27 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

26 March 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"রুলিং তথা কন্ট্রোলিং পাওয়ার দ্বারা স্বরাজ্যের প্রাপ্তি"

আজ বাচ্চাদের স্নেহী বাপদাদা বিশেষ দুটো বিষয়ে প্রত্যেক বাচ্চাকে চেক করছিলেন। স্নেহের প্রত্যক্ষ স্বরূপ, বাচ্চাদের সম্পন্ন আর সম্পূর্ণ বানায়। প্রত্যেকের মধ্যে রুলিং পাওয়ার আর কন্ট্রোলিং পাওয়ার কত পর্যন্ত পৌঁছেছে – আজ বাবা সেটাই দেখছিলেন। আত্মার স্থূল কর্মেন্দ্রিয় যেমন আত্মার কন্ট্রোলে চলে, যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা, সেই ভাবে চালনা করতে পারে, আর চালনা করতে থাকে মানে কন্ট্রোলিং পাওয়ারও আছে। যেমন, হাত-পা স্থূল শক্তি, ঠিক সেইরকমই মন-বুদ্ধি-সংস্কার আত্মার সূক্ষ্ম শক্তি। সূক্ষ্ম শক্তির উপরে কন্ট্রোল করার পাওয়ার অর্থাৎ মন-বুদ্ধি-সংস্কার যখন যখন প্রয়োজন, যেখানে প্রয়োজন, যেভাবে প্রয়োজন, যত সময় প্রয়োজন – সেই ভাবে কন্ট্রোলিং পাওয়ার আর রুলিং পাওয়ার এসেছে ? কারণ এই ব্রাহ্মণ জীবনে তোমরা মাস্টার অলমাইটি অথরিটি হও। এই সময়ের প্রাপ্তি সারা কল্প রাজ্য-শাসক রূপে আর পূজারী রূপে চলতে থাকে। অর্ধেক কল্প বিশ্বের রাজ্য-সত্ত্বা যতটাই প্রাপ্ত করো, সেই অনুসারে যত শক্তিশালী রাজ্য পদ বা পূজ্য পদের প্রাপ্তি হয়, ভক্তিমার্গেও ততটাই শ্রেষ্ঠ পূজারী হও। ভক্তিতেও শ্রেষ্ঠ আত্মার মন-বুদ্ধি-সংস্কারের উপর কন্ট্রোলিং পাওয়ার থাকে। ভক্তদের মধ্যেও নম্বর অনুক্রমে শক্তিশালী ভক্ত হয়। অর্থাৎ যে ইষ্টের ভক্তি করতে চায়, যত সময় চায়, যে বিধিতে করতে চায়, সেই রকম ভক্তির ফল, ভক্তির বিধি অনুযায়ী সন্তুষ্টতা, একাগ্রতা, শক্তি আর খুশি প্রাপ্ত করে। কিন্তু রাজ্য-পদ আর ভক্তির শক্তির প্রাপ্তির আধার এই ব্রাহ্মণ জন্ম। অতএব, সঙ্গমযুগের ছোট একটা জন্ম সারা কল্পের সব জন্মের আধার ! যেমন রাজত্ব করার ক্ষেত্রে বিশেষ হও, ঠিক তেমনই ভক্ত হওয়াতেও বিশেষ হও, সাধারণ নয়। যারা ভক্ত-মালার ভক্ত তারা আলাদা, কিন্তু তোমরা নিজেরাই পূজ্য, নিজেরাই পূজারী সব আত্মার ভক্তিও বিশেষ হয়। তাইতো বাপদাদা তোমরা সব বাচ্চার এই মূল আধার জন্মকে দেখছিলেন, আদি থেকে এখন পর্যন্ত ব্রাহ্মণ জীবনে রুলিং পাওয়ার, কন্ট্রোলিং পাওয়ার কতটা সদা আর কত পার্সেন্টেজে রয়েছে। এতেও প্রথমে নিজের সূক্ষ্ম শক্তির রেজাল্ট চেক করো। রেজাল্টে কী দেখা যাচ্ছে ? এই বিশেষ তিন শক্তি – “মন-বুদ্ধি-সংস্কার” এর উপরে যদি কন্ট্রোল থাকে, তবে তাকেই বলা যাবে স্বরাজ্য অধিকারী। তখনই, এই সূক্ষ্ম শক্তিই স্থূল কর্মেন্দ্রিয়কে সংযম আর নিয়মে চালাতে পারে। রেজাল্ট কী দেখলেন ? যখন, যেখানে, যেভাবে – এই তিন বিষয়ে এখন যথাশক্তি। সর্বশক্তি নয়, কিন্তু যথাশক্তি। ডবল বিদেশি নিজেদের ভাষায় যাকে সামথিং এই শব্দ ইউজ করে। সুতরাং, একে অলমাইটি অথরিটি বলবে ? মাইটি তো আছে কিন্তু অল (all) রয়েছে ? বাস্তবে একেই ব্রাহ্মণ জীবনের ফাউন্ডেশন বলা হয়ে থাকে। স্ব-এর উপরে যার যতটা রাজত্ব কায়েম আছে অর্থাৎ যে স্ব-কে এবং সবাইকে চালানোর বিধি জানে, সেই সামনের দিকে নম্বর প্রাপ্ত করে। এই ফাউন্ডেশনে যদি যথাশক্তি হয় তাহলে অটোমেটিক্যালি নম্বর পিছনে হয়ে যায়। যে জানে কীভাবে নিজেকে চালাতে হয় এবং কীভাবে চলতে হয়, সে সহজেই অন্যকেও চালাতে পারে অর্থাৎ হ্যান্ডলিং পাওয়ারে দক্ষতা এসে যায়। শুধুমাত্র হ্যান্ডল করার জন্য হ্যান্ডলিং পাওয়ার প্রয়োজন নয়, যে নিজের সূক্ষ্ম শক্তিকে হ্যান্ডেল করতে পারে, সে অন্যদেরও হ্যান্ডেল করতে পারে। সুতরাং, স্ব-এর উপরে কন্ট্রোলিং পাওয়ার, রুলিং পাওয়ার অন্যদের জন্যও যথার্থ হ্যান্ডলিং পাওয়ার হয়ে যায়। হয় অজ্ঞানী আত্মাদের সেবার দ্বারা হ্যান্ডেল করো অথবা ব্রাহ্মণ পরিবারে স্নেহ সম্পন্ন, সন্তুষ্টতা সম্পন্ন ব্যবহার করো – উভয়েতেই সফল হয়ে যাবে। কেননা কিছু বাচ্চা এমন হয় যে, বাবাকে জানা, বাবার হওয়া এবং বাবার প্রতি প্রীতি-ভালোবাসার দায়িত্ব পালন করা – এটা খুব সহজেই তারা অনুভব করে, কিন্তু সব ব্রাহ্মণ আত্মার সঙ্গে চলার ক্ষেত্রে তারা সামথিং বলে থাকে। এর কারণ কী ? বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন সহজ কেন লাগে ? কারণ হৃদয়ের অটুট ভালোবাসা। ভালোবাসায় দায়িত্ব পূরণ করা সহজ হয়। কারও প্রতি যদি তোমার ভালোবাসা থাকে, তাহলে তার থেকে শিক্ষার কিছু ইশারা পেলেও তোমাদের ভালো লাগে আর সবসময় হৃদয়ে এটাই অনুভব হয় যে, যা কিছু সে বলেছে আমার কল্যাণের জন্যই বলেছে, কারণ তার প্রতি হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ ভাবনা থাকে। সুতরাং ঠিক যেমন তোমার হৃদয়ে তার জন্য শ্রেষ্ঠ ভাবনা আছে, সেইরকমই তোমার শুভ ভাবনার রিটার্ন অন্যের থেকেও প্রাপ্ত হয়। যখন তোমরা গম্বুজের মধ্যে আওয়াজ করো, তখন সেই আওয়াজই তোমাদের কাছে ফিরে আসে। তো যেমন বাবার প্রতি অটুট, অখন্ড, অনড় ভালোবাসা আছে, শ্রেষ্ঠ ভাবনা আছে, নিশ্চয় আছে, ব্রাহ্মণ আত্মারা নম্বর অনুক্রমে হলেও সেই একইরকম আত্মিক ভালোবাসা তাদের প্রতি অটুট, অখন্ড থাকে? তোমাদের ভালোবাসা তো আছে, কিন্তু যখন ভ্যারাইটি আচার-আচরণ, ভ্যারাইটি সংস্কার দেখে ভালবাস তখন তা অটুট আর অখন্ড হয় না। যেকোন আত্মার নিজের প্রতি বা অন্যের প্রতি আচার-আচরণ অর্থাৎ চরিত্র বা সংস্কার যদি মন-পছন্দ না হয় তাহলে ভালোবাসার পার্সেন্টেজ কম হয়ে যায়। কিন্তু আত্মার প্রতি আত্মার শ্রেষ্ঠ ভাবের আত্মিক ভালোবাসায় পার্সেন্টেজ হয় না। যেমনই সংস্কার হোক, আচার-আচরণ হোক কিন্তু সারা কল্পে ব্রাহ্মণ আত্মাদের সম্বন্ধ অটুট, এটা ঈশ্বরীয় পরিবার। বাবা প্রত্যেক আত্মাকে বিশেষভাবে বাছাই করে ঈশ্বরীয় পরিবারে নিয়ে এসেছেন। নিজে নিজে আসেনি, বাবা নিয়ে এসেছেন। সেইজন্য বাবাকে সামনে রাখায় সব আত্মার প্রতিও অটুট ভালোবাসা হয়ে যায়। কোনও আত্মার কোনো ব্যাপার যদি তোমার পছন্দ না হয় তখনই তোমার ভালোবাসায় তারতম্য হয়। সেই সময় বুদ্ধিতে এটা রাখো যে এই আত্মাকে বাবা পছন্দ করেছেন, অবশ্যই কোনো বিশেষত্ব আছে তবেই তো বাবা পছন্দ করেছেন। শুরু থেকে বাপদাদা বাচ্চাদের এটাই শোনাতে থাকেন যে, মনে করো, ৩৬ গুণের মধ্যে কারও ৩৫ গুণ নেই, কিন্তু এক গুণই বিশেষ, তবেই তো বাবা তাকে পছন্দ করেছেন। বাবা তার ৩৫ অপগুণ দেখেছেন নাকি একই গুণ দেখেছেন ? কী দেখেছেন ? সবচাইতে বড় থেকেও বড় গুণ বা বিশেষত্ব বাবাকে চেনার বুদ্ধি, বাবার হওয়াতে নির্ভীকতা, তাঁকে ভালোবাসার বিধি জানা যা সারা কল্পে ধর্ম-পিতাদেরও ছিলো না, রাজনৈতিক নেতাদেরও নেই, ধনবানদেরও নেই কিন্তু সেই আত্মার আছে। বাবা তোমাদের সবাইকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তোমরা যখন বাবার কাছে এসেছিলে তখন কি গুণসম্পন্ন হয়ে এসেছিলে ? বাবা তোমাদের দুর্বলতা কি দেখেছিলেন ?

তোমাদের সাহস বাড়িয়েছিলেন তো না যে, তুমি আমারই ছিলে, আছ আর সদা হবে। সুতরাং ফলো ফাদার তো করো না ! যখন বিশেষ আত্মা মনে করে কাউকে দেখবে, তাদের সঙ্গে সম্বন্ধ-সম্পর্কে আসবে, তখন বাবাকে তোমাদের সামনে রাখলে আত্মায় আপনা থেকেই আত্মিক ভালোবাসা ইমার্জ হয়ে যাবে। তোমাদের স্নেহের কারণে সবার স্নেহী হয়ে যাবে এবং আত্মিক স্নেহে সদা সবার থেকে সদ্ভাবনা, সহযোগের ভাবনা আপনা থেকেই তোমাদের প্রতি আশীর্বাদ রূপে প্রাপ্ত হবে। একে বলে – রূহানী, যথার্থ, শ্রেষ্ঠ হ্যান্ডলিং।

বাপদাদা আজ স্মিত হাসি হাসছিলেন। বাচ্চাদের মধ্যে তিনটি শব্দের কারণে কন্ট্রোলিং পাওয়ার এবং রুলিং পাওয়ার কম হয়ে যায়। সেই তিন শব্দ হলো – ১) হোয়াই (কেন), ২) হোয়াট (কি), ৩) ওয়ান্ট (চাওয়া)। এই তিন শব্দের অবসান ঘটিয়ে এক শব্দ বলো। যখন হোয়াই আসে তখন এক শব্দ বলো – বাঃ, হোয়াট শব্দ যদি আসে তবুও বলো “বাঃ” ! “বাঃ” শব্দ বলতে জানো তো না ! বাঃ বাবা ! বাঃ আমি ! আর বাঃ ড্রামা ! শুধু “বাঃ” বলো তো এই তিন শব্দ শেষ হয়ে যাবে। সেইদিনও শুনিয়েছিলাম তো না যে, বাপদাদা কী ধরনের খেলা দেখেছেন ! একটা চিত্র যেটা তোমরা প্রথমে বানিয়েছিলে যাতে দেখানো হয়েছে – যোগী ধ্যান করছে, বুদ্ধিকে একাগ্রচিত্ত করছে, ব্যালেন্স রাখছেন এবং ব্যালেন্স বোঝানোর জন্য তুলাদন্ড দেখানো হয়েছে, যতটা বুদ্ধির ব্যালেন্স করে বাঁদর এসে ততই তাদের বুদ্ধির উপরে বসে। এই তিন বিষয়ের বাঁদর এসে হাজির হলে ব্যালেন্সের কী হবে ! বুদ্ধি চঞ্চল হয়ে যাবে, ব্যালেন্স থাকবে না। সুতরাং এই তিন শব্দ ব্যালেন্সকে সমাপ্ত করে দেয়, বুদ্ধিকে নাচাতে থাকে। বাঁদর নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারে কি? আর কিছু নেই তো লেজই নাড়াতে থাকবে। সুতরাং এতে ব্যালেন্স না হওয়ার কারণে বাবার দ্বারা প্রতি কদমে যে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় অথবা আত্মিক স্নেহের কারণে পরিবারের দ্বারা যে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় তা’ থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে যায়। যেমন বাবার সঙ্গে সম্বন্ধ রাখা আবশ্যক, ঠিক তেমনই ঈশ্বরীয় পরিবারের সঙ্গে সম্বন্ধ রাখাও অতি আবশ্যক। সারা কল্পে নম্বর ওয়ান আত্মা ব্রহ্মা বাবা আর ঈশ্বরীয় পরিবারের সম্বন্ধ-সম্পর্কে আসতে হবে। এমন ভেবো না – আচ্ছা, বাবা তো আমার, আমি বাবার। এও পাস উইথ অনারের লক্ষণ নয় কেননা তোমরা সন্ন্যাসী আত্মা নও। ঋষি-মুনির আত্মা নও। বিশ্ব থেকে দূরে সরে থাকা আত্মা নও, বরং বিশ্বের সহায় হওয়া আত্মা তোমরা। বিশ্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া নও, তোমরা বিশ্ব-কল্যাণকারী।ব্রাহ্মণ আত্মাদেরকে পরিবর্তন করবার কথা যদি বাদও দাও প্রকৃতিকেও পরিবর্তন করার সহায় হও তোমরা আত্মারাই। পরিবারের অবিনাশী ভালোবাসার সুতোর মধ্যে থেকে তোমরা বেরোতে পারো না, সেইজন্য কখনো কোনও বিষয়ে, কোনও স্থানে, কোনও সেবা থেকে, কোনও সাথী থেকে দূরে সরে নিজের অবস্থা ভালো তৈরি করে দেখবো – এই সঙ্কল্প ক’রো না। তোমরা বলো তো না – আমি এর সাথে চলতে পারবো না, ওর সাথে যাবো, এই স্থানে উন্নতি হবে না, অন্য স্থানে হবে, এই সেবায় বিঘ্ন হয়, অন্য সেবায় ভালো হবে। এইসব দূরে সরে থাকার কথা। যদি একবার এই অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলেছ তো এই অভ্যাস তোমাকে কোথাও স্থির হতে দেবে না, বুদ্ধিকে একাগ্র হতে দেবে না, কারণ বুদ্ধির তখন বদলে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে। এটাও দুর্বলতা হিসেবে গণনা করা হবে, উন্নতিতে গোনা হবে না। সদাসর্বদা নিজের মধ্যে শুভ আশা রাখো, নিরাশ হ’য়ো না। যেমন বাবা বাচ্চার মধ্যে শুভ আশা রেখেছেন। যেমনই হোক, লাস্ট নম্বরের থেকেও কখনো নিরুৎসাহ হননি। সবসময় আশা রেখেছেন। সুতরাং তোমরাও না নিজের থেকে, না অন্যদের থেকে, না সেবার থেকে হতাশ, নিরুৎসাহ হ’য়ো না। দিলশাহ তথা উদার হও। শাহ মানে স্বচ্ছ-শুদ্ধ উদার হৃদয়। কোনও দুর্বল সংস্কার ধারণ করে নিও না। মায়া ভিন্ন ভিন্ন রূপ দ্বারা দুর্বল বানানোর প্রয়াস করে। কিন্তু তোমরা মায়ার ব্যাপারেও নলেজফুল, নাকি নলেজ অসম্পূর্ণ ? এটাও স্মরণে রাখো যে, মায়া নতুন নতুন রূপে আসে, পুরানো রূপে নয় কারণ সেও জানে যে, এ’ চিনে ফেলবে। আচ্ছা !

টিচাররা মায়ার বিষয়ে তোমরা নলেজফুল ? শুধু নলেজ নয়, নলেজফুল হতে হবে। এটা ভেবো না যে তোমরা বাবাকে চিনে নিয়েছ, মায়াকেও চিনতে হবে। এখন বন্ধনে বেঁধে গেছ নাকি কঠিন মনে করছো? মধুর বন্ধন মনে হয় নাকি অল্প কঠিন বন্ধন মনে হয় ? তোমরা ভাবো যে এখানে তো অনেক মরতে হবে, বাবার হয়ে গেছি, এখন আবার এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে, কত পর্যন্ত করবো ! যদি এটা জানা থাকতো তো আসতামই না – এই রকম ভাবনা চলে তোমাদের? যেখানে ভালোবাসা আছে সেখানে কোনকিছুই কঠিন নয়। পতঙ্গও অগ্নিতে প্রাণ উৎসর্গ করে দেয়। তাহলে, পরমাত্ম-ভালোবাসায় তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মার কোনো কিছু কঠিন হওয়ার অনুভব হতে পারে কি ? যখন পতঙ্গ সমর্পিত হতে পারে তো তোমরা হতে পারো না? যে মুহূর্তে কঠিন অনুভব হয় তখন অবশ্যই ভালোবাসার পার্সেন্টেজে তারতম্য হয়ে যায়, সেইজন্য কিছু কিছু সময় কঠিন লাগে। যদি কঠিনই হবে তাহলে তো সবসময় কঠিন লাগা উচিত ছিলো, কখনো কখনো কেন লাগে? পরমাত্মা আর তোমাদের মাঝখানে কখনো কখনো কিছু বিষয় এসে যায়, সেইজন্য মুশকিল হয়ে যায় এবং পার্সেন্টেজে ফারাক পড়ে যায়। তোমাদের মাঝখান থেকে সেই সব বের করে দাও, তবে আবার সহজ হয়ে যাবে।

বাপদাদা সদা বলেন, টিচার্স মানে সদা স্বয়ং নির্ভীকতায় থাকে এবং অন্যদেরও সাহস দেওয়ার নিমিত্ত হয়। নয়তো তোমরা টিচার কেন হয়েছ? টিচার মানেই স্টুডেন্টদের নিমিত্ত। দুর্বলের মনোবল জাগিয়ে সামনে এগিয়ে দেওয়ার সেবায় নিমিত্ত হও তোমরা। সফল টিচারের প্রথম লক্ষণ এটাই হবে – সে কখনো সাহসহীন হবে না। যে নিজে নির্ভীক হয় সে অন্যকেও সাহস অবশ্যই দেয়। নিজের মধ্যে যদি সাহসের অভাব হয় তাহলে অন্যদের দিতে পারবে না। আচ্ছা !

চারিদিকের ‘সাহসী বাচ্চাদের সহায় বাবা’ – এই আধিকার যারা অনুভব করে, স্বরাজ্যের সব শক্তিকে সময় অনুসারে প্রয়োগ করে, সদা বাবা আর সব আত্মার অটুট স্নেহে, সদা সর্বকার্যে, সম্বন্ধ-সম্পর্কে “বাঃ বাঃ”-র গীত গেয়ে থাকে – সেইরকম অলমাইটি অথরিটি বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

বরদানঃ-

যথার্থ সেবাধারী তাদেরকে বলা যায় যারা স্ব-এর সাথে সাথে অন্য সবার সেবা করে। স্ব-এর সেবায় সবার সেবা সমাহিত হতে হবে। এমন নয় যে, অন্যদের সেবা করছো আর নিজের সেবায় গড়িমসি করলে! সেবায় সেবা আর যোগ দুইই একসাথে হতে হবে। সেইজন্য প্লেন বুদ্ধি হয়ে সেবার প্ল্যান বানাও। প্লেন বুদ্ধি অর্থাৎ শুধুমাত্র নিমিত্ত আর নির্মান ভাব ব্যতীত কোনো বিষয় বুদ্ধিকে যেন টাচ্ না করে। সীমিত নাম, সীমিত মান নয়, বরং নির্মান। এটাই শুভ ভাবনা আর শুভ কামনার বীজ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top