27 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

November 26, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞান ধনের দান করার জন্য বিচার সাগর মন্থন করো, দান করার শখ রাখো, তাহলে মন্থন (মনন চিন্তন চলতেই থাকবে”

প্রশ্নঃ --

জ্ঞান মার্গে সর্বদা নিজেকে স্বাস্থ্যবান রাখার উপায় (সাধন) কি ?

উত্তরঃ -:-

সর্বদা নিজেকে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য বাবার দ্বারা যে জ্ঞানরূপী ঘাস (মুরলী) প্রাপ্ত হয়, তা খেয়ে তারপর চর্বণ করতে হবে অর্থাৎ চিন্তন করতে হবে। যে বাচ্চাদের মনন চিন্তন করার অর্থাৎ হজম করার অভ্যাস আছে, তারা কখনো অসুস্থ হয় না। সর্বদা সুস্থ সেই থাকে যার মধ্যে বিকারের অসুখ নেই ।

গান:-

তুমি হলে প্রেমের সাগর..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এই গান শুনেছে। মানুষ যা কিছু গান ইত্যাদি তৈরি করে, শাস্ত্র ইত্যাদি শোনাতে থাকে, তারা সেসব কিছুই বোঝেনা। যা কিছু পড়ে এসেছে, তার দ্বারা কারোরই কল্যাণ হয়নি, পরিবর্তে আরোই অকল্যাণ হয়ে এসেছে। সকলের কল্যাণকারী হলেন এক ঈশ্বর। তোমরা বুঝে গেছো যে আমাদের কল্যাণকারী বাবা এসে গেছেন। কল্যাণের রাস্তা বলে দিচ্ছেন। মুখ্যতঃ তোমাদের ভারতবাসীদের আর গৌণ ভাবে সমগ্র দুনিয়ার কল্যাণকারী হলেন এক বাবা-ই। সত্যযুগে সকলের কল্যাণ ছিল, তোমরা সবাই সুখধামে ছিলে আর বাকিরা সবাই শান্তিধামে ছিল। এটা বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে কিন্তু পয়েন্ট বুদ্ধি থেকে সরে যায়, সম্পূর্ণ ধারণা করতে পারে না। যদি একটা পয়েন্টের উপর বিচার সাগর মন্থন করতে থাকে তাহলে এইরকম হয় না। জন্তু জানোয়ারদের মধ্যে যতটা শক্তি আছে, আজকালকার মানুষের মধ্যে ততটাও শক্তি নেই। গরু ঘাস খায় তো চর্বন করতে থাকে (জাবর কাটতে থাকে)। তোমাদেরও ভোজন প্রাপ্ত হয়। কিন্তু তোমরা সারাদিন তা চর্বন করো না। গরু তো সারাদিনই জাবর কাটতে থাকে। তোমাদের জন্য এই জ্ঞানরূপী ঘাস প্রাপ্ত হয়। যোগ আর জ্ঞান। এর উপর দিন-রাত বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। যার মধ্যে সেবা করার শখ নেই, সে বিচার সাগর মন্থন করে কি করবে! শখ নেই তো করবেও না। কারোর কারোর আবার জ্ঞান ধন দান করার শখ থাকে। গো-শালাতে মানুষ গিয়ে গরুদেরকে ঘাস ইত্যাদি দিয়ে থাকে। সেটাকেও তারা পূণ্যের কাজ মনে করে। বাবা তোমাদেরকে এই জ্ঞান রূপী ঘাস খাওয়াচ্ছেন। এর উপর বিচার সাগর মন্থন করতে থাকলে তো খুশিতে থাকবে আর সেবা করার শখও হবে। কেউ এসে কলসি ভরে নিয়ে যায় আবার কেউ একফোঁটা নিয়ে যায়, সেও স্বর্গেতে চলে যাবে। স্বর্গের দ্বার তো খুলবেই। এখানে তো সমগ্র জ্ঞান সাগরকেই গ্রাস করতে হবে। কেউ কেউ তো বাবার সব জ্ঞানই গ্রাস করে নেয়, আবার কেউ তো একফোঁটা নেয়, সেও পুনরায় স্বর্গে চলে যাবে। বাকি যতটা ধারণ করবে ততোই উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। এছাড়া স্বর্গে তো এক ফোঁটাও যে জ্ঞান প্রাপ্ত করবে সেও চলে যাবে। মানুষ মারা গেলে তো তার মুখে গঙ্গার এক ফোঁটা জল দেয়। কেউ কেউ আবার ঘরের মধ্যে সর্বদা গঙ্গা জলই পান করতে থাকে। কতটা পান করবে। গঙ্গা তো প্রবাহিত হতেই থাকে। তাকে তো কেউ গ্রাস করতে পারে না। তোমাদের জন্য তো বলা হয়েছে – সাগরকে গ্রাস করে নিয়েছে। যে জ্ঞান সাগরের নিকটে আসে, অনেক বেশি সেবা করে, সে-ই বিজয় মালাতে দানারূপে গাঁথা হয়। যত যত যে গ্রাস করবে আর অন্যদের কল্যাণ করবে সে পদও অনেক উঁচু প্রাপ্ত করবে, যত ধারণা করবে খুশিও ততোই থাকবে। যে ধনবান হয় সে অনেক খুশি থাকে, তাই না। যার কাছে অনেক অসীম ধন থাকে, দান করতে থাকে, কলেজ, ধর্মশালা, মন্দির ইত্যাদি তৈরি করে, তো তার মধ্যে এতটাই খুশি থাকে। এখানে তো তোমাদের অবিনাশী জ্ঞান রত্ন প্রাপ্ত হচ্ছে। ২১ জন্মের জন্য অবিনাশী খাজানা। যে ভালো ভাবে ধারণ করে পুনরায় দান করতে থাকে, তার অনেক ভালো পদ প্রাপ্ত হয়। কোনো কোনো বাচ্চারা লেখে যে – বাবা আমার মন চায় যে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই আধ্যাত্মিক সেবাতে লেগে যাই। প্রজেক্টর প্রদর্শনী নিয়ে ঘুরতে থাকি। একফোঁটাও জ্ঞান যদি কারোর প্রাপ্ত হয় তাহলে কল্যাণ হয়ে যাবে। সেবা করার অনেক শখ থাকে, কিন্তু প্রত্যেকের অবস্থা তো বাবা জানেন। সেবার সাথে সাথে তো গুণও চাই। ক্রোধ করা যাবে না, কোনো উল্টোপাল্টা চিন্তা যেন না আসে। বিকারের কোনো রকমের অসুখ যেন না থাকে। সুস্বাস্থ্য চাই। যার মধ্যে বিকার কম আছে, বাবা বলেন যে, এ স্বাস্থ্যবান । বাবা মহিমা করবেন তাই না। গাওয়াও হয়ে থাকে – কে কে ভালো মহারথী হয়েছে। তারা তো সেখানেও অসুর আর দেবতাদের মধ্যে লড়াই দেখিয়ে দিয়েছে। দেবতাদের জয় হয়েছে। এখন আমাদের লড়াই হল পাঁচ বিকাররূপী অসুরের সাথে। এছাড়া অন্য কোনও প্রকারের মনুষ্য অসুর হয় না। যার মধ্যে আসুরিক স্বভাব আছে, তাকেই অসুর বলা যায়। প্রথম নম্বরের আসুরিক স্বভাব হল কামের, এইজন্য সন্ন্যাসীরাও একে ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই আসুরিক অপগুণ গুলিকে ত্যাগ করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। গৃহস্থেই থাকতে হবে কিন্তু আসুরিক স্বভাব ত্যাগ করতে হবে। পবিত্র হলে মুক্তি জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হবে। এ হল অনেক বড় প্রাপ্তি। তারা তো ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়, প্রাপ্তি কিছুই হয়না। এই চিত্রতে কত সুন্দর সুন্দর কথা বোঝানো হয়েছে। লৌকিক দুনিয়াতে তো কেবল চিত্রের প্রদর্শনী করতে থাকে। কেবল চিত্র দেখার জন্য কত লোক আসে। লাভ কিছুই হয়না। এখানে এই চিত্রগুলিতে কতইনা জ্ঞান বোঝানো হয়েছে, এর দ্বারা লাভ অনেক হয়। এখানে আর্ট ইত্যাদির কোনও কথাই নেই আর না যিনি তৈরি করেছেন সেই চিত্রকারের কোনো সর্তকতা থাকে। ওখানকার চিত্রের উপর তো চিত্রকারদের নাম লেখা হওয়া থাকে। চিত্রকারদের পুরস্কার প্রাপ্ত হয়। কেউ এতটুকুও যদি মনে করে যে, হ্যাঁ, বাবাকে তো অবশ্যই স্মরণ করতে হবে। এতটা বলেছে, তাহলেও প্রজাতে আসবে। প্রজা তো অনেক তৈরী হবে। আমি তো হলাম জ্ঞানের সাগর। একফোঁটাও জ্ঞান যদি কেউ প্রাপ্ত করে, তাহলেও স্বর্গেতে এসে যাবে।

তোমরা মনে করো যে প্রদর্শনী মেলাতে অনেকের কল্যাণ হয়। ঈশ্বর হলেন কল্যাণকারী, তাই না। তোমাদেরও কল্যাণ হচ্ছে। কিন্তু এর ওপরেও তোমাদের বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। স্মৃতিতে নিয়ে আসতে হবে তাহলে অনেক লাভ হবে। উল্টোপাল্টা কথা হলে তো এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিতে হবে। বাবা বলেন যে আমি তোমাদেরকে খুব সুন্দর সুন্দর কথা শোনাই। প্রথম নম্বরের মুখ্য কথা একটাই হলো – বাবার পরিচয় দাও। ব্যাস্, এক বাবাকে স্মরণ করো, তিনি হলেন সবকিছু। ভক্তি মার্গে অনেকে এইরকম হয়ে থাকে। বলো, তোমরা তো এটা খুব ভালো জিনিস করে থাকো উপরের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে ঈশারা করে। সবকিছু পরমাত্মা করাচ্ছেন। তিনি সকলের কল্যাণকারী, উপরে থাকেন। তোমরা আত্মারাও তো সেখানেই থাকো। এই সমস্ত জ্ঞানের কথা তোমরা এখন বুঝতে পারছ।

বাবা বলছেন বাচ্চারা, এখন তোমাদের এই কাপড় (শরীর) পুরানো হয়ে গেছে। সত্য যুগ ত্রেতাতে কত সুন্দর সুন্দর বস্ত্র ছিল। এখন এই পুরানাে কাপড় কতদিন পড়বে। কিন্তু এটা কেউ বুঝতে পারে না। বাবা এসে যখন বোঝান তখন বুঝতে পারে। এখন তোমরা বুঝতে পারো যে জ্ঞানদাতা হলেনই এক বাবা। তিনি হলেন সাগর। যে সাগরকে গ্রাস করে নিতে পারে সে-ই বিজয়মালার দানা হয়ে যায়। সে সর্বদাই সেবায় তৎপর থাকে। বাবা এসেইছেন বাচ্চাদেরকে পবিত্র বানাতে। পবিত্র হয়ে পুনরায় নিজ নিকেতনে ফিরে যেতে হবে। যেখান থেকে এসেছো পুনরায় সেখানেই সবাই যাবে নম্বর ক্রমানুসারে। আগে পরে যেতে পারবে না। নাটকে অভিনেতাদের অভিনয় সময় অনুসারে হয়, তাই না। এখানেও যে অভিনেতারা আছে, নম্বরের ক্রমে নিজ নিজ সময় অনুসারে এখানে আসতে থাকবে। এই অসীম জগতের নাটক আগে থেকেই তৈরী হয়ে আছে। ব্রহ্মে আমরা আত্মারা বিন্দু রূপে থাকি। সেখানে আর কিছু কি থাকবে। কোথায় একটা আত্মা বিন্দু স্বরূপ আর কোথায় এই এত বড় শরীর। আত্মা কত অল্প জায়গা নেয়, ব্রহ্ম মহাতত্ত্ব অনেক বড়। যেরকম পোলারের অন্ত নেই, সেইরকম ব্রহ্ম মহাতত্ত্বেরও অন্ত হয় না। অনেক প্রচেষ্টা করে অন্ত খুঁজে পাওয়ার, কিন্তু প্রাপ্ত করতে পারেনা, কতইনা ব্রেইন খাটাতে থাকে। কিন্তু এমন কোনো জিনিস প্রাপ্ত হয় না যেটা ধরবে বা পার হয়ে যাবে। বিজ্ঞানের অহংকার অনেক বেশী। তাতে কিছুই লাভ নেই। শুনেছ না – আকাশ-ই আকাশ পাতাল-ই পাতাল। তারা মনে করে যে চাঁদের মধ্যে দুনিয়া হবে। সেটাও ড্রামার মধ্যে তাদের এই পার্ট আছে। লাভ কিছু নেই। বাবা তো এসে আমাদেরকে বিশ্বের মালিক তৈরি করছেন। কত বড় লাভ হয়। এছাড়া চাঁদে যাও, ছুঃ মন্ত্র দিয়ে ভূত ইত্যাদি বের করো… এতে লাভ কী হবে। এখন তো আমরা অসীম জগতের বাবার থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। কল্প-কল্প নিয়ে এসেছি। এই পৃথিবীর ইতিহাস ভূগোল পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। এই চক্রের পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। দুনিয়াতে সর্বপ্রথম কেবল ভারতই ছিল। ভারতবাসীরাই বিশ্বের মালিক ছিল। সেখানে দেবতাদের কোনও খন্ডের বিষয়ে জ্ঞান থাকে না। এসব তো পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। নতুন নতুন ধর্ম স্থাপক এসে নিজের নিজের ধর্ম স্থাপন করে। এছাড়া তারা কোনো সদ্গতি তো করেনা, কেবল ধর্ম স্থাপন করে। তাদের আর কি গায়ন হবে! মুক্তিধাম থেকে আসে ভূমিকা পালন করার জন্য। মানুষ বলে যে মোক্ষে বসে থাকবো। এই আবাগমনের চক্রে আসবোই বা কেন! কিন্তু এই চক্রে তো আসতেই হবে। পুনর্জন্ম নিতেই হয়, পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে। এটাই হলো পূর্ব থেকে তৈরি হওয়া ড্রামার চক্র। লক্ষ বছরের ড্রামা তো হয়না। এটা তো হলো প্রাকৃতিক অনাদি ড্রামা। একে বলা যায় ঈশ্বরীয় আশ্চর্য। রচয়িতা আর রচনার যা কিছু আশ্চর্য আছে – তাকে জানতে হবে। এরকম কোনো মানুষ নেই যে বসে পুরুষার্থ করবে – সৃষ্টি চক্রকে জানার জন্য। এই সৃষ্টি চক্রের কিভাবে পুনরাবৃত্তি হয়, এই চিন্তা বুদ্ধিতে আসবেই না। সবথেকে পুরানোর থেকেও পুরানো চিত্র হলো শিবলিঙ্গের। ভগবান এসেছেন তাই পুনরায় তাঁর স্মরণিকা তৈরি হয়। প্রথমে যখন শিবের পূজা শুরু হয় তখন হীরের লিঙ্গ তৈরি করে। পুনরায় যখন ভক্তি রজঃ তমঃতে যায় তখন পাথরেরও বানাতে থাকে। শিব বাবা তো হীরের নয়। তিনি হলেন এক বিন্দু, পূজার জন্য বড় তৈরী করে। মনে করে আমি হিরের শিবলিঙ্গ বানাবো। সোমনাথের এত বড় মন্দিরে একটা বিন্দু রাখলে তো কিছুই বোধগম্য হবে না। বাবা বোঝাচ্ছেন যে – ভক্তি মার্গে কি কি হয়। বিজ্ঞানীরা কিছু না কিছু উদ্ভাবন করতে থাকে। ভালো ভালো জিনিস বের করতে থাকে। বিনাশের জন্যও কিছু জিনিস বের করে। আগে তো বিদ্যুৎ থোড়াই ছিল! মাটির প্রদীপ জ্বালাতো।

বাবা বোঝাচ্ছেন মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, অল্পেতে সন্তুষ্ট হয়ে যেও না। ভালো ভাবে ধারণ করে সাগরকে গ্রাস করো। যে ভালো সার্ভিস করবে সে পদও খুব ভালো পাবে। সারাদিন খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকতে হবে। এটা তো হলো নোংরা ছিঃ ছিঃ দুনিয়া। এখন এখান থেকে আমরা ফিরে যাব। পুরানো দুনিয়া তো বিনাশ হয়েই যাবে। তার প্রস্তুতিও চলছে। অবশিষ্ট আর অল্প দিন আছে, এর মধ্যেই কত সেবা করতে হবে। সমগ্র ভারতে তো কি, বিদেশেও সব দিকে পরিক্রমা লাগাতে হবে। খবরের কাগজের দ্বারা বিদেশের কোণায় কোণায় পর্যন্তও জানিয়ে দেওয়া চাই। এই সিঁড়ি ইত্যাদি চিত্রের দ্বারা অতি শীঘ্রই বুঝতে পারবে। বাবা এসেইছেন বাচ্চাদেরকে পুনরায় স্বর্গবাসী বানাতে। অবশ্যই লক্ষ্মী-নারায়ণ ভারতেই রাজত্ব করে গেছেন। মহিমা তো অনেক করে যে ভারত হলো প্রাচীন দেশ। অনেক মহিমা করতে থাকে, ভারত এইরকম ছিল, ভারতে এই পবিত্র দেবী দেবতারা ছিলেন। তোমরা জানো যে আমরা বাবার থেকে ২১ জন্মের প্রারব্ধ প্রাপ্ত করছি। বাবা একদম সাধারণ রীতিতে পড়াচ্ছেন। দেখিয়েছে না যে দ্রৌপদীর পদসেবা করছেন, সে সব কিছুই নয়। এখানে তো বাবা বলছেন যে বাচ্চারা ভক্তি মার্গে ধাক্কা খেয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছে। এখন আমি তোমাদের সেই ক্লান্তি দূর করতে এসেছি। তোমরা ধাক্কা খেয়ে খেয়ে পতিত হয়ে গেছো। বাবা বলছেন আমি তোমাদের ক্লান্তি দূর করছি। পুনরায় কখনো দুঃখ দেখবে না। অল্প একটুও দুঃখের নাম থাকবে না। এছাড়া পুরুষার্থ করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে হবে। ভালো পদ প্রাপ্ত করলে তো বলবে যে এ অতীতের জন্মে ভাল কর্ম করে এসেছে। গায়ন তো হতে থাকে তাই না। কিন্তু কেউ এটা জানে না যে এঁনারা কবে পুরুষার্থ করে এই পদ পেয়েছেন! এখন বাবা তোমাদেরকে এইরকম কর্ম শেখাচ্ছেন। তোমাদেরকেও বলছেন যে ভাল কর্ম করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করো। এখানে মানুষের কর্ম বিকর্ম হয়। সেখানে তো হলোই স্বর্গ। কর্ম অকর্ম হয়ে থাকে। সেখানে এই জ্ঞান থাকেনা। বাবা বলেন যে, কর্মের গতি আমি জানি। এই সময় যে ভাল কর্ম করবে সে ভালো ফল প্রাপ্ত করবে। এটা হল কর্মক্ষেত্র। কেউ খুব ভাল কর্ম করে। কেউ আছে যার মধ্যে সেবার উত্তাপ লেগেই থাকে। জিজ্ঞাসা করে বাবা আমার মধ্যে কিছু ঘাটতি আছে কি? না, সেবা তো যতটা করতে পারবে, ততোই করবে। সেবার বৃদ্ধি হতে থাকবে। সেবাধারী অনেক বেরিয়ে আসবে। হৃদয়ে এটা নিশ্চিত আছে যে – বাকি আর অল্পদিন অবশিষ্ট আছে। এখন এইরকম পুরুষার্থ করতে হবে যে সেখানে উঁচু পদ প্রাপ্ত হবে। বাবা এই জ্ঞানরূপী ঘাস খাওয়াচ্ছেন, বলছেন যে চর্বণ করতে থাকো তাহলে ধারণা পাকা হয়ে যাবে। খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। অনেক সেবা করতে হবে। অনেককে বাবার পরিচয় দিতে হবে। তোমরা হলে পয়গম্বরের (বার্তা বাহকের) সন্তান পয়গম্বর। একদিন খবরের কাগজে বড় অক্ষরে তোমাদের চিত্র বের হবে। বিদেশেও খবরের কাগজ যায় তাইনা! চিত্র দেখে বুঝতে পেরে যাবে যে এই জ্ঞান হল গড-ফাদারের। এছাড়া পরিশ্রম আছে মন্মনাভব হওয়ার। তার জন্য ভারতবাসীরাই পরিশ্রম করতে থাকে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবা যা কিছু ভালো ভালো কথা শোনাচ্ছেন, তার উপর বিচার সাগর মন্থন করে অনেকের কল্যাণকারী হতে হবে। উল্টোপাল্টা কথা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিতে হবে।

২ ) কোনও প্রকারের আসুরিক স্বভাব থাকলে তাকে ত্যাগ করতে হবে। বাবা যে জ্ঞানের ঘাস খাওয়াচ্ছেন তাকে উদ্গার করতে হবে।

বরদানঃ-

তোমাদের হোলি হংসের স্বরূপ হল পবিত্র আর কর্তব্য হল সর্বদাই গুণ রূপী মুক্ত চয়ন করা। অপগুণ রূপী কাঁকর কখনো বুদ্ধিতে স্বীকার ক’রো না। কিন্তু এই কর্তব্যকে পালন করার জন্যে সর্বদাই এক আজ্ঞা স্মরণে যেন থাকে যে, খারাপ কিছু চিন্তা করবে না, খারাপ কিছু শুনবে না, খারাপ কিছু দেখবে না, খারাপ কিছু বলবে না…। যে এই আজ্ঞাকে সর্বদা স্মৃতিতে রাখে সে সর্বদা সাগরের তীরে অবস্থান করে। হংসদের ঠিকানাই হলো সাগর।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top