28 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
26 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে সেইজন্য দেহের চেতনাকে ত্যাগ করো, আমি খুব ভালো, আমি ধনী এ'সব ভুলে গিয়ে নিজেকে আত্মা মনে করো"
প্রশ্নঃ --
কোন্ নিশ্চয় বা ধারণার আধারে তোমরা বাচ্চারা নিজেদের অতি উচ্চ ভাগ্য তৈরি করতে সক্ষম হও ?
উত্তরঃ -:-
প্রথমেই দৃঢ় নিশ্চয় থাকা চাই যে আমরা হলাম আত্মা। এখন আমাদের শরীর ত্যাগ করে ফিরে যেতে হবে, সেইজন্য এই দুনিয়ার থেকে মন সরিয়ে নিতে হবে। ২) আমাদের জ্ঞান প্রদানকারী শিববাবাই সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন, ওঁনার শ্রীমত অনুসারে আমাদের চলতে হবে। শ্রীমতে চলে নিজের এবং আত্মীয় পরিজন যারা আছে সবার কল্যাণ করতে হবে। যে বাচ্চা শ্রীমত অনুসারে চলে না বা যিনি পড়াচ্ছেন সেই বাবার প্রতি নিশ্চয় বুদ্ধি নেই সে কোনো কাজের নয়। সে চলতে-চলতে হারিয়ে যায়, শ্রেষ্ঠ ভাগ্য তৈরি করতে পারেনা।
গান:-
ওম্ নমঃ শিবায়ঃ..
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা বসে আছে এবং তারা জানে যে বাবার সামনে বসে আছে। কোনো সন্ন্যাসী, উদাসী মিত্র সম্বন্ধদের সামনে বসে নেই। তোমরা জানো আমরা পূর্বের মতোই অতি মিষ্টি বাবা যাঁকে আমরা জন্ম-জন্মান্তর ধরে স্মরণ করে এসেছি,তাঁর সম্মুখেই বসে আছি। আমরা বেঁচে থাকতেই ওঁনার সন্তান হয়েছি। সন্ন্যাসীদের তো ফলোয়ার্স তৈরি হয়। ওরা তো নিজের ঘরেই থাকে না ! ওদের ফলোয়ার্স বলা হয়, কিন্তু ওরা ফলো করে না। বাচ্চারা তোমাদের ফলো করতে হবে। বুদ্ধিতে স্মরণ থাকা উচিত যে আমরা আত্মা, যেখানে বাবা যাবেন আমরাও সেখানে যাব। নিরাকার বাবা পরমধাম থেকে এখানে এসেছেন পতিতদের পবিত্র করে তুলতে। তিনি আসবেন তো এই পতিত দুনিয়াতেই, পতিত শরীরে। যে প্রথম নম্বরে পবিত্র ছিল, যে ৮৪ জন্ম ভোগ করেছে, তার মধ্যে বসেই এ’সব বুঝিয়ে থাকেন। এখানে অসংখ্য বাচ্চারা বসে আছে। টিচার কি শুধু একজনকেই পড়াবেন নাকি ? ভগবানুবাচ শুধুমাত্র অর্জুনের প্রতি, এটা তো হতে পারে না। বাচ্চারা জানে আমরা আত্মারা বাবার সামনে বসে আছি। আর কোনো সৎসঙ্গে এমনটা মনে করেনা। তোমাদের বোঝানো হয়েছে এখন তোমাদের ফিরে যেতে হবে। শরীর তো এখানেই ছাড়তে হবে, সেইজন্যই দেহের চেতনাকে ত্যাগ করো। আমি খুব ভালো, আমি বিত্তবান, এ’সবই ছাড়তে হবে। আমি আত্মা, এটাই নিশ্চিত করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে-করতেই বাবার সাথে চলে যেতে হবে। শিববাবা বলেন আমার তো দেহ-অভিমান থাকতে পারে না কেননা আমার শরীর নেই। তোমাদেরও প্রথমে এই দেহ-অভিমান ছিল না, যখন তোমরা আত্মারা আমার কাছে ছিলে। তারপর তোমরা ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করেছ। তোমরা বলবে আমরা রাজ্য ভাগ্য পেয়েছিলাম, তারপর হারিয়েছি। এখন আবার তোমাদের মুক্তিধামে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি। শরীরকে তো নিয়ে যাব না। এই শরীর পুরানো হয়ে গেছে, এর চেতনা বুদ্ধি থেকে সরিয়ে দিতে হবে। নিজের ঘর পরিবারেই থাকতে হবে। এটা কোনো সন্ন্যাসীদের মঠ নয়। নিজেদের ঘর পরিবারের প্রতিও কর্তব্য পালন করতে হবে, ওরা (সন্ন্যাসীরা) তো ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। বাবা বাচ্চাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন না। বাবা বলেন তোমরা নিজের বাচ্চাদের শিববাবাকে স্মরণ করার কথা মনে করিয়ে দাও। তাদের বোঝাতে থাকলে ওদেরও শিববাবার প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে। শিববাবা কত মিষ্টি এবং প্রিয়। সবাইকে এখানে বসিয়ে দিলে বাচ্চাদের কে সামলাবে। এমন অনেক বাচ্চা আছে, যারা এখানে শরীর ত্যাগ করে পুনরায় দ্বিতীয়বার জন্ম নিয়ে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে আসবে, বাবার সাথে মিলিত হবে। এটাই নিশ্চয় হওয়া উচিত যে আমরা আত্মা। এই শরীর ত্যাগ করে ফিরে যেতে হবে। এখানে থাকতে আমাদের মন লাগে না। সন্ন্যাসীরা বলে থাকে ব্রহ্ম তত্ত্বে লীন হয়ে যাব। অনেক মত-মতান্তর আছে, আর এখানে এক বাবাই আছেন। বাবা এসেছেন বাচ্চারা তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। সত্যযুগে এতো সব ধর্ম ছিল না। এখন সত্যযুগ স্থাপন হচ্ছে। এখন বাবার পুনর্জন্ম হয়েছে। তোমরা এখন পুনরুজ্জীবিত হচ্ছো। পুনর্জন্ম একজনের জন্যই বলা হয়। অনেক বাচ্চারা লিখে থাকে, বাবা আমাদের জীবনে সুন্দর পরিবর্তন এসেছে। কখনও সামান্য ক্রোধ এসে যায়। বাবা বলেন হ্যাঁ বাচ্চারা এটা তো হবেই। রোগ কি চট করে সেরে যায়? সব গুণ বেরিয়ে গিয়ে নির্গুণ হয়ে গেছ। এখন সর্বগুণ সম্পন্ন হতে হবে। তোমাদের অগাধ ধন প্রাপ্তি হয়। ওখানে লোভের কোনো কথাই নেই। এখানে লোভবশতঃ কত চুরি ইত্যাদি করে থাকে। অফিসারদের গাফিলতিতে আনাজের গুদাম নষ্ট হয়ে যায়, তারপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এখানে মানুষ অনাহারে মরে যায়। তোমরা বুঝতে পেরেছ শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই নিশ্চয় না হবে যে শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন ততক্ষণ কোনো কাজের নয়। বাবা বুঝিয়েছেন তোমাদের আত্মা পতিত হয়ে গেছে। এখন পবিত্র হচ্ছে। শ্রীমত অনুসারে অবশ্যই চলতে হবে। নিজের মত চালানো উচিত নয়। মিত্র সম্বন্ধে যারা আছে তাদের শ্রীমত দ্বারা কল্যাণ করতে হবে। বাবাকে চিঠি লিখতে হবে। শ্রীমত অনুসারে না লিখলে অকল্যাণ হবে। অনেকেই আছে যারা চুপিসারে চিঠি লেখে। বাবা শিক্ষক রূপে বসে আছেন, সুতরাং বাবাকে বলা উচিত। বাবা তোমাদের এমন চিঠি লেখা শেখাবেন যে পড়বে তার রোম রোম রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবে। বাবা মানা করেন না, পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। তা না হলে চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম কীভাবে হবে। কেউ-কেউ আছে যারা শ্রীমত অনুসারে না চলে হারিয়ে যায়। ভাগ্যে না থাকার কারণে চলতে পারে না। এমন অনেক পুরুষ আসে ‐ যাদের স্ত্রীরা আসে না। তারা মানে না। শিববাবা লেখেন তোমরা তো দুর্বল। তাদের বোঝাও। তোমরা তো প্রতিজ্ঞা করেছিলে যে আমরা আজ্ঞা পালন করব। তোমরা নিজেদের স্ত্রীকে বশ করতে পারছ না বিকারকে কীভাবে বশ করবে। তোমাদের দায়িত্ব স্ত্রীকে নিজের হাতে রাখা, ভালোবাসার সাথে তাদের বোঝাও। শাস্ত্রে এ’সব বিষয়ে এই সময়ের কথা লেখা হয়েছে। তোমরা ব্রাহ্মণরাও প্রথমে বুদ্ধু (বোধহীন) ছিলে। এখন বাবা তোমাদের বুদ্ধিমান করে তুলেছেন।
তোমরা জানো শিববাবা ৫ হাজার বছর আগেও এমনই পার্ট প্লে করেছিলেন। এভাবেই নিশ্চয় বুঝিয়েছিলেন আর এই ব্রহ্মাও সেটা জেনেছেন। তোমরা এখন পুরুষার্থ করছ। যে যথার্থ রীতিতে সার্ভিস করবে সেই ফরিস্তা হয়ে যাবে। যদি হিসেব-নিকেশ থাকে তবে সাজা ভোগ করতে হবে। এখন তোমরা সামনে বসে আছ। শিববাবা তোমাদের শোনাচ্ছেন। এমনটা মনে করবে না যে ব্রহ্মা শোনাচ্ছেন। শিববাবা বলেন বাচ্চারা এখন নাটক শেষ হতে চলেছে। তোমরা আমার সাথে যোগযুক্ত হলে পবিত্র হয়ে যাবে। তোমরা জানো এখন সাজন তোমাদের নিয়ে যেতে এসেছেন এবং পড়াচ্ছেন। কত চমকপ্রদ বিষয়। তোমরা কত সৌভাগ্যশালী সুতরাং একজনেরই শ্রীমত অনুসারে চলা উচিত তাইনা। তিনি বলেন তোমরা শ্রেষ্ঠ থেকেও শ্রেষ্ঠ। আমি হলাম শ্রী শ্রী। তোমাদের শ্রী শ্রী শ্রেষ্ঠ করে তুলি। শ্রেষ্ঠ দুনিয়া গড়ে তুলি। এখানে কত পতিত অথচ নিজের উপরেই শ্রী টাইটেল রেখে দেয়। তোমরা রাবণের উপর বিজয় প্রাপ্ত করছ। তোমাদের আত্মা রূপী সুঁচে মরচে ধরে গেছে। এখন চুম্বক এসে পরিষ্কার করছে। পরিষ্কার হলেই বাবার সাথে যেতে পারবে, মরচে পরিষ্কার করার জন্য বাবাকে স্মরণ করো। মায়েরা শ্রী কৃষ্ণের মুখে মাখন দেখে, সেটা হচ্ছে স্বর্গের মাখন। দুটি বিড়াল নিজেদের মধ্যে লড়াই করে আর মাখন তো শ্রী কৃষ্ণই পাবে। শ্রী কৃষ্ণ তো একা রাজত্ব করবে না। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজ পরিবারের রাজত্ব চলে এরপর রাজাদের ঘরানা আসে। সেটা অনেক বছর ধরে চলে। তারপর প্রজাদের প্রজার উপর রাজত্ব শুরু হয়।
এখন তোমরা বুঝেছ বাবা আমাদের পার্ট প্লে করতে পাঠিয়েছিলেন। স্বর্গে আমরা খুব সুখী ছিলাম। ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার ভারতের জন্যই গায়ন আছে। ঐ কুমারীরা ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার পেতে সক্ষম করে তোলে। বাবা কত সুন্দর এবং যথার্থ রীতিতে বুঝিয়ে থাকেন তা সত্ত্বেও কারো-কারো পঁচে যাওয়া অবগুণ বের করতেই চায়না। বাবা হলেন একজন বড় মার্শাল, তার সাথে তিনি ধর্মরাজও। যদি শ্রীমত অনুসারে না চলে তবে তাঁর রাইট হ্যান্ড ধর্মরাজ আছেন। কেউ বাবার কোলে জন্ম নিল তারপর ফিরে যায় এবং মরেও গেল তবে কতখানি লোকসান হয়ে যায়। শ্রীমত অনুসারে চলেনা তাই মরে যায়। কত বোঝানো হয় যে শুধু বুদ্ধি দিয়ে বোঝো যে বাবা আমি তোমার। এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়া পাথর বুদ্ধি হয়ে গেছে । বাবাও (ব্রহ্মা) বলেন আমি শাস্ত্র ইত্যাদি পড়েছি, কিন্তু এ’সব কিছুই জানতাম না। যদি কেউ বলে আমি এই শিক্ষা গুরুর কাছে পেয়েছি তবে গুরুর কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা কি একজনই পেয়ে থাকে ? গুরুর ফলোয়ার্স তো অনেক হয়। যদি গুরুর শিক্ষাই গ্রহণ করত তবে গুরুর পদবীও নিত। এখানে সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের শিক্ষা দিয়ে, সবকিছুর থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে ফেলতে সক্ষম করে তোলেন। এক ধাক্কায় সবকিছু ছাড়িয়ে দেন। অনেক বাচ্চারাই এমন করেছে। ভট্টি হতো, পাকিস্তানে বাচ্চাদের খুব ভালোভাবে দেখাশোনা করা হতো। বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি বাবা বসে ছিলেন। আমরা পাকিস্তান গভর্নমেন্টকে বলতেন আনাজ ভালো পাওয়া যাচ্ছে না। সাথে সাথেই অফিসার বলে দিতেন যা চাও পছন্দ করে নিয়ে যাও। বুদ্ধির তালা খোলার জন্য বাবা ছিলেন। কিছু তো সহন করতেই হয়। কুমারীরা কত মার খায়। ওরা বাবাকে স্মরণ করে বলে বাবা অবাক করেছ তুমিই আমাদের ঈশ্বরীয় লটারি পাইয়ে দিয়েছ। বাচ্চাদের খুব মিষ্টি হতে হবে, ভালোভাবে চলতে হবে। ঘর পরিবারের প্রতিও কর্তব্য পালন করতে হবে। রচয়িতা যদি পালিয়ে যায় তবে রচনার কি অবস্থা হবে! এখানে সন্ন্যাসীদের ঐ পার্ট ছিল, ঐ সময় পবিত্রতা দরকার ছিল। সম্পূর্ণ খেলা এইভাবেই তৈরি হয়েছে। এখানেই রাজধানী স্থাপন হতে চলেছে। সত্যযুগে পতিতদের পবিত্র করে তুলব না। এই সঙ্গম যুগ হল বিখ্যাত। বাবা বলেন আমি আগেও বলেছি প্রতি কল্পে-কল্পে সঙ্গম যুগে আমি আসি। ওরা যুগে-যুগে, কচ্ছ মচ্ছ অবতার লিখেছে। মানুষও সেটাকেই সত্যি সত্যি বলে মেনেছে। রাবণ রাজ্য যে ! সন্ন্যাসীরা সবসময় শান্তি চেয়ে থাকে, তাদের সুখে বিশ্বাস নেই। ওরা বলবে জ্ঞান ঠিক নয়। দুনিয়াতে কোথায় সুখ আছে। রাম যেমন ছিল রাবণও ছিল। কৃষ্ণ ছিল যেমন কংসও ছিল। আর স্বর্গে ছিল অপার সুখ, কৃষ্ণকে সবাই কত ভালোবাসে। তাকে তো স্বর্গেই পাওয়া যাবে। তোমাদের মনোকামনা এখন পূর্ণ হচ্ছে। তোমরা জানো বাবা কৃষ্ণপুরীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন পুরুষার্থ করাচ্ছেন। সুতরাং বাবার প্রতি সচ্ছতা-সত্যতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। কোনো কিছু লুকালে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। না শোনানোর কারণে ভুল বৃদ্ধি পেতেই থাকে। বাবা প্রতি পদক্ষেপে শ্রীমত দেন তারপরও যদি কেউ না চলে এতে বাবার কি করার আছে।
বাবা বোঝান তোমরা ঈশ্বরীয় সন্তানদের মধ্যে বড় রয়্যালটি আর বিচক্ষণতা থাকা উচিত। খুব ভালোবাসার সাথে তোমাদের সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে হবে। জিজ্ঞাসা করে পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? তিনি তো স্বর্গের রচয়িতা সুতরাং স্বর্গের মালিক হওয়ার জন্য উত্তরাধিকার পাওয়া চাই। তোমাদের উত্তরাধিকার ছিল কিন্তু হারিয়ে ফেলেছ। আবারও সেটা দিচ্ছি। লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়া হল এখানকার লক্ষ্য । বাবা নিশ্চয়ই সত্যযুগে রাজত্ব করার ভাগ্য প্রদান করবেন। বাচ্চারা তোমাদের সার্ভিস করা উচিত। সবাইকে ২১ জন্মের জন্য জীবন-দান দিতে হবে। তোমরাই মহান পুণ্য আত্মা। তোমাদের মতো পুণ্য আত্মা আর কেউ হতে পারে না। পুণ্যের দুনিয়াতে চলার জন্য তোমাদেরকে অতি মিষ্টি হতে হবে । এঁরা হলেন পতিত-পাবন বাবা আর দাদা। বাচ্চাদের বেশ্যালয় থেকে শিবালয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন, কলিযুগকে রৌরব নরক বলে। এখানে শুধু দুঃখ আর দুঃখ। বাবা এসেছেন দুঃখধাম থেকে মুক্ত করে সুখধামে নিয়ে যেতে। আমরা এমন পারলৌকিক মাতা-পিতার থেকে সুখ নেওয়ার জন্য, মিলিত হওয়ার জন্য এসেছি। বড়ো খুশির বিষয়। তোমাদের খুশি হওয়ার কারণ এটাই যে আমরা শিবালয় স্থাপনকারী ভোলানাথ ভান্ডারী বাবার কাছে যাব। শিববাবাকেই স্মরণ করতে হবে, রথকে নয়। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বাবার সাথে অত্যন্ত সৎ হয়ে থাকা উচিত, কোনো কিছুই গোপন করা উচিত নয়। অত্যন্ত রয়্যালটি আর বিচক্ষণতার সাথে চলতে হবে।
২ ) ২১ জন্মের জন্য প্রত্যেককেই জীবনদান দেওয়ার সেবা করে পুণ্য আত্মা হতে হবে। আত্মা রূপী সুঁচে যে মরচে পড়েছে, স্মরণের যাত্রার দ্বারা সেই মরচে বের করতে হবে।
বরদানঃ-
স্নেহের শক্তিতেই সব বাচ্চারা এগিয়ে যাচ্ছে। স্নেহের উড়ান তন, মন, বা অন্তর থেকে বাবার সমীপে নিয়ে আসে। জ্ঞান, যোগ, ধারণা, যথাশক্তি নম্বরানুসারে আছে, কিন্তু স্নেহে প্রত্যেকেই নম্বর ওয়ান। স্নেহের আধারে সবাই সমীপে আছে। স্নেহের অর্থই হচ্ছে পাশে থাকা আর প্রতিটি পরিস্থিতিতে সহজেই উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া। এমনই সমীপে থাকা বাচ্চারাই পাশ উইথ অনার হতে সক্ষম হয়।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!