29 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 28, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - যত ভালোবেসে যজ্ঞের সেবা করবে, ততই উপার্জন, সেবা করতে করতে তোমরা বন্ধন মুক্ত হয়ে যাবে, তোমাদের উপার্জনও জমা হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

নিজেকে সদা খুশীতে রাখার জন্য কোন্ যুক্তিকে আপন করে নিতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

নিজেকে সেবাতে ব্যস্ত রাখো তাহলে সদা খুশী থাকবে । তোমাদের উপার্জন হতে থাকবে। সেবার সময় আরাম করার খেয়াল আসা উচিত নয় । যত বেশী সেবা করার সুযোগ পাও, তাতেই খুশী হওয়া উচিত । সততার সাথে ভালোবেসে সেবা করো । এই সেবার সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের মধুরও হতে হবে । বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে কোনো অবগুণ থাকা উচিত নয় ।

গান:-

এই সময় চলে যাচ্ছে..

ওম্ শান্তি । একথা কে বলেছে ? বাবা বাচ্চাদের বলেছেন । এ হলো অসীম জগতের কথা । মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়, তখন মনে করে – এখন অনেক সময় চলে গেছে, বাকি অল্প সময় আছে, কিছু ভালো কাজ করে নিই, তাই বাণপ্রস্থ অবস্থাতে সৎসঙ্গে যায় । সত্যযুগে তো এমন কথা হয় না আর অল্প সময় বাকি আছে, জন্ম – জন্মান্তরের পাপের বোঝা মাথার উপরে আছে । এখনই বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো । ওরা তো সাধু সঙ্গ করে, কিন্তু কোনো লক্ষ্য পায় না তাই যোগযুক্ত হতে পারে না । বাকি পাপ অবশ্য কম হয় । বড় পাপ তো হয় বিকারের । কাজকারবার ছেড়ে দেয় । আজকাল তো এমন তমোপ্রধান অবস্থা যে বিকার ত্যাগই করতে পারে না । ৭০ – ৮০ বছর বয়সেও সন্তানের জন্ম দেয় । বাবা বলেন, এখন এই রাবণ রাজ্য শেষ হয়ে যাবে । সময় খুবই অল্প, তাই বাবার সঙ্গে যোগ লাগাতে থাকো আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে থাকো । ফিরে যাওয়ার জন্য অল্প কিছুদিনই বাকি আছে । মাথার উপর অনেক পাপের বোঝা, তাই যতটা সম্ভব সময় বের করে আমাকে স্মরণ করো । কাজকারবার ইত্যাদি কর্ম তো করতেই হবে, কেননা তোমরা হলে কর্মযোগী । এতে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে । এও পরের দিকে হবে । এমন মনে করো না যে, কেবল বৃদ্ধাদেরই স্মরণ করতে হবে । তা নয়, সকলের মৃত্যুই এখন নিকটে । এই শিক্ষা সকলের জন্য । ছোটো বাচ্চাদেরও বোঝাতে হবে । আমরা হলাম আত্মা, পরমধাম থেকে এসেছি । এ খুবই সহজ । গৃহস্থ ধর্মেরও পালন করতে হবে । গৃহস্থ জীবনে থেকেও শিক্ষা অর্জন করতে হবে । তারপর সেবাপরায়ণ হলে এমনিতেই বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে । বাড়ীর লোক তখন বলবে, তোমরা সেবা করো । আমরা বাচ্চাদের দেখভাল করবো অথবা দেখার লোক রেখে দেবো । তাই এতে তাদেরও লাভ । মনে করো ঘরে ৫ – ৬ টি বাচ্চা, স্ত্রী চায় যে আমি ঈশ্বরীয় সেবা করি, আর ভালো সেবা যদি করে তাহলে বাচ্চাদের জন্য দেখাশোনার লোক রেখে দিতে পারে, কেননা এতে নিজেরও কল্যাণ আর অন্যেরও কল্যাণ হবে । দুজনেই সেবাতে লেগে যেতে পারে । সেবার উপায় তো অনেকই আছে । সকাল এবং সন্ধ্যায় সেবা হতে পারে । দিনে মায়েদের ক্লাস হওয়া জরুরী । বি.কে দের সেবার সময় ঘুমানো উচিত নয় । এখানে তো যত বাবার যজ্ঞের সেবা করবে, ততই উপার্জন আর উপার্জন । এখানে লাভ অনেক । সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকা উচিত । প্রদর্শনীতে মানুষ অনেক ব্যস্ত থাকে । তারা বলে – বাবা, কথা বলতে বলতে গলা বুজে আসে, কেননা অনেকে হঠাৎ এসেই সেবা করে । যারা সবসময় এতো সেবা করে, তাদের গলা খারাপ হয় না । তাদের অভ্যাস হয়ে যায় তাই পরিশ্রম হয় না । আবার সবাই একরকম নয় । কেউ তো খুবই সৎ, তারা যত সেবা পায়, ততই খুশী হয়, কেননা তারা পরিবর্তে কিছু পায়, তাই খুব ভালোভাবে সেবাতে লেগে থাকে । তোমাদের খুবই মধুর হতে হবে, তোমাদের অবগুণ দূর হয়ে যাওয়া উচিত । শ্রীকৃষ্ণের মহিমার গায়ন হয় — সর্বগুণ সম্পন্ন, এখানে সকলের মধ্যে আসুরী গুণ । কোনো কমতি যেন না থাকে, তোমাদেরএমন মিষ্টি হতে হবে । তা তখনই হবে যখন সার্ভিস করতে পারবে । যেখানে খুশী গিয়ে তোমাদের সার্ভিস করতে হবে । রাবণের শৃঙ্খল থেকে সবাইকে মুক্ত করতে হবে । প্রথমে তো নিজের জীবন তৈরী করতে হবে । আমি যদি বসে যাই তাহলে অভাব আমারই হবে । প্রথমে তো এ হলো রুহানী সার্ভিস । কারোর ভালো করতে হবে, কাউকে নিরোগী, ধনবান, কাউকে আবার আয়ুষ্মান বানাতে হবে । সারাদিন এই খেয়াল চলতে থাকা উচিত । এই বাচ্চারাই হৃদয়ে অধিষ্ঠিত হতে পারে আর হৃদয় সিংহাসনে বিরাজিত হতে পারে । তোমাদের প্রথমে বাবার পরিচয় দিতে হবে । বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, তাঁকে জানো কি ? পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? পরিচয় করিয়ে দিলে তবেই তো বাবার প্রতি প্রেম তৈরী হবে । বাবা বলেন, আমি কল্পের সঙ্গম যুগে এসে নরককে স্বর্গ বানাই । কৃষ্ণ তো এই কথা বলতে পারে না । তিনি তো হলেন স্বর্গের প্রিন্স । তাঁর রূপ পরিবর্তন হতে থাকে । তোমাদের কল্প বৃক্ষের (ঝাড়) উপর বুঝিয়ে বলতে হবে । উপরে পতিত দুনিয়াতে ব্রহ্মা দাঁড়িয়ে আছেন । তিনি পতিত, তাই তাঁকে নীচে আবার তপস্যারত দেখানো হয়েছে । ব্রহ্মার বংশাবলীও রয়েছে । পরমপিতা পরমাত্মা এসেই আত্মাকে পতিত থেকে পাবন করেন । কৃষ্ণকেও শ্যাম সুন্দর বলা হয় কিন্তু অর্থ কেউ বুঝতেই পারে না । তোমরা বোঝাতে পারো – ইনি হলেন পতিত । এনার আসল নাম ব্রহ্মা নয়, যেমন তোমাদের সকলের নাম পরিবর্তন হয়েছে । তেমনই বাবাও এনাকে অ্যাডপ্ট করেছেন । না হলে শিব বাবা ব্রহ্মাকে কোথা থেকে এনেছেন । তাঁর তো স্ত্রী নেই । তাহলে অবশ্যই অ্যাডপ্ট করেছেন । বাবা বলেন, আমাকে এনার মধ্যেই প্রবেশ করতে হয় । প্রজাপিতা তো আর উপরে থাকতে পারেন না, এখানেই তাঁকে প্রয়োজন । প্রথমে তো এই নিশ্চয় চাই । আমি সাধারণ তনে আসি । গৌশালা নাম হওয়ার কারণে ষাঁড় আর গরুও দেখানো হয় । এখন গরুকে জ্ঞান দিয়েছেন বা গরু চড়িয়েছেন, একথা লেখা নেই । চিত্রতে শ্রীকৃষ্ণকে গোয়ালা বানিয়ে দিয়েছে । এমন এমন কথা অন্য কোনো ধর্মে নেই, যতটা এই ধর্মে আছে । এই সবই ভক্তিমার্গে নির্ধারিত রয়েছে । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ আর নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে । বাবা বোঝান যে – এই সৃষ্টিচক্রকে জানলেই তোমরা ভবিষ্যতে প্রিন্স – প্রিন্সেস হতে পারবে । অমরলোকে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে । তোমরা যা কিছুই পড়ো, তা ভবিষ্যতের নতুন দুনিয়ার জন্য । তোমরা এই পুরানো শরীর ত্যাগ করে ধনবান রাজ পরিবারে জন্ম নেবে । প্রথমে বাচ্চা হবে তারপর বড় হয়ে একনম্বর মহল তৈরী করবে । ততত্বম । শিব বাবা বলেন, এই মাম্মা – বাবা যেমন খুব ভালোভাবে পড়েন, তোমরাও পড়ো, তাহলে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে । রাতে জাগো, বিচার সাগর মন্থন করো, তাহলে খুশীতে থাকতে পারবে । ওই সময়ই খুশীর পারদ চড়তে থাকে । দিনে তো কাজকারবারের বন্ধন থাকে । রাতে তো কোনো বন্ধন নেই । রাতে যদি বাবাকে স্মরণ করে ঘুমাতে যাও তাহলে ভোরবেলা বাবাই জাগিয়ে দেবেন । অনেকে এমন অনেক অনুভবের কথাও অনেকে লিখে থাকে । সাহসী বাচ্চারা থাকলে বাবা তো সাহায্যকারী হবেনই । নিজের উপর খুব নজর রাখো । সন্ন্যাসীদের ধর্ম পৃথক । যেই ধর্মের যতটা বংশলতিকা থাকবে, বৃক্ষও ততটাই বড় হবে । যারা অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়ে গেছে, তারা আবার নিজের ধর্মে ফিরে আসবে । মনে করো সন্ন্যাস ধর্মের এক বা দুই কোটি অ্যাক্টর, আবার তেমনই হবে । এই ড্রামা সম্পূর্ণ সঠিক বানানো আছে । কেউ কোনো ধর্মে, কেউ আবার অন্য কোনো ধর্মে কনভার্ট হয়ে গেছে । তারা সবাই নিজের নিজের ধর্মে ফিরে আসবে । এই জ্ঞান বুদ্ধিতে বসে যাওয়া উচিত ।

এখন আমরা বলি যে, আমি আত্মা, শিব বাবার সন্তান । এই সম্পূর্ণ বিশ্ব আমার । আমি রচয়িতা শিব বাবার বাচ্চা হয়েছি । আমি এই বিশ্বের মালিক । এই কথা বুদ্ধিতে আসা উচিত, তাহলে অগাধ খুশী থাকবে । অন্যদেরও খুশীর দান করতে হবে, পথ বলে দিতে হবে । তোমাদের দয়ালু হতে হবে । যে গ্রামে থাকো, সেখানেও সার্ভিস করা উচিত । সবাইকে নিমন্ত্রণ দিতে হবে, বাবার পরিচয় দিতে হবে । যদি বেশী করে বোঝাতে চাও, তাহলে বলো, এই সৃষ্টিচক্র কিভাবে ঘোরে, এও তোমাদেরই বোঝানো হয় । এই সেবা তো অনেকই আছে কিন্তু কখনো – কখনো ভালো ভালো বাচ্চাদের উপরও গ্রহের দশা এসে যায়, তাদের তখন বোঝার শখ থাকে না । না হলে বাবাকে লেখা উচিত — বাবা, সার্ভিস করেছি, তার রেজাল্ট এই বের হয়েছে, এমন – এমনভাবে বুঝিয়েছি । তাহলে বাবাও খুশী হয়ে যাবেন । তিনি মনে করবেন, এর সেবার শখ আছে । কখনো মন্দিরে, কখনো শ্মশানে, কখনো চার্চে তোমাদের চলে যাওয়া উচিত । ওদের জিজ্ঞেস করা উচিত, গড ফাদারের সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? তিনি যখন বাবা, তখন তোমাদের মুখে বলা উচিত – আমরা তাঁর বাচ্চা । হেভেনলী গড ফাদার যখন বলা হয় তখন তিনি অবশ্যই হেভেন রচনা করবেন । এ কতো সহজ । ভবিষ্যতে অনেক বিপর্যয় আসবে । মানুষের বৈরাগ্যও আসবে । রমজানের সময় মানুষের মনে বৈরাগ্য আসে । ব্যস্, দুনিয়ার এমন অবস্থা হয়ে যাবে । এমন অবস্থায় কেন ভগবানকে ধরার পথ ধরবো না । মানুষ এমন অবস্থায় গুরুদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, এই বন্ধন থেকে মুক্তির উপায় বলে দাও ।

তোমাদের নিজেদের বাচ্চাদের পালনাও করতে হবে, আর সার্ভিসও করতে হবে । মাম্মা – বাবাকে দেখো, তাঁদের কতো সন্তান । সে হলো জাগতিক গৃহস্থ পরিবার, আর এই বাবা তো হলেন অসীম জগতের মালিক । তিনি অসীম জগতের এই আত্মা রূপী ভাই – বোনেদের বুঝিয়ে বলেন । এ হলো সকলের অন্তিম জন্ম । বাবা তোমাদের হীরের মতো বানাতে এসেছেন । তাহলে তোমরা আবার কড়ির পিছনে কেন পড়ে আছো । সকাল – সন্ধ্যা তোমরা হীরের মতো হওয়ার সার্ভিস করো । দিনে কড়ির ব্যবসা করো । যাদের বুদ্ধি সেবার প্রতি থাকবে, তাদের বুদ্ধিতে প্রতি মুহূর্তে বাবার কথা স্মরণে আসতে থাকবে, তখন তাদের এই অভ্যাসও হয়ে যাবে । যার কাছে কাজ করবে তাদেরও লক্ষ্য দিতে থাকবে, কিন্তু কোটিতে কয়েকজনই বের হবে । আজ নয় তো কাল মনে করবে, আমাকে অমুক বন্ধু এই কথা বলেছিলো । পদ যদি প্রাপ্ত করতে হয় তাহলে সাহস রাখা উচিত । ভারতের সহজ যোগ আর জ্ঞান তো বিখ্যাত, কিন্তু তা কেমন ছিলো, কি ছিলো, একথা কেউই জানে না । এই উৎসব – পার্বণ সবই এই সঙ্গম যুগের । সত্যযুগে হলো তো রাজত্ব । হিস্ট্রি হলো সম্পূর্ণ সঙ্গম যুগের । সত্যযুগের দেবতারা কোথা থেকে রাজত্ব পেয়েছিলেন, এও এখনই জানতে পারা গেছে । তোমরা জানো যে, যে যেমন সার্ভিস করবে, তার উপরে আমরাই রাজত্ব গ্রহণ করি, আবার আমরাই হারিয়ে ফেলি । এখন তো প্রদর্শনীর সার্ভিস বৃদ্ধি পাচ্ছে । গ্রামে গ্রামে প্রজেক্টরও যাবে । এই সার্ভিস খুবই বিস্তার লাভ করবে । বাচ্চাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে । তখন এই ভক্তিমার্গের আর মূল্য থাকবে না । এও ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে । এমন নয় যে – এ কি হলো ! এমন না করলে এমন হতো ! এও বলতে পারবে না । যা অতীত হয়ে গেছে তা সঠিক, আর ভবিষ্যতের জন্য সাবধান । মায়া যেন কোনো বিকর্ম না করায় । মনের তুফান তো আসবে, কিন্তু কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো বিকর্ম ক’রো না । অপ্রয়োজনীয় সঙ্কল্প তো অনেক আসবে, তবুও পুরুষার্থ করে শিব বাবাকে স্মরণ করতে থাকো । তোমরা হার্টফেল হয়ে যেও না । কোনো কোনো বাচ্চা লেখে যে – বাবা, পনেরো – কুড়ি বছর ধরে অসুস্থতার কারণে পবিত্র থাকি, তবুও মনের মধ্যে খারাপ খারাপ জিনিস চলতে থাকে । বাবা লেখেন, তুফান তো অনেকই আসবে, মায়া বিচলিত করবে, কিন্তু তোমরা বিকারে যেও না । এ তোমাদেরই বিকর্মের হিসেব – নিকেশ । যোগবলের দ্বারাই এই বিকর্ম ভস্ম হবে, ভয় পেও না । মায়া বড় বলবান । কাউকেই ছাড়ে না । সেবা তো অনেক আছে, যে যত করতে পারবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দিনে শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম আর সকাল – সন্ধ্যা জীবনকে হীরের তুল্য বানানোর আধ্যাত্মিক সেবা অবশ্যই করতে হবে । সবাইকে রাবণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে ।

২ ) মায়া যেন কোনো বিকর্ম না করায়, এতে খুবই সাবধান থাকতে হবে । কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো বিকর্ম করবে না । আসুরী অবগুণ দূর করতে হবে ।

বরদানঃ-

তপস্যার চার্টে নিজেকে সার্টিফিকেট দেওয়ার তো অনেকেই আছে, কিন্তু সকলের সন্তুষ্টতার সার্টিফিকেট তখনই প্রাপ্ত হয়, যখন অন্তরের তপস্যা থাকবে, সকলের প্রতি হৃদয়ের স্নেহ থাকবে, নিমিত্ত ভাব আর শুভ ভাব থাকবে । এমন বাচ্চারা সকলের শুভেচ্ছার অধিকারী হয়ে যায় । কম করে ৯৫% আত্মারা যেন সন্তুষ্টতার সার্টিফিকেট দেয়, সকলের মুখ থেকে যেন নির্গত হয় যে, হ্যাঁ এ হলো এক নম্বর, এমন সকলের হৃদয়ের শুভ কামনার সার্টিফিকেট যারা প্রাপ্ত করে, তারাই বাবার সমান হয় ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top