29 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 28, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - কারো সাথে তোমাদের বেশি তর্ক বিতর্ক করা উচিত নয়, শুধুমাত্র সবাইকে বাবার পরিচয় দাও"

প্রশ্নঃ --

অসীম জগতের বাবার প্রকৃত সন্তান (মাতেলে) এবং সৎ সন্তান উভয়ই আছে, কিন্তু প্রকৃত বা মাতেলে সন্তান কারা ?

উত্তরঃ -:-

যারা বাবার শ্রীমতে চলে, পবিত্রতার রাখি প্রকৃত অর্থেই বেঁধেছে। দৃঢ়তা আছে যে নিশ্চিত রূপেই অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করব। এমনই নিশ্চয় বুদ্ধিসম্পন্ন বাচ্চারা মাতেলে সন্তান। আর যারা মনমত অনুযায়ী চলে, কখনও নিশ্চয়, কখনও সংশয়, প্রতিজ্ঞা করেও ভঙ্গ করে দেয় তারা হচ্ছে সৎ সন্তান (সৌতেলে)। সুসন্তানদের কাজ হল বাবার প্রতিটি কথাকে মান্য করা। বাবা প্রথম মত দেন যে মিষ্টি বাচ্চারা, এখন প্রতিজ্ঞার সত্য রাখি বাঁধো, বিকারী বৃত্তি সমাপ্ত করো।

গান:-

জাগো সজনীরা জাগো..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গানের অর্থ তো বুঝতে পেরেছে। নতুন সৃষ্টি, নতুন যুগ আর পুরানো সৃষ্টি, পুরানো যুগ। পুরানো সৃষ্টির পর নতুন সৃষ্টি হয়। নতুন সৃষ্টি রচনা করেন পরমপিতা পরমাত্মা তারপর তাঁকে ঈশ্বর বলো বা প্রভু বলো। ওঁনার নাম অবশ্যই করতে হবে। শুধু প্রভু বললে কার সাথে যোগযুক্ত হবে, কাকে স্মরণ করবে ? মানুষ তো বলে ওঁনার নাম রূপ দেশ কাল কিছুই নেই। ওঁনার শিব নাম ভারতে প্রসিদ্ধ, যাঁর শিবরাত্রি পালন করা হয়,ওঁনাকেই বাবা বলা হয়। বাবার পরিচয় পেলেই তাঁর সাথে বুদ্ধি যুক্ত হবে। কারো সাথে বেশি তর্ক বিতর্ক করা বেকার হবে। প্রথমে অসীম জগতের বাবার পরিচয় দিতে হবে। তিনি মনুষ্য সৃষ্টি কীভাবে, কখন আর কেমন রচনা করেন। লৌকিক বাবা তো সত্যযুগ থেকে শুরু করে কলিযুগের শেষ পর্যন্ত পাওয়াই যাবে। কিন্তু স্মরণ পারলৌকিক বাবাকেই করা হয়। তিনি পরমধাম নিবাসী পিতা। পরমধামকে কখনও স্বর্গ মনে ক’রো না। সত্যযুগ তো হল এখানকার ধাম। পরমধাম হল যেখানে পরমপিতা পরমাত্মা আর আত্মারা নিবাস করে। যখন সমস্ত আত্মাদের পিতা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, তাহলে বাচ্চাদের স্বর্গের রাজত্ব নেই কেন ? হ্যাঁ, স্বর্গের বাদশাহী একসময় অবশ্যই ছিল। নতুন দুনিয়া নতুন যুগ ছিল। এখন দুনিয়া পুরানো হয়ে গেছে, যুগও পুরানো হয়ে গেছে। বাবা এসে স্বর্গ রচনা করেছিলেন, এখন সেটা নরকে পরিণত হয়েছে। কে নরক তৈরি করেছে আর কবে বানিয়েছে? মায়া রাবণ নরক করে তুলেছে ? ভারতবাসীদের তো এই জ্ঞান দেওয়া খুব সহজ কেননা ভারতবাসীরাই রাবণ দহন করে, শুধু এর অর্থ জানে না। কিন্তু সবাই ভগবানকে স্মরণ করে। কিন্তু ওঁনার সম্পর্কে কিছু না জানার কারণে বলে থাকে তিনি সর্বব্যাপী। নাম রূপহীন, অন্তহীন তিনি। ওঁনার অন্ত পাওয়া যায় না, সেইজন্যই মানুষ আশাহীন আর নিরুৎসাহী হয়ে গেছে। নিরুৎসাহী তো হতেই হবে। ওঁনার আসার, স্বর্গ রচনা করার একটা সময় আছে। এখন বাবা বলছেন আমি আবার এসেছি। ভক্তরা ভগবানের কাছ থেকে ফল তো অবশ্যই পেয়ে থাকে। ভগবানকে এখানে এসেই ফল দিতে হয় কেননা সবাই পতিত হয়ে গেছে। ওখানে তো পতিত যেতে পারবে না সেইজন্যই আমাকে আসতে হয়। আমাকে আহ্বান করে থাকে। ভক্তদের ভগবান চাই । ভগবানের কাছে কি পাবে ? মুক্তি জীবনমুক্তি। সবাইকে দেবেন না, যারা পুরুষার্থ করবে তাদেরকেই দেবেন। এতো কোটি কোটি আত্মা সবাই কি উত্তরাধিকার পাবে ? যখন কেউ আসবে তাকে বলো বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, আমরা অনুভবী। আমরা ভগবানকে এখানে খুঁজলেও পাবো না। ওঁনাকে নিজের সময়ানুসারে আসতে হবে। আমরাও প্রথমে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। জপ-তপ, তীর্থ ইত্যাদি অনেক করেছি, অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। ওঁনাকে নিজের সময়ানুসারে পরমধাম থেকে আসতে হয়। আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের ৮৪ জন্ম নিতে হয়। ৫ বর্ণও প্রসিদ্ধ। এখন হল শূদ্র বর্ণ, এরপর ব্রাহ্মণ বর্ণ। বর্ণ সম্পর্কেও ভালোভাবে বোঝাতে হবে। বিরাট রূপেও বর্ণ থাকে । ব্রাহ্মণদেরও বর্ণ আছে, মানুষের সেটাজানা নেই। সুতরাং সর্বপ্রথমে বাবার পরিচয় দিতে হবে যে বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা আর আমরা হলাম ব্রহ্মাকুমার কুমারী। বাবা এসে ব্রাহ্মণ রচনা করেন তবেই আমরা দেবতা হয়ে উঠি। প্রজাপিতা ব্রহ্মা নাম, ওনার মুখের দ্বারাই ব্রাহ্মণ রচনা করেন। ব্রহ্মার পিতা হলেন শিববাবা। এ হল ঈশ্বরীয় কুল। যেমন কৃপালনি কুল, বাসবানি কুল হয়, ঠিক তেমনই তোমাদের এখন ঈশ্বরীয় কুল। তোমরা হলে তাঁর সন্তান, যারা প্রকৃত অর্থেই ব্রাহ্মণ, যারা পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করেছ। যদিও বাচ্চা তো সবাই কিন্তু তার মধ্যে কেউ মাতেলে, কেউবা সৌতেলে সন্তান। যারা মাতেলে অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে বাবার সন্তান, তাদের তো পবিত্রতার রাখি বাঁধাই আছে। রাখি বন্ধনের উৎসব আছে না, সব এই সঙ্গম যুগের ঘটনা, দশহরাও সঙ্গম যুগের। বিনাশের পরেই দীপাবলি আসে, সবার জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে। কলিযুগে সবার জ্যোতি নিভে গেছে।

বাবাকে মাঝিও বলা হয়, মালিও বলা হয়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে মাঝি বা মালি বলা হয় না। বাবা এসে নিজের বাগানের বাচ্চাদের দেখেন। এর মধ্যে কেউ গোলাপ, কেউ চাঁপা, কেউবা লিলি ফুল। প্রত্যেকের মধ্যে জ্ঞানের সুগন্ধ আছে। তোমরা এখন কাঁটা থেকে ফুল হচ্ছো। এখানে হল কাঁটার জঙ্গল। কত ঝগড়া, মারামারি ইত্যাদি হয় কেননা সবাই নাস্তিক, অনাথ হয়ে গেছে। এমন কোনো ধনী নেই যে তাদের মত প্রদান করে ধনী করে তুলবে। ধনীকে কেউ-ই জানে না। সুতরাং ধনীকে অবশ্যই আসতে হয়। বাবা এসেই ধনবান করে তোলেন। মানুষ চায় এক ধর্ম, এক রাজ্য হোক, পবিত্র হোক। সত্যযুগে একটাই ধর্ম ছিল ! এখন তো দুঃখধাম হয়ে গেছে। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ বর্ণে ট্রান্সফার হয়ে তারপর দেবতা বর্ণে যাবে। তারপর এই পতিত সৃষ্টিতে আসবে না। ভারত হল সবচেয়ে উচ্চ খন্ড। যদি গীতাকে খন্ডন না করত তবে এই ভারত সম্পর্কে কোথায় উঠে যেতে পারত ! শিবের মন্দিরে যায় তাইনা। ঐ মন্দির বেহদের পিতার মন্দির কেননা তিনিই সদ্গতি দিয়ে থাকেন। অনাথদের তিনি ধনবান করে তোলেন। এইসব বিষয় বাবা ছাড়া আর কেউ বোঝাতে পারবে না। ওরা সবাই হচ্ছে ভক্তি শেখানোর জন্য। ওখানে জ্ঞানের কোনো বিষয় নেই। জ্ঞানের সাগর সদ্গতি দাতা একজনই বাবা। মানুষ কখনো সদ্গতির জন্য গুরু হতে পারে না। এমনিতে কেউ যখন কোনো বিষয়ে দক্ষতা শেখান তাকে গুরু বলা হয়। কিন্তু ঐ গুরু সম্পূর্ণ সৃষ্টির সদ্গতি করতে সক্ষম নয়। যদিও বলে থাকে আমরা সাধু সন্তদের কাছ থেকে শান্তি পাই, কিন্তু সেটাও অল্প সময়ের জন্য। সন্ন্যাসীরা এটাও বলে থাকে স্বর্গের সুখ কাক-বিষ্ঠার সমান। তবে তো সন্ন্যাসীদের কাছে যে শান্তি পাওয়া যায় সেটাও কাক-বিষ্ঠার সমান হবে। মুক্তি তো পাওয়া যায় না তাইনা। মুক্তি-জীবনমুক্তি দাতা একমাত্র বাবা। শ্রী কৃষ্ণের প্রতি সবারই অধিক ভালোবাসা আছে, কিন্তু তাকে সম্পূর্ণ রূপে জানে না। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন সত্যযুগে কৃষ্ণপুরী ছিল, এখন কংসপুরী হয়ে গেছে। এখন বাবা এসে পুনরায় কৃষ্ণপুরী তৈরি করছেন। তারপর অর্ধকল্প পরে রাবণ রাজ্য নরক হয়ে যায়। অর্ধকল্প থাকে সুখ আর অর্ধকল্প দুঃখ। বেশি সময় ধরেই সুখ, কিন্তু সুখ-দুঃখের খেলা তো চলতেই থাকে। একেই সৃষ্টি চক্র বলা হয় বা হার জিতের খেলা বলা হয়। সন্ন্যাসীরা মনে করে আমরা মোক্ষ লাভ করব। কিন্তু মোক্ষ কেউ-ই পেতে পারে না। এই রহস্যকে কেউ-ই জানে না। মুক্তি এবং জীবনমুক্তি বাবা ছাড়া কেউ দিতে পারে না। তোমরা নিজেদের রাজধানী এখন স্থাপন করছ তাইনা। এখানে দেখো শুধুই দুঃখ আর দুঃখ। এখন আমরা বাবার সহয়তায় স্বর্গ তৈরি করছি, তারপর আমরাই মালিক হয়ে রাজত্ব করব আর বাকি সবাইকে মুক্তিধামে পাঠিয়ে দেব। ওরা তারপর নিজ-নিজ সময়ানুসারে আসবে। যখন ওরা নামবে প্রথমে সুখ অনুভব করবে তারপর দুঃখের মধ্যে আসবে। ভক্তি মার্গে জপ-তপস্যা, মালা জপা ইত্যাদি করে থাকে তাইনা। বলেও থাকে একজনকেই স্মরণ করা উচিত। এরজন্য দেহ-অভিমানকে ত্যাগ করতে হয়, কিন্তু কেউ ত্যাগ করে না। বাবা বলেন এখন সবাইকে ফিরে যেতে হবে। বাবা বাচ্চাদের সাথেই কথা বলেন। বাচ্চাদের মধ্যেও কেউ সৌতেলে কেউবা মাতেলে হয়। সৌতেলে তারাই হয় যারা পবিত্রতার রাখি বাঁধে না। মাতেলেদের নিশ্চয় আছে যে আমরা তো অবিনাশী উত্তরাধিকার নিয়েই ছাড়ব। এখানেও কেউ-কেউ অসফল হয়ে যায়। অপরিপক্ক, পরিপক্ক তো নম্বরানুসারে হয়। যে পাক্কা হবে সে স্ত্রী, সন্তান সবাইকে নিয়ে আসবে, নিজের সমান করে তুলবে। হাঁস আর বক তো একত্রে থাকতে পারে না। বাবার উপর অনেক বড় দায়িত্ব। সবাইকে পবিত্র করে তোলা– এটা বাবার কাজ, সেইজন্যই বাবা বলেন দুটো চাকা একসাথে চলো। স্ত্রী এবং স্বামী একসাথে চললে গাড়ি সঠিকভাবে চলে। চলো আমরা দু’জনেই পবিত্রতার হাত বাঁধি। এখন আমরা পবিত্র হয়ে বাবার কাছ থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকার নেবো। যখন ব্রহ্মার সন্তান হয়েছি তখন থেকে আমরা ভাই-বোন হয়ে গেছি। এরপর ক্রিমিনাল অ্যাসল্ট হতে পারে না। বিকারেও যেতে পারবে না। ঈশ্বরীয় ‘ল এটাই বলে। এখন বাবা বলছেন বিষ পান করা এবং করানোর বৃত্তি ত্যাগ করতে হবে। আমরা এখন একে অপরকে জ্ঞানের অমৃত পান করাব। আমরাও বাবার কাছ থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার নেব। সুসন্তানের কাজ হল বাবার কথা শোনা। যে শোনে না সে কুপুত্র বলে প্রমাণ হয়। কুপুত্রদেরকে উত্তরাধিকার দিতে বাবা অবশ্যই টালবাহানা করবেন। তোমরা ব্রাহ্মণরা দেবতা হতে চলেছ, সুতরাং তোমাদের নিজের স্ত্রীদেরকেও জ্ঞান অমৃত পান করানো উচিত। যেমন ছোট বাচ্চাদের নাক চেপে ওষুধ খাওয়ানো হয়। স্ত্রীকে বলো যে তুমি কি মানো যে তোমার এই পতি তোমার গুরু ঈশ্বর ? তবে তো নিশ্চয়ই আমি তোমার সদ্গতিই করব তাইনা! পুরুষ খুব তাড়াতাড়ি স্ত্রীকে নিজের সমান করে তুলতে পারে। কিন্তু স্ত্রী, পুরুষকে চট করে নিজের সমান করে তুলতে পারে না, সেইজন্যই অবলাদের উপরে খুব অত্যাচার হয়। কন্যাদের খুব মার খেতে হয়। তোমাদের রক্ষা গভর্নমেন্টও করতে পারবে না। কুপুত্র হলে উত্তরাধিকার হারাবে। ওখানে লৌকিক বাবার কাছ থেকে সীমিত উত্তরাধিকার পেয়ে থাকে আর এখানে সুপুত্ররা অসীমের পিতার কাছ থেকে অসীমিত উত্তরাধিকার পেয়ে থাকে। একে বলাই হয় দুঃখধাম। এখানে তোমাদের সোনাও পড়া উচিত নয়, কেননা এই সময় তোমরা ভিখারি। পরবর্তী জন্মে তোমরা সোনার মহল পেয়ে থাকো। রত্ন জড়িত মহল হবে। তোমরা জানো আমরা এখন বাবার কাছ থেকে ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার নিচ্ছি। ভক্তি মার্গে আমি শুধুমাত্র ভাবনার ফল দিয়ে থাকি। ওরা তো জানে না যে শ্রী কৃষ্ণের আত্মা কোথায় আছে। গুরু নানকের আত্মা কোথায় আছে। তোমরা জানো – ওরা সবাই পুনর্জন্ম নিতে নিতে তমোপ্রধান হয়ে গেছে। ওরাও এই সৃষ্টি চক্রের ভিতরেই আছে, তমোপ্রধান সবাইকেই হতে হবে। শেষে বাবা এসে সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এখন পবিত্রতার শিকল বাঁধতে হবে। দেহ-অভিমান ত্যাগ করে বিকারী বৃত্তির পরিবর্তন করতে হবে।

২ ) বাবার শ্রীমতে চলে সুপুত্র (আজ্ঞাকারী) হতে হবে। জ্ঞান অমৃত পান করতে হবে আর পান করাতেও হবে। নিজের মধ্যে জ্ঞানের সুগন্ধকে ধারণ করে সুগন্ধী ফুল হতে হবে।

বরদানঃ-

মায়া প্রবেশ করার যে দরজা রয়েছে তাতে স্মরণ আর সেবার ডবল লক লাগাও। যদি স্মরণ আর সেবা করার সময়ও মায়া এসে হাজির হয় তবে স্মরণ অথবা সেবায় ত্রুটি অবশ্যই ছিল। যথার্থ সেবা সেটাই যেখানে কোনো রকম স্বার্থ নেই। নিঃস্বার্থ সেবা না হলে লক আলগা হয়ে যায়। স্মরণও শক্তিশালী হওয়া উচিত। এমনই ডবল লক হলে নির্বিঘ্ন হতে পারবে। তবেই কেন, কি-র ব্যর্থ ফিলিং-এর ঊর্ধে উঠে ফিলিংপ্রুফ আত্মা হতে পারবে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য –

বাস্তবে জ্ঞান প্রাপ্ত করা তো এক সেকেন্ডের কাজ কিন্তু মানুষ যদি এক সেকেন্ডের মধ্যে

বুঝতে পারে তবে তাদের জন্য এক সেকেন্ডই লাগে। শুধুমাত্র নিজের স্বধর্মকে জানা যে আসলে আমি একজন শান্ত স্বরূপ আত্মা আর পরমাত্মার সন্তান। এটা বোঝা তো এক সেকেন্ডের বিষয় কিন্তু এটা নিশ্চয় করার জন্য কোনো হঠযোগ, কোনো জপ তপ কোনো রকমের সাধনা করা, কিছুরই প্রয়োজন পড়ে না, শুধুমাত্র নিজের অরিজিনাল রূপকে ধরতে হবে। এই যে আমরা এতো পুরুষার্থ করছি এসব কার জন্য ? এর জন্যও বোঝানো হয় যে, আমরা যে এতো পুরুষার্থ করছি সেটা শুধুমাত্র এই বিষয়ের উপরেই।নিজের প্র্যাকটিক্যাল জীবনকে তৈরি করার জন্য, বডি কনসাস থেকে সম্পূর্ণ রূপে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আমি একজন সোল, এই সোল কনসাস রূপে স্থিত হওয়া বা দৈবীগুণ ধারণ করার জন্য পরিশ্রম অবশ্যই করতে হয়। সেইজন্য আমরা প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্ক থাকি। এখন যত আমরা মায়ার থেকে সাবধান থাকব তারপর যত ঘটনাই আসুক না কেন মায়া কিন্তু আমাদের সামনে আসতে পারবে না। মায়া তখনই সামনে আসে যখন আমরা নিজেদের ভুলে যাই, এখন এই যে এতখানি মার্জিন রয়েছে তা কেবল প্র্যাকটিক্যাল লাইফ বানানোর জন্য । বাকি জ্ঞান সে তো সেকেন্ডের বিষয়। আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top