27 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
26 June 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার অব্যক্ত মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"সঙ্গমযুগে নম্বর ওয়ান পূজ্য হওয়ার অলৌকিক বিধি"
আজ অনাদি বাবা আর আদি বাবা, অনাদি শালগ্রাম বাচ্চাদের এবং আদি ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের ডবল রূপে দেখছেন l রূপেও তোমরা পরম পূজ্য আর তোমাদের ব্রাহ্মণ তথা দেবতা স্বরূপও গায়ন আর পূজন যোগ্য l আদি আর অনাদি বাবা উভয়েই, পূজ্য আত্মাদের উভয় রূপে দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন l অনাদি বাবা আদি পিতা সহ অর্থাৎ ব্রহ্মা বাবা আর ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের নিজের থেকেও ডবল রূপে অধিক পূজ্য বানিয়েছেন l অনাদি বাবার পূজা শুধু এক নিরাকার রূপে হয়, কিন্তু ব্রহ্মা সহ ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের পূজা নিরাকার, সাকার – উভয় রূপেই হয় l সুতরাং বাবা ডবল রূপে বাচ্চাদেরকে নিজের থেকেও অধিক মহান ব’লে গণ্য করেন l আজ বাপদাদা বাচ্চাদের বিশেষত্ব দেখছিলেন l প্রত্যেক বাচ্চার নিজ নিজ বিশেষত্ব রয়েছে l কেউ কেউ বাবার আর সকল ব্রাহ্মণ আত্মাদের বিশেষত্ব জেনে নিজের মধ্যে সব বিশেষত্ব ধারণ ক’রে শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ বিশেষ আত্মা হয়ে গেছে আর অন্যরা কেউ কেউ বিশেষত্ব জেনে আর দেখে খুশি হয়ে যায়, কিন্তু নিজের মধ্যে সব বিশেষত্ব ধারণ করার মনোবল তাদের নেই এবং কেউ কেউ আবার ব্রাহ্মণ পরিবারের সব আত্মার মধ্যে বিশেষত্ব থাকা সত্ত্বেও তাদের বিশেষত্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে না, একে অপরকে সাধারণ রূপে দেখে l বিশেষত্ব দেখার বা জানার অভ্যাস নেই অথবা গুণ-গ্রাহক বুদ্ধি অর্থাৎ গুণ গ্রহণ করার বুদ্ধি না হওয়ার কারণে বিশেষত্ব অর্থাৎ গুণকে স্বীকৃতি দিতে তারা অপারগ l প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার মধ্যে কোনো না কোনও বিশেষত্ব অবশ্যই ভরা আছে l যদি ১৬ হাজারের লাস্ট দানাও হয়, তবুও তার মধ্যে কোনো না কোনো বিশেষত্ব আছে, সেইজন্যই সেই আত্মার উপরে বাবার নজর পড়ে l ভগবানের যখন তার উপরে নজর পড়বে অথবা তিনি তাকে নিজের বানাবেন, তখন তো অবশ্যই তার মধ্যে বিশেষত্ব সমাহিত হয়ে আছে ! সেইজন্যই সেই আত্মা ব্রাহ্মণের লিস্টে এসেছে কিন্তু সদা প্রত্যেকের বিশেষত্ব দেখার এবং জানার মধ্যে নম্বরক্রম হয়ে যায় l বাপদাদা জানেন যে, যেমনই হোক, যদিও বা জ্ঞানের ধারণায় বা সেবায়, স্মরণে দুর্বল তবুও বাবাকে জানার, বাবার হওয়ার বিশালবুদ্ধি, বাবাকে দেখার দিব্য নজর – এই বিশেষত্ব আছে তো বটেই l যা আজকালকার খ্যাতনামা বিদ্বানও জানতে পারে না, চিনতে পারে না, কিন্তু সেই আত্মারা জেনে নিয়েছে ! কোটি সংখ্যকের মধ্যে কেউ কেউ, সেই কেউয়ের মধ্যেও কেউ – এই লিস্টে তো এসে গেছ, তাই না ? সেইজন্য কোটির মধ্যে বিশেষ আত্মা তো তোমরা হয়ে গেছ, গেছ না ? বিশেষ কেন হয়েছ ? কারণ উঁচুতম থেকেও উঁচু বাবার হয়ে গেছ তোমরা l
সব আত্মাদের মধ্যে ব্রাহ্মণ আত্মারা বিশেষ l শুধু কেউ কেউ তাদের বিশেষত্বকে কাজে লাগায় আর সেই কারণে সেই বিশেষত্ব বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে আর অন্যরাও তা’ দেখতে পায় l অন্য কারও মধ্যে বিশেষত্ব রূপী বীজ তো আছে, কিন্তু কার্য-প্রয়োগে নিয়ে আসাই হলো ভূমিতে বীজ বপন করা l যতক্ষণ না পর্যন্ত বীজ ভূমিতে বপন করা হয়, বৃক্ষ জন্মাতে পারে না এবং তার বিস্তারও হতে পারে না l আর অন্য কিছু বাচ্চা বিশেষত্বের বীজের বিস্তারও ঘটায় অর্থাৎ বৃক্ষরূপে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, কিন্তু যখন ফল আসে তখন ফল খাওয়ার জন্য পাখপাখালিও আসে l সুতরাং যখন ফল হ’তে শুরু করে, মায়া তখন আসে এই রূপে – “আমি বিশেষ”, “এই বিশেষত্ব আমার l” এটা বুঝতে পারে না যে এই বিশেষত্ব বাবা দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছে l এই বিশেষত্বে বাবা তাকে পূর্ণ করেছেন l তোমরা যখন ব্রাহ্মণ হও, তখনই বিশেষত্ব আসে l এই উপহার ব্রাহ্মণ জীবনের, বাবার থেকে পাওয়া উপহার, সেইজন্য ফলের পরে অর্থাৎ সেবায় সফলতার পরে এই অ্যাটেনশন রাখাও আবশ্যিক l নয়তো, মায়ারূপী পাখপাখালি, বিহঙ্গেরা ফল অশুদ্ধ করে দেয় কিংবা নীচে ফেলে দেয় l যেভাবে, খন্ডিত মূর্তির পূজা হয় না, মেনে নেওয়া হয় যে মূর্তি হলেও পূজা করা যাবে না, ঠিক সে’ভাবেই যে ব্রাহ্মণ আত্মারা সেবার ফল অর্থাৎ সেবায় সফলতা প্রাপ্ত করে নেয়, অথচ আমিত্ব ভাবের পক্ষী তাদের ফল অশুদ্ধ করে দিয়েছে, সেইজন্য শুধু ধরে নেওয়া হবে যে তারা খুব ভালো সেবা করে, তারা মহারথী, সার্ভিসেবল কিন্তু সঙ্গমযুগের ব্রাহ্মণ পরিবারেও সবার হৃদয়ে স্নেহের পাত্র বা পূজ্য হতে পারে না l
সঙ্গমযুগে হৃদয়ের স্নেহ, হৃদয়ের রিগার্ড পাওয়া – এটাই পূজ্য হওয়া l যারা ফলে আমিত্বের ভাব নিয়ে আসে তারা পূজ্য হতে পারে না l এক হয় যে তুমি হৃদয় থেকে কাউকে মহোত্তম বলে মান্যতা দিচ্ছ তো মহোত্তমকে পূজ্য বলা যায় l যেমন আজকালকার দুনিয়াতেও যেহেতু তাদের বাবা উচ্চতর, বাচ্চারা তাকে “পূজ্য পিতাজী” বলে সম্বোধন করে কিংবা লেখে, এই ভাবে হৃদয় থেকে মহোত্তর মানা অর্থাৎ হৃদয় থেকে রিগার্ড দেওয়া l আরেক হয়, বাহ্যিক মর্যাদা অনুসারে রিগার্ড দিতেই হয় l সুতরাং ‘হৃদয় থেকে দেওয়া’ আর ‘দিতেই হবে’ – এর মধ্যে প্রভেদ আছে l পূজ্য হওয়া অর্থাৎ সবাই হৃদয় থেকে মান্যতা দেবে l মেজরিটি হতে হবে, আগেও তোমাদের শোনানো হয়েছে যে ৫ পার্সেন্ট হয়তো হবে না, কিন্তু মেজরিটি যেন হৃদয় থেকে তোমাদের মানে- এটাই হলো সঙ্গমযুগে পূজ্য হওয়া l পূজ্য হওয়ার সংস্কারও এখন থেকেই নিজেদের মধ্যে ভরে নিতে হবে l কিন্তু ভক্তিমার্গে পূজ্য হওয়ায় এবং এখনের পূজ্য হওয়ায় তারতম্য আছে l এখন তোমাদের শরীরের পূজা হতে পারে না, কারণ এটা তোমাদের অন্তিম পুরানো শরীর, তমোগুণী তত্ত্ব দ্বারা তৈরি হওয়া শরীর l এখন তোমাদের ফুলের মালা পরাবে না, লোকে তো ভক্তিমার্গে দেবতাদের মালা পরায়, তাই না ! পূজ্য হওয়ার লক্ষণ – তারা ধূপ জ্বালায়, মালা পরায়, আরতি করে, কীর্তন করে, তিলক লাগায় l সঙ্গমযুগে এই স্থূল বিধি নেই l কিন্তু সঙ্গমযুগে সদা হৃদয় থেকে সেই পূজ্য আত্মাদের প্রতি প্রকৃত স্নেহের আরতি করে l আত্মাদের দ্বারা প্রাপ্ত তাদের কোনো না কোনো প্রাপ্তির কীর্তন গাইতে থাকে, সদা সেই আত্মাদের প্রতি শুভ ভাবনার ধূপ বা দীপ জ্বালিয়ে রাখে l যেভাবে তোমরা আত্মারা বাবার কাছে সমর্পণ করো, ঠিক সে’ভাবেই অন্য আত্মারাও তোমাদের দেখে নিজেদেরও বাবার কাছে সমর্পণ করার উৎসাহ পায় l তাইতো বাবার কাছে সমর্পিত হওয়ার মালা সদা সেই আত্মাদের আপনা থেকেই প্রাপ্ত হয় l এই রকম আত্মারা সদা স্মৃতি-স্বরূপের তিলকধারী হয় l এই অলৌকিক বিধিতে এই সময়ের পূজ্য আত্মা হয় l
ভক্তিমার্গের পূজন যোগ্য হওয়ার থেকে এখনের পূজা অধিক শ্রেষ্ঠ l যেমন ভক্তিমার্গের পূজ্য আত্মাদের কিছু মুহূর্তের সম্পর্ক দ্বারা অর্থাৎ শুধু সেই মূর্তির সামনে যাওয়ায় কিছুক্ষণের জন্যও শান্তি, শক্তি, অনুভব হয়, সে’রকম সঙ্গমযুগী পূজ্য আত্মাদের দ্বারা এখনও দু’-এক মুহূর্তের দৃষ্টি লাভেও খুশি, শান্তি বা উৎসাহ-উদ্দীপনার শক্তি অনুভব হয় l এমন পূজ্য আত্মা মানেই নম্বর ওয়ান বিশেষ আত্মা l ইতিমধ্যে সেকেন্ড আর থার্ড নম্বর বিষয়ে তোমাদের বলা হয়েছে, তাদের সম্বন্ধে বিস্তৃত কী বলব ? সবাইই তো বিশেষ আত্মার লিস্টে রয়েছে, কিন্তু তা’ ওয়ান, টু, থ্রি – নম্বর অনুক্রমে l সকলেরই লক্ষ্য নম্বর ওয়ান হয়, তাহলে এই রকম পূজন যোগ্য তো হও ! যেমন তোমরা ব্রহ্মাবাবার গুণের গীত গেয়ে থাক, না ! ব্রহ্মা বাবার মধ্যে পূজ্য বা নম্বর ওয়ান বিশেষ আত্মা হওয়ার সেই সব বিশেষত্ব তোমরা দেখেছ বা শুনেছ, তাই না ! সুতরাং ব্রহ্মা যেমন সাকারে নম্বর ওয়ান সঙ্গমযুগী পূজ্য আত্মা হয়েছে, তো সেই আত্মাই ভবিষ্যতেও নম্বর ওয়ান পূজ্য হয়, লক্ষ্মী-নারায়ণ নম্বর ওয়ান পূজ্য, তাই না ! একই রকম ভাবে তোমরাও সবাই এই রকম হতে পারো l
যেমন, বাবার সাথে সাথে তোমরা ব্রহ্মা বাবার চমৎকারিত্বের মহিমা গাও, সে’ ভাবে তোমরাও সবাই এমন সঙ্কল্প, বোল আর কর্ম করো যা সদাই চমৎকার হবে ! যখন পরম কৃতিত্ব স্থাপন হবে, তখন ডামাডোল হবে না l যদি কৃতিত্ব স্থাপন না করতে পারো তাহলে তালগোল পাকিয়ে ফেল – তা’ তোমাদের সঙ্কল্পের দ্বারা হোক বা বাণী দ্বারা হোক l সঙ্কল্পেও যদি ব্যর্থ তুফান চলে তবে সেটাও তো মনশ্চাঞ্চল্য, তাই না ! চঞ্চলতা নয়, বরং চমৎকার করতে হবে l কারণ আদি পিতা ব্রহ্মার ব্রাহ্মণ বাচ্চারা সদাই পূজ্য হিসেবে গাওয়া হয়ে থাকে l এমনকি, এখন লাস্ট জন্মেও যদি দেখ তো কোন বর্ণ সবচাইতে উঁচু হিসেবে গাওয়া হয়ে থাকে ! ব্রাহ্মণ বর্ণই তো বলে, তাই না ? উঁচুদরের নাম আর উচ্চমানের শ্রেষ্ঠ কাজের জন্যও লোকে ব্রাহ্মণকেই ডাকে, কারও কল্যাণের জন্যও তারা ব্রাহ্মণদেরই ডাকে l সুতরাং লাস্ট জন্ম অবধি ব্রাহ্মণ আত্মাদের উচ্চ নাম উচ্চ কর্ম প্রসিদ্ধ l আবহমান কাল ধরে চলে আসছে l তারা শুধু নামেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে l কর্ম তোমাদের, কিন্তু তাদের কাজ চলছে শুধুই নাম দ্বারা l এ’ থেকে তোমরা দেখ যে প্রকৃত ব্রাহ্মণ আত্মাদের কতো মহিমা আর কতো মহান ! “ব্রাহ্মণ” নামটাও অবিনাশী হয়ে গেছে l তোমাদের জীবনই হয়ে গেছে অবিনাশী প্রাপ্তির l ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্ব হলো – পরিশ্রম কম, প্রাপ্তি বেশি কারণ ভালোবাসার কাছে পরিশ্রম নেই l এমনকি, এখন লাস্ট জন্মেও ব্রাহ্মণ পরিশ্রম করে না, আরামে খেতে থাকে l যদি শুধু “নাম”-এরও কর্ম করো তবে ক্ষুধার্ত থাকতে পার না l সুতরাং এই সময়ের ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্বের লক্ষণ এখনও পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছ l এত শ্রেষ্ঠ বিশেষ আত্মা তোমরা l বুঝেছ ?
বর্তমান সময়ে পূজ্য তো ভবিষ্যতেও পূজ্য l একেই বলে, নম্বর ওয়ান বিশেষ আত্মা l সুতরাং চেক করো l বাবা তোমাদের ব্রহ্মা বাবার কাহিনী শোনাচ্ছেন, এখন আরও রয়ে গেছে l ব্রহ্মা বাবার এই বিশেষত্ব সদা সামনে রাখ l আর অন্য কোনো বিষয়ে জড়িও না, বরং বিশেষত্ব দেখ আর বর্ণন করো l প্রত্যেককে বিশেষত্বের মহত্ত্ব শুনিয়ে বিশেষ বানাও l অন্যকে তৈরি করা অর্থাৎ নিজেকে বিশেষ বানানো l বুঝেছ ? আচ্ছা !
চারিদিকের নম্বর ওয়ান সব বিশেষ আত্মাদের, ব্রাহ্মণ জীবন প্রাপ্ত সব বিশেষ আত্মাদের, সদা ব্রহ্মা বাবাকে সামনে রেখে সমান হওয়া বাচ্চাদের, অনাদি বাবা, আদি বাবা উভয় রূপ থেকে সব শালগ্রাম আর সাকার ব্রাহ্মণ আত্মাদের স্নেহ ভরা স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l
“পার্টিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার”
১) সদা বাবার হাত আর সাথ থাকে, নিজেদের এমন ভাগ্যবান মনে করো ? যেখানে বাবার হাত আর সাথ থাকে, সেখানে সদাই আনন্দ প্রাপ্তির জীবন l বিভ্রান্ত হবে না, সুখানুভবে থাকবে l কোনও পরিস্থিতি তার নিজের দিকে আকর্ষণ করবে না, সদা বাবার দিকে আকৃষ্ট হবে l সর্বাধিক মহান আর সর্বাপেক্ষা সুন্দর বাবা, সুতরাং বাবা ব্যতীত আর কোনো বিষয় বা ব্যক্তি আকর্ষণ করতে পারে না l যে বাবার হাত আর সাথে লালিতপালিত হয়, তার মন আর কোথাও যেতে পারে না l তাহলে সবাই তোমরা এমন হয়েছ নাকি মায়ার পালন-পোষণে চলে যাও ? সেই রাস্তা বন্ধ, না ! সুতরাং সদা বাবার সাথের পরমানন্দে থাকো l তোমরা বাবাকে পেয়েছ তো সবকিছুই পেয়ে গেছ, কোনো অপ্রাপ্তি নেই l যে যতই তাঁর হাত আর সাথ থেকে তোমাদের ছাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুক, তোমরা ছেড়ে দাও না l আর ছেড়ে যাবেই বা কোথায় ? এর থেকে বড় ভাগ্য আর কোনো ভাগ্য হতে পারে না ! কুমারীরা তো সদাই ভাগ্যবান হয়ই l তাদের ডবল ভাগ্য l এক – কুমারী জীবনের ভাগ্য, দ্বিতীয় – বাবার হওয়ার ভাগ্য l কুমারী জীবন পূজিত হয় l যখন কুমারী জীবন সমাপ্ত হয়, তখন সবার সামনে নত হতে হয় l গৃহস্থ জীবনই ছাগসম জীবন, সেখানে কুমারী জীবন পূজ্য জীবন l যদি কেউ একবার পড়ে যায় তো পড়ে যাওয়ার ফলে হাড় ভেঙে যায়, তাই না ! তারপর যতই প্লাস্টার করো, ঠিক করো কিন্তু হাড় দুর্বল হয়ে যায় l অতএব, সমঝদার (বিচক্ষণ ) হও l টেস্ট করে তারপরে সমঝদার হয়োনা l
২) সদা নিজেদের কল্প-কল্পের বিজয়ী আত্মা মনে করো ? অনেকবার বিজয়ী হওয়ার ভূমিকা (পার্ট ) পালন করেছ আর এখনও করছ l বিজয়ী আত্মা সদা অন্যদেরও বিজয়ী বানায় l যা অনেকবার করা হয় তা’ সদাই সহজ হয়ে যায়, কোনো পরিশ্রম করতে হয় না l অনেক- বারের বিজয়ী আত্মা – এই স্মৃতির দ্বারা যে কোনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, খেলা বলে মনে হয় এবং খুশি অনুভব হয় l বিজয়ী আত্মাদের বিজয় তাদের অধিকার ব’লে অনুভব হয় l অধিকার পরিশ্রমে লাভ হয় না, আপনা থেকেই পাওয়া যায় l সুতরাং সদা বিজয়ের খুশিতে, অধিকারের সাথে অগ্রচালিত হয়ে অন্যদেরও সামনে এগিয়ে নিয়ে চলো l লৌকিক পরিবারে থেকে লৌকিককে অলৌকিকে পরিবর্তন করো, কেননা অলৌকিক সম্বন্ধ সুখ দেয় l লৌকিক সম্বন্ধ থেকে অল্পকালের সুখ পাওয়া যায়, সবসময় নয় l তোমরা তো সদা সুখী হয়ে গেছ l দুঃখীদের দুনিয়া থেকে সুখের সংসারে এসে গেছ – এইরকম অনুভব করো ? আগে তোমরা রাবণের বাচ্চা ছিলে, সেইজন্য দুঃখদায়ী ছিলে, এখন সুখদাতার বাচ্চা সুখ-স্বরূপ হয়ে গেছ l ফার্স্ট নম্বর এই অলৌকিক ব্রাহ্মণ পরিবার, দেবতারাও সেকেন্ড নম্বর হয়ে গেছে l তাহলে, এই অলৌকিক জীবন প্রিয় তো লাগে, না !
৩) সদা নিজেদের পদ্মাপদম ভাগ্যবান অনুভব করো ? সারা কল্পে এইরকম শ্রেষ্ঠ ভাগ্য প্রাপ্ত হতে পারে না, কারণ ভবিষ্যৎ স্বর্গেও এই সময়ের পুরুষার্থের প্রালব্ধ হিসেবে রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করো l ভবিষ্যতেও বর্তমান ভাগ্যের হিসেবে পাওয়া যায় l মহত্ত্ব এই সময়ের ভাগ্যের l বীজ এই সময় বপন করো আর ফল অনেক জন্ম প্রাপ্ত হয় l সুতরাং বীজের হিসেবেই তো মহত্ত্ব, তাই না ! এই সময় ভাগ্য তৈরি করা কিংবা ভাগ্য প্রাপ্ত হওয়া – এটাই বীজ বপন করা l সুতরাং এই অ্যাটেনশন দ্বারা সদা পুরুষার্থে তীব্রগতিতে এগিয়ে চলো আর সদা এই সময়ের পদ্মাপদম ভাগ্যের স্মৃতি ইমার্জ রূপে যেন থাকে, কর্ম করাকালীন যেন স্মরণে থাকে ; কর্মের মধ্যে যেন নিজের শ্রেষ্ঠ ভাগ্য ভুলে যেও না l স্মৃতিস্বরূপ হয়ে থাক l একে বলে, পদ্মাপদম ভাগ্যবান l এই স্মৃতির বরদান সদা সাথে রাখলে তো সহজেই এগিয়ে যেতে থাকবে, পরিশ্রম থেকে রেহাই পাওয়া যাবে l আচ্ছা !
প্রশ্নঃ- লৌকিক সম্বন্ধে বুদ্ধি নিরন্তর যথার্থ সিদ্ধান্ত দেবে – এর বিধি কী ?
উত্তরঃ- লৌকিক বিষয় ভেবে কখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় l অলৌকিক শক্তিশালী স্থিতিতে থেকে সিদ্ধান্ত নাও l কোনও অতীত বিষয় স্মৃতিতে রাখলে বুদ্ধি সেই দিকে চলে যায়, তখন অতীত সংস্কারও প্রকট হয়ে ওঠে, সেইজন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে যায় l সম্পূর্ণরূপে লৌকিক বৃত্তি ভুলে আত্মা বোধে যদি সিদ্ধান্ত নাও, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত যথার্থ হবে l একেই বলে, বিকর্মজিতের রাজ-সিংহাসন l অলৌকিক আত্মিক স্থিতিই বিকর্মজিত স্থিতির সিংহাসন, এই সিংহাসনে বসে সিদ্ধান্ত নিলে তবেই যথার্থ হবে l আচ্ছা !
বরদানঃ-
সর্বশক্তি দ্বারা সম্পন্ন হয়ে অধীনতার ঊর্ধ্বে হওয়ার জন্য দু’টো শব্দ যেন সদা স্মরণে থাকে – এক, সাক্ষী l দুই – সাথী l এর থেকে বন্ধনমুক্ত অবস্থা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে l সর্বশক্তিমান বাবার সাথ থাকলে সর্বশক্তি আপনা থেকেই প্রাপ্ত হয়ে যায় এবং সাক্ষী হয়ে চলায় কোনও বন্ধনে আটকে পড়বে না l শরীরে থেকে নিমিত্ত হয়ে কর্তব্য করলে আর সাক্ষী হয়ে গেলে – এর বিশেষ অভ্যাস বাড়াও l
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!