29 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 28, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা — এই ভারত ভূমি নিরাকার পিতার জন্ম-ভূমি, এখানেই বাবা আসেন তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে রাজ্য প্রদান করতে, তোমাদের সেবা করতে"

প্রশ্নঃ --

শিববাবা নিজের প্রত্যেক বাচ্চাদের দিয়ে কোন্ প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেন ?

 

উত্তরঃ -:-

মিষ্টি বাচ্চারা- প্রতিজ্ঞা কর যে, বাবা আমরা কোনো রকম বিকর্ম করব না। আমরা ৫ বিকার দান করছি । অন্তরে ভয় থাকা উচিত — যদি আমরা দান দিয়ে আবারও তাকে গ্রহণ করি তবে অনেক পাপের ভাগিদার হতে হবে, যার জন্য কড়া সাজা পেতে হবে। হরিশ্চন্দ্রের কাহিনীও এর উপরেই তৈরি হয়েছে।

ওম্ শান্তি । এখন বাচ্চাদের ঈশ্বরীয় স্টুডেন্ট লাইফ। বাচ্চারা জানে এখন আমরা ওঁনার (বাবা) কাছে এসেছি। উনিই কল্পে-কল্পে এসে ভারতবাসী বাচ্চাদের রাজ্য ভাগ্য প্রদান করেন। ভারতেই তিনি আসেন, তাইনা। এটা ভারত ভূমি। নিজের ভূমির প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর সম্মান থাকে। যেমন কোনো বিদেশী খ্যাতনামা মানুষ যদি এখানে মৃত্যুবরণ করেন তবে তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয় অথবা এখানের কোনো খ্যাত ব্যক্তি বিদেশে মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে এখানে (ভারতে) নিয়ে আসা হয়। নিজ ভূমির সম্মান রাখা হয়। ভারতকে বলা হয় ভগবানের জন্ম ভূমি। এটাও তোমরা জানো যাঁকে ভগবান, বা আল্লাহ্, পরমাত্মা বলা হয় তাঁর সামনেই তোমরা বসে আছ। নাম তো অবশ্যই প্রয়োজন হয়, তাই না ! আল্লাহ্ বলে, তবুও লিঙ্গের পূজা করে থাকে। ঈশ্বর বা খুদা বলা হয় যখন নিশ্চয়ই তার চিহ্নও থাকা উচিত, তাইনা। লিঙ্গকে সবাই পূজা করে। চিত্রতেও আজকাল দেবতাদের সামনে পরমাত্মার চিত্র লিঙ্গ রূপে দেখানো হয়। তিনিই হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম, উনি শরীরধারী নন তাই তাঁকে নিরাকার বলা হয়। তোমরা বাচ্চারা এখন জেনেছ আমরা ওঁনার সামনে কল্পে-কল্পে এসে হাজির হই — শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য। ভগবানুবাচ যখন তখন তিনি অবশ্যই রাজযোগ শিখিয়ে থাকেন । স্টুডেন্টদের রাজযোগ শিখিয়েছিলেন তারপর তারা রাজা রাণী হয়েছিল। এখানে লড়াই ইত্যাদির কোনও প্রশ্নই আসেনা। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ইত্যাদি দেবী-দেবতারা লড়াই করে বাদশাহী প্রাপ্ত করেনি। একদমই নয় । দুনিয়ার কেউ-ই জানে না যে এরা সত্যযুগে কীভাবে রাজ্য অধিকারী হয়েছিল। এখন তোমরা বাচ্চারা জান আমরা বাবার কাছ থেকে রাজ্য গ্রহণ করতে চলেছি। আমরা ওঁনার সামনে বসে আছি। তিনি বাবা, কৃষ্ণ নন। কৃষ্ণ তো ছোট বাচ্চা, তাঁর রচনা। এখন পুনরায় কৃষ্ণ নিজের পদ পেতে চলেছে যাকে ভবিষ্যতে কৃষ্ণ বলা হবে। এ’সবই হলো ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের বিষয়।

তোমরা জানো বাবা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন। যেমন মানুষ,মানুষকে ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি তৈরি করে থাকে। তারা তো মানুষই তাইনা। তোমরাও জানো যে আমরাও মানুষ, কিন্তু আমরা পতিত। বাবা এখন আমাদের পবিত্র করে তোলেন আর অবিনাশী উত্তরাধিকারীও দিয়ে থাকেন। পবিত্র দুনিয়াতো নতুন দুনিয়াতেই হবে। নতুন দুনিয়াতেই রাজত্ব । এখন তোমরা বাবার সামনে বসে আছ। যেমন লৌকিক বাবা বাচ্চাদের অতি স্নেহের সাথে বসে বুঝিয়ে থাকে, আর ইনি হলেন পারলৌকিক বিচিত্র পিতা। যাঁকে উদ্দেশ্য করে তোমরা মহিমা করে বলে এসেছ তুমি মাতা তুমিই পিতা…। এই সময় তোমরা জানো ইনি নিজের ভূমিকা পালন করছেন, যার গায়ন আমরা ভক্তি মার্গে করে থাকি। তোমরা বলে থাক আমরা শিববাবার কাছে এসেছি। চিঠিও লিখে থাকো – শিববাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মা। কাউকে তোমরা এই পোস্ট দেখালে অবশ্যই আশ্চর্য হবে —শিববাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মা এমনটা তো কখনও শুনিনি। শিববাবা ব্রহ্মা শরীরে প্রবেশ করে বিষ্ণুপুরী স্থাপনা করছেন, তিনি সামনে দাঁড়িয়ে আর শিববাবা উপরে । শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারাই স্থাপনা করেছিলেন, এখন আবার করছেন। এ’হলো প্রবৃত্তি মার্গ। যখন আইনকে উচ্চ শিক্ষা হিসেবে পড়ানো হয়, তখন পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই অধ্যয়ন করে থাকে। মহিলারাও জজ, ব্যারিস্টার, ডাক্তার ইত্যাদি হয়ে থাকে। (তোমাদের) এটা হল প্রবৃত্তি মার্গ। সন্ন্যাসীদের হলো নিবৃত্তি মার্গ, সেটা আলাদা। এটাও বাবা বুঝিয়েছেন — শঙ্করাচার্য যদি না আসত পবিত্রতার অংশও থাকত না। ভারত সম্পূর্ণ রূপে জ্বলে মরত। এটাও ড্রামা অনুসারে পূর্ব নির্ধারিত ছিল – ভারতকে রক্ষা করার জন্য। ভারত যথেষ্ট রূপে পবিত্র ছিল তারপর অপবিত্র হয়ে গেছে। এখন ভারত কত কাঙাল হয়ে গেছে। কথিত আছে সোনার লঙ্কা সমুদ্রের নিচে চলে গেছে। লঙ্কা তো সোনার হতে পারে না। এইসব কাহিনী লেখা হয়েছে যার দ্বারা লাভ কিছুই হয়নি।

বাচ্চারা, তোমরা জানো বাবা আমাদের সম্পূর্ণ সহজ স্মরণের শক্তির দ্বারা কত উচ্চ করে তোলেন। বাবা প্রতিজ্ঞা করেন, যদি নিরন্তর স্মরণ করার পুরুষার্থ কর তবে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। ভক্তি মার্গেও তো স্মরণ করার পুরুষার্থ করেছ তাইনা ! কেন স্মরণ করে? যাতে আমার সাক্ষাত্কার হয় । এরজন্য স্মরণ করে না যে কৃষ্ণপুরীতে আমরা যেন বাদশাহি পেতে পারি বা নর থেকে নারায়ণ হতে পারি, তা নয়। তোমাদেরও এই আশা ছিল না যে আমরা মানুষ থেকে দেবতা হই। গাওয়াও হয়ে থাকে মানুষ থেকে দেবতা করা হয়েছে ….। তোমরা দেখেছ পূর্বের মতোই কলিযুগের পর সত্যযুগ আসবে। কলিযুগে অসংখ্য মানুষ। সত্যযুগে এক ধর্ম হবে। এখন তোমাদের আত্মা আর পরমাত্মা সম্পর্কে জ্ঞান হয়েছে, দুনিয়াতে একজন মানুষও নেই যার আত্মা সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট কিভাবে সঞ্চিত হয়, কেউ জানেনা। এই কথাও কেউ কখনও শোনেনি। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন, নিরাকার। তোমরা জানো আমাদের আত্মা এখন পাপ আত্মা থেকে পুণ্য আত্মা হচ্ছে। সত্যযুগে সবাই পুণ্য আত্মা। এখানে সবাই পাপ আত্মা। এমন নয় যে অনেক দান-পুণ্য করলেই তাকে পুণ্য আত্মা বলা যায়। তা নয়। পুণ্য আত্মা হয় সত্যযুগে। এখানে যে মানুষ দান-পুণ্য করে, তাকেই পুণ্য আত্মা বলে মনে করা হয়। ওখানে তোমাদের দান-পুণ্য ইত্যাদি করার প্রয়োজন পড়ে না। ওখানে কেউ গরিব হয়না। তোমরা সেখানে সবসময়ের জন্যই পুণ্য আত্মা। তোমরা তন-মন-ধন সবই অসীম জগতের পিতাকে দান করে দাও, যাকে সম্পূর্ণ সমর্পণ বলা হয়। বাবা বলেন প্রথমে আমি সমর্পিত হই ? না তোমরা হও ? বাবা বলেন ‐- প্রথমে তোমরা সমর্পিত হও তবেই ২১ জন্মের জন্য তার বিনিময়ে উত্তরাধিকার পেতে পার। এই বিষয় এখন তোমরা যথার্থ রীতিতে বুঝতে পেরে, ডাইরেক্ট শুনছ। ঘরে থাকলেও সেখানে মুরলী আসে। দূর থেকে শুনে থাকো। এখন তো বাবার সামনে বসে আছ। বাবা বলেন — বাচ্চারা, আমি তোমাদের পিতা, এখানে অন্ধশ্রদ্ধার কোনো প্রশ্নই নেই। তিনি যেমন পিতা, আবার শিক্ষকও। বাবার সন্তান হলে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন, তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে। ৮৪ জন্মের চক্র সম্পর্কেও তোমাদের বোঝান হয়েছে। যারা ৮৪ জন্মের অধিকারী হবে না তারা বুঝবে না। তোমরা জেনেছ আমরাই ৮৪ জন্মের চক্র শেষ করে এখন ফিরে যেতে চলেছি। বাবা বলেন – তোমরা আত্মারা অশরীরী হয়ে এসেছিলে আবারও অশরীরী হয়ে ফিরে যেতে হবে। তোমরা পবিত্র আত্মা হয়ে চলে যাও। পবিত্র হওয়ার জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছ। যোগবল অর্থাত্ স্মরণের বলের দ্বারা তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। যোগ শব্দটি শাস্ত্রের। সঠিক শব্দটি হলো স্মরণ। স্ত্রীর পতিকে অথবা পতির স্ত্রীকে স্মরণ থাকে না ! যোগের অর্থই হলো স্মরণ। বাবাও বলেন — মামেকম্ স্মরণ কর আর বুদ্ধিযোগ সবকিছু থেকে সরিয়ে একমাত্র বাবার সাথে জুড়ে দাও। বাবাকে স্মরণ কর । যত স্মরণ করবে ততই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। পূর্বের মতোই ভারতই কল্পে-কল্পে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে থাকে। শিব জয়ন্তীও প্রসিদ্ধ। যেমন বুদ্ধ, ক্রাইস্ট ইত্যাদি জয়ন্তী পালন হয় তেমনি নিরাকার শিব জয়ন্তীও পালন করা হয়। তিনি হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতর। কৃষ্ণ জয়ন্তীও প্রসিদ্ধ। কিন্তু তিনি এসে কি করেন, কেউ জানেনা। কৃষ্ণ সত্যযুগের প্রিন্স ছিল। নিশ্চয়ই কেউ তাকে এমন কর্ম করতে শিখিয়েছে, যার জন্য সত্যযুগে প্রিন্স হয়েছে। ছোট বাচ্চা তো পবিত্রই হয়। ওখানে বিকারের চিহ্ন মাত্র নেই। বাচ্চারা শুদ্ধ থাকে। ভগবান একজনই নিরাকার, গড ইজ ওয়ান। বাকি সবকিছুই তাঁর রচনা। রচনা থেকে কখনও উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা যায় না। উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় একমাত্র বাবার কাছ থেকে। ভাইয়ের কাছ থেকে ভাই উত্তরাধিকার পেতে পারে না। তোমরা সবাই ভাই-ভাই। ব্রাদারহুড (ভ্রাতৃত্ব) বলা হয় না ? বাবা তো একজনই, যাঁর কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। সব ভাইদের সদ্গতি দাতা একজনই বাবা। সব আত্মারাই বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে থাকে। বাবা বলেন – আমি এসেই আত্মাদের শিক্ষা প্রদান করি, সদ্গতি দিয়ে থাকি। বাবা বসে রাজযোগ শেখান। এই ঈশ্বরীয় জ্ঞান অর্জন করার পদ তোমরা এখানে পাবে না। ওরা ব্যারিস্টার ইত্যাদি পদ এই জন্মে পেয়ে থাকে, তারপর পরের জন্মে গিয়ে আবারও পড়বে।

তোমরা জানো আমরা এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন দ্বারা ২১ জন্মের জন্য প্রালব্ধ ভোগ করে থাকি। সত্যযুগে ডাক্তার ইত্যাদি কেউ থাকে না। ওখানে কোনো রোগ হয়না। ওখানে তোমরা গর্ভ মহলে থাকো আর এখানে গর্ভজেলে থেকে অনেক সাজা ভোগ করতে হয়, তবেই তো কাতর হয়ে বলে এই গর্ভজেল থেকে বাইরে বের করো, আর কখনো ভুল করব না। ধর্মরাজের কাছে প্রতিজ্ঞা করে। এখানে তোমাদের শিববাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বাবা আমি কখনও বিকর্ম করব না। ৫ বিকার তোমাকে দান করছি। বাবা জানেন যে, বিকার কখনও চট করে চলে যায় না। অন্তরে ভয় থাকা উচিত, বিকারকে দান করে আবার গ্রহণ করলে চরম পাপ হবে। যেমন রাজা হরিশচন্দ্রের দৃষ্টান্ত আছে। বাবা জানেন চট করে ৫ বিকার যাবে না। সময় লাগবে। যখন তোমাদের কর্মাতীত অবস্থা হবে তখনই লড়াই শুরু হবে। এই ৫ বিকার হলো মহাশত্রু। তার মধ্যে প্রধান হলো দেহ-অভিমান। তাকে দান দেওয়া খুব কঠিন। প্রতি মুহূর্তে বাবা বলেন — নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। কিন্তু হয়না। দেহ-অভিমান এলেই কাম বাসনার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হও। দেহ-অভিমান বড় তীক্ষ্ম। দেহী-অভিমানী হওয়াই পরিশ্রমের। দেহ-অভিমান আসার জন্যই পাপ হয়েছে। ৫ বিকারকে দান দিতে হবে, এতে সময় লাগবে। প্রিয়তম ছাড়া প্রিয়তমারা তো যেতে পারবে না। প্রথমে প্রিয়তমকে যেতে হবে তারপর প্রিয়তমারা যাবে। প্রেমিককে এসে সব আত্মাদের নিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত না হবে পুরুষার্থ করতে হবে। দেহ-অভিমান এলেই ভুল হয়। তোমরা বলেও থাকো – বাবা দেহ-অভিমানের জন্যই বিকারগ্রস্ত হয়েছি ।

অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা আসবে। বিকারের সঙ্কল্পও আসবে, কিন্তু কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো পাপ করা উচিত নয়। মায়াকে জয় করার জন্য কতো পরিশ্রম করতে হয়। বাবা বলেন – যদি বিবাহ হয়ে থাকে পবিত্র হয়ে দেখাও সন্ন্যাসীরাও সেটা দেখবে। তোমাদের আমদানি দেখো কত অমূল্য। পবিত্র হয়ে থাকতে পারলে কত উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। তোমাদের কাছে সবাই নিজেকে সমর্পণ করবে। বাবাও মহিমা করেন। পবিত্র থাকো তার সাথে যোগও করতে হবে। যোগেই প্রতি মুহূর্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। দেহ-অভিমান চলে আসে। পবিত্র থাকলে তো ঠিক, পবিত্রতা দ্বারাই পবিত্র দুনিয়ার উত্তরাধিকার পাবে। কিন্তু মায়াও প্রবল ভাবে লড়াই করবে। বাবা বোঝান এ’সবই হবে। তোমরা সাহস দেখাও কিন্তু তার সাথে নিরন্তর স্মরণে থাকতে হবে, তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। যারা খুব শক্তিশালী, মায়া তাদের হয়রানি করবে। খুব কম জনই স্মরণে থাকতে পারে। যে নিরন্তর স্মরণে থাকতে পারে তাকে তার অনুভব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উচিত, কী মনে হয়, কেমন তার অনুভব। স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা আর নতুন। এখানে বসলে নেশা (ঈশ্বরীয়) বৃদ্ধি পায়। এও বুঝেছ ভগবান একজনই নিরাকার, নাকি কৃষ্ণ। বাস্তবে কৃষ্ণকে নিয়ে শাস্ত্রে লেখা হয়েছে – তাকে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল, ও এটা করেছিল, সেটা করেছিল….এসব কিছুই হয়নি।এভাবেই কৃষ্ণের গ্লানি করেছে, অসম্মান করেছে। কৃষ্ণের মধ্যে কোনো অবগুণ ছিল না। চঞ্চলতা এও তো একটা অবগুণ, তাইনা। কৃষ্ণ তো সম্পূর্ণরূপে মর্যাদা পুরুষোত্তম। তার উদ্দেশ্যে মহিমা করে গাওয়া হয় – সর্বগুণসম্পন্ন… গাওয়া হয় গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু… তাদের অবশ্যই বলা উচিত আমাদের কোনো গুরু নেই। আমরা এনাকে না গুরু, না ঈশ্বর বলে মানি। পতিত-পাবন একজনই, তিনি হলেন নিরাকার ! সাকার গুরু কখনও পতিত-পাবন হতে পারেনা। এই সময় তোমরা পরমপিতা পরমাত্মার সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী জেনেছ। ৫ হাজার বছরে শিববাবা কোন ভূমিকা পালন করেন — এটাও তোমরা জেনেছ, বাবার দ্বারা। বাবা তো নলেজফুল তাইনা। সুখ-শান্তি, আনন্দের সাগর… এ’সবই তাঁর মহিমা। বাবার কাছে সম্পদ আছে নিশ্চয়ই বাচ্চাদেরও দেবেন তাইনা। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। রূহানী পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করার জন্য কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো ভুল করা উচিত নয়। পবিত্র থাকার সাথে-সাথে স্মরণেও শক্তিশালী হতে হবে।

২ ) পুণ্য আত্মা হওয়ার জন্য তন-মন-ধন দ্বারা বাবার প্রতি সমর্পিত হতে হবে। একবার সমর্পণ করলে ২১ জন্মের জন্য পুণ্য আত্মা হয়ে যাবে।

বরদানঃ-

যেমন সার্কাসে যারা তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করে তাদের প্রতিটি ক্রিয়া একটি কলায় (শিল্পে) পরিণত হয়। এই কলাকুশলীদের শরীর এতো নমনীয় যে, যেভাবে চায়, যতক্ষণ চায় সেভাবেই তারা শরীরকে মোল্ড করতে পারে, এটাই শিল্প। বাচ্চারা তোমরা তোমাদের বুদ্ধিকেও যেমন চাও, যখনই চাও, যতটা সময় চাও, যেখানে চাও স্থির করে নাও — এটাই সবচেয়ে বড় কলা। এই একটি কলার দ্বারা ১৬ কলা সম্পন্ন হয়ে যাবে। এর জন্য এমনই উপরাম আর এভাররেডি থাকো যে আদেশানুসারে এক সেকেন্ডের মধ্যেই অশরীরী হতে পারো। এই অর্জনের লড়াইয়ে তোমাদের সময় যেন নষ্ট না হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top