27 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

September 26, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- যোগবলের দ্বারাই তোমাদের নিজেদের বিকর্মের উপর বিজয়প্রাপ্ত করে বিকর্মাজীত হতে হবে"

প্রশ্নঃ --

কোন্ চিন্তা পুরুষার্থী বাচ্চাদেরও পুরুষার্থহীন করে দেয় ?

উত্তরঃ -:-

যদি কোনো পুরুষার্থীর এই খেয়াল আসে যে এখনও তো অনেক সময় পড়ে আছে, পরে দ্রুত (গ্যালপ) করে নেব। কিন্তু বাবা বোঝান — বাচ্চারা, মৃত্যুর সময় কি নিশ্চিত হয়ে আছে নাকি! কাল-কাল করে মারা গেলে তখন উপার্জন কি করবে ! সেইজন্য যতখানি সম্ভব পারো শ্রীমতে চলে নিজের এবং অপরের কল্যাণ করতে থাকো। সময়কে ভেবে(সময় হলে হয়ে যাবে) পুরুষার্থহীন হয়ো না।

গান:-

ওম নমঃ শিবায়ঃ..

ওম্ শান্তি । এ তো বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে, নিরাকার সাকার ব্যতীত কোনো কার্য সম্পন্ন করতে পারে না। তাঁর ভূমিকা পালন করতে পারেন না। আত্মিক পিতা এসে ব্রহ্মার দ্বারা আত্মা-রূপী বাচ্চাদের বোঝান। যোগবলের দ্বারাই সতোপ্রধান হতে হবে আর বিশ্বের মালিক হতে হবে। এ তো বাচ্চাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে কল্প-কল্প ধরে বাবা এসে রাজযোগ শেখান — ব্রহ্মার দ্বারা। আর আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন অর্থাৎ মানুষকে দেবতায় পরিনত করেন। মানুষ যারা দেবী-দেবতা ছিল, পবিত্র ছিল, তারাই এখন পরিবর্তিত হয়ে ৮৪ জন্ম পরে অপবিত্র হয়ে গেছে, ভারত যখন পারশপুরী ছিল তখন পবিত্রতা, সুখ, শান্তি সব ছিল। এ হলো ৫ হাজার বছরের কথা। তিথি-তারিখ সহ বাবা সব হিসেব-নিকেশ বোঝান। এঁনার থেকে উঁচু কেউ নয়। সৃষ্টি বা বৃক্ষ যাকে কল্পবৃক্ষ বলা হয়, তার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বাবা-ই বসে বোঝান। ভারতের যে দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, তা প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। কেবল চিত্র তো অবশ্যই রয়েছে। ভারতবাসীরা জানে যে সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। যদিও শাস্ত্রে ভুল করে দিয়েছে যে কৃষ্ণকে দ্বাপরে নিয়ে গেছে। বাবাই এসে বিস্মৃতদের পথ বলে দেন। ওঁনাকে বলা হয় মুক্তি-জীবনমুক্তির গাইড। সকলকে মুক্তি-জীবনমুক্তি প্রদানকারী একজনই। ভারত যখন জীবনমুক্ত তখন বাকি সব আত্মারা মুক্তিধামে থাকে। সেইজন্যই ওঁনাকে বলা হয় মুক্তি-জীবনমুক্তিদাতা। রচয়িতা একজনই। সৃষ্টিও এক, ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফীও এক, যা পুনরাবৃত হয়। সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ…. তারপর হয় সঙ্গমযুগ। কলিযুগ হলো পতিত, সত্যযুগ হলো পবিত্র। সত্যযুগ হবে, তাহলে তার পূর্বে অবশ্যই কলিযুগের বিনাশ হবে। বিনাশের পূর্বে স্থাপনা হবে। সত্যযুগে স্থাপনা হবে না। ভগবান আসবেন তখন যখন পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করতে হবে। এখন বাবা সহজ যুক্তি বলেন যে দেহ-সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধ পরিত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো। বাবা হলেন ভক্তদের ফল প্রদানকারী। ভক্তদের জ্ঞান দান করেন — পবিত্র হওয়ার জন্য। সকলকে পবিত্র করে যোগ। জ্ঞান-সাগর এসে মুখ দ্বারা জ্ঞান শোনান। পতিতদের পবিত্র করেন। এইসময় সকল আত্মারা পতিত হয়ে গেছে, সেইজন্যই বাবাকে ডাকে কারণ বাবা ছাড়া কেউ পবিত্র করতে পারবে না। যদি গঙ্গা পতিত-পাবনী হয় তবে পতিত-পাবন সীতারাম বলে কেন ডাকো! বুদ্ধি বলে, পরমপিতা পরমাত্মা অবশ্যই পুনরায় নতুন দুনিয়ার স্থাপনা আর পুরানো দুনিয়ার বিনাশের জন্য আসবেন। কল্পবৃক্ষের আয়ুও হয়, যে জিনিস জরাগ্রস্ত হয়ে যায় তাকেই তমোপ্রধান বলে। নিউ ওয়ার্ল্ড বলবে না, এ হলো আয়রন এজে’ড ওয়ার্ল্ড। এ’সমস্ত কথা বুদ্ধিতে বসানো হয় অন্যান্যদের বোঝানোর জন্য। ঘরে-ঘরে সংবাদ পৌঁছে দিতে হবে। এ’ভাবে বলা উচিত নয় যে পরমাত্মা এসেছেন। যুক্তি সহকারে বোঝাতে হবে, বলো — দু’জন বাবা আছে লৌকিক এবং পারলৌকিক। দুঃখের সময় পারলৌকিক বাবাকেই স্মরণ করা হয়। সুখধামে পরমাত্মাকে কেউ স্মরণ করে না। সত্যযুগ, লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে সুখ, শান্তি, পবিত্রতা সবকিছু ছিল। বাবার থেকে উত্তরাধিকার পেয়ে গিয়ে তারপরেও ডাকে কেন ? ওখানে সুখই সুখ। বাবা দুঃখের জন্য দুনিয়া রচনা করেন নি। এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামা, যাদের পার্ট পরে রয়েছে, তারা ২-৪ জন্ম নেয়, বাকি সময় শান্তিধামে থাকবে। এছাড়া খেলার (ড্রামার) থেকে কেউ বেরিয়ে যাবে তা হতে পারে না। এক-দুটি জন্ম নিয়ে বাকি সময় যেন মোক্ষলাভ হয়েছে, আত্মা হলো পার্টধারী। কারোর ভূমিকা উঁচু, কারোর কম। গাওয়াও হয়, ঈশ্বরের অন্ত কেউ পেতে পারে না। ঈশ্বরই এসে রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝান। বাবা বোঝান যে আমি সাধারণ তনেই প্রবেশ করি। আমি যে শরীরে প্রবেশ করি সেও তার নিজের জন্মকে জানে না। আমি এঁনার ৮৪ জন্মের কাহিনী শোনাই, কোনও পার্টেরই পরিবর্তন হতে পারে না। এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত খেলা। তা কারোর বুদ্ধিতে বসে না। বুদ্ধিতে তখনই বসবে যখন পবিত্র হয়ে বুঝবে। ভালভাবে বুঝবার জন্য ৭ দিন ভাট্টীতে পড়ো। ভাগবত (পাঠ) ইত্যাদিও ৭ দিনের জন্য রাখা হয়। কেউ ৭ দিনেই ভালভাবে বুঝে যায়, কেউ আবার বলে দেয় যে আমাদের বুদ্ধিতে কিছুই বসে নি। উচ্চপদ যদি না পাওয়ার হয় তবে বুদ্ধিতে কিভাবে বসবে। আচ্ছা, তবুও কল্যাণ তো হয়েছে, তাই না! প্রজা তো এ’ভাবেই হয়, এছাড়া রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত করে পরিশ্রমের দ্বারা। বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে। এখন করো বা না করো। কিন্তু বাবার ডায়রেক্শন হলো, প্রিয় বস্তুকে স্মরণ করা হয়, তাই না! ভক্তিমার্গেও বলা হয়, হে পতিত-পাবন এসো। এখন ওঁনাকে পেয়েছো। বলাও হয়, আমায় স্মরণ করো তবেই জং উঠে যাবে। রাজত্ব কি এ’ভাবেই পাওয়া যাবে নাকি! স্মরণেই একটু পরিশ্রম আছে। অধিক স্মরণকারীরাই কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করে। পুরোপুরি স্মরণ না করলে বিকর্ম বিনাশ হবে না। যোগবলের দ্বারাই বিকর্মাজীত হতে হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ এত পবিত্র কিভাবে হয়েছিলেন? যখন কলিযুগের অন্তে কেউই পবিত্র নয়। এইসময় গীতা জ্ঞানের এপিসোড রিপীট হচ্ছে। শিব ভগবানুবাচ, ভুলও তো সকলেরই হয়ে থাকে। আমি এসে সকলকে নির্ভুল করে দিই। ভারতের যে’সকল শাস্ত্র রয়েছে, তা হলো ভক্তিমার্গের। বাবা বলেন — আমি যা বলেছিলাম তা কারো জানা নেই। যারা আমার থেকে শুনেছিল তারা ২১ জন্মের প্রালব্ধ পেয়েছে তারপর এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। তোমরাই আবর্তন করে পুনরায় এই জ্ঞান শুনছো। তোমরা জানো যে, আমরা চারাগাছ রোপন করছি, মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার। এ হলো দৈবী-বৃক্ষের চারা। ওরা তো ওই বৃক্ষের কলম লাগাতে থাকে। বাবা এসে বৈসাদৃশ্যগুলি (কনট্রাস্ট) বলে দেন। তোমরা দেখিয়েও থাকো যে ওদের কি পরিকল্পনা, তোমাদের কি পরিকল্পনা। ওরা ফ্যামিলি প্ল্যানিং করে যাতে দুনিয়া (জনসংখ্যা) বৃদ্ধি না পায়। বাবাও অত্যন্ত ভালো কথা বলেন যে অনেক ধর্মের বিনাশ হয়ে যাবে এবং দেবী-দেবতা ধর্মের পরিবার স্থাপনা হয়ে যাবে। সত্যযুগে একটিই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের (যৌথ) পরিবার ছিল এবং অনেক পরিবার ছিলই না। এইসময় ভারতে দেখো কত পরিবার। গুজরাটি পরিবার, শিখ পরিবার….. বাস্তবে ভারতের পরিবার একটাই, অনেক পরিবার হলে তখন অবশ্যই খটাখটি হয়। তারপর সিভিল ওয়ার (গৃহযুদ্ধ) শুরু হয়ে যায়। পরিবারেও গৃহযুদ্ধ হয়ে যায়। যেমন খ্রিস্টানদের পরস্পরের যে পরিবার রয়েছে সেখানেও ওদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মিলমিশ হয় না। দ্বন্দ্ব হয়ে যায়। জলও ভাগাভাগি হয়। শিখ ধর্মাবলম্বীরা মনে করে, আমরা আমাদের ধর্মের পরিবারকে অধিক সুখ প্রদান করবো। অস্থির হয়ে পড়ে, তাই না! মাথা চাপড়াতে থাকে। এখন অন্তিম সময় আগত তবেই তো পরস্পর লড়াই করতে থাকে। বিনাশ তো হবেই। অনেক বোমা তৈরী করতে থাকে। ভীষণ যুদ্ধ যখন শুরু হয়েছিল তখন দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এখন তো অনেক তৈরী করেছে। এ তো বুঝবার মতন বিষয়, তাই না! তোমাদের বোঝাতে হবে যে এ হলো সেই মহাভারতের যুদ্ধ। বড়-বড় লোকেরাও বলে যে লড়াই বন্ধ না করতে পারলে তখন সমগ্র দুনিয়ায় আগুন লেগে যাবে। তোমরা জানো যে আগুন তো লাগবেই। বাবা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করেন। রাজযোগ হলোই সত্যযুগের জন্য। যে দেবতা ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে তাকেই পুনরায় স্থাপন করেন। এখন কলিযুগ এরপরে সত্যযুগ চাই। এখন কলিযুগের বিনাশের জন্য এ’টাই হলো অতি ভারী মহাভারতের যুদ্ধ। এ’সকল ভালভাবে ধারণ করে বোঝাতে হবে কারণ মানুষ হলো আসুরীয় সম্প্রদায়ের সেইজন্য সতর্ক থাকতে হবে। কল্প-পূর্বের মতনই যে বিঘ্ন ঘটেছিল তা অবশ্যই ঘটবে। এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামা। আমরা এর বন্ধনে আবদ্ধ। স্মরণের যাত্রাকে কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়। গান আছে, তাই না — রাতের পথিক ক্লান্ত হয়ে যেয়ো না…… এর অর্থ কেউ বুঝতে পারে না। রাত সম্পূর্ণ হয়ে দিবস আগত। অর্ধেক কল্প সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন সুখ শুরু হবে। বাবা ‘মন্মনাভব’-র অর্থও বুঝিয়েছেন, কেবল গীতায় কৃষ্ণের নাম লেখায় সেই শক্তি আর থাকে না। কৃষ্ণকে সর্বশক্তিমান বলতে পারা যায় না। তিনি সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছেন সেইজন্য গীতায় সেই শক্তি আর থাকে না। এখন আমরা সকলে মানুষমাত্রেরই কল্যাণসাধন করছি। যে কল্যাণকারী হবে সে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। স্মরণের যাত্রা ব্যতীত কল্যাণ হতে পারে না। এইসময় সকলেই বিপরীত-বুদ্ধিসম্পন্ন। বলে যে পরমাত্মা সর্বব্যাপী। তোমাদের বোঝাতে হবে যে ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা। অসীম জগতের পিতার থেকেই ভারতবাসীরা অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছে। ভারতবাসীরাই ৮৪ জন্ম নিয়েছে। বাস্তবে এখন তোমরা দেখছো যে জ্ঞান তোমরা শুনতেই থাকো। দিনে-দিনে তোমাদের কাছে অনেক নতুন নতুনরা আসতে থাকবে। এখনই যদি বড়-বড় লোকেরা আসে তখন আর দেরী লাগবে না। তৎক্ষনাৎ আওয়াজ ছড়িয়ে পড়বে। গোন্ডগোল হয়ে যাবে সেইজন্য যুক্তির দ্বারা ধীরেসুস্থে এগিয়ে যেতে থাকে। এ’টাই হলো গুপ্ত জ্ঞান, কেউ জানেই না যে এরা কি করছে। ভক্তিতে হলো দুঃখ, জ্ঞানে হলো সুখ। রাবণের সঙ্গে তোমাদের যুদ্ধ কেমন ধরণের তা তো তোমরাই জানো আর কেউ তো জানতে পারে না। ভগবানুবাচ, তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হলে আমায় স্মরণ করো তবেই পাপ বিনাশ হয়ে যাবে। পবিত্র হলে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে। মুক্তি তো সকলেই পাবে। সকলেই রাবণ-রাজ্য থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তোমরা বলো যে শিবশক্তিরা, ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাই শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া স্থাপন করবে। পরমপিতা পরমাত্মার শ্রীমতে পূর্ব-কল্পের মতনই। ৫ হাজার বছর পূর্বে শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া ছিল, তা বুদ্ধিতে বসানো উচিত। মুখ্য পয়েন্টগুলি যখন বুদ্ধিতে ধারণ করবে তখনই স্মরণের যাত্রায় থাকতে পারবে। কেউ মনে করে এখনও সময় রয়েছে, পরে পুরুষার্থ করে নেব। কিন্তু মৃত্যুর কোনো নিয়ম আছে নাকি! কাল মারা গেলে তখন! সেইজন্য এরকম মনে কোরোনা যে শেষে গ্যালপ করে নেব। এই ভাবনা আরোই পতন ঘটিয়ে দেবে। যতখানি সম্ভব পুরুষার্থ করতে থাকো। শ্রীমতানুসারে প্রত্যেককে স্ব-কল্যাণ করতে হবে, নিজেকে যাচাই করতে হবে যে বাবাকে কতখানি স্মরণ করি আর কতখানি বাবার সার্ভিস করি। তোমরা হলে ঈশ্বরের আত্মিক সহযোগী, তাই না! তোমরা আত্মাদের মুক্ত করো। আত্মা পতিত থেকে পবিত্র হবে কিভাবে, তার যুক্তি বলে দেন। কৃষ্ণকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে না। তিনি তো প্রিন্স ছিলেন, তিনি প্রালব্ধ(ফল) ভোগ করেছেন, তার মহিমারও প্রয়োজন নেই। দেবতাদের মহিমা কি আর করবে! হ্যাঁ, জন্মদিন সকলেই পালন করে। এ হলো সাধারণ কথা। তাছাড়া তিনি কি করেছেন ! সিঁড়িতে তো নেমেই এসেছেন। ভাল বা খারাপ মানুষ তো হয়ে থাকে। প্রত্যেকের স্ব-স্ব ভূমিকা রয়েছে। এ হলো অসীম জগতের কথা। মুখ্য শাখা-প্রশাখাই গোনা হয়ে থাকে। এছাড়া পাতা তো অগণিত। তোমরা আর কত পর্যন্তই বা তার গণনা করতে থাকবে। বাবা বোঝাতে থাকেন, বাচ্চারা পরিশ্রম করো, সকলকে বাবার পরিচয় দাও, তবেই বাবার সঙ্গে বুদ্ধিযোগ জুড়ে যাবে। বাবা বলেন — সকলকে বলো — পবিত্র হলে তবেই মুক্তিধামে চলে যাবে। দুনিয়ার কি কিছু জানা আছে নাকি যে মহাভারতের যুদ্ধের জন্য কি হবে! এই যজ্ঞ রচিত হয়েছে কারণ নতুন দুনিয়া চাই। আমাদের যজ্ঞ সম্পূর্ণ হলে তখন সব এই যজ্ঞে স্বাহা হয়ে যাবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) ঈশ্বরের প্রকৃত সহায়তাকারী হয়ে সমস্ত আত্মাদের মুক্ত করার সেবা করতে হবে। সকলের কল্যাণ করতে হবে। সকলকে বাবার পরিচয় দিতে হবে।

২ ) অতি প্রিয় বস্তুকে(বাবা) প্রেম-পূর্বক স্মরণ করতে হবে। পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামার প্রতি অটল থাকতে হবে। বিঘ্ন এলে ভয়ভীত হবে না।

বরদানঃ-

যখন কোনো প্রকারের আমিত্বভাব আসে তখন মাথায় বোঝা চলে আসে। কিন্তু যখন বাবা এসে বলছেন যে সব বোঝা আমাকে দিয়ে দাও, তোমরা কেবল নাচো, ওড়ো….. তখন এই প্রশ্ন কেন যে — সার্ভিস কিভাবে হবে, ভাষণ কিভাবে দেবো — তোমরা কেবল নিমিত্ত মনে করে কানেকশন পাওয়ার হাউজের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে বসে পড়ো, ভগ্ন-হৃদয় হয়ে যেও না, তবেই বাপদাদা সবকিছু স্বতঃ করে দেবেন। বালক তথা মালিক মনে করে শ্রেষ্ঠ আসনে স্থিতু হও তবেই প্রত্যক্ষ ফলের অনুভূতি করতে থাকবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top