29 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 28, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে আত্মা রূপী পাণ্ডা, তোমাদের গৃহস্থ জীবনের দেখাশোনা করে, কমল পুষ্প সম হয়ে স্মরণের যাত্রা করতে এবং করাতে হবে"

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদের কোন্ ধরনের শৃঙ্গার করান ? কোন্ শৃঙ্গারের জন্য তিনি বারণ করেন ?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন, মিষ্টি বাচ্চারা — আমি তোমাদের আধ্যাত্মিক শৃঙ্গার করাতে এসেছি, তোমরা কখনোই শারীরিক শৃঙ্গার ক’রো না । তোমরা হলে বৈরাগী, তোমাদের ফ্যাশন করার শখ থাকা উচিত নয় । দুনিয়া খুব খারাপ, তাই শরীরের সামান্য ফ্যাশনও ক’রো না ।

গান:-

অবশেষে সেই দিন এলো আজ..

ওম্ শান্তি । অসীম জগতের পিতা বসে অসীম জগতের সন্তানদের বোঝান । অসীম জগৎ অর্থাৎ জাগতিক কিছুই নয় । এখানে কতো বাচ্চা । এতো অগণিত বাচ্চার একই বাবা, যাঁকে রচয়িতা বলা হয় । ওরা হলো জাগতিক বাবা, আর ইনি হলেন অসীম জগতের আত্মাদের পিতা । ওরা হলো জাগতিক শরীরের বাবা, আর ইনি হলেন অসীম জগতের আত্মাদের একমাত্র বাবা । যাঁকে ভক্তি মার্গে সব আত্মারা স্মরণ করে । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, যেমন ভক্তি মার্গও আছে, তেমনই সাথে – সাথে রাবণ রাজ্যও আছে । এখন মানুষ ডাকতে থাকে, আমাদের রাবণ রাজ্য থেকে রাম রাজ্যে নিয়ে চলো । বাবা বোঝান যে – দেখো, দেবী – দেবতা, যারা ভারতের মালিক ছিলেন, এখন তারা আর নেই । তারা কে ছিলেন, এখন এও তোমরা জানো । আমরাই সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী ঘরানার মালিক ছিলাম, এখন আর তা নেই । তারা কে ছিলেন, এও তোমরা এখন জানো । আমরাই সত্যযুগী সূর্যবংশী ঘরানার মালিক ছিলাম । রাজা – রানী তো ছিলো, তাই না । বাচ্চারা, তোমাদের এখন সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে । বাবা এসেছেন আমাদের মতো বাচ্চাদের রাজ্য – ভাগ্যের উত্তরাধিকার দান করতে, বিশ্বের মালিক বানাতে । বাবা বলেন – এখন সবাই ভক্তিমার্গে আছে, ভক্তি মার্গকেই রাবণ রাজ্য বলা হয় । বাচ্চারা, জ্ঞান মার্গ একমাত্র বাবাই তোমাদের শেখান । ওই অসীম জগতের পিতাকে ভক্তিমার্গে সবাই স্মরণ করে । এখন তোমরা ২১ জন্মের জন্য জ্ঞানের রাজধানী পাও । এরপর অর্ধেক কল্প তোমরা আর ডাকবেই না । হায় রাম — হায় প্রভু বলার আর দরকারই থাকবে না । হায় রাম তখনই বলে, যখন মানুষ দুঃখী হয় । তোমাদের ওখানে কোনো দুঃখই হয় না । এখন তোমরা জানো যে, এই খেলাও বানানো আছে । অর্ধেক কল্প হলো জ্ঞানের দিন, অর্ধেক কল্প হলো ভক্তির রাত । ভক্তি আমাদের নীচে নামিয়ে দেয় । বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে অবশ্যই সিঁড়ির জ্ঞানের প্রয়োজন । বাবা বোঝেন যে, এ হলো ৮৪ জন্মের চক্র, এই চক্রকে জানলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাবে, তাই বাবা চিত্রও বানাচ্ছেন যাতে সিদ্ধ হয়, আমরা এই চক্রকে জানলে ২১ জন্মের রাজ্য – ভাগ্য প্রাপ্ত করি । এখন তোমরা অনেক হয়ে গেছো । তোমরা এখন অনেক বড় আধ্যাত্মিক শক্তি সেনা হয়েছো । তোমরা সবাই হলে পাণ্ডা । বাবাও পাণ্ডা । তাঁকে বলা হয় গাইড । পাণ্ডা শব্দটি হলো শুভ । যাত্রায় যারা নিয়ে যায়, তাদের পাণ্ডা বলা হয় । যাত্রীরা যখন যায়, তখন তাদের এক গাইড দেওয়া হয় যে, এদের এইসব দেখাও । তীর্থ যাত্রাতেও পাণ্ডা পাওয়া যায় । বাবা বলেন – তোমরা জন্ম – জন্মান্তর ধরে তীর্থ যাত্রা করে এসেছো । মানুষ অমরনাথে যায়, তীর্থ করতে যায় । পরিক্রমা করে । সেখানে গেলে সেই কথাই স্মরণে থাকে । ঘরবাড়ি – কাজকারবার সবকিছুর থেকেই মন সরে যায় । এখানে তোমাদের বোঝানো হয়, ঘর – গৃহস্থতে থেকে কাজ কারবারও করতে থাকো, আবার এই গুপ্ত যাত্রাতেও থাকো । এ কতো ভালো । যত বড় বড় ব্যবসাই করতে হয়, তা করো । কারোর কোনো মানা নেই । নিজের রাজত্বও সামলাও । রাজা জনকও সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি পেয়েছিলেন । তোমাদের কোনো বাইরের যাত্রা ইত্যাদির দিকে ধাক্কা খাওয়ার প্রয়োজন নেই । নিজের বাড়িঘরেরও সম্পূর্ণ দেখাশোনা করার প্রয়োজন । যারা খুব সচেতন ভালো বাচ্চা, তারা বুঝতে পারে যে, আমাদের ঘর – গৃহস্থীতে থেকেই কমল পুষ্প সমান হয়ে থাকতে হবে । গৃহস্থ জীবনের প্রতি বিরক্ত হওয়া উচিত নয় । কুমার – কুমারীরা যেন সন্ন্যাসী, তাদের মধ্যে কোনো বিকার নেই । তারা পাঁচ বিকার থেকে দূরে থাকে । তোমরা বাচ্চারা এখন জানো যে, আমাদের শৃঙ্গার অন্য প্রকারের, ওদের আবার অন্য । ওদের হলো তমোপ্রধান শৃঙ্গার, তোমাদের হলো সতোপ্রধান শৃঙ্গার, যাতে তোমাদের সতোপ্রধান সূর্যবংশী রাজ পরিবারে যেতে হবে । বাচ্চারা, বাবা তোমাদের বোঝান – সামান্য তমোপ্রধান শারীরিক শৃঙ্গারও তোমরা করো না । দুনিয়া খুবই খারাপ । গৃহস্থ জীবনে থেকে ফ্যাশনবল হয়ো না । ফ্যাশন আকর্ষণ করে । এই সময় বাহ্যিক সৌন্দর্য ভালো নয় । কালো হলে সেও ভালো । কেউ অন্তত ফাঁদে ফেলবে না । মানুষ তো বাহ্যিক সৌন্দর্যের পিছনে ঘুরতে থাকে । কৃষ্ণকেও কালো দেখানো হয় । তোমাদের শিববাবার কাছে সুন্দর হতে হবে । ওরা তো পাউডার ইত্যাদি দিয়ে সুন্দর হয় । কতো ফ্যাশন, সেকথা আর জিজ্ঞাসা ক’রো না । বিত্তবানদের তো সর্বনাশ হয়ে যায় । গরীব এর থেকে ভালো । গ্রামে গিয়ে গরীবদের কল্যাণ করতে হবে, কিন্তু এই কথা বলার জন্য বড় মানুষেরও প্রয়োজন । তোমরা তো সকলেই গরীব, তাই না । কেউ বিত্তবান আছে কি ? তোমরা দেখো, কেমন সাধারণ ভাবে বসে আছো মুম্বাইতে দেখো, কতো ফ্যাশন লেগে আছে। বাবার সাথে দেখা করতে এলে বলি – তোমরা এই দেহের শৃঙ্গার করেছো, এখন এসো, তোমাদের জ্ঞান শৃঙ্গার করাই, যাতে তোমরা ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের পরী হয়ে যাবে । সদা সুখী হয়ে যাবে । তখন কখনোই কাঁদবে না, না দুঃখ হবে । এখন তোমরা এই শরীরের শৃঙ্গার ত্যাগ করো । তোমাদের আমি জ্ঞান রত্নের দ্বারা এমন এক নম্বর শৃঙ্গার করাবো, সেকথা আর জিজ্ঞাসা করো না । আমার কথা যদি শুনে চলো তাহলে তোমাদের পাটরানী বানিয়ে দেবো । এ তো ভালো, তাই না । আমি তোমাদের মতো সব ভারতবাসীদের এই আসুরী দুনিয়া নরক থেকে দূর করে স্বর্গের মহারাণী বানাই ।

বাচ্চারা, তোমরা বুঝতে পারো যে, আজ আমরা সাদা বা পবিত্র পোশাকে আছি, এর পরের জন্মে স্বর্গে সোনার চামচে দুধ পান করবো । এই দুনিয়া তো ছিঃ ছিঃ । স্বর্গ তো স্বর্গই, সেকথা আর জিজ্ঞেস করো না । তোমরা এখানে দরিদ্র । ভারত এখন দরিদ্র । দরিদ্র থেকে রাজকুমার… এমন গায়ন আছে । তোমরা এই ভারতেই আবার জন্মগ্রহণ করবে । বাবাই আমাদের স্বর্গের মালিক করেছিলো, এ হলো রাত – দিনের তফাৎ । মহান গরীব, যাদের খাবার জন্য কিছুই থাকে না, তাদেরই দান করা হয় । ভারতই হলো মহান গরীব । বেচারারা এও জানে না যে, এই সময় সব তমোপ্রধান । দিনে – দিনে সিঁড়ি নীচেই নামতে থাকে । এখন কেউই সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে পারে না । ১৬ কলা থেকে ১৪ কলা, তারপর ১২ কলা… নীচে নামতেই থাকে । এই লক্ষ্মী – নারায়ণও প্রথমে ১৬ কলা সম্পন্ন ছিলো, তারপর ১৪ কলায় নেমে যায়, তাই না । এও খুব ভালোভাবে মনে করতে হবে । সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে সম্পূর্ণ পতিত হয়ে গেছে । এরপর কে স্বর্গের মালিক বানাবে ? এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফির পুনরাবৃত্তি হয় । এও সবাই বলে থাকে, কিন্তু এরপর কোন হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি হবে, এ কেউই জানে না । শাস্ত্রে তো লিখে দিয়েছে এই সত্যযুগের আয়ু লক্ষ – কোটি বছর । জিজ্ঞেস করো, সত্যযুগ কবে আসবে ? বলবে, এখনো ৪০ হাজার বছর বাকি আছে । তোমরা সিদ্ধ করে বলো যে, কল্পের আয়ুই ৫ হাজার বছর । ওরা তো কেবল সত্যযুগকেই লাখ বছর দিয়ে দিয়েছে । এ তো ঘোর অন্ধকার, তাই না । তাহলে মানুষ কিভাবে মানবে যে, ভগবান এসেছেন । তারা মনে করে, যখন এই কলিযুগের অন্ত হবে, তখন ভগবান আসবেন । তোমরা বাচ্চারা এখন এইসব কথা বুঝতে পারো । বিনাশ সামনে উপস্থিত । বাচ্চাদের বোঝানো হয় যে, বিনাশের পূর্বে বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিয়ে নাও, কিন্তু মানুষ কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় নিদ্রিত হয়ে আছে । তাহলে বেচারারা হায় হায় করে মরবে । তোমাদের জয় জয়াকার হয়ে যাবে । বিনাশে ‘হায় – হায়’ ই হয় । বিপরীত বুদ্ধির যারা, তারা ‘হায় – হায়’ই করবে । তোমরা এখন হলে সত্যের সন্তান, সত্য । নরকের বিনাশ হওয়া ব্যতীত কিভাবে স্বর্গের স্থাপনা হবে । তোমরা বলবে যে, এ হলো মহাভারতের লড়াই । এর থেকেই স্বর্গের দ্বার খোলে । মানুষ তো কিছুই জানে না । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, এখন আমরা দৈবী স্বরাজ্যের মাখন পাচ্ছি । ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে থাকবে । ওরাও মানুষ, আর তোমরাও মানুষ, কিন্তু ওরা হলো আসুরী সম্প্রদায় আর তোমরা হলে দৈবী সম্প্রদায় । বাবা বাচ্চাদের সামনে বসিয়ে বুঝিয়ে বলেন । বাচ্চারা, তোমাদের অন্তরে খুশী থাকে । তোমরা অনেকবার এমন রাজধানী পেয়েছো, এখন তোমরা যেমন নিচ্ছো । ওরা নিজেদের মধ্যে দুই বিড়াল লড়াই করে । তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের বাদশাহীর মাখন পেয়ে যাও । তোমরা এখানে আসোই বিশ্বের মালিক হতে । তোমরা জানো যে, আমরা বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হয়ে কর্মাতীত অবস্থাকে প্রাপ্ত করবো । ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে, আর আমরা বিশ্বের বাদশাহী পেয়ে যাবো । এ তো সাধারণ কথা । ওরা বাহুবলীরা বিশ্বের বাদশাহী পেতে পারবে না । তোমরা যোগবলের দ্বারা বিশ্বের মালিক হও । তোমাদের হলো অহিংসা পরম দৈবী ধর্ম । দুই হিংসা ওখানে থাকে না । কাম কাটারির হিংসা সবথেকে খারাপ, যা তোমাদের আদি – মধ্য – অন্ত দুঃখ দেয় । এ কেউই জানে না যে, রাবণ রাজ্য কবে হয় । এখন ডাকতে থাকে —তুমি এসে আমাদের পবিত্র করো, তাহলে অবশ্যই কখনো পবিত্র ছিলে, তাই না । ভারতবাসী বাচ্চারাই ডাকে – আমাদের দুঃখ থেকে উদ্ধার করো, শান্তিধামে নিয়ে যাও । দুঃখ হরণ করে আমাদের সুখদান করো । কৃষ্ণকে হরিও বলা হয় । বাবা, আমাদের হরির দ্বারে নিয়ে চলো । হরির দ্বার হলো কৃষ্ণপুরী । এ হলো কংসপুরী । এই কংসপুরী আমাদের পছন্দ নয় । মায়া তার খেলা (মচ্ছন্দর ) দেখায় । এ তো তোমরা জানোই যে, মায়ার রাজ্য দ্বাপর যুগ থেকে শুরু হয় । দেবতারা, যারা পবিত্র ছিলো, তারা পতিত হতে শুরু করে, এই নিদর্শন জগন্নাথ পুরীতে আছে । দুনিয়াতে অনেক বেশী দুর্গন্ধ হয়ে গেছে । এখন আমরা তো এইসব বিষয় থেকে দূর হয়ে পরীস্থানে চলে যাই । এতে অনেক বেশী সাহস আর মহাবীর ভাব চাই । বাবার হয়ে পতিত হওয়াই যাবে না । ওরা মনে করে, স্ত্রী – পুরুষ একত্রিত থাকবে আর আগুন লাগবে না, এ হতেই পারে না, তাই হাঙ্গামা করে যে, এখানে স্ত্রী – পুরুষকে ভাই – বোন বানানো হয় । এ তো কোথাও লেখা নেই । জানা নেই যে, এখানে কি জাদু আছে । আরে, তোমরা ব্রহ্মাকুমারীদের কাছে যাবে, আর ব্যস, তোমাদের ওখানে বেঁধে রাখা হবে । এমন – এমন করে ওখানে ভুল বোঝানো হয় । এও ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ আছে । যার পার্ট থাকবে, সে যেভাবেই হোক এসে যাবে, এতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই । শিব বাবা তো জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন আর সকলের সদগতি দাতা । তিনি ব্রহ্মার দ্বারা পতিত আত্মাকে পবিত্র করেন । এই অক্ষর এমন বড় করে লেখো যাতে যে কেউ এসে পড়তে পারে । পবিত্রতার উপরই কতো বিঘ্ন উৎপন্ন করে ।

বাবা বলেন – বাচ্চারা, কোনো দেহধারীর প্রতি মোহের রং লাগা উচিত নয় । কোথাও যদি মোহের রং লাগে তাহলেই আটকে যাবে । এ তো ”মা মারা গেলেও হালুয়া খাও….”। বাবা সামনে বসিয়ে জিজ্ঞেস করেন, কাল তোমাদের কেউ মারা গেলে কাঁদবে না তো ? চোখে জল এলেই ফেল করে যাবে । এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করলে, এতে কান্নার কি আছে । অন্য কেউ শুনলে বলবে — মুখে তো ভালো কথা বলো । আরে ভালোই বলি । সত্যযুগে কোনো কান্নাকাটি থাকে না। তোমাদের এই জীবন তার থেকেও উঁচু । তোমরা সবাইকে কান্নার হাত থেকে বাঁচাও, তাহলে তোমরা কিভাবে কাঁদবে ? আমরা পতিরও পতিকে পেয়েছি, যে আমাদের স্বর্গে নিয়ে যান । তাহলে নরকে নামানোর জন্য আমরা কেন কাঁদবো ? উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য বাবা কতো মিষ্টি – মিষ্টি কথা শোনান । এই সময় ভারতের কতো অকল্যাণ হয়ে আছে । বাবা এসেই কল্যাণ করেন । ভারতকে অবনমিত দেশ বলা হয় । সিন্ধুর মতো ফ্যাশনবেল আর কিছুই নেই । তারা বিলেত থেকে ফ্যাশন শিখে আসে । আজকালকার মেয়েরা চুলের সৌন্দর্যের জন্য কতো খরচ করে । এদের বলা হয় নরকের পরী । বাবা তোমাদের স্বর্গের পরী বানান । ওরা বলে, আমাদের জন্য তো এই স্বর্গ, এই সুখ তো নিয়ে নিই । কাল কি হবে – আমরা কি জানি । এমন অনেক চিন্তাধারার মানুষ আসে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারনিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) প্রকৃত আত্মারূপী পাণ্ডা হয়ে সবাইকে ঘরে যাওয়ার পথ বলে দিতে হবে । শরীর নির্বাহের কারণে কাজ কারবার করেও স্মরণের যাত্রায় থাকতে হবে । কার্য – ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হবে না ।

২ ) জ্ঞান শৃঙ্গার করে নিজেকে স্বর্গের পরী বানাতে হবে । এই তমোপ্রধান দুনিয়াতে দেহের শৃঙ্গার ক’রো না । কলিযুগী ফ্যাশন ত্যাগ করতে হবে ।

বরদানঃ-

সহজযোগী জীবনের অনুভব করার জন্য জ্ঞান সহ পৃথক (অনাসক্ত/ন্যারা) হও, কেবল বাইরে থেকে পৃথক নয়, মনের আকর্ষণ যেন না থাকে । যে যত পৃথক হয়, সে ততই প্রিয় অবশ্যই হয়ে যায় । পৃথক অবস্থা প্রিয় লাগে । যে বাইরের আকর্ষণ থেকে পৃথক হতে পারে না, সে প্রিয় হওয়ার পরিবর্তে বিচলিত হয়। তাই সহজযোগী অর্থাৎ পৃথক আর প্রিয় হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন এবং সর্ব আকর্ষণ মুক্ত ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top