28 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
27 September 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা তোমাদের পূজারী থেকে পূজ্য বানাতে এসেছেন, পূজ্য থেকে পূজারী আর পূজারী থেকে পূজ্য হওয়ার সম্পূর্ণ কাহিনী তোমরা বাচ্চারা জানো"
প্রশ্নঃ --
কোন্ বিষয়টি দুনিয়ার কাছে অসম্ভব মনে হয়, আর তোমরা সহজেই তা জীবনে ধারণ করো ?
উত্তরঃ -:-
দুনিয়ার মানুষ মনে করে গৃহস্থ জীবনে থেকে পবিত্র থাকা – এ তো সম্পূর্ণ অসম্ভব, আর তোমরা সহজেই তা ধারণ করে নাও, কেননা তোমরা জানো যে, এতে স্বর্গের বাদশাহী পাওয়া যায় । তাহলে এ তো খুব সস্তা সওদা হলো, তাই না ।
গান:-
এ আজ কে এলো ভোরে…
ওম শান্তি । অন্ধকার আর প্রভাত, দুনিয়ার জন্য সম্পূর্ণ পৃথক । সে তো সাধারণ । বাচ্চারা, তোমাদের প্রভাত হলো অসাধারণ । দুনিয়া জানেই না যে, অন্ধকার আর প্রভাত কাকে বলা হয় । বাস্তবে এই অন্ধকার আর প্রভাত কল্পের এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগের সময়ই হয় । এখনই অজ্ঞান অন্ধকার দূর হয় । এমন মহিমাও আছে যে – জ্ঞান সূর্য প্রকট হয়েছে । ওই সূর্য তো আলো প্রদান করে । এ হলো জ্ঞান সূর্যের কথা । ভক্তিকে অন্ধকার আর জ্ঞানকে আলোর প্রকাশ বলা হয় । তোমরা বাচ্চারা এখন জানো যে, প্রভাত হচ্ছে । ভক্তিমার্গের অন্ধকার শেষ হয়ে যায় । ভক্তিকে অন্ধকার বলা হয় কেননা যাঁর ভক্তি করে, তাঁর সম্বন্ধে কিছুই জ্ঞান নেই । ফলে সময়ের অপচয় হয় । পুতুলের পূজা হতে থাকে । অর্ধেক কল্প ধরে এই পুতুল পূজা হতে থাকে । যাঁর পূজা করা হয়, তাঁর সম্বন্ধে জ্ঞানও তো সম্পূর্ণ থাকা চাই । দেবী – দেবতাদের হলো পূজ্য ঘরানা । সেই পূজ্যরাই আবার পূজারী হয়, পূজ্য থেকে পূজারী আর পূজারী থেকে পূজ্য হওয়ার কতো লম্বা – চওড়া কাহিনী । মানুষ তো পূজ্য – পূজারীর অর্থও বোঝে না । পরমপিতা পরমাত্মা আসেনই এই সঙ্গমে, যখন অন্ধকার সম্পূর্ণ হয়ে যায় । তিনি প্রভাত করতে আসেন কিন্তু ওরা কল্পের সঙ্গম যুগের পরিবর্তে যুগে – যুগে লিখে দিয়েছে । যখন চার যুগ সম্পূর্ণ হয়, তখন পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে আবার নতুন দুনিয়া শুরু হয় । তাই একে বলা হবে কল্যাণকারী সঙ্গম যুগ । এই সময় সকলেই নরকবাসী । যখন কারোর মৃত্যু হয় তখন বলা হয় — স্বর্গে গেছে, তাহলে অবশ্যই নরকে ছিল । এটা কেউই বোঝে না যে আমরা নরকে আছি । রাবণ সকলের বুদ্ধিতে একদম তালা লাগিয়ে দিয়েছে । সকলের বুদ্ধির একদম মৃত্যু হয়েছে । বাবা বোঝান যে – ভারতবাসীদের বুদ্ধি সবথেকে বিশাল । তারপর যখন সম্পূর্ণ পাথর তুল্য বুদ্ধির হয়ে যায়, তখনই দুঃখ পায় । ড্রামা প্ল্যান অনুসারে এমন অবুঝ হতেই হবে । মায়া এমন অবুঝ বানায় । পূজ্যকে বুদ্ধিমান আর পূজারীকে অবুঝ বলা হয় । মানুষ বলেও থাকে — আমরা নীচ আর পাপী, কিন্তু কবে বুঝদার ছিলো, তা জানতেই পারে না । রাবণ রূপী মায়া সম্পূর্ণ পাথর বুদ্ধির বানিয়ে দেয় । এখন তোমরা বুঝতে পেরেছো যে, আমরাই পূজ্য ছিলাম তারপর পূজারী হয়েছি । বাচ্চারা, তোমরা এখন খুশী হও । অনেক দিন থেকে তোমরা চিৎকার করে এসেছো যে, আমরা যেন শান্তি পাই, অথবা জন্ম – মরণ থেকে মুক্তি পাই কিন্তু এই মায়ার শৃঙ্খল থেকে কিভাবে মুক্তি হবে, এই জ্ঞানও কারোর বুদ্ধিতে নেই । তোমরা জানো যে, সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসে । সত্যযুগে তবুও তো ধীরে ধীরে নামতে থাকে, সময় লাগে । সুখের সিঁড়ি নামতে সময় লাগে । দুঃখের সিঁড়ি দ্রুত নামতে থাকে । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে ২১ জন্ম, দ্বাপর আর কলিযুগে ৬৩ জন্ম, তখন আয়ু কম হয়ে যায় । তোমরা এখন জানো যে, তোমাদের এই চড়তি কলা এক আঙ্গুলের তুড়িতেই হয়ে যায় । এমন মহিমাও আছে যে, জনক রাজা এক সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি পেয়েছিলেন । মানুষ কিন্তু এই জীবনমুক্তির অর্থ বোঝে না । এক জনক জীবনমুক্তি পেয়েছিলেন, নাকি সম্পূর্ণ দুনিয়া পেয়েছিলো ? তোমাদের বুদ্ধির তালা এখন খুলে গেছে । কারোর বুদ্ধি যদি নিস্তেজ বা ঢিলে হয়, তাহলে বলে থাকে, পরমাত্মা একে সুবুদ্ধি দাও । সত্যযুগে এমন কোনো কথা থাকে না । যে আত্মারা অনেককাল পরমাত্মার থেকে আলাদা থাকে, তাদেরও হিসেব থাকে । বাবা যখন পরমধামে থাকেন, সেই সময় যে আত্মারা তাঁর সঙ্গে মুক্তিধামে থাকে, যারা পরের দিকে আসে, তারা অনেক সময় ধরে সাথে থাকে । আমরা তো অল্প সময় ওখানে থাকি । প্রথম – প্রথম আমরাই বাবার থেকে আলাদা হই, তাই গায়ন আছে যে – আত্মা – পরমাত্মা আলাদা থাকে বহুকাল… তাদেরই এখন মেলা হয়, যারা অনেক সময় ধরে বাবার থেকে আলাদা থাকে । যারা অনেক সময় ধরে বাবার সাথে ওখানে থাকে, বাবা তাদের সঙ্গে মিলিত হন না । বাবা বলেন – আমি বিশেষ করে তোমাদের মতো বাচ্চাদের পড়াতে আসি । আমি তোমাদের মতো বাচ্চাদের সঙ্গে থাকি, তখনই সকলের কল্যাণ হয় । এখন সকলেরই হলো শেষ সময় । এখন সবাই তাদের হিসেব – নিকেশ শোধ করে চলে যাবে । বাকি তোমরা রাজ্য – ভাগ্য পাবে । এই কথা কারোর বুদ্ধিতে নেই । মানুষ গেয়েও থাকে – ও গড ফাদার, লিবারেটর (উদ্ধারকর্তা), গাইড । তিনি আমাদের দুঃখ থেকে উদ্ধার করে শান্তিধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাইড হন । তিনি সুখধামে গাইড হন না । তিনি আত্মাদের শান্তিধামে নিয়ে যান, সে হলো নিরাকারী দুনিয়া — যেখানে আত্মারা থাকে, কিন্তু ওখানে কেউ যেতে পারে না, কেননা সবাই পতিত, তাই পতিত পাবন বাবাকে ডাকতে থাকে । বিশেষ করে ভারতবাসীরা যখন উল্টো বুদ্ধির হয়ে যায়, তখন অসীম জগতের বাবাকেই কুকুর – বিড়াল, নুড়ি – পাথরের মধ্যে নিয়ে যায় । এ তো আশ্চর্য, তাই না । নিজেদের থেকেও আমাকে নীচে নিয়ে যায় । এই ড্রামাও পূর্ব রচিত । কারোরই কোনো দোষ নেই, সকলেই ড্রামার বশীভূত । তারা ঈশ্বরের বশ নয় । ঈশ্বরের থেকেও ড্রামা তীক্ষ্ণ । বাবা বলেন – আমিও ড্রামা অনুসারে নিজের সময়ে আসবো । আমার আসা এই একবারই হয় । ভক্তিমার্গে মানুষ কতো ধাক্কা খেতে থাকে । তোমরা বাবাকে পেয়েছো । বাবার থেকে তোমাদের এক চুটকিতে উত্তরাধিকার নিতে হবে । উত্তরাধিকার পেয়ে গেলে ধাক্কা খাওয়ার আর দরকার নেই । ভগবান নিজেই বলেন, আমি এসে সমস্ত বেদ শাস্ত্রের সার বুঝিয়ে বলি । প্রথমে সত্যখণ্ড ছিলো, তারপর মিথ্যাখণ্ড কিভাবে হলো, একথা কেউই জানে না । গীতা কে শুনিয়েছেন, তাও ভারতবাসী জানে না । ভারতেই ছিলো আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম । দেবী দেবতা ধর্মের মানুষরাই যখন সতোপ্রধান পূজ্য থেকে তমোপ্রধান পূজারী হয়ে যায়, তখনই দেবতা ধর্ম প্রায় লোপ হয়ে যায়, তখনই বাবা এসে আবার ওই ধর্মের স্থাপনা করেন । চিত্রও আছে, আবার শাস্ত্রও আছে । ভারতবাসীদের হলো একই শাস্ত্র শিরোমণি গীতা । প্রত্যেকেই তার নিজের ধর্মকে ভুলে গেছে, তাই হিন্দু নাম রেখে দিয়েছে । এও ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ আছে । আত্মাই পুনর্জন্মে এসে তমোপ্রধান হয়ে যায়, খাদ পড়ে যায় । তোমরা জানো যে, আমরা প্রকৃত গয়না ছিলাম, এখন মিথ্যা হয়ে গেছি । গয়না এই শরীরকে বলা হয় । আত্মা শরীরের দ্বারাই ভূমিকা পালন করে । আমরা কতো বড় ৮৪ জন্মের পার্ট পেয়েছি । দেবতা — ক্ষত্রিয়, তোমরাই পূজ্য আবার তোমরাই পূজারী তৈরী হও । আমিই যদি পূজ্য থেকে আবার পূজারী হই, তাহলে তোমাদের কে পূজ্য বানাবে । আমি তো চির পবিত্র, জ্ঞানের সাগর, পতিত – পাবন । তোমরাই পূজ্য এবং পূজারী হয়ে দিন থেকে রাতে আসো, কিন্তু ওরা তা জানে না । বাবা বোঝান যে, দুনিয়াই মিথ্যা হয়ে গেছে, তাই বসে এতো মিথ্যা কাহিনী বানানো হয়েছে । ব্যাসও জাদু করেছিলেন। এখন ব্যাস তো ভগবান নন । ভগবান তো এসে ব্রহ্মার দ্বারা বেদ শাস্ত্রের সার বুঝিয়েছেন । ওরা ব্রহ্মার হাতে শাস্ত্র দিয়ে দিয়েছে । এখন ভগবান কোথায় ? এমন তো হয় না যে, বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মা নির্গত হয়েছেন । তাই বিষ্ণু বসে শাস্ত্রের সার বানিয়েছেন । তা নয়, ব্রহ্মার দ্বারা বোঝানো হয়েছে । ত্রিমূর্তির উপরে হলেন শিব বাবা, তিনি বসেই ব্রহ্মার দ্বারা সার বুঝিয়ে বলেন । যাঁর দ্বারা বোঝাবেন, সেই আবার পালনা করবে । তোমরা তো হলে ব্রহ্মাকুমার – কুমারী । ব্রাহ্মণ বর্ণ হলো উঁচুর থেকেও উঁচু । তোমরা এখন হলে ঈশ্বরীয় সন্তান । তোমরা ঈশ্বরের রচিত যজ্ঞের রক্ষা করো । এই জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা সম্পূর্ণ দুনিয়া স্বাহা হয়ে যাবে । এর নাম রাখা হয়েছে — রাজস্ব অশ্বমেধ অবিনাশী রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । রাজত্ব প্রাপ্ত করার জন্য বাবা এই যজ্ঞের রচনা করেছেন । ওরা যখন যজ্ঞ রচনা করে, তখন মাটির শিব, শালগ্রাম বানায় । তৈরী করে, পালনা করে তারপর তা বিসর্জন দেয় । দেবতাদের মূর্তিও এমনভাবেই করে থাকে । ছোটো বাচ্চারা যেমন পুতুল খেলা করে, তেমনই এরা করে থাকে । এখন বাবার জন্য বলা হয়, স্থাপনা, পালনা তারপর বিনাশ করেন, প্রথমে হলো স্থাপনা ।
এখন তোমরা এই মৃত্যুলোকে অমরলোকের জন্য পড়াশোনা করছো । এ হলো তোমাদের মৃত্যুলোকের অন্তিম জন্ম । বাবা আসেন অমরলোকের স্থাপনা করতে । এক পার্বতীকে কথা শোনালে কি হবে । ওরা শঙ্করকে অমরনাথ বলে, আর তাঁর পাশে পার্বতীকে রেখে দিয়েছে । এখন শঙ্কর – পার্বতী কিভাবে স্থূল বতনে আসতে পারে ? যেখানে তাঁদের সূক্ষ্ম বতনে দেখানো হয়েছে । তোমাদের এখন বোঝানো হয়েছে যে, জগদম্বা, জগৎপিতা হয় । বাস্তবে জগদম্বা হলেন পুরুষার্থী, এরপর লক্ষ্মী হলেন পাবন প্রালব্ধ । কার বেশী মহিমা ? জগদম্বার দেখো কতো মেলা হয় । কলকাতার কালী বিখ্যাত । কালী মাতার পাশে কালো পিতা কেন বানায়নি ? বাস্তবে জগদম্বা এবং আরো অনেক দেবী জ্ঞান চিতায় বসে কালো থেকে সুন্দর হয় । প্রথমে জ্ঞান – জ্ঞানেশ্বরী, তারপর রাজ – রাজেশ্বরী হয় । তোমরা এখানে এসেছো ঈশ্বরের থেকে জ্ঞান অর্জন করে রাজ – রাজেশ্বরী হতে । লক্ষ্মী – নারায়ণকে কে রাজত্ব দিয়েছিলেন ? ঈশ্বর দিয়েছিলেন । অমরকথা, সত্যনারায়ণের কথা বাবাই শোনান, যাতে সেকেণ্ডে নর থেকে নারায়ণ হওয়া যায় ।
বাচ্চারা, এখন তোমাদের কপাট খুলে গেছে যে — কাম হলো মহাশত্রু । মানুষ বলে থাকে, গৃহস্থ জীবনে থেকে পবিত্র থাকা অসম্ভব । তোমাদের বোঝানো হয় – বাবা যেহেতু স্বর্গের রচয়িতা, তাহলে তিনি নিশ্চই তাঁর বাচ্চাদের স্বর্গের বাদশাহী উপহার দেবেন । তাই এই স্বর্গের বাদশাহী পাওয়ার জন্য এক জন্ম তো পবিত্র থাকতেই হবে । এ তো সস্তা উপার্জন হলো, তাই না । ব্যবসায়ী মানুষ এই বিষয়কে ভালোভাবে নেবেন, কারণ ব্যবসায়ীরা দানও করেন । ধার্মিকরাও আসে । বাবা বলেন — এই উপার্জন বিশেষ কেউ করে । এ কতো সস্তা ব্যবসা । তবুও এমন কেউ আছে যারা উপার্জন করে আবার তালাক দিয়ে দেয় । এই জ্ঞান বাবা ছাড়া আর কেউই বোঝাতে পারে না । জ্ঞানের সাগর একজনই, তিনিই বোঝান । যাঁরা পবিত্র এবং পূজ্য ছিলেন, তাঁরাই ৮৪ জন্মের অন্তে পূজারী হয়েছেন । আমি এনার তনে প্রবেশ করেছি । প্রজাপিতা তো এখানে থাকবেন, তাই না । তোমরা এখন পুরুষার্থ করে ফরিস্তা তৈরী হচ্ছো । এখন ভক্তিমার্গের রাতের পরে জ্ঞান অর্থাৎ দিন হবে । তিথি – তারিখ তো নেই । শিব বাবা কবে এসেছেন, কেউই জানে না । মানুষ ধুমধাম করে কৃষ্ণ জয়ন্তী পালন করে । শিব জয়ন্তীর সম্পূর্ণ কথা কেউই জানে না । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) এই কল্যাণকারী সঙ্গম যুগে এক বাবার কাছ থেকেই প্রকৃত সত্যনারায়ণের কথা, অমর কথা শুনতে হবে । বাকি এতদিন যা কিছু শুনেছো, তা ভুলে যেতে হবে ।
২ ) সত্যযুগী বাদশাহী নেওয়ার জন্য এই এক জন্ম পবিত্র থাকতে হবে । ফরিস্তা হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে ।
বরদানঃ-
আমরা বাবার সর্ব সম্পদের বালক তথা মালিক, ন্যাচারাল যোগী, ন্যাচারাল স্বরাজ্য অধিকারী । এই স্মৃতির দ্বারা সর্ব প্রাপ্তি সম্পন্ন হও । এই গীত সদা গাইতে থাকো যে — ‘যা পাওয়ার ছিলো, তা পেয়ে গেছি । ‘হারাও – পাও, হারাও – পাও’ — এই খেলা ক’রো না । পেতে চলেছি, পেতে চলেছি — এটা অধিকারীর বাণী নয় । যে সম্পন্ন বাবার বালক, সাগরের সন্তান, সে সেবকের মতো পরিশ্রম করতে পারে না ।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য —- “রাজঋষি সত্যযুগী হয়”
মানুষ যে বলে, দ্বাপরে রাজঋষি ছিলেন, যারা বসে এই বেদ শাস্ত্র রচনা করেছিলেন, কেননা তারা ত্রিকালদর্শী ছিলেন । বাস্তবে আমরা রাজঋষি সত্যযুগেই বলতে পারি। কেননা ওখানে যারা থাকেন, তারা সম্পূর্ণ বিকারজিৎ, অর্থাৎ কমল ফুল সমান জীবনমুক্ত অবস্থায় থেকে রাজত্ব চালান । বাকি এই যে, দ্বাপরে পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করার জন্য তপস্যা করা ঋষি আছেন, যারা বেদ শাস্ত্রের রচনা করেছিলেন, সত্যযুগে তো বেদ শাস্ত্রের প্রয়োজনই থাকে না, না আমরা তাদের ত্রিকালদর্শী বলতে পারি । আমরা যখন ব্রহ্মা – বিষ্ণু এবং শঙ্করকে ত্রিকালদর্শী বলতে পারি না, তাহলে এই দ্বাপর যুগের রজঃগুণের সময়ের ঋষি, মুনিরা কিভাবে ত্রিকালদর্শী হতে পারেন । ত্রিকালদর্শী অর্থাৎ ত্রিমূর্তি, ত্রিনেত্রী কেবল এক পরমাত্মা শিবকেই বলা যেতে পারে, যিনি স্বয়ং এই কল্পের অন্তিমে এসে সম্পূর্ণ রচনার অন্ত করে দেন । ওখানে সত্যযুগে প্রালব্ধ ভোগ করতে হবে, ওখানে এই জ্ঞান থাকে না যে, আমরা ব্রহ্মাবংশী ব্রাহ্মণরাই কেবল মাস্টার ত্রিনেত্রী, ত্রিকালদর্শী হই, বাকি সম্পূর্ণ কল্পের ভিতর কেউই জ্ঞান পায় না, যাতে না দেবতাদের, আর না মানুষকে ত্রিকালদর্শী বলা যায় । আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!