27 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

27 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

26 June 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এই শরীর-রূপী রথের উপর বিরাজমান আত্মাই হলো রথী (সারথী= রথের সঙ্গে যে রয়েছে), রথী মনে করে কার্য করো তবেই দেহ-অভিমান থেকে মুক্ত হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

বাবার কথা বলার ধরন মানুষের কথা বলার ধরনের থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, কীভাবে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা এই রথে রথী হয়ে কথা বলেন এবং আত্মাদের সাথেই কথা বলেন। শরীরগুলিকে দেখেন না। মানুষ তো না স্বয়ং-কে আত্মা মনে করে আর না তো আত্মার সঙ্গে বার্তালাপ করে থাকে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের এই অভ্যাস করতে হবে। কোনও আকারী বা সাকারী চিত্রকে দেখেও দেখো না। আত্মাকে দেখো আর একমাত্র বিদেহীকেই (নিরাকার ঈশ্বর) স্মরণ করো।

গান:-

তুমিই হলে মাতা-পিতা…

ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের ওম্ শান্তির অর্থ তো সম্পূর্ণ সহজভাবে বোঝানো হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি কথাই সহজ। সহজেই রাজত্ব প্রাপ্ত করতে হবে, কোথাকার জন্য ? সত্যযুগের জন্য। একেই জীবনমুক্তি বলা হয়ে থাকে। ওখানে রাবণের এই ভূত থাকে না। কারোর ক্রোধ এলে তখন বলা হয় যে তোমার মধ্যে এই ভূত আছে। যোগের অর্থ হলো – নিজেকে আত্মা মনে করে পরমাত্মাকে স্মরণ করা। আমি হলাম আত্মা, এই হলো আমার শরীর। প্রত্যেকের শরীররূপী রথে আত্মা রথী বসে রয়েছে। আত্মার শক্তিতেই এই রথ (শরীর) চলছে। আত্মাকে এই শরীর বারংবার ধারণ করতে হয় আর ত্যাগ করতে হয়। এ তো বাচ্চারা জানে যে ভারত এখন হলো‌ দুঃখধাম। কিছু সময় পূর্বে সুখধাম ছিল। অলমাইটি গভর্নমেন্ট (সর্বকর্তৃত্বময় সরকার) ছিল, কারণ অলমাইটি অথরিটি (সর্বকর্তৃত্বসম্পন্ন ঈশ্বর) ভারতে দেবতাদের রাজ্য স্থাপন করেছিলেন। সেখানে একটিই ধর্ম ছিল। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে অবশ্যই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। অবশ্যই সেই রাজ্য স্থাপনকারী বাবাই হবেন। বাবার থেকেই তাঁদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছিল। এঁনাদের আত্মারা ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করেছে। ভারতবাসীরাই এই বর্ণে আসে।শূদ্র বর্ণের পর সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ বর্ণ আসে। ব্রাহ্মণ বর্ণ অর্থাৎ ব্রহ্মার মুখ-বংশজাত। ওই ব্রাহ্মণেরা হলো গর্ভজাত। তারা বলতে পারে না যে আমরা হলাম ব্রহ্মার মুখ-বংশজাত। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দত্তক নেওয়া সন্তানও অবশ্যই থাকবে। বাচ্চারা জানে যে এই ভারত পূজ্য ছিল, এখন পূজারী হয়েছে। বাবা হলেন সদা পূজ্য, পতিতকে পাবন করার জন্য তিনি অবশ্যই আসেন। সত্যযুগ হলো পবিত্র দুনিয়া। সত্যযুগে পতিত-পাবনী গঙ্গা এই নামই থাকবে না কারণ ও’টি হলোই পবিত্র দুনিয়া। সকলেই পবিত্র আত্মা। পাপাত্মা নেই। কলিযুগে আবার পুণ্য আত্মা নেই। সকলেই পাপাত্মা। পুণ্যাত্মা পবিত্রকে বলা হয়ে থাকে। ভারতেই অনেক দান-পুণ্য করা হয়ে থাকে। এইসময় যখন বাবা আসেন তখন ওঁনার উপর বলিপ্রদত্ত হয়ে যায়। সন্ন্যাসী তো ঘর-পরিবার পরিত্যাগ করে। এখানে তো বলে যে বাবা এই সবকিছুই তোমার। তুমি সত্যযুগে অগাধ ধন-সম্পদ দিয়েছিলে, পরে মায়া কড়িতুল্য বানিয়ে দিয়েছে। এখন এই আত্মাও অপবিত্র হয়ে গেছে। তন-মন-ধন সব অপবিত্র হয়ে গেছে। আত্মা সর্বপ্রথমে পবিত্র থাকে, তারপর পরিক্রমা করে শেষে এসে তমোপ্রধান নকল গয়নায় পরিণত হয়। ভূমিকা পালন করতে করতে পতিত হয়ে যায়। গোল্ডেন, সিলভার…..এই স্টেজগুলিতে মানুষকে আসতেই হবে। গায়ন‌ও করে, তুমি মাতা-পিতা…… লক্ষ্মী-নারায়ণের সম্মুখে গিয়েও এই মহিমা করে। কিন্তু তাঁদের নিজেদের তো এক পুত্র-এক কন্যা রয়েছে। যেমন সুখ রাজা-রাণীর থাকে তেমনই বাচ্চারও থাকে। সকলেরই গভীর সুখ রয়েছে। আর এখন অন্তিমের ৮৪-তম জন্মে গভীর দুঃখ আছে। বাবা বলেন — এখন পুনরায় আমি তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে থাকি। বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন যে এই রথে রথী আত্মা বসে রয়েছে। এই রথী প্রথমে ১৬ কলা-সম্পন্ন ছিলেন। এখন কলাহীন হয়ে পড়েছেন। বলাও হয়ে থাকে যে আমি নির্গুণী, আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই। তুমিই তরস খাও অর্থাৎ কৃপা করো। কারোর মধ্যেই গুণ নেই। অপবিত্র বলেই তো গঙ্গায় পাপ ধুয়ে ফেলতে যায়। সত্যযুগে যায় না। নদী তো সেই একই রয়েছে। তাছাড়া হ্যাঁ, এ’রকম বলা হবে যে ওইসময় সব বস্তুই সতোপ্রধান থাকে। সত্যযুগে নদীগুলিও অত্যন্ত নির্মল, স্বচ্ছ হবে। নদীতে আবর্জনা ইত্যাদি কিছুই থাকে না। দেখো, এখানে তো কত আবর্জনা পড়তেই থাকে। সমস্ত নোংরা সাগরে যায়। সত্যযুগে এ’রকম হতে পারে না। কাউকে অপবিত্র করে দেওয়ার নিয়ম নেই। সব বস্তুই পবিত্র থাকে। সেইজন্য বাবা বোঝাতে থাকেন যে এখন এ হলো সকলের অন্তিম জন্ম। খেলা সম্পূর্ণ হয়। এই জ্ঞান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। রাজযোগ তো কেউ শেখাতে পারে না। কেবল তাদের স্মারক-চিহ্ন হিসাবে পুস্তক রচনা করতে থাকে। তারা স্বয়ং তো ধর্ম স্থাপন করে পুনর্জন্মে আসতে থাকে। তাদের স্মরণিকাই পুস্তকে থাকে। দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয় এখন সঙ্গমে। বাবা এসে এই রথে বিরাজমান হন। ঘোড়ার গাড়ির(রথ) কোনো কথাই নেই। এই সাধারণ বুড়ো রথে প্রবেশ করেন। তিনি হলেন রথী। গাওয়াও হয় যে ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত ব্রহ্মাকুমার-কুমারী। এই ব্রহ্মাকেও তো অ্যাডপ্ট করা হয়েছে। বাবা স্বয়ং বলেন — আমি এই রথে এসে রথী হই, এঁনাকে জ্ঞান প্রদান করি। শুরু এঁনার থেকেই করে থাকি। কলস দিয়ে থাকি মাতাদের। মাতা তো অবশ্যই ইনিও। সর্বপ্রথমে ইনি শোনেন, তারপর তোমরা। এঁনার মধ্যে তো বিরাজমান, কিন্তু সামনে কাদেরকে শোনাবেন! তখন বসে আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন। আর কোনো বিদ্বানাদি হবে না, যিনি আত্মাদের সঙ্গে বসে কথা বলবেন। আমি হলাম তোমাদের বাবা। তোমরা আত্মারা হলে নিরাকার, আমিও নিরাকার। আমি হলাম জ্ঞানের সাগর, স্বর্গের রচয়িতা। আমি নরকের রচনা করি না। এ তো মায়া, যে নরক রচনা করে থাকে। আমি তো হলামই রচয়িতা, তাই স্বর্গই তৈরি করবো! তোমরা ভারতবাসীরা স্বর্গবাসী ছিলে। এখন নরকবাসী হয়েছো। নরকবাসী বানিয়েছে রাবণ, কারণ আত্মা রাবণের মতে চলতে থাকে। এইসময় তোমরা আত্মারা রাম শিববাবার শ্রী শ্রী মতানুসারে চলো। বাবা বোঝান – এখন সকলের পার্ট সম্পূর্ণ হয়েছে। যখন সমস্ত আত্মারা একত্রিত হবে, উপর থেকে সকলেই চলে আসবে, তখন যাওয়া শুরু হবে। তারপর বিনাশ শুরু হয়ে যাবে। ভারতে এখন অনেক ধর্ম রয়েছে। কেবলমাত্র আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মই নেই। কেউ নিজেদের দেবতা বলে না। দেবতাদের মহিমা কীর্তন করে সর্বগুণসম্পন্ন….. তারপর নিজেদের বলবে আমরা পাপী, নীচ….. দ্বাপর থেকে রাবণের রাজ্য শুরু হয়। রামরাজ্য হলো ব্রহ্মার দিন, রাবণরাজ্য হলো ব্রহ্মার রাত। এখন বাবা কবে আসবেন? যখন ব্রহ্মার রাত পূর্ণ হবে তখন তো আসবেন, তাই না ! আর এই ব্রহ্মার শরীরে আসবেন তবেই তো ব্রহ্মার মুখ দ্বারা ব্রাহ্মণদের জন্ম হবে। সেই ব্রাহ্মণদেরকেই রাজযোগ শেখান। বাবা বলেন — যে সমস্ত আকারী, সাকারী বা নিরাকারী চিত্র রয়েছে সেগুলিকে তোমাদের স্মরণ করতে হবে না। তোমাদেরকে লক্ষ্য তো দিয়ে দেওয়া হয়। মানুষ তো চিত্র দেখে স্মরণ করে। বাবা বলেন চিত্রকে দেখা এখন বন্ধ করো। এ হলো ভক্তিমার্গ। এখন তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের আমার কাছে ফিরে আসতে হবে। পাপের বোঝা মাথার উপর রয়েছে। পাপাত্মা তো হতেই হবে। এমন নয় যে প্রতিটি জন্মের পাপ গর্ভজেলেই সমাপ্ত হয়ে যায়। কিছু সমাপ্ত হয়ে যায়, কিছু রয়ে যায়। এখন আমি পান্ডা হয়ে এসেছি। এইসময় সব আত্মারাই মায়ার মতে চলে। বাবা বলেন — আমিই তো হলাম পতিত-পাবন, স্বর্গের রচয়িতা। আমার কার্যই হলো নরককে স্বর্গে পরিণত করা। স্বর্গে তো থাকেই এক ধর্ম, এক রাজ্য। ওখানে কোনো পার্টিশন ছিল না। বাবা বলেন — আমি বিশ্বের মালিক হই না। তোমাদের করে থাকি তারপর রাবণ এসে তোমাদের রাজ্য ছিনিয়ে নেয়। এখন তো সকলেই হলো তমোপ্রধান, প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন। সঙ্গমযুগে তোমরা পারশবুদ্ধিসম্পন্ন হও। বাবা বলেন – মামেকম্ স্মরণ করো, বুদ্ধিযোগ উপরে যুক্ত করো। যেখানেই যাও তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। একমাত্র বাবা, অন্য কাউকে নয়। তিনিই হলেন সত্যিকারের মহারাজা (সচ্চে পাতশাহ্), তিনিই সত্য শোনান। সেইজন্য কোনও চিত্রকে স্মরণ করা উচিত নয়। এই যে শিবের চিত্র রয়েছে, তাঁরও ধ্যান করা উচিৎ নয় কারণ শিব তো এ’রকম নয়। যেমন আমরা আত্মারা ভ্রুকুটির মধ্যস্থলে থাকি তেমনই বাবাও বলেন — আমি অল্প স্থান গ্রহন করে এই আত্মার পাশে বসে পড়ি। রথী হয়ে এঁনাকে জ্ঞান প্রদান করে থাকি। এঁনার আত্মার(ব্রহ্মা) মধ্যেও জ্ঞান ছিল না। যেমন এঁনার আত্মা রথী শরীরের দ্বারা বলে, তেমনই আমি এই কর্মেন্দ্রিয়গুলির দ্বারা বলে থাকি। নাহলে কীভাবে বোঝাব! ব্রাহ্মণ রচনার জন্য ব্রহ্মাকে তো অবশ্যই চাই। যে ব্রহ্মাই পুনরায় নারায়ণ হবে। এখন তোমরা হলে ব্রহ্মার সন্তান, তারপর সূর্যবংশীয় শ্রী নারায়ণের কুলে আসবে। এখন তো সম্পূর্ণ কাঙ্গাল হয়ে পড়েছে। লড়াই-ঝগড়া করতে থাকে। বাঁদরের থেকেও খারাপ। বাঁদরের মধ্যে ৫ বিকার অতি প্রবল মাত্রায় থাকে। কাম, ক্রোধ…… সমস্ত বিকার বাঁদরের মধ্যে এমনভাবে থাকে, সে’কথা আর জিজ্ঞাসা কোরো না। বাচ্চা মারা গেলে তার হাড়গুলোকেও ছাড়বে না (অর্থাৎ বাচ্চা পচে-গলে গেলেও ছাড়ে না)। মানুষও আজকাল এমনই হয়ে গেছে। বাচ্চা মারা গেলে ৬-৮ মাস ধরে কাঁদতেই থাকবে। সত্যযুগে তো অকালে মৃত্যু হয় না। না কেউ কান্নাকাটি করে। ওখানে কোনো শয়তান থাকে না। বাচ্চারা, বাবা এইসময় তোমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। ঘর-পরিবারের দেখাশোনা অবশ্যই করো। তারমধ্যে থেকেও এমন চমৎকার করে দেখাও যা সন্ন্যাসীরা করতে পারে না। এই সতোপ্রধান সন্ন্যাস পরমাত্মাই শিখিয়ে থাকেন। তিনি বলেন — এই পুরোনো দুনিয়া এখন শেষ হয়ে যাবে সেইজন্য এর থেকে মমত্ব (মোহ) দূর করে দাও। সকলকেই ফিরে যেতে হবে। দেহ-সহ যাকিছু পুরোনো বস্তু আছে, সেগুলিকে ভুলে যাও। ৫ বিকার আমাকে দিয়ে দাও। যদি অপবিত্র হয়ে যাও তাহলে পবিত্র দুনিয়ায় আসতে পারবে না। এই অন্তিম জন্মের জন্য বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করো। তারপর তো পবিত্রতা স্থায়ী হয়েই যাবে। ৬৩ জন্ম ধরে তো বিষের মধ্যে হাবুডুবু খেয়েছো, একদম নষ্ট হয়ে গেছো। নিজের ধর্ম-কর্মকে ভুলে গেছো। বলতে থাকো হিন্দু ধর্ম। বাবা বলেন — কেন বোঝ না যে ভারত স্বর্গ ছিল, আমরাই দেবতা ছিলাম। আমিই তোমাদের রাজযোগ শিখিয়েছি। তোমরা আবার বলো কৃষ্ণ‌ শিখিয়েছেন। কৃষ্ণ কি সকলের বাবা স্বর্গের রচয়িতা ? বাবা হলেন নিরাকার, সমস্ত আত্মাদের পিতা। আবার ওঁনার উদ্দেশ্যে বলে থাকো সর্বব্যাপী। শিব-শঙ্করকেও মিলিয়ে ফেলো। শিব হলেন পরমাত্মা। পরমাত্মা বলেন — আমি আসিই দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে। যা এখন স্থাপন করা হয়ে থাকে, তারপর বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজ্য করবেন। বিষ্ণুর থেকেই বৈষ্ণব শব্দটি এসেছে। আজকাল সকলেই তো হলো পাপাত্মা। ওখানে এই কাম-কাটারীর দ্বারা একে-অপরকে আঘাত করে না। সত্যখন্ড স্থাপনকারী হলেন অদ্বিতীয় সদ্গুরু। বাকি সকলেই হলো লোকসানকারী (ডুবিয়ে দেয়)। সঙ্গম এবং স্বর্গ একে-অপরের নিকটে হওয়ার কারণে নরকের কথা স্বর্গে নিয়ে গিয়েছে। বাস্তবে কংস, রাবণ প্রভৃতিরা সকলেই এখন রয়েছে। ওখানে এরা থাকতে পারে না। তাই রথে যে রথী দেখানো হয় — বাস্তবে রথ হলেন ইনি, যাঁকে নন্দীগণ, ভগীরথ ও বলা হয়ে থাকে। তোমরা সকলেই হলে অর্জুন। তোমাদের বলেন — এই রথে এসেছি, যুদ্ধের ময়দানে তোমাদের মায়ার উপর বিজয়প্রাপ্ত করাতে। সত্যযুগে না রাবণ থাকে, না তাকে জ্বালানো হয়। এখন তো রাবণকে জ্বালাতেই থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিনাশ না হবে। কত বিপর্যয় আসবে, দশেরায় (দশমীতে) অবশ্যই রাবণকে জ্বালাবে। তারপর শেষে এই রাবণ সম্প্রদায় সমাপ্ত হয়ে যাবে। সদ্গতিদাতা তো একজনই। মানুষ মানুষকে সদ্গতি দিতে পারে না। যখন এই দেবতাদের রাজ্য ছিল তখন সমগ্র বিশ্বে এঁনাদেরই রাজ্য ছিল, অন্য ধর্ম ছিলই না। এখন আর সব ধর্ম রয়েছে, দেবতাদের ধর্মই নেই। যার স্থাপনা এখন হচ্ছে। দেবতা ধর্মাবলম্বীরাই এসে শূদ্য থেকে ব্রাহ্মণ হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সতোপ্রধান সন্ন্যাস গ্রহণ করতে হবে। এই পুরোনো দুনিয়ায় থেকেও এর থেকে মমত্ব (মোহ) মিটিয়ে ফেলতে হবে। দেহ-সহ যাকিছু পুরোনো বস্তু আছে সেগুলিকে ভুলে যেতে হবে।

২ ) নিজের বুদ্ধি যোগ উপরে সংযুক্ত করে রাখতে হবে। কোনো চিত্র বা দেহধারীকে স্মরণ করা উচিত নয়। অদ্বিতীয় পিতাকেই স্মরণ করতে হবে।

বরদানঃ-

সঙ্গমযুগে তোমাদের অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাদের যে পরমাত্ম শ্রীমত প্রাপ্ত হচ্ছে — এই শ্রীমতই হলো শ্রেষ্ঠ পালনা (প্রতিপালন)। শ্রীমত বিনা অর্থাৎ পরমাত্ম পালনার একটি পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে না। এইরকম লালন-পালন সত্যযুগেও পাবে না। এখন প্রত্যক্ষ অনুভব করো যে আমাদের প্রতিপালক হলেন স্বয়ং ভগবান! এই নেশা সদা ইমার্জ থাকলে তখন নিজেকে অসীমের খাজানায় পরিপূর্ণ অবিনাশী উত্তরাধিকারে ভরপুর অনুভব করবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top