29 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

29 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

28 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- জগতে আর কারোর ভয় যদি নাও থাকে কিন্তু এই বাবার ভয় যেন অবশ্যই থাকে, ভয় পাওয়া অর্থাৎ পাপকর্ম থেকে সুরক্ষিত থাকা"

প্রশ্নঃ --

বাবা প্রত্যেক বাচ্চাকে নিজেকে পরীক্ষা করার (চার্ট রাখা) শ্রীমৎ কেন দেন ?

উত্তরঃ -:-

কারণ ঈশ্বরীয় নিয়ম অত্যন্ত কড়া। যদি ব্রাহ্মণ হয়ে ছোট-খাটো ভুল হয় তবে অত্যন্ত কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে, সেইজন্য বাবা বলেন, নিজেকে যাচাই করো। যদি কোনো পুরোনো হিসাব-পত্র রয়ে যায় তবে সাজা ভোগ করার পর সামান্য কিছু প্রাপ্তি হবে। এখন কায়ামতের (বিনাশের) সময় অতি নিকটে সেইজন্য নিজের সমস্ত হিসেব-নিকেশ যোগবলের দ্বারা মিটিয়ে নাও।

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা বাবার স্মরণে তো আপনা থেকেই থাকে। প্রতিমুহূর্তে বলারও প্রয়োজনও থাকে না। বাবার ডায়রেক্শন হলো চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে বাবাকে স্মরণ করো তাহলে রাবণ যে তোমাদের পতিত বানিয়ে দিয়েছে, তার উপর বিজয়প্রাপ্ত করবে। তোমাদের কোনো হাতিয়ার ইত্যাদি দেওয়া হয় না, কেবল যোগবলের দ্বারা তোমরা রাবণের উপরে বিজয়লাভ করো। অবশ্যই বিজয়প্রাপ্ত করতে হবে আর সঙ্গমেই প্রাপ্ত করো। যখন রাবণ-রাজ্য সমাপ্ত হয়ে রাম-রাজ্যের স্থাপনা হবে। বাবা কখনো হিংসা শেখাতে পারেন না। দেবতাদের হলোই অহিংসা পরমোধর্ম। দুনিয়া এ’কথা জানে না যে ওখানে কাম-কাটারীর হিংসা হয় না। যারা কল্প-পূর্বে নির্বিকারী হয়েছিল, তারাই তোমাদের কথা মানবে। এখন তোমরা যুদ্ধের ময়দানে রয়েছো। গাওয়াও হয় শিবশক্তিসেনা। তোমরা হলে গুপ্ত যোদ্ধা, প্রত্যেকেই নিজের জন্য করছে। মায়াজীত, জগতজীৎ হতে হবে। তোমরা নিজেদের জন্য করো, আবার ভারতের জন্যও করে থাকো। এরমধ্যে যে ভালভাবে পুরুষার্থ করে সে-ই পায়। যে ৫ বিকারের উপর বিজয় পাবে সে-ই জগতজীৎ হবে আর কোনো বস্তুর উপর বিজয়প্রাপ্ত করতে হবে না। তোমাদের (কাজই) হলো রাবণ রাজ্যের উপর বিজয়প্রাপ্ত করা অর্থাৎ দৈব-গুণ ধারণ করা। দৈব-গুণ ধারণ ব্যতীত সত্যযুগে যেতে পারবে না। তাই নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে যে আমরা কতখানি দৈব-গুণ ধারণ করেছি ? দৈব-গুণ ধারণ করা অর্থাৎ রাবণের উপরে বিজয়প্রাপ্ত করা। বলা হয় যখন রাম-রাজ্য ছিল, তখন একজন রাম তো রাজত্ব করেনি ? প্রজাও তো থাকবে। এখানে যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজা, সকলেই রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করছে। দৈবী-গুণ ধারণ করছে। দৈবীগুণের মধ্যে ভোজন-পান, কথা বলা, কর্ম করা সব শুদ্ধ পবিত্র হয়। প্রতিটি বিষয়ে সত্য বলতে হবে। বাবা হলেনই সত্য। তাহলে এমন বাবার কাছে কতখানি সৎ হওয়া উচিত। যদি সৎ না হও তাহলে কত খারাপ গতি হবে। গতি তো উচ্চ পাওয়া উচিত। নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী হতে হবে। কথিতও আছে যে — তোমার গতি-মতি তুমিই জানো। বাবা যে মত দেন তার দ্বারা কত উচ্চ গতি প্রাপ্ত হয়। সর্বোচ্চ বাবা উচ্চ থেকেও উচ্চ গতি প্রাপ্ত করান। তাই এখন শ্রীমতে চলে দৈব-গুণ ধারণ করতে হবে। জন্ম-জন্মান্তরের পাপ যোগবল ব্যতীত নিষ্কাশিত হতে পারে না। তারজন্য স্মরণের যাত্রা অত্যন্ত ভাল হওয়া উচিত। স্মরণ ভাল থাকবে — অমৃতবেলায়। সেইসময় বায়ুমন্ডল অত্যন্ত ভাল হয়। দিনে অনেক সময় যদিও বসো, কিন্তু অমৃতবেলার মতন সময় আর হয় না। আমাদের হল গুপ্ত। ইংরেজীতে বলা হয় — উই আর অ্যাট ওয়ার (আমরা যুদ্ধে রয়েছি), আমাদের যুদ্ধ এখন রাবণের সঙ্গে। এ হলো নম্বর ওয়ান শত্রু। শ্রীমতানুসারে রাম-সম্প্রদায় রাবণ-সম্প্রদায়ের উপর বিজয় প্রাপ্ত করে। বাবা তো সর্বশক্তিমান, তাই না! বেচারা, দুনিয়া তো এইসময় ঘোর অন্ধকারে রয়েছে। ওরা জানেই না যে আমরা পরাজিত হয়েছি। মায়ার কাছে হেরেই পরাজিত হয়। মায়া কাকে বলা হয় — তাও কেউ জানে না। সমগ্র লঙ্কায় রাবণের রাজ্য ছিল। শাস্ত্রে ভক্তিমার্গের কত কাল্পনিক গল্পগাথা লেখা হয়েছে, যা জন্ম-জন্মান্তর ধরে তোমরা পড়েছো। এখনও বলা হয়, শাস্ত্র তো অবশ্যই পড়া উচিত। যে পড়ে না তাদের নাস্তিক বলা হয় আর বাবা বলেন — শাস্ত্র পড়তে-পড়তে সবাই নাস্তিক হয়ে গেছে। এ’কথা বাচ্চাদের ভালো ভাবে বোঝানো উচিত যে ভারত যখন সতোপ্রধান ছিল তখন তাকে স্বর্গ বলা হতো। সেই ভারতবাসীরাই ৮৪ জন্ম নিতে নিতে এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে। এখন পুনরায় পবিত্র হবে কিভাবে? বাবা বলেন — আমায় স্মরণ করো তবেই সতোপ্রধান পবিত্র হয়ে যাবে, আর কোনো দেহধারীকে স্মরণ কোরো না। কাউকে গুরু কোরো না। কথিত আছে যে গুরু বিনা ঘোর অন্ধকার। প্রচুর সংখ্যক গুরু আছে। কিন্তু সকলেই অন্ধকারে নিয়ে যাবে। বাবা বলেন — যখন জ্ঞান-সূর্য আসবে তখন গভীর অন্ধকার দূর হবে। সন্ন্যাসী যদিও পবিত্র হয় কিন্তু জন্ম তো নেয় বিকারের দ্বারা, তাই না! দেবী-দেবতা তো বিকার থেকে জন্ম নেয় না। এখানে সকলের শরীর পূতিগন্ধময় (নোংরা)। বাবা এ’রকম পূতিগন্ধময় বস্ত্র (শরীর) সাফ করেন। আত্মা পবিত্র হলে শরীরও ভালো পাওয়া যাবে। তারজন্য পুরুষার্থ করতে হবে। নিজেকে পরীক্ষা করতে হবে — আমার দ্বারা কোনো খারাপ কর্ম হয় না তো? ঈশ্বরীয় নিয়মও অত্যন্ত কড়া। কেউ খারাপ কাজ করলে তাদের সাজাও অত্যন্ত কঠিন হয়। এ হলো বিনাশের সময়। যোগবলের দ্বারা সমস্ত হিসেব-পত্র মিটিয়ে ফেলতে হবে। যদি না মিটিয়ে ফেলো তবে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তারপর যেখানেই যাও – সাজা ভোগ করে সামান্য কিছু প্রাপ্তি হয়। রুটি অর্থাৎ কিছু না কিছু প্রাপ্তি তো সকলেই পাবে। মুক্তি-জীবনমুক্তির রুটি(পুরস্কার) সকলকেই দেবেন। কেউ পাস উইথ অনার, কেউ সাজা পাবে তারপর সামান্য কিছু প্রাপ্তি হবে সম্মানহানি হয়ে। আসনে তো সে বসতে পারে না। কোনো খারাপ কাজ করলে তখন সম্মানহানি হবে, সেও বাবার সম্মুখে। শিববাবা বসে রয়েছে, তাই না! তোমাদের সাক্ষাৎকার করাবো যে আমি এঁনার (ব্রহ্মা বাবা) মধ্যে ছিলাম, তোমাদের কত বুঝিয়েছিলাম। এখন সম্পূর্ণ’র (ব্রহ্মা) মধ্যে রয়েছি। বাচ্চারা, তোমরা কন্যারা সম্পূর্ণ ব্রহ্মার কাছে যাও। ওঁনার দ্বারা শিববাবা ডায়রেক্শন ইত্যাদি দিয়ে থাকেন, তাই না! বাবা তোমাদের সাক্ষাৎকার করাবেন যে এঁনার মধ্যে বসে তোমাদের কত পড়িয়েছি, বুঝিয়েছি যে দৈবী-গুণ ধারণ করো, সার্ভিস করো। কারোর নিন্দা ক’রো না। তোমরা তবুও এ কাজ করেছো, এখন সাজা ভোগ করো। যত-যত পাপ করেছো তাই সাজা ভোগ করতে হবে। কেউ অধিক সাজা ভোগ করে, কেউ কম। তাতেও নম্বরের অনুক্রম রয়েছে। যতখানি সম্ভব যোগবলের দ্বারা বিকর্মকে দূর করতে থাকতে হবে। এই প্রচেষ্টা অধিক মাত্রায় বাচ্চাদের রাখতে হবে যে আমরা সম্পূর্ণ পাকা সোনা কিভাবে হবো? উঠতে-বসতে এ’টাই বুদ্ধিতে যেন থাকে, যত স্মরণ করবে ততই উচ্চপদ লাভ করবে। মায়ার তুফানের পরোয়া কোরো না, যতখানি সময় পাবে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আমাকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে। বাবাকে স্মরণ করলে তখন পাপ কেটে যাবে। কোনো পাপ করাও উচিত নয়। নাহলে (সাজা) শতগুণ হয়ে যাবে। ক্ষমা না চাইলে তা বৃদ্ধি পেতে পেতে সর্বনাশ হয়ে যাবে। মায়া পাপের পর পাপ করাতে থাকবে। অসীম জগতের বাবার সঙ্গে অভদ্রতা করে ফেলে। এও অনেকে জানতে পারে না। বাবা সর্বদা বুঝিয়ে থাকেন, এ’টা মনে করো যে শিববাবা মুরলী চালিয়ে থাকেন। শিববাবা ডায়রেক্শন দেন তাই যেন স্মরণেও থাকে, ভয়ও থাকে। অনেক পাপ করে থাকে। পরিস্কার বলা উচিত যে বাবা, আমাদের এই ভুল হয়েছে। বাবা বোঝান, অনেক পাপের বোঝা মাথায় রয়েছে। যা কিছু করেছো তা বলে দাও। সত্য বললে অর্ধেক কম হয়ে যায়। বাবা বুঝিয়েছেন — যারা নম্বর ওয়ান পুণ্য আত্মা হয়, তারাই আবার নম্বর ওয়ান পাপাত্মা হয়। বাবা স্বয়ং বলেন — এ হলো তোমাদের অনেক জন্মেরও অন্তিম জন্ম। তোমরা পুণ্যাত্মা ছিলে, এখন আবার পাপাত্মা হয়েছো পুনরায় পুণ্যাত্মা হতে হবে। নিজেদের কল্যাণ করতে হবে। এখানে তোমাদের মাথা কোটারও দরকার নেই, কেবল বাবাকে স্মরণ করো। যদিও ইনিও বয়স্ক, নমস্কার করে। বাচ্চারা ঘরে প্রতি মুহূর্তে নমস্কার করে নাকি! একবার নমস্কার করা হলে পরে রেসপন্ডও করা হয়। বাবা বলেন — তোমরা আমাকে বড় মনে করে নমন করে। আমি আবার তোমাদের বিশ্বের মালিক মনে করে নমন করে থাকি, অর্থ আছে, তাই না! মানুষ তো রাম-রাম বলে দেয় কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। বাস্তবে রাম অর্থাৎ শিববাবা। রাম সেই রঘুপতি নয়, ইনি হলেন রাম নিরাকার। ওঁনার নাম হলো শিববাবা। শিবের সামনে কেউ এইরকম বলবে না যে আমি রামের পূজা করি। এখন বাবা বলেন — তোমরা মন্দিরে গিয়ে বোঝাও যে এরাও মানুষ। তোমরা এনাদের সামনে গিয়ে মহিমা করো — তুমি নির্বিকারী, সর্বগুণসম্পন্ন, আমরা পাপী, অধম। এই শরীরও মানুষের, ওই শরীরও মানুষের কিন্তু ওর মধ্যে দৈবীগুণ আছে তাই দেবতা। তোমরা নিজেরাই বলো — আমাদের মধ্যে আসুরীক গুণ রয়েছে সেইজন্য বাঁদর। চেহারা দু’জনেরই এক, চরিত্রে অন্তর রয়েছে। ভারতবাসীরাই মুকুটধারী ছিল। এখন তাজ নেই, গরীবও ভারতবাসীরাই। বাবাও ভারতেই আসেন, যেখানে স্বর্গ নির্মাণ করতে হয় বাবা সেখানেই আসবেন, তাই না! কথিতও রয়েছে, কলঙ্গি অবতার, কত কলঙ্ক লাগিয়ে দিয়েছে। যদি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও কিছু বলে, তারাও ভারতবাসীদের ফলো করে। প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ার জন্য আমাকেও পাথর-মাটির টুকরোয় বলে দেয়। বাবাকে জানেই না যে বাবা এঁনার মধ্যে প্রবেশ করে ভারতকে কতখানি মুকুটধারী করে দেন। ভারতেরই কত সেবা করে থাকে। বাবা বলেন, তোমরা আমার কত গ্লানি করো। আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক বানিয়ে দিই। তোমরা কত অপকার করো। রাবণ তোমাদের মতি (বুদ্ধি) কত নষ্ট করে দিয়েছে। দুর্গতি হয়ে গেছে, তবেই ডাকে পতিত-পাবন এসো। কত সহজ করে বোঝান। তবুও কত বাচ্চারা ভুলে যায়। যোগ নেই তাই ধারণাও হয় না, সেইজন্য বাবা বলেন বন্ধনে আবদ্ধ নারীরা (বাঁধেলিয়া) সবচেয়ে বেশি স্মরণ করে। শিববাবার স্মরণে থেকে সহ্যও করে। ভারতবাসীদের মধ্যে যারা দেবী-দেবতা হবে তারাই এখানে আসবে। আর্যসমাজীরা তো দেবতাদের মূর্তিকে মানেই না। বৃক্ষের একেবারে ওপরে থাকে শাখা তারপর হল ডালপালা, বড়জোর ২-৩ জন্ম হবে।

মানুষ মনে করে — বিকার বিনা দুনিয়া কিভাবে চলবে। আরে! দেবতাদের সম্পূর্ণ নির্বিকারী বলা হয়, তাই না! এও কারোর জানা নেই যে ওখানে বিকার হয়ই না। যারা পূর্ব-কল্পের তারা তৎক্ষণাৎ বুঝে যাবে। গায়নও আছে, ভগবানুবাচ – কাম মহাশত্রু। কিন্তু ভগবান কবে বলেছিলেন — তা কারোর জানা নেই। বাচ্চারা, এখন তোমরা জগতজীৎ হতে চলেছো। কিন্তু উচ্চপদ প্রাপ্ত করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। বাবা বলেন — গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে কেবল বুদ্ধিযোগ আমার সাথে যুক্ত করো। যখন বাবার হয়ে গেছো তখন বাবার প্রতি ভালবাসা থাকা উচিত। বাকি আর সকলের সঙ্গে কাজ বের করে নেওয়ার জন্য ভালবাসার সম্পর্ক রাখতে হবে। বুদ্ধিতে এই খেয়াল রাখতে হবে যে বেচারাদের স্বর্গবাসী কিভাবে বানাবো। সত্যিকারের যাত্রায় যাওয়ার জন্য যুক্তি বলে দিতে হবে। ও’টা হলো দৈহিক যাত্রা যা জন্ম-জন্মান্তর ধরে করে এসেছো। এ হলোই একমাত্র স্মরণের যাত্রা। এখন আমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে তারপর সত্যযুগের হিস্ট্রি রিপীট হবে। পতিত তো ঘরে ফিরে যেতে পারে না। পবিত্র হওয়ার জন্য পতিত-পাবন বাবাকে চাই। যদিও সন্ন্যাসীরা পবিত্র হয় কিন্তু ফিরে যেতে পারে না। সকলকে নিয়ে যান একমাত্র বাবা-ই। বাবা এসেই সকলকে রাবণের থেকে মুক্ত করে দেন। সত্যযুগে দুঃখ দেওয়ার মতন কোনো জিনিস থাকে না। নামই হলো সুখধাম। এ হলো দুঃখধাম। সে’টি হলো ক্ষীরসাগর, এ হলো বিষয়সাগর। এখন তোমরা জানো যে স্বর্গে কত সুখ আরামে থাকতাম। ক্ষীরসাগর থেকে বেরিয়ে বিষয় সাগরে কীভাবে আসি, তা কেউ জানে না। বাবা বোঝান যে শ্রীমতে চলতে হবে তারপর জবাবদারী হল বাবার। শ্রীমৎ বলে — হ্যাঁ অবশ্যই যাও, বাচ্চাদের দেখাশোনা করো। তাদের কাছে জ্ঞানের ভুঁ-ভুঁ করতে থাকো, তাহলে কিছু না কিছু কল্যাণ হয়ে যাবে। স্বর্গে চলে আসবে। বাবা এসে নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী করেন ২১ জন্মের জন্য। এও তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। মানুষ তো কিছুই জানে না। ইনিও প্রথমে কিছুই জানতেন না। যেমন এঁনার ৮৪ জন্মের কাহিনী আছে — “তত্বতম্” ইনিও রাজযোগ শিখছেন। তোমরা হলে রাজঋষি। ওরা হলো হঠযোগ ঋষি। তোমরা গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে রাজত্ব প্রাপ্ত করছো। তোমরা সকলে শরণাগত হতে এসেছো, তাই না! এখন বোঝো যে আমরা তো স্বর্গে বসে রয়েছি। দুনিয়ায় হলো মায়ার জৌলুস। যতক্ষণ নরকের বিনাশ না হবে ততক্ষণ স্বর্গ স্থাপন কীভাবে হতে পারে? মায়ায় আচ্ছন্ন পুরুষ (আত্মা) একেই স্বর্গ মনে করে নিয়েছে। বাবার নতুন দুনিয়া স্থাপন করতে কত পরিশ্রম হয়। সম্পূর্ণ নরকবাসী হয়ে গেছে। স্বর্গবাসী হয়ই না। বাবা কতখানি ভালোবেসে বোঝান। আচ্ছা! মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা রাবণের উপরে বিজয়লাভ করলেই তোমরা জগতজীৎ হবে। তারজন্য সম্পূর্ণরূপে পুরুষার্থ করতে হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এমন কোনো কাজ করবে না যাতে বেইজ্জতি হয়। সাজা খেতে হয়। মায়ার তুফানের পরোয়া না করে যতখানি সময় পাবে বাবাকে স্মরণ করতে হবে।

২ ) নিজের উচ্চ গতি তৈরীর জন্য সত্য পিতার কাছে সৎ হতে হবে। কোনো কথা লুকিও না।

বরদানঃ-

বাচ্চারা, তোমরা হলে অলমাইটি গভর্নমেন্টের (সর্বকতৃত্বসম্পন্ন সরকার) মেসেঞ্জার, সেইজন্য কারোর সাথে আলোচনা করে মাইন্ডকে ডিস্টার্ব কোরো না। স্মরণের মন্ত্রকে ব্যবহার করো। যেমন কেউ বাণীর দ্বারা বা অন্য কোনো উপায়ে যখন বশীভূত হয় না তখন মন্ত্র-তন্ত্র করা হয়। তোমাদের কাছে আত্মিক দৃষ্টির নেত্র আর ‘মন্মনাভব’-র মন্ত্র রয়েছে যার দ্বারা নিজেদের সঙ্কল্পকে প্রমাণিত করে সিদ্ধি-স্বরূপ হতে পারো।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top