28 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
27 May 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের ভালোবাসা আত্মাদের সঙ্গে থাকা উচিত, চলতে-ফিরতে অভ্যাস করো, আমি আত্মা, আত্মার সঙ্গে কথা বলছি, আমি কোনো খারাপ কাজ করবো না”
প্রশ্নঃ --
বাবার দ্বারা রচিত এই যজ্ঞ যতক্ষণ চলছে ততক্ষণ ব্রাহ্মণদেরকে বাবার কোন্ আদেশ পালন করতে হবে ?
উত্তরঃ -:-
বাবার আদেশ হল – বাচ্চারা যত ক্ষণ এই রুদ্র যজ্ঞ চলছে ততক্ষণ তোমাদেরকে পবিত্র অবশ্যই থাকতে হবে। তোমরা হলে ব্রহ্মার সন্তান ব্রহ্মাকুমার কুমারী, কখনও বিকার গ্রস্ত হতে পারবে না। যদি কেউ এই আদেশের অবজ্ঞা করে তবে অনেক কঠিন দণ্ডের ভাগীদার হয়ে যায়। যদি কারো মধ্যে ক্রোধের ভূত আছে তো তারা ব্রাহ্মণ নয়। ব্রাহ্মণদের দেহী-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে, কখনও বিকারের বশে বশীভূত হবে না।
গান:-
ও দূরের পথিক…
ওম্ শান্তি । দূরের পথিককে তোমরা ব্রাহ্মণরা ব্যতীত কোনো মানুষ মাত্রই জানেনা। আহ্বান করে পরমধাম নিবাসী পরম পিতা পরমাত্মা এসো। পিতা বলে সম্বোধন করে কিন্তু বুদ্ধিতে আসে না যে পিতার রূপ কেমন ? আত্মা কি ? যদিও বুঝতে পারে আত্মা ভ্রুকুটির মাঝখানে নক্ষত্র সম বাস করে। এইটুকুই, আর কিছু জানেনা। আমাদের আত্মায় ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা আছে। এইসব কথার কোনো জ্ঞান নেই। আত্মা এই শরীরে কীভাবে প্রবেশ করে, সে কথাও জানেনা। যখন ভিতরে নড় চড় হয় তখন বোঝা যায় যে আত্মা প্রবেশ করেছে। পরে যখন পরম পিতা পরমাত্মা বলা হয় তখন এও আত্মাই পিতা বলে ডাকে। আত্মা জানে এই শরীর লৌকিক পিতার দ্বারা প্রদত্ত। আমাদের পিতা তো হলেন নিরাকার। নিশ্চয়ই আমাদের পিতা আমাদের মতন বিন্দু স্বরূপ হবেন। তাঁরই মহিমা গায়ন করে – মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন। কিন্তু আকারে বড় না ছোট, তা সকলের বুদ্ধিতে বসে না। প্রথমে তোমাদের বুদ্ধিতেও ছিল না যে আমাদের আত্মাটি কেমন ? যদিও পরমাত্মাকে স্মরণ করতে হে পরম পিতা… কিন্তু কিছুই জানতে না। পিতা হলেন নিরাকার তবে তিনি পতিত-পাবন হলেন কীভাবে ? তাহলে কি জাদু করেন ? পতিতদের পবিত্র করতে অবশ্যই এখানে আসতে হয় । যেমন আমাদের আত্মাও শরীরে থাকে ঠিক তেমনই বাবা হলেন নিরাকার তাঁকেও অবশ্যই শরীরে আসতে হয়, তবেই তো শিব রাত্রি বা শিব জয়ন্তী পালন হয়। কিন্তু তিনি এসে কীভাবে পবিত্র করেন, সে কথা কেউ জানে না, তাই বলে দেয় সর্বব্যাপী। প্রদর্শনীতে অথবা ভাষণ ইত্যাদি দিতে যেখানেই যাও সর্ব প্রথমে বাবার পরিচয় দিতে হবে l, তারপরে আত্মার পরিচয়। আত্মা তো ভ্রুকুটির মাঝখানে বাস করে। তার মধ্যেই সর্ব সংস্কার নিহিত আছে। শরীর তো শেষ হয়ে যায়। যা কিছু করে সবই তো আত্মা করে। শরীরের অর্গ্যান্স গুলি আত্মার আধারেই তো চলে। আত্মা রাত্রিতে (ঘুমের সময়) অশরীরী হয়ে যায়। আত্মা বলে আজ আমি ভালো ভাবে আরাম করেছি। আজ আরাম পাইনি। আমি এই শরীরের দ্বারা এই ব্যবসা ইত্যাদি করি। এই অভ্যাস গুলি বাচ্চারা তোমাদের পাকা হওয়া উচিত। আত্মাই সব কিছু করে। আত্মা শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে তাকে মৃতদেহ বলা হয়। কোনো কাজের থাকে না। আত্মা বেরিয়ে গেলে শরীরে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। শরীরকে দাহ করা হয়। তোমাদের ভালোবাসা আত্মার প্রতিই থাকে। তোমাদের এই শুদ্ধ অভিমান থাকা উচিত যে আমি আত্মা। পুরো আত্ম-অভিমানী হতে হবে। সম্পূর্ণ পরিশ্রম এতেই। আমি আত্মার নিজের দেহের অর্গ্যান্স গুলি দিয়ে কোনো খারাপ কাজ করা উচিত নয়। তা নাহলে দন্ড ভোগ করতে হবে। দন্ডভোগ তো তখনই ভোগ করবে যখন আত্মার কাছে শরীর আছে। শরীর ব্যতীত আত্মা দুঃখ ভোগ করে না। তাই প্রথমে আত্ম-অভিমানী পরে পরমাত্ম-অভিমানী হতে হবে। আমি পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান । বলেও থাকে পরমাত্মা সকলকে রচনা করেছেন। উনি হলেন রচয়িতা কিন্তু রচনা করেন কীভাবে, তা কেউ জানেনা। এখন তোমরা জানো যে পরম পিতা পরমাত্মা নতুন দুনিয়ার স্থাপনা কীভাবে করেন, পুরানো দুনিয়ায় থাকেন। দেখো কেমন যুক্তি। তারা তো প্রলয় দেখিয়ে দিয়েছে। বলে অশ্বত্থ গাছের পাতায় একটি শিশু এসেছে পরে শৈশব তো দেখায় না। একেই বলে অজ্ঞানতা। বলে ভগবান শাস্ত্র বানিয়েছেন। ব্যাসদেব, ভগবান তো হতে পারে না। ভগবান বসে কি শাস্ত্র লিখবেন ? ভগবানের জন্য তো বলা হয় উনি সর্ব শাস্ত্রের সার বুঝিয়ে দেন। যদিও এই বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে কারও কল্যাণ হতে পারে না। তারা হলেন ব্রহ্ম জ্ঞানী। ভাবে ব্রহ্মে বিলীন হয়ে যাবে। ব্রহ্ম তো হল মহা তত্ত্ব। আত্মারা সেখানে নিবাস করে। এই কথা না জানার দরুন তারা বুদ্ধিতে যা আসে বলে দেয় আর মানুষ সত্য-সত্য বলতে থাকে। অনেক রকমের হঠ যোগ, প্রাণায়াম ইত্যাদি করে, তোমরা তো করতে পারবে না। তোমরা দুর্বল কন্যারা, মাতারা , তোমাদের কি কষ্ট দেওয়া হবে। প্রথমে তো মাতারা রাজবিদ্যাও প্রাপ্ত করতো না। একটু ভাষা শেখার জন্য স্কুলে পাঠানো হতো। যদিও চাকরি ইত্যাদি তো করার নেই। এখন তো মাতাদেরও পড়াশোনা করতে হয়। উপার্জনকারী কেউ না থাকলে যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, ভিক্ষা না করতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী যদিও কন্যাদের গৃহ কর্মে দক্ষ করানো উচিত। এখন তো ব্যারিস্টার, ডাক্তার ইত্যাদি রিলেটেড সব পড়াশোনাই শিখছে। এখানে তো তোমাদেরকে কিছু করতে হয় না, শুধুমাত্র সর্বপ্রথমে সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে হবে। নিরাকারকে সবাই শিববাবা বলে, কিন্তু ওঁনার রূপ কি, তা কেউ জানেনা। ব্রহ্ম তো হল তত্ত্ব। যেমন এই আকাশ হল বিশাল। অনন্ত। ঠিক সেরকম ব্রহ্ম তত্ত্বও হল অনন্ত। ব্রহ্ম তত্ত্বের অংশ মাত্র স্থানে আমরা আত্মারা বাস করি। বাকি সবটাই তো হল পোলার অর্থাৎ শূন্য। সাগরও অসীম, চলতেই থাকো। শূন্য স্থানেরও অন্ত পাওয়া যায় না। চেষ্টা করে উপরে যাওয়ার কিন্তু যাত্রা পথেই তাদের বাহন (বায়ু যান) নষ্ট হয়ে যায়। সেইরকম মহা তত্ত্বও আকারে বিশাল। সেখানে গিয়ে কিছু খুঁজবার প্রয়োজন নেই। সেখানে আত্মাদের এইসব ভাববারও দরকার নেই। খুঁজে কি লাভ হবে। দেখো স্টারে গিয়ে দুনিয়ার খোঁজ করে, কিন্তু কি লাভ ? সেখানে পিতাকে প্রাপ্ত করার কোনো পথ নেই। ভক্তরা ভক্তি করে ভগবানকে পাওয়ার জন্য। তখন তারা ভগবানকে প্রাপ্ত করে। উনি মুক্তি জীবনমুক্তি প্রদান করেন। ভগবানকে খুঁজতে হয়, অনন্ত শূন্যকে নয়। যেখানে প্রাপ্তি কিছুই হয় না। গভর্নমেন্টের অর্থ ব্যয় হয়। এ হল অলমাইটি অথরিটি। পাণ্ডব আর কৌরব দুইজনেরই মুকুট দেখানো হয় না। বাবা এসে তোমাদেরকে সব কথা বোঝান। যখন তোমরা এত নলেজ প্রাপ্ত কর তো তোমাদের খুব খুশীতে থাকা উচিত। আমাদের পড়াচ্ছেন অসীম জগতের পিতা। তোমাদের আত্মা বলে আমরা প্রথমে সেই দেবী দেবতা ছিলাম। অনেক সুখী ছিলাম। পুণ্য আত্মা ছিলাম। এই সময়ে পাপ আত্মায় পরিণত হয়েছি কারণ এ হল রাবণের রাজ্য। এই দুনিয়া রাবণের মতানুসারে চলছে। তোমরা চলো ঈশ্বরীয় মতানুসারে । রাবণও গুপ্ত তো ঈশ্বরও হলেন গুপ্ত। এখন ঈশ্বর তোমাদেরকে শ্রীমৎ প্রদান করছেন। রাবণ কীভাবে মত দেয় ? রাবণের কোনো রূপ তো নেই। এই রূপ তো বানানো হয়েছে। সব রূপ গুলিই হল রাবণের। আত্মারা জানে যে আমাদের আত্মার মধ্যে ৫-টি বিকার আছে। আমরা আসুরিক মতানুসারে চলেছি। মেল ফিমেল দুয়ের মধ্যে ৫ বিকার আছে। এই সব কথা মানুষের বুদ্ধিতে তখন বসবে যখন এই কথা জানবে যে আমাদের পড়াচ্ছেন নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা। পরমাত্মা হলেন নিরাকার। যখন উনি সাকারে আসবেন তখন তো আমরা ব্রাহ্মণ হবো। বাবা রাত্রেই আসেন। শিবরাত্রিই হল ব্রহ্মার রাত্রি। ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের রচনা হবে। যজ্ঞে অবশ্যই ব্রাহ্মণ চাই। ব্রাহ্মণদের যতক্ষণ যজ্ঞ আয়োজনের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ততক্ষণ পবিত্র থাকতে হবে। দৈহিক ব্রাহ্মণরাও যখন যজ্ঞ আয়োজন করে বিকারগ্রস্ত হয় না। যদিও তারা বিকারী, কিন্তু যজ্ঞ আয়োজনের মধ্যে বিকারগ্রস্ত হবে না। যেমন তীর্থে গেলেও যাত্রা চলাকালীন বিকারে যায় না। তোমরা ব্রাহ্মণরাও যজ্ঞে থাকো তারপরে যদি কেউ বিকারে যায় তো বৃহৎ পাপ আত্মায় পরিণত হয়। যজ্ঞ চলছে তো শেষ অবধি পবিত্র থাকতে হবে। ব্রহ্মার সন্তান ব্রহ্মাকুমার কুমারীরা কখনও বিকারে যায় না। বাবা আদেশ করেছেন তোমরা কখনও বিকারে লিপ্ত হবে না। নাহলে অনেক দন্ড ভোগ করতে হবে। বিকার গ্রস্ত হলেই সর্বনাশ হবে। তারা ব্রহ্মাকুমার কুমারী নয়, তারা হল শূদ্র ম্লেচ্ছ । বাবা সর্বদা জিজ্ঞাসা করেন তোমরা পবিত্র থাকার প্রতিজ্ঞা করেছ। যদি বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে ব্রাহ্মণ হয়ে বিকারে যাবে তবে চন্ডালের জন্ম পাবে। এখানে বেশ্যার মতন নোংরা জন্ম আর কিছু হয় না। এ হল বেশ্যালয়। দুজনে একে অপরকে বিষ পান করায়। বাবা বলেন মায়া যত রকমের সঙ্কল্প আনুক কিন্তু নগ্ন হবে না। অনেকে জোর করে নগ্ন করে। কন্যাদের শক্তি কম থাকে – পবিত্রতার সাথে আচার আচরণ ভালো থাকা উচিত। আচরণ খারাপ থাকলে তারাও কোনো কাজের নয়। লৌকিক মাতা পিতার মধ্যে বিকার আছে তাই সন্তানরা মাতা পিতার কাছেই শেখে। তোমাদেরকে পারলৌকিক পিতা এই শিক্ষা প্রদান করেন না। বাবা তো দেহী-অভিমানী বানান। কখনও ক্রোধ করবে না। সেই সময় তোমরা ব্রাহ্মণ নও, তোমরা হয়ে যাও চন্ডাল কারণ ক্রোধের ভূত আছে। ভূত মানুষকে দুঃখ দেয়। বাবা বলেন ব্রাহ্মণ হয়ে কোনো খারাপ কাজ করবে না। বিকারগ্রস্ত হলে যজ্ঞকে অপবিত্র বানাও, এতেই খুব সতর্ক থাকতে হবে। ব্রাহ্মণ হওয়া মাসীর বাড়ি যাওয়া নয়। যজ্ঞ স্থল নোংরা করবে না। ৫ বিকারের মধ্যে কোনো বিকারই যেন না থাকে। এমন নয় ক্রোধ করলাম, দোষ নেই। এই ভূত এলে তোমরা ব্রাহ্মণ নও। কেউ বলবে এ তো খুব উঁচু লক্ষ্য। না চলতে পারো তো অপবিত্র হও। এই জ্ঞানে থাকতে হলে সদা প্রফুল্লিত এবং পবিত্র থাকতে হবে। পতিত-পাবন পিতার সন্তান হয়ে পিতাকে সহযোগিতা করতে হবে। কোনো প্রকারের বিকার থাকা উচিত নয়। কেউ তো এসেই বিকার গুলিকে ত্যাগ করে দেয়। বুঝতে হবে যে আমি রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের ব্রাহ্মণ। আমাদের দ্বারা এমন কোনো কাজ যেন না হয় যাতে অনুশোচনা হয়। হৃদয় রূপী দর্পণে দেখতে হবে যে আমরা যোগ্য হয়েছি ? ভারতকে পবিত্র করার কাজে আমরা নিমিত্ত তাই যোগেও অবশ্যই থাকতে হবে। সন্ন্যাসীরা শুধু পবিত্র থাকে, পিতার পরিচয় তো জানেনা। হঠ যোগ ইত্যাদি অনেক করে। প্রাপ্তি কিছুই হয় না। তোমরা জানো বাবা এসেছেন – শান্তিধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা আত্মারা হলাম সেখানকার নিবাসী। আমরা সুখধামে ছিলাম, এখন দুঃখধামে আছি। এখন হল সঙ্গম…. এই স্মরণ স্থায়ী থাকলে সদা হাসি মুখে থাকবে। যেমন দেখো অঙ্গনা বাচ্চি (ব্যাঙ্গালোরের) সদা হাসি মুখে থাকে। বাবা বললেই খুশীতে ভরপুর হয়ে যায়। তার খুশী আছে যে সে বাবার সন্তান। যেই আসুক না কেন তাকে জ্ঞান দান করো। হ্যাঁ, কেউ পরিহাসও করবে কারণ নতুন কথা কেউ জানেনা যে ভগবান পড়ান। কৃষ্ণ তো কখনও এসে পড়ান না। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের ব্রাহ্মণ রূপে এমন কোনো কাজ করবে না – যাতে অনুশোচনা হয়। কোনো ভূতের বশে বশীভূত হবে না।
২ ) পতিত-পাবন বাবার পুরোপুরি সহযোগী হওয়ার জন্য সদা পবিত্র এবং প্রফুল্লিত অর্থাৎ খুশীতে থাকতে হবে। জ্ঞানের সিমরণ করে সদা হাসি মুখে থাকতে হবে।
বরদানঃ-
সন্তুষ্ট মণি তাদেরকে বলা হয় যে নিজের প্রতি, সেবার প্রতি এবং সকলের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে । তপস্যার দ্বারা সন্তুষ্টতা রূপী ফল প্রাপ্ত করা – এটাই হল তপস্যার সিদ্ধি। সন্তুষ্টমণি সে-ই যার চিত্ত সদা প্রসন্ন থাকবে। প্রসন্নতা অর্থাৎ হৃদয় ও মন বুদ্ধি সর্বদা আরামের অনুভব করবে, সুখ শান্তির স্থিতিতে স্থিত থাকবে। এমন সন্তুষ্টমণিরা নিজেকে সকলের আশীর্বাদের বিমানে উড়ন্ত অনুভব করবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!