27 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

26 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বিচার সাগর মন্থন করে ভারতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি আর নতুন দুনিয়ার সম্বৎ (অব্দ) প্রমাণিত (সিদ্ধ) করে বললে কল্পের আয়ু সিদ্ধ হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা তোমাদের এখন কোন ধুন লেগে আছে যা মানুষের থেকে ভিন্ন ?

উত্তরঃ -:-

তোমাদের ধুন হল যে বিশ্বের তরী যা ডুবে আছে তাকে আমরা উদ্ধার করবো। সকলকে প্রকৃত সত্যনারায়ণের কথা বা অমর কথা শোনাবো যাতে সকলের উন্নতি হয়। এত বড়-বড় ঘর বাড়ি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সবকিছু আছে কিন্তু ওরা এটা জানে না যে এগুলি সবকিছুই হল আর্টিফিশিয়াল মিথ্যা উন্নতি। প্রকৃত উন্নতি তো সত্যযুগে ছিল, যেটা বাবা এসে করান।

গান:-

শেষ পর্যন্ত সেই দিন এলো আজ….

ওম্ শান্তি । দীনের নাথ এসেছেন তো ঠিকই, কিন্তু সঠিক তিথি তারিখ কিছু লেখা নেই। কোনো ডেট, সম্বৎ তো হওয়া উচিত তাই না ? যেমন বলা হয় যে, আজ অমুক তারিখ, অমুক মাস, অমুক সম্বৎ। দীননাথ কখন এসেছেন ? এটা লেখা নেই। যেমন লক্ষ্মী-নারায়ণ সত্যযুগ ইত্যাদিতে ছিল, তাদেরও তো সম্বৎ থাকা উচিত। এদের অমুক সম্বতে রাজত্ব ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণেরও সম্বৎ রয়েছে আরও সকলের নিজের নিজের সম্বৎ রয়েছে । গুরু নানকেরও লেখা থাকবে যে অমুক তারিখে জন্ম নিয়েছিলেন। সম্বৎ ছাড়া জানতে পারা যায় না। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ভারতে রাজত্ব করতেন, তবে তো নিশ্চয়ই সম্বৎ হওয়া উচিত। এদের সম্বৎ মানে স্বর্গের সম্বৎ। লক্ষ্মী-নারায়ণ সত্যযুগে রাজত্ব করেছিলেন, কত থেকে কত সম্বৎ পর্যন্ত যদি বলতে হয় তবে তা ৫ হাজার বছরই বলা হবে। গীতা জয়ন্তীর সময়ের তফাৎ তো থাকবেই। শিব জয়ন্তী আর গীতা জয়ন্তীর মধ্যে কোনো ফারাক নেই। কৃষ্ণ জয়ন্তীর ফারাক রয়েছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের সম্বৎ তো সেটাই লিখতে হবে। এটাও বিচার সাগর মন্থন করতে হয় যে পাবলিককে কী করে সেটা বোঝানো যায় । লক্ষ্মী-নারায়ণের সম্বৎ কেন দেখানো হয় না ? বিক্রম সম্বৎ দেখানো হয়, কিন্তু বিকর্মাজিত সম্বৎ তবে কোথায় গেল ! এখন বাচ্চারা তোমাদের এটা খুব ভালো ভাবে জানা আছে। ভারতের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফিতে নতুন দুনিয়ার সম্বৎ-কেও দেখানো উচিত। নতুন দুনিয়াতে রাজত্ব ছিল আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের, তো তাদের সম্বৎ-ও তো থাকবে তবে। হিসাব করলে দেখবে তাদের ৫ হাজার হয়েছে। এ’কথা প্রমাণিত করে বললে কল্পের আয়ু প্রমাণিত হয়ে যাবে আর লক্ষ বছরের বলে যেটা লেখা হয়েছে, সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যাবে। এই সব কথা বাবা এসে বোঝান। যিনি হলেন মনুষ্য সৃষ্টির বীজ রূপ, সৃষ্টির আদি মধ্য, অন্তকে যিনি জানেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের ডায়নেস্টির ৫ হাজার বছর হয়েছে আর ৩৭৫০ বছর হয়েছে রাম – সীতার। এরপর এদের ডায়নেস্টির চলে। তারপর বিক্রম সম্বৎ শুরু হয়। বিক্রম রাজার যে সম্বৎ সেটাও রাইট নয়, মাঝখানের কিছু বছর উধাও। হওয়া উচিত ২৫০০ বছর। ইসলাম, বৌদ্ধ’ও কিছু সময় পরে শুরু হয়। তারা তো দু’ হাজার বছর থেকে নিজেদের সম্বৎ দিয়েছে।

তোমরা জানো যে আমরা সবাই দেবী-দেবতা ছিলাম, আমরা চক্র পরিক্রমা করে এখন ব্রাহ্মণ হয়েছি। এই হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি ভালো ভাবে বোঝাতে হবে। ব্রাহ্মণ থেকে পুনরায় দেবতা হই। হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি বুঝতে যদি পারো তবে সম্বৎ-ও বুঝতে হবে। সিঁড়ির চিত্রে সম্বৎ লেখা আছে । ভারতের সম্বৎ উধাও হয়ে গেছে। যারা পূজ্য ছিল, তাদের সম্বৎ-ই উধাও করে দিয়েছে। পূজারীদের সম্বৎ শুরু হয়ে গেছে। দেখো, অশোক স্তম্ভ বলা হয় না ? দ্বাপরে অশোক (শোক রহিত) তো কেউ নেই। অশোক স্তম্ভ তো অর্ধ কল্প সত্যযুগ ত্রেতা পর্যন্ত চলে। এই মহিমা সত্য – ত্রেতার, শোক স্তম্ভের কোনো মহিমা নেই। এখানে তো দুঃখই দুঃখ। অশোকা হোটেল নাম রেখেছে, কিন্তু তা তো নয়। অর্ধ কল্প ক্ষণ ভঙ্গুর সুখকে অশোক বলে দিয়েছে। এখানে অশোক বলে কিছু নেই। মাংস-মদিরা, তামসিক আহার করতে থাকে। কিছুই বুঝতে পারে না যে আমরা দুঃখী কীভাবে হলাম ? তার কারণ কী ?

এখন তোমরা জানো যে এই কথাগুলো শুনবে তারাই যারা কল্পে পূর্বে স্বর্গে সুখী ছিল। যারা ওখানে ছিল না, তারা শুনবেও না। যারা ভক্তি সম্পূর্ণ করেছে তারা কিছু না কিছু এসে শিক্ষা নেবে। জ্ঞান শুনে লোকজন খুশি হবে। চিত্রও ক্লিয়ার আছে। অব্দও লেখা আছে। ব্রহ্মা বিষ্ণুর জন্মও তো এখানেই হওয়া উচিত। বাকি শঙ্কর তো হলেন সূক্ষ্মবতনের আর শিব হলেন মুলবতনে। সূক্ষ্ম, মুলকেও জানে না, সেইজন্য শিব শঙ্করকে মিলিয়ে ফেলেছে। শিব হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, শঙ্কর হলেন দেবতা। উভয়কে মিলিয়ে দেওয়া যায় না। এখন বাচ্চারা তোমরা কত বুঝদার হয়েছো। নেশা কতো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। রাত-দিন এতেই অধীর থাকা উচিত যে মানুষকে কীভাবে বোঝাবো। অবুঝদেরই বোঝানো হয়। তোমরা জানো যে ভারত প্রথমে কি ছিল এখন আবার ডাউনফল কিভাবে হল। দুনিয়া তো মনে করে যে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। পূর্বে এত বড় বড় বাড়ি ঘর, বিদ্যুৎ ইত্যাদি কিছুই ছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হচ্ছে কারণ তারা তো জানেই না যে এটা হলো মিথ্যা আর্টিফিশিয়াল। প্রকৃত উন্নতি তো সত্যযুগে ছিল – এটা বোঝাতে হবে। তারা নিজেদের ধুনে আছে, তোমরা আবার নিজেদের ধুনে আছো। তোমাদের খুশী তো হল বিশ্বের তরী যেটি ডুবে ছিল, তা আমরা বাবার জ্ঞান দ্বারা উদ্ধার করছি। বাবা আমাদের সত্যনারায়ণের কথা বা অমর কথা আবারও শোনাচ্ছেন। ভক্তি মার্গে তো অনেক কথা কাহিনী শুনিয়ে থাকে। তোমরা জানো যে এগুলি হলো সব মিথ্যা কথা কাহিনী যাতে কোনো লাভ হয় না। এরা তো শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে এসেছে তাও সৃষ্টি তো তমোপ্রধান হতেই থাকছে। সিঁড়ি অবতরণ হয়েছে তাতে লাভ কি হয়েছে ? শিখদেরও মেলা বসে। ওখানে ঝিল বা পুকুরে স্নান করে। ওরা গঙ্গা যমুনা ইত্যাদিকে মানে না।

কুম্ভের মেলায় শিখরা যায় না। ওরা নিজেদের পুকুরে বা ঝিলে যায়। ওদের আবার বিশেষ অনুষ্ঠান থাকে। কখনো আবার সেটিকে পরিষ্কার করতেও যায়। সত্যযুগে তো এইসব বিষয় থাকে না। সত্যযুগে তো নদী ইত্যাদি একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। ওখানে কখনোই গঙ্গা-যমুনাতে নোংরা, আবর্জনা পড়ে না। ওখানের গঙ্গাজল আর এখানের গঙ্গা জলের মধ্যে রাত দিনের পার্থক্য । এখানে তো অনেক আবর্জনা পড়ে।ওখানে তো প্রত্যেকটি বিষয়ই খুব সুন্দর ।

বাচ্চারা তোমাদের এখন অনেক খুশি হয় যে আমাদের রাজধানী এইরূপ হবে। আমরা আবারও ৫ হাজার বছর পরে শ্রীমতের আধারে স্বর্গের স্থাপনা করছি। নামই হল স্বর্গ, বৈকুণ্ঠ, যাতে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। শান্তিধাম অথবা নিবার্ণধাম হল একই। তোমরা জানো যে আমরা শান্তিধামে কিভাবে থাকি। উপরে আছেন শিববাবা তারপর ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর, তারপর দেবতাদের মালা তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। নিরাকারী ঝাড় থেকে আত্মারা সংখ্যানুসারে আসতে থাকে। যারা সত্যযুগে আসবে না, তারা পঠন-পাঠনের জন্য কখনোই আসবে না। হিন্দুধর্মই যেন আলাদা হয়ে গেছে। কেউ জানেই না যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। সেই ধর্ম কিভাবে আর কখন স্থাপন হয়েছে, কেউই জানে না। তোমাদের এখন এই নলেজ দেওয়া হয়েছে যে অন্যদেরকেও বোঝাও। চিত্র তো হল খুবই সহজ। যেন কোনো কাউকেই বোঝাতে পারবে উনারা এই রাজ্য কখন এবং কিভাবে নিয়েছিলেন? আর কত সময় পর্যন্ত রাজ্য করেছিলেন? রাম-সীতারও থাকা উচিত অমুক অব্দ থেকে অমুক অব্দ পর্যন্ত ওনারা রাজ্য করেছেন। পরবর্তী সময়ে তারপর পতিত রাজাদের শুরু হয়। এই দেবতারাই হলো মুখ্য, যাদের পূজা হয়। বাস্তবে সমগ্র মহিমা এক পূজ্যেরই হওয়া উচিত। ভক্তি মার্গে তো সকলকেই পূজা করতে থাকে। নিজ-নিজ সময়ে প্রত্যেকেরই মহিমা হয়। মন্দিরে গিয়ে পূজা ইত্যাদি করতে থাকে, কিন্তু তাদেরকে একদমই জানে না। এখন তোমরা বোঝাচ্ছো তা শুনে খুশি হয়, তাই তো সেন্টার খোলে। বোঝেও যে এই জ্ঞানের দ্বারা আমরাও দেবতা হবো। বাবা গরিবদের এসে ধনী বানিয়েছেন। বাবা এসে বাচ্চাদেরকে বোঝান, বাচ্চারা আবার অন্যদেরকে বুঝিয়ে তাদের ভাগ্য খুলে দেয়। বিশ্বের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি এখন তোমরা বাবার থেকে শুনছো। সেটি বোঝার ফলে তোমরা সবকিছু জেনে যাও। বিশ্বের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি তো অবশ্যই বিশ্বের রচয়িতা বীজরূপই শোনাবেন। উঁনিই হলেন নলেজফুল। উঁনি হলেন নিরাকার শিব।দেহধারীকে ভগবান রচয়িতা বলা যাবে না। নিরাকারই হলেন সকল আত্মাদের পিতা। তিনি বসে আত্মাদেরকে বোঝান। আমি পরমধামে থাকি। এখন আমি এই শরীরে এসেছি। আমিও হলাম আত্মা। আমি বীজরূপ, নলেজফুল হওয়ার জন্য বাচ্চারা তোমাদেরকে বোঝাই। এতে আশীর্বাদ, কৃপা ইত্যাদির কোনো কথা নেই। না অল্পকালের সুখের কথা রয়েছে। অল্পকালের সুখ তো লোকজনেরা দিয়ে থাকে। কারুর যদি কিছু লাভ হয়ে যায় তাহলে ব্যস্ নাম ঊর্ধ্বে উঠতে থাকবে। তোমাদের প্রাপ্তি তো হল ২১ জন্মের। জন্য। তা তো বাবা ব্যতীত এইরূপ প্রাপ্তি আর কেউই করাতে পারেন না। ২১ জন্মের জন্য নিরোগী কায়া কেউই বানাতে পারেন না। ভক্তিমার্গেও মানুষ অল্পবিস্তর সুখ প্রাপ্ত করলে অনেক খুশি হয়ে যায়। এখানে তো ২১ জন্মের জন্য প্রালব্ধ প্রাপ্ত করে। তাও অনেকেই আছে যারা পুরুষার্থ করে না। ওদের ভাগ্যে নেই। অনুপ্রেরণা তো সকলকে এক সমানই দেওয়া হয়। ঐ পঠন-পাঠনে তো পৃথক পৃথক শিক্ষকও পাওয়া যায়। ইনি তো একজনই শিক্ষক। যদিও তোমরা বিশেষভাবে বসে বুঝিয়ে থাকো। কিন্তু নলেজ তো হলো একটাই, কেবল প্রত্যেকের বোঝার উপর সেটি নির্ভর করে। এটি হলো একটি কাহিনী, যার দ্বারা সমস্ত রহস্য এসে যায়। বাবা সত্যনারায়ণের কথা শোনাচ্ছেন। তোমরা তিথি তারিখ সব কিছু শোনাতে পারো। কোথাও কোথাও আবার সত্যনারায়ণের কথা শোনায় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি। সমগ্র কথা কাহিনী তাদের একেবারে কণ্ঠস্থ । তোমরাও এই প্রকৃত সত্যনারায়ণের কথা কণ্ঠস্থ করে নাও। এটি হল খুবই সহজ। বাবা প্রথমে বলেন মন্মনাভব। তারপর বসে হিস্ট্রি বোঝাও। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের অব্দ বলতে পারবে তাই না। এখানে এলে আমরা আপনাদের বোঝাবো যে বাবা কীভাবে সঙ্গমযুগে আসেন। ব্রহ্মা তনে এসে শোনান। কাকে ? ব্রহ্মা মুখাবংশাবলীদের। যারা আবার দেবতা হন, ৮৪ জন্মের কাহিনী। ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হন। সম্পূর্ণ নলেজ আছে, এটা শুনে আবারও বসে যদি রিপিট করো তাহলে বুদ্ধিতে সব এসে যাবে যে আমরা দেবতা ছিলাম আবারও এইরকম চক্র পরিক্রমা করেছিলাম । এটি হল সত্যনারায়ণের কথা। কত সহজ, কীভাবে রাজ্য নিয়েছিলাম, কীভাবে হারিয়ে ফেলেছি…. কত সময় ধরে রাজ্য চালিয়েছিলাম। লক্ষী-নারায়ণ আর ওনাদের কুল, বংশ ছিল তাই না। সূর্যবংশী বংশজাত, আবার চন্দ্রবংশী বংশজাত তারপর সঙ্গমে বাবা এসে শূদ্রবংশীদের ব্রাহ্মণ বংশী বানান। এই প্রকৃত কথা কাহিনী তোমরাই শুনছো। সত্যযুগে লক্ষী-নারায়ণের হীরা রত্নের মহল ছিল। এখন আর কি রয়েছে। বাবা এই কথা শুনিয়েছেন তাই না।

এখন বাবা বলেন যে আমাকে স্মরণ করো তাহলে খাদ বেরিয়ে যাবে। যত খাদ বেরিয়ে যাবে তত উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। সংখ্যানুসারে বুঝতে পারে। বাবা জানে যে কে-কে ভালোভাবে বুদ্ধিতে ধারণ করতে পারবে। বোঝাতে কোন কষ্ট নেই। একদমই সহজ। নর থেকে দেবতা হওয়া তো হল অনেক খ্যাতনামা। বারংবার এই সত্যনারায়ণের কথা শোনাতে থাকো। ওটি হলো মিথ্যা, এটি হলো সত্য। সেন্টারেও সত্যনারায়ণের কথা শোনাতে থাকো বা মুরলী শোনাতে থাকো। এটি হলো অনেক সহজ। যে কেউই সেন্টার চালাতে পারে। কিন্তু আবার লক্ষণও ভালো হওয়া দরকার। একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করবে না। পারস্পরিক সম্পর্কে মধুর হয়ে না চললে তাহলে সম্মান নষ্ট করবে। বাবা বলেন যে আমার নিন্দা করালে তাহলে উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। ঐ গুরুরা আবার নিজেদের জন্য বলে দিয়েছে। এখন তো কেউ সঠিক গন্তব্য স্থান বলতে পারে না। সঠিক গন্তব্য স্থান বলেন যিনি, তিনি হলেন এক, ওঁনার নিন্দা করালে তাহলে লোকসানের ভাগী হয়ে যাবে। তারপর পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। পতিত হয়ে গেলে নিজের সর্বনাশ করবে। এ’রকম অনেকেই আছে যারা পরাজিত হয়ে যায় কিন্তু তাদের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যকই আছে যারা সত্যতার সাথে লেখে, কেউ আবার মিথ্যাও বলে। যদি সত্য কথা শোনাতে থাকো তাহলে বুদ্ধি থেকে মিথ্যা বেরিয়ে যাবে। এরকম চলন চলো না যাতে বাবার নিন্দা হয়। যাদের এইরকম অবস্থা, তারা যেখানেই যায় সেখানে এ’রকমই চলন চলে। নিজেও বোঝে যে আমি কখনোই শোধরাবো না তারপর আবার রায় দেয় – ঘর গৃহস্থ থাকো। যখন ধারণা পরিপক্ক হবে তখন সার্ভিস করবে। ঘর গৃহস্থে থাকলে তোমাদের এত পাপ চড়বে না। এখানে আবার এইরকমই পূর্ব (কমন) চাল-চলনে চললে নিন্দা করিয়ে দেয়, এর থেকে তো গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে কমলপুষ্প সমান থাকাই ভালো। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছে নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মন থেকে মিথ্যা বেরিয়ে যাবে তারজন্য সর্বদা সত্যনারায়ণের কথা শুনতে হবে এবং শোনাতে হবে। কখনোই এরকম চলন চললে হবে না যাতে বাবার নিন্দা হয়।

২ ) নিজেদের মধ্যে অনেক মধুর হয়ে থাকতে হবে, কখনোই যেন ঝগড়া বিবাদ না হয়। ভালো লক্ষণ ধারণ করে তারপর সেবা করতে হবে।

বরদানঃ-

সঙ্গমযুগে বিশেষ খুশীতে পরিপূর্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার দ্বারাই সকল ব্রাহ্মণ বুদ্ধি প্রাপ্ত করছে। ব্রাহ্মণ জীবনের পরিপালনের আধার হল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বাবার স্বরূপে সর্বদা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, শিক্ষকের স্বরূপে সর্বদা সাবাস-সাবাস(খুব ভালো-খুব ভালো) শব্দের দ্বারা পাস উইথ অনার্স বানাচ্ছেন, সদ্গুরুর স্বরূপে প্রতিটি শ্রেষ্ঠ কর্মের আশীর্বাদ সহজ আর আনন্দপূর্ণ জীবন অনুভব করাচ্ছেন। সেইজন্যই তোমরা হলে পদমাপদম ভাগ্যবান, যার হলে ভাগ্যবিধাতা ভগবানের সন্তান, সম্পূর্ণ ভাগ্যের অধিকারী হয়ে গেছো।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top