28 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 27, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিজেদের আত্মা মনে করে আত্মার সঙ্গে কথা বলো তবেই ফুলে সুগন্ধ আসতে থাকবে, দেহ-অভিমানের দুর্গন্ধ নিষ্কাশিত হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

নিজের সৌরভ চতুর্দিকে বিস্তার করা সত্যিকারের ফুল বা সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গ (পরওয়ানা) কে ?

উত্তরঃ -:-

সত্যিকারের ফুল সে-ই, যে অনেককে নিজের সমান সুগন্ধী ফুলে পরিণত করে। শ্রীমতানুসারে চলে প্রিয়তমের প্রেমাগুনে জ্বলে মৃত্যুবরণ করা অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করা, জীবনে থেকেও মৃতবৎ হয়ে থাকা সত্যিকারের সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গদের অথবা এমন ফুলেদের সৌরভ স্বততঃ-ই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

গান:-

সভায় জ্বলে উঠেছে বহ্নিশিখা……

ওম্ শান্তি । যেমন সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গরা গান শুনেছে। পতঙ্গ বলো বা ফুলই বলো, কথা একই। বাচ্চারা বুঝতে পারে যে আমরা সত্য-সত্যই কি সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গে পরিণত হয়েছি নাকি কেবলই ঘুরে ফিরে চলে যাই ? বহ্নিশিখাকেই (শম্মা) ভুলে যায়। প্রত্যেককেই নিজের হৃদয়কে প্রশ্ন করতে হবে যে আমরা কতখানি ফুল হয়েছি আর জ্ঞানের সুগন্ধ কি ছড়িয়ে দিতে পারি ? নিজের মতন ফুল-সদৃশ কাউকে করেছি কী ? এ তো বাচ্চারা জানে — জ্ঞানের সাগর হলেন বাবা, ওঁনার কত সৌরভ। যারা ভাল ফুল তাদের থেকে অবশ্যই ভাল সুগন্ধ আসবে। তারা সদা খুশীতে থাকবে, অন্যদেরও নিজের মতন ফুল বা সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গে পরিনত করবে। ফুল না হলেও কুঁড়িতে পরিনত করবে। সম্পূর্ণরূপে সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গ সেই, যে জীবনে থেকেও মৃতবৎ হয়ে যায়। বলিপ্রদত্ত হয়ে যায় অথবা ঈশ্বরীয় সন্তান হয়ে যায়। কোনো ধনী যখন কোনো দরিদ্রের সন্তানকে দত্তক নেয়, বাচ্চা সেই ধনীর কোলে যাওয়ার পর তখন তার সেই মাতা-পিতাকেই স্মরণে আসতে থাকবে আর দরিদ্রের (মাতা-পিতা) স্মরণ ভুলে যাবে। সে জানে যে আমার মাতা-পিতা দরিদ্র কিন্তু স্মরণ ধনী মাতা-পিতাকেই করবে, যার থেকে ধন-সম্পদ লাভ হয়। সাধু-সন্ন্যাসী ইত্যাদি যারা রয়েছে, তারা মুক্তিধামে যাওয়ার জন্য সাধনা করে। সকলে মুক্তির জন্যই পুরুষার্থ করে, কিন্তু মুক্তির অর্থ বোঝে না। কেউ বলে জ্যোতি মহাজ্যোতিতে বিলীন হয়ে যাবে। কেউ মনে করে পরপারের নির্বাণধামে যাব। নির্বাণধামে গমনকে জ্যোতিতে বিলীন হয়ে যাওয়া অথবা মিলিত হওয়াকে বলা হয় না। তোমরা জানো — আমরা দূরদেশের অধিবাসী। এই নোংরা (বিকারী) দুনিয়ায় থেকে কি করবো ! বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন যে যখন কারোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তখন এ’কথা বোঝাতে হবে যে এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামা। সত্যযুগ-ত্রেতা…… তারপর সঙ্গমযুগ। এও বোঝানো হয়েছে যে সত্যযুগের পরে ত্রেতার সঙ্গম আসে। এই যুগও আবর্তিত হয় আর এই কল্পও আবর্তিত হয়। বাবা যুগে-যুগে আসেন না। যেমনটা মানুষ মনে করে। বাবা বলেন — যখন সর্বকিছু তমোপ্রধান হয়ে যায়, কলিযুগের অন্ত হয়, সেই কল্পের সঙ্গমে আসি। যুগ সম্পূর্ণ হলে কলাও কম হয়ে যায়। যখন সম্পূর্ণ গ্রহণ লেগে যায় তখনই আমি আসি। আমি যুগে-যুগে আসি না। এ’কথা বাবা বসে-বসে সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গদের বোঝান। সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গদের মধ্যেও নম্বরের অনুক্রম রয়েছে। কেউ বহ্নিশিখায় বলিপ্রদত্ত হয়, কেউ ঘুরে ফিরে চলে যায়। শ্রীমতানুসারে তোমরাই চলতে পারো। কোথাও যদি শ্রীমতানুসারে চলতে না পারো তখন মায়া আঘাত করতে থাকবে। শ্রীমতের প্রভূত গায়ন রয়েছে। শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা বলা হয়। পরে যারা বসে-বসে শাস্ত্র তৈরী করেছে সেইসময় বুদ্ধি রজঃ হওয়ার কারণে মনে করেছে কৃষ্ণ দ্বাপরে এসেছে। আমি আসিই তখন, যখন আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। বাকি সমস্ত ধর্ম থাকে। এরকমও নয় যে সেই দেবী-দেবতা ধর্মের মানুষেরা হারিয়ে যায় কিন্তু তারা ভুলে যায় যে আমরা দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম। নিজেদের হিন্দু ধর্মের বলে দেয়, এও ড্রামায় নির্ধারণ করা রয়েছে। যখন ভুলে যাবে পুনরায় তখনই তো এসে আমি আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করবো। ইনিই একমাত্র বাবা যিনি এসে দুঃখধাম থেকে সুখধামের মালিক করে দেন। তোমরা বলবে যে এখন আমরা নরকের মালিক। দুনিয়াকে তমোপ্রধান হতেই হবে।

সকলেই পতিত তবেই তো পবিত্রদের সম্মুখে গিয়ে নমন করে। বাবা এখন বলেন — শ্রীমতানুসারে চলো। জন্ম-জন্মান্তরের অনেক বোঝা মাথার উপরে রয়েছে। তা নাহলে ত্রাহি-ত্রাহি করতে হবে। ওরা তো মনে করে, আত্মা অলিপ্ত কিন্তু না, আত্মাই সুখ-দুঃখ দেখে। এ’কথা কেউ বোঝে না। বাবা বারংবার বুঝিয়ে থাকেন — লক্ষ্য অনেক উঁচু। এইসময় তোমরা পুরুষার্থ করো কিন্তু তোমরা দুঃখী। তোমরা জানো যে, সত্যযুগে আমরা অত্যন্ত সুখে থাকব। ওখানে জানতেই পারবে না যে আমাদের পুনরায় দুঃখধামে যেতে হবে। আমরা কিভাবে জন্ম নিয়েছি, কত জন্ম নেব, কিছুই জানি না। এখন তোমরা জানো যে উচ্চতম কে ? তোমরা ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার কারণে যেমন ঈশ্বর নলেজফুল তেমনই তোমরাও নলেজফুল। এখন তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান সেও নম্বরের অনুক্রমে। কেউ অতি নেশায় ডুবে থাকে, মনে করে আমরা বাবার মতানুসারে চলে থাকি। যত মতানুসারে চলবে ততই শ্রেষ্ঠ হবে। বাবা সম্মুখে বসে বাচ্চাদের বোঝান। বাচ্চারা, দেহ-অভিমান ত্যাগ কর, দেহী-অভিমানী হও, নিরন্তর স্মরণ কর। বাবা সর্বদাই হলেন সুখদাতা। এমন নয় যে দুঃখও বাবা-ই দেন। বাবা কখনও বাচ্চাদের দুঃখ দিতে পারেন না। বাচ্চারা নিজেদের বিপরীতমুখী চলনের জন্য দুঃখ পায়।

বাবা দুঃখ দিতে পারেন না। মানুষ বলে — হে ভগবান, সন্তান দাও তবেই বংশবৃদ্ধি হবে। বাচ্চাকে অত্যন্ত ভালবাসে। বাকি দুঃখভোগ করে নিজের কর্মের জন্যই। বাচ্চারা, এখন বাবা তোমাদের অত্যন্ত সুখী করে দেন। তিনি বলেন — শ্রীমতানুসারে চলো। আসুরীয় মতানুসারে চলেই তোমরা দুঃখ পাও। বাচ্চারা বাবা অথবা টিচার অথবা গুরুজনেদের আজ্ঞা পালন না করার জন্য দুঃখী হয়ে পড়ে। স্বয়ং দুঃখপ্রদানকারী হয়ে যায়, মায়ার বশবর্তী হয়ে যায়। এখনই তোমরা ঈশ্বরের মত পাও। ঈশ্বরীয় মতের ফলাফল ২১ জন্ম চলে, পুনরায় অর্ধেককল্প মায়ার মতানুসারে চলে। ঈশ্বর একবারই এসে মত দেন। মায়া তো অর্ধেক কল্প পর্যন্ত মত দিতেই থাকে। বাবা একবারই মত দেন। মায়ার মতানুসারে চলে ১০০ শতাংশ দুর্ভাগ্যশালী হয়ে যাও সেইজন্য যারা ভাল-ভাল ফুল তারা সদা সেই খুশীতে মত্ত থাকবে। নম্বরের অনুক্রমেই হয়, তাই না! কোনো সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গ তো বাবার হয়ে শ্রীমতানুসারে চলতে শুরু করে দেয়। দরিদ্ররাই নিজেদের পোতামেল লেখে। ধনীরা ভয় পায় যে এখানে আমাদের পয়সা-কড়ি নিয়ে না নেয়। ধনীদের জন্য অত্যন্ত অসুবিধাজনক। বাবা বলেন — আমি দীনদয়াল। দানও সর্বদা দরিদ্রদেরই দেওয়া হয়ে থাকে। সুদামার কথা রয়েছে, তাই না — দু’মুঠো চালের পরিবর্তে তাকে প্রাসাদ দেওয়া হয়েছিল। তোমরা হলে গরীব। মনে করো, কারোর কাছে ২৫-৫০ টাকা রয়েছে, তার থেকে ২০-২৫ টাকা দিয়ে দেয়। ধনী ব্যক্তি যদি ৫০ হাজার দেয় তাও সমান (২০-২৫ টাকার) হয়ে যায়, সেইজন্য দীনদয়াল নামের গায়ন রয়েছে। ধনী ব্যক্তিরাও বলে — আমরা অবসরসময় পাই না কারণ সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা নেই। তোমরা হলে দরিদ্র। দরিদ্ররা ধন-সম্পদ লাভ করলে খুশী হয়। বাবা বুঝিয়েছেন যে এখানের দরিদ্র ওখানে ধনী হয়ে যায় আর এখানের ধনবান ওখানে দরিদ্র হয়ে যায়।

কেউ বলে, আমরা যজ্ঞের খেয়াল রাখব বা আত্মীয়-পরিজনের খেয়াল রাখব কী ? বাবা বলেন — তোমরা নিজেদের আত্মীয়-পরিজনেদের অত্যন্ত ভালভাবে দেখভাল করো। ভাল হয়েছে যে এইসময় তোমরা গরীব। ধনী হলে তখন বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারতে না। সন্ন্যাসীরা এ’ভাবে বলবে না। তারা তো পয়সা নিয়ে নিজেদের জমিজমা অর্থাৎ সম্পত্তি বানায়। শিববাবা এমন করবে নাকি, না তা করবে না। বাচ্চারা, এইসমস্ত ঘর-বাড়ী ইত্যাদি তোমরা নিজেদের জন্যই তৈরী করেছো। এ কারোর সম্পত্তি নয়, এ তো অস্থায়ী কারণ অন্তিম সময়ে বাচ্চাদের এখানে এসে থাকতে হবে। আমাদের স্মৃতি-স্মারকও এখানে রয়েছে। সেইজন্য পরে এখানে এসে বিশ্রাম নেবে। বাবার কাছে পালিয়ে যাবে সে-ই, যে যোগযুক্ত হবে। তারা সহায়তাও পাবে। বাবার অনেক সহায়তা পাওয়া যায়। তোমাদের এখানে বসে বিনাশ দেখতে হবে। বাচ্চারা, যেভাবে প্রারম্ভে বাবা তোমাদের মনোরঞ্জন করেছেন, পরেও মনোরঞ্জন পুনরায় শুরু করবেন। অত্যন্ত ভালবাসবেন। যেন বৈকুন্ঠে বসে রয়েছে, অতি নিকটে আসতে থাকবে। এ তো বোঝে যে আমরা এখন যাত্রায় রয়েছি। কিছুসময় পরে বিনাশ হবে। তোমরা অত্যন্ত খুশী হবে। ব্যস, আমরা গিয়ে প্রিন্স হবো। বিভিন্নপ্রকারের ফুল রয়েছে। প্রত্যেক বাচ্চাদের বোঝা উচিত — আমি কতখানি জ্ঞানের সুগন্ধ দান করছি ! কাউকে জ্ঞান এবং যোগের শিক্ষা দান করছি কী ! যারা করে তারা প্রফুল্লিত থাকে। বাবা অবগত হয়ে যান যে এরা কোন্ অবস্থায় রয়েছে। এদের অবস্থা কতখানি দ্রুত অগ্রসর হবে ! দ্রুত তারাই ছুটবে যারা সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গ হয়ে গেছে। বাবা বোঝান — অনেক মায়ার ঝড় আসবে, তার থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। এখন এই রাজযোগ পরমপিতা পরমাত্মা এসে শিখিয়ে থাকেন। পরমাত্মা এসে আত্মাদের বোঝান। আত্মার জ্ঞান রয়েছে — আমি আত্মা আমার এই আত্মাভাইকে বুঝিয়ে থাকি। যেমন পরমাত্ম-পিতা আমাদের আত্মা-রূপী বাচ্চাদের বুঝিয়ে থাকেন। আমরাও আত্মা। বাবা আমাদের শেখান, আমরা আবার এই আত্মাদের বুঝিয়ে থাকি কিন্তু আত্ম-ভাবের এই নিশ্চয় না থাকার কারণে নিজেদের মানুষ(দেহ) মনে করে, মানুষকেই বুঝিয়ে থাকে। আমি পরম আত্মা আত্মা-রূপী তোমাদের সঙ্গে বার্তালাপ করি। তোমরা আত্মাদের শোনাও। তোমরা এ’ভাবে দেহী-অভিমানী হয়ে কাউকে শোনালে তখন তৎক্ষণাৎ তীরবিদ্ধ হবে। যদি স্বয়ং দেহী-অভিমানী না হতে পারে তবে ধারণাও করাতে পারবে না। এই লক্ষ্য অতি উঁচু । বুদ্ধিতে এ’কথা থাকা উচিত যে আমরা এই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা শুনে থাকি। বাবা বলেন — আমি আত্মাদের (বাচ্চাদের) সঙ্গে কথা বলি। বাবার আজ্ঞা হলো অশরীরী(নগ্ন) হও। দেহ-অভিমান ত্যাগ কর, আমাকে স্মরণ কর — এ’কথা বুদ্ধিতে আসা উচিত। আমরা আত্মার সঙ্গে কথা বলি, শরীরের সঙ্গে নয়। যদিও ফিমেল, তারও আত্মার সঙ্গেই কথা বলি। বাচ্চারা, তোমরা বোঝ যে — আমরা তো বাবার হয়ে গেছি কিন্তু না, এরমধ্যে অনেক সূক্ষ্ম বুদ্ধি কাজ করতে থাকে। আমি আত্মা, আমি এর আত্মাকে বোঝাই। এ হলো আমার ভাই, একে পথ বলে দিতে হবে। আত্মা বুঝতে পারে। এভাবে বোঝ তবেই আত্মা তীরবিদ্ধ হবে। দেহকে দেখে শোনাও সেইজন্য আত্মা শোনে না। প্রথমে এই ওয়ার্নিং দাও যে আমি আত্মার সঙ্গে বার্তালাপ করছি। আত্মাকে তো না মেল, না ফিমেল বলা যাবে। আত্মা তো আলাদা। মেল-ফিমেল নাম হয় শরীর অনুসারে। যেমন ব্রহ্মা-সরস্বতীকে মেল-ফিমেল বলা হবে। শিববাবাকে না মেল, না ফিমেল বলা হবে। তাই বাবা আত্মাদের বোঝান। লক্ষ্য অনেক উঁচু। পয়েন্টও অনেক শক্ত। আত্মাকে ইঞ্জেকশন দিতে হবে, তবেই দেহ-অভিমান দূর হবে। তা নাহলে সুগন্ধ আসবে না, শক্তি আসবে না। বিষয় অত্যন্ত ক্ষুদ্র। আমরা আত্মার সঙ্গে কথা বলছি। বাবা বলেন — তোমাদের ফিরে যেতে হবে সেইজন্য দেহী-অভিমানী হও। মনমনাভব। পুনরায় মধ্যাজীভব অটোমেটিক্যালী চলে আসে। এখন অতি সূক্ষ্ম বুদ্ধিলাভ হয়। প্রত্যুষে উঠে বিচার-সাগর মন্থন করতে হবে। দিনে তো সার্ভিস করতে হবে কারণ আমরা কর্মযোগী। লেখাও রয়েছে যে নিদ্রাজীৎ হও। রাত্রিতে জেগে উপার্জন কর। দিনে মায়ার ভীষণ উপদ্রব।অমৃতবেলার বায়ুমন্ডল ভাল। বাবাকে এ’কথা লেখে না যে অমুক সময়ে উঠে বিচার-সাগর মন্থন করি। অত্যন্ত পরিশ্রমের। তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে যাও। এখানে হও পার্থিব জগতের মালিক। জলসীমা নিয়েও কত ঝগড়া চলতে থাকে। শত্রুতা লেগেই থাকে। পরস্পর একে-অপরকে ভাই-ভাই মনে করে না। কেবল এমনি-এমনিই বলে দেয় যে আমরা সকলেই এক। একত্র তো হতে পারে না। আত্মা অসংখ্য, সকলের নিজের-নিজের ভূমিকা রয়েছে। তোমরা এখানে বসে রয়েছো। কল্প-পূর্বেও বসেছিলে। পাতার নড়াচড়াও হয় ড্রামানুসারে। এমন নয় যে প্রতিটি পাতা পরমাত্মার দ্বারা আন্দোলিত হয়। এমন-এমন কথা বুঝে তারপর বোঝাও। প্রত্যেকেই বুঝতে পারে কি যে আমরা সমর্পিত-বহ্নিপতঙ্গ হয়েছি ! আমরা কি বাবার মতানুসারে চলে থাকি ! ব্যর্থ কথা বলি না তো! কোথাও নিজেদের পয়সা পাপকার্যে ব্যবহার করি না তো ? আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজেকে আত্মা মনে করে আত্মার সঙ্গে বার্তালাপ করতে হবে। দেহী-অভিমানী হয়ে শোনা এবং শোনানোর ফলে ধারণা ভালভাবে হবে।

২ ) নিদ্রার উপর বিজয়লাভ করতে হবে এবং রাত্রি জেগে উপার্জন করতে হবে। বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। কোনও ব্যর্থ কথায় নিজের সময় নষ্ট করা উচিত নয়।

বরদানঃ-

যেমন সত্যযুগীয় আত্মারা বিকারী বিষয়ের জ্ঞানে ইনোসেন্ট থাকে, সেই সংস্কার স্পষ্টরূপে স্মৃতিতে থাকলেই মায়ার নলেজ থেকেও ইনোসেন্ট হয়ে যাবে। কিন্তু ভবিষ্যতের সংস্কার স্মৃতিতে স্পষ্টরূপে তখনই থাকবে যখন আত্মিক স্বরূপের স্মৃতি সদাকালের জন্য এবং সুস্পষ্টরূপে থাকবে। যেমন দেহকে সুস্পষ্টরূপে দেখা যায় তেমনই নিজের আত্মার স্বরূপও যেন দেখা যায় অর্থাৎ যেন অনুভবে আসে । তবেই বলা যাবে যে মায়ায় ইনোসেন্ট এবং জ্ঞানে সেন্ট (ঋষি) অর্থাৎ সম্পূর্ণ পবিত্র।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top