26 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
25 October 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এতকাল যাঁর মহিমা করতে, তিনিই এখন তোমাদের সামনে হাজির, তাই সর্বদা খুশীতে নাচতে থাকো, কোনো বিষয়ে যেন কোন দুঃখ না থাকে"
প্রশ্নঃ --
পুরুষার্থী বাচ্চাদের নিজের হৃদয়ের অন্দরে কোন্ বিষয় অবশ্যই চেক করা উচিত ?
উত্তরঃ -:-
এখনো পর্যন্ত আমি আত্মার মধ্যে কোনো ছোটখাটো কাঁটা তো নেই ? কামের কাঁটা সবথেকে তীক্ষ্ণ । ক্রোধের কাঁটা তো খুবই খারাপ । দেবতারা ক্রোধী হয় না, তাই মিষ্টি বাচ্চারা, কোনো কাঁটা থাকলে তা বের করে দাও । নিজের কোনো ক্ষতি ক’রো না ।
গান:-
তুমিই মাতা – পিতা…
ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি আত্মারূপী বাচ্চারা নিজের বাবার মহিমা শুনেছে । ওরা মহিমা গাইতে থাকে, আর এখানে তোমরা প্রত্যক্ষভাবে সেই বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো । তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের দ্বারা ভারতকে স্বর্গ বানাচ্ছেন । যাদের দ্বারা বানাচ্ছেন, অবশ্যই তারাই সেই সুখধামের মালিক হবে । বাচ্চাদের তো খুবই খুশী থাকা উচিত । বাবার মহিমা হলো অপরমপার, তাঁর থেকে আমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি । বাচ্চারা, এখন তোমাদের উপর, এমনকি সম্পূর্ণ দুনিয়ার উপর বৃহস্পতির দশা । এখন এ তোমরা ব্রাহ্মণরাই জানো । বিশেষ করে ভারত, আর সাধারণভাবে সম্পূর্ণ দুনিয়া, সকলের উপর বৃহস্পতির দশা বসে আছে, কেননা এখন তোমরা ১৬ কলা সম্পূর্ণ হও । এই সময় তো কোনো কলাই নেই । বাচ্চাদের খুব খুশীতে থাকা চাই । এমন নয় যে, এখানে খুশী থাকলো আর বাইরে গেলেই হারিয়ে গেলো । যাঁর মহিমা তোমরা গাইতে থাকো, তিনি এখন তোমাদের কাছে হাজির । বাবা বোঝান যে, পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও তিনি রাজত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন । তোমরা এখন দেখবে, আস্তে – আস্তে সবাই ডাকতে থাকবে । তোমাদেরও স্লোগান বের হতে থাকবে । যেমন সবাই বলে – এক ধর্ম হোক, এক রাজত্ব হোক, এক ভাষা হোক । এও আত্মারাই তো বলে । আত্মা জানে যে, বরাবর এই ভারতে দেবী – দেবতার এক রাজধানী ছিলো । এই সুগন্ধ এখন ছড়াতে থাকবে । তোমরা সুগন্ধ ঢালতে থাকো । ড্রামার প্ল্যান অনুসারে লড়াইয়ের চিহ্নও সামনে উপস্থিত । এ কোনো নতুন কথা নয় । ভারতকে অবশ্যই ১৬ কলা সম্পূর্ণ হতে হবে । তোমরা জানো যে, আমরা এই যোগবলের দ্বারা ১৬ কলা সম্পূর্ণ হচ্ছি । কথিত আছে যে – দান করলে গ্রহণ দূর হবে । বাবাও বলেন – তোমরা বিকারের, অপগুণের দান করো । এ তো রাবণ রাজ্য, তাই না । বাবা এসে তোমাদের এর থেকে মুক্ত করেন, এরমধ্যেও কাম বিকার হলো সবথেকে ভারী অপগুণ । তোমরা দেহ – অভিমানী হয়ে গেছো । এখন তোমাদের দেহী – অভিমানী হতে হবে । তোমাদের শরীরের ভাবও ত্যাগ করতে হবে । এইসব কথা, বাচ্চারা তোমরাই জানো । সম্পূর্ণ দুনিয়া জানে না । ভারত, যা ১৬ কলা সম্পূর্ণ ছিলো, সম্পূর্ণ দেবতাদের রাজ্য ছিলো, এই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজধানী ছিলো । ভারত স্বর্গ ছিলো । এখন পাঁচ বিকারের গ্রহণ লেগেছে, তাই বাবা বলেন, দান করলে গ্রহণ দূর হবে । এই কাম বিকারই নামিয়ে দেয়, তাই বাবা বলেন, এর দান করে দাও তাহলে ১৬ কলা সম্পন্ন হয়ে যাবে । না দিলে হতে পারবে না । আত্মা তো নিজের – নিজের পার্ট পেয়েছে, তাই না । এও তোমাদেরই বুদ্ধিতে আছে । তোমাদের আত্মার মধ্যে কতো পার্ট ভরা আছে । তোমরা বিশ্বের রাজ্য – ভাগ্য গ্রহণ করো । এ হলো অসীম জগতের ড্রামা, যেখানে অজস্র অভিনেতা । এদের মধ্যে একনম্বর অভিনেতা হলেন এই লক্ষ্মী – নারায়ণ, এঁদেরই এক নম্বর পার্ট । বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা – সরস্বতী, আবার ব্রহ্মা – সরস্বতী থেকে বিষ্ণু হয় । এই ৮৪ জন্মের চক্র কিভাবে অতিক্রম করে, এ সবই বুদ্ধিতে এসে যায় । ব্যবসায়ীরা হিসাবের খাতার উপর স্বস্তিকা লাগায় । গণেশের পূজাও করে । এ হলো অসীম জগতের হিসাবের খাতা । স্বস্তিকাতে চার ভাগ হয় । পুরীতে যেমন চালের হাঁড়িতে ভোগ রান্না করা হয় । এক হাঁড়ি চাল চার ভাগ করা হয় । ওখানে অন্ন ভোগ দেওয়া হয় । বাচ্চারা, তোমাদের এখন কে পড়াচ্ছেন ? তোমাদের অতি প্রিয় বাবা এসে তোমাদের সেবক হয়েছেন, তিনিই তোমাদের সেবা করেন । মনুষ্য তো বলে দেয়, আত্মা নির্লিপ্ত । তোমরা এখন জানো যে, আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট রয়েছে । তাকে নির্লিপ্ত বলে দেওয়া, কতো রাতদিনের তফাৎ হয়ে যায় । যখন একথা কেউ খুব ভালোভাবে একমাস বী দেড় মাস ধরে বুঝবে, তখনই পয়েন্টস বুদ্ধিতে বসবে । দিনে – দিনে আরো পয়েন্টস বের হতে থাকবে । এ যেন কস্তুরী । শাস্ত্রে তো কোনোকিছুর সার নেই । বাবা বলেন যে – ওইসব এখন বুদ্ধি থেকে বের করে দাও । আমিই হলাম একমাত্র জ্ঞানের সাগর । যখন সম্পূর্ণ নিশ্চয় আসে তখন বুঝতে পারে যে – বরাবর এই সব হলো ভক্তিমার্গের জন্য । পরমপিতা পরমাত্মা এসেই দুর্গতি থেকে সদগতি করেন । সিঁড়ির চিত্রেও পরিস্কার ভাবে সব দেখাতে হবে । ভক্তিমার্গ যখন শুরু হয় তখনই রাবণ রাজ্য শুরু হয় । এখন গীতার এপিসোড রিপিট হচ্ছে । বাবা বলেন – আমি কল্প – কল্প, কল্পের এই সঙ্গম যুগে আসি । ওরা তো কচ্ছপ, মৎস অবতার বানিয়ে দিয়েছে । ওরা ২৪ অবতারের কথা বলে দেয় । বাবা বলেন – তোমাদের উপর এখন বৃহস্পতির দশা । আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক বানিয়েছিলাম । রাবণ এখন তোমাদের উপরে রাহুর দশা বসিয়ে দিয়েছে । বাবা এখন আবার এসেছেন তোমাদের স্বর্গের মালিক বানাতে । তাই নিজেদের ক্ষতি করা উচিত নয় । ব্যবসায়ীরা নিজেদের হিসাবের খাতা সবসময় ঠিক রাখে । যারা নিজেদের ক্ষতি করে তাদের আনাড়ী বলা হয় । এখন তো ইনি হলেন সবথেকে বড় সওদাগর । বিশেষ অল্পকিছু সওদাগর এই ব্যবসা করতে পারে । এ হলো অবিনাশী ব্যবসা, অন্য সব ব্যবসা তো মাটিতে মিশে যাবে । তোমরা এখন সত্যিকারের ব্যবসা করছো । বাবা হলেন অসীম জগতের সওদাগর, রত্নাকর…. আর তাঁকে জ্ঞানের সাগর বলা হয় । প্রদর্শনীতে দেখো, কতো মানুষ আসে । সেন্টারে তো মুশকিলের সঙ্গে অল্প কিছুই আসবে । ভারত তো অনেক বড় । তোমাদের সব জায়গায় যেতে হবে । গঙ্গার জল তো সারা ভারতে নেই । তোমাদের এও বোঝাতে হবে যে, গঙ্গার জল কখনোই পতিত – পাবণী নয় । তোমাদের মতো জ্ঞান গঙ্গাদের যেতে হবে । তোমরা চারিদিকে প্রদর্শনী – মেলা করতে থাকবে । দিনে – দিনে চিত্রও সুন্দর – সুন্দর তৈরী হতে থাকবে । চিত্র যেন এমন শোভনীয় হয় যে, দেখলেই মানুষ খুশী হয়ে যাবে যে, এরা সঠিক কথা বলছে । এখন লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজধানী স্থাপনা হচ্ছে । এখন ব্রাহ্মণ ধর্মের স্থাপন হচ্ছে । এই ব্রাহ্মণরাই দেবী – দেবতা তৈরী হয় । তোমরা এখন পুরুষার্থ করছো, তাই নিজের মনকে জিজ্ঞেস করো যে, আমাদের মধ্যে ছোটখাটো কাঁটা আর নেই তো । কামের কাঁটা তো নেই । ক্রোধের ছোটো কাঁটা — সেও খুব খারাপ । দেবতারা কখনো ক্রোধী হন না । দেখানো হয় যে, শঙ্করের চক্ষু খোলা মাত্রই বিনাশ হয়ে যায় । এও এক কলঙ্ক লাগানো হয়েছে । বিনাশ তো হতেই হবে । সূক্ষ্মবতনে শঙ্করের কোনো সর্প ইত্যাদি তো থাকতেই পারে না । ওখানে মাটি কই যে সর্প আদি বের হবে । আকাশে তো সর্প ঘুরবেই না । সূক্ষ্মবতন আর মূলবতনে বাগান, সাপ ইত্যাদি কিছুই থাকে না । এসব এখানেই থাকে । স্বর্গও এখানেই থাকে । এই সময় মানুষ কাঁটার মতো, তাই একে কাঁটার জঙ্গল বলা হয় । সত্যযুগ হলো ফুলের বাগান । তোমরা দেখো যে, বাবা কেমন বাগান তৈরী করেন । তিনি অতি সুন্দর বাগান তৈরী করেন । সবাইকেই সুন্দর করেন । তিনি নিজে তো চির সুন্দর । তিনি সব সজনীদের অর্থাৎ বাচ্চাদের সুন্দর তৈরী করেন । রাবণ তোমাদের সম্পূর্ণ কালো বানিয়ে দিয়েছে । বাচ্চারা, তোমাদের এখন খুশী হওয়া উচিত যে, আমাদের উপর বৃহস্পতির দশা পড়েছে । অর্ধেক সময় দুঃখ আর অর্ধেক সময় সুখ — এতে লাভ কি ? তা নয়, তোমাদের তিন ভাগ সুখ । এই ড্রামাই বানানো আছে । অনেক মানুষই জিজ্ঞেস করে যে, এমন ড্রামা কেন বানানো হয়েছে ? আরে, এ তো অনাদি, তাই না । কেন বানানো হয়েছে, এই প্রশ্ন উঠতেই পারে না । এ হলো অনাদি – অবিনাশী বানানো ড্রামা । এই ড্রামা বানানো আছে, বানানো হয়েছে… এতে কেউই মোক্ষ পেতে পারে না । এ তো অনাদি সৃষ্টি চলে আসছে আর চলতে থাকবে । প্রলয় কখনো হয় না । বাবা নতুন দুনিয়া বানান, কিন্তু এতে কতো অভিযোগ । মানুষ যখন পতিত – দুঃখী হয়, তখনই ডাকতে থাকে । বাবা এসে সবাইকে কায়া কল্পবৃক্ষের সমান করেন । তোমাদের আত্মা পবিত্র হয়ে যায় তাই শরীরও পবিত্র পাবে । তাই বাবা তোমাদের কায়া কল্পতরু বানান । অর্ধেক কল্প তোমাদের কখনোই অকালে মৃত্যু হবে না । তোমরা কালকে জয় করো । বাচ্চারা, তোমাদের অনেক পুরুষার্থ করা উচিত । যতো উচ্চ পদ পাও, ততই ভালো । পুরুষার্থ তো সবাই বেশী উপার্জনের জন্যই করে । কাঠুরিয়াও বলবে যে, আমি যদি বেশী কাঠ বয়ে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে বেশী উপার্জন হবে । কেউ আবার ঠকিয়েও উপার্জন করে । ওখানে এমন কোনো দুঃখের বিষয় থাকে না । তোমরা এখন বাবার থেকে কতো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো । তোমাদের নিজেকে যাচাই করে দেখা উচিত যে, আমরা কি স্বর্গে যাওয়ার উপযুক্ত হয়েছি ? শাস্ত্রে তো নারদের মতো অনেক উদাহরণ দিয়ে দেওয়া হয়েছে । এই তীর্থযাত্রা ইত্যাদি সব ত্যাগ করো । গীতও তো আছে….. চারিদিকে পরিক্রমা করে, তবুও…. বাবা এখন তোমাদের কতো ভালো যাত্রা শেখান, এতে তোমাদের কোনো পরিশ্রম নেই । বাবা কেবল বলেন – মামেকম্ (আমাকে) স্মরণ করো, তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । আমি তোমাদের খুব ভালো যুক্তি শোনাই । বাচ্চারা, তোমরা শোনো তো । এ হলো আমার লোন নেওয়া রথ । এই বাবাও কতো খুশী হন । আমি বাবাকে নিজের শরীর লোনে দিয়েছি । বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক বানান । নামই তো হলো ভাগীরথ । তোমরা জানো যে বোম্বস ইত্যাদি তৈরী হচ্ছে । এরপর আগুন লাগবে । মারবার জন্য রাবণের ভূতও বানানো হয় । ওখানে তো এই মারার কোনো কথাই নেই । কোথায় মারবার কথা, আর কোথায় এই রাবণ পুরী শেষ হয়ে যাচ্ছে । বাচ্চারা, তোমরা রামপুরীতে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো । তাই সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে, কাঁটা হয়ো না ।
তোমরা হলে ব্রাহ্মণ – ব্রাহ্মণী। এই সবের আধার মুরলীর উপর । তোমরা মুরলী না পেলে কি করবে । এমন নয় যে, কেবল এক ব্রাহ্মণীকেই মুরলী শোনাতে হবে । যে কেউই মুরলী পড়ে শোনাতে পারে । তোমাদের বলা উচিত — আজ তুমি শোনাও । এখন তো বোঝানোর জন্য সুন্দর চিত্রও তৈরী করা হয়েছে । এই মূখ্য চিত্র নিজের দোকানে রেখে অনেকের কল্যাণ করো । ওই ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবসাও করো । এ হলো বাবার অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দোকান । বাবা কখনো বারণ করেন না যে, বাড়ি ইত্যাদি করো না । ইচ্ছা হলে তৈরী করো । পয়সা তো মাটিতেই মিশে যাবে । এরথেকে না হয় বাড়ি তৈরী করে ভালোভাবে আরাম করে থাকো । অর্থ কাজে লাগানো উচিত । বাড়িও তৈরী করো, খাওয়ার জন্যও অর্থ রাখো, আবার দান – পুণ্যও করো । কাশ্মীরের রাজার যখন মৃত্যু হলো, তখন তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি যা ছিলো, তা তিনি আর্য সমাজীদের দান করে গিয়েছিলেন । নিজের ধর্মের জন্য তো করে থাকে, তাই না । এখানে তো এইসব কোনো কথাই নেই । সবাই বাচ্চা, দান ইত্যাদির কোনো কথাই নেই । ও হলো জাগতিক দান । আমি তো তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী দান করি । ড্রামা অনুসারে ভারতবাসীই রাজ্য – ভাগ্য প্রাপ্ত করবে । ভক্তিমার্গে ব্যবসায়ীরা কিছু কিছু অবশ্যই ধার্মিক হয় । এর ফলও পরের জন্মে অল্পকালের জন্য প্রাপ্ত হয় । এখন তো আমি প্রত্যক্ষভাবে এসেছি, তাই তোমরা এই কাজে লাগাও । আমার তো কিছুই চাই না । শিববাবার কি নিজের জন্য বাড়ি বানাতে হবে ? এ সবই ব্রাহ্মণদের জন্য । ওখানে গরীব, বিত্তবান সবাই একত্রিতভাবে মিলেমিশে থাকে । তাই এ সবই বাচ্চাদের জন্য । দেখা যায়, ঘরে সবাই কতো আরামে থাকে, তাই তেমন ব্যবস্থা করতে হয়, তাই বলা হয় সবার যত্ন করো । তোমাদের যদি কোনোকিছু না থাকে, তাহলে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । বাবার তো বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসা থাকে । এতো ভালোবাসা আর কেউই দিতে পারে না । বাচ্চাদের কতো বোঝানো হয় — তোমরা পুরুষার্থ করো আর অন্যদের জন্যও উপায় বের করো । এতে চাই তিন পদ জমি, যেখানে বাচ্চারা বোঝাতে থাকবে । কোনো বড় মানুষ এলে বলো, আমরা প্রয়োজনীয় চিত্র রেখে দিচ্ছি । সকাল – সন্ধ্যা এক – দুই ঘণ্টা ক্লাস করে চলে যাবে । খরচা সব আমার আর নাম তোমাদের হবে । অনেকেই এখানে এসে কড়ি থেকে হীরে তুল্য তৈরী হবে । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ – সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) অবিনাশী বাবার সঙ্গে সত্যিকারের অবিনাশী ব্যবসা করতে হবে । জাগতিক ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবসাতেও সময় দিতে হবে । জ্ঞান গঙ্গা হয়ে সবাইকে পবিত্র করতে হবে ।
২ ) ব্রাহ্মণ জীবনের আধার হলো মুরলী, যা খুব ভালোবেসে শুনতে আর শোনাতে হবে । মনের মধ্যে কোনো কাঁটা থাকলে তা বের করে দিতে হবে । অপগুণের দান করতে হবে ।
বরদানঃ-
যার মধ্যে সহনশীলতার গুণ থাকে, তার মুখে সদা প্রশান্তি আর সন্তুষ্টতা দেখা যায়, যে স্বয়ং সন্তুষ্ট মূর্তি থাকে, সে অন্যদেরও সন্তুষ্ট করে দেয় । সন্তুষ্ট হওয়ার অর্থ সাফল্য পাওয়া । যে সহনশীল হয়, সে নিজের সহনশীলতার শক্তির দ্বারা কঠোর সংস্কার বা কঠিন কার্যকে শীতল এবং সহজ করে দেয় । তাদের চেহারাতেও গুণমূর্তির অনুভব হয় । তারাই ড্রামার ঢালে টিকতে পারে ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!