26 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 25, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন বেহদের রাত্রি সমাপ্ত হচ্ছে, দিন ফিরে আসছে, ঘরে ফিরে যেতে হবে, সেইজন্য এখন দ্বারে-দ্বারে ঘোরা বন্ধ করো"

প্রশ্নঃ --

কোন্ প্র্যাক্টিসের আধারে তোমরা বাচ্চারা সেবা অনেক ভালোভাবে করতে পারবে ?

উত্তরঃ -:-

যদি কমপক্ষে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্মরণ স্থায়ী থাকে, এই প্র্যাক্টিস হয়ে গেলে সেবা অনেক ভালোভাবে করতে পারবে। কেননা স্মরণের দ্বারাই সমগ্র বিশ্বে পবিত্রতা আর শান্তির ভাইব্রেশন ছড়িয়ে যায়। স্মরণের দ্বারাই বিকর্মও বিনাশ হবে আর পদও উচ্চ প্রাপ্ত করা যাবে। এইজন্য এই রূহানী (আত্মিকতার) যাত্রায় কখনোই ক্লান্ত হলে চলবে না। শরীরের ভান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হওয়ার নিরন্তর অভ্যাস করে যেতে হবে।

গান:-

রাতের পথিক ক্লান্ত হয়ো না, দিনের লক্ষ্য আর দূরে নয়..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা সাবধান বাণী শুনেছো। বাবা বাচ্চাদের সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ও রাতের পথিক… কেননা এখন তোমাদের জন্য দিন ফিরে আসছে। এ হল বেহদের রাত্রি আর দিন।বেহদের রাত্রি সমাপ্ত হয়েছে আর বেহদের দিনের স্থাপনা প্রারম্ভ হচ্ছে। এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে (আত্মাদের) নিজের ঘরে ফিরে যেতে হবে। যার জন্য তোমরা অর্ধকল্প ভক্তি করেছ, কিন্তু বাবাকে খুঁজে পাওনি। কেননা ওঁনার নাম রূপকে পরিবর্তন করে দিয়েছো। এখন তোমরা জানো যে বাবা দিনে অর্থাৎ কলিযুগ থেকে সত্যযুগে যাওয়ার রাস্তা বলে দিচ্ছেন। বাবা বোঝাচ্ছেন যে – ভ্রষ্টাচারী তাদেরকে বলা হয় যারা বিকার থেকে জন্ম নেয়। ভারতবাসীরা বাবাকেই ভুলে গেছে, গীতার ভগবান নিরাকার, ওঁনার পরিবর্তে সাকার কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে। এ হলো বড়’র থেকেও বড় ভুল, যার কারণে অর্ধকল্প দুঃখ ভোগ করতে হয়েছে। ভুল নিমিত্ত হয়েছে দুঃখ ভোগ করার জন্য। এটিও ড্রামার পার্টে নির্ধারিত করা আছে। ভক্তিমার্গে মানুষ ঘুরে বেড়াতে থাকে। যদি বাবাকে জেনে নেয় তাহলে ঘুরে বেড়ানোর দরকার নেই। তোমরা এখন বাবাকে জেনে গেছো। শ্রীকৃষ্ণ যদি এইরূপে আসে তাহলে তো ওঁনাকে চিনতে কোন অসুবিধা হবে না। শীঘ্রই সবাই জানতে পেরে যাবে। কিন্তু এটা এতটাই গুপ্ত যে তোমরা বাচ্চারাও ভুলে যাও। কৃষ্ণকে তো কেউ ভুলতে পারে না। সমস্ত দুনিয়া তো তার প্রতিই আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। মনে করে যে শ্রীকৃষ্ণ আমাদেরকে স্বর্গে নিয়ে যাবে কেননা উনিই তো হলেন স্বর্গের মালিক। তাকে কেউ ছাড়েই না, কিন্তু বোঝানোর জন্য যথার্থ যুক্তির প্রয়োজন। যদি বোঝানোর জন্য যুক্তি না থাকে তাহলে কোথাও-কোথাও ডিসসার্ভিস করে ফেলে। কেননা নিজেও সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেনা, ফলে অন্য কাউকে ভালোভাবে প্রমাণ সহ হিসাব দিয়ে বোঝাবে। এই সময় সকলেই পতিত। গায়নও করে থাকে পতিত-পাবন সীতারাম। কিন্তু পাবন তৈরী করেন কে – এটা কেউ জানেনা। গীতার ভগবান কৃষ্ণকে ভেবে নিয়েছে। রামের তো কোনো শাস্ত্র নেই। এমন নয় যে, রামায়ণ কোনো রামচন্দ্রের শাস্ত্র। ক্ষত্রিয় ধর্ম কোনো রাম স্থাপন করেননি। বাহ্মণ, দেবতা আর ক্ষত্রিয় তিনটি ধর্ম একসাথেই শিববাবা স্থাপন করেন। তোমাদের মধ্যেও অল্পসংখ্যক এমনই আছে যারা এই কথাকে বুঝতে পারবে। রাজা রানী তো একজনই হয়, বাকি প্রজা আর দাস-দাসী তো অনেকেই হয়। আগে রাজাদের কাছে অনেক দাস-দাসী ছিল, কেউ বিনোদনের জন্য, কেউ নৃত্যের জন্য। নৃত্যের শখ বা আগ্রহ ওখানেও অনেক থাকে। বাকি রাজা রানী খুবই অল্প সংখ্যক হয়। যারা ভালোভাবে বোঝে এবং বোঝায়। প্রদর্শনীর সার্ভিসের (সেবা) দ্বারাই বোঝা যায় যে কারা-কারা ভালোভাবে বোঝাতে পারবে। প্রথমে এই কথা বোঝাতে হবে যে, ভগবানকে না জানার কারণে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। দ্বিতীয় হল কৃষ্ণকে ভগবান বলায় স্বর্গের রচয়িতা শিববাবার নাম অদৃশ্য করে দিয়েছে। নিরাকার বাবাই হলেন সকলের রচয়িতা।ওঁনাকেই স্মরণ করতে হবে, উনিই রাজযোগ শেখান। কিন্তু গীতাতে যে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লিখে দিয়েছে, এর কারণেই গীতা হাতে নিয়ে মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করে। এখন বলো কৃষ্ণ কি সর্বব্যাপী! না নিরাকার পরমাত্মা সর্বব্যাপী! এতেই সকলেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে।

এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে সকালে উঠে প্র্যাকটিস করতে হবে বোঝানোর জন্য। (রাজা জনকের উদাহরণ) বলা হয় যে অষ্টবক্র জনককে জ্ঞান প্রদান করেছিল! কিন্তু এটাতো কোনো ব্রহ্ম জ্ঞান ছিল না, এটা তো হল ব্রহ্মা জ্ঞান। বহ্মকুমারীরা এই জ্ঞান দিচ্ছে। ব্রহ্ম-কুমারী নয়। ওইসব লোকজনেরা ব্রহ্মকে ঈশ্বর ভাবেন, কিন্তু না। ঈশ্বর তো হলেন বাবা। বাবারই নাম হল শিব। ব্রহ্ম তো হল তত্ত্ব। এইসব কথা ভোঁতা বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা বুঝতে পারেনা। সংখ্যা অনুসারে দাস দাসীও হয়ে থাকে। বুঝতে হবে যদি আমরা কাউকে ভালো ভাবে বোঝাতে না পারি তাহলে আমাদের পার্ট শেষের দিকে হয়ে যাবে। এরজন্য পুরুষার্থ করতে হবে। সমগ্র দুনিয়ায় যারা যারা কিছু শেখায়, তারা দেহ-অভিমানের দ্বারা শিখিয়ে থাকে। দেহী-অভিমানী কেবলমাত্র তোমরা ব্রাহ্মণরা ছাড়া কেউই হতে পারেনা। তোমাদের মধ্যেও সংখ্যা অনুসারে থাকে, যারা আত্ম-অভিমানী হয়, তারা বলে আমরা আত্মাকেই শোনাই। আত্মা এই কর্মেন্দ্রিয়ের (অরগ্যান্স) দ্বারা বলে। আত্মা বলে যে আমি শুনতে পাই না আমার অরগ্যান্স খারাপ হয়ে গেছে। তাই দেহী-অভিমানী হওয়াতে পরিশ্রম করতে হয়। সত্যযুগে দেহী-অভিমানী থাকে। কিন্তু পরমাত্মার জ্ঞান থাকেনা। বাবা বলেন আমাকে কেউ ওখানে স্মরণ করে না, ওখানে দরকারই থাকে না। স্মরণ অথবা পরমাত্মা চিন্তন একই কথা। ওইসব লোকজনেরা হাতে মালা নিয়ে মুখ থেকে রাম রাম বলে। এখানে তো রাম শব্দ বলাটাই ভুল হয়ে যায়। সঠিক অক্ষর হলো শিববাবা। কিন্তু শিব শিব বলাও দরকার নেই। বাবাকে স্মরণ করার জন্য নাম নেওয়ার কি দরকার আছে। বাবাকে স্মরণ করা – এটাই হলো যাত্রা। দৈহিক যাত্রায় বের হলে তখনও স্মরণে থাকে – আমরা অমরনাথে যাচ্ছি। ওই নামটা তো নিতেই হয় তাই না! তোমাদের কোন কিছুই জপতে হবে না।তোমরা এখন জেনে গেছো – নাটক সমাপ্ত হতে চলেছে। আমাদের ৮৪ জন্ম শেষ হয়ে গেছে। এই পুরাতন বস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে। পার্ট প্লে করতে-করতে পতিত হতেই হবে। বাবা বলেন যে এই যে মনুষ্য সৃষ্টি রূপি বৃক্ষ আছে, সেটার প্রধান কান্ড জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। বাদ বাকি শাখা-প্রশাখা রয়ে গেছে। এটাও তমোপ্রধান হয়ে গেছে, বৃক্ষের আয়ু এখন সম্পূর্ন হয়েছে। আবারো নাটক পুনরাবৃত্তি হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ পার্ট প্লে করবে। অন্য কোনো দুনিয়া থাকে না। যদি থাকতো তাহলে আমরা পড়তাম কেন? বলা হয় যে বাবা আবারো এসে পুনরায় আমাদেরকে রাজযোগ শেখাও, গীতার গান শোনাও, পবিত্র তৈরি করো। কিন্তু পতিত আমরা কিভাবে হলাম, এটা কেউ জানে না। এখন তোমরা জানো যে আমরাই পবিত্র ছিলাম। আবারও ইতিহাস(হিস্ট্রি) পুনরাবৃত্তি হবে।

বাবা বলেন, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। ঘরে তো বাবাই থাকে। বলেন যে পরমধামে থাকি আবার ভুলেও যায়। আত্মারাও ব্রহ্মান্ডে থাকে। এই যে সৃষ্টি, এখানে মানুষরাই থাকে। ব্রহ্মান্ডে আত্মারা থাকে, তারপরে এখানে আসে পার্ট প্লে করতে। উপরে আকাশ তত্ত্ব আছে। পা সকলের পৃথিবীর উপরেই আছে। বাকি শরীর কোথায় থাকে? সেটা তো আকাশ তত্ত্বেই থাকে। সেখানে তো আত্মারা স্টারেরা থাকে। ওখানে পড়ে যাওয়ার মতো কোনো বস্তু থাকে না যার ফলে আমরা পরে যাবো। সায়েন্সের লোকজনেরা রকেটে চড়ে যায়, পরিক্রমা করতে আবার বাইরেও বেরিয়ে আসে। লেখেও যে, পড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই, এতটা আকর্ষণ আছে যাতে মানুষ আকাশ তত্ত্বতে আটকে যায়। তাহলে এত ছোট্ট একটা আত্মা মহাতত্ত্বতে কেন আটকে যেতে পারবে না। বাসস্থান ওখানেই আছে, এই সূর্য, চন্দ্র তারারা অনেক বড়। ওগুলো কীভাবে ওখানে আটকে আছে। কোনো দড়ি ইত্যাদি তো থাকে না। এই সমস্ত ড্রামা তৈরী করা আছে। আমরা ৮৪ জন্মের চক্রে আসি। এটি হলো বৃক্ষ। কত বড় শাখা-প্রশাখা আছে। বাকি ছোট-ছোট গুলোকে দেখা কীভাবে যাবে। বাবাও সংক্ষেপে বোঝান যে, যারা পরবর্তী সময়ে আসবে তারা অবশ্যই অল্প জন্মই নেবে। বাদবাকি প্রত্যেকের হিসাব নিকাশ বলবো না। তোমরা জানো যে বহ্মার দ্বারা বাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। যার দ্বারা স্থাপনা হয়েছে তাঁকেই আবার পালনা করতে হবে। ব্রহ্মা বিষ্ণু শংকর তিন দেবতাই আলাদা-আলাদা। এইরকম কখনোই নয় যে ব্রহ্মার তিনটি মুখ আছে। এইরকম হতে পারে না। বাবা বলেন, বাচ্চারা তোমরা একদমই অবুঝ হয়ে গেছো। বাবা এসেই বুঝদার বানান। এখন তোমরা সকল সীতারা রাবণের জেলে বন্দী আছো। তোমরাই বাঁদর ছিলে, তোমাদেরই সেনা নেওয়া হয়েছিল। তোমাদেরকেই মন্দিরের যোগ্য তৈরী করেছি। এখন রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, যে যতটা শ্রীমতে চলবে সে ততটাই উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে। তোমরা জানো যে মাম্মা বাবা নাম্বার ওয়ানে যায়। স্থূল বতনে তোমাদের সামনে বসে আছে। সুক্ষ্ম বতনেও দেখো বসে আছে এবং আবার বৈকুণ্ঠেও দেখো। প্রথমের দিকে অনেককেই সাক্ষাৎকার করানো হয়েছে তাহলে সকলেই কি কৃষ্ণ হয়ে যাবে। বাল্য-লীলা ইত্যাদি দেখানো হতো, পুরুষার্থ করানোর জন্য। পুরুষার্থ ব্যতীত মহারাজা মহারানী তো হতে পারবে না। যারা যথার্থ নিশ্চয় বুদ্ধিসম্পন্ন হয় তারা একদম স্থির হয়ে যাবে। বাবা আমরা তো আপনাকে কখনোই ছেড়ে যাবো না। কেউ আবার এরকম বলতে-বলতে ছেড়ে চলেও যায়। আশ্চর্যবৎ শুনন্তী, কথন্তী, ভাগন্তী হয়ে যায়। এটি প্রথমের দিকে প্রবাদ বাক্য। এখনো এইসব কিছু হতেই থাকে। বলেন যে কল্প পূর্বেও এরকম ভাগন্তী হয়েছিল, কারোর উপরে আর ভরসা নেই। যেমন শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর ভরসা থাকে না। বাবার হয়েও আবার মরে যায়। ঈশ্বরীয় জন্মদিন পালন করেও মরে যায় অথবা হাত ছেড়ে চলে যায়। বাবা মুহূর্তে-মুহূর্তে বলতে থাকেন যে, তোমরা যদি এখন মনে করো আমাদেরকে নিজের সুইট হোমে ফিরে যেতে হবে তারজন্য বাবা আর ঘরকে স্মরণ করতে হবে। ভক্তি মার্গেও অর্ধকল্প স্মরণ করেছো। কিন্তু কেউ ফিরে যেতে পারেনি। জানেই না তাহলে যাবে কীভাবে। ওরা রুহানী যাত্রী হবে কিভাবে! তোমরা এখন সম্পূর্ণ যাত্রী হতে পেরেছো। যারা বেশি সময় ধরে স্মরণ করবে তাদের পাপ কাটতে থাকবে। যাত্রাও খেয়াল রাখতে হবে। পরবর্তী সময়ে ৮ ঘণ্টা তোমাদের এই সার্ভিস থাকলে অনেক ভালো হবে। এটি হলো শান্তি আর পবিত্রতার ভাইব্রেশন ছড়িয়ে দেওয়া। স্মরণ এর দ্বারা বিকর্মও বিনাশ হবে আর পদও উচ্চ প্রাপ্ত হবে এজন্যই বলা হয় যে – রাতের পথিক ক্লান্ত হয়ে যেও না। কলিযুগের শেষ অর্থাৎ ব্রহ্মার রাত্রি পূর্ণ হওয়া। সবাইকে ঘরে ফিরে যেতে হবে। রূহানী ঘরকে স্মরণ করতে হবে। আত্মাদের এখন ফিরে যেতে হবে। শরীরের অভিমান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হতে হবে। এটি হল স্মরণের যাত্রা। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) যথার্থ নিশ্চয় বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে দৃঢ় সংকল্প করতে হবে যে বাবার হাত কখনোই ছাড়বো না। বাবাকে আর ঘরকে মুহূর্মুহূ স্মরণ করতে হবে।

২) দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। ৫ বিকার রূপী রাবণের জেল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য শ্রীমতের আধারে চলতে হবে। মন্দিরের যোগ্য হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদানঃ-

যে সমস্ত জ্ঞান স্বরূপ যোগী তু আত্মারা আছে তারা সর্বদা সর্বশক্তির অনুভব করে বিজয়ী হয়। যারা কেবলমাত্র স্নেহী অথবা ভাবনা স্বরূপ হয় তাদের মন আর মুখ থেকে সর্বদা ‘বাবা-বাবা’ বের হতে থাকে, এইজন্য সময় প্রতি সময় সহযোগ প্রাপ্ত হতে থাকে। কিন্তু সমান হওয়ার জন্য জ্ঞানী-যোগী তু আত্মারাই সমীপে আছে, এইজন্য যতটা ভাবনা থাকবে ততটাই জ্ঞান স্বরূপ হবে। জ্ঞানযুক্ত ভাবনা আর স্নেহ সম্পন্ন যোগ – এই দুইয়ের ব্যালেন্স উড়তি কলার অনুভব করিয়ে বাবার সমান সম্পন্ন করে দেবে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য :-

ওম্ শিবোহম্, হম্ সো সো হম্ এই শব্দগুলির যথার্থ অর্থ –

ওম্ শান্তি, এই যে শব্দগুলো উচ্চারণ করা হয় হম্ সো, সো হম্, শিবোহম্, অহম্ (আমি) আত্মা সো পরমাত্মা এখন এই মহাবাক্য কে উচ্চারণ করেন আর এই শব্দগুলি যথার্থ অর্থ কি ? যখন ওম্ শব্দ বলা হয় তখন ওম্ এর অর্থ হলো আমি আত্মা শান্ত স্বরূপ, এটা নিশ্চয় হওয়ার পরে আবার আমি আত্মা আমিই পরমাত্মা, এই শব্দ কখনই বলা যাবে না। তাহলে এইরকম বলা হয় যে আমি আত্মা পরমাত্মার সন্তান, তখন এই ওম্ শব্দ বলা আত্মাদের অধিকার। আবার যখন হম্ সো, সো হম্ শব্দ বলা হয়, তখন সেই শব্দের অর্থ হলো আমরাই পূজ্য, আবার এখন আমরাই পূজারী হই। আমরাই পূজ্য হই এখন এই শব্দটিও আত্মাই বলতে পারে। এই যে মানুষ বলে থাকে অহম্ আত্মা সো পরমাত্মা, এখন এই শব্দগুলি কেবলমাত্র পরমাত্মাই বলতে পারেন, কেননা উনিই কেবলমাত্র আত্মা, পরম আত্মা, আবার যে এই শিবোহম্ শব্দ বলেন সেটাও পরমাত্মাই বলতে পারেন, কেননা উনিই হলেন শিব। তাহলে এই শব্দগুলোর অর্থকেও তখন জানতে পারবে যখন পরমাত্মা এসে এই নলেজ (জ্ঞান) দেবেন, বাদ বাকি অন্য ধর্মাবলম্বীদের, খ্রীস্টান ইত্যাদিরা এটা জানে না যে আমরা পোপ হবো। তাদের তো এই নলেজই থাকে না। এখন আমাদেরই এই নলেজ প্রাপ্ত হয়েছে যে, আমরাই দেবতা হবো, আমাদের সামনে দেবতাদের স্মরণিক চিত্র আছে আর সাথে-সাথে তাদের জীবন চরিত অর্থাৎ হিস্ট্রি, গীতা ভগবত উদাহরণ রূপে সামনে রয়েছে। কেননা আমরা আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত কল্পের চক্রে আসি আর ওই ধর্ম পিতারা যখন আসে তখন তারা কল্পের মধ্যবর্তী সময়ে আসে, এইজন্য ওরা হম্ সো শব্দ বলতে পারে না, ওম্ শব্দ বলতে পারে। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top