোনো জিনিসের কাজ নেই। এখন বাচ্চারা তোমরা অসীম জগতের বাবাকে পেয়েছ, অনন্ত জ্ঞান প্রাপ্ত করেছ আর কেউ-ই তা জানে না। তোমরা জান এই অলৌকিক যজ্ঞে পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। খুশি তো হওয়া উচিত যে রামরাজ্য স্থাপন হোক, খুব ভালো হবে। কিন্তু যে স্থাপনা করবে সে তো তার নিজের জন্যই করবে তাইনা। পরিশ্রম (পুরুষার্থ) নিজের জন্যই করবে। তোমরা জানো এই মহাভারতের যুদ্ধও এই যজ্ঞ দ্বারাই প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। কোথায় ঐ সীমিত লৌকিকের যজ্ঞ আর কোথায় এই অসীমের যজ্ঞ। তোমরা নিজেদের জন্যই পুরুষার্থ করছ। যতক্ষণ বাবাকে না জানবে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হতে পারে না। বাবাই এসে আত্মাদের শিক্ষা প্রদান করেন। তোমাদের সবকিছু গুপ্ত। আত্মা যে হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে, তাকে অহিংসক হতে হবে। কারো প্রতি ক্রোধ করা উচিত নয়। ৫ বিকারকে দান করলে তবেই গ্রহণ ছাড়বে,এরজন্যই কালো হয়ে গেছ। এখন পুনরায় সর্বগুণসম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ কিভাবে হবে, বাবা বসে তাই বুঝিয়ে থাকেন। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে কে এমন তৈরি করেছেন ? কোনো গুরু পেয়েছিল ? এরা তো বিশ্বের মালিক ছিল। নিশ্চয়ই পূর্ব জন্মে শ্রেষ্ঠ কর্ম করেছিল তবেই সুন্দর জন্ম হয়েছে। ভালো কর্ম করলে ভালো জন্ম পাওয়া যায়। ব্রহ্মা আর বিষ্ণুর কানেকশনও প্রয়োজন। এক সেকেন্ডে ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু। মানুষ থেকে দেবতা হয়ে ওঠে, সেকেন্ডে জীবনমুক্তি একেই বলা হয়। বাবার হওয়া মাত্রই জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছে। জীবনমুক্ত তো রাজা প্রজা সবাই। যেই আসবে তাকে জীবনমুক্ত হতে হবে। বাবা তো সবাইকেই বোঝান। উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। পুরুষার্থই সবকিছুর আধার। কেন পুরুষার্থ করব না উচ্চ পদ পাওয়ার জন্য। বাবাকে খুব স্মরণ করলে বাবার অন্তরাসনে বসতে পারবে। বাবা কোনো পরিশ্রম করান না। অবলাদের দিয়ে কিইবা পরিশ্রম করাবেন। বাবাকে স্মরণ সেটাও গুপ্ত। জ্ঞান তো প্রত্যক্ষ হয়ে যায়। বলা হয় এনার ভাষণ তো খুব ভালো, কিন্তু যোগে কতটা এগিয়ে ? বাবাকে স্মরণ করে ? কত সময় স্মরণ করে ? স্মরণ দ্বারাই জন্ম-জন্মান্তরের বিকর্ম বিনাশ হবে। এই স্পীরিচুয়াল নলেজ কল্পে-কল্পে রূহানী শিববাবাই এসে দিয়ে থাকেন। আর কেউ-ই এই জ্ঞান প্রদান করতে পারে না। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ স্মরণ আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) অবিনাশী ড্রামার রহস্য বুদ্ধিতে ধারণ করে কাউকেই দোষারোপ করা উচিত নয়। পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নিতে হবে।
২ ) ডবল অহিংসক হওয়ার জন্য কখনও কারো প্রতি ক্রোধ করা উচিত নয়। বিকারকে দান করে সর্বগুণসম্পন্ন হয়ে ওঠার পুরুষার্থ করতে হবে।
বরদানঃ-
যেমন কোনো স্থূল বস্তু তৈরি করতে তার মধ্যে সমস্ত জিনিস দেওয়া হয়, কোনো সাধারণ একটু মিষ্টি বা লবণও যদি কম হয়ে যায়, তবে সেটা যত উপাদেয়ই হোক, গ্রহণ যোগ্য হয় না। তেমনই বিশ্ব পরিবর্তনের এই শ্রেষ্ঠ কার্যের জন্য প্রত্যেক রত্নের আবশ্যকতা রয়েছে । সবার অঙ্গুলি (সহযোগ) প্রয়োজন। সকলেরই নিজ-নিজ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, শ্রেষ্ঠ মহারথী তারা। সেইজন্যই নিজের কার্যের শ্রেষ্ঠত্বের মূল্যকে বোঝো, সবাই তোমরা মহান আত্মা। সুতরাং যতটা মহান ততটাই নির্মাণ হয়ে ওঠো।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!