28 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
27 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ, তোমাদের অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে ২১ জন্মের সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য অবশ্যই শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে"
প্রশ্নঃ --
বাচ্চারা, তোমরা কীসের প্রস্তুতি নিচ্ছো ? তোমাদের প্ল্যান কি ?
উত্তরঃ -:-
তোমরা অমরলোকে যাত্রা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছো । তোমাদের পরিকল্পনা হলো ভারতকে স্বর্গ বানানোর । তোমরা নিজেদের তন – মন এবং ধনের দ্বারা এই ভারতকে স্বর্গ বানানোর সেবাতে নিয়োজিত রয়েছ। তোমরা বাবার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সাহায্যকারী । অহিংসার বলেই তোমাদের এই নতুন রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । মানুষ তো বিনাশের জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে ।
গান:-
মাতা ও মাতা..
ওম শান্তি । এ কার মহিমা শুনলে ? দুই মাতার । এক তো বাবার মহিমা হয়ে থাকে, তুমিই মাতা – পিতা…নিরাকারেরই এমন মহিমা হয়, তুমিই মাতা – পিতা….কেননা পিতা যখন আছে, মাতাও অবশ্যই থাকবে । তোমরা জানো যে, পরমপিতা পরমাত্মার যখন এই সৃষ্টি রচনা করার প্রয়োজন হয়, তখন অবশ্যই মাতারও প্রয়োজন । বাবাকে তো কোনো সাধারণ তনেই আসতে হবে । শিব জয়ন্তী বা শিবরাত্রির মহিমা আছে । তাহলে অবশ্যই পরমপিতা পরমাত্মা অবতার গ্রহণ করেন । কীসের জন্য ? নতুন রচনা রচিত করার জন্য, আর পুরানো রচনার বিনাশ করার জন্য । ব্রহ্মার দ্বারাই এই রচনা রচিত হবে । লৌকিক বাবাও হলেন জাগতিক ব্রহ্মা । তিনি তার স্ত্রীর দ্বারা এই জগতে সন্তানের জন্ম দেন । তাদের সন্তানরাই তাদেরকে মাতা – পিতা বলবে । সবাই তো আর বলবে না — তুমি মাতা – পিতা, আমি তোমার বালক, কেননা এ হলো অনেক বাচ্চার প্রশ্ন । প্রজাপিতা ব্রহ্মার হলো অনেক সন্তান । তাহলে অবশ্যই ব্রহ্মা মুখ কমল দ্বারা অসীম জগতের পিতা ব্রাহ্মণ কুল বা ব্রাহ্মণ বর্ণের রচনা করেছিলেন । তাঁর হলো মুখের দ্বারা জন্ম । জাগতিক মা – বাবার হয় উদরের দ্বারা জন্ম । তারা এই মহিমা করতে পারবে না । এই মহিমা হলো অসীম জগতের মাতা – পিতার । তুমিই আমাদের মাতা – পিতা, তুমি এসে আমাদের আপন করে নিয়েছো । ব্যস, তোমার থেকে আমরা ২১ জন্ম স্বর্গের গহন সুখ পাই । তাই ব্রহ্মা মুখের দ্বারা তোমরা শিব বাবার পৌত্র – পৌত্রী হয়ে গেলে । ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী জগদম্বা – সরস্বতী হয় । ভারতে গায়ন হয় –তুমি মাতা – পিতা ……তাহলে অবশ্যই জগদম্বা, জগৎ পিতা প্রয়োজন । তাঁর মুখ দ্বারাই তোমরা ধর্মের সন্তান হয়েছো । উত্তরাধিকার তোমরা শিব বাবার কাছ থেকে পাও, এই ব্রহ্মার থেকে নয়, যার মধ্যে প্রবেশ হয়েছিলো, যাকে মা বলা হয় । মার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না । উত্তরাধিকার সর্বদা বাবার থেকেই পাওয়া যায় । তোমরাও অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো । ভক্তিমার্গে যে মহিমা হয়ে এসেছে, তাহলে অবশ্যই তাঁকে আবারও আসতেই হবে । বাচ্চারা এখন খুবই দুঃখী । দুঃখধামের পরে সুখধামকে আসতে হবে । সত্যযুগে থাকে সতোপ্রধান সুখ, তারপর ত্রেতাতে কিছু কম । ত্রেতাতে দুই কলা কম বলা হবে । দ্বাপর আর কলিযুগে তার থেকেও কম হয়ে যায় । এখন এই চক্রকে তো ঘুরতেই হবে । বাচ্চারা জানে যে, অসীম জগতের বাবাই স্বর্গের রচনা করেন । তাঁকে প্রথমে অবশ্যই সূক্ষ্ম বতন রচনা করতে হবে, কেননা ব্রহ্মাকে তো অবশ্যই প্রয়োজন । ব্রহ্মাকেও শিব বাবা দত্তক নেন । তিনি বলেন, তুমি আমার । ইনিও বলেন, বাবা আমি তোমার, তাহলে ব্রহ্মার জন্ম শিবের থেকে হয়ে গেলো । শিব বাবার তিন সন্তান, তিনি এই তিন সন্তানের বায়োগ্রাফি বলে দেন । এই ব্যক্ত ব্রহ্মা পরে অব্যক্ত হন । তোমরাও ব্যক্ত ব্রহ্মার সন্তান, তারপরে অব্যক্ত সন্তান হও । এ হলো অনেক গুহ্য কথা । পরমপিতা পরমাত্মা হলেন এই বিশ্বের রচয়িতা । সর্বপ্রথমে তিনি স্বর্গের রচনা করেন । বাবার থেকে তো স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া চাই, তাই না । এখন আমরা নরকে আছি । উত্তরাধিকার তো অবশ্যই তিনি তখনই দিয়েছিলেন — যখন আমাদের রচনা করেছিলেন । বাবা বলেন – এখন আমি রচনা করছি । পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও আমি এইভাবেই এসে ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ কুলকে রচনা করেছিলাম । এই যে রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্রাহ্মণই করতে পারে । তাই এরা হলো ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ । ওই ব্রাহ্মণদের বলা হবে কুলজাত বংশাবলী । এমন বলা হবে না যে, তারাও ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ । তাই এখন তোমরা বাচ্চারা হলে ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী । প্রথমে অবশ্যই ব্রাহ্মণ প্রয়োজন । ব্রাহ্মণ কোথা থেকে কনভার্ট করেছিলেন ? শূদ্র বর্ণ এখানেই আছে । বাচ্চারা, তোমাদের এখন তিনি ব্রাহ্মণ বর্ণে এনেছেন । পা থেকে একদম উপরে শিখা হলো ব্রাহ্মণ, ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হতে হবে । এই বর্ণ ইত্যাদি সনাতন দেবী – দেবতা ধর্মের মানুষের জন্য, অন্য ধর্মের জন্য এমন বর্ণ নেই । ২১ জন্ম তোমরা দেবতা বর্ণে থাকো । ব্রাহ্মণ ধর্মের এই এক জন্ম অথবা দেড় জন্মও হতে পারে, কেননা যে বাচ্চারা সংস্কার নিয়ে শরীর ত্যাগ করে যায়, তারা আবার জন্মগ্রহণ করে জ্ঞান গ্রহণ করতে পারে । তাই বাবা বোঝান – বাচ্চারা, যদি স্বর্গের মালিক হতে হয় তাহলে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । ৬৩ জন্ম তোমরা হাবুডুবু খেয়ে এসেছো, এখন তোমরা মহা দুঃখে আছো । সম্পূর্ণ ভারতের প্রশ্ন তো, তাই না । এমন তো নয় যে, এখন সারা ভারত সুখী । হ্যাঁ, ভারতে ধনবান প্রচুর আছে । দেখো, একজন এসেছিলো, যদিও সে কোটিপতি ছিলো, কিন্তু হাত – পা চলতো না, তাহলে তো দুঃখই হলো, তাই না । দুনিয়াতে যদি একজনও দুঃখী থাকে, তাহলে অবশ্যই তাকে দুঃখধাম বলা হবে । সত্যযুগে একজনও দুঃখী থাকে না । ভারত সুখধাম ছিলো । কে এই স্বর্গের রচনা করেছিলেন ? বাবা । আমরা বাচ্চারা হলাম অধিকারী । পাঁচ হাজার বছর পূর্বে আমরা অবশ্যই এই স্বর্গে ছিলাম । এমন বলা হয়ে থাকে – ক্রাইস্টের তিন হাজার বছর পূর্বে গীতা শোনাতে এসেছিলেন । তাহলে পাঁচ হাজার বছরের সময় তো হলো, তাই না । দুই হাজার বছর ক্রাইস্টের আর তাঁর পূর্বে তিন হাজার বছর । তাই এখন গীতা শোনাতে তো এসেছেন, তাই না । অবশ্যই দেবতা ধর্মও প্রায় লোপ হয়ে গেছে ।
তোমরা বাচ্চারা হলে পাণ্ডব, যাদের সহায়ক হলেন গীতার ভগবান । তিনি হলেন নিরাকার । শাস্ত্রতেও আছে রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, বাস্তবে হলো শিবরাত্রি বা শিব জয়ন্তী । রুদ্র জয়ন্তী বা রুদ্র রাত্রি বলা হয় না । শিব রাত্রি কেন বলা হয় ? এখন তো অসীম জগতের রাত্রি, ঘোর অন্ধকার, তাই না । বাবা বলেন, আমি আসি অসীম জগতের রাতের সময়ে । এখন দিন বা প্রভাত শুরু হবে । আমার জন্ম প্রাকৃতিক মনুষ্য সমান হয় না । কৃষ্ণ তো মায়ের গর্ভ মহলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো, আমরা ওই মাতা – পিতার কাছ থেকে স্বর্গের গহন সুখ প্রাপ্ত করছি । দুনিয়া তো জানেই না যে, স্বর্গ আর নরক কোন পাখির নাম । তোমরা এখন এখানে পড়তে এসেছো, তোমরা এখন শ্রীমৎ অনুসারে চলো । শ্রীমতে চললে তোমরা স্বর্গের শ্রী লক্ষ্মী – নারায়ণ হয়ে যাও । তিনি সত্যযুগের মালিক যখন, তখন অবশ্যই কলিযুগের অন্তে তাঁর ৮৪ জন্ম বা অন্তিম জন্ম হবে, তবেই তো তিনি রাজযোগ শিখেছিলেন । কেবল একজন মাত্র তো নয়, সম্পূর্ণ সূর্যবংশী ঘরানা রাজযোগ শেখে, যারা এখন এসে অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজত্বের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছে । বাবা বলেন, তোমরা এখন আমার কাছে পবিত্র থাকার প্রতিজ্ঞা করো, কেননা আমি পবিত্র দুনিয়ার স্থাপনা করি । ৬৩ জন্ম তোমরা পতিত হয়ে এসেছো, তাই দুঃখী হয়ে গেছো । স্বর্গে তো তোমরা অনেক সুখী ছিলে । এই ভারত, যা কড়ি তুল্য হয়ে গেছে, তা আবার হীরের তুল্য হবে । এই একমাত্র বাবা, যিনি বলেন, আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাতে এসেছি । অসীম জগতের পিতা বলেন – তোমরা এই অন্তিম জন্ম পবিত্র হও । এই মা – বাবার কাছে তোমাদের অমৃত পান করতে হবে, বিষ ছাড়তে হবে । তোমরা কাম চিতা থেকে নেমে এখন জ্ঞান চিতায় বসো । তোমরা শ্রীমৎ পাও । যার এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার নিশ্চয়তা নেই, সে বলে – বাবা, এই বিষ ত্যাগ করা তো খুবই সমস্যা । আরে, তোমরা ২১ জন্ম সুখের প্রাপ্তি করো, তারজন্য তোমরা এই বিষ ত্যাগ করতে পারো না কি ? ভক্তি, জপ, তপ ইত্যাদি করলে জাগতিক সুখ প্রাপ্ত হয় । অসীম জগতের সুখ অসীম জগতের পিতার কাছ থেকেই প্রাপ্ত হয় । বাবা বলেন – আমি সাধুদেরও উদ্ধার করি, কেননা শিব বাবাকে না জানার কারণে কেউই সদগতি প্রাপ্ত করতে পারে না, কেউ ঘরেও ফিরে যেতে পারে না । বাবার ঘরের রাস্তা যদি তারা জানতো, তাহলে তো সেখানে আসা – যাওয়া করতো । সবাইকে পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হবে । সতঃ, রজঃ, তমঃতে আসতেই হবে । এখন তো হলো মিথ্যা মায়া, মিথ্যা কায়া । যারা ধর্ম স্থাপন করেছেন, তাদের নামেই শাস্ত্র লিখিত হয়, যাকে ধর্মশাস্ত্র বলা হয় । ক্রাইস্ট এসে কি করেছিলেন ? তিনি নিজে আগে আসেন, তাঁর পিছনে তাঁর ঘরানার আত্মাদের আসতে হবে । বৃদ্ধি তো হতেই হবে । এখন দেখো, খ্রিস্টান তৈরী করতে থাকে । অনেক হিন্দু ধর্মের মানুষদের কনভার্ট করতে থাকে । তারা তো নিজের ধর্মকে জানেই না । তোমরা এখন জানো যে, আমরা দেবতা বর্ণে যাবো । কৃষ্ণের আত্মাও এখন এই পড়া পড়ছে, কিন্তু সঙ্গম হওয়ার কারণে মিক্স করে দিয়েছে । এই চিত্র ইত্যাদি যা কিছুই আছে, এ সবই হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী । জ্ঞান সাগর তো পরমপিতা পরমাত্মা, তাঁর দ্বারা সকলেরই সদগতি হবে । সত্যযুগে তো অল্প মানুষ থাকবে । বাকি সবাই হিসেব – নিকেশ শোধ করে মুক্তিধামে চলে যাবে । ওরা শান্তি পাবে আর তোমরা সুখ পাবে । তোমরা এখন গহন সুখ প্রাপ্তির জন্য পড়ছো । যাদের এখানে পার্ট আছে তারাই কল্প – কল্প পুরুষার্থ করে । যারা ব্রাহ্মণ হবে তারাই স্বর্গের মালিক হবে — কিন্তু পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে । এখন দেবী – দেবতা ধর্মের কলম লাগছে । যারা পূর্ব কল্পে এসেছিলো, তারাই আসবে । ড্রামা তোমাদের দিয়ে অবশ্যই পুরুষার্থ করিয়ে নেবে । এই সময় সকলেই পাথর বুদ্ধি সম্পন্ন । সত্যযুগে হয় পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধি । ওখানে যথা রানী তথা প্রজা সকলেই পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধি সম্পন্ন ।
তোমরা এখন পাণ্ডব সেনা । তোমরা বাবার সাহায্যে স্বর্গের ফাউন্ডেশন তৈরী করছো । তোমরা স্বর্গের প্ল্যান তৈরী করছো । তোমরা অমরলোকে যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছো । বাকি যারা সব পরিকল্পনা করছে, তারা নিজেদের বিনাশের জন্য পরিকল্পনা করছে । তোমরা হলে অহিংসক । ওরা সব হিংসক । হিংসকরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে শেষ হয়ে যাবে, তারপর জয়জয়াকার হয়ে যাবে । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, ড্রামা অনুসারে যারা পূর্ব কল্পে এসেছিলো, তারাই আবার বৃদ্ধি পেতে থাকে । কেউ তো আবার বাবার হয়েও তালাক দিয়ে দেয় । বাবা বলেন – তোমরা যদি শ্রীমৎ অনুযায়ী চলো, তাহলে সূর্যবংশীয় মহারাজা – মহারাণী হতে পারবে । এখানে তো পরিশ্রমের কথা । যদিও ওরা খুব সুন্দর করে শাস্ত্র কথা শোনায় । তা তো এতকাল শুনেই এসেছো । শুনতে – শুনতে নরকবাসী হয়ে গিয়েছো, কলাও কম হয়ে গিয়েছে । যদিও ওরা বলে, পতিই ঈশ্বর, তবুও গুরু করে । কলা তো কম হয়ে যায়, তাই না । এই সৃষ্টিকে তমোপ্রধান হতেই হবে । বাবা আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন । বাবা বলেন – মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে । এখন দেহী – অভিমানী ভব । মামেকম্ (একমাত্র আমাকে) স্মরণ করো । আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) প্রকৃত ব্রাহ্মণ হয়ে এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞকে রক্ষাও করতে হবে, আর এর সাথে সাথে যেভাবে ব্যক্ত ব্রহ্মা অব্যক্ত হন, তেমনই অব্যক্ত হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে ।
২ ) ২১ জন্ম পর্যন্ত সুখী হওয়ার জন্য এই এক জন্মে বাবার কাছে পবিত্র থাকার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। কাম চিতা ত্যাগ করে জ্ঞান চিতায় বসতে হবে । শ্রীমৎ অনুসারে অবশ্যই চলতে হবে ।
বরদানঃ-
সদ্গুরুর দ্বারা জন্ম মাত্রই সর্ব প্রথম মহামন্ত্র প্রাপ্তি — “পবিত্র হও, যোগী হও ।” এই মহামন্ত্রই হলো সর্ব প্রাপ্তির চাবি । পবিত্রতা যদি না থাকে, যোগী জীবন যদি না থাকে, তাহলে অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও অধিকারের অনুভব করতে পারবে না । তাই এই মহামন্ত্র হলো সর্ব সম্পদ অনুভবের চাবি । এমন চাবির মহামন্ত্র সদ্গুরুর দ্বারা যে শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের কারণে প্রাপ্ত হয়েছে, তাকে স্মৃতিতে রেখে সর্ব প্রাপ্তিতে সম্পন্ন হও ।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য –
মানুষ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে যে, সৃষ্টির শুরু কীভাবে হয়েছিলো ? এই সম্বন্ধে মানুষ অনেক গল্প শুনেছিলো, কিন্তু ভগবান নিজেই আমাদের বলেন, সৃষ্টির শুরু আমাদের ধর্ম থেকেই হয়েছিলো । ইব্রাহিম পন্থী ইসলামীরা বলে, সৃষ্টির শুরু আমাদের ধর্ম থেকে হয়েছিলো । খ্রিস্টানরা আবার তাদের সময়কে আদি বলে মনে করে । বৌদ্ধরা আবার তাদের ধর্মের সময়কে আদি মনে করে । মুসলিমরা বলবে, আমাদের ধর্ম থেকে আদি শুরু হয়েছিলো, ভারতবাসী হিন্দুরা আবার নিজের ধর্মের সময়কে আদি বলে মনে করে । এরপর দেখানো হয়, সৃষ্টির আদিতে কীভাবে মানুষ তৈরী হয়েছিলো ? বলা হয়, শুরুতে সর্বপ্রথমে অস্থির দ্বারা মানুষ নির্মাণ হয়, তারপর এমনও দেখানো হয় যে, প্রথমে হাওয়া ছিলো, তার থেকে শ্বাস তৈরী হয়েছিলো, তারপর ফুসফুস তৈরী হয়, তারপর মানুষ । এইভাবে প্রথম মানুষ তৈরী হয়েছিলো, তারপর সম্পূর্ণ সৃষ্টির জন্ম হয়েছিলো । এখন এ হলো মানুষের শোনা গল্পকথা, এখন স্বয়ং পরমাত্মা আমাদের বলছেন যে, কীভাবে সৃষ্টি তৈরী হয়েছিলো ? প্রকৃতপক্ষে পরমাত্মা তো অনাদি বা চিরন্তন সত্য, তাই এই সৃষ্টিও অনাদি, চিরন্তন সত্য । শাশ্বত এই সৃষ্টি ভগবানের দ্বারাই শুরু হয়েছিলো । দেখো, ভগবানের এই কথা গীতায় উল্লেখিত আছে যে, ভগবান উবাচঃ – আমি যখন আসি, তখন আমি আসুরী দুনিয়ার বিনাশ করি, এবং দৈবী দুনিয়ার স্থাপনা করি । আমিই এই কলিযুগী, তমোগুণী, অপবিত্র আত্মাদের পবিত্রতা প্রদান করি । তাই প্রথমতঃ সৃষ্টির শুরুতে ভগবান ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শঙ্করের তিন আকারী স্বরূপ তৈরী করেন, তারপর তিনি ব্রহ্মা এবং সরস্বতীর মাধ্যমে দৈবী দুনিয়ার স্থাপনা করেন । এর অর্থ হলো, সৃষ্টির শুরু ব্রহ্মার দ্বারা হয়েছিলো এবং খ্রিস্টানরা ব্রহ্মাকে আদম আর সরস্বতীকে ইভ বলে তাদের শাস্ত্রে উল্লেখ করেন । আবার মুসলিম ধর্মে ডাডা আদম বিবি বলে থাকে । বাস্তবে যথার্থ কথা হলো এটাই । প্রকৃত জ্ঞান না জানার কারণে তারা এক ব্রহ্মার বিভিন্ন নাম দিয়ে দিয়েছে । কেউ পরমাত্মাকে সুপ্রীম সোল বলে, কেউ আবার তাঁকে আল্লাহ বলে ডাকে, কিন্তু এই সুপ্রীম সোল একজনই । কেবলমাত্র ভাষার বিভিন্নতা । আচ্ছা । ওম্ শান্তি ।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!